![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
খুব সাধারণ মানুষ ..পড়েছি পুরকৌশল এ, কাগজে-কলমে বেকারত্ব ঘুচলেও স্বভাবে রয়ে গেছে। মাথা একটু গরম,একটু বোকাও,তবে মানুষটা মনে হয় আমি খারাপ না।
গানটা শুনেছিলাম অনেক আগে,এককালে যখন বিটিভির নিরুপায় একনিষ্ঠ দর্শক ছিলাম তখন কোন এক ছায়াছন্দে। গাইছিলেন মনে হয় ইলিয়াস কান্ঞ্চন,তিনি তখন বিখ্যাত মানুষ,বেদের মেয়ে জোছনা ছবিতে চানাচুরওয়ালার পোষাকে নেচে-গেয়ে বাঁশি বাজিয়ে ফাটিয়ে দিয়েছেন। তো এহেন জাঁদরেল নায়ক তখন জেলের ভিতরে(সিনেমায় অবশ্যই) গারদ ধরে কেঁদে কেঁদে গাইছেন এই করুণ গান,"আমি বন্দী কারাগারে,আছি মাগো বিপদে,বাইরের আলো চোখে পড়ে না"--শুনে চোখে পানি এসে যায়।মনে হয় আহা,এমন রঙচঙে লোকটাকে কোন পাষাণ দুর্বৃত্ত এই অন্ধকার জেলখানায় ভরে দিল,আবেগে আমার মত নাদান দর্শকদের মাঝে কেমন একটা বিদ্রোহ বিদ্রোহ ভাব।তো সেই গান আমি সেদিন গাইছি নিজের বাসার বারান্দায় দাঁড়িয়ে,পাশের বাসার ছাদে দাঁড়ানো ছোকরাগুলোর তোয়াক্কা না করে,এমনকি পাড়ার কুকুরগুলো খেপে যেতে পারে এই ভয়টাও করছি না,একটা কারণ অবশ্য আমি তিন তলায় আছি,কুকুরগুলো আপাতত চাইলেও আমাকে ধরতে পারবে না।
কিছুক্ষণ সঙ্গীতচর্চা মন্দ চললো না,চারপাশ অন্ধকার,বারান্দা থেকে দেখতে পাচ্ছি শুধু আমাদের এলাকা না আশপাশে যতদূর চক্ষু যায় সবই অন্ধকার,শুধু বিশাল বিশাল বাড়িগুলো ভূতুড়ে অবয়ব নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে,রাস্তার গাড়িগুলোর হর্ন না থাকলে শ্রীকান্তের শ্মশানস্মৃতিও মনে পড়ে যেতে পারতো। বাদ সাধলো মা,বারান্দায় উঁকি দিয়ে জানালো এই মুহূর্তে লোডশেডিং আর রান্নাঘরের গরমে তার মাথার তাপমাত্রা গ্যাসের চুলার সাথে পাল্লা দিচ্ছে,আমার এই নাকিকান্না আর খানিকক্ষণ চালালে আমার চামড়া কতখানি অগ্নিসহ সেটা খুন্তিটা দিয়ে পরীক্ষা করা হবে।
দীর্ঘশ্বাস ফেলে গান থামাই,এই পোড়ার দেশের লোকজন প্রতিভার কদর করলো না,না ইলিয়াস কান্ঞ্চনের,না আমার। কি একখানা গান ছিল রে,বাঙ্গালির জন্য একেবারে চিরন্তন গান। কি যে এক জাদুর কারাগারে আমরা বন্দী হয়ে গেছি,আর সেই কারাগারের শিকের সংখ্যা দিন দিন ১৪টা ছাড়িয়ে হাজার হাজার হয়ে যাচ্ছে,লেয়ার আফটার লেয়ার,দুঃস্বপ্ন হল সত্যি,শিকের পর শিক। আমরা লোডশেডিংয়ের কারাগারে বন্দী, আমরা আমলাতন্ত্রের ফাইলফিতার কারাগারে বন্দী,আমরা রক্তচোষা ব্যবসায়ীদের বানানো কৃত্রিম দ্রব্যমূল্য সংকটে বন্দী। শিকলগুলো একটা একটা করে বেড়ে বেঁধে নিচ্ছে আমাদের,আর আমরা "এ শিকল পরা ছল মোদের এ শিকল পরা ছল" ভেবে ধেই ধেই নেচে যাচ্ছি।
