![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একাকী নিঃসঙ্গ পথিক ; কিছুটা বিমর্ষ, একটু যেন বিষন্ন, আর সামান্য ভাবুক! ভালবাসি পড়তে, ভাল লাগে চিন্তা করতে, মাঝেমাঝে চেষ্টা করি টুকটাক লেখার... যদিও লিখার যোগ্যতা বলতে তেমন কিছু নেই, তবু ভাল লাগে বলে লিখি, লিখবো। আমার কলম যতদিন জাগবে কথা বলবে মানুষের, কথা বলবে শ্রমিকের, কথা বলবে দিনমজুরের কথা বলবে অদ্বিতীয়া লাস্যময়ী এই দেশটারই ... হয়তো তেতো, হয়তো মিষ্টি, হয়তোবা মধুবর্ষী জলতরংগ; হয়তো মিষ্টি সুরেলা গুনগুন, কিংবা সান্ধ্য আবীর ছোঁয়ানো হর্ষ-কলতান কিংবা প্রকম্পিত বজ্র নিণাদ -যাইহোক, যখনই হোক আর যেভাবেই যাহোক, যতদিন জাগবো স্বকীয়তা নিয়েই... নাহয় নামহীন হয়ে অলক্ষ্যেই, কিন্তু কথাগুলি রেখে যাবো .... আর দিনশেষে আমার স্যালুট টা আমি ওই সাধারণে মিশে থাকা নামহীন অসাধারণ দেরকেই দেই আছেন যারা মানুষের সাথে, মাটির সাথে, দেশের সাথে মিশে সবটা কামনীয় ইপ্সিত অনুভব-অনুরাগ, যুক্তি- সামর্থ্য আর ভালোবাসা দিয়ে সবটুকু স্বকীয়তায়,সবটুকু ভালোলাগায় আর সবটা মহানুভবতায় স্বীয় এরিস্ট্রোক্রেসী প্রিয় জন্মভূমির ধুলোর তরে ঘসে মিশিয়ে দিয়েই...দৃঢ়ভাবেই......
-এই খালি যাবা ?
-কই যাইবেন ?
-দক্ষিন খান ।
-যামু ।
-কত?
-১১০ টাকা ।
-কি? রিকশা নতুন চালাও নাকি ? ফাজিল কোনখানের ।
-গালি দেন কেন ? হ্যাঁ ?? না যাইলে না যাইবেন । তাই বইলা গালি দিবেন ? আমি কি আপনার চাকর নাকি?
-চুপ! শালা ছোটলোকের বাচ্চা । যেইখানে আছস ওইখানে বসে থাক । দেশে রিকশার অভাব পড়ে নাই ।
-অভাব পড়ে নাই ত আমারে কন ক্যা ? আমি ছোটলোক আপনে কি??
-এক থাপ্পর মারব ।মুখে মুখে কথা কস । আমারে চিনস ?
- দরকার নাই আমার আপনারে চিইন্যা । যেইদিকে জাইতাসেন ওইদিক যান ।
-আর একটা কথা বলবি ধরে থানায় নিয়া যাবো কিন্তু ।
-এহ! আইছে আমার লাটসাহেব!
-অই চাচা যাইবা ?
-কই যাইবেন চাচা?
-দক্ষিন খান ।
-যামু ।
-কত?
-১০০ দিয়েন ।
-কি কইলা? উত্তরা ৪ থিকা দক্ষিনখান ১০০ টাকা ? ভাড়া শিখাও নাকি আমারে ?
-ভাড়া শিখামু কেন ? যেইটা ভাড়া সেইটাই ত কইলাম ।
-যেইটা ভাড়া সেইটা না ? তোমার মিয়া হাতই নাই একটা । একহাতে টানবা আবার ১০০ টাকা ভাড়া চাও । রাস্তায়ই তো আমার বিশ মিনিট নষ্ট করায় দিবা । ৫০ টাকা দিব যাইবা ?
