সংখ্যালঘু নির্যাতন নাকি হিন্দু নিধন!!!

০৫ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৪:২৫

বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মধ্যে কি শুধু হিন্দু ধর্মালম্বীরাই পড়েন? খ্রিস্টান এবং বৌদ্ধ ধর্মালম্বীরা তাহলে কী দোষ করলেন? যে কোন সহিংসতায় শুধু হিন্দুদেরই কেনো টার্গেট করা হয়। আজ পর্যন্ত শুনিনি কোন গীর্জায় আগুন দেয়া হয়েছে। সবসময় আগুন দেয়ার জন্য হিন্দু মন্দিরকেই কেনো বেছে নেয়া হয়। অবস্থা দেখে মনে হয় বাংলাদেশের প্রধান সমস্যা হিন্দু ধর্মালম্বীরা। এদের সবাইকে বিনাশ করতে পারলেই তৈরি হবে সোনার বাংলাদেশ। হিন্দু নিধনের একটা অন্যতম কারণ নাকি ভারত বিদ্বেষ। বড়ই তাজ্জব ব্যাপার। আমার দেশের হিন্দুরা কী ভারতীয় নাকি? এটা যেমন আমার দেশ ঠিক তেমনি তারও দেশ। আর আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে হিন্দু ধর্মালম্বী প্রধান দেশ ভারত আমাদের আকন্ঠ সহায়তা করেছিলো। সেদিন আমার দেশের নিরীহ জনগন সেই হিন্দু রাষ্ট্রেই আশ্রয় নিয়েছিলো। আমার পতাকার অনেকটা অংশ জুড়ে রয়েছে ভারতীয় সেনাবাহিনীর নাম না জানা অনেক সৈনিকের রক্তের দাগ। তাদের অধিকাংশই হিন্দু ধর্মালম্বী। পাশ্ববর্তী রাষ্ট্রের বৈরি আচরণ নিয়ে আমাদের অভিযোগ থাকতেই পারে এবং তার সমাধানও সম্ভব রাজনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে। কিন্তু তার জন্য নিজের নাগরিকের ঘর, উপাসনালয় পুড়িয়ে দেয়াটা কোন ধরণের সংষ্কৃতি??? আর এখন যেই ইস্যুতে হিন্দু ধর্মালম্বীদের ঘর পুড়িয়ে দেয়া হচ্ছে তার সঙ্গে তো এই নিরীহ মানুষগুলোর সঙ্গে আদৌ কোন সম্র্পক নেই। আমার জানামতে যেই মহান বিচারক সাঈদীর রায় ঘোষনা করেছেন তিনি মুসুলমান। আগুন দিতে হলে মুসলমানের ঘরে দেন। অবশ্য এটাও আপনারা পারবেন। কারন মসজিদে আগুন দি্য়েই তো আপনারা আপনাদের সহিংসতার আগুন জ্বেলেছেন।

০ টি +০/-০