নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

প্রবাস জীবন (দুবাই)-ধর্ম-স্বাস্থ্য-টিপস-আমার কথা--

জানার আগ্রহ মানুষের চিরন্তন, বই হলো তার বাহন, আইনের মৃত্যু আছে কিন্তু বইয়ের মৃত্যু নেই।

সিটিজি৪বিডি

আজকের দিনই শেষ দিন মনে করতে হবে..কারন হঠাৎ করেই একদিন মরতে হবে.. কেয়ামত পর্যন্ত কবরে থাকতে হবে.. হাশরের মাঠে আল্লাহর সামনে উপস্থিত হতে হবে.. জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত সমস্ত কর্মকান্ডের হিসাব দিতে হবে.. পুলসিরাত পার হতে হবে.. তারপর....... জান্নাত অথবা জাহান্নামই হবে আসল ঠিকানা....

সিটিজি৪বিডি › বিস্তারিত পোস্টঃ

/:):((যৌথ পরিবারে বউ-শাশুড়ির দ্বন্দ্ব-----------

০৭ ই জুলাই, ২০১২ সকাল ১১:২৭

যৌথ পরিবারে বউ-শাশুড়ির দ্বন্দ্বটা থেকেই যায়। অন্য এক মেয়ে ছেলেকে, পর করে দিচ্ছে এ ব্যাপারগুলো মেনে নিতে হয়তো অনেক বেশিই সময় লাগিয়ে নেন শাশুড়িরা। অনেক সময় মেনে নেয়ও না। বেশিরভাগ শাশুড়ি বউকে প্রতিপক্ষ ভাবে। ফলে মারমুখো আচরণ প্রকাশ পায়। তিনি ভুলে যান কোনো একদিন তিনিও বউ ছিলেন। বরং, তিনি তার শাশুড়ির জায়গা দখল করে তার মতোই নিজেকে প্রকাশ করতে চান।



যে মেয়ে বউ হয়ে তার ঘরে এসেছে, পুরোনো পরিবেশ ফেলে নতুন এ পরিবারে নিজেকে খাপ খাওয়াতে যে ব্যাকুল তাকে তিনি নতুন প্রজাতির কোনো প্রাণী ভেবে নেন। কিন্তু বউ এবং শাশুড়িই দিনের বেশি সময় একসাথে কাটায়। তাদের মধ্যেই ভালো বোঝাপড়া থাকা দরকার। কারণ, কোনো সমস্যায় সবার আগে একজনই অন্যকে সাহায্য করবে। এ ব্যাপারটা বৌ-শাশুড়ি দুজনেই ভালোভাবে বোঝে, এমন পরিবার হাতেগোনা ক’টা আছে। কিংবা আদৌ পাওয়া যাবে কি না এ ব্যাপারে সন্দেহ আছে। মূল কথা হলো, দু’জনের প্রতি দু’জনের মনোভাবের পরিবর্তন করতে হবে।



শাশুড়িকে মনে রাখতে হবে, বউ তার সমবয়সী বা প্রতিপক্ষ নয়। আর বউকে শাশুড়ির সাথে মানিয়ে নিতে হবে। দুজনকেই ছাড় দিতে হবে এবং দুজনের ভালো-মন্দই দুজনকে বুঝতে হবে। তবে শাশুড়ির ওষুধপত্র থেকে শুরু করে তার একা থাকার সময়টাতে তাকে আনন্দে রাখার জন্য বউকে তার পাশে থাকতে হবে। বউ শাশুড়িকে মা এবং শাশুড়ি বৌকে মেয়ে ভেবে নিলে দুজনের ত্র“টিগুলোকে ছাড় দিলে বউ-শাশুড়ির সম্পর্কটা বেশ ভালো হয়। দুজন একসাথে কিছু সময় গল্প করে, টিভি দেখে সময় কাটাতে পারে। আর খুব জরুরি একটি ব্যাপার হলো, বউ-শাশুড়ি এবং ঘরের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারগুলো নিয়ে পাড়া-পড়শি বা আত্মীয়-স্বজন অন্য কারো সাথে আলোচনা করা মোটেও ঠিক না। এবং এ নিয়ে কারো পরামর্শ না নিলেই বরং বেশিরভাগ পরিবার ভালো থাকতে পারবে। এ ব্যাপারগুলো বোঝার জন্য প্রয়োজন দুজনের ভালো মানসিকতার অধিকারী হওয়া। এ প্রসঙ্গে ড. মেহতাব খানম বলেন,



বউ-শাশুড়ি সম্পর্ক নিয়ে এ প্রজন্মের মেয়েদের মধ্যে রয়েছে অনেক শঙ্কা। শাশুড়ি মানেই যে শাসন আর কর্তৃত্ব খাটানো, তা কিন্তু ঠিক নয়। এক্ষেত্রে দুই প্রজন্মের মানুষের এক ধরনের মানসিক দ্বন্দ্ব দেখা যায়। শাশুড়িকেও নববধূর মানসিক অবস্থার দিকে খেয়াল রাখতে হবে।



