নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সাইকেল

চাকাগুলো ঘুরে ঘুরে সাইকেল চলে যায়

সাইকেল

টুংটাং... পৃথিবীটা পা-হিচড়ে বেশ বেশ টুংটাং... তুমি আমি রঙচঙা-আধুনিক। চাকাগুলো ঘুরে ঘুরে সাইকেল চলে যায়, তুমি-আমি বোকাসোকা, সাইকেল যাচ্ছে ১দল মেঘশিশু তাই দেখে হাসছে।

সাইকেল › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভালো ডাক্তার চিনবেন কিভাবে?

২৫ শে মার্চ, ২০১২ রাত ১০:৫০

একজন ডাক্তার ভালো কি মন্দ সেটা রোগীরাই ভালো বলতে পারেন। তেমনিভাবে একজন শিক্ষক ভালো কি মন্দ সেটা তার ছাত্ররাই ভালো বলতে পারেন। আমি একবার আমার এক সাবেক ছাত্রীকে, যে এখন হাইকোর্টের প্র্যাকটিসিং ব্যারিস্টার- তাকে প্রশ্ন করলাম, ভালো উকিল কে? সে উত্তর দিয়েছিল- সেই ভালো উকিল, দিনশেষে যে মক্কেলের জন্য মামলাটা জিততে পেরেছে। আমি ভাবলাম উত্তরটা তো ভালোই দিয়েছে। তাকে বললাম, তোমার ওকালতির জীবন কেমন যাচ্ছে। সে বলল, মোটামুটি, একজন সিনিয়রের সাথে আছি। যাক, অনেক শিক্ষকের পেটে অনেক বিদ্যা থাকে, তবে মুখে বের হয় না। ছাত্ররা ভাবে, স্যার জানেন অনেক কিন্তু পড়াতে পারেন না। এমন শিক্ষকদেরও কদর আছে। তবে ক্লাসরুমে নয়, গবেষণায়। তেমনিভাবে ডাক্তারদের মধ্যেও এমন অনেকে থাকতে পারেন, যারা ডাক্তারিবিদ্যা জানেন অনেক কিন্তু রোগী ভালো করতে পারেন না অথবা রোগীরা তার সামনে গেলে সন্তুষ্টচিত্তে ফেরত আসেন না। ভালো ডাক্তারিবিদ্যা রোগী ভালো করার ক্ষেত্রে সব সময় কাজে না দিলেও, ক্লাসরুমে ভালো কাজ দিতে পারে, তিনি যদি চিকিৎসাবিজ্ঞানের শিক্ষক হন।



আমি একবার একটা ছোট্ট বই পড়েছিলাম, লিখেছিলেন খ্যাতিমান চিকিৎসক ও অধ্যাপক বদরুদ্দোজা চৌধুরী। বইটির নাম হুবহু মনে নেই, তবে হয়তো হবে এমন- ‘রোগ চিনবেন কিভাবে?’ ওই বই পড়লে কোন রোগের কী চিহ্ন, কোন রোগের জন্য কী ল্যাব টেস্ট করাতে হবে ইত্যাদি সম্বন্ধে জানা যায়। তবে ভালো ডাক্তার চিনবেন কিভাবে এ ব্যাপারে বোধ করি কোনো অধ্যাপক ডাক্তার কিছু লেখেননি। লিখলে ভালো হতো। অনেক লোক উপকৃত হতো। একজন ভালো ডাক্তার পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার। রোগী এক ডাক্তার থেকে আরেক ডাক্তারের কাছে ছুটছে শুধু একজন ভালো ডাক্তার পাওয়ার জন্য। এ ক্ষেত্রে লোকমুখে বা পুরনো রোগীদের কাছে শোনা কথা রোগীর সম্বল। জাতীয় অধ্যাপক ডাক্তার নুরুল ইসলাম ভালো ডাক্তার চেনার একটা সহজ পদ্ধতি সবাইকে জানিয়ে দিয়েছেন। সেই পদ্ধতি হলো- উনিই ভালো ডাক্তার- যে ডাক্তার কম ওষুধ প্রেসক্রাইব করেছেন। শুনেছি জাতীয় অধ্যাপক ডাক্তার ইব্রাহিমও অনেক বড় ডাক্তার ছিলেন। তিনি জীবিত থাকলে নিজে রোগী হয়ে না গেলেও কোনো আত্মীয়কে নিয়ে তার সামনে অবশ্যই যেতাম। জাতীয় অধ্যাপক নুরুল ইসলাম ভালো ডাক্তার চেনার যে উপায় বাতলে দিয়েছেন তার সাথে আমিও একমত। আমার যত ভয় বেশি ওষুধকে নিয়ে। একবার এক অসুখে পড়ে আমি তিন ডাক্তার বদল করেছি শুধু কম ওষুধ নেয়ার জন্য। অনেক ডাক্তারকে দেখি পৃষ্ঠাভর্তি প্রেসক্রিপশন লিখছেন, যদিও অন্য ভালো ডাক্তারেরা বলবেন- ওই প্রেসক্রিপশনের তিন-চতুর্থাংশই অপ্রয়োজনীয়। ওষুধ অপ্রয়োজনীয় হলেও আমি অত ভয় করতাম না, না হলে দুটো টাকা বেশিই গেল, কিন্তু ওষুধের যে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে। ওষুধ শুধু রোগ সারায় না, ওষুধ রোগ সৃষ্টিও করে!