-এইটা কি কন সাহেব ? এইটা সম্ভব না । কেউ যাইব না ৫০ টাকায় । আচ্ছা ৮০ টাকা দিয়েন, উঠেন ।
-এহ! লেংড়ায় লেংড়ায় টানবা আবার ৮০ টাকা দিমু তোমারে । আমার সময়ের কি দাম নাই নাকি ?? ৭০ পাবা চল ।
-আচ্ছা চলেন । তয় , অন্যকেউ হইলে যাইত না ।
:::::::::::::::::: ২ মিনিট পর ::::::::::::::::::
-শালার বাঙ্গালীর উন্নতি কোন দিনই হবে না ! আজাইত্যা ফকির গুলা ফকিরই থাইকা যাবে ।যত্তোসব ন্যাড়ো মাইন্ডেড ননসেন্স পাবলিক !
-কি হইছে সাহেব ?
- আর বইলো না চাচা, এক রিকশা ওয়ালারে বললাম ভাড়া এত কেন ? কয়কি জানো ?
-কি কয়?
-কয় যাইলে যাইবেন না যাইলে নাই । আমি কি আপনার চাকর নাকি?
-হে হে । মেজাজ খারাপ আসিল হয়তো পোলার ।
-আরে নাহ! এইগুলার স্বভাবই খারাপ বুঝলা চাচা । সারাদিন ওই এক জায়গায় বইসা থাকবে কিন্তু পাঁচ টাকা কম রাখবে না । যত্তোসব রাবিশ!
-কি করব কন? রিকশা ওয়ালা বইলা কি আমগোর কাছ থিকা কোন কিছুর দাম কেউ কম রাখে? আমগোরও তো সংসার আছে । পেট তো মানে না ......
- আচ্ছা চাচা সামনে একটু রাখ তো ওই দোকানটার সামনে । ফ্লেক্সি করা লাগবে মোবাইলে ।
জাগর চৌধুরী ফ্লেক্সি করছেন । একে একে ৫টা নাম্বার দিলেন ২টাতে ২০০ টাকা করে ,একটায় ১০০, বাকি ২ টায় ৫০ করে লোড করলেন । তারপর দুই পকেট থেকে ২ টা মোবাইল বের কয়রে চেক করলেন ।
হ্যাঁ টাকা গেছে । এরপর একটা হাতে নিয়ে কল দিলেন কাউকে । ৩ বার দেয়ার পর ওপাশ থেকে সাড়া এল ,
-হ্যালো ?
-হ্যাঁ জান তোমার দুটো নাম্বারে ২০০ করে পাঠিয়েছি । দেখতো গেল কিনা ।
-দেখছি ।
হ্যাঁ এসেছে । তুমি কোথায় ?
-এইতো আমি অফিস থেকে বেরুলাম মাত্র । তুমি রেডি হও আমি আর পনের মিনিটের মাথায় পৌছে যাব । গাড়িটার ব্যাবস্থা হল ?
-হুম । দুলাভাইকে বলে রেখেছিলাম কালকে । কিছুক্ষনের মধ্যে পাঠিয়ে দেবে বোধহয় । তুমি জলদি কর । আজ কিন্তু লেট হলে চলবে না ।
- আরে ধুর কি যে বল । আমি এই তো পৌঁছে গেলাম বলে ।
-আচ্ছা রাখি
এরপর আরেকটা রিং দিলেন দ্বিতীয় সেটটা থেকে । এইবার অন্যএকটা নাম্বারে । প্রথমবারই রিসিভ হল ,
-হ্যালো ভাইয়া?
-হ্যাঁ , মারুফ কই তুই ?
-আমি এইযে বাসার দিকে যাচ্ছি , ভার্সিটি থেকে । তুমি ?
-আমি অফিসে । তোর নাম্বারে ৫০ টাকা দিয়েছি। দেখতো গেল কিনা ।
-দাঁড়াও দেখি ।
হ্যাঁ আসছে । তুমি ফিরবা কখন ?
