নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

chromedreamer

chromedreamer

ক্রোমড্রিমার ইজ চরমড্রিমার

chromedreamer › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভবঘুরে - ১

১৭ ই জুলাই, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১০

দুপুরের কাঠফাটা রোদে হাঁটছে মিলন। গন্তব্য অবশ্য বেশি দূর না, কলাবাগান থেকে চারুকলা। রিকশা চড়ার মত সামথ্য বা ধৈয্য কোনটাই তার নেই, আর এমনিও ভবঘুরেদের তেমন কোন নিদিষ্ট গন্তব্য থাকেও না।

কিন্তু আজ এখনও কিছু পেটে পড়েনি মিলনের, পকেটের অবস্থাও খুব একটা সুবিধার না। বড়আপা প্রায়ই বলে যেখানেই থাকি না কেন, তার মোহাম্মদপুরের বাসায় গিয়ে যেন খেয়ে আসি; দুলাভাইও খুব মাইডিয়ার মানুষ, কিন্তু তাও কেন জানি সংকোচ হয়। যদিও ভবঘুরেদের 'সংকোচ' সাজে কিনা সেটা ঠিক জানা নেই মিলনের। আচ্ছা, ভবঘুরেদের জন্য একটা গাইডবই করলে কেমন হয়? নীলক্ষেতের 'বইমামা'কে আজকেই আইডিয়াটা দিতে হবে।

সায়েন্সল্যাব মোড়ে এসে পাঁচ টাকার ঝালমুড়ি কিনলো মিলন, খেতে খেতে যাওয়া যাবে। মিলন ঠোংগা হাতে নিয়ে পড়তে শুরু করলো! এটা মিলনের পুরানো অভ্যস, কোথাও কোন লেখা দেখলেই পড়তে শুরু করে দেয়, রাস্তার দোকানের সাইনবোর্ড টু ঠোংগা। তবে আজকের ঠোংগার লেখা তেমন ইন্টারেস্টিং না, জ্যামিতি পরীক্ষার পাতা। পরীক্ষাথী শুণ্য পেয়েছে, এক সম্পাদ্যের পরিবতে অন্য সম্পাদ্য তুলে দিয়েছে, বোঝাই যাচ্ছে 'মুখস্তবিদ্যা'।

এখান থেকে এলিফ্যান্টরোড হয়ে, মাঝে একটুখানি আজিজসুপারে ঢুউ মেরে, শাহবাগ দিয়ে চারুকলা যাওয়া যেতে পারতো সহজেই। কিন্তু আসলেই অনেক দিন নীলক্ষেত যাওয়া হয় না, তাই মিলন ঢাকা কলেজের রাস্তা ধরল।

নাহ, ফুটপাথ দিয়ে হাঁটার কোন উপায় নেই, কাপড়ের দোকানের এক্সটেনশন ফুটপাথ পর্যন্ত এসে পরেছে। আবার রাস্তার একপাশ দিয়ে যে হাঁটবো তারও উপায় নেয়, পাকিং না থাকায় সারিসারি গাড়ি ফুটপাথ ঘেঁষে দাঁড়িয়ে আছে। কিন্তু আমি কেন বিরক্ত হচ্ছি? বরং আমার এইসব ভালই লাগে, নানা রঙের মানুষ আর হালফ্যাশানের কাপড়চোপড়ে দেখতে দেখতে যাওয়া যাবে। আর ভবঘুরেদের জন্য এইসব রাস্তার দোকানগুলোই তো আদর্শ, সেই সঙ্গে বোনাস হিসেবে থাকছে জিনিশপত্রের দাম নিয়ে মুলামুলি করার বিশেষ সুযোগ!

কলেজে পড়ার সময় প্রায় প্রতিদিনই অনেকটা সময় এই নীলক্ষেতে কাটত। এমনও দিন কেটেছে যে একটা পুরো বই শেষ করে এখান থেকে বেরুতাম। যদিও তাড়া জানতো আমি কোন বই কিনব না, কিন্তু তা স্বত্তেও কেন জানি না, কিছু দোকানি আমাকে সেটা করতে দিতো।

বইমামাও সে রকম এক দোকানি, আর ওনার এই "বিজলি বইঘর" আমার একসময়ের স্টাডিরুম। এটা বললে একদম ভূল বলা হবে না যে, এই বইমামার কল্যাণেই আমি এতগুলো পরিক্ষা আমি উতরে গেছি। অনেক দিন পর আমাকে দেখে বইমামা খুশি হলেন। বেশ ক্ষানিক্ষণ গল্প করলাম, কিন্তু মামাকে আর ভঘুররেদের বইটার কথা বলা গেলো না, কারন আজকাল কেউ নাকি নতুন বইতো দূরে থাক, পুরানো বই-ই কেনে না। আমি ভাবলাম, বাহ বেশতো আজকাল সবাই আমার মতোই ভবঘুরে... (চলবে)

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:৪১

রবাহূত বলেছেন: ্মিলন তোমাকে আমি চিনে গেছি! ভালো হচ্ছে!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.