নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পোষাক তৈরীর কারখানায় মাসিক বেতনে কামলা দেয় মাস শেষে মাইনের আশায়, যে মাইনে দিয়ে চলবে নিজের পরিবার ও সমাজের জন্য কিছু একটা করার প্রচেষ্টা মাত্র। নিতান্তই সাদামাঠা গ্রাম থেকে আসা স্বল্প শিক্ষিত মানুষ।

চোরাবালি-

চোরাবালি- › বিস্তারিত পোস্টঃ

মেয়েদের বুদ্ধির তারিফ করতে হয় সর্বদা

১৩ ই আগস্ট, ২০১৭ সকাল ১০:৫৫

যাদের বানান ভুল নিয়ে অতিরিক্ত ব্যাটারির পানি রোগ আছে তারা দুরে থাকুন।

পুরুষ সমাজ সর্বদা মেয়েদের দোষ গুলোই দেখে; তাদের গুন গুলো কখনও চোখে পড়ে না। তাদের গুনের জন্যই কিন্তু আমরা জাতি হিসেবে অনেক এগিয়ে যাচ্ছি এবং চায়না স্মার্ট ফোনের মত স্মার্টও হচ্ছি। ১৬মেগা পিক্সেলের ছবি তুলে ল্যাবে গিয়ে চেহারা চেনা দায় আরকি।

গুনের কিছু উদাহরণ মাত্র#

# আপনার ছেলে তো স্কুলে আরেক ছেলেকে মেরে এসেছে। --- সঙ্গে সঙ্গে কি বলেন এসব আমার ছেলে মারতে যাবে কেন? ওর মত ছেলেই হয় না। ঐ ছেলের যন্ত্রনায় তো ঠিক মত স্কুলেই টিকতে পারে না। পাজি বদমাশ ছেলেগুলো আমার ছেলেটার সাথে শুধু ঝগড়া বাধায়।


# আসসালামু আলাইকুম আপা; আপা তো আলহাদে গদগতহয়ে ওয়ালাইকুম আর সালাম। আপা আপনাে ছেলে তো দেখলাম চায়ের দোকানে বসে সিগেরেট খাচ্ছে। - সঙ্গে সঙ্গে ১৮০ডিগ্রী ডিগবাজী। অসম্ভব ব্যপার ভাই; আমার ছেলে এসব করতেই পারে না। ও এরকম ছেলেই না। ছেলে আমার রান্না ঘরের ধোয়ায় দম বন্ধ হয়ে যায় সে ছেলে সিগেরে খাবে অসম্ভব ব্যপার। এসব কথা বলতে আসলে কখনও আর কথা বলার দরকার নাই আমাদের সাথে।

ছেলে ঘরে আসলে- কিরে তোর গা থেকে সিগেরেটের গন্ধ মনে হয়। না মা' চায়ের দোকানের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলাম ওখান থেকে হতে পারে। - মা একগাল হাসি দিয়ে- আর বলিস না এলাকার লোকজনের খেয়ে-দেয়ে কোন কাজ নেই শুধু মানুষের পিছনে লেগে থাকা। তুই নাকি সিগেরেট খাস এসব বলে; বেয়াদব লোকগুলি শুধু অন্যের নিয়ে সমালোচনা।

# ভাবি আপনার ছেলে তো স্কুল ফাকি দিয়ে বান্ধবীর হাত ধরে ঘুরতে দেখলাম। এ সময় তো ওর স্কুলে থাকার কথা না। --- আরে ভাই আপনাদের কি কোন কাজ নেই আমার ছেলে তো স্কুলেই। স্কুল থেকে আসার সময় হয়তো এক সঙ্গে ফিরছিল। ভাবি এই দেখেন ছবি। আরে দেখি দেখি। আরে বজ্জাত মেয়েটা আমার ছেলের মাথা খাচ্ছে; মেয়ের বাবা মা মেয়েকে লেলিয়ে দিয়েছে আমার ছেলের পেছনে। কোন কেয়ার নাই। এই মেয়ের পরিবারের সাথে যোগাযোগ করে নেই; তারপর তাদের কি হাল করি দেখেন।

ছেলে ঘরে ফিরলে- বাবা ঐ বজ্জাত মেয়েটা তোর মাথাটা খাচ্ছে আর তুইও তার পিছে পিছে ঘুরছিস। ঐ মেয়ের জাত বংশ চৌদ্দগুষ্ঠি খারাপ এবার আমার ছেলেটাকেও খারাপ বানাতে চলেছে।

মেয়ের মা হলে ঘটনা একটু উল্টো--- আরে আপনাদের কি কোন কাজ কাম নেই অন্যের নিয়ে আলোচনা সমালোচনা কেন আপনাদের। এখন মর্ডান যুগ ছেলেমেয়ে একটু ঘুরলেই কি খারাপ; আপনার পজিটিভলি দেখতে পারেন না।

