নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

[email protected]

অজানা গন্তব্যহীন পথে হঠাৎ নানা ক্ষুদ্র, মাঝারি, বৃহৎ উদ্দ্যেশ্যের জন্ম হয় নিজের মাঝে, । সেই গন্তব্যহীন পথে নানা নতুন নতুন উদ্দ্যেশ্যের পিছনে আমার ছুটে চলা, আমার বিরামহীন পথ চলা।

দাদুভাই

অজানা গন্তব্যহীন পথে হঠাৎ নানা ক্ষুদ্র, মাঝারি, বৃহৎ উদ্দ্যেশ্যের জন্ম হয় নিজের মাঝে, । সেই গন্তব্যহীন পথে নানা নতুন নতুন উদ্দ্যেশ্যের পিছনে আমার ছুটে চলা, আমার বিরামহীন পথ চলা।

দাদুভাই › বিস্তারিত পোস্টঃ

রনি কেন ৩৬০ এমপির একজন বলুক আমার কোন অবৈধ সম্পদ নাই:

৩০ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:১২

আমাদের দেশে খবরের অভাব নাই। প্রতিদিন পুরো সংবাদপত্র জুড়ে খবর। মাঝে মাঝে ভাবতাম তারা এত খবর পায় কই। কখনো দেখিনাই পত্রিকার কোন পেজ খালি যায়। নিজে পত্রিকায় কাজ করার সুবাদে বুঝতে পারলাম এত খবর কিভাবে আসে। আসলেই এটা অবাক হওয়ার মত বিষয় । কত পত্রিকা কত খবর কিন্তু এত খবরের সব খবর খবর মনে হয় না বা আমাদের কাছে গূরত্ব পায় না। মনেহয় আমরা প্রতিদিন পত্রিকা দেখি কোন দুর্ঘটনা, কেলেংকারী , মারামারি, কাটাকাটি , হানাহানি, দলাদলি, খুনাখুনির খবর জানার জন্য । যে কারনে প্রায়ই দেখি, কেউ পত্রিকা পড়লে আমরা জিজ্ঞাস করি ভাই কোন গরম খবর আছে কিনা। গরম বা ঠান্ডা খবর নিয়া প্রায়ই চিন্তা করি। রনি গ্রেফতারের কয়দিন আগে পরিচিত একজন বললেন ভাই কয়একদিন হইল কোন গরম খবর পাই না। বলেল ভাই দীর্ঘ দিনের অভ্যাস ঘুম থেকে উঠে পত্রিকাটা হাতে নিব আর কোন অঘটন দেখে দিনটা শুরু করবো। তিনি ভুল বলছেন বলে মনেহয় না। আমাদের চিন্তা চেতনা বা মস্তিস্কের মাঝে সকালের পত্রিকা মানে কোন অঘটন আসবে এমন ভাবনা কাজ করে। । অঘটন খুজতে মনে হয় সংবাদ মাধ্যমগুলোর ব্যগ পেতে হয় না। নানা অঘটনের মাঝে কিছু কিছু ব্যক্তি বিশেষের কার্যক্রম বা কর্ম তিনাদেরকে নানা সময় সংবাদের শিরোনাম করেন। মাঝে মাঝে মনেহয় তিনিরা নিজেরাও এটাই চান। রাজনীতিবিদের নানা অতি কথা প্রায়ই শিরোনাম হয়ে থাকেন । স্বরাষ্টমন্ত্রীর উক্তি মনে হয় এবছরের সেরা উক্তি হবে। তার দলের মাঝেই তিনি ছিলেন শিরোনাম। আলোচনা আর বাড়াব না। শিরোনাম লিখলাম একটা বলতেছি আরেকটা। মূল কথায় আসি। রনির সাংবাদিক পেটানোর খবর দিয়ে মনে হয় জৈনিক লোকের সকাল বেলার খবর পড়ার স্বাদ পূর্ন হয়েছে। রনি সাহেবের মত সংসদ সদস্যের হাতে সাংবাদিক আহত হওয়া তার মারধর করা খুবই দু:খজনক। মামলা উল্টো মামলা, সব শেষে রনি সাহেব এখন জেলে। কিছুদিন আগে কামাল মজুমদার খবরে শিরোনাম সাংবাদিক পিটিয়ে। তিনি শুধু শিরোনাম হয়েছেন, জেলে যেতে হয নাই। দেশে সাংবাদিক নির্যাতন নতুন নয়। বহু সাংবাদিক খুন হন, কয় জনের বিচার হয়ছে, সে প্রশ্ন থেকে যায়। কিছুদিন আগে দৈনিক নতুন সময়ের সাংবাদিক হারুন খুন, তার কোন বিচার বা কেউ ধরা পড়েছে কিনা আমার কাছে তথ্য নাই। সাগর-রুনীর হত্যা ২৪ ঘন্টায় তাদের ধরা হবে বলা হল, আমার সন্দেহ ২৪ ঘন্টা কেন, ২৪ বছরে এর কোন বিচার হয় কিনা কে জানে। এরকম হাজার ঘটনা বলা যাবে, যার তদন্ত বাংলাদেশ যতদিন থাকবে ততদিন চলতেই থাকবে। তদন্ত শেষ হবে না। যাই হোক আলোচনায় আবার আসি, রনি সাহেবের ঘটনা শুরু হয়েছে সাংবাদিক পেটানোর মামলা দিয়ে। এখন সবকিছুই বের হয়ে আসছে। তার দুর্নীতির খবর, ।অবৈধ ব্যবসাসহ চাদাবাজি, টেন্ডারবাজি নানা খবর প্রকাশ পাচ্ছে। যারা তার সমর্থক, তারা বলবেন, সব সরকারের কারসাজি। সব কারসাজি এটা মূর্খ মানবরা বলবেন। তিনি যে দোয়া তুলশীপাতা না আমাদের সে ভাবনা ভাবার মন মানসিকতা থাকা দরকার। তবে তাকে গ্রেফতারে সরকারের অবশ্যই হাত আছে। দীর্ঘ দিন থেকে সরকারের ঘটনমূলক সমালোচনা কারায় দলীয় প্রধান তার উপর ক্ষুব্দ, সেটা আমরা অনুমান করতে পারি। কারন আ্ওয়ামীলীগ বা দলীয় প্রধান সমালোচনার উদ্ধে। তিনার বিরুদ্ধে বা দলের বিরুদ্ধে যায় এমন সত্য কথা কখনো বলা যাবে না। রনি সাহেব হয়তো শেষ কতদূর সেটা বুঝতে পারেন নাই। আরেকটা ঘটনা হচ্ছে, তিনি এমন একটি চ্যানেলের সাংবাদিককে মাররেন, যার মালিক কোন না কোনভাবে সরকার পক্ষ, তার সিষ্টেমে ভুল হয়েছে। না হইরে তিনি হয়তো কামাল মজুমদারের মত রাজার হালে থ্কতেন। রনি সাহেবের নানা দুর্নীতির খবর চারদিকে ভাসছে। সংবাদ মাধ্যমগুলো অনুসন্দান চালাচ্ছে, আর এতদিন পর আমাদের দুদোকের সাহেবদের আগ্রহ হয়েছে তার দুর্নীতি খোজে বের করার। যাই হোক কোন না কোন ভাবে, সরকার দলীয় কারো দুর্নীতির তদন্ত হচ্ছে, আহ দুদোককে বাহবা না দিয়ে পারছি না।

