নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

প্রবাস জীবন (দুবাই)-ধর্ম-স্বাস্থ্য-টিপস-আমার কথা--

জানার আগ্রহ মানুষের চিরন্তন, বই হলো তার বাহন, আইনের মৃত্যু আছে কিন্তু বইয়ের মৃত্যু নেই।

সিটিজি৪বিডি

আজকের দিনই শেষ দিন মনে করতে হবে..কারন হঠাৎ করেই একদিন মরতে হবে.. কেয়ামত পর্যন্ত কবরে থাকতে হবে.. হাশরের মাঠে আল্লাহর সামনে উপস্থিত হতে হবে.. জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত সমস্ত কর্মকান্ডের হিসাব দিতে হবে.. পুলসিরাত পার হতে হবে.. তারপর....... জান্নাত অথবা জাহান্নামই হবে আসল ঠিকানা....

সিটিজি৪বিডি › বিস্তারিত পোস্টঃ

আইন করে ভালোবাসা হয় কি?

৩০ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১১:১৩

বাংলাদেশ এশিয়া মহাদেশের উন্নয়নশীল একটি দেশ। এ মহাদেশের প্রায় সব ক’টি দেশের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য, রীতি-নীতি একই ধাঁচের। এখানকার সমাজব্যবস্থা পরিবারকেন্দ্রিক। বাবা-মা, ভাই-বোন, দাদা-দাদিসহ আরও অনেক সদস্য নিয়ে একেকটি পরিবার গঠিত হতো একসময়। আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত, ও পাকিস্তানে পরিবারে এ ধারা এখনও অনেকাংশে বিরাজমান। কিন্তু আমাদের দেশে বর্তমানে সে অবস্থা তেমন আর চোখে পড়ে না। শুধু কি তাই? এখন সন্তানেরা বাবা-মাকে বৃদ্ধাশ্রমে পাঠাতে পারলেই যেন বাঁচে। আর এসব কুলাঙ্গার সন্তানদের শিক্ষা দেয়ার লক্ষ্যেই যেন সরকার বাবা-মায়ের ভরণ-পোষণের জন্য আইন পাস করেছে। কোনো সন্তান পিতামাতার ভরণপোষনের ব্যবস্থা না করলে এক লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে সর্বোচ্চ তিন মাসের জেলের বিধান করে সংসদে একটি বেসরকারি বিল পাস হয়েছে। বিল অনুযায়ী পিতামাতা আলাদাভাবে বসবাস করলে তাদেরকে সন্তানের আয়ের ১০ ভাগ দিতে হবে।



তবে সত্যি কথা বলতে কি আইন করে কি ভালবাসা হয়?

আইন করে কি কারো প্রতি শ্রদ্ধা বাড়ানো যায়?



যে ছেলে তার বাবা-মাকে ভালবাসে, সে যত কষ্টেই থাকুক, তাদের ফেলে দেয় না। স্ত্রী না চাইলেও সে গোপনে বাবা-মাকে হাত খরচ দেয়। যে মেয়ে তার বাবা-মাকে ভালবাসে, সে স্বামী না চাইলেও লুকিয়ে তাদের সাহায্য করে। এবং এই ভালোবাসাই আমাদের দেশের সম্পদ। আমাদের অহংকার। এই সম্পদের পরিমাণ কি এতোই কমে এসেছে যে আইন করে বাবা-মা য়ের ভরণ পোষণ বাধ্যতামূলক করতে হচ্ছে?

নিশ্চয় কমে এসেছে। নইলে এমন আইন করতে হলো কেন?



ধরে নেই, কোনো একজন সন্তানের আয় ৩০ হাজার টাকা। আইন অনুসারে মাস শেষে বৃদ্ধ বাবা-মাকে তিন হাজার টাকা সে ধরিয়ে দিল। এতে কি পিতা-মাতার প্রতি তার দায়িত্ব শেষ হয়ে যাবে। এমন অনেক ছেলে আছে যে ৩০ হাজার টাকা বেতন থেকে মাস শেষে বাবা-মাকে সাত হাজার টাকা তুলে দেয়। এখন আইন অনুসারে সে কি টাকার পরিমাণ কমিয়ে দেবে? এই আইনে বরং পরোক্ষভাবে একক পরিবারকে উৎসাহিত করা হয়েছে বলে আমার মনে হচ্ছে। মানবিক দায়িত্বকে পদদলিত করে অধিকাংশ স্ত্রী এখন তার স্বামীকে বলবে-‘আইন অনুযায়ী তাদের মাস শেষে টাকা দিয়ে দাও, আলাদা সংসার চাই। ’সন্তানের আয়ের ১০ ভাগ দিয়ে এইসব বাবা-মায়ের বৃদ্ধাশ্রমে থাকার টাকাটাও যে হবে না!