# আপা আপনার ছেলে তো মেয়েদের বিরক্ত করে মানে ইভটিজিং করে-
কি বললেন আপনি? আপনার শাহস তো কম না; আমার ছেলে কেন এসব করতে যাবে? ঐ বদমাশ মেয়ে গুলি কেন ঐ রাস্তা দিয়ে যাবে। তাদের আর যাবার পথ নেই; সারাদিন ছেলেদের মাথা খাবার জন্য মেয়ে গুলি লেগে থাকে। মেয়ের বাবা মা গুলিও মেয়েদের লেলিয়ে দিয়ে রাখে।

# আপনার ছেলে তো দেখলে মনে হয় নেশা করে- দেখেন আপনার সাথে সম্পর্ক রাখার মত রুচি নেই আমার। ছেলে এখন বড় হয়েছে। একটু দেরি করে ঘুম থেকে ওঠে; একটু বাইরে কাটায় তার মানে কি সে নেশা করে!! হঠাৎ রেগে যায় যা এ বয়সী ছেলেদের মধ্যে থাকেই। তেজি ছেলের লক্ষণ এগুলি।

নাহ মদ খেতে দেখলাম তো তাই আরকি। --- আচ্ছা মদ কি নেশা??? দেখেন সব ধরনের সিনেমায় মদ খায়; মদ খাওয়া একটা ফ্যাশান এ যোগ্যতা সবার নেই। আর এগুলি তো সময় করে না; বিভিন্ন পার্টিতে গেলে হয়তো তাও আমার বিশ্বাস হয় না।

# আপা আপনার ছেলের বউ কেমন-- আরে আর বলবেন না; দেখে শুনে একটা ডাইনী বিয়ে করিয়েছি। আমার ছেলেকে বশ করে ফেলেছে। ছেলেটা বউয়ের কথায় ওঠে বসে।
আর আপনার মেয়ের জামাই-- মাশাল্লাহ আমার মেয়েটা যা বলে তাই শোনে।
আর আপনার শ্বাশুরী-- সে তো আরেক বজ্জাত বেটি। সারাটা জীবন আমার জীবনটা জ্বালিয়ে পুড়িয়ে ছাড়খাড় করে ছাড়ল। -----------।

এগুলি সামান্য উদাহরণ মাত্র। এরকম এক নায়েকতন্ত্রের হাজারও গুন আছে তাদের। সো তাদের হাতে যখন আমাদের পরিবারের, সমাজের, রাষ্ট্রের শাসন ব্যবস্থা তখন আমরা অবশ্যই সুখে থাকবো কেন থাকব না!!!!!!! আর তাদের কিন্তু দোষ নেই পুরুষ জাতি যেখানে যোগ্যতা শূণ্য সেখানে তারা তো চালাচ্ছে সমাজটাকে।

মন্তব্য ১৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৭ সকাল ১১:০৫

বিজন রয় বলেছেন: মেয়েদের বুদ্ধি আছে কিন্তু পরুষরা তা দেখতে পায় না।

১৩ ই আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ১২:৫১

চোরাবালি- বলেছেন: পুরুষরা মেয়েদের বুদ্ধি আছে স্বীকার না করলে তো গাছ তলায় থাকতে হতো। থাক বা না থাক স্বীকার করতেই হয়।

২| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৭ সকাল ১১:৩০

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন: ছেলে এবং মেয়ের মধ্যে কার বেশী বুদ্ধি! এই বিতর্ক চলে আসছে কয়েক যুগ ধরে। সম্প্রতি ভিয়েনার ইন্সটিটিউট অফ অ্যাপলাইড সাইকোলজি ইউনিভারসিটির তরফ থেকে উঠে আসা একটি তথ্য অনুযায়ী, মেয়েরা নাকি ছেলেদের থেকে বেশী বুদ্ধিমতী। ছেলেদের মাথা আকারে বড় হয় কিন্তু তার মধ্যে বুদ্ধির পরিমান থাকে খুবই অল্প। জ্যাকব পিয়েটসচিন, ৮ হাজার মানুষের ওপর একটি গবেষণা চালিয়ে জানিয়েছেন, যাদের মাথা আকারে অনেকটা বড় হয় তাদের বুদ্ধি তুলনামূলক ভাবে কম হয়। মস্তিষ্কের গঠন এবং আকারের ওপর বেশীরভাগ সময় বুদ্ধির কম বা বেশী হওয়া নির্ভর করে থাকে।
এত কিছুর পরেও প্রতিনিয়ত মেয়েদের শুনতে হয়, যে তাদের নাকি বুদ্ধি নেই মাথায়!

১৩ ই আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ১২:২৪

চোরাবালি- বলেছেন: তাদের বুদ্ধির প্রমাণ তো আমরা প্রতিনিয়তই পাই।
ব্যাতিক্রম দুই একজন কখনও উদাহরণ হতে পারে না। আমাদের সমাজটা আজ নষ্ট হচ্ছে নারী শাসনের কারনে। শ্রীলংকায় যখন মা মেয়ে ছিল শ্রীলংকার অবস্থা ছিল নাস্তানাবুদ এখন শ্রী লংকা ঘুরে দাড়িয়েছে।

৩| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ১২:৪৭

বিজন রয় বলেছেন: আমার মন্তব্যের জবাব দিলেন না, চোরাবালি!!!

