তখন আপনারা চুপ থাকেন কি করে?

১২ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:২৬

ফেবুতে দেখছি গতকালের ঘটনায় ৩০/৪০ জনের মৃত্যুর খবর আবার কয়েকটা অনলাইন নিউজ পেপারে দেখছি ৩ জনের খবর।যাই হোক হতে পারে সে তিনজন বা তিরিশ জন।এটা ভুলে গেলে চলবেনা যে কয়েকজন মানুষ মারা গিয়েছেন।



জি আমি গতকালের সংঘর্ষর ঘটনার কথাই বলছি।আমি নিহতদের জামাত শিবির,বিম্পি,লীগ পরিচয়ে দেখতে চাইনা।আমি দেখতে চাই তাদের একজন মানুষ হিসেবে।তার প্রথম পরিচয় সে মানুষ তারপর অন্যকিছু।



সব কিছুতেই আজ ধর্মের দোষ খোজা হচ্ছে।ইমাম মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিলেন তারপর লোকজন দা বটি হাতে ছুটতে থাকলো।অনেককেই দেখলাম আবেগে অতি আপ্লুত হয়ে এই স্ট্যাটাস ও দিয়েছেন যে ইসলাম ধর্ম যে শান্তির ধর্ম তা এখন আর আপনি মানতে পারছেন না।



জি আমি আপনাকে প্রশ্ন করছি,দয়া করে বলবেন কি কোন ধর্মে হানাহানি খুনাখুনির শিক্ষা দেয়া হয়েছে?কোন ধর্মেই তা দেয়া হয়নি।সব কিছুর ই নিয়ম আছে।আপনি যে সমাজে বাস করছেন সে সমাজেও আপনাকে কিছু নিয়ম পালন করে চলতে হয়।আপনি যে ধর্ম পালন করছেন সে ধর্মেও বলা আছে আপনি একজন মানুষ হিসেবে কিভাবে জীবনযাপন করবেন।



এখন এই আপনি যদি সেই সব নিয়ম না মানেন বা পালন না করেন তাহলে সেটা ধর্মের নয় আপনার দোষ।আবেগ দিয়ে কিছু প্রমান করা যায়না বরং প্রমান দিয়ে প্রমান করতে হয়।



আজ লীগের কর্মী মারা গেলো আপনি বললেন হেনতেন হেনতেন,এগুলা তো আপনাদের চোখে লাগেনা ব্লা ব্লা ব্লা...

আজ শিবিরের কর্মী মারা গেলে বলবেন মানুষ মরে নাই কুত্তা মরছে।

আমি যদি আজ লীগ কর্মীর হত্যা নিয়ে স্ট্যাটাস দেই তাহলে আপনার পাশের লোকটি আমাকে বলবে বালের সাপোরটার।



আজ জামাতের কর্মী মারা গেলে আপনার পাশের লোকটি বলছে লীগ খারাপ মানুষ না ওরা পশু হেনতেন হেনতেন ব্লা ব্লা ব্লা...

অথচ লীগের কর্মী মরলে আপনি বলেন,খুব ভাল হইছে ঈমানি দায়িত্ব পালন করছে শিবির।

আমি যদি আজ ওই শিবির কর্মীর হত্যা নিয়ে পোস্ট দেই তাহলে তারা বলবে আমি ছাগু।



এই আপ্নারাই প্রতিটা মৃত্যুকে রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ হতে বিচার করেন বলেই সবসময়ই এক পেশে হয়ে থাকেন।অথচ এই আপনিই মানবতা মানবতা বলে ফেবু কাপিয়ে ফেলেন।

মানবতা শুধু আপনার দলীয় লোকজনের জনের জন্যই আপনার অন্তরে বরাদ্দ থাকে।



কোন নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের চামচামি নয়,বরং আমাদের যদি চামচামি করতেই হয় আসুন আমরা আমজনতার জন্য চামচামি করি।যারা বুঝেনা কোন রাজনৈতিক ক্যাচাল।যারা দু মুঠো দু বেলা পেট পুরে খেতে পারলেই নিজেদের ধন্য মনে করে।



মাত্র চারমাস আগে ব্লগে লিখেছিলাম



আবারও রক্তাক্ত হবে রাজপথ,

আবারও খালি হবে মায়ের বুক

আবারও ডুকরে কেদে উঠবে কোন পিতার মন।

আবারও কিছু তাজা প্রান ঝরে যাবে।

আবারও কিছু মানুষ পঙ্গুত্ব বরন করবে।

আমি চাই এই রক্ত গুলো জমা থাকুক আমার দেশের সীমান্ত রক্ষায়।

আমি চাই এই তাজা প্রান গুলো মজুদ থাকুক ভবিষ্যৎ শত্রু মোকাবেলায়।

আমি এমন দিন চাই যেই দিন রাজনৈতিক এক পক্ষ অন্য পক্ষকে সাধুবাদ জানাবে বিজয়

উপলক্ষে।



কিন্তু সময়টা যে এতো তাড়াতাড়ি দরজায় এসে কড়া নাড়বে তা বুঝতে পারিনি।



তবে আমি এখনো অপেক্ষায় আছি এই সময়টার জন্য

যেই দিন রাজনৈতিক এক পক্ষ অন্য পক্ষকে সাধুবাদ জানাবে বিজয়

উপলক্ষে।

২ টি +২/-০