![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি মহিউদ্দিন খালেদ। পেশায় ইঞ্জিনিয়ার। পড়তে ভালোবাসি। নিজের একটা চিন্তা জগত আছে। সেখানে চারপাশের অনেক কিছু নিয়ে অনেক নিঃশব্দ আলোচনা হয়! সেই আলোচনা গুলোর সাথে বৃহত্তর জগতের সংযোগ ঘটাতে ইচ্ছে করে!
আসেন আসেন শরিফ সাহেব আসেন। বসেন। আরে! আপনাকে আবার পিএ র সাথে কথা বলে আমার রুমে ঢুকতে হয়? আপনি সোজা রুমে ঢুকে আমার সামনের চেয়ারে বসে পড়বেন। আপনারা হচ্ছেন আপন মানুষ। আপনাদের সাথে এত প্রটোকল কিসের!
শরিফের সামনের চেয়ারে বসা ‘উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা’র মুখ হাসিতে উপচে পড়ছে। রুমে উনি এবং শরীফ ছাড়া আর কেউ নাই।
কি খাবেন শরিফ সাহেব? কফি দিতে বলব?
না স্যার। আমার আবার এখুনি অফিসে যেতে হবে।মিটিং। স্যার আমি কি টাকাটা আপনার ড্রয়ারে রাখব?
ছি ছি ছি ছি! কি লজ্জা দিচ্ছেন শরীফ সাহেব! সামান্য একটা কাজের জন্য টাকা দেবেন! নিয়ে যান ত!
সরি স্যার! আপনার ব্যক্তিগত ড্রয়ারে টাকা রাখার কথা বলা বোধয় ঠিক হয় নি! ক্ষমা করবেন স্যার!
এ এ ই যে শরিফ সাহেব! এ এ ই যে! এবার কিন্তু আমি খুব মাইন্ড করলাম! আচ্ছা আপানাদের সাথে আমার কি সেরকম সম্পর্ক যে কোনটা ব্যক্তিগত আর কোনটা অব্যক্তিগত সেটা নিয়ে ভাবতে হবে? আপনার ইচ্ছে হলে টাকা আমার ড্রয়ারে রাখবেন। ইচ্ছে হলে হাতে দেবেন। ইচ্ছে হলে পকেটে ঢুকিয়ে দেবেন! আমি যদি আপনাদের পর ভাবতাম তাইলে কি আপনাদের এমডি কে কখনো ওরকম করে বলতাম- আমার ছেলের জন্মদিনে একটা আইপ্যাড কিন্তু আপনাদের দিতেই হবে। এটা আমার একান্ত আবদার!!
‘একশ টা একহাজার টাকার নোটের বান্ডিল’ টা উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তার ড্রয়ারে রেখে শরিফ রুম থেকে বেরিয়ে আসল। উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা কফি খাবার জন্য অনেক অনুনয় করলেন। শরিফ অনুনয়ে সাড়া দিল না!
শরিফের মুখটা বিস্বাদ লাগছে। শরিফ বরাবর ই দেখেছে যখুনি কাওকে ঘুসের টাকা দিতে যায় তার মুখ টা এরকম বিস্বাদ হয়ে যায়। চারদিকের পৃথিবীটাকে খুব বিমর্ষ লাগে।
©somewhere in net ltd.