![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আহ কি আনন্দ দীর্ঘ ১ মাসের পরিক্ষা শেষে আমি অন্তু এখন মুক্ত।।এবার তো গ্রামের বাড়ি বেড়াতে যেতেই হয়।দাদু তো আমাকে প্রায়ই বলে থাকেন আমাদের গ্রাম টা অনেক সুন্দর।কিন্তু সেই যে ছোট বেলায় একবার গিয়েছিলাম এরপর আর যাওয়া হয়নি।তাই এবার গ্রামে গিয়ে আরাম করে একটা ছুটি কাটিয়ে আসবো।বাবা মা কেও যেতে পারবেন না তাই বাধ্য হয়ে আমাকে একাই যেতে হবে।আমি আসো শুনে আমার চাচা তো ভাই আকাশ টা সে কি খুশি আমাকে ফোন দেয় আর বলে আর কতক্ষন আর কতক্ষণ।আমি না হেসে পারলাম না আরে বোকা তুই তো আমার চেয়ে ভালো বলতে পারবি তোদের ওখানে লঞ্চ কোন সময় ভিরে।যাই হোক লঞ্চে কেবিন পেলাম না।এই শীতের ভিতর ডেকে যাওয়ার তো প্রশ্নই আসেনা তাই বাধ্য হয়ে স্টাফ কেবিন নিলাম।।ভালই লাগছে অনেক দিন পর গ্রামে যাবো।একটা সিগারেট ধরানর খুব প্রয়োজন বোধ করলাম।বেশ উত্তেজিত।ইসস কখন যে গ্রামে পৌছব।যাই এর চেয়ে কেবিনে গিয়ে শুয়ে বিস্রাম করি।মোবাইল টা বেজে উঠলো।হ্যালোঅন্তু আমি আকাশও
আকাশ হে বল,হুম কেবিন পেয়েছি।আচ্ছা ঠিকাছে ভোর ৪ টা।
আকাশ আসবে ঘাটে ভোর চারটায় আমাকে নিতে।গ্রামের পথ তো আমার জানা নেই তাই।।তন্দ্রা প্রায় এসে পড়ে ছিল।এমন সময় কেবিন বয়ের নক শুনে ঘুমটা ভেঙ্গে গেলো।আমি এসে পরেছি ঘাটে।এখনি প্রস্তুত হওয়া দরকার।বাহিরে প্রচণ্ড ঠাণ্ডা গরম কাপড় যা ছিল সব বেড় করে শরীরে পড়তে লাগলাম।ঘাট থেকে নামতেই চোখে পড়লো আকাশ কে সাথে একটা ভ্যান ও আছে।অন্তু বলে ডাক দিল আকাশ।আনন্দে বুকে জড়িয়ে ধরলো আমাকে।
ক্যামন আছিস রে আকাশ?
ভালোরে তোর কি খবর?
এইতো চলছে।তোর আসতে কোন সমস্যা হয়নি তো?
আরে নাহ কি সমস্যা।
তো চল ভ্যান নিয়ে এসেছি দুই ভাই গল্প করতে করতে চলে যাবো।
বাসা কতদূর রে?আমি জিজ্ঞেস করলাম।
এইতো মাইল খানেক।৪০ মিনিটের ভিতর ই পৌঁছে যাবো।
গ্রামের রাস্তা আমাদের ঢাকার রাস্তার মতো পিচ ঢালা নয় এবড়ো থেবড়ো আবার খানা খন্দ।ঝাকি খেতে খেতে মনে হচ্ছে আমার কয়েক বছরের হায়াত কমে গেছে।আকাশ হয়তো বুজতে পেরেছে আমার সমস্যা টা জিজ্ঞেস করলো কষ্ট হচ্ছে কিনা।আমি মুখে হাসি ধরে রাখালাম আরে নাহ কিসের কষ্ট।
তোকে দেখলে দাদু অনেক খুশি হবেন রে,বল্লো আকাশ।
দাদা মারা গিয়েছেন বছর দুয়েক হোল দাদি এখন একা মাঝে মধ্যে ঢাকায় এসে আমাদের এখানে থাকেন কিন্তু তিনি গ্রাম ছেড়ে যাবেন না তার একটাই কথা,তার স্বামীর হাতে তৈরি কইরা এই বাড়ি ছেড়ে তিনি তখন ই জাবেন যেদিন তিনি মৃত্যু বরন করবেন।গাল গল্প করতে করতে বাড়ির সামনে পৌঁছে গেলাম।দাদি আমাকে দেখেই আনন্দে চুমু খেলেন।
নিশ্চয়ই অনেক ধকল গিয়েছে তাইনা?যা ফ্রেশ হয়ে নে আমি নাস্তা দিচ্ছি।
নাস্তা করার পর একটু ঘুমনোর প্রয়জনবধ করছি।তাই আর দেরিনা করে ঘুমোতে গেলাম।সকালে ঘুম ভাঙ্গল মার ফোনে।জিজ্ঞেস করলেন গিয়ে ফোন দেইনি ক্যানও।আসলেই আমি কি বোকার মতো কাজ করেছি।এমন সময় আকাশের কণ্ঠ শুনতে পেলাম।
কিরে অন্তু এখনো ঘুমচ্ছিস?
