![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি মহিউদ্দিন খালেদ। পেশায় ইঞ্জিনিয়ার। পড়তে ভালোবাসি। নিজের একটা চিন্তা জগত আছে। সেখানে চারপাশের অনেক কিছু নিয়ে অনেক নিঃশব্দ আলোচনা হয়! সেই আলোচনা গুলোর সাথে বৃহত্তর জগতের সংযোগ ঘটাতে ইচ্ছে করে!
আজ থেকে বাইশ তেইশ বছর আগের কথা। আমি তখন কিশোর। দেশে একটা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ‘হ্যাঁ’ ভোট/ ‘না’ ভোট নির্বাচন। এরশাদ কে পছন্দ হলে হ্যাঁ ভোট। অপছন্দ হলে না ভোট। মনে আছে বাজারের ভেতর লাঙ্গল মার্কা সহ এরশাদের ছবির উপর কোরবানির গরুর মালার মত একটা মালা। সেই পোস্টার নিয়ে অতি নিঃস্পৃহ একটা মিছিল। মিছিলের লোকগুলোর চোখে মুখেও এক ধরনের লজ্জা। গলায় জোর নাই।কারন তারা আগে থেকেই জানে এই নির্বাচনের ফলাফল! সেই দিন গুলো যে কত গুলো লজ্জার দিন, কাল দিন ছিল সেটা কারো বক্তৃতা শুনে বা পেপার পড়ে নয়, সহজাত অনুভূতি দিয়েই বুঝতে পেরেছিলাম।
এরশাদের পতনের পর দেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হল চারবার। সেই নির্বাচন গুলো তে ভোট দিতে যাবার সময় একটা ফিলিংস হত- আমি কোন দাস নই। আমার মতামত টা একটা শক্তি এবং সেই শক্তি আমি প্রয়োগ করতে যাচ্ছি!
৫ই জানুয়ারি’র নির্বাচন টা কি এরকম কিছু? এটা কি দেশের সাধারণ মানুষের মনে কোন ফিলিং তৈরি করছে? মানুষ কি তার শক্তি কে অনুভব করতে পারছে এই নির্বাচন কে কেন্দ্র করে? আমার শেষ প্রশ্ন টার জবাব ও যদি ‘না’ হয় তাইলে বলব এই নির্বাচনের রেস্পেক্টে দেশের অগণন সাধারণ মানুষ পরাধীন ক্রীতদাসে পরিনত হয়েছে।
তাইলে ফলাফল কি? দেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচনের যে একটা প্রক্রিয়া তৈরী হয়েছিল সেটা ধবংস হয়ে গেল। অর্থাৎ যারা ক্ষমতায় থাকবে তারা যেটা চাপিয়ে দেবে সেটাই আমাদের মেনে নিতে হবে।
যারা এই প্রক্রিয়াকে সমর্থন করছেন আমি তাদের একটা কথা মনে করিয়ে দিতে চাই এবং আপনার স্মরণ শক্তি ভাল হলে আমার কথাটা আজ থেকে বিশ বছর পরে স্মরণ করবেন- মানুষের উপর ভাল কিছু চাপিয়ে দেয়া এবং খারাপ কিছু চাপিয়ে দেয়া দুইটাই মানুষের স্বাধীনতা’র বিরোধী কাজ এবং দুইটাই সমান অপরাধ।
©somewhere in net ltd.