নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অপ্রিয় সত্য

চৌধুরী হাফিজ আহমেদ

এক সময় লিখতাম। যা ভাবতাম, যা দেখতাম তাই বলতাম এবং জানাতে চেষ্টা করতাম। লেখক বলে নিজেকে কখনো ভাবিনি এবং এখনো ভাবি না। তবে সবসময় চাই সত্যকে জানতে এবং জানাতে। কারণ, সত্যের বিকল্প নেই, জানতে চান বা না চান সত্য তার নিজস্ব গতিতে প্রকাশ হয়েই যায়। পৃথিবীতে কোন সত্যেই গোপন নেই এবং সত্যকে শত চেষ্টা করে কিংবা ভয় দেখিয়ে দাবিয়ে রাখা যায় না। বিগত দিনে যা লিখেছিলাম তার-ই কিছু কিছু লেখা এখানে তুলে ধরব।

চৌধুরী হাফিজ আহমেদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

আশুরা ও কারবালা

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:৫৮

আশুরা ও কারবালা
চৌধুরী হাফিজ আহমদ
আমি খুব ই নগন্য একজন জ্ঞান ও আমার খুব সীমিত - আটকে গেলেই আমাকে সাহায্য নিতে হয় জ্ঞানী গুণী দের আমার অগ্রজ দের ঘাটতে হয় আমাকে কিতাবাদি । এর পরে ও আমাকে অনেকেই জিজ্ঞেস করেন নানান ব্যাপারে । আজকে আমার কাছে জানতে চাইলেন আশুরার এবং কারবালার ব্যাপারে । আমাকে উনি বুঝাতে চাইলেন যে কারবালার মর্মান্তিক ঘটনায় ইছলামের যে ক্ষতি হয়েছে এতে কি আমি ও আমরা ক্ষতিগ্রস্ত নই ! মুছলিম মিল্লাত কি কারবালার কথা ভুলে গেলে চলবে ইত্যাদি ইত্যাদি ।তাহার কথা হল কারবালা ও আশুরার অংশ - এবং তা মানা কর্তব্য আমাদের সকলের জন্য । আশুরা ও কারবালা নিয়ে আলোচনা বিস্তর হয়েছে এবং হবেও আগামিতে । এসব আলোচনা থেকে আমাদের অনেক শেখার আছে , তা আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম কে পথ দেখাবে ও জানার সুজুগ করে দেবে । কিন্তু কথা হচ্ছে এই পর্যন্ত যে আলোচনা হয়েছে এর থেকে আমরা কি শিখলাম ? এখন ও ঐ এক ই ব্যাপারে প্রত্যেক বৎসরে আলোচনায় ফিরে আসে । মুলত কারবালার হৃদয় বিদারক ঘঠনা আশুরার অংশ যে নয় তা মানতেই পারেন নাহ অনেকেই । তাহা বিলকুল সত্য কারবালায় যে সব কাণ্ড হয়েছে তা মুছলিম ইতিহাসে কলঙ্ক জনক ।আমাদের জন্য তাহা এক অপূরণীয় ক্ষতি । তাও করা হয়েছে এমন এক জলিলুল কদর পরিবারের সহিত যাহাদের আমরা বলি আহলে বায়েত । আল্লাহ তাহাদের মর্যাদা দিয়েছেন যেখানে সেখানে আমাদের নতুন করে কোন কিছু দেবার ও নেই । রাছুলে আকরাম সঃ বলেছেন যা হাদিছে কুদছিতে বর্ণিত হযরতে হাসান ও হুসাইন রঃ সাইয়িয়দে আহলিল জান্নাত অর্থাৎ জান্নাতের সর্দার । তাহাদের বিয়োগ আমাদের জন্য অনেক বিশাল এক শোক এতে সন্দেহ নেই ।তা নিতান্তই আলাদা এক বিষয় । আশুরা কিন্তু চলমান এক বিশাল নেয়ামাত । আল্লাহ এই আশুরাতেই অনেক নেয়ামাত দিয়েছেন এবং নেয়ামাত দ্বারা দুনিয়া সাজিয়েছেন যা কল্পনা শক্তির বাহিরে , তা একমাত্র সম্ভব কুদরাতি শক্তির পক্ষেই । মনে করুন পৃথিবী সৃষ্টি করা কারো পক্ষেই সম্ভব নয় । নতুন করে কোথাও যদি কেউ বলে হিমালয় সৃষ্টি হয়েছে তা মেনে নেয়া বা বিশ্বাস করার প্রশ্নই আসেনা । সেখানে মহান রব এই পৃথিবী কে আউয়াল থেকে আখির ত্বক বানিয়েছেন তাও মাত্র ছয় দিনে ! কিনা অসম্ভব কাজ তাও করেছেন মাত্র ৬ দিনে - অবাক বৈ কি । আদম ও সৃষ্টি করেছেন আবার অনেক নবী রাছূল আঃ দের আশ্রয় দিয়েছেন তাহার করমে মেহেরবানীতে - দোয়া কবুল করেছেন অসংখ্যদের - বিপদ থেকে উদ্ধার করেছেন অনেককে - আবার পরিক্ষায় উত্তীর্ণ ও করেছেন তিনি । এই সব করেছেন তিনি আল্লাহ রাব্বুল আল'আমীন তাহার মহিমায় । এবং বনি আদমের জন্য তা এখনো নিয়ামাত রূপে বলবত আছে । তাই রাছুলে মাক্কবুল সঃ বলেছেন আশুরায় কি কি করতে হবে - কেমনে করতে হবে - কি ভাবে সাওম পালন করতে হবে ইত্যাদি ।এতে রয়েছে আমাদের জন্য ফায়দা পরবর্তীদের কল্যানের জন্য ই আমাদের কে শিক্ষা দিয়েছেন আমাদের ওলি বুজুর্গ গন ।আশুরার বদৌলতে মুছলিমরা সব সময়ে ফিরে পায় প্রান , কারন এই আশুরার সব ফজিলত পূর্ণ কাজ হয়েছে মুহরম মাসে আর মুহরম হল আরবী হিসাবে মুসলমানদের বৎসর গননার প্রথম মাস । আল্লাহ প্রত্যেক মাসকেই সম্মানিত করেছেন আলাদা আলাদা ভাবে , সব চাইতে সম্মানিত মাস হল রামাদ্ধান এর পরেই যে সম্মান তা হল মুহরম মাসের - তাই সম্মান করে বলা হয় মুহরম আল হারাম বলে। এই মাসের নেয়ামাত এবং খুশীর ডামাডোলে আমরা সবাই শুকরিয়া আদায় করি নানান ধরনের আমলের মাধ্যমে । এবং তা চলে আসছে যুগ যুগ ধরে । স্তায়ি ভাবে এতে মোহর মেরেছেন মুহাম্মাদুর রাছুলুল্লাহ সঃ । কারবালার বিয়োগান্তক হৃদয় বিদারক ঘটনা ঘঠেছে অনেক পরে । রাছুল সঃ এর ইন্তিকালের অনেক বছর পরে সংঘটিত কারবালার ঘঠনা কে আশুরার অংশ বলে চালিয়ে দেয়া এক চরম অবমাননা এবং দৃষ্টতা । এতে কোন কল্যান নেই বরং তা মনে করলে অকল্যান ই হবে ।কারবালাকে নিয়ে আলাদা ভাবে আলোচনা কিংবা শোক পালন করা যায় এবং তা করা অনুচিত হবেনা । কারবালার ঘঠনা থেকে আমাদের অনেক শিক্ষণীয় রয়েছে , তা বিস্তারিত ব্যাখ্যার ব্যাপার ।আশুরার সাথে কারবালাকে মিলিয়ে তালগোল পাকানোর কোন সুজুগ নেই । কারবালাকে নিয়ে যাহারা অযথা নাচেন - রক্ত বের করেন নিজে নিজে জখমী হন । নাচানাচি জারী পুঁথি করেন । হায় হাসান হায় হুসাইন বলে বিলাপ করেন তাহাদের কাছে একটি প্রশ্ন রেখেই আলোচনা সমাপ্ত করব তা হল , কারবালার ঘঠনা কি এতই আপনাদের দুঃখী করে যা কেয়ামাত এর চেয়ে ও বেশী ? তা হলে শুনুন এই আশুরাতেই আল্লাহ রাব্বুল ইজ্জাত কেয়ামাত দেবেন যা আপনার আমার জ্ঞান কল্পনা বাহাদুরি সব চুরমার করে দেবে ।
[email protected]

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:৫১

ইমরান আশফাক বলেছেন: এই ব্যাপারে সম্প্রতি আমার একটা পোস্ট আছে, দেখতে পারেন।

http://www.somewhereinblog.net/blog/difi/30078904

২| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১৮

চৌধুরী হাফিজ আহমেদ বলেছেন: Apnake onek dhonnobad . apnar lekha porechi keep it up

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.