আরে নাহ এই মাত্র উঠলাম।
চল গ্রাম ঘুরবিনা?
হুম ঘুরবো বলেই তো তোদের এখানে আসা।
দেখত চিনতে পারিস কিনা বললো আকাশ।
কে ?
ওই যে ছেলেটা।
না তো কে?একটু অবাক ই হোল অন্তু
ওই তৌহিদ এদিকে আয়।হ খারা আইতাছি বলল তৌহিদ।দেখত তৌহিদ ওনারে চিনস কিনা?তৌহিদ বেচারা ও মনে হয় একটু হতভম্ব হয়ে গেলো,মাথা ঘুরিয়ে না সূচক জবাব তার।আরে এইডা আমাদের অন্তু এখন চিনছস?আরে অন্তু ভাই বলেই তৌহিদ আমাকে জড়িয়ে ধরলো।সত্যি কথা আমি এখনো চিনতে পারিনি কিন্তু ভদ্রতার খাতিরে আমাকে ও মুখে হাসি ভাবটা ধরে রাখতে হোল।ব্যাপারটা হয়তো বুঝেছে আকাশ তাই সে আমাকে বোললো
আরে আকাশ চিননাই এই টা আমাদের সেই তৌহিদ জারে নিয়া তুমি আমি গেছিলাম ডাব চুরি করতে।মনে আছে?
ও হা মনে পড়ে গেলো সেই প্রথমবার আসা গ্রামের স্রিতি।তখন ডাব চুরি করে খাওয়ার মজাই ছিল আলাদা।যদিও দাদা বাড়িতে অনেক ডাব গাছ আছে তবে নিজের গাছে তো আর চুরি করে খাওয়ার মজা নেই তাই একদিন আমার তিন জন মিলে গিয়েছিলাম পাশের এক বাড়ির ডাব চুরি করতে।কিন্তু বেচারা তৌহিদ এর কপাল খারাপ সে উঠেছিল গাছে আর আমরা ছিলাম নিচে এমন সময় কে যেন বলে উঠলো কে রে ওখানে।আমি আর আকাশ তো ভো দৌড় কিন্তু বেচারা তৌহিদ গাছ থেকে তারাহুরা করে নামতে গিয়ে হাত ভেঙ্গে ফেললো।শেষ মেষ আর মার খাওয়া হয়নি তৌহিদের হাত ভাঙ্গার সুবাদে।যাই রেডি হই গ্রাম টা ঘুরে দেখতে হবেনা।আমি আকাশ আর তৌহিদ বেড় হলাম কতো জায়গায় যে গেলাম।ইস গ্রাম কতো সুন্দর কোন যান্ত্রিক আওয়াজ নেই।এমন সময় তৌহিদ বলে উঠলো ভাই চলেন প্রাচিন জমিদার বাড়ি ডা আপনারে একবার দেখাইয়া নিয়া আসি।কিন্তু আকাশ গরম দৃষ্টিতে যেন নীরবে তৌহিদ কে ঝারি দিলো।ব্যাপার টা আমার নজর এড়ালনা তাই আমি যেন আরও কৌতূহল হয়ে উঠলাম।কোথায় কোথায় ?আমি যাবো।
নারে অন্তু আজ না অন্য কোন দিন,বোললো আকাশ ।।
অন্য কোন দিন মানে আজ গেলে সমস্যা কি?
সন্ধ্যা হয়ে এসেছে কাল গেলে হয়না?
আরে রাতের বেলা জমিদার বাড়ি দেখার মজাই আলাদা চল না আকাশ।
তখন ই তৌহিদ বলে উঠলো অন্তু ভাই কাল যাই।রাইতে সাপ খোপ আছে তো তাই।
হুম ওকে তাহলে আগামি কাল আমি বললাম।
রাতে ঘুম হোল না জমিদার বাড়ির ব্যাপারটা মাথায় ঢুকতে।আকাশ ক্যানও চায়নি আমি সেখানে যাই?কি আছে এমন?ভাবতে ভাবতে কখন যে ঘুমিয়ে পরলাম মনে নেই।ঘুম ভাঙ্গল দাদির ডাকে।নাস্তা খেতে ডাকছেন।নাস্তা খেতে খেতে দাদি বললেন আমাদের গ্রামের উত্তর দিকে নাকি সুন্দর একটা জায়গা আছে সেটা ঘুরে দেখার জন্য আমি ও হা বললাম।আকাশ আর তৌহিদ হাজির।
তাহলে যাওয়া যাক বললাম আমি।
কোথায়?
আমি যেন একটু অবাক ই হলাম ক্যানও জমিদার বাড়ি।আজ না আমাদের যাওয়ার কথা ছিল?
