নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি শ্রীযুক্ত বিপুল চন্দ্র দাস আমি বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছি এবং আমি সবসময় নতুন আবিষ্কার অনুসন্ধান করি।

বিপুল সটার

আমি বিপুল দাস। আমি কম্পিটার সায়েন্স এ বিএসসি পড়ছি বাংলাদেশ ইউনির্ভাসিটি।বর্তমানে আমি এসইও এক্সর্পাট হিসাবে কাজ কাজ করছি স্টার আইটি লিমিটেড।

বিপুল সটার › বিস্তারিত পোস্টঃ

এলডোরাডো শহর নিয়ে গালগল্প তো বেশ মজার শাকিরা

২৮ শে জুন, ২০১৮ বিকাল ৩:২০

হারিয়ে যাওয়া স্বর্ণ মোড়ানো শহর এলডোরাডো। লোককথায় এমনটাই শোনা যায়। অনেক অভিযাত্রী এই শহরের অস্তিত্ব ছিল বলে দাবি করলেও কোনো প্রমাণ দিতে পারেনি এখনো। তাতে কী? এলডোরাডো শহর নিয়ে গালগল্প তো বেশ মজার। সেই মজার ছলেই হোক আর যে ভাবনা থেকেই হোক, শাকিরা তাঁর ১১তম স্টুডিও অ্যালবামের নাম দিয়েছেন এই শহরের নামে—এলডোরাডো। কথা ছিল, গত বছরের শেষের দিকে এই অ্যালবামের জন্য বিশ্ব ভ্রমণে বের হবেন শাকিরা। কিন্তু হঠাৎ করে কণ্ঠনালিতে ক্ষত ধরা পড়ায় কনসার্ট ট্যুরের তারিখ পিছিয়ে দিতে হয়েছে কলম্বিয়ার পপ তারকাকে। এ বছর জুনের ৩ তারিখ থেকে শাকিরা শুরু করলেন তাঁর এলডোরাডো ভ্রমণ। সাত বছর পর একক কনসার্টের জন্য মঞ্চে উঠে দিব্যি মাতিয়ে বেড়াচ্ছেন ‘ওয়াকা ওয়াকা’ গানের তারকা।

