নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জীবনকে জীবনের মতো করে দেখা

সত্য মিথ্যার মধ্যে বসবাস

চোরসৎলোক

সত্য মিথ্যায় বসবাস।

চোরসৎলোক › বিস্তারিত পোস্টঃ

দুবাইয়ে এক বাংলাদেশী নারী যৌনকর্মীকে হত্যা এবং কিছু কথা

০৭ ই আগস্ট, ২০১২ দুপুর ২:২১

দুবাইয়ে কর্মরত এক বাংলাদেশী শ্রমিক স্বদেশী এক নারী যৌনকর্মীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে। ওই বাংলাদেশীর সংক্ষিপ্ত নাম এম কে। তার বয়স ২৭। নিহত যৌনকর্মীর নাম সালমা বলে জানা গেছে। তবে তাদের বিস্তারিত পরিচয় জানা যায়নি। দুবাইয়ের আল মানখুল এলাকার একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে ওই যৌনকর্মীর সঙ্গে টাকার বিনিময়ে শারীরিক সম্পর্ক গড়েছিল এম কে। একপর্যায়ে পারিশ্রমিক নিয়ে সালমার সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় তার। সালমা শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের বিনিময়ে ১০০ দিরহাম দাবি করেন। কিন্তু ওই ব্যক্তি তাকে ৫০ দিরহাম দেয়। এ নিয়ে তাদের মধ্যে ব্যাপক কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে গলায় কাপড় পেঁচিয়ে সালমাকে হত্যা করে এম কে। খবরটি মানবজমিনে এসেছে। তো এখানে কয়েকটি মানবিক প্রশ্ন আসে। তা হলো দুবাই সহ মধ্যপ্রাচ্যের বেশিরভাগ দেশে বিভিন্ন কাজের নামে যেসব বাংলাদেশী মহিলারা আসে আসলে তারা তাদের সেই নির্ধারিত কাজের পাশাপাশি আরো কি কাজ করে তা কি কারো জানা আছে। তাছাড়া তারা আর কি অনৈতিক কাজ করে নাকি করতে বাধ্য করা হয় তার খোজ খবর কি কেউ রাখে। এইসব নারীরা জীবন পরিবর্তনের জন্য দেশে সব কিছু ছেড়ে ছুড়ে প্রবাসে আসে। তারপর তাদের সবকিছু খোয়াতে হয়। এমনও শোনা যায় তারা চরিত্র খুইয়েও তার বিনিময়ে টাকাটাও পায় না। এভাবে চলছে বাংলাদেশী নারীদের ওপর নির্যাতন -তারা নিরবে সইছে। অথচ এসব দেখভাল করার কোনো লোক নেই। তাদের এসব খবর হয়তো কেউ রাখে না।

তো দেখা যাক আসলে বাকী খবরটা কতোটা মর্মান্তিক-তার বিরুদ্ধে দুবাইয়ের কোর্ট অব ফার্স্ট ইনস্ট্যান্সে গতকাল শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। স্থানীয় পুলিশের দেয়া তথ্যে বলা হয়েছে, ঘটনার কয়েক মাস পর দুবাই পৌরসভার এক কর্মী পরিত্যক্ত ওই বাড়ি থেকে সালমার পচে যাওয়া ও বিকৃত মৃতদেহ উদ্ধার করে। ময়নাতদন্তের পর ফরেনসিক বিভাগের চিকিৎকরা বলছেন, ওই মৃতদেহটি গলনের শেষ পর্যায়ে ছিল। মাথার খুলি ও হাতের হাড় দেখা যাচ্ছিল। প্রায় ৬ মাস আগে তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয় বলে সিদ্ধান্তে উপনীত হন তারা। ভবনটির পুননির্মাণ কাজ শুরু হওয়ার আগেই সালমার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। এরপর তদন্তে বেরিয়ে আসে হত্যাকারীর পরিচয়। ঘটনাস্থলে ওই শ্রমিকের ফেলে যাওয়া একটি সিগারেটের শেষ অংশে লেগে থাকা লালা বা থুথুর ডিএনএ নমুনার সঙ্গে সন্দেহভাজনের ডিএনএ মিলে যায়। তাকে ওই একই এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রথমদিকে অস্বীকার করলেও পরে সে হত্যার কথা স্বীকার করে। পুলিশের কাছে দেয়া জবানবন্দিতে সে বলেছে, ফি নিয়ে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে সালমা তাকে পেটানোর জন্য লোকজন পাঠানোর হুমকি দেয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সালমাকে হত্যা করে এম কে। বার দুবাই প্রসিকিউশনের প্রধান আইনজীবী খালিদ আল জারুনি হত্যাকারীর বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।

