নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আজকের দিনই শেষ দিন মনে করতে হবে..কারন হঠাৎ করেই একদিন মরতে হবে.. কেয়ামত পর্যন্ত কবরে থাকতে হবে.. হাশরের মাঠে আল্লাহর সামনে উপস্থিত হতে হবে.. জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত সমস্ত কর্মকান্ডের হিসাব দিতে হবে.. পুলসিরাত পার হতে হবে.. তারপর....... জান্নাত অথবা জাহান্নামই হবে আসল ঠিকানা....
শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলায় এক যুবতীকে গণধর্ষণের ঘটনায় এলাকায় তোলপাড় চলছে। ওই ঘটনায় মঞ্জু মিয়া (২৩) নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।
তবে ঘটনার মূল নায়ক সুমন মিয়াসহ তার অন্য সহযোগীদের কাউকে পুলিশ গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
এদিকে, পাশবিক নির্যাতনের ক্ষত নিয়ে নির্বাক-নিস্তেজ অবস্থায় ওই যুবতী শেরপুর জেলা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। শুক্রবার শেরপুর জেলা হাসপাতালে তার ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।
পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলার বানুয়াকান্দা এলাকার ওই যুবতীর (২৭) সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথপোকথনের এক পর্যায়ে শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার ডাকড়াপাড়া গ্রামের আবুল মিয়ার ছেলে সুমনের (২৮) তার সম্পর্ক গড়ে উঠে।
ওই সম্পর্কের সূত্রে সুমনের কথায় ওই যুবতী গত ২৩ অক্টোবর মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ফুলপুর থেকে শেরপুর শহরের নবীনগর বাসস্ট্যান্ডে চলে আসে। সেখানে ওই যুবতীর জন্য বখাটে সুমন তার এক বন্ধুকে নিয়ে অপেক্ষায় থাকে।
ওই যুবতী বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছার পর রাত ৮টার দিকে সিএনজিযোগে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় শ্রীবরদীর ঝগড়ারচর বাজারে। সেখানে প্রায় এক ঘণ্টা অবস্থানের পর রাত ৯টার দিকে সুমন ওই যুবতীকে তার বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে গ্রামের পথে হাঁটতে থাকে।
এক পর্যায়ে গ্রামের ধানক্ষেতে নিয়ে একই এলাকার আবদুল আজিজের ছেলে শামীম (২০), মজিবরের ছেলে মঞ্জু মিয়া (২৩), মন্ডলের ছেলে আকতার (২০) সহ অজ্ঞাত ৭/৮ জন মিলে রাতভর ওই যুবতীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।
ওই অবস্থায় ধর্ষিতা যুবতী জ্ঞান হারালে লম্পট যুবকরা তাকে মৃত ভেবে ধান ক্ষেতে ফেলে চলে যায়। পরদিন সকালে এলাকাবাসী তাকে নিস্তেজ অবস্থায় উদ্ধার করে শ্রীবরদী থানায় পাঠায়।
পরে পুলিশ তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে পাঠানো হয় শেরপুর জেলা হাসপাতালে।
এদিকে, ওই ঘটনায় ধর্ষিতা যুবতীকে বাদী করে শ্রীবরদী থানায় পুলিশ একটি মামলা রেকর্ড করে। ওই মামলায় মঞ্জু মিয়া নামে এক লম্পটকে গ্রেপ্তার করা হলেও মূল নায়ক সুমন ও তার অন্য সহযোগীরা গা-ঢাকা দেয়।
পুলিশ গ্রেপ্তারকৃত মঞ্জুকে বৃহস্পতিবার বিচারিক হাকিমের আদালতে সোপর্দ করে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ড প্রার্থনা করলে জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম বুলবুল আহম্মেদ পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা শ্রীবরদী থানার ওসি মোহাম্মদ আলী শেখ জানান, ইতোমধ্যে ভিকটিমের ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত একজনকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
নিজস্ব প্রতিনিধি
আরটিএনএন
শেরপুর
২| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৩:২১
মনসুর-উল-হাকিম বলেছেন: মাশা-আল্লাহ, সুন্দর লিখেছেন।
কোনো মানব সমাজ যদি দীর্ঘ দিন ধরে দরিদ্র, অশিক্ষিত, যথাযথ কর্ম-সংস্থানহীন, নৈতিক অবক্ষয়-এর মধ্যে থাকে তবে সেই সমাজ ধীরে ধীরে ধংসপ্রাপ্ত হয় - জাতি পরিনত হয় হতদরিদ্র, কুশিক্ষিত, লোভী আর দুর্নীতিপ্রিয় এক অসভ্য সমাজে। বাংলাদেশেও এই প্রক্রিয়ার প্রভাব যথেষ্ট ক্রিয়াশীল।
বিশ্ব জুড়ে যৌন নির্যাতন এবং ধর্ষনের এই ঘটনা প্রবাহ প্রমান করে যে, কুশিক্ষা (সুশিক্ষার অভাব), অশ্লীলতার চর্চা (পর্দাহীনতা), অনৈতিক লোভ (সুদ/ ঘুষ/চুরি) আর ধর্মনিরোপেক্ষ গণতন্ত্র (নৈতিকতাহীন মূর্খের আধিক্ষ্য) মানুষকে পশুরও অধম এক অসভ্য প্রাণী বানিয়ে দেয়। সভ্য-সুন্দর মানব সভ্যতার বিনির্মানে এক আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস, সুশিক্ষা, সৎ নৈতিকতা, সামাজিক মূল্যবোধের চর্চা বিষয়গুলি অপরিহার্য। সততার সাথে ইসলাম পালন ও চর্চা মানুষকে এই অসভ্য-অনাচার থেকে মুক্তি দিতে পারে।
৩| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১১:২৮
মহিদুল বেস্ট বলেছেন: আহারে!
©somewhere in net ltd.
১| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৭
আমাবর্ষার চাঁদ বলেছেন: :-&