জার্মানি থেকে কনসার্ট শুরু করেছেন। শেষ করবেন নভেম্বরে নিজ দেশ কলম্বিয়ায় গিয়ে। ইউরোপ, এশিয়া, উত্তর আমেরিকা ও লাতিন আমেরিকার বেশ কয়েকটি দেশে কনসার্ট করবেন। শুরুটা বেশ জমিয়েছেন তিনি। অনেক দিন পর মঞ্চে উঠলেও তাঁর কণ্ঠের জৌলুশ কমেনি এতটুকুও। সেই আগের মতো করেছেন বেলি নৃত্য। গানের সঙ্গে পেটের এই নাচটা খুব ভালো রপ্ত করেছেন তিনি। কনসার্টে সরাসরি দেখতে না পারলে অন্তত তাঁর ‘হোয়েন এভার হোয়ার এভার’ কিংবা ‘হিপস ডোন্ট লাই’ গান ইউটিউব থেকে দেখে নিতে পারেন। প্রমাণ পেয়ে যাবেন।শাকিরা এলডোরাডো শহর নিয়ে গালগল্প তো বেশ মজার
এলডোরাডো অ্যালবামের কনসার্ট করতে গিয়ে তো মহা ঝামেলায় পড়তে যাচ্ছিলেন শাকিরা। ঘটনা সামাল দেওয়া হয়েছে কোনোভাবে। হয়েছে কী, এই কনসার্ট ভ্রমণ উপলক্ষে আয়োজক লাইভ ন্যাশন শাকিরার জন্য একটি গলার হার নকশা করে দিয়েছে। সেই হার আবার তারা অনলাইনে বিক্রির জন্য ছবিও দিয়েছে। শাকিরার ভক্তরা এই হার কিনতে পারতেন ৯ দশমিক ৯৫ মার্কিন ডলারে। কিন্তু সেই হার ভক্তরা পছন্দ না করায় হয়েছে উল্টো। ভক্তদের তোপের মুখে ওই হারের ছবি সরিয়ে অন্য নকশার হার এখন বিক্রি করছে তারা। কারণ, শাকিরার ভক্তদের দাবি, ওই হারের নকশা একটি কালো রঙের সূর্যের, যা জার্মানির নব্য-নাজি দলের প্রতীক। জার্মান গণমাধ্যমও বলছে একই কথা। এডলফ হিটলার ও তাঁর নাজি পার্টিকে অসমর্থন করার কারণের তো অভাব নেই। এমনকি তাঁর অনুসারীদের নব্য-নাজি দলকেও। তাহলে কেন শাকিরা এমন নকশার হার পরবেন বা ভক্তদের কিনতে উৎসাহ দেবেন? লাইভ ন্যাশন টুইটারে ক্ষমা চেয়ে এর কারণ লিখেছে, ‘লাইভ ন্যাশন শাকিরার এলডোরাডো বিশ্ব ভ্রমণের জন্য যে হার নকশা করেছে, সেটা আসলে কলম্বিয়ার প্রতীক বহন করে। যা-ই হোক, কিছু ভক্ত জানিয়েছেন উদ্দেশ্যহীনভাবে হলেও এটা নব্য-নাজি দলের প্রতিচ্ছবি বহন করে। আমরা এই অসচেতন সাদৃশ্যের জন্য আন্তরিকভাবে ক্ষমাপ্রার্থী এবং হারটি ট্যুরের সংগ্রহ থেকে একেবারে বাতিল করে দিচ্ছি।’ কালো সূর্য নকশার হারটির জায়গা দখল করেছে ভিন্ন নকশার একটি হার। এটার সঙ্গে এলডোরাডো কনসার্ট ট্যুরের অনুষঙ্গ হিসেবে বিক্রি হচ্ছে আইফোনের কেস, হ্যাট, পোস্টার, ব্যাগ ইত্যাদি। তবে আয়োজকেরা বেশ সচেতন হয়ে গেছেন, আর যেন বাকি পণ্যে কোনো প্রতীক ব্যবহারে ভুল না হয়। শাকিরা অবশ্য এ ব্যাপারে এখনো কোনো মন্তব্য করেননি। আয়োজকেরা সামলাক না, তিনি তো মঞ্চে ব্যস্ত।
এই দেখুন, স্পেনের জাতীয় দলের ফুটবল তারকা জেরার্ড পিকের সঙ্গে থাকলেও আট বছরে ফুটবল খেলার পুরোটা বুঝতে পারেননি শাকিরা। অথচ তিনি ফুটবল বিশ্বকাপের জন্য গান গেয়েছেন। বিশ্বকাপের অন্য সব গান ভুলে গেলেও শাকিরার ‘ওয়াকা ওয়াকা’ যেন ভোলার নয়। তাই তো বিলবোর্ড ম্যাগাজিন সেরা দশ বিশ্বকাপ গানের তালিকায় শাকিরার এই গানকে রেখেছে একদম শীর্ষে। একদিকে পিকে এখন আছেন মাঠে ব্যস্ত, অন্যদিকে শাকিরা তাই কনসার্ট ট্যুর করছেন। দুজন দুই দিক থেকে নিজেদের ঝোলায় সফলতা টেনে আনছেন। কিন্তু শাকিরার নতুন নতুন গান কি সেই ‘ওয়াকা ওয়াকা’কে ছাপিয়ে যেতে পারবে? জানেন তো, ইউটিউবে সবচেয়ে বেশিবার দেখা ও শোনা গানের তালিকায় শাকিরার বিশ্বকাপের এ গানটি আছে ৬ নম্বরে।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৫:০৯

রাজীব নুর বলেছেন: খুব সুন্দর।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.