-আমার আসতে দেরি হবে ।
-আজ না তোমার আম্মাকে নিয়ে যাওয়ার কথা ডাক্তারের কাছে ?
আমি পারব না । আজকে জরুরী মিটিং এ আটকেছি বুঝলি ? ফিরতে অনেক রাত হবে । তোরা খেয়ে নিস । আর আম্মাকে তুই নিয়ে যা না চেম্বারে ।
-আমি? আমার তো কালকে এক্সাম আছে । আচ্ছা, নাহয় গেলাম, কিন্তু চেম্বারটা কই? চিনি না তো । তোমার পরিচিত ডাক্তার তুমি গেলে সুবিধা হত না ?
- আরে টেস্টের রিপোর্টগুলোর সাথে দেখ চেম্বারের কার্ড আছে ।তুই চিনবি , গ্রীন লাইফ হাসপাতালটার আগের গলিটার মুখেই মেঘনা ফার্ণিচারের বড় দোকানটার অপজিটের তিনতলা বিল্ডিংটায় ।
না পেলে পরে ফোন দিস । আর আম্মাকে বলিস আমার জন্য ওয়েট না করতে , আমার দেরি হবে । কাজের চাপ বেশি আজকে ।
রিকশাওয়ালা ফ্যালফ্যাল কয়রে তাকিয়ে আছে তার দিকে । বুঝতে পেরে জাফর চৌধুরীর ভুরু কুচকে উঠল । বিরক্ত বঙ্গিতে এসে রিকশায় উঠলেন ।
-সাহেব কথা গুলা রিকশায় উইঠাই তো বলতে পারতেন । পনের মিনিট তো এইখানেই শেষ ।
-জ্ঞান দাও নাকি ? হ্যাঁ ? আমার কি সময় তোমার কাছ থেকে নিতে হবে ??
-কি বলেন? আমি কি তা বলসি? বললাম রিশকায় উইঠ্যাই ত কইতে পারতেন কথা গুলি ।
-বেশি বুঝ? টাকা গেল কিনা সিউর হইতে হবে না? আন্দাজে লাফ দিয়ে চলে গেলে দোকানদার বেটা এতোগুলি টাকা মেরে দিলে কিভাবে ধরব ? কালকে শুক্রবার । দুই দিনের মধ্যে এইদিকে আসাও হবে না । এতোগুলা টাকা গেলে কি তুমি দিবা ?
-কি যে কন সাহেব /
-তাইলে বকবক কম কর ।
:::::::::::::::: ৫ মিনিট পর ::::::::::::::::
-চাচা সামনে বামের দোকানটায় একটু রাখ তো । ১ মিনিট ।
একটা জিনিস নিতে হবে ।
জাফর সাহেব রিকশা থেকে নেমে সুপার শপটায় ঢুকলেন । রিকশাওয়ালা বুড়ো অপেক্ষা করতে থাকলো ...... ১ মিনিট, ২মিনিট ... ৫ মিনিট ... দশ মিনিট পার হয়ে যাচ্ছে । তার যাত্রির দেখা নেই । নিজেকে বেকুব মনে হচ্ছে তার । অবশেষে, ১৫ মিনিটের মাথায় জাফর সাহেব বেরিয়ে এলেন হাতে রেপিং পেপারে মোড়া বড় দুটো প্যাকেট নিয়ে । হন্তদন্ত হয়ে রিকশায় উঠে বসলেন । বসেই হুকুম ,
-চাচা একটু তাড়াতাড়ি টানো তো । অনেক দেরি হয়ে গেল ।
-একটু পরপর নাইমা হারায় গেলে ত দেরি হইবই । ( বিড়বিড় করে )
দশ ফুট না যেতেই রিকশা বামে চাপানো হল । জাফর সাহেব খেকিয়ে উঠলেন, আহহা!! আবার কি হল ?!
-চেইন পইড়া গেসে ।
-ওহ গড! কপাল আমার এতো খারাপ । কোন দুঃখে যে মরতে উঠছিলাম এইটায় !!