ও হে,যেন অনিচ্ছা সত্তেও ওরা আমার কথায় রাজি হোল।প্রায় কয়েক মাইল হাটার পর এক ভাঙ্গা চুরা বাড়ির দিকে নজর গেলো।হে এটাই সেই জমিদার বাড়ি।দেখলেই বুঝা যায় এক সময়কার প্রবল প্রতাপশালি জমিদাররা এইখানে থেকেই তাদের জমিদারী করতেন।সামান্য একটা জমিদার বাড়ি নিয়ে আকাশ আর তৌহিদের অনিহাতে আমার একটু অবাকই লাগলো।আমি ভিতর টা ঘুরে দেখতে চাইলাম।
কিন্তু তৌহিদ বোললো ভাই ভিতরে খারাপ...
আমি বললাম কি?
আকাশ বলে উঠলো আরে ভিতরে সাপ আছে এই আর কি তোর যাওয়ার দরকার নেই ভিতরে।কিন্তু ওদের কথায় আমার যেন ভিতরে যাওয়ার ইচ্ছে টা আরও প্রবল হয়ে উঠলো।ভিতর টা পুরাই জংগল হয়ে আছে লতাপাতায় ঢেকে আছে পুরো জমিদার বাড়ি।সারি সারি রুম গুলো খালি পরে আছে।তৌহিদ আর আকাশকে ও ভিতরে আস্তে বললাম কিন্তু ওরা বোললো বাহিরেই থাকবে।আসলে গ্রামের ছেলে এরা কুসংস্কার ভুত এগুলো নিয়ে ওদের ভয় থাকাটাই স্বাভাবিক, তাই আর ওদের নিয়ে তেমন একটা ভাবার প্রয়োজন বোধ করলাম না।রুম গুলো দেখা শেষে বের হয়ে গেলাম।এবার বাহিরটা ভালো করে ঘুরে দেখবো।আকাশ আর তৌহিদ আমার পিছনেই।ভালই লাগছে জমিদার বাড়ি ঘুরে দেখতে।নিরব এই বাড়ীটি একসময় ছিল কোলাহল পূর্ণ।ভাবতে ভাবতেই হঠাৎ ই কিসে যেন পা লেগে আমি আরেকটু হলে পড়ে জেতাম।হয়তো কোন ইটের টুকরো হবে।পায়ে বেথা ও পেয়েছি ইসস ক্যানও যে জুতো পরে আসিনি।আগুলটা ডলতে যাবো এমন সময় ই চোখ আটকে গেলো।না এতো ইটের টুকরো নয় তবে ক্যামন যেন চেনা চেনা লাগছে।মাটি থেকে সামান্য উপরে উঠে আছে জিনিষটা,দেখতে কাঠের মতো।হাত দিয়ে ধরতেই বুঝতে পারলাম কোন কিছুর বাট হবে!!কিন্তু কি?দেখতে মন চাইল তাই আর তোর সইতে পারলাম না।টানতে থাকলাম,কিন্তু নাহ উঠছে না।আকাশ আর তৌহিদ কে বললাম ওরাও আমার সাথে হাত লাগালো।অবশেষে বের করতে পারলাম।হে ছুরি!!খুশিতে মন আনচান করে উঠলো।প্রাচিন জমিদার বাড়ি তার মধ্যে ছুরি ওহ যেন গুপ্ত ধন পেয়ে গেলাম।আকাশ আর তৌহিদ ও আমার সাথে দেখছে।বাহ কাঠের বাট টা দারুন সুন্দর কারুকাজ করা।তবে অবাক হলাম ছুরির নিচের অংশ মানে ধারের অংশ টা দেখে ক্যামন যেন চক চক করছে এতো পুরনো ছুরি এরকম তো হওয়ার কথা না।তাহলে অন্য কারও নয়তো হয়তো কেও ভুলে ফেলে দিয়েছে।যাই হোক এতো কিছু ভাবার সময় নেই আমি খুশি মনে ওটা হাতে ধরে রাখালাম।
সন্ধ্যা হয়ে এসেছে প্রায়।যাওয়া দরকার।আমরা তিনজন বাড়ির পথে রওয়ানা দিলাম।যাওয়ার পথে একবারের জন্য জমিদার বাড়ির দিকে ফিরে তাকালাম।কিন্তু বুঝলাম না চোখের ভুল নাকি সত্যি দেখলাম,এক সুন্দরি কন্যা আমার দিকে তাকিয়ে যেন হাসছে!!তার পরনে ছিল নাচের পোশাক।যেন আমাকে ডাকছে।কথা গুলো ওদের বললাম না কারন এমনি তেই ওরা এখানে আমায় নিয়ে আসতে চায়নি।বাসায় এসে ছুরিটা সুন্দর করে ড্রয়ে রেখেদিলাম।আকাশ আর তৌহিদ যার যার বাড়িতে চলে গিয়েছে।বেশ ঠাণ্ডা পড়েছে ঘুমোতে যাওয়া দরকার সারাদিন তো আর কম খাটনি হয়নি।