নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পোষাক তৈরীর কারখানায় মাসিক বেতনে কামলা দেয় মাস শেষে মাইনের আশায়, যে মাইনে দিয়ে চলবে নিজের পরিবার ও সমাজের জন্য কিছু একটা করার প্রচেষ্টা মাত্র। নিতান্তই সাদামাঠা গ্রাম থেকে আসা স্বল্প শিক্ষিত মানুষ।

চোরাবালি-

চোরাবালি- › বিস্তারিত পোস্টঃ

এক জন ধর্ষক পরিমল ও আমাদের বিচার ব্যবস্থায় রাজনীতি করণ

১২ ই জুন, ২০১৩ সকাল ৮:৫৪

প্রথমেই শতর্ক করে রাখি শিরোনাম বুদ্ধিজীব টাইপের হলেও ব্লগ কিন্তু মোটেও বুদ্ধিজীবি টাইপের না।



আমাদের বিচার ব্যবস্থা নিয়ে সবারই মোটামুটি ধারণা আছে; বিশেষ করে তাদের অনেক বেশী ধারণ যারা দু'চারবার কোর্টের বারান্দায় ঘোরা ফেরা করেছেন। পুলিশ বাদী মামলা হলে, প্রজন্ম পার হয়ে গেলেও মামলা নিষ্পত্তি হয় না। সাধারণ বাদী বিবাদীর বেলাম মোটের উপর বছর ১০ কপাল ভাল হলে জুটে যায় আরো বেশী। দায়রা মামলা বা জমি জমা সংক্রান্ত মামলা যুগ যুগান্তর পার হলেও কোন সমাধান আসে না।এগুলা হয়তো তেমন জটিল ইস্যু না এবং স্বাক্ষ্য প্রমাণ জোগারে দেরী হয় কিন্তু কিছু মামলা আছে যেগুলির বিচারির স্বাক্ষ্য প্রমাণাদি হাজির থাকে এবং বিচারক ইচ্ছে করলেই নিষ্পত্তি করতে পারে সেগুলিও ঝুলতে থাকে বছরের পর বছর। লক্ষ্যনীয় এদেশের ধর্ষণ মামলা এসিড নিক্ষেপ মামলা। আনাচে কানাচে ধর্ষণ মামলার ক্ষেত্রে দেখা যায় সেই মেয়ে যদি ১৪তে ধর্ষিত হয় রায় পেতে পেতে ২৮গিয়ে ততদিনে মেয়ের বাবা/মা অনত্র বিয়ের ব্যবস্থা করেন বা ভবিষ্যতের কথা ভেবে সে আর মামলা পরিচালনা করতে চান না। কারণ মেয়ের অবিবাহিত বা বিবাহ আগ্রহণ মেয়ের প্রাচুর্য্যে কেওই এই সকল ধর্ষিতাদের ভাল চোখে দেখেন না। আর মামলা চালানোর খরচ হল উকিলের কাছে গেলেই নূন্যতম ১হাজার। যাতায়াত সহ অন্যান্য খরচাদির কথা না হয় না বা বললাম।



যা হউক এই সরকার আসার পর কয়েকটি মামলার দ্রুত রায় দেখে বেশ ভাল লেগেছিল এই ভেবে যে, অন্যান্য মামলার রায়ও এ রকম দ্রুতই আসবে বিশেষ করে অতিব গুরুত্বপূর্ণ মামলার রায়গুলি। উল্লেখ করা যেতে পারে খালেদা জিয়ার বাড়ীর মামলা। ১৯৮১সালে বরাদ্দ কৃত বাড়ীর মামলাটি বেশ দ্রুতার সাথে যখন নিষ্পত্তি হল তখন মনটা আনন্দে ভরে উঠেছিল বিচারিক কার্যের দ্রুততা দেখে। আশা করেছিলাম সকল মামলা হয়তো দ্রুতার সাথে নিষ্পত্তি হয়ে যাবে। নিষ্পত্তি হয়েছেও বটে অনেক মামলা; যার মধ্যে দেড় ডজন মৃত্যু দ্বন্ড প্রাপ্ত আসামীর সাজা মওকুফ সহ দেশের আনাকে কানাচে লুকিয়ে থাকা রাজনৈতিক মামলাগুলি দ্রুত নিষ্পত্তি হল প্রত্যাহারের মাধ্যমে। রাষ্ট্রীয় কার্য পরিচালনায় সরকার কি করবে সেটি সকারের ব্যপার এ নিয়ে আমাদের তেমন মাথা ব্যথা নাই।



এসকল দ্রুততা দেখে মনে আশা জেগেছিল ভিকারুন নেছার পত প্রভাবশালী একটি স্কুলের ছাত্রী ধর্ষণ মামলাটিও হয়তো শেষ হবে এসকল মামলার মত অতদ্রিুত। যোগ্য শাস্তি দেখে অনেকে হয়তো সুধরে যেতে পারেন ভবিষ্যতে। কারণ এখানে ধর্ষণের প্রমানের অভাব নেই। ২০১১ সালের জুলায় মাসে দায়ের করা মামটি এখন পর্যন্ত নিষ্পত্তি না হলেও নিষ্পত্তি হতে চলেছে বছর দুয়েকের। কবে নাগাদ শেষ হবে এই মামলাটি সে বিষয়ে কোন খোজ খবরও নেই পিত্রকাতে। হয়তো একদিন বেকসুর খালাস বা প্রিন্সিপাল ম্যাডামের মিউচুয়াল সেক্স থিওরীতে খালাস পেয়ে যেতে পারে একদিন।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই জুন, ২০১৩ সকাল ৯:০৪

আহলান বলেছেন: এদেরকে সরাসরি শ্যুট করে দিতে পারলে লীগের ভোট ানেক বেড়ে যেতো

২| ১২ ই জুন, ২০১৩ সকাল ৯:২৬

অন্ধকারের আলোকিত বাসিন্দা বলেছেন: প্রথমেই শতর্ক করে রাখি শিরোনাম বুদ্ধিজীব টাইপের হলেও ব্লগ কিন্তু মোটেও বুদ্ধিজীবি টাইপের না।

৩| ২৪ শে জুন, ২০১৩ সকাল ১০:৩৪

সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: এমন শাসক চাই, কারো পক্ষে নয়, সে থাকবে দেশের পক্ষে, বিচারের পক্ষে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.