নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গার্মেন্টস ট্রেডে কামলা হিসেব আমি খ্যাত একজন ঘাড়ত্যাড়া কর্মকর্তা হিসেবে। সময়ের বিপরীতে চলি তাই সুনাম যেমন আছে দুর্নামও নিছক কম নাই। যা হউক গার্মেন্টস ট্রেডে বানিজ্যিক বিভাগের কর্মকর্তা হিসেবে প্রতিনিয়তই দেশের অত্যন্ত সুনামধন্য শ্বশুর বা বউয়ের টাকায় বাড়ী গাড়ী হওয়া কাস্টমস কর্মচারী-কর্মকর্তাদের সাথে কাজ করতে হয়।
সরকার বেতন বৃদ্ধি করার সময় অনেকটা আশার আলো দেখেছিলাম, যাক অনন্তঃ কিছু হলেও তো সৎ লোক বের হবে এতদিন যারা অর্থের প্রয়োজনে ঘুষ নিয়েছেন বিভিন্নভাবে হয়রানি করে তারা হয়তো কিছুটা ভালো হবে। কিন্তু বিধিবাম বেতন বৃদ্ধির সাথে সাথে তাদেও চাহিদাও বেড়ে গেল। আগে যেখানে ১ থেকে দেড় লাখ টাকা লাগত কদিন ধরে গো ধরে বসে আছেন ৭লাখের নিচে নামবে না। যখন এত টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালাম এখন শুরু হল তার আকাশের তারা গোনা, এবং সে মোতাবেক আমাকে হয়রানির লক্ষ্যে তালিকা নির্ধারণ করা।
তাদের যিনি কর্তা তিন আবার কোনরূপ অর্থ নেন না, যা হউক একটা ভালো দিক অনন্ত অর্থথেকে তো বাচা গেল। কিন্তু শুধু অর্থই কি সততার সবকিছু। আমার মত ভূক্তোভূগির মতে না- সঠিক সময়ে অফিসে আসা, সঠিক ভাবে সঠিক সময়ে কাজ নিষ্পত্তি করা, অধিনস্তদের সঠিকভাবে কাজের নির্দেশ, ----- ইত্যাদিও সততার অংশগত।
গতবছর বণ্ড অফিসে গিয়ে দেখা পেলাম এক পুরাতন পরিচিতের সাথে। উনি এসেছেন অবসরে যাওয়ার পরে হিসাবাদি সম্পন্ন করার জন্য। সাথে নিয়ে বাইরে বের হলাম নাস্তার করার জন্য। হোটেলে বসে অনেক আলাপ হলো। বেশ দুঃখের সহিত জানালেন গত ৪ মাস তার ফাইল ঘোড়াচ্ছেন, এই অজুহাত সেই অজুত এসব দিয়ে। তার তেমন কোন চ্যানেলও নাই বা চাহিদা কৃত অর্থও তিনি পরিশোধ করতে নারাজ। তাকে বিদায় দিয়ে উপরে আসলাম, লিফটে দাড়িয়ে ভাবতে লাগলাম- আজ উনি চেয়ারে নাই তাই উনার ফাইল নিয়ে ৪মাস। তা হলে উনার ছেলে মেয়েদের কপালে কি ভোগান্তি আছে!!! আমাদের মত ভোগান্তি কি তাদের ছেলে মেয়েদের কপালেও???
আরেক কর্মকর্মার সঙ্গে সম্পর্ক বেশ বন্ধুর মতই; অর্থ রোজগার করে ছেলেদের বড় করছেন, প্রতি ছেলের প্রতিদিন ২হাজার করে টাকা দিতে হয় যা দিয়ে তারা ইয়াবা খাই নিয়মিত।
যার সাথে আমার বর্তমান কাজ উনার বউ টাকা ছাড়া কিছু বোঝেন না তার টাকা ইনকাম করতেই হবে, বউ থাকে ভাড়াবাসাতে ঢাকা শহরে একা বাচ্চা নিয়ে উনি কর্মস্থলেই ছোট্ট কামড়ায় পিতামাতা গ্রামে। যেহেতু কাস্টমসের চাকরী সদা বদলীর সেহেতু তার জীবন এভাবেই কেটে যাবে। সো টাকা তো আমার গলার উপর পারা দিয়ে আদায় করছেন- ভোগ করতে কি পারছেন। চোখে হাই পাওয়ারের গ্লাস, আর বছর কুড়ি পর তো অন্ধ প্রায়, তখন আপনার টাকা কি হাত ধরে আপনাকে বাথরূমে নিয়ে যাবে!!!!