বিছানায় গা দিতেই যেন পুরো পৃথিবীর ঘুম আমার চোখে এসে ভোর করলো।।কিন্তু......এক ভয়ানাক দুঃস্বপ্নে ঘুমটা মাঝ রাতে ভেঙ্গে গেলো।দেখালাম সেই পুরনো জমিদার বাড়ি তে আমি ঘুরছি কোন এক রুমে নাচ গানের আওয়াজ হচ্ছে।এক সুন্দরি নর্তকী তার নুপুরের ছন্দে পুরো মহল জাগিয়ে রেখেছে।কিন্তু পরক্ষনেই সব কেমন যেন এলো মেলো হয়ে গেলো জমিদার ঝাঁপীয়ে পড়লো সেই সুন্দরি নর্তকীর উপর নিজের সম্ভ্রম বাচাতে মরিয়া নর্তকী প্রান পন চেষ্টা চালাচ্ছে।হা আমি দেখতে পাচ্ছি সব সব দেখতে পাচ্ছি কিন্তু আমি কিছু করতে পারছিনা সেই নর্তকীর জন্য আমি শুধুই দেখতে পাচ্ছি।হঠাৎ এক তীক্ষ্ণ চিৎকার বেরিয়ে এলো নর্তকীর মুখ দিয়ে।সে নিজের ইজ্জত বাচাতে গিয়ে নিজের পেটে নিজের ছুরি চালিয়েছে।কিন্তু কিন্তু এই ছুরি যে......ঘুম টা ঠিক তখনি ভেঙ্গে গেলো।এই প্রচণ্ড শীতের মধ্যেও আমি দর দর করে ঘামছি।তারা তারি এক গ্লাস পানি খেয়ে ড্রয়ার টা খুললাম।নাহ সব ই তো ঠিক আছে।ছুরি টা ও সাধারন ছুরিই তবে জমিদার বাড়িতে পেয়েছি বলে আমার কাছে এটা অতি মূল্যবান।ঘুমনোর জন্য বিছানায় গা দিলাম কিন্তু ঘুম আর এলোনা।সকাল সকাল আকাশ আর তৌহিদের আগমন দেখে আমি একটু অবাক ই হয়ে গেলাম।
কি ব্যাপার তোমরা এতো সকালে?
অন্তু তোর সাথে একটু কথা ছিল,বোললো আকাশ।
হুম বল।
অন্তু ছুরিটা যে জায়গা থেকে পেয়েছিস সেই জায়গায় রেখে আয়।
ক্যানও?খুব অবাক হয়ে প্রশ্ন করলাম।
তুই হয়তো জানিস না তাই তোর কাছে অবাক লাগছে।
আমি বুঝতে পারলাম কোন একটা ঘাপলা আছে।আচ্ছা সব খুলে বল।
অন্তু ওই জমিদার বাড়িতে প্রায় ১০ বছর হোল কেও ঢুকেনা।
তো?আমি জিজ্ঞেস করলাম।
অন্তু দেখ ওই জমিদার বাড়িতে এর পূর্বেও অনেকেই গিয়েছিলো এবং তাদের অনেকেই অনেক কিছু পেয়েও ছে কিন্তু তারা কেও...
কিন্তু কি?
কিন্তু তারা কেও বাচতে পারেনি।
বাচতে পারেনি মানে?
মানে তারা কোন না কোন এক ভাবে মারা গিয়েছেন।।
আরে মানুষ হয়ে জন্ম নিবো মারা যাবো এটাই তো স্বাভাবিক?
হা আমি সেটা জানি কিন্তু ওই জমিদার বাড়ি থেকে জারাই কিছু না কিছু খুজে পেয়েছে তারাই তার কয়েকদিন পর মারা গিয়েছে।
ধুর রাখ তো এগুলো সব তোর মনের ভয়।
না অন্তু আমার মনের ভয় না।
তৌহিদের পাশের বাসাতেই থাকতো সাজু ও একদিন তলোয়ার খুজে পায় ওই জমিদার বাড়ি থেকে ঠিক তার দুইদিন পড়ে ওর ঘরে ওকে মৃত পাওয়া যায়।আর সেই মৃত্যু ছিল ভয়ঙ্কর।ওর মাথা বরাবর সেই তলওয়ার পেটের ভিতর ঢুকিয়ে দেয়া হয়।কিত্নু সেই হত্যাকাণ্ডের কোন কুল কিনিরা কেও পায়নি।আর সেটা চুরি জনিত হত্যা কাণ্ড ও ছিলনা কারন ওর রুম থেকে কিছু খোয়া ও জায়নি।
অন্তু ভাই আমি একটা কথা কইতাম বললো তৌহিদ।।
হুম বলো।
ভাই আমি স্বপ্নে দেখি যে আপনে ওই ছুরিটা নিয়া আমারে মারতে আইছেন আর আমি বাচার লাইগা দৌড়াইতাছি।।
হাহহাহাহাহহা এবার আর আমি না হেসে পারলাম না তাই নাকি?