আমি কি দোষ করলাম!!!!!

১৩ ই আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ১২:৫০

চোরাবালি- বলেছেন: ওহ সরি। একটা উত্তর করে ব্যস্ত হয়ে পড়েছিলাম কাজে।

৪| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ১২:৫২

বিজন রয় বলেছেন: ধন্যবাদ ও শুভকামনা।

৫| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ১:২৩

বলেছেন: হাঃ হাঃ হাঃ

১৩ ই আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ১:৪৭

চোরাবালি- বলেছেন: ধন্যবাদ

৬| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৩:৩১

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
তবে মেয়েদের বেশী বুদ্ধি ভালো না।
বেশী বুদ্ধির মেয়ে কখনো সুখী হয় না ।
সংসারে যে মেয়ের বুদ্ধি যত কম সে তত সুখী।

এটা আমার কথা না, বলেছেন সংসার বিষয়ক বিশেষজ্ঞ
ছেলে-মেয়েদের জনপ্রিয় লেখক হুমায়ূন আহমেদ

১৩ ই আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৪:৪৩

চোরাবালি- বলেছেন: ভাগ্যিস কথাটা হুমায়ন আহমেদ বলেছিল তা হয়ে যদি কোন মোল্লা বলত তা হলে কদিন টিভি টক শো দেখা যেত নারী বাদি হিজড়াদের।

৭| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৩:৩৪

কানিজ রিনা বলেছেন: আসলে আপনার যুক্তিগুল সব ঠিক আছে।
মায়ের জাতি নিজের ছেলের বেলায় উদাসিন
থেকেই যত সমস্যা। বেশীর ভাগ মায়েরা ঘরে
থাকে। ছেলেরা মিথ্যা ধানাই পানাই বুঝিয়ে
মায়ের মন জয় করে। এদিকে ঘরের বাহিরে
ছেলে বা মেয়ে কোন পথে এগুচ্ছে বাবারা
একটু দৃষ্টিপাত করলেই হয়ত বাইরের পরিবেশে
ছেলে মেয়েরা এত দুঃসাহস পেতনা।
বিশেষ করে কলেজ ভার্সিটির ছেলে মেয়েদের।
পাশ্চাত্য সাধীনতা যেভাবে আমাদের যুব
সমাজের উপর ঝোড়ো হাওয়ার গতিতে বয়ে
যাচ্ছে। গ্রাম মফস্বল শহর একই অবস্থা।
নেট দুনিয়া মোবাইল কম্পিউটার ডিস লাইন।
আমাদের সামাজীকতায় নদী ভাঙনের মত
ভেঙে যাচ্ছে। সেই সাথে নেশার দৌড়াত্ব।
এখন সময় এসেছে প্রতিটা পরিবারের মা বাবা
সচেতন হওয়ার। উদাসীনতায় শেষে এসে
বাবা মা বেশী পস্তায়। ধন্যবাদ।

১৩ ই আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৪:৪৩

চোরাবালি- বলেছেন: আল্লাহ পুরুষ এবং নারী জাতিকে দুই ধরনের রূপে তৈরী করেছেন। পুরুষ জাতী পরিশ্রমী ন্যায় পরায়ন আর স্ত্রী জাতি স্নেহ পরায়ন। কিন্তু আমরা সেটি মানতে চাই না। একজন মায়ের কাছে তার সন্তানই সব। সন্তানের ক্ষেত্রে সে ন্যায় বিচার কখনও করতে পারে না এটা তার সৃষ্টিগত। এ নিয়ে অভিযোগের কিছু নেই।
কিন্তু আমরা সৃষ্টির নিয়ম ভঙ্গ করে আমাদের মত গড়তে চাই। যার ফলে দিন দিন সমাজ ধ্বংশ হচেছ গড়ছে না।
আমরা আধুনিকতার নামে সময়ের অজুহাত দেখিয়ে ছেলরা সব কিছু মেয়েদের উপর ছেড়ে দিচ্ছি। বাচ্চার পড়াশুনা, শাসন, ঘরের প্রয়োজনীয় জিনিস পত্রাদি ক্রয় থেকে শুরু করে প্রায় সব কিছুই। ঐ যে সমাজের কিছু দজ্জাল মহিলা যারা সব করে অভ্যস্ত তাকে উদাহরণ দেখিয়ে। কিন্তু ঐ মহিলার ভিতরের খবর না দেখেই মর্ডান হিসেব আখ্যায়িত করছি। ফলে ভুল পথে বাড়াচ্ছি। শাসনটা অনন্ত পুরুষ জাতির নিজের হাতে রাখা দরকার ছিল ভবিষ্যত একটা ভালো প্রজন্মের জন্য।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.