![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অজানা গন্তব্যহীন পথে হঠাৎ নানা ক্ষুদ্র, মাঝারি, বৃহৎ উদ্দ্যেশ্যের জন্ম হয় নিজের মাঝে, । সেই গন্তব্যহীন পথে নানা নতুন নতুন উদ্দ্যেশ্যের পিছনে আমার ছুটে চলা, আমার বিরামহীন পথ চলা।
"ইনোসেন্স অব মুসলিম" মুভিটার কথা বাংলাদেশ সহ তামাম দুনিয়ার মুসলিমরা ভুলবেন না। ভুলবেন না তার পরিচালককেও। সে মুভিতে আমাদের দয়াল নবীকে কি ব্যঙ্গাত্মকভাবে প্রকাশ করা হয়েছে। সারা দুনিয়ার মোসলমানরা এ নিয়ে আন্দোলন করল। লন্ডন,আমেরিকাসহ পৃথিবীর সব প্রান্তে আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ল। প্রায় সব মুসলিম দেশে ইউটিউব বন্ধ করা হল । আমাদের দেশও বন্ধ করা হয় ইউটিউব। এ ঘটনায় আন্দোলনকারী পাকিস্থানে দু জনের মৃত্যুর খবরও শুনেছিলাম।
এর আগের একটা ঘটনা, দয়াল নবীকে নিয়ে ডেনমার্কে ব্যঙ্গ ছবি প্রকাশ। মুসলিম বিশ্বে তীব্র আন্দোলন। একটা ব্যপার চিন্তা করলাম, এই পরিচালক কেন ইসলাম বিরোধী মুভি বানালেন। পৃথিবিতে এত আইডিয়া থাকতে কেন ইসলামের উপর আক্রমন। কেন মুসলিমদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেয়া। পত্রিকার এত খবর থাকতে কেন আমাদের দয়াল নবীর ব্যঙ্গ ছবি করতে গেল। এদুটো ঘটনা আসলে একই সূত্রে গাথা। পৃথিবীতে অনেক ধর্ম আছে। অনেক ধর্মের লোক আছে,যারা এখন আর তাদের ধর্ম চর্চা করে না। ইসলামে অন্তত মসজিদে যাওয়ার দরকার। দিনে ৫ বার নামাজ পড়া এবং এর জন্য আযান দেয়া হচ্ছে। অনেক ধর্মেই মূর্তি পূজা বা তাদের দেবতার মূর্তি থাকে। আমাদের ধর্মে মূর্তি পূজা বা ঘরে মূর্তি রাখা সম্পূর্ন নিষিদ্ধ। এরা জানে ইসলামের স্পর্শকাতর ব্যপার। এরা আমাদের দয়াল নবীকে নিয়ে আমাদের স্পর্সকাতর ব্যপার নিয়ে আমাদের লেলিয়ে দিলেন। এর কারন কি আমরা বুঝতে পারছি? প্রথমত, সে একজন ভিন্ন ধর্মী, তাই ইসলামের বিরুদ্ধে কিছু বলতে এদের বিবেকে বাঁধে না। আর ২য়ত আরেকটা কারণ হচ্ছে, এদের মূল উদ্ধেশ্য হচ্ছে নিজেদের পরিচিত করা। পরিচিত করার জন্য এমন কোন প্রতিভা তাদের নেই অথবা তাড়াতাড়ি পরিচিত পাওয়া এবং ব্যবসা সফল হওয়ার আর কোন উপায় আছে কিনা জানা নাই। তাই তারা অবশেষে মানুষের স্পর্শকাতর ব্যপারে আঘাত করে নিজেদের পরিচিত করেন। এরা ভালো করে জানে এ ধরনের ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে কি ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হয়। যেকারনে এধরনের ঘটনা দেশে-বিদেশে অহরহ ঘটছে।
এ ঘটনা শুধু বিদেশে না আমাদের দেশেও অহরহ শুরু হয়ে গেছে। আমার ব্যক্তি জীবনের একটা ঘটনা বলি, কাজ করতাম পত্রিকায়। সেসুবাদে নানা মানুষের সাথে কথা বলার সুযোগ হয়। আমার এক পরিচালক ভাই একটা পরিকল্পনার কথা জানালেন। তিনি তার পরবর্তী মুভিতে নায়িকাকে দিয়ে তার বিরুদ্ধে মামলা করাবেন। মামলায় নায়িকা বাদী হয়ে মানহানী মামলা করবেন এ বলে যে, আমি এ দৃশ্যে অভিনয় করিনি। তখন পত্রপত্রীকায় ব্যপক কাভারেজ পাবে। মুভি এবং পরিচালক হবেন হিট।
আমাদের দেশে ৯০ ভাগ লোক মুসলমান। বাকিরা ভিন্ন নানা ধর্ম অবলম্বনকারী। আমাদের দেশে শতকরাতো নয়ই বরং হাজারেও একজন নাস্তিক পাওয়া যাবে না। আমাদের দেশে যে সব নাস্তিক আছে। তাদের মধ্যে সবাই কিন্তু আমাদের ধর্ম নিয়ে কটুক্তি করে না। তারা তাদের মত করেই চলে। যার বিশ্বাস যার কাছে। আসিফ মহিউদ্দিনের মত কিছু নিচু মানের নাস্তিক ব্লগার, তারা তাদের কুখ্যাত হওয়ার জন্য একমাত্র আমাদের ধর্মটাকেই বেঁচে নিল। সে আমাদের ধর্ম নিয়ে নানা কটুক্তি করল। দয়াল নবী (স,) অপমানীত করল। ব্লগটাকে নষ্ট করার চেষ্টা করল। আবাল আসিফ মহিউদ্দিন নিজের যা দরকার তা করে এখন আর তাকে ব্লগেও দেখা যায় না। একটা হিসাব যদি বলি শতকরা কতজন ব্লগার নাস্তিক। শতকরা ১-২ জন হয় কিনা আমার সন্দেহ। অথচ এ দুএকটা ব্লগারের জন্য আরেক ভন্ড জামাত পুরো ব্লগটাকে নাস্তিক বলার চেষ্টা। আমার প্রশ্ন, যখন এধরনের লিখা প্রকাশ হল তখন কেন ভন্ড জামাতিরা কিছু বলল না। এখন যখন তাদের অনেকের লিখা বন্ধ আছে, তখন তারা নানা বিভ্রান্তিমূলক তথ্য প্রচার করে যাচ্ছে। অনেক আলোচনা করা যাবে এনিয়ে।
দেশে বিদেশে নানা চক্র নানাভাবে আমাদের বিরুদ্ধে কাজ করছে। আমরা বাংলাদেশীরা ধর্মভীরু আর আমাদের ধর্মকে নিয়ে নানা মহল ইসলামের লেবাস পরে নানা কুকর্ম করেই চলেছ। এক্ষেত্রে তাদের কৌশল ভিন্ন। যখন কোন অমুসলিম আমাদের বিরুদ্ধে কিছু বলে, তখন আমরা সারা বিশ্বের মুসলিমরা এক হই। আর যখন কোন দাঁড়ি টুপি ওয়ালা মুসলমান বেশধারী কাফির আমাদের বিরুদ্ধে কিছু বলে আমরা সহজে হজম করি,বিশ্বাস করি। এ দাঁড়ি টুপি ওয়ারা ব্যক্তিদের আমরা বড় আলেম মনে করি। তাদের অন্যতম হচ্ছে বাংলাদেশে জামাত। এরা ইসলামের লেবাস ধরে, আমাদের ইসলামের অনেক ক্ষতি করে যাচ্ছে আমরা টেরই পাই না। এদের ইতিহাস দেখেন। এদের উৎপত্তি কোথেকে হল আমরা জানার চেষ্টা করি না। জামাতের প্রতিষ্ঠাতা ভন্ড মোওদুদীর কথাই বলি, তাকে মাদ্রাসা থেকে বহিষ্কার করা হয় তার ভ্রান্ত মতবাদের জন্য এবং তার শিক্ষকরা ঘোষনা দেন অচিরেই তুই ধ্বংস হবি। সে তার ভ্রান্ত মতবাদ প্রচার করা শুরু করল। দেশী বিদেশী কুচক্রকারীদের সাথে তার সখ্য গড়ে উঠে। তাদের টাকায় সে অপব্যাখ্যা দেয়ার জন্য নানা পন্ধি আর নানা ভ্রান্ত মতবাদের বই লেখা শুরু করে। জামাতের আরেক মাওলানা সাইদীকে শরসিনা মাদ্রাসা থেকে বহিস্বার করা হয় তার ভন্ডামীর কারনে। সবাইকে বলি আসল ঘটনা জানার চেষ্টা করেন। এবার এদের সাথে যুক্ত হলেন আরেক কুচক্রী আমার দেশের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমান। বেশী দূরে যাওয়ার দরকার নাই। ২০০৮ এর গোপন মিটিং আর বিএনপি জামাতের আমলের জালানী উপদেষ্টা হিসাবে তার দুর্নীতির খবরগুরো নিলেই আমরা জানতে পারবো আপসহীন সম্পাদকের নানা কুকর্ম। তিনি নাকি কোন কিছুকে ভয় পান না। তারমত সাহসী বাংলায় আর আছে বলে এখন মনে হচ্ছে না। এই ভদ্র লেবাসধারীও সেই বিদেশী কুচক্রকারীদের মত। তাকে নানাভাবে প্রচার করার জন্য আমার দেশ পত্রিকাকে বেঁচে নেন। নিজের ঢোল নিজের পত্রিকায় পিটাচ্ছেন। আমাদের ধর্মীয় অনুভূতিকে পূজি করে ভন্ড জামাতকে সাথে নিয়ে আমাদের দেশের তরুন সমাজকে বিভ্রান্ত করছেন। শাহবাগের তরুন প্রজন্মের জাগরনকে নিয়ে মিথ্যাচার করছেন। তিনি পুরো শাহবাগের আন্দোলনকে বলছেন নাস্তিক। তিনি বুঝাতে চান দেশে তিনিই একমাত্র আস্তিক। রাতারাতি ফিরওউঠছেন হয়ে তিনি। অতি চালাক মাহমুদুর বুঝতে পেরেছেন, নিজের কুকীর্তি ঢাকার এটাই সুযোগ, তাই তিনি সারা দেশের জাগরনের বিরুদ্ধে গিয়ে কিছু ধর্মান্ধ মানুষকে পুঁজি করে বিখ্যাত হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন।
২| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:৫২
জনতার সেবক বলেছেন: জয় বাংলা!!
জয় বঙ্গবন্ধু!
©somewhere in net ltd.
১|
২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৭:২৯
দায়িত্ববান নাগরিক বলেছেন: ভালো বিশ্লেষন। এই কথাটা সাধারন মানুষের কাছে পৌছাতে হবে। মাহচুদুর মহানবীকে নিয়ে খেলছে।