আজকে যে আমাদের সমাজে এত লাখ লাখ লোক রোগী হলো, এরা কি সবাই ভেজাল আর দূষিত খাদ্য খেয়ে রোগী হয়েছে? আমার বোধ অনুযায়ী এসব রোগীর এক বিরাট অংশ ওষুধের শিকার। বাকিটা সৃষ্টি করেছে হাসপাতাল! কি বিশ্বাস হয় না? জিজ্ঞেস করুন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এমন সচেতন রোগীদের। ব্যথা হয়েছে, ডাক্তার সাহেব অবলীলায় ব্যথানাশকের ওষুধ দিলেন। কিন্তু ওই ওষুধ যে রোগীর কিডনির ওপর আঘাত হানতে পারে, এটা কি রোগী জানেন? ভিটামিনেরও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে এইটা বা কয়জন রোগী জানেন! কিন্তু অনেকেই তো ওষুধের দোকান থেকে হরদম ভিটামিন এ, ভিটামিন বি, ভিটামিন ই, ভিটামিন ডি ট্যাবলেট কিনে খাচ্ছেন। ভাবছেন খাওয়া-দাওয়া যখন দূষিত, তখন ভিটামিন সাপ্লিমেট দিয়ে কাজ চালিয়ে নেবেন। কিন্তু তা কি হচ্ছে? আসলে অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, ভালো খাবারের বিকল্প কোনো ভিটামিন ট্যাবলেট হতে পারে না। দেশে যে কয়েক শ’ ওষুধ কোম্পানি আছে এদের কাজ কী? নিশ্চয়ই ওষুধ তৈরি করে মানুষকে তা খাওয়ানো। ওষুধ না খাওয়াতে পারলে তাদের লাভ হবে কিভাবে? আর ওষুধ খাওয়ানোর জন্য ভালো মাধ্যম হিসেবে বেছে নিয়েছে আমাদের ডাক্তার সাহেবদের। এখন বুঝুন- কেন কোনো কোনো ডাক্তার এত বেশি ওষুধ লেখেন। বিশ্বের কোথাও কি আপনারা এত ওষুধের দোকান দেখেছেন? যে দেশে প্রকাশ্যে এত এত ডাক্তারের সাইনবোর্ড, এত এত ওষুধের দোকান, এত এত ল্যাব টেস্টের সেন্টার, এত এত হাসপাতাল, সে দেশে রোগী তো বেশি থাকবেই। রোগী কম থাকলে যে এদের ব্যবসায় কমে যাবে। এই সব সেন্টার আর হাসপাতালের মান কে নিয়ন্ত্রণ করছে? কেউ না। নিজেরা স্বাধীনভাবে চলে। শুনেছি আরো ২৫টি কলেজকে প্রাইভেট সেক্টরে অনুমোদন দেয়া হয়েছে ডাক্তার তৈরির জন্য। জানি না ওই সব কলেজের তৈরি ডাক্তারেরা আবার কেমন হয়। ডাক্তারদের গুণাগুণ সম্বন্ধে নিশ্চিত হওয়ার জন্য অনেক রোগী আবার ফরেন ডিগ্রিধারী ডাক্তারদের পেছনে ছোটেন। কী করবে, ডাক্তার বাছার ক্ষেত্রে তাদের সামনে অন্য ভালো উপায়ই বা কী আছে। প্রফেসর নুরুল ইসলামের সেই ভালো ডাক্তার চেনার কৌশলের সাথে আমার যোগ করতে ইচ্ছা হয় নিম্নের কয়েকটি কথাও:



