![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সারা রাত শিশির পড়ে ছাইরঙা শক্ত মাটির রাস্তায় কেমন যেনো কোমল ভাব এসেছে। তবে কাদা কাদা নয় কিছুতেই। রাস্তার দুধারেই বড় বড় গাছ। গাছের ঝরা পাতা রাস্তার মিাটিতে মিশে গিয়ে অদ্ভুত আলপনা করেছে...সুপারি বাগানের ভেতরে কোথাও একটা কাঠঠোকরা অনবরত ঠকঠক শব্দ করছে...সামনের পথের বাঁকটা ঘুরতেই থমকে দাঁড়ায় বালক। তার ডানপাশে সুপারির বাগান আর বাঁপাশে বিশাল পুকুর। সেই পুকুরের পানি থেকে ধোঁয়া উড়ছে...চাপ চাপ ধোঁয়া জমে রয়েছে পুকুরের ঠিক একটু উপরেই...নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে কষ্ট হয় তার... হাফপ্যান্টের পকেটে হাত ঢুকিয়ে খেলনা পিস্তলটার অস্তিত্ব নিশ্চিত করে পুকুরের দিকে তাকিয়ে আবার হাঁটা দেয়...নানা বাড়িতে পৌঁছেই এই সাতসকালে পুকুর থেকে ধোঁয়া ওঠার বিষয়টা সবজান্তা বড়োভাইকে জানাতে হবে...
আজ কদিন ধরেই ছোটবেলার এই স্মৃতিটা মাথার ভেতর ঘুরপাক খাচ্ছিল...বছর শেষে স্কুল বন্ধ দিলেই ফি বছর গ্রামের বাড়ি চলে যেতাম। বেড়ানো বলতে সারা বছরে এটুকুই। দাদা বাড়ি থেকে নানা বাড়ি হেঁটেই যাওয়া যেতো। মিনিট বিশেকের হাঁটা পথ। ভোর, দুপুর, রাত সবসময়ই নির্জন ছায়াঘেরা পথ। মাঝেসাঝে দুএকটি সাইকেল আর রিকশা। বছরখানেক আগে গিয়েছিলাম এই পথটায় হারানো প্রশান্তি খুঁজতে...মাটির রাস্তা পাকা হয়েছে, হয়েছে শান বাঁধানো পুকুর ঘাট আর সঙ্গে জুড়েছে রাজ্যের বিকট আওয়াজের অধিকারী ট্রাক্টর, ট্রাক আর অটোরিকশা...যাহ বাবা শান্তিকে এখান থেকেও রিফিউজি বানিয়ে দিলো...
©somewhere in net ltd.