গত জোট সরকারের আমলে আমার কি দেখলাম, প্রধানমন্ত্রী কালো টাকা সাদা করেন। এই হচ্ছে আমাদের অবস্থা, আমাদের দেশের প্রধান মন্ত্রী পর্যন্ত স্বঘোষিত অবৈধ ইনকামধারী। আরেকটা ঘটনা না বলে পারছি না। আরো ৫ বছর আগে নাট্রাকার মামুনুর রশীদের একটা ইন্টারভিউ নিয়েছিলাম। তিনি শেষ একটা কথা বললেন, বাংলাদেশের আইনই দুর্নীতির মূল কারণ। উদাহরন হিসেবে, তিনি বললেন, দেখেন আমাদের দেশে এমপি হইলেই শুল্ক মুক্ত গাড়ী আনতে পারে, যে কারনেই দেশে হেমার গাড়িসহ গাড়ী আমদানী নিয়ে দুর্নীতি হচ্ছে। আমরা কখনো দেখবো না, পার্থের মত দুর্নীতিগ্রন্থ পরিবারের এমপিরা বহু উপদেশ দিলেও এটা নিয়ে কিছু বলবেন না। কারন নিজের ভাগেরটা নিয়ে কেন কথা বলবো, এটা আমার অধিকার। আমাদের ৩৬০ টা আসনের ৩৬০ জন এমপির খবর নেন, কার কালো টাকা নাই একজনকে দেখতে চাই। কারো সাহস থাকলে বুকে হাত দিয়ে বলুক আমার এক টাকাও অবৈধ নাই। আমি নিয়মিত কর দেই। ছোট বড় মাঝারি সব জায়গায় দুর্নীতি হয়। অবৈধ সম্পদের মালিক হয়।



মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ৩১ শে জুলাই, ২০১৩ ভোর ৫:৪৭

খেয়া ঘাট বলেছেন: রনি কেন ৩৬০ এমপির একজন বলুক আমার কোন অবৈধ সম্পদ নাই - কোটি টাকার জিগ্গাসা। ধন্যবাদ।
কেউ বলতে পারবেনা, কেউ না।

২| ৩১ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:১৮

দাদুভাই বলেছেন: ধন্যবাদের জন্য ধন্যবাদ। কত টাকার জিজ্ঞাসা সেটা বড় কথা না, তারা একজন বলূক, সাহস থাকলে। এমপি কেন যারা আছে, সুশীল বেশধারী, জাতির বিবেক, যারা জাতির অভিভাবক সেজে মাঝ রাতে ভাষন দেন, তাদেরও আমার জিজ্ঞাসা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.