জ্যামের ঠেলায় কুত্তা পাগল

০৭ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ৯:২২

আমাদের এই শহরে প্রতিদিন ঠিক কী পরিমান রোগী জ্যামে আটকে থাকা অবস্থায় অ্যাম্বুলেন্সেই মৃত্যুবরণ করেন অথবা মুমূর্ষ অবস্থা থেকে মুমূর্ষতর অবস্থায় পতিত হন এ নিয়ে কোন পরিসংখ্যান কি কারো জানা ‍আছে? আদৌ কি কখনো এ ধরণের কোন জরিপ হয়েছে?



অথবা এই দুঃসহ জ্যামের কারণে প্রতিদিন কি পরিমান মানুষ অফিসে লেট করেন, প্রতিদিন কতো পরীক্ষার্থী সঠিক সময়ে পরীক্ষার হলে পৌঁছতে পারে না, কতো মানুষ দূরপাল্লার বাস, ট্রেন, লঞ্চ অথবা বিমানের ফ্লাইট মিস করেন, সঠিক সময়ে জরুরি কাজটি সমাধা না করতে পারার কারনে কতো জনের ভাগ্য পুড়ে, কী পরিমান নারী ও শিশু দু‍ঃসহ জ্যামে আটকে অসুস্থ হয়ে পড়েন, জ্যামের কারনে এই নগরীর মানুষেরা কতোটা অসামাজিক হয়ে পড়ছেন অথবা জ্যামের সূত্র ধরে ঠিক সময়ে বাসায় না পৌঁছতে পারার কারনে শতকরা কতোভাগ মানুষ দাম্পত্য কলহে জড়িয়ে পড়ছেন আর কতো প্রেমিক তার প্রেমিকা হারাচ্ছে এসব কিছুর একটা সঠিক পরিসংখ্যান বড্ড প্রয়োজন...



যে কেউ ঠোঁট উল্টিয়ে বলতেই পারেন এই পরিসংখ্যান দিয়ে হবেটা কী? আছে কাম আছে...

তার আগে বলি, নগরীর একজন সারমেয় গোছের বাসিন্দা হিসেবে আমার দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা বলে, যেদিন এই শহরে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতি কোথাও কোন কর্মসূচির উদ্দেশে ছুটোছুটি করেন না ( প্রধানমন্ত্রীর ক্ষেত্রে সেটা একমাত্র হয় যখন তিনি বিদেশে থাকেন) সেদিন শহরে শতকারা ৩০ ভাগ জ্যাম কম থাকে...উঁহু ডিএমপির কোন পরিসংখ্যানের হিসাব এখানে খাটাইতে আইসেন না...উনারা জীবনেও মাননীয়দের চলাচলে কোন দোষ খুঁজে পাবেন না।



তাই বলছিলাম আমাদের নাস্তানাবুদের জরিপটি হওয়া খুব প্রয়োজন...জরিপের ফলাফল মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির দরবারে পাঠাতে হবে...সেই সঙ্গে সকল অসহায় নগরবাসীর পক্ষ থেকে করজোড়ে অনুরোধ জানিয়ে একটা চিঠি থাকবে...যাতে লেখা থাকবে...

‘আল্লাহর দোহাই লাগে ভদ্রমহোদয়গন আপনারা নগরীর যে কোন স্থানে চলাচলের জন্য হেলিকপ্টার ব্যবহার করুন। অন্যথায় দরবারে বসেই থ্রি জির পূর্ণ ফায়দা লুটে আপনাদের কার্য সমাধা করুন। নিশ্চয়ই হেলিকপ্টার ও ভিডিও কনফারেন্স আপনাদের বিশাল লটবহর নিয়ে এই চলাচল ও থমকে থাকা নগরীর অর্থনৈতিক, সামাজিক ও মানসিক অপচয়ের তুলনায় নিতান্তই সাশ্রয়ী। আল্লাহ আপনাদের হেদায়েত করুন।’

৩ টি +০/-০