নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আজকের দিনই শেষ দিন মনে করতে হবে..কারন হঠাৎ করেই একদিন মরতে হবে.. কেয়ামত পর্যন্ত কবরে থাকতে হবে.. হাশরের মাঠে আল্লাহর সামনে উপস্থিত হতে হবে.. জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত সমস্ত কর্মকান্ডের হিসাব দিতে হবে.. পুলসিরাত পার হতে হবে.. তারপর....... জান্নাত অথবা জাহান্নামই হবে আসল ঠিকানা....
আমাদের পারিবারিক জীবনে সন্তানদের শাস্তি প্রদানের এক অভিনব ও ব্যতিক্রমধর্মী ভূল প্রথা প্রচলিত রয়েছে। পৃথিবীর খুব কম দেশেই এই প্রথার প্রচলন রয়েছে। তা হল শাস্তি প্রদানে মায়ের অভিনয়। শুনুন তাহলে তার ব্যাখা। মনে করুন, আপনার শিশু এমন একটি অন্যায় বা অপরাধ করেছে- যা অবশ্যই শাস্তির উপযুক্ত। যেমন, দিনভর সে বাড়ী থেকে উধাও হয়ে রইল। কোথায় আছে, কি করে বেড়াচ্ছে, কেউ জানে না। কিন্ত যে সময়টা তার বাবার ঠিক বাড়ী ফেরার, তার পূর্ব মুহুত্বে সে বাড়ীতে উপস্থিত হয়ে গেল। তখন আপনি জিজ্ঞেস করেন, দিনভর কোথায় ছিলি? সত্যি কথা বল। কিন্তু প্রত্যুত্তরে সে কিছুই বলে না। অবশেষে আপনি বিরক্ত হয়ে তার বাবার নিকট বিচার দিবেন বলে হুমকী দেন যে, আজ আসুক তোর বাবা। সারাদিন বাইরে ঘোরা ফেরা করার মজা দেখিয়ে ছাড়ব। এত কিছুর পরেও শিশু কোথায় ছিল কিছুই বলে না। অতঃপর শিশুর বাবা যখন বাসায় ফেরেন তখন আপনি অভিযোগ ও করেন যে, আপনার সন্তান সারাদিন বাইরে বাইরে ছিল। ঠেং ভাঙ্গুন এক্ষুনিই। কোথায় ছিল? কাদের সাথে ছিল? জিজ্ঞাসা করুন। তখন বাবা শিশুর এই চাল-চলনও অসদাচরণ বড় জগন্য অপরাধ বলে বিবেচনা করেন এবং তাকে কঠোর শাস্তি দিতে উত্তেজিত হন। তাকে শাস্তি দেওয়ার প্রয়োজনও রয়েছে বটে। ঠিক ঐ মুহত্বে আপনার হৃদয় সাগরে ভালবাসা, স্নেহ-মমতার বন্যা বয়ে যায় এবং আপনার স্বামীর ক্ষোধ প্রশমিত করতে আর নয়নমনি আদরের সন্তানকে রক্ষা করতে, তাকে আড়াল করতে, খুব অনুনয়, বিনয় করতে থাকেন যে, ওকে ক্ষমা করে দিন, ওকে মাফ করে দিন। এর ফলশ্রুতিতে শিশুর দুঃসাহস বেড়ে যায় এবং তার অন্তর এ ব্যাপারে আশ্বস্ত হয় যে, স্নেহময়ী মা জননী যতদিন এ বিশ্ব বসুন্ধরায় জীবিত আছেন, কেউ আমাকে শাস্তি দিতে পারবে না। পক্ষান্তরে আপনি মনে মনে আনন্দ অনুভব করেন যে, মাতৃস্নেহের হক আদায় করে দিলাম। এ ক্ষতিকারক ভুল স্নেহ-মমতা আপনার শিশুকে অধিকাংশ অপরাধ ও অন্যায়ের পথে চলার স্বাধীনতা দান করে।
একজন “আদর্শ মা” হিসেবে আপনার কর্তব্য এটাই ছিল যে, নিজেই শিশুকে কিছু শাস্তি দিয়ে দেওয়া এবং তার বাবার কাছে অভিযোগ উত্থাপন না করা। এখন যেহেতু অভিযোগ করা হয়ে গেছে, তখন শিশুকে শাস্তি দেওয়ার জন্য আপনার স্বামীকে সুযোগ দেওয়া এবং বাধা না দেওয়া কর্তব্য। এক্ষেত্রে অতিশয় আদর দেখিয়ে আপনার ভুল সিদ্ধান্তের কারনে শিশুর চারিত্রিক অবক্ষয়ের দ্বার উম্মুক্ত হয়। এই শিশু বড় হয়ে পড়ে বে-পরোয়া, উচ্ছূখল, সন্ত্রাসী, সমাজের কলন্ক।
সুত্রঃ
"আদর্শ মা"
২| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:২৭
স্বপনচারিণী বলেছেন: শুরু থেকেই আদর, শাসন দুটোই করা উচিৎ। এ ক্ষেত্রে ভুমিকা মা-বাবা দুজনেরই।
©somewhere in net ltd.
১| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:২৫
মুহামমদল হািবব বলেছেন: ভালো লাগলো। ধন্যবাদ।