নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
উপরে দেখে মানুষের মনের অবস্থা বা পারিবারিক অবস্থা বোঝা আসলে কখনই সম্ভব না। আমাদের সহকর্মীর সঙ্গে একই গাড়ীতে আসলাম। আমি সদা কম কথা বলার স্বভাবে রাস্তাঘাটে সহকর্মীদের সাথে কথা বলিনা বললেই চলে। আর যদি হয় বিপরীত লিঙ্গের তা হলে তো হাই-হ্যালো বা ভালো আছেন আপনি-এটুকুতেই সীমাবদ্ধ থাকি।
আজকে গাড়ী থেকে নামতে হলে দুই মিনিটের রাস্তার দুরুত্বে। নিজেই জিঙ্গেস করল স্যার আপনার বাসার কি অবস্থা, বাচ্চা দুটি কেমন আছে। আমি শুধু বললাম আল্লাহ রেখেছে ভালো। জিঙ্গেস করলাম আপনার বাচ্চার কি অবস্থা। বলল আছে ভালোই। বলার ধরনে বুঝলাম কোন একটা সমস্যা তার। হাটতে হাটতেই জিঙ্গেস করলাম কোন সমস্যা আপনার। দেখলাম মুখ কালো হয়ে গেল। তারপর মাথা নিচু করে বলল- ছেলের বাবাকে নিয়ে যন্ত্রণায় আছি। উল্টাপাল্টা চলাফেরা করে, নেশাও করে, ডিজে পার্টিতে যায়। আমি পরিশ্রম করে টাকা পাঠাই তাকে আর সে বসে বসে এগুলি করে। বললাম জব করে না, বলল করে একটি কোম্পানীতে তারপরও প্রতি মাসে আমার বেতনের বেশিরভাগ টাকা পাঠাতে হয় তাকে তারপরও আমার কলিগদের কাছে ফোন করে উল্টোপাল্টা কথা বলে। আমি নাকি উল্টাপাল্টা চলা ফেরা করি। আমি যেহেতু ওয়েলফেয়ারে কাজ করি সেখানে তো আমাকে একটু সুন্দর ভাবেই থাকতে হয় আর সবার সাথে সর্বদা হাসিখুশিভাবে কাজ করতে হয়। এসব নিয়ে সর্বদা যন্ত্রণায় আছি। আর সে যদি বলে চাকরী ছেড়ে দিতে আমি দিব কিন্তু সেও তো কিছু করে না যা দিয়ে চলতে পারব। আপনি তো দেখছেন আমি কত পরিশ্রম করতাম ওখানে। (আমি আগে যে কোম্পানীতে ছিলাম সেখানেও সে ছিল)। বলতে বলতে রাস্তা ফুরিয়ে গেল। আর কিছু জানা হল না। তখন থেকেই ভাবছি মেয়েটি সর্বদা হাসিখুশি, মনেহয় কতই না সুখে আছে। কাজে কর্মে প্রচন্ড দায়িত্বশীল
১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ২:২৩
চোরাবালি- বলেছেন: হ্যা। ধন্যবাদ আপনাকে
২| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১০:১০
দেশের পোলাপাইন বলেছেন: দেখে সুখী মনে হলেও.... ভিতরে থাকে চাপা কষ্ট... এর নাম জীবন সংগ্রম...
২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৪:৩০
চোরাবালি- বলেছেন: সেটাই
©somewhere in net ltd.
১| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১:৫০
শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: মানুষের চাপা কষ্ট এক সময় মহা বিস্ফোরণ আকারে প্রকাশিত হয়।