নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আজকের দিনই শেষ দিন মনে করতে হবে..কারন হঠাৎ করেই একদিন মরতে হবে.. কেয়ামত পর্যন্ত কবরে থাকতে হবে.. হাশরের মাঠে আল্লাহর সামনে উপস্থিত হতে হবে.. জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত সমস্ত কর্মকান্ডের হিসাব দিতে হবে.. পুলসিরাত পার হতে হবে.. তারপর....... জান্নাত অথবা জাহান্নামই হবে আসল ঠিকানা....
জানালা দিয়ে এই ছবিটি তুলেছিলাম। ছবিতে এই ছেলেটি খুব বিমর্ষ দেখাচ্ছে। ছেলেটি জামায় ছিদ্র করে দুটি পানির বোতল রেখেছে। হয়ত সে কমলাপুরের রেল ষ্টেশনের কুলি হবে।
গত ২৬ এপ্রিল মহানগর গোধুলীতে চড়ে ঢাকার কমলাপুর থেকে চট্টগ্রাম এসেছিলাম। বিকাল চারটার ট্রেন ছেড়েছিল সন্ধ্যা ৬টায়। এই ট্রেনে এসি কামরা নাই। তাই বাধ্য হয়ে প্রথম শ্রেনীর টিকেট নিয়েছিলাম। ট্রেনের কামরায় প্রবেশ করেই মনটা খারাপ হয়ে গিয়েছিল। প্রথম শ্রেনীর কামরার চেয়ারগুলো ছেড়া ও ময়লা হয়ে গেছে। দেখে মনে হয়েছিল কোনদিন চেয়ারের কাপড়গুলো ওয়াশরুমের মুখ দেখেনি। ট্রেন ছাড়ার মহুত্বে প্রথম শ্রেনীর কামরাতেও বিভিন্ন ষ্টেশনের অবৈধ যাত্রীরা হুমড়ি খেয়ে উঠে যেখানে পারে দাড়িয়ে ছিল। দেখে মনে হয়েছিল লোকাল ট্রেন। ট্রেনের পুলিশ তাদেরকে কোন বাঁধা দেয়নি। এই দৃশ্য হয়ত প্রতিদিনের। আমরা যারা প্রথম শ্রেনীর টিকেট নিয়ে একটু আরামে বসে যেতে চেয়েছিলাম তারা কিছুটা হতাশ। কারণ জিনিষপত্রের কোন নিরাপত্তা নেই। সারাক্ষণ চোখ-কান খেলা রাখতে হয়েছে। কমলাপুর থেকে চট্টগ্রাম যেতে সময় লাগার কথা ৬ ঘন্টারও কম সময়। কিন্তু এই ট্রেন চট্ট্রগামে পৌছে রাত তিনটায়। মহানগর গোধুলী সম্পর্কে আমার কোন ধারনা ছিল না। মনে করেছিলাম সুবর্ণ এক্সপ্রেসের মত হবে। পরিবার নিয়ে ১১ ঘন্টার বেশী সময় ট্রেনে বসে বসে সৃষ্টিকর্কার কাছে বাংলাদেশ রেলওয়ের কর্মকর্তাদের জন্য দোযা করে ভোর চার টায় বাসায়--------------
অরক্ষিত কমলাপুর রেল ষ্টেশন।
©somewhere in net ltd.
১| ২০ শে মে, ২০১৩ রাত ৯:০৩
মামুন হতভাগা বলেছেন: o