নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আজকের দিনই শেষ দিন মনে করতে হবে..কারন হঠাৎ করেই একদিন মরতে হবে.. কেয়ামত পর্যন্ত কবরে থাকতে হবে.. হাশরের মাঠে আল্লাহর সামনে উপস্থিত হতে হবে.. জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত সমস্ত কর্মকান্ডের হিসাব দিতে হবে.. পুলসিরাত পার হতে হবে.. তারপর....... জান্নাত অথবা জাহান্নামই হবে আসল ঠিকানা....
কন্যা সন্তান আল্লাহ প্রদত্ত এক শ্রেষ্ট নেয়ামত।
কন্যা সন্তান মহান আল্লাহ তা'য়ালার পক্ষ থেকে মাতা-পিতার জন্য একটি বিশেষ শ্রেষ্ট নেয়ামত। কন্যা সন্তানকে অশুভ মনে করা কাফিরদের বদস্বভাব। কন্যা সন্তানকে অপছন্দ করা খাটি মুমিনের পরিচায়ক নয়। কন্যা সন্তান অশুভ নয়, অকল্যানকর নয়। বরং কন্যা সন্তান জন্ম নেয়া খোশ কিসমতী ও সৌভাগ্যের নিদর্শন।
হযরত আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত হয়েছে, রাসুলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করেন- ঐ স্ত্রী স্বামীর জন্য অধিক বরকতময়, যার দেন-মোহরের পরিমান কম হয় এবং যার প্রথম সন্তান হয় মেয়ে।"
রাসুলুল্লাহ (সাঃ) আরো ইরশাদ করেন-" যার গৃহে কন্যা সন্তান জন্ম গ্রহন করল, অতঃপর সে তাকে (কন্যাকে) কষ্টও দেয়নি, তার উপর অসন্তুষ্ট ও হয়নি এবং পুত্র সন্তানকে প্রাধান্য দেয়নি, তাহলে ঐ কন্যার কারনে আল্লাহ তা'য়ালা তাকে বেহেশতে প্রবেশ করাবেন।" (মুসনাদে আহমদ, ১ঃ২২৩
রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন," যে ব্যক্তির তিনটি কন্যা সন্তান হবে, এবং সে তাদেরকে এলেম-কালাম, আদব-কায়দা শিক্ষা দিবে, এবং যত্নের সাথে প্রতিপালন করবে ও তাদের উপর অনুগ্রহ করবে, সে ব্যক্তির উপর অবশ্যই জান্নাত ওয়াজিব হয়ে যাবে।
উল্লেখিত আলোচনা দ্বারা প্রমানিত হয় যে, কন্যা সন্তান আল্লাহ তায়ালার এক বিশেষ নেয়ামত। সুতারাং কন্যা সন্তানকে বেশী করে ভালবাসুন। আদর-সোহাগ করুন আর মায়া-মমতা দিয়ে লালন-পালন করুন। সে তো আপনার কলিজার টুকরার টুকরো....দেহের এক বিশেষ অংশ। রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এর অসীম বানীর প্রতি লক্ষ্য রেখে কন্যা সন্তানকে পুত্রের চাইতে ও বেশী আদর যত্ন করুন।
আরব দেশে আবু হামজা নামক এক ব্যক্তি এক মহিলাকে বিবাহ করে। লোকটি পুত্র সন্তানের প্রত্যাশী ছিল। কিন্ত তাদের গৃহে কন্যা সন্তান জন্ম দিল। লোকটি তখন ক্ষোভে-দুঃখে স্ত্রীর নিকট যাতায়াত বন্ধ করে দিল এবং স্ত্রীর থেকে পৃথক হয়ে অন্য একটি বাড়ি ভাড়া করে বসবাস করতে লাগল। দীর্ঘ এক বৎসর অতিবাহিত হওয়ার পর একদিন ঐ লোকটি তার স্ত্রীর গৃহের কাছ দিয়ে অতিক্রম করছিল। তখন তার কর্ণে স্বীয় স্ত্রীর সুপরিচিত মধুর কন্ঠে একটি কবিতার পংক্তি ভেসে এল। স্ত্রী তার কন্যাকে আদর সোহাগ ছলে বললেন-
“আবু হামজার কি হল যে, আমাদের কাছে আসে না?
পাশের বাড়িতে ভাড়া থাকে, তবু আমাদের খোঁজ নেয় না!
অসন্তুষ্ট সে, কেন পুত্র সন্তান জন্ম দিলাম না?
শপথ আল্লাহর, এসব কিছু তো আমার ক্ষমতার অধীনে না।
মহান আল্লাহ যা কিছু দেন, তাইতো মোদের শান্তনা।”
স্ত্রীর কন্ঠের একথা গুলো স্বামীকে দারুনভাবে প্রভাবাম্বিত করে এবং ঈমান, এক্বীন ও আল্লাহর ফয়সালার সম্মুখে মস্তক অবনত করতে বাধ্য করে । তখন আবু হামজা গৃহে প্রবেশ করে স্ত্রী ও কন্যার কপালে কৃতজ্ঞতার চুম্বন একে দিয়ে কন্যা সন্তানরূপে করুনাময় আল্লাহ তায়ালা যে মহান নিয়ামত তাকে দান করেছেন, তার প্রতি সন্তোষ ও আনন্দ প্রকাশ করে । এভাবে তাদের সংসার সুখের সংসারে পরিণত হয়।
০৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১২:৫০
সিটিজি৪বিডি বলেছেন: আমার একটি কন্যা আছে নাম তার জারিফা অমরিন। তার জন্য দোয়া করবেন।
২| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১২:০৪
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: যে ব্যক্তি দুইজন কন্যাসন্তানকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত করবে (দ্বীনি শিক্ষায়)তার জন্য জান্নাত ওয়াজীব। এমনটাই হাদীসে আছে। রসুল সঃ বলেছেন চারটি জিনিস আমার খুব প্রিয় সুগন্ধি নারী আর আমার চোখের তৃপ্তি নামাযে নিহীত।
৩| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৬
আহমেদ আলিফ বলেছেন:
জারিফা অমরিন এর জন্য শুভ কামনা !
৪| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১:১৭
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: হাদীসে কন্যদের সৎপাত্রে বিয়ে দেয়ার উল্লেখ আছে।
৫| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ২:২৪
টুনা বলেছেন: Apnar mear jonno sovo kamona roilo. Alhamdulillah I have 3 daughters.
©somewhere in net ltd.
১| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১১:৪৩
আহমেদ আলিফ বলেছেন:
ভাই আমিও আশা করি, এবার যেনো আল্লাহ আমাকে একটি নেক কন্যা সন্তান দান করেন ।
আপনার দোয়া করবেন !
পোস্ট এ প্লাস +++