ভাই চলেন যেইখানের জিনিষ সেইখানে ফেরত দিয়া আসি।
আরে বোকা এগুলো মনের ভয় এর বেশি কিছুনা চল চল নাস্তা করে বেড় হই এখনো অনেক জায়গা দেখার বাকি আছে।আজ আর ঘুরে তেমন একটা মজা পেলাম না মনের ভিতর টা ক্যামন যেন খচ খচ করছে।মনে হচ্ছে আমার সাথেই ঠিক আমার পাসেই আমার সাথে কে যেন খুব আলতো করে হাঁটছে।ঘোরা শেষে বাসায় ফিরে এলাম।ছুরিটা দেখালাম একদম সাধারন নাহ এর ভিতর আর জাদুকরী কি থাকবে?সব ভোগাস কথা।তবুও ক্যামন যেন এক অজানা ভয় কাজ করছে আয়াতুল কুরসি পড়ে বুকে ফু দিলাম।নিজের ই খুব অবাক লাগলো আমার।যে আমি নামাজের ধারে কাছে নেই সেই আমি আজ সুরা ফুকে ঘুমোতে গেলাম?যেখানে আমার ঘুম হয় গান শুনতে শুনতে...যাই হোক ঘুম প্রায় লেগে এসেছিল এমন সময় ঠুং করে আওয়াজ,বিছানা থেকে উঠে গেলাম এতো রাতে কিসের আওয়াজ।তাও শব্দটা আমার রুম থেকেই।হয়তো কোন বেড়াল।ঘুমতেই যা দেখালাম ঘুম ভাঙ্গার পর ও যেন নিজেকে বিশ্বাস করাতে পারছিলাম না।হে আমি জানি আমি স্বপ্ন দেখেছি কিন্তু তাই বলে এই স্বপ্ন!!!দেখলাম আমি সেই জমিদার বাড়ির ছুরি হাতে তৌহিদের উপর ঝাঁপীয়ে পরেছি।।হে আমি আমাকেই দেখেছি সেখানে দেখেছি তৌহিদ অন্তু ভাই অন্তু ভাই বলে চিৎকার করছে বলছে ভাই আমারে ছাইরা দেন কিন্তু না আমি যেন রক্ত পিপাসু হয়ে উঠেছি ওর কণ্ঠ নালিতে আমি ছুরি ধরে মনের আনন্দে জবাই করছি।পুরো রক্তে ভেসে গেছে ঘর।অর্ধ মৃত মুরগির মতো ছটপট করছে তৌহিদ।আবারও ভেঙ্গে গেলো ঘুম নাহ আমি আর পারছিনা দুইটা দিন ভালো করে ঘুম হয়নি।ক্যান যেন ছুরিটা আবারো দেখতে ইচ্ছে করলো।ড্রয়ার খুলতেই আমার চোখ আটকে গেলো।ছুরির শেষ অংশে লেগে আছে রক্তের দাগ!!খুব সামান্য একটু রক্ত।কিন্তু এখানে কিভাবে!!!!সিগেরেট টানতে টানতে অস্থির পায়চারা করছি ঘুম তো চোখের ধারে কাছেই নেই।মোবাইল টা হাতে নিলাম আকাশ কে ফোন দিলাম।ঘুম জড়িত কণ্ঠে আকাশ জবাব দিলো।আমি বললাম আকাশ একটু আসতে পারবি সকাল তো হয়ে গেলো।ও একটু অবাক ই হয়েছে আমি জানি,কারন আমি এতো সকালে ঘুম থেকে উঠার মানুষ না।নাহ আকাশ আসতে এতো দেরি করছে ক্যানও?দুই ঘণ্টা হয়ে গেলো ওর আসতে সরবচ্চ ১৫ মিনিট লাগার কথা।এমন সময় আকাশের ফোন
অন্তু,
হে বল
একটু আসতে পারবি তৌহিদ দের বাসায়?
আমি অবাক হয়ে বললাম ক্যানও?
আগে আয় বলছি।
সকাল হয়েছে সূর্য ও উঠেছে আমি চাদর টা গায়ে দিয়ে তৌহিদের বাসায় রওয়ানা দিলাম।তৌহিদের বাসায় আর যাওয়া হয়নি তবে চলতি পথে তৌহিদের বাসা টা দেখা হয়েছিলো।ওকে বলেছিলাম ওর বাসা থেকে একবার ঘুরে আসবো এমনকি দুপুরের খাবার ও খাবো।ছেলেটা আমার আপন কেও না।গ্রামের ই একটু গরীব তবে খুব ভালো একটা ছেলে।ভাবলাম হয়তো শীতের পিঠা আর রসের বেবস্থা করেছে বুঝি তাই আমাকে ডাকছে।প্রায় এসে পরেছি তৌহিদ দের বাসার সামনে কিন্তু এতো জটলা ক্যানও!!আমাকে দেখেই আকাশ দৌরে এলো।
বলেছিলাম না তুই ছুরিটা ফেরত দিয়ে দে বলেছিলাম না?