আসুন নিজে বদলে যায়-- কোন দিকে বাদলাবো সেটাই ভেবে না পাই, নিজে বদলে তাদের মত হয়ে যাব না সমাজ বদলানোর চেষ্টা করব
২৫ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৯:৩৮
চোরাবালি- বলেছেন: আজ পর্যন্ত ইসলামের কোন দিককে কেও সঠিক যুক্তিতে অস্বীকার করতে পারে নাই। আল্লাহ বলছেন -- যারা অবৈধ পথে টাকা ইনকাম করবে আমি তাদের পরিবার পরিজনকে তাদের পেছনে লাগিয়ে দেই।
আমরা সেটি সর্বদা দেখতে পাই কিন্তু আমাদের বোঝার মত অনুভূতি নাই।
২| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৩:১৫
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: ভালো লাগলো বাস্তব কথাগুলো।
সমাজকে বদলে দিবে তাঁরা কারা ...?
এই উত্তর নিজের কাছ থেকে বের করার চেষ্টা করতে হবে।
২৫ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৯:৩৯
চোরাবালি- বলেছেন: মাঝে মাঝে নিজেকে খুব অসহায় মনে হয় এই সমাজের কাছে।
কেননা নিজেকে তো আর বদলাতে পারব না।
৩| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৪:৩০
দি রিফর্মার বলেছেন: আমাদের সমাজ ধীরে ধীরে ব্যক্তি কেন্দ্রিক সমাজে পরিনত হচ্ছে। আমরা নিজের বাইরে কিছু ভাবতে চাই না। তাই সামজ নিয়ে ভাবার সময় হাতে নাই। কিন্তু আমরা যে একটা সমাজে বাস করছি তাই ভুলে বসে আছি। এই সমাজের প্রতিও আমাদের কিছু দায়দায়িত্ব আছে। এই সমাজকে সুন্দর করে গড়ে তুলতে সবাইকে সচেষ্ট হতে হবে। তাই প্রথম কাজ হবে নিজে সৎ ভাবে জীবনযাপন করা। আর সমাজপতিদের দায়িত্ব হল দুর্নীতি রোধ করা। কিন্তু সমাজপতিরা আজ সমাজকে তাদের নিজস্ব সম্পত্তি ভাবতে শুরু করেছে। সুতরাং আমরা হতাশ। আল্লাহ্ই ভাল জানেন আমাদের এই সমাজের পরিবর্তন কখন হবে।
ভাল পোষ্টের জন্য ধন্যবাদ।
২৫ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৯:৪৬
চোরাবালি- বলেছেন: পরিবারের প্রতিই কোন দায় বন্ধতা নাই সমাজের প্রতি কোথা থেকে থাকবে। এখন মানুষ ভাইয়ের খবর রাখে না, মা-বাবার খবর রাখে না।
৪| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১৩
ঢাকার লোক বলেছেন: কোথায় রাখতে হবে এঁদের জিজ্ঞেস করুন!
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1350796/ফরিদপুরের-পুলিশ-সুপার-ও-স্ত্রীর-বিরুদ্ধে-দুদকের
৫| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১৪
ঢাকার লোক বলেছেন: Click This Link
২৫ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৯:৪৮
চোরাবালি- বলেছেন: খবরটা পড়েছি সেদিনই।
এই লোকের মত হাজার লোক পার পেয়ে যায় সেও পাবে, আয়কর বিবরণীতে দেখাবে শ্বশুরের জমি বিক্রি, শ্বাশুরীর গহণা বিক্রি। খোজ নিলে দেখ যাবে শ্বশুর দুধ বেখে সংসার চালায়।
৬| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৯:২৩
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: এই লোকগুলোর ব্যপারে অনেক আগে ইত্যাদি তে একটা স্লোগান এসেছিল -
"অনেক প্রাণী ঘাস খায়,
ইতর প্রাণী ঘুষ খায়"
এই ইতর প্রাণীগুলোর সংসার জীবনেও সুখের হবে না...
২৫ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৯:৪৮
চোরাবালি- বলেছেন: আমি কাউকে সুখী হতে দেখি নাই।
©somewhere in net ltd.
১| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১১:১৬
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: হারাম ইনকাম করে আমার তো মনে হয় কেউ সুখে নেই।
নেশা সব রকমেরই খারাপ।তাই টাকার নেশাও খারাপ।