চেইন লাগানো হল । বৃদ্ধ রিকশাওয়ালা একহাতে যথাসম্ভব দ্রুত টানার চেষ্টা করছেন রিকশাটাকে ।
-চাচা কি ক্ষতি যে করলা, জানো না । আর তোমাদের কি বলমু । সময় জ্ঞান থাকলে তো আর রিকশা চালাইতা না ।
- আমি ক্ষতি করসি আপনার ?!? এইগুলা কি কন সাহেব ?
-আহহা ! এতো কথা কও কয়েন রিকশাটারে তো গরুর গাড়ি বানায় ফেলছ ! সব যাইতাসে তোমারটা আর আগায় না ! একটু টানো না এইবার ।
-কি করুম? একটা হাতে আর যে পারি না । তার উপরে দুপুরে কিছু খাইবার পারি নাই । শরীলে কুলাইতাসে না ।
- শরীরে কুলায় না তো বাইর হও কয়েন রিকশা নিয়া । ঘরে শুইয়া থাকলেই পারো । যত্তোসব ! খালি তো পারো মানুষরে লেট করায় দিতে ! রাবিশ !
নিজের একমাত্র ডানহাতটা আর শীর্ণ পাদুটোর সর্বোচ্চ ব্যবহার করে রিকশাটাকে দ্রুততর করবার চেষ্টা করে ফারুক মিয়া । এই মিত্থ্যে অনৈতিক কথাগুলো তার পুরোন রক্তে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে ......
:::::::::::::::::: ১০ মিনিট পর ::::::::::::::::::
-চাচা ডানের গেটটায় রাখ ।
বিশাল ৬ তালা বাসাটার মেইন গেটের সামনে দাঁড়ায় রিকশা । তাড়াহুরো করে নেমে যান জাফর চৌধুরী । নেমেই হন্তদন্ত করে গেটে ঢুকে পড়েন । পেছন থেকে ফারুক মিয়া চেঁচায় ,
-আমার ভাড়াটা ?? ভাড়া দিলেন না ??
-১ মিনিট দাঁড়াও চাচা । ভাংতি নেই জিনিস গুলো রেখে এসে দিচ্ছি তোমার ভাড়া ।
-তাড়াতাড়ি কইরেন সাহেব ! কয়েকটা ট্রীপের টাইম মাইরা দিসেন । একটু তাড়াতাড়ি করলে আরো দুইটা ট্রীপ দিমু ।
-১ মিনিট বসো ।
জাফর সাহেব সিঁড়ি দিয়ে উঠে হাড়িয়ে গেলেন প্রাসাদ সম বাড়িটার ভেতর ।
বৃদ্ধ ফারুক মিয়া কপালের ঘাম মোছেন গামছা কোমড়ে বাঁধা গামছাটা দিয়ে । অপেক্কায় থাকেন ...... ১ মিনিট , ২ মিনিট ...... ৫ মিনিট ...... ১০ মিনিট ...... ২০ মিনিট পেরিয়ে যায় । বাড়ির বিশাল গেট আর খোলে না । ফারুক মিয়া একবার ভাবে লোকটার আসলেই সময়জ্ঞান নেই, প্রত্যেক বার সে ২ মিনিটের কথা বলে ২০ মিনিট পার করছে ।
পেরিয়ে জয়ায় আরো ১৫টা মিনিট !
বাসাটার গেটটা খুলে যায় ! কিন্তু, কোন জাফর সাহেব বেরিয়ে আসেন না । বেরিয়ে আসে একটা ঝকঝকে টয়োটা প্রাইভেট কার । দাড়োয়ানের ধমকে ফারুক মিয়া রিকশাটাকে একপাশে চাপিয়ে রাখেন ।
সুন্দর গাড়িটা ফারুক মিয়া আর তার রিকশাটাকে পাশ কাটিয়ে রাস্তায় বেরিয়ে যায় । তাতে বসে আছে ভারি মেকাপ নেয়া এক মহিলা , আর তার পাশে......... !!
