নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পোষাক তৈরীর কারখানায় মাসিক বেতনে কামলা দেয় মাস শেষে মাইনের আশায়, যে মাইনে দিয়ে চলবে নিজের পরিবার ও সমাজের জন্য কিছু একটা করার প্রচেষ্টা মাত্র। নিতান্তই সাদামাঠা গ্রাম থেকে আসা স্বল্প শিক্ষিত মানুষ।

চোরাবালি-

চোরাবালি- › বিস্তারিত পোস্টঃ

আহারে মুক্তিযোদ্ধা!!!

১৩ ই জুলাই, ২০১৩ সকাল ৮:১১

স্বাধীনতা পরাধীনতা ভাষা দিবস আর বেদিবস কখনই আমার মনে কোন দাগ কাটতে পারে না। হঠাৎ কোন কিছুর প্রতি আবেগী না হয়ে দেখে শুনে ভেবেই কোন কিছুর প্রতি আকৃষ্ট হই বলেই হয়তোবা। শত চেষ্টা করেও মুক্তিযোদ্ধাদের (বর্তমান) প্রতি সম্মান দেখাতে গেলে কেন যেন নিচের বিষয়গুলি সামনে চলে আসে।



গতবার একবার একটি নিউজে দেখলাম দুস্থ্য মুক্তিযোদ্ধার ভাতা নিয়ে কামড়া কামড়ির খবর। যা হউক ঘটনাক্রমে সেই দুস্থ্য মুক্তিযোদ্ধা বেশ পরিচিত পড়ে গেল। বর্তমানে যিনি সরকারী চাকুরীরত এবং সুস্থ্য সবল এবং মধ্যবৃত্তের মধ্যে থেকেই দিনাতিপাত করেন। তো উনি যখন দুস্থ্য মুক্তিযোদ্ধার ভাতা গ্রহণ করছেন সেখানে উনার ৭১এর মানুষিকতা সম্বন্ধ্যে অনুমান করতে আর বাঁকি থাকে না। শেষ বয়সে মানুষ ভাল হয় অর্থাৎ খারাপ কাজ ছেড়ে জাতে উঠার চেষ্টা করে তার বিপরীতে সম্মানীয় মুক্তিযোদ্ধা সাহেব দুস্থ্য ভাতা গ্রহণ করছেন সম্পূর্ণ অন্যায় ভাবে।



ছোটবেলা থেকেই যাকে জুয়ারী, লুটেরা হিসিবে জেনে আসছি গ্রামের মানুষের মুখে মুখে, ট্রেন ডাকাতি, দোকান ডাকাটি সহ অনেক লুটের সংগে যিনি জড়ি বলেই গ্রামের সবাই জানে তার ছবি যখন মুক্তিযোদ্ধা অফিসে সুন্দর কাঁচের ফ্রেমে টাঙানো থেকে ফুলের মালা পড়িয়ে তখন শ্রদ্ধা ঘাম হয়ে বেড়িয়ে যায় শরীর থেকে। শুধু লোকের মুখেই নয়, বস্তুত ৭১এর আর পর্যন্তও তার কোন বাড়ি ছিল না থাকার মত কিন্তু ৭১পরবর্তীতে বেশ কিছু হিন্দুদের উচ্চ দালান ঘেড়া বাড়ির মালিক বনে গিয়েছেন সেটা সবারই জানা। তাই লোকের বিশ্বাসী না হয়ে দেখে সিদ্ধান্ত নিতে গেলে আর মাথায় কাজ করে না।



একদা কথা বলার সুযোগ হয়েছির এক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের সহিত। তাকে ধন্যাবদ দিয়েছিলাম অনন্ত সত্য কথা বলার জন্য। কথার একপর্যায়ে বলে ছিলাম চাচা সবাইতো বলে আপনি নাকি কোনদিন যুদ্ধ করেন নাই বা মুক্তিযোদ্ধাদের কোনরূপ সাহায্য করেননি তারপরও মুক্তিযোদ্ধার্টিফিকেট কিভাবে পেলেন? সোজা উত্তর দিল ---- ইউনিয়নে আমার সামনে দাঁড়াইয়া কেও বলতে পারবে না সে মুক্তিযুদ্ধ করেছে বা তার সাথে সম্পৃক্ত ছিল কিন্তু মুক্তিযোদ্ধা সংখ্যা আমার ইউনিয়নে সর্বচ্চ। সবাই ------মহম্মদ রাজাকারের খেয়ে পড়ে বেঁচেছিল।



আমার শ্রদ্ধেয় শিক্ষক যিনি ভারতে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন, প্রশিক্ষণ শেষে দেশে ফিরতে ফিরতে দেখেন যুদ্ধ শেষ। তথাপিও তিনি যেহেতু যুদ্ধের উদ্যেশেই এই মহান ত্যাগ স্বীকার করেছেন তাকে শ্রদ্ধা না করে পারা যায় না। কিন্তু শেষ শ্রদ্ধাটুকু নষ্ট হয়ে গেলে এবার ভ্রমনে গিয়ে। একজন দালাল যিনি টাকার বিনিময়ে মাদ্রাসা সহ নানাবিধ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সরকারী অনুদান করিয়ে দিতেন (প্রতি শিক্ষক কমপক্ষে ১লাখ) এবং দালালী যার পেশা তার প্রচার পোষ্টারে যখন প্রচারে সেই শিক্ষকের নাম দেখলাম শ্রদ্ধা আর ধরে রাখতে পারলাম না ঝরে গেল অবশেষে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.