নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আজকের দিনই শেষ দিন মনে করতে হবে..কারন হঠাৎ করেই একদিন মরতে হবে.. কেয়ামত পর্যন্ত কবরে থাকতে হবে.. হাশরের মাঠে আল্লাহর সামনে উপস্থিত হতে হবে.. জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত সমস্ত কর্মকান্ডের হিসাব দিতে হবে.. পুলসিরাত পার হতে হবে.. তারপর....... জান্নাত অথবা জাহান্নামই হবে আসল ঠিকানা....
এবার সপ্তমবারের মতো বিয়ের পিড়িতে বসলেন শতবর্ষী হারেছ উদ্দিন মুন্সী। ঘরে তুললেন নববধূ রাহিমা খাতুনকে। হারেছ উদ্দিনের বাড়ি ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার চন্ডীপাশা ইউনিয়নের পশ্চিম বাঁশহাটি গ্রামে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে হারেছ উদ্দিন মুন্সী বলেন, হাদিসে সামর্থ্যবান পুরুষের এক সাথে ৪ বিবি রাখার নিয়ম আছে। আমার সামর্থ্য না থাকায় আমি একের পর এক সাতটি বিয়ে করেছি। তিনি বলেন, আল্লাহ আমাকে সুস্থ রেখেছেন। এখনো স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করতে পারি। খোলা জায়গায় খালি চোখে কোরআন শরীফও পড়তে পারি।
সরজমিনে গেলে আলাপচারিতায় হারেছ উদ্দিন মুন্সী জানান, বাংলা ১৩২৭ সালে তার জন্ম। বাবা আলী নেওয়াজ মুন্সীর এক মাত্র ছেলে তিনি। তার বাবার প্রায় পাঁচ হাজার শতক জমি বিক্রি করে, জীবনের শেষ প্রান্তে রিকশা চালিয়েছেন হারেছ মুন্সী। এখন তার এক মাত্র আয়ের উত্স তিন মাস অন্তর অন্তর পাওয়া বয়স্ক ভাতার টাকা। এই দীর্ঘ জীবনে একে একে সাতটি বিয়ে করেছেন তিনি।
প্রথম স্ত্রীঃ ২২ বছর বয়সে প্রথম স্ত্রী আমেনা খাতুনকে বিয়ে করে প্রায় ২০ বছর সংসার করেছেন। ওই স্ত্রীর চার ছেলে ও এক মেয়ে সন্তান রয়েছে।
দ্বিতীয় স্ত্রীঃ আমেনা খাতুন মারা যাওয়ার পর দ্বিতীয় স্ত্রী সাজেদা আক্তারের সাথে পাঁচ বছর সংসার করেন। এই স্ত্রী তাকে ছেড়ে চলে যাওয়ার পর মজিদা আক্তারকে বিয়ে করেন।
তৃতীয় স্ত্রীঃ তৃতীয় স্ত্রী মজিদা আক্তার মাত্র ছয় দিন সংসার করে চলে যান।
চতুর্থ স্ত্রীঃ এরপর অরবুলা খাতুনকে চতুর্থ বিবি হিসেবে বিয়ে করলে ১০ বছর সংসার করার পর ওই বিবিও অন্যত্র বিয়ে করে চলে যান।
পঞ্চম স্ত্রীঃ পঞ্চম স্ত্রী ললিতা আক্তার দুই বছর সংসার করে চলে যান।
৬ষ্ঠ স্ত্রীঃ এরপর বিয়ে করেন আয়শা আক্তার নামে আরেক জনকে । ৬ষ্ঠ স্ত্রী আট বছর সংসার করে মারা যায়।
সপ্তম স্ত্রীঃ হারেছ উদ্দিন মুন্সী আবারও নিঃসঙ্গ হয়ে পড়লে গত আগস্ট মাসে সপ্তম স্ত্রী রাহিমা খাতুনকে জীবন সঙ্গী করেন।
হারেছ উদ্দিন মুন্সীর তৃতীয় ছেলে নূর উল্লাহ্ (৪৫) বলেন, ‘বাবাকে এই বিয়েটা আমি করাইছি। আধ্যাত্বিক লাইনের লোক আমি মাজারে মাজারে থাকি। অন্য ভাইরা আলাদা থাকে। তাই বাবার সেবা যত্ন করার জন্যে এই মাকে আনছি।’
Click This Link
=========================================
আমাদের দেশে বৃদ্ধ বয়সেও বিয়ের করার দৃশ্য আমরা দেখে আসছি। তার একমাত্র কারণ হচ্ছে স্ত্রী মারা যাবার পর এই বৃদ্ধ মানুষগুলো একা হয়ে পড়ে। তাদের সেবা করার জন্য কেউ পাশে থাকে না। তাদের ছেলে-মেয়েরা যার যার সংসার নিয়ে ব্যস্ত থাকে বলে তাদেরকে আবারও বিয়ে করতে বাধ্য হতে হয়। যদিও অনেকে খারাপ চোখে দেখে। হাসি-তামাশা করে। আমি মনে করি কাজটি মোটেও খারাপ নয়। স্বামী পরিত্যক্তা অনেক মহিলাও আমাদের দেশে কম নয়। তাদেরকে বাঁচতে হলে কারো না কারোর ছায়াতলে থাকার প্রয়োজন। তাই স্বামী মারা গেলে অথবা তালাক দিয়ে দিলে একা একা জীবন যাপন না করে নতুন করে সংসার করলেই বাকী জীবনটা সুন্দরভাবে কাটানো যায়।
©somewhere in net ltd.
১| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১২:০১
শূন্য পথিক বলেছেন: