![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অজানা গন্তব্যহীন পথে হঠাৎ নানা ক্ষুদ্র, মাঝারি, বৃহৎ উদ্দ্যেশ্যের জন্ম হয় নিজের মাঝে, । সেই গন্তব্যহীন পথে নানা নতুন নতুন উদ্দ্যেশ্যের পিছনে আমার ছুটে চলা, আমার বিরামহীন পথ চলা।
আমাদের কাজী নজরুল ইসলাম বলনে, কোথায় সে মুসলমান, আল্লাহতে যার র্পূন্য ইমান, তিনি একই ঘরে কমরডে মুজাফ্ফর আহমদরে সাথে থাকতনে। তার ইমান নিয়ে কত কথা বলেছিল ভন্ড ওহাবীদের দলালরা। তাকে নাস্তিক মুরতাদ বলা হল। সত্যের জয় হয়, তিনি আমাদরে জাতীয় কবির খেতাব পান। এ সব দাড়ি টুপির আড়ালরে ভন্ড মালানারা যুগ যুগ ধরে ইসলামরে কথা বলে মানুষরে জানমালরে ক্ষতি করে আসছে। তারা খারেজি-ওহাবি-কওমি বিভিন্ন সংগঠনের নামে জনগণকে বিভ্রান্ত করে আসছে। ভ্রান্ত মতবাদ প্রচার করে। কখনো কখনো তারা কুরান বা হাদিসের অর্ধেক বলে মানুষকে বিভ্রান্ত করে। আমাদের আরবীতে বলা হয়, আমাদের আর কিছু করারা থাকে না, কারণ আমরা সাধারন মানুষতো আর আরবী বুঝি না, আমাদেরতো আর কোরানের সবটা মুখস্ত নাই। এক্ষেত্রে একটা উদাহরন দিই, বলা হয়েছে নামাজ পড়া হারাম। আমার একথা শুনে অনেকে চমকে উঠবেন। এটা আবার কেমন কথা, একথার পরে যে কথাটা আছে। সেটা আমাদের জানা দরকার। নামাজ পড়া হারাম, যখন সূর্য উদিত অবস্থায়, সূর্য মাঝামাঝি অবস্থায়, এবং সূর্য অস্ত যাওয়া অবস্থায়। এখন একপক্ষ বলবে নামাজ পড়া হারাম। দেখা যাবে এদলেও লোকের অভাব হবে না।
এইবার এরা হেফাজতে ইসলামের নামে হেফাজতে জামায়াতের ভূমিকায়। লাকুম দিনুকুম অলিয়াদিন মানে কি? ইসলাম আমাদের কি শিক্ষা দেয় যেখানে হিন্দু মুসলমান বৌদ্ধ খ্রিষ্টান সবার সম অধিকার থাকবে। তারা নবী প্রেমিক সাজছে। অথচ এরাই দয়াল নবীর শত্রু, ইসলামের মূল শত্রু। এরা দয়াল নবীর নামে নানা কূৎসা রটনা করে ক্ষান্ত হয় নাই। তারা ধর্মের নামে সন্ত্রাস করে। এরা ইসলামের কথা বলে সাধারন মানুষের ইমান নিয়ে খেলে। এরকম হাজারো ঘটনা আজ প্রকাশিত যা আজ মানুষের বুঝতে বাকি নাই। আজ এসব বিষয় নিয়ে লিখার ইচ্ছা নাই, এসব আজ প্রকাশীত। আজ আমার মনে অনেকগুলো প্রশ্ন????
ব্লগারদের নাস্তিক বলে আক্রমন করা হল প্রথমে ভাবলাম, এটা সাময়িক তাদের এ ভন্ডামী জনগন বুঝবে। তারা এসব বলে বেশীদূর আগাতে পারবে না। অবশেষে দেখলাম একটা তুচ্ছ আর মিথ্যা তথ্য নিয়ে সারা দেশে ভন্ডরা আন্দোলন করল। মিডিয়া কাবারেজ পেল। আমাদের সরকার তাদের আন্দোলনকে সহায়তা করল। ব্লগারদের গ্রেফতার করে সরকার তাদের দাবীকে সত্য প্রমান করল। ব্লগগুলোর উপর হামলা করা হল। অথচ ভন্ড মাহমুদ আর আমারদেশ যারা নবী বিরোধী তথ্য প্রচার করল তাদের কি হল? একটা প্রশ্ন, ব্লগেই কি শুধু নাস্তিক্ববাদী লিখা হয়েছে বাংলাদেশের নানা বই বিতানে নানা ইসলাম রিরোধী লেখা আছে, সে ব্যপারে এসব ভন্ড মলানাদের কি নজর পড়ে না? স্বয়ং জামাত প্রতিষ্ঠাতা মদুদীর ইসলাম বিরোধী বই কি তারা চোখে দেখে না।
গনজাগরন মন্চ নিয়ে প্রথম থেকেই ক্ষমতা লোভী দু দল তাদের পক্ষে নেয়ার কম চেষ্টা করেন নাই। খালেদা যখন দেখল তার নানা কুকৃতী তরুন প্রজন্মের সবারই জানা।
তাদের দিয়ে নিজের কুকীতৃ প্রাকাশ হওয়ার ভয় আছে । তাই তাদের বিরুদ্ধে কুৎসা রটনা করতে একটুও দেরী করেন নাই। তারা নাস্তিক, তারা পথভ্রস্ট, আমার প্রশ্ন আপনি কোন দরনের আস্তিক, আপনি দু একবেলা নামাজ পড়েন কিনা আমার সন্দেহ। আপনার ঘরে মদের বোতল পাওয়া যায়। আপনার মেকআপ আসে থাইল্যান্ড থেকে। আপনি আমাদের ইসলাম শিখাচ্ছেন। হাসিনা সুবিদাজনক অবস্থানে থাকলেও হাসিনারও ভয় সৃষ্টি হয়, যদি আবার তার গোপন কথা ফাস হয়ে যায। সাময়িক সুবিধা হয়তো পেতে পারেন, পার পাবেন না। সত্যের জয় হবে একদিন। শুধু তরুন প্রজন্ম নয় সারা বাংলার মানুষ আপনার ব্যর্থতার কারনেই কিন্তু একত্র হয়। আপনি যুদ্ধাপরাধের বিচার করবেন অথচ তার আইনের কাঠামো কি হবে? আপনি কি জানতেন না। কেন আবার আইন সংশেধন করা হয়?
.যে হেফাজত ইসলামের হেফাজতের কথা বলছেন, যারা ব্লগারদের বিরুদ্ধে বলছেন। তারা দাবী করছেন তারা অরাজনৈতিক আন্দোলন করছেন। হাসিনা সরকারকে দেখলাম, তাদের সাথে দফায় দফায় বৈঠক করল। তারা যেন রাজনৈতিক বক্তব্য না দেয় তার জন্য বলা হল। তবে কি রাজনীতি একমাত্র ব্যপার। রাজনীতি করলে সভা সমাবেশ করা যাবে না?
মেয়ে সাংবাদিকদের উপর হামলা করা হল, মেয়ে সাংবাদিকতা করা নাজায়েজ। আমার প্রশ্ন, বাংলাদেশের প্রধান দুই নেত্রী নারী, এসব ভন্ড মালানারা কেন তাদের বিরুদ্ধে কিছু বলেনা? তবে কি নারী নেত্রীত্ব তাদের কাছে জায়েজ??
কারবালার ময়দানে পানি খাওয়াতে পারি নাই, তাই একানে পানি খা্ওয়াচ্ছি। হায় কই যাব কই কারবালা, তখনকার ঘটনা আর কোথায় ঢাকা আর এখানকার ঘটনা, দুটোকে এক করে দেখানো। এরশাদের ভন্ডামী কে জানে না। কুচরিত্রের এরশাদ নানা ঘটনা জন্ম দেন। শেষ বিদিশার ঘটনা আমরা জানি। এরকম জানা অজানা নানা ঘটনায় মানুষ কি জানেনা তার ভন্ডামী। আজ সে এসেছে লংমার্চ করতে। ইসলাম রক্ষা করতে। কি বলবো সব ভন্ডদের রাজত্বই আমার বাংলাদেশ????
২| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৫:১৯
আলুমিয়া বলেছেন: লাকুম দিনুকুম অলিয়াদিন মানে যতদিন না বুজবে ততদিন - আমরা এভাবে ঠেকেই যাব। খুবই যুক্তিপুর্ন লেখা।
৩| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৮:২০
নাওেয়দ বলেছেন: প্রধানমন্ত্রী ভুল নৌকায় পা দিলেন নাকি দুই নৌকাতেই পা রেখে কূলের দিকে আগানোর চেষ্টা করছেন, ঠিক বুঝতেসিনা। গনজাগরন কারে বলে এই মোল্লারা তা হাড়ে হাড়ে বুঝায় দিসে। কিন্তু কথা হইল, উনারা কি ইসলামের রাজনীতির ধারক-বাহক?
দ্রষ্টব্য: ইসলামের রাজনীতিতে অমুসলিম ভাই-বোনদের জন্য অনেক সুবিধার বিধান আছে যা একজন মুসলমানও পাবে না। কিন্তু উনারা ইসলামের ভালো দিকের কথা কম বলে, কঠোর দিকের কথা বেশী বলে মানুষের মাঝে শুধু ভীতি সৃষ্টি করছেন। এই রাজনৈতিক বিধানে ভোট থেকে শুরু করে ট্যাক্স পর্যন্ত রাষ্ট্রপরিচালনার সব আইন ইসলাম দিয়ে দিয়েছে - উনারা কি তা জানেন?
যা-ই হোক, একজন বাংলাদেশী মুসলমান হিসেবে তাদের ১৩ দফার প্রতি এই আমার মত।
৪| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১১:১০
যুক্তিপ্রাজ্ঞ বলেছেন: আমি ফরহাদ মজহারের লেখা থেকে এই বিষয়টা উদ্ধৃত করছি -
হেফাজতের ১৩ দফা আমরা সমর্থন করি বা না করি নাগরিক হিসেবে যদি স্বীকার করি যাদের আমরা সমাজের বাইরে রেখে দিয়েছি, কথা বলতে দেইনি, যাদের ব্যাপারে অযৌক্তিক আতঙ্ক আমাদের মধ্যে কাজ করে, এই সমাজ ও রাষ্ট্র তাদেরও। যাকে বিরোধিতা করুক তার নাগরিক অধিকার যদি স্বীকার না করি তাহলে বাংলাদেশকে আরও অন্ধকার গহ্বরে আমরা ঠেলে দেব। হেফাজতে ইসলামের ১৩ দফা আমাদের মধ্যযুগে নিয়ে যাবে না। নাগরিক অধিকার অস্বীকার করার রাজনীতি ও সংস্কৃতিটাই বরং মধ্যযুগীয়।
৫| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১১:১০
যুক্তিপ্রাজ্ঞ বলেছেন: আমি ফরহাদ মজহারের লেখা থেকে এই বিষয়টা উদ্ধৃত করছি -
হেফাজতের ১৩ দফা আমরা সমর্থন করি বা না করি নাগরিক হিসেবে যদি স্বীকার করি যাদের আমরা সমাজের বাইরে রেখে দিয়েছি, কথা বলতে দেইনি, যাদের ব্যাপারে অযৌক্তিক আতঙ্ক আমাদের মধ্যে কাজ করে, এই সমাজ ও রাষ্ট্র তাদেরও। যাকে বিরোধিতা করুক তার নাগরিক অধিকার যদি স্বীকার না করি তাহলে বাংলাদেশকে আরও অন্ধকার গহ্বরে আমরা ঠেলে দেব। হেফাজতে ইসলামের ১৩ দফা আমাদের মধ্যযুগে নিয়ে যাবে না। নাগরিক অধিকার অস্বীকার করার রাজনীতি ও সংস্কৃতিটাই বরং মধ্যযুগীয়।
©somewhere in net ltd.
১|
০৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৪:৪৭
দিশার বলেছেন: সেতো নয় মুসলিম সেতো জানোয়ার,
যে বলবে মুসলিম তারে, জিব টেনে ছিড়ে ফেলো তার।