নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি অধম।

দাদুচাচা

আমি মানুষ।

দাদুচাচা › বিস্তারিত পোস্টঃ

দূর হোক মেদ ভুঁড়ি:D/:):|

১৪ ই মে, ২০১৩ দুপুর ২:০৫





যারা একটু স্বাস্থ্য সচেতন এবং ফিট থাকতে চান তাদের কাছে মেদ ভুঁড়ি এক মারাত্মক সমস্যা। শুধু তাই নয়, ফ্যাশন সচেতনদের কাছেও ভুঁড়ি এক বিড়ম্বনার নাম। ধরুন আপনি শার্ট ইন করেছেন, কিন্তু সব কিছু ছাপিয়ে বেড়িয়ে আসছে ভুঁড়ি! কিংবা একটু ফিটিং কোন ড্রেস পরেছেন এ ভুঁড়িতে আপনার সব স্টাইল শেষ। বন্ধুদের ঠাট্টা মশকরার শিকারও কম হচ্ছেন না। অতি দুষ্ট কেউ কেউ তো ভূড়িতে চিমটিও কেটে ঠাট্টা করছে। আর অন্যদিকে মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকি তো রয়েছেই। এই অবস্থায় সুস্বাস্থের ‘দুশমন’ ভুঁড়ির একটা বিহিত তো করতেই হয়ে।

ভুঁড়ি হৃৎপিণ্ড, শ্বাসযন্ত্র, গলব্লাডার এমনকি মস্তিস্ককেও ক্ষতিগ্রস্ত করে থাকে। এটা হার্ট অ্যাটাক, ডিমেনশিয়া (মস্তিস্কের রোগ), ডায়াবিটিস, ক্যান্সার প্রভৃতি রোগের অন্যতম কারণ। তাই সুস্থ ও সবল থাকতে হলে ভুঁড়ি দূর করা জরুরি।

এতো সব সমস্যা যে ভুঁড়ির কারণে, তা দূর করতে আপনাকে যুদ্ধ ঘোষনা করতে হবে না। এটা কঠিন কিছু না। খুব সহজেই এই বিড়ম্বনাকে তাড়ানো যায়। এর জন্য যা দরকার তা হলো ইচ্ছা ও অধ্যবসায়।

প্রথমেই খাদ্যাভাসে পরিবর্তন আনতে হবে। অতিরিক্ত শর্করা, রেড মিট প্রভৃতি ভুঁড়ি হওয়ার অন্যতম কারণ। তাই ভুঁড়ি কমাতে হলে খাদ্যতালিকা থেকে এসব ছাঁটাই করতে হবে। একটি নির্দিষ্ট ডায়েট চার্ট মেনে চলতে হবে।

ভুঁড়ি কমাতে হলে ভাত, মিষ্টি, আলু প্রভৃতি যাবতীয় শর্করা জাতীয় খাওয়া কমিয়ে দিন। একসাথে বেশি খাবেন না। বরং কিছুক্ষণ পর পর অল্প অল্প করে খান। কখনোই পেট কানায় কানায় ভর্তি করবেন না খেয়ে। ক্ষিদে মেটাতে যতটুকু খাওয়া দরকার ঠিক ততটুকুই খাবেন। রাতে ভাত বেশি খাওয়ার অভ্যাস পরিহার করুন, রুটি খাওয়া শুরু করুন।

ভাত, রুটি এসব কম করে খাবেন, তরকারী, সালাদ, মাছ এসব বেশি করে খান। গরুর মাংস, খাসির মাংসের পরিবর্তে মুরগীর মাংস খান। খাবারের পরপরই শুতে যাওয়ার অভ্যাস ত্যাগ করুন। কমপক্ষে ১০-১৫ মিনিট মাঝারি গতিতে হাঁটুন। এতে হজম দ্রুত হবে এবং চর্বি জমার হার কমবে।

আর চর্বি জাতীয় খাদ্যও কমিয়ে দিন। রান্নায় তেল ব্যবহার কম করুন। সকালের নাশতা ভালো করে করুন কিন্তু দুপুর এবং বিশেষ করে রাতে কম খান। দুপুরে ঘুমানোর অভ্যাস থাকলে ত্যাগ করুন।



খাদ্য অভ্যাস বদলের সাথে সাথে নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে। সহজ কিছু ব্যায়াম রয়েছে। রুটিন মেনে তা ফলো করুন। ব্যায়ামের পদ্ধতিগুলো দেয়া হলো :

* সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে হাঁটু ভাঁজ না করে পায়ের পাতা ছোঁয়া – প্রত্যেক দিন কমপক্ষে ১০ বার করুন।

* মেঝেতে ম্যাট বিছিয়ে তার উপর শুয়ে পায়ের পাতা ছোঁয়া – প্রত্যেক দিন কমপক্ষে ৫ বার করুন।

* জায়গায় দাঁড়িয়ে জগিং – কমপক্ষে ২ মিনিট করুন।

* বুকডন – দিনে ১০টা করে বুকডন দিন।

* লিফটের পরিবর্তে সিঁড়ি ব্যবহার করুন। সময় থাকলে ৫ মিনিট সিঁড়ি বেয়ে উঠানামা করুন।

এছাড়া সাইক্লিং, সাঁতার প্রভৃতি করার সুযোগ থাকলে তা নিয়মিত করুন।



View this link

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই মে, ২০১৩ দুপুর ২:৪৩

মোঃ জুম্মা বলেছেন: এটা বেশির ভাগই ঘুষখোরদের হয়ে থাকে।

২| ১৪ ই মে, ২০১৩ দুপুর ২:৪৪

মোঃ জুম্মা বলেছেন: ঘুষখোরদের স্ত্রীরাও এর থেকে বাদ যান না। অর্থ তো একই সোর্সের তাই ।

৩| ১৪ ই মে, ২০১৩ দুপুর ২:৫৩

পূরান পাগল বলেছেন: ধন্যবাদ সুন্দর পোস্টের জন্য।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.