মানে!!ক্যানও কি হয়েছে???
কি হয়েছে দেখতে চাস?আয় আমার সাথে।আমাকে নিয়ে গেলো সেই ভিরের মাঝে কিন্তু না একি!!এ যে তৌহিদ।গলা টা কাটা বীভৎস ভাবে,দেখলেই বুঝা যায় খুব নিষ্ঠুরতার পরিচয় দিয়েছে যে এই কাজ টা করেছে।তৌহিদের মার বিলাপ দেখে নিজেকে অপরাধি মনে হচ্ছে।মন চাইছে নিজেকে নিজে খুন করি আমি এ কি করলাম।।
কিরে কি ভাবছিস?জিজ্ঞেস করলো আকাশ।
ভাবছি আজকেই ছুরি টা যেখান থেকে পেয়েছি সেখানেই ফিরিয়ে দিয়া আসবো।
হুম আজকের ভিতর ই কাজ টা করতে হবে কারন আমি জানি এর পর কার পালা।আকাশ!!না আমার ভুলের খেসারত আমি কাওকে পেতে দিবনা আজ কেই কাজ টা শেষ করতে হবে।।কিন্তু তার আগে তৌহিদের দাফনের কাজ টা শেষ করতে হবে।গোসল জানাজার নামাজ দাফন শেষ করতে করতে বিকেল হয়ে গেলো।
আকাশ চল আমি বললাম।
আকাশের মুখ থম থমে হয়ে আছে হুম চল।
দুটো টর্চ আর সেই অভিশপ্ত ছুরি নিয়ে চললাম সেই জমিদার বাড়ি।
কিন্তু এই অন্ধকারে কোথায় যে পেয়েছিলাম সেটাই তো ভুলে গেছি।তোর কি কিছু মনে পড়েছে রে আকাশ?
আকাশ না সূচক জবাব দিলো।
আচ্ছা আমরা তো রুম থেকে তারপর বরাবর হেটে ছিলাম,তাহলে চল আগে ওই রুম গুলোতে যাই আকাশ বোললো।
হুম বুদ্ধি খারাপ না।
জমিদারবাড়ির সেই পুরনো রুম গুলোর দিকে চললাম কয়েকটা রুম পেরিয়ে যেতে না যেতেই
হঠাৎ চোখে পড়ে গেলো সেই জায়গাটা।আমি না আকাশ ই খুজে পেলো।কিন্তু গর্ত টা খুজে পাচ্ছিনা।ছুরিটা কোমর থেকে বেড় করবো এমন সময় গর্ত টা গর্তটা চোখে পড়লো।খুব দ্রুত কাজ সারতে হবে।গর্তে ছুরিটা রেখে মাটি দিয়ে চাপা দিয়েই চলে যাব।যত দ্রুত সম্ভব কাজ টা শেষ করতে হবে।বুকটা ধরফর করছে মনে হচ্ছে অনন্তকাল সময় ধরে এখানে আছি অথচ মিনিট ১৫ এর বেশি হয়নি।ছুরিটা গর্তে গাথতে যাবো তখন ই কে যেন আমার হাত চেপে ধরলো।না আমিতো আমার হাতে কারও হাত দেখছিনা তাহলে কে ধরল ভয় আমি ছিটকে গেলাম,ছুরিটাও আমার হাতের সাথে উঠে এলো।আকাশ ও মনে হয় ব্যাপার টা বুঝতে পেরেছে ঠিক তখন ই পুরো জমিদার বাড়ি যেন এক অট্ট হাসিতে ভেঙ্গে পরার উপক্রম হোল।হাসিটা সুন্দর কিন্তু সেই হাসির মাঝে যেন চরম কোন নিষ্ঠুরতা লুকিয়ে আছে ।আকাশ আমার হাত ধরে বোললো চল পালাই।আমি ও আর সাত পাচ চিন্তা না করে দৌড় দিলাম আমি এতটাই হতভম্ব হয়ে গিয়েছি ছুরি টা যে আমার সাথে সেটা একবারের জন্য ও খেয়ালে আসেনি।এখন মাথায় একটাই চিন্তা বাসায় ফিরতে হবে।দৌড়াতে লাগলাম ঊর্ধ্বশ্বাসে।আমার পিছন থেকে ভেসে আসছে এক ভয়ঙ্কিকর হাসি।।কিসে যেন বাড়ি খেয়ে পড়ে গেলাম হাতের লাইট টা ছিটকে পড়লো ভেঙ্গে চুরমার হয়ে গেলো।দেখলাম আকাশ দৌড়চ্ছে কিন্তু আমি যে পড়ে গিয়েছি সেটা ও খেয়াল করেনি।কোন মতে উঠে আবারও দৌড় দিলাম।কিন্তু আকাশের কোন দেখা নেই!ভয়ে চিৎকার করে ডাকবো তাও পারছিনা।এই মুহূর্তে নিজেকে খুব অসহায় মনে হচ্ছে।আমি তো এখনো বেচে আছি কিত্নু আকাশ।ওর কিছু হোল না তো??অন্ধকারেই দৌড় দিবো যা আছে কপালে ভেবেই শুরু করতে যাবো এমন সময় এক চিলতে আলোর দেখা পেলাম সেই আলো সরাসরি আমার চোখে এসে পড়লো।চোখ খুলে রাখতে খুব কষ্ট হচ্ছে।আমরা নাম ধরে ডাক দিলো,অন্তু আমি আকাশ।