সমস্যার মূলে না যেয়ে, আগাছা কাটা কোনো বুদ্ধিমানের কাজ নয়। সব সংসারেই টুকটাক মনোমালিন্য, এর সঙ্গে ওর ভুল বোঝাবুঝি আছে। বৌয়ের সঙ্গে শাশুড়ির সম্পর্কের টানপোড়েন আছে কম-বেশি। এগুলো থাকবেই। এ কারণেই এর নাম সংসার। কিন্তু তাই বলে স্ত্রী যদি স্বামীকে প্রভাবিত করে শ্বশুর-শাশুড়িকে দেখাশোনা না করার জন্য, এর সমাধান আইন দিয়ে হবে না। ঘরে ঘরে মাথা নষ্ট করা হিন্দি সিরিয়াল দেখা বন্ধ করতে হবে। স্কুল কলেজের বইতে পারিবারিক নীতি, আদর্শ, শ্রদ্ধা, দায়িত্ত অম-র্ভুক্ত করতে হবে। অধিকাংশ মেয়ে শ্বশুর বাড়িকে নিজের বাড়ি ভাবতে পারে না, একটা ভীতি নিয়ে সে বড় হয়। এই ভীতি দূর করে শ্রদ্ধার সুযোগ তৈরি করতে হবে। পরিবারে বয়োজ্যেষ্ঠ সদস্য থাকলে সন্তান মাদকাসক্ত হওয়া বা বিপথে যাবার আশংকা কমে আসবে ৯০ ভাগ। অতএব, স্বামীর টাকার উপরে কূটনীতি বন্ধ করে কিভাবে নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে, নিজে কমর্ক্ষম হতে পারে একটি নারী, সেই দৃষ্টিভঙ্গিই তাকে শেখানো উচিত। শ্বশুর-শাশুড়ির কাছে নিজের সন্তান যতটা নিরাপদ, শুধু কাজের লোকের কাছে ঠিক ততটাই অনিরাপদ! এই বিষয়গুলো বুঝতে হবে।



আবার যারা বৃদ্ধ, তাদেরও আমাদের দেশের পত্র-পত্রিকা, টিভি চ্যনেলের মাধ্যমে সচেতন করতে হবে। শাশুড়িরা

(বেশিরভাগ) নতুন বউ ঘরে আসার সঙ্গে সঙ্গে তাদের পেছনে লেগে সম্পর্কটা শুরুতেই তিতে করে ফেলবেন না। মনে রাখবেন, ছেলের বৌয়ের পিছে লাগা মানে কার্যত ছেলের পেছনে লাগা। সংসারে শান্তির জন্য ছেলে দুরে সরে যেতে চাইবে। ইট মারলে পাটকেলটি খেতে হয়। বৌকে ইট না মেরে ফুল দিন। ফুল দিতে না চাইলে মুখ এবং চোখ বন্ধ রাখুন। বউ দেখতে ভালো না কেন-এই চিন্তা বাদ দিন। বউ দেখতে এত সুন্দর কেন-এই চিন্তাও বাদ দিন। নাতি-নাতনিদের কাছে ওদের মায়ের বদনাম করবেন না। জিভ ছোট রাখুন। দোষ করলে নিজের সন্তান ভেবে মাফ করে দিন, বুঝিয়ে বলুন। ছেলে আর ছেলের বৌয়ের সম্পর্কের মধ্যে অযথা নাক গলাবেন না। ভালবাসুন, ভালোবেসে একটা মায়ার সম্পর্ক গড়ুন। ছেলের সংসারে যখন থাকবেন, মনে করবেন আপনি মেয়ের সংসারে আছেন। জামাইয়ের কাছে যেমন নিজের মেয়ের প্রশংসার ফুলঝুরি তোলেন, ছেলের কাছে বৌয়ের বেলায় তার ব্যতিক্রম করবেন না। দেখবেন, আপনি রানীর আসনে আছেন।





লিখেছেন-মেহের নিগার

সুত্রঃ রমনীয়

দৈনিক পূর্বকোণ

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১১:২৮

মোঃ আনারুল ইসলাম বলেছেন: খুব সুন্‌দর পোস্‌ট

২| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১২:০০

তিতাস একটি নদীর নাম বলেছেন: এখানে ভালবাসার সাথে সাথে দায়িত্বেরও একটা ব্যাপার আছে।
তাই আইন করে দায়িত্বে অবহেলা হয়তঃ ঠেকানো সম্ভব।

৩| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:১১

মহসিন০৮ বলেছেন: আপনাকে আমন্ত্রন http://www.ctgblog.com -এ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.