এক : উনিই ভালো ডাক্তার যে রোগীকে কোনো ওষুধই দিলেন না। শুধু বললেন, আপনি ভালো আছেন, এভাবে এভাবে চলবেন। অসুবিধা হলে পরে আবার আসবেন।



দুই : ওষুধ দিলেন তো, কম ওষুধ দিলেন। তিন নম্বরের ওষুধটি সম্বন্ধে বললেন, খেলেও খেতে পারেন, মনে না চাইলে না খাবেন। বয়স হয়ে গেছে, কিছু ল্যাব টেস্ট ছয় মাস পরপর করালে ভালো হবে। এবং ওগুলো দেখিয়ে নেবেন।



তিন : রোগীর সাথে হেসে হেসে কথা বলবেন। আর রোগীকে আশ্বস্ত করতে চেষ্টা করবেন যে, আপনার রোগ অত বড় কিছু না। এই ওষুধ দিলাম, আশা করি ঠিক হয়ে যাবেন। এত মাস/ দিন পর আবার দেখা করবেন।



চার : রোগী পূর্বাপর কী ওষুধ সেবন করেছে জানবেন। রোগীকে শুইয়ে প্রাথমিক পরীক্ষাগুলো করবেন। আগের ওষুধ থেকে যেটি অপ্রয়োজনীয় মনে করবেন, সেটি বাদ দেবেন। এভাবে রোগী দেখতে যদি আধা ঘণ্টা যায় যাক, রোগী চাচ্ছে ভালো হতে। সে জন্য রোগী প্রয়োজনীয় ফি দিতে প্রস্তুত।





সৌজন্যঃ বন্ধুবর আবু আহমেদ

মন্তব্য ২১ টি রেটিং +১৫/-০

মন্তব্য (২১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে মার্চ, ২০১২ রাত ১০:৫৩

জীবনানন্দদাশের ছায়া বলেছেন:

পরে পরবো :) অনেক বড় লেখা।

২৭ শে মার্চ, ২০১২ দুপুর ১২:২২

সাইকেল বলেছেন: :) :)

২| ২৫ শে মার্চ, ২০১২ রাত ১০:৫৫

স্বপ্নবিলাসী আমি বলেছেন:



পড়লাম এবং কিছু শিখলাম। :)

২৭ শে মার্চ, ২০১২ দুপুর ১২:২৪

সাইকেল বলেছেন: ধন্যবাদ পড়ার জন্য।

৩| ২৫ শে মার্চ, ২০১২ রাত ১১:০৫

মাহবু১৫৪ বলেছেন: ৫ম ভাল লাগা


জেনে রাখলাম অনেক কিছু :)

২৭ শে মার্চ, ২০১২ দুপুর ১২:২৪

সাইকেল বলেছেন: ধন্যবাদ।

৪| ২৫ শে মার্চ, ২০১২ রাত ১১:০৬

ফেরারী এলিয়েন বলেছেন: বাংলাদেশের মানুষ তো জানে যে ডাক্তার বেশি ওষুধ দেয় সেইভাল ডাক্তার। আর যদি রোগীকে বলা হয় আপনি সুস্থ আছেন তাহলে বলবে এইডা কোন ডাক্তারের জাতই না।

২৭ শে মার্চ, ২০১২ রাত ১০:৫০

সাইকেল বলেছেন: ডাক্তাররা আজকাল সেবার চেয়ে ব্যবসাটাকেই প্রাধান্য দেয় বেশি।

৫| ২৫ শে মার্চ, ২০১২ রাত ১১:১১

আশীষ কুমার বলেছেন: অসাধারণ।

তবে আমি পারতপক্ষে ডাক্তারের কাছে যাই না। কারণ আমি বেশি মেডিসিন খেতে চাইনা। শেষ বার যখন পিজিতে ডাক্তার দেখাই তখন প্রায় এক মাস বিভিন্ন টেস্ট করানোর পর মাত্র ১ টা মেডিসিন দিলেন। আমি খুব খুশি হয়েছিলাম।