যাক জানে পানি এলো আমার।কিন্তু ওই যে আমার হাতের ডান দিক থেকে আরক টা আলো নিয়ে আরও কেও একজন দৌরে আসছে তাহলে সে কে!!আমার সামনে যে দাড়িয়ে আছে সে কে!! অন্তু বলে কে যেন ডেকে উঠলো আবারও।চিনতে সমস্যা হোল না এই ডাক তো আকাশের কিত্নু আমার সামনে যে দাড়িয়ে আছে সে কোন আকাশ!!বুঝতে পারছিনা আমি কোন আকাশ কে বিশ্বাস করবো।অন্তু আমি আসল আকাশ বললো আমার সামনে দাড়িয়ে থাকা আকাশ।না অন্তু ওর কথা বিশ্বাস করিস নে আমি তোর আসল আকাশ বললো আমার হাতের ডান দিকে দাড়িয়ে থাকা আকাশ।হে খোদা এ কোন বিপদে আমি পরলাম আমি এখন কি করবো।এতো কিছু ভাবার সময় নেই আমি বাম দিকে ভো দৌড় দিলাম।ঠিক আমার পিছনেই বলে উঠলো অন্তু আমাকে ছেড়ে জাস্নে আমাকে নিয়ে যা ঠিক সেই মুহূর্তেই ভেসে এলো এক আর্ত চিৎকার!!বুঝতে পারলাম আমি দ্বিতীয় বারের মতো ভুল করতে চলেছি।আবারও ফিরে গেলাম সেই জায়গায় যে জায়গায় আমি দুই আকাশ কে দেখতে পেয়েছি।না এ হতে পারেনা এক আকাশ আরেক আকাশের দেহটাকে ছিন্নভিন্ন করে দিয়েছে!!!আকাশের মাথাটা পরে আছে নিচে।দেখে বুঝতে পারলাম টেনে ছিরে ওর দেহ থেকে মাথা আলাদা করে ফেলা হয়েছে।ভিতর থেকে নারিভুরি বেড় করে ফেলেছে হে আমি টর্চের আলয় সব স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি!!!!খিল খিল করে হেসে উঠলো আকাশের রুপ ধারন কারি শয়তান।।এবার আর সাত পাচ চিন্তা না করে ঘুরেই দৌড়।পিছনে শুনতে পাচ্ছি কে যেন আমার পিছ পিছ দৌরে আসছে।ঊর্ধ্বশ্বাসে দৌড়রাচ্ছি আমি,বার বার চোখের সামনে ভেসে উঠছে মার ছবিটা,মা তুমি হয়তো জাননা তোমার ছেলে আজ মৃত্যুর কাছাকাছি।আর সামান্য একটু পথ তাহলেই জমিদারবাড়ি থেকে বের হতে পারবো।অবশেষে পেরেছি অভিশপ্ত ওই বাড়ি থেকে বের হতে।না পিছনে কেও দৌড়ে আসছেনা।কিন্তু!!!নুপুরের ঝুনুর ঝুনুর শব্দ শুনতে পাচ্ছি খুব ধিরে আস্তে আস্তে আমার পিছন থেকেই আসছে।।
তাহলে তার মানে...আবারও দৌড় শুরু করলাম।অন্ধকারের ঠিক মতো পথ ও দেখছিনা।চাদের ওই সামান্য আলই এখন ভরসা।শরীরে শক্তি সব শেষ হয়ে আসছে আমি আর পারছিনা।তখন ই মনে হোল আমি তো সেই অভিশপ্ত ছুরি টা সাথে করেই নিয়ে জাচ্ছি।শরীরের সবটুকু শক্তি নিংরে দিয়ে ছুরিটা ছুড়ে দিলাম।টুপ করে পড়ার আওয়াজ পেলাম।বুঝতে পারলাম নিশ্চয়ই পানিতে পরেছে।যাক আর কেও তাহলে অভিশপ্ত এই ছুরির শিকার হবেনা।ঠিক তখন ই কিসে যেন পা লেগে হুড়মুড় করে মাটিতে পরে গেলাম।চোখে সব ঝাপ্সা দেখছি উঠে দৌড় দেয়ার মত সামান্য শক্তিও আমার শরীরে অবশিষ্ট নেই।বুঝতে পারছি মৃত্যু খুব নিকটে।তাই আর বৃথা চেষ্টা করলাম না।আরাম করে অক্সিজেন নিলাম এটাই হয়তো আমার শেষ নিঃশ্বাস।আমি ঝাপ্সা চোখে দেখতে পাচ্ছি সে এগিয়ে আসছে আমার দিকে খুব ধিরে ধিরে।নুপুরের ঝুনুর ঝুনুর শব্দ।হে আমি দেখতে পাচ্ছি তার পায়ে নুপুর নাচের পোশাক কিন্তু...চেহারা টা এমন ভয়ঙ্কর।পচে যাওয়া মাংসের দলা দিয়ে যেন মুখটা লেপটে দেয়া হয়েছে আর সেই মাংস খুলে খুলে পড়ছে।সে আস্তে আস্তে আমার দিকে এগিয়ে আসছে।খুব ধিরে সুস্থে সে আমার বুকে চেপে বসেছে হাত নেমে আসছে আমার গলার দিকে......