বাবার বাড়ি ছেড়ে যেই মেয়েটি স্বামীর সংসারে আসে বাকীটা জীবন কাটানোর জন্য তার জন্য আন্তরিক হওয়াটা খুবই জরুরি।



অন্যদিকে নববধূকেও মনে রাখতে হবে যে, শাশুড়িকে অবহেলা বা বিদ্রƒপ করলে সম্পর্কের তিক্ততা বাড়বেই সেই সাথে তার প্রভাব পরিবারের উপর পড়বেই।



নববধূর করণীয় আপনি চাইলেই বউ-শাশুড়ির সম্পর্ক মধুর করতে পারেন। সেক্ষেত্রে নববধূর উপরে দায়িত্বটা অনেক বেশি। নববধূদের যেসব বিষয়ে খেয়াল রাখা উচিত-



১. শাশুড়ির মতামতকে প্রাধান্য দিন। কখনোই দুর্ব্যবহার করবেন না। কোনো বিষয়ে মতের বিরোধ হলে ঠান্ডা মাথায় বুঝিয়ে বলুন।



২. শাশুড়ির পছন্দের মেন্যুগুলো মাঝে মাঝে রান্না করুন। হঠাৎ করেই ছোটখাটো কোনো গিফট উপহার দিতে পারেন।



৩. মাঝে মাঝে শাশুড়িকে নিয়ে বেড়িয়ে আসুন কাছে কোথাও। শপিং-এও শাশুড়িকে নিয়ে যেতে পারেন।



৪. শাশুড়ির জন্মদিন ও ম্যারেজ ডে ভুলে যাবেন না কিন্তু।



৫. সব বিষয়ে শাশুড়ির সাথে কথা বলুন। শাশুড়িকে বন্ধুর মতো ভাবুন।



শাশুড়ির করণীয়ঃ



১. নববধূকে আন্তরিকতার সাথে গ্রহণ করুন।



২. অযথাই কাজের চাপ দিবেন না। সাংসারিক সব কাজ ভালো করে বুঝিয়ে দিন। ভুল হলে তা শুধরে দিবেন পরিবারের একজনের মতো করে।



৩. অন্যের মেয়ে নয় নিজ মেয়ের মতোই আচরণ করুন নববধূর সাথে। মনে রাখবেন যদি আপনার মেয়ে থাকে তবে সেও কিন্তু আরেক পরিবারে যাবে।



৪. নববধূর ছোটখাটো কাজে প্রশংসা করুন। তাতে করে সে আরো অনেক বেশি উৎসাহী হবে সাংসারিক দায়িত্ব নেবার জন্য।



৫. কখনোই প্রতিবেশি কারো বউয়ের সাথে তার তুলনা করবেন না। এতে করে সে নিজেকে হীন মনে করতে পারে। আবার পরিবারের প্রতি নববধূর বিরূপ ধারনা জন্মাবে।



মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই জুলাই, ২০১২ সকাল ১১:৩২

পুরাতন বলেছেন: +++

০৭ ই জুলাই, ২০১২ দুপুর ১২:২৮

সিটিজি৪বিডি বলেছেন: ধন্যবাদ

২| ০৭ ই জুলাই, ২০১২ সকাল ১১:৩৮

যুগান্তকারী পদক্ষেপ বলেছেন: সুপার একটা পোস্ট । এটা আমাদের দেশের অন্যতম একটা সমস্যা।
+++++++++++++++++++++++++++++++

০৭ ই জুলাই, ২০১২ দুপুর ১২:২৮

সিটিজি৪বিডি বলেছেন: ধন্যবাদ

৩| ০৭ ই জুলাই, ২০১২ সকাল ১১:৪৪

আবু সালেহ বলেছেন: যে পরামর্শগুলো দিয়েছেন তা মেনে চললে তো কোন কথাই ছিলো না.....

কিন্তু কেউ কারোটা শুনে না..... :( :( :(

আর এ জন্য বউ শ্বাশুড়ী দন্ধ লেগেই থাকে.....

০৭ ই জুলাই, ২০১২ দুপুর ১২:২৯

সিটিজি৪বিডি বলেছেন: বউ শাশুড়ির দন্ধের কারনে সংসারে অশান্তি চলথে থাকে।

৪| ০৭ ই জুলাই, ২০১২ দুপুর ১২:০০

রাজনীতি বলেছেন: এই ওয়াজ মাহফিল অ....................নে..............................ক.... শোনানো হইছে। কিন্তু পরিবেশের উন্নতি বাংলাদেশে হয়নি আর হবেও না। বউ আর শাশুরী মানেই একটা নব প্রজন্মের যুদ্ধ যুদ্ধ অবস্থা। কাজেই এগুলা বুঝিয়ে লাভ নাই। বাংলাদেশে বউ মানে হইল ছোট পিচ্চি কিচ্ছু বুঝেনা আর শাশুরী মানে হইল দুনিয়ার সবচেয়ে জ্ঞানী মহিলা আর অভিজ্ঞতার ভান্ডার। আর যুদ্ধের বিজয়ী হওয়ার সেনাপতি যিনি কখনো হারেননি আর হারবেননা। তাই এই অবস্থা মেনেই .....বিয়ের জন্য অবিবাহিতরা প্রস্তুতি নেন।