ফারুক মিয়ার বুকটা ধক করে ওঠে .........
পাশের লোকটা তার একটু আগের সময়সচেতন ফুলবাবু যাত্রীটি -জাফর চৌধুরী !!!
ফারুক মিয়া চেঁচাতে চেষ্টা করেন, কিন্তু শুকনো গলা দিয়ে ফ্যাসফ্যসে আওয়াজ ছাড়া কিছুই বের হয় না ।
গাড়িটা ক্রমে দূরে চলে যাচ্ছে । সেই সাথে ফারুক মিয়ার চোখ জমা হচ্ছে দু-ফোঁটা অশ্রু !
বুক চিড়ে বেরিয়ে আসে একটা দীর্ঘশ্বাস ! আর মুখ দিয়ে একটা শব্দ .......
"অমানুষ" !!!
০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৫৬
মুনতাসির নাসিফ (দ্যা অ্যানোনিমাস) বলেছেন: এই সুবেশী শোভিত অমানুষেরা মিশে আছে আমাদেরই আশে পাশে । চলছে ফিরছে, উঠছে বসছে হয়তো মোহিতও করছে আমাদেরকে অনেক সময় , আমাদেরই অজান্তে !
পড়ার জন্য ধন্যবাদ /
২| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:২৫
রিজাল কবির বলেছেন: ভালো হইসে, বন্ধু। বেশ গুছিয়ে লেখা!!
২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:০৮
মুনতাসির নাসিফ (দ্যা অ্যানোনিমাস) বলেছেন: পড়ার জন্য এত্তগুলা ধইন্যা বন্ধু
৩| ১২ ই জুলাই, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪৫
অঘটনঘটনপটীয়সী বলেছেন:
১২ ই জুলাই, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪৭
মুনতাসির নাসিফ (দ্যা অ্যানোনিমাস) বলেছেন: কি হৈল!?
৪| ১২ ই জুলাই, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৫৭
অঘটনঘটনপটীয়সী বলেছেন: দুঃখের গল্প পড়তে ভাল লাগে না।
১২ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ৮:৩২
মুনতাসির নাসিফ (দ্যা অ্যানোনিমাস) বলেছেন:
কি ভাল্লাগে রোমান্স?
আমার তো দুঃখের গল্পই বেশি মাথায় আসে..
৫| ১২ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ৮:৩৯
অঘটনঘটনপটীয়সী বলেছেন: কি ভাল লাগে বলেছি অন্য একটা পোস্টে।
প্লিজ দেখে নিবেন কষ্ট করে।
১২ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ৮:৫২
মুনতাসির নাসিফ (দ্যা অ্যানোনিমাস) বলেছেন: আচ্ছা...
৬| ১২ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ৯:২৩
অঘটনঘটনপটীয়সী বলেছেন: আচ্ছা বললেন, কিন্তু দেখলেন তো না।
১২ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১০:০২
মুনতাসির নাসিফ (দ্যা অ্যানোনিমাস) বলেছেন:
হাহা...!
দেখেছিতো...
এক্ষুনি জবাব পাঠাচ্ছি...
তবে কবে আবার সেরকম লেখার সুযোগ আসবে নিজেও জানিনা...
