নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বাংলাদেশের দুটি দলের নিজস্ব একটি গতি আছে আর তারা হল আওয়ামী লীগ অন্যটি জামায়াত ইসলাম। অন্যদের বেলায় বলতে গেলে বিএনপি চলে ভোটের জেয়ারে, জাতীয় পার্টি এলাকা ভিত্তিক এবং এরশাদ সাহেবের মৃত্যুর পর তার অবস্থান কোথায় গিয়ে দাঁড়ায় সেটা ভাববার বিষয় বটে। অন্যান্য যারা আছেন নামেই বাঘা।
আর সে কারনেই আওয়ামী লীগ ২০০৮এ ক্ষমতায় এসেই শুরু করে ৪দলীয় (বর্তমানে ১৮দলীয় জট) ভাঙার অভিযান। যুদ্ধাপরাধ নামের নাটকের মাধ্যমে শুরু করে জামায়ত ইসলামীর নেতৃবৃন্দের গ্রেফতার করা। সাথে সাথে চলতে থাকে দলীয় নেতাকর্মীদের উপর নানা রকম জুলুম নির্যাতন। থানা হয়ে পড়ে স্থানীয় লীগ নেত্রীবৃন্দের কমান্ড পরিচালানস্থল।
মঈন/ফকরুদ্দিনের গুড়িয়ে ফেলা বিএনপি অপেক্ষা করতে থাকে জোয়ারের। তাদের দেখা যায়নি কোন আন্দোলন বা প্রতিবাদ করতে। হরতাল আহবান করে নাকে তেল দিয়ে ঘুমিয়েছেন পৌঢ়রা আর উঠতি রিমোর্ট হাতে সময় কাটিয়েছেন ড্রয়িং রুমে। আর রাজাকার খেতাব লাগবে গায়ে ভেবে মাঠে নামেননি ভয়ে। অন্যদিকে জামায়ত সহ তাদের সহযোগী সংগঠন ছাত্র-শিবির সর্বদা মাঠে থেকে অনেকটা দৌড়ের উপর রেখেছে বা দুঃশ্চিন্তায় রেখেছে ক্ষমতাশীন আওয়ামী লীগকে।
বাআল তাদের অস্তীত্বরক্ষর্থে জুলুম নিপিড়ন বাড়িয়েছে ইসলাম ভিত্তিক এই দলকে দমাতে। একের পর এক নেতাদের গ্রেফতার করে জেলে ঢুকিয়ে ইউরোপিয়ান/আমেরিকান স্টাইলে নির্যাতন করে চলেছে নিয়মিত। কিন্তু অত্যন্ত গণতন্ত্র নির্ভর দলটি তাদের আন্দোলন থেকে একটুও সড়ে আসেনি বরং প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ গড়ে চলেছে আগের থেকে কয়েকগুন বেশী গতিতে।
অন্যদিকে তাদের এই প্রতিরোধ থামাতে সরকারকে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ফন্দি ফিকর করে সময় পার করে চলেছে। মেয়াদের শেষ দিকে এসে তরিঘরি করে রাজাকার নাটকের রায়ের মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধা বা তাদের পক্ষের শক্তির সমর্থন পেতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। কিন্তু ফলাফল বরাবরই হিতে বিপরীত হচ্ছে। কেননা যুদ্ধাপরাধি হিসেবে যাদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হচ্ছে তাদের নামে ঠাকুরমার ঝুলি ৭১ছাড়া কোন অপরাধের কোন রেকর্ড নেই। এবং তারা দলমত নির্বিশেষে লাখ লাখ মানুষের কাছে প্রিয় ব্যক্তিত্ব হিসেবেই মনে গেথে আছেন।
অন্যদিকে এসবের পেছনে ছুটতে গিয়ে সরকারের সুবিধাভোগীরা নানারকম দুর্নীতে জড়িয়ে পড়েছেন এবং উল্টা পাল্টা বক্তব্য দিয়ে জনগনের হাস্যরসের খোরাক হচ্ছেন। ১০টাকায় চাল আর বিনা মূল্যে সারের প্রতিশ্রুতি দিয়ে আস বাআল সেদিকে এগুতে তো পারেই নাই বরং মুদ্রাস্ফীতি ঘটিয়ে প্রতিটি দ্রব্য মূল্যের দাম বাড়িয়েছে কয়েকগুন। ফলশ্রুতিতে আস্থা হাড়িয়েছে সাধারণ জনগনের যাদের কাছে যুদ্ধাপরাধি না দু'মুঠো ভাতাই অতিব প্রাধান্য।
সরকার এখন উভয় সংকটে পড়ে মাঝ পথে থমকে আছে আর বিষধর সাপের মত ছোবল মেড়ে চলেছে সামনে যে যাচ্ছে তাকেই। যুদ্ধাপরাধির বিচার থেকে পিছেয়ে আসলে বামরা সহ হাইব্রীব মুক্তিযোদ্ধরা নাখোস হবে এবং প্রচন্ড ইসলাম বিদ্বেষী হিন্দু সম্প্রদায় যাদেরকে বাআল নিজেদের ভোট ব্যাংক হিসেবে মনে করে তারা হয়তো নাখোস হবে তাতে ভরা ডুবি আরো হবে ভেবে সেদিক থেকে সরে আসতে ধ
২| ৩১ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ১০:৫০
ইন্ড্রাস্ট্রিয়াল জয় বলেছেন: িনজ+আম wrote: উভয় দলই মহা সংকটে। আওয়ামী লীগের সংকট প্রকট। আগামী নির্বাচনে দল জিতে ক্ষমতায় আসতে পারে কিনা। এখন দলটির জনপ্রিয়তা পড়তির দিকে, আপাততঃ নির্বাচনগুলি সেই ইঙ্গিত করে। অপর দিকে জামাতের সংকট মহা প্রকট। দলটির অস্তিত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। শীর্ষ নেতারা বন্দী, ফাঁসির মুখোমুখি। মধ্যম সারির নেতারা সহিংস প্রতিক্রিয়া দেখাতে গিয়ে আটক অথবা পলাতক। এই দলটির কূটনৈতিক সমর্থন শুন্যের কোঠায়।
সহমত।
©somewhere in net ltd.
১| ৩১ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ৯:৫৯
নিজাম বলেছেন: উভয় দলই মহা সংকটে। আওয়ামী লীগের সংকট প্রকট। আগামী নির্বাচনে দল জিতে ক্ষমতায় আসতে পারে কিনা। এখন দলটির জনপ্রিয়তা পড়তির দিকে, আপাততঃ নির্বাচনগুলি সেই ইঙ্গিত করে। অপর দিকে জামাতের সংকট মহা প্রকট। দলটির অস্তিত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। শীর্ষ নেতারা বন্দী, ফাঁসির মুখোমুখি। মধ্যম সারির নেতারা সহিংস প্রতিক্রিয়া দেখাতে গিয়ে আটক অথবা পলাতক। এই দলটির কূটনৈতিক সমর্থন শুন্যের কোঠায়।