৬| ২৫ শে মার্চ, ২০১২ রাত ১১:১৯

আজমান আন্দালিব বলেছেন: ভালো লাগলো।

২৭ শে মার্চ, ২০১২ রাত ১০:৫০

সাইকেল বলেছেন: ধন্যবাদ।

৭| ২৫ শে মার্চ, ২০১২ রাত ১১:২০

আসিফ আহমেদ মামুন বলেছেন: উনিই ভালো ডাক্তার- যে ডাক্তার কম ওষুধ প্রেসক্রাইব করেছেন -সহমত

৮| ২৫ শে মার্চ, ২০১২ রাত ১১:২৪

নীল সূর্য বলেছেন: ভালো লাগলো। শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

২৭ শে মার্চ, ২০১২ রাত ১০:৫১

সাইকেল বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ।

৯| ২৫ শে মার্চ, ২০১২ রাত ১১:৩০

বাংলা আমার প্রাণ বলেছেন: ডাক্তারের কাছে যেতে এখন ঘৃণা লাগে। কারণ তারা চিকিৎসার চেয়ে টেষ্ট আর টেষ্ট দিতে পছন্দ করে। চিকিৎসার চেয়ে অপচিকিৎসার করে টাকা বেশি কামায় করে।

১০| ২৫ শে মার্চ, ২০১২ রাত ১১:৩০

এস.কে.ফয়সাল আলম বলেছেন: নতুন অনেককিছু জানলাম।
পয়েন্টগুলো ফেবুতে তুলে দিলাম।
+++

১১| ২৫ শে মার্চ, ২০১২ রাত ১১:৩৯

জাহিদুল হাসান বলেছেন: কয়েকদিন আগে আমার ৩ বছর ৩ মাস বয়সী মেয়ের জ্বর হয়েছিলো, ১২ ঘন্টা পরও জ্বর না কমায় একটা মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাই। সেখানকার ডাক্তার ১২ টা টেষ্ট দিয়েছিলেন । এই হলো বর্তমানের মেডিক্যাল বিজনেস।

পোষ্টে প্লাস।

১২| ২৫ শে মার্চ, ২০১২ রাত ১১:৫৭

জাতির নানা বলেছেন:
তিন : রোগীর সাথে হেসে হেসে কথা বলবেন। আর রোগীকে আশ্বস্ত করতে চেষ্টা করবেন যে, আপনার রোগ অত বড় কিছু না। এই ওষুধ দিলাম, আশা করি ঠিক হয়ে যাবেন। এত মাস/ দিন পর আবার দেখা করবেন।

আমিও মনে করি যে ডাক্তার কথা বলে অর্ধেক রোগ ভালো করে ফেলতে পারেন তিনিই সবচেয়ে ভালো ডাক্তার।

১৩| ২৭ শে মার্চ, ২০১২ দুপুর ১২:২৬

amenakhatun বলেছেন: ভাল বলছেন।

২৭ শে মার্চ, ২০১২ দুপুর ১২:৩০

সাইকেল বলেছেন: ধন্যবাদ।

১৪| ০১ লা এপ্রিল, ২০১২ দুপুর ১:৫১

সপ্রতিভ বলেছেন: দুঃখের কথা কি আর বলবো ভাই, আমার আত্মীয়-স্বজন অনেকেই আমার উপর রাগ হয় কেন আমি তাদের প্রশ্নের জবাবে ঔষধের নাম বলি না, ফোন করে বলে 'অ্যান্টিবায়োটিক দাও'... #:-S
আরেকবার গ্রামে কিছু রোগী দেখার সময় তাদের আফসোস করতে দেখেছি, 'ক্যানো ডাক্তার বেশি টেস্ট দেয় নাই ?ডাক্তার সুবিধার না, কমদামী ওষধের ডাক্তার ! ' :-<
কে যে কী খোঁজে বলা মুশকিল

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.