০৭ ই জুলাই, ২০১২ দুপুর ১২:৩০

সিটিজি৪বিডি বলেছেন: আমি একবার বিয়ে করেছি ভাই---------

৫| ০৭ ই জুলাই, ২০১২ দুপুর ১২:৫১

মোমের মানুষ বলেছেন: বউ-শাশুড়ীর দ্বন্দ অনেকাংশেই কমে যাবে স্বামীর আন্তরিকতা থাকলে, অনেক সময়েই দেখা যায় স্ত্রী স্বামীকে যেভাবে বুঝায় স্বামী সেভাবে চলে, দীর্ঘদিনের মা কে ভুল বুঝতে থাকে। এ ব্যাপারে ছেলে বা স্বামীরা একটু সচেতন হলে এগুলো অনেকাংশেই কমে যাবে।

বোনদের বলব আপনারাও এক সময় শাশুড়ি হবেন। এখন আপানার শাশুড়ীর সাথে যে ধরনের ব্যবহার করেন, একদিন আপনিও আপনার ছেলের বউ থেকে এ ব্যবহারের চেয়ে কোন অংশেই কম পাবেন না বরং বেশিই পাবেন। ভাল করলে, ভাল আচরন বেশি পাবেন। আর খারাপ করলে, খারাপ আচরনই পাবেন

৬| ০৭ ই জুলাই, ২০১২ দুপুর ১২:৫৪

অনিমেষ হৃদয় বলেছেন: জয়েন্ট ফ্যামিলিতে মানুষ... ছোটবেলা থেকে এইসব দেখে আসতে আসতে ক্লান্ত। খুব বিশ্রী লাগে... কেন যে এতো বড় মানুষরা অবুঝের মতো আচরণ করে!

ঘরে আসার আগেই একজন আরেকজনকে প্রতিপক্ষ ভেবে নেয়... এ শুধু আমাদের দেশেই সম্ভব

১৪ ই জুলাই, ২০১২ সকাল ১১:০৪

সিটিজি৪বিডি বলেছেন: সহমত।

৭| ০৭ ই জুলাই, ২০১২ দুপুর ১:৫৩

ঝটিকা বলেছেন: বেশির ভাগ শাশুড়ির সবচেয়ে বড় যে ধারনা জন্ম নেয় তা হল তার ছেলে পর হয়ে গেল। এটা ঠিক বিয়ের পরে সব ছেলেরাই প্রথম প্রথম বউকে বেশি সময় দেয়, কেয়ার নেয় এবং এটায় স্বাভাবিক। যুগ পাল্টছে। এখন মেয়েরা তার হাসবেন্ডের কাছে বেশি সময়/কেয়ার চায়। আগের যুগে যেটা ছিল না বা চাইলেও পেত না। এ ব্যাপারটা কোন শ্বাশুড়িই ভাল ভাবে নিতে পারে না। সমস্যা তৈরী হয় তখনই।

আবার আপনি যেটা বলেছেন "বেশিরভাগ শাশুড়ি বউকে প্রতিপক্ষ ভাবে"। বউকে শাশুড়ী তার একচ্ছত্র কতৃত্বের ভাগিদ্বারী মনে করে। ভুলে যায় ছেলে-বউ মিলে তাদের একটা নতুন সংসার শুরু করতে যাচ্ছে, যেখানে বউয়ের একটা বড় অধিকার আছে। সেখানে শ্বাশুড়ীদের অনধিকার চর্চা অনেক বউই মেনে নেয় না।

আবার বউরাও কম যায় না। শ্বাশুড়ীদের কে উটকো ঝামেলা মনে করে। মনে করে তাদের স্বাধীনতার খর্ব করছে।

সব মিলিয়ে উভয়কেই বাস্তব ধর্মী হতে হবে, ছাড় দিতে হবে। তাহলে শান্তি সম্ভব।কেউই খুব খারাপ না, পরিস্থিতির চাপে অনেকে খারাপ আচরণ করে।

৮| ১১ ই জুলাই, ২০১২ দুপুর ১:৩৫

কালা মনের ধলা মানুষ বলেছেন: বুকমার্ক করে রাখলাম। বিয়া করুম সামনেই। তখন লেখাটা প্রিন্ট কইরা, লেমিনেটিং কইরা দরজায় টাঙ্গায়া রাখুম।

অনেক ধন্যবাদ।

১৪ ই জুলাই, ২০১২ সকাল ১১:০৫

সিটিজি৪বিডি বলেছেন: ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.