সকালে অন্তুর ছিন্নভিন্ন মৃতদেহ খুজে পায় গ্রামবাসী।খবর দেয়া হয় ওর নানীকে।ওপর দিকে আকাশের কোন খোজ পাইনি কেও এমন কি সারা জমিদারবাড়ি খুজেও কেও পাইনি।
সকাল ৯,৩০ অভিজিত তার নৌকা পানিতে ভাসিয়েছেন মাছ ধরবেন বলে।ইদানিং তেমন মাছ পাওয়া জায়না নদিতে আর যা পাওয়া যায় তা দিয়ে সংসার চলেনা।নদিতে জাল ফেলা হয়েছে আরও আগেই জাল টানতে লাগেলেন অভিজিত মাঝি।নাহ আইজকা ও আমার কপাল খারাপ ধুর এই পুডি মাছ দিয়া কি পেট চলে।কিন্তু তার চোখ আটকে গেলো কি যেন একটা দেখে।আরে এ দেহি ছুরি বাহ সুন্দর তো বলে উঠলো অভিজিৎ মিয়ার ছোট ছেলে মনা।আসলেই তো মনা খুব সুন্দর তো।আব্বা ছুরিটা আমার কাছে দেও আমি নিমু।নে নে তুই নে...সেদিন রাতেই এক দুঃস্বপ্ন দেখে মনা,স্বপ্নে দেখল এক জমিদারবাড়ি ও এক নৃত্যরত নর্তকী এবং সম্ভ্রম বাচাতে তার আত্মহত্যা।ঘুম ভেঙ্গে গেলো তার প্রচণ্ড ঠাণ্ডার ভিতরও দর দর করে ঘামছে মনা!!!!
....সমাপ্ত....
১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:০৩
ছন্নছাড়া সিফাত বলেছেন: এক মুঠ ধইন্নাপাতা কষ্ট করে পড়ার করার জন্য
২| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:০২
অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: ২ লাম্বার পিলাচ দিলাম ভ্রাতা
ভালা হইসে গল্প ++++++++++
১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:০৪
ছন্নছাড়া সিফাত বলেছেন: অনেক অনেক খুশি হইলাম ভাই
ধন্যবাদ।
৩| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:১৪
আসফি আজাদ বলেছেন: আমি এখন কেম্নে ঘুমাইতে যামু?
গল্প ভালো হয়েছে +++
১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৩২
ছন্নছাড়া সিফাত বলেছেন: এই জন্যই বলি ভাই বিয়ে করে ফেলেন
আর অসংখ্য ধন্যবাদ গল্প টি পড়ার জন্য
৪| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:১০
অপু তানভীর বলেছেন: প্রিন্ট দিলাম !
দেখি পড়ে কেমন লাগে !!!
ইদানিং স্ক্রীনে পড়তে বড় কষ্ট হয় !!
ভাল থাকবেন !!
১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৪৭
ছন্নছাড়া সিফাত বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।
অন্তত পড়বেন এটা জেনেই খুব খুশি হয়েছি।
আপনিও ভালো থাকবেন
৫| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:১৫
মুসাব্বির৬৬৬ বলেছেন: ভয় লাগছে ! ভয় দেন ক্যান ?
১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৪৯
ছন্নছাড়া সিফাত বলেছেন: ভয় দিতে ভালো লাগে তাই
আপনাকেও ধন্যবাদ গল্পটি পড়ার জন্য
৬| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:৫৪
অনীনদিতা বলেছেন: গল্প ভালো হয়েছে +++
১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:২৩
ছন্নছাড়া সিফাত বলেছেন: ধন্যবাদ খুশি হলাম
ভালো থাকবেন।
©somewhere in net ltd.
১|
১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:৫৪
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: সিরিজ কিলিং!!!!!!!!!!!!!!!!!!!
...

ধারাবাহিক...........
ভয়ানক লেখকতো আফনে
প্রথমটা হালকা লাগছিল কিন্তু পরে ঝুম....