তো আসলে কি বাংলাদেশের নারীদের এভাবে বিদেশে পাঠানো উচিত। বিষয়টি কি ভেবে দেখার নয়। এব্যাপারে সরকারী উদ্যোগ নেই বললেই চলে আর যদি তা থাকতো তাহলে বিদেশে বাংলাদেশী মেয়েরা যৌনকর্মে লিপ্ত হয় একথাটা অনেকটা ওপেন সিক্রেট। তারপরও কেন সরকার তাদেরকে বিদেশে যেতে দেন। এতে কি দেশের ভাবমূতি ক্ষুন্ন হয় না। এতে কি আমাদের নারী সমাজ কলঙ্কিত হচ্ছে না।!!!

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই আগস্ট, ২০১২ দুপুর ২:৩৫

আবু বকর িসিদ্দক বলেছেন: নাড়িদের এ সব রাষ্ট্রে এভাবে যেতে না দেওয়াই ভালো..খব ই মর্মন্তিক

০৭ ই আগস্ট, ২০১২ দুপুর ২:৪০

চোরসৎলোক বলেছেন: ঠিকই বলেছেন ভাই। এভাবে আমাদের মেয়েদের চরিত্র হননের জন্য বিদেশে পাঠানো উচিত নয়। সবাইকে এ ব্যাপারে সোচ্চার হতে হবে।

২| ০৭ ই আগস্ট, ২০১২ দুপুর ২:৪৯

লেখাজোকা শামীম বলেছেন: অভাব। অভাবে স্বভাব নষ্ট।

সব জেনে শুনেই এই সব নারীরা কেবল টাকার জন্য এই জীবন বেছে নেয়।

৩| ০৭ ই আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৫:০৩

মেনােশদাস বলেছেন: বলা হয় পতিতাবৃত্তি আদিম পেশা। সমাজের আদর্শ বলে একটি মেয়ের যেওনতা মুধুমাত্র বিবাহ-সম্পর্কের ভিতরে একজন পুরুষ বোগ করবে। তবে-নারী পুরুষের যৌন সম্পর্ককে কখোনই শুধুমাত্র ধর্ম-সমাজ-আইনসন্মত বিবাহ ব্যবসাথার বেতরে আটকে রাকা যায় না্এই উপমহাদেশে বাণিজ্রিক ভিত্তিতে প্রতিষ্টান হিসাবে পতিতাবৃত্তি প্রথম গড়ে উঠে মেগর আমলে।বাংলাদেশে পতিতালয়ের প্রতিটি যৌনকর্মীর নাম এবং ব্রাক্তিগত তথ্য পুলিশের খাতায় নথিভুক্ত থাকে। কিন্তু দুবাইয়ে এটা নেই।নিহত সালমা জীবনের বাইরে ছিটকে পড়া সাধারণের নৈতিকতার থেকে বহু দুরে রাস্তর জঅবন।দেশে দারিদ্র এবং দরিদ্র পরিবারের সংক্রা যতই বাড়ছে সেসব পরিবারের মেরেয়দের নিজের এবং পরিবারের সদস্রদের ভরণপোষণ করার জন্য আয় রোজগার করাটা জরুরী মনে করেই হয়তোবা সালমারমত মেয়েরা বিদেশ পাড়ি জমায়। আমরা চাই এর বিচার হোক

৪| ০৭ ই আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৫:১২

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: জোট সরকারের আমলে রাষ্ট্রীয় ভাবে কাজের লোক হিসেবে শ খানেক মেয়েদের পাঠানো হয় বেশ অল্প টাকায় (তখনকার বাজার রেট ছিলো আড়াই লাখ, কিন্তু এসব মেয়েদের ৬০ ০০০ টাকার কথা বলে নেয়া হয়ে ছিলো ১ লাখ ২০ থেকে ১ লাখ ৫০ এর মতো)। শোনা যায় নির্বাচনে ফান্ডিং এর জন্য মিডল ঈস্টের শেখদের সুবিধার্থে তৎকালীন বিএনপি জামাত এ উদ্যোগ নেয়।

অবশ্য বর্তমান আমল এক কাঠি সরেস, ফরিদপুরের রাজাকার এমপি ইন্জ্ঞিনিয়ার মোশাররফ শুধু পতিতা সাপ্লাই দেন যেখানে পতিতাদের কাছ থেকেও টাকা রাখেন!

যারা ফরিদপুরে থাকেন তারা হয়তো আরও জানবে। উনি কিছু দিন আগ পর্যন্তও ১৪ থেকে ১৬ লাখের বিনিময়ে ইতালীতে মানুষ পাঠাতেন!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.