৭| ১২ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ৯:৩০
রাজিব বলেছেন: এ ধরনের অমানুষ আমাদের সমাজেই আছে অনেক। একবার রাস্তায় দেখি যে ২০-২১ বছরের এক তরুন এক ৬৫-৬৬ (বা ৭০ ও হতে পারে) রিকশাওয়ালাকে ভাড়া নিয়ে বিতর্কের এক পর্যায়ে প্রচণ্ড জোরে চর মারে। রিকশাওয়ালা এত উচ্চ শব্দে আর্তনাদ করে কেঁদে উঠে যে তা আজো আমার মনে আছে। এর পর ২০-২৫ জন মানুষ মিলে সেই তরুনটিকে ঘিরে ধরে মারবে বলে। ছেলেটি ২০০ টাকা দিয়ে মাফ চেয়ে সে যাত্রা রক্ষা পায়।
আমাদের অনেকের ধারনা রিকশাওয়ালা আমাদের ঠকায়। সব সময় তারা যা চাইবে তার থেকে ১০-২০ টাকা কম দিতে হবে। অথচ একবারও চিন্তা করে দেখিনা যে পৃথিবীর সবচেয়ে কষ্টের ও অমানুষিক শ্রমের কাজ হল রিকশা চালানো। ১০০ টাকা দিয়ে এক প্যাকেট সিগারেট এর পেছনে উড়াতে সমস্যা নেই, সমস্যা নেই ৫,০০০ হাজার টাকা দিয়ে সানি লিওন ড্রেস কিনে বাহাদুরি করতে কিন্তু রিকশাওয়ালা ১০ টাকা কেন বেশি নিল সেই কষ্টে অস্থির অনেকেই।
১২ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১০:০০
মুনতাসির নাসিফ (দ্যা অ্যানোনিমাস) বলেছেন: আমিও দেখেছি বেশ কয়েকবার এরকম কান্ড! কিছু আধুনিক মানুষের এটিচিউড দেখলে মাঝে মাঝে মনে হয় ধরে এটিচিউড শেখায় রাস্তার মাঝখানে দাঁড়া করায়!
এইযে ২০-২১ বছরের ছেলে ৬০-৭০ বছর বয়সের তার বাবার চেয়েও বয়স্ক একটা লোকের সাথে দূর্ব্যবহার করছে, যাচ্ছেতাই তুছতাছ করবার ধৃষ্ঠতা দেখাচ্ছে, এর পেছনে দায়ী কি?
আমি মনে করি এর জন্য প্রথমে দায়ী তার বা তাদের নিম্নমানের কুরুচিপূর্ণ নৈতিক মূল্যবোধ এবং যথাযথ নৈতিক শিক্ষার অভাব, যা পাবার কথা ছিলো পারিবারিক ভাবে...
এরা সামান্য আধুনিকতার ছোঁয়ায়, যৎসামান্য সার্টিফিকেটের মুখস্ত শিক্ষার দম্ভে, আর নির্লজ্জতার নামান্তর অহমিকায় এসব করে এতে কোন সন্দেহের অবকাশ নেই...
ঠিকই বলেছেন,
১০০ টাকা দিয়ে এক প্যাকেট সিগারেট এর পেছনে উড়াতে সমস্যা নেই, সমস্যা নেই ৫,০০০ হাজার টাকা দিয়ে সানি লিওন ড্রেস কিনে বাহাদুরি করতে কিন্তু রিকশাওয়ালা ১০ টাকা কেন বেশি নিল বা নিতে চাইলো সেটা মেনে নেয়াটা সম্ভবপর না এইসব মানুষরুপী আধুনিকতার লেবাসধারী অমানুষ দের...
অনেক ধন্যবাদ... সুন্দর এবং বাস্তব মন্তব্যটার জন্য...
শুভকামনা...
৮| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:৫৪
ইনসোমনিয়াক দাঁড়কাক বলেছেন: বাস্তব জীবনের নগ্ন বাস্তব চিত্র!!
১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:৫৫
মুনতাসির নাসিফ (দ্যা অ্যানোনিমাস) বলেছেন: হুম...
৯| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:০৬
শক্তপাল্লা বলেছেন:
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:৩০
১০| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:০৭
শক্তপাল্লা বলেছেন: সত্যিই এরা অমানুষ!
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:৩২
মুনতাসির নাসিফ (দ্যা অ্যানোনিমাস) বলেছেন: হুমমম...
©somewhere in net ltd.
১|
০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:১১
দয়াল সাহেব বলেছেন: সত্যিই অমানুষ । ভাল লাগলো, এক নি:শ্বাসে পড়ে ফেল্লাম ।