ঠিক যে মুহূর্তে গান থামিয়ে গালে হাত দিয়্বে জগৎসংসার নিয়ে দার্শনিক চিন্তায় মগ্ন আছি(রাত ১২টায় লোডশেডিং হলে এর বেশি কিছু করারও থাকেনা,বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের নাম করে সরকার বাহাদুর এর আগেই শহরের লোকজনকে গুহামানব স্টাইলে ঘরে ফেরত পাঠিয়েছেন),সেই সময়টায় অবশ্য ঠিক নৃত্যের আনন্দে আছি তা না,বরং দার্শনিক চিন্তার ফাঁকে ফাঁকে ব্লগে এবং জীবনের নানা বাঁকে শেখা জঘন্য গালিগালাজগুলো কেন যেন বারবারই উঁকি দিয়ে যাচ্ছে। গানটা বন্ধ করাই ভুল হয়েছে,নইলে কি এতসব চিন্তা মাথায় আসতো? সঙ্গীতের জগৎ,ঘোরের জগৎ,আহা! আমরা কোন ঘোরের জগতে আছি সেটা অবশ্য ভাবার বিষয়,ঠিক কতটা ঘোরের মাঝে থাকলে গায়ের উপর দিয়ে ১০ টনী রোড রোলার চলে গেলেও কেউ কিছু টের পায় না সেটা একটা গবেষণার বিষয়।
আচ্ছা,এইবেলা বরং কারাগার বা রোডরোলারগুলোর একটা শ্রেণীবিভাগ, নিদেনপক্ষে একটা তালিকা করার চেষ্টা করা যাক,যদিও সব বাঙ্গালিরই সেগুলো জানা আছে বোধ করি,একবার স্মরণ করিয়ে দেয়া আরকি। লোডশেডিং নিয়ে বলার কিছু নেই,আজকাল আলো দেখলেই কেমন জানি অস্বস্তি লাগে,অন্ধকারে রাস্তায় চলতে পারি ভাল।সকাল ৯টা থেকে তামাশা শুরু,এক ঘণ্টা পরে পরে গমন এবং আগমন।চলছে,চলছে,রাত ১২টায় একদম ডেডস্টপ,ভোর ৫টার আগে আর আসবে না। প্রথম ২ দিন তড়পানি চললো,খেয়ে ফেলবো খুন করে ফেলবো অমুকের বাচ্চা তমুকের ছানা,এরপর রাত ১২টায় সবদিক অন্ধকার করে বিদ্যুৎ চলে গেলে বেশ উদাস ভঙ্গিতে হাতপাখা নিয়ে বারান্দায় বসি,হাওয়া খাই,মশা মারি চটাস চটাস,শেষে ঘুমে চোখ ঢুলে পড়লে প্রেশার কুকারের মত ভাঁপে সেদ্ধ হতে হতে কখন যেন ঘুমিয়ে পড়ি,সকালে অফিস যেতে দেরি,বাসে ঘোড়ার মত দাঁড়িয়ে আধা ঘুম,বসের ঝাড়ি,ঢুলু ঢুলু চোখে এক কান দিয়ে শুনে আরেক কান দিয়ে বের করে দেয়া,আবার ঝিমাতে ঝিমাতে বাড়ি ফিরে আবারো অন্ধকার বারান্দায় বসে মশা মারা,আহা জীবন!
বাজারে যাইনা আমি,ঐটা বাপের ঘাড়ে,তবে ভুল করে মাঝে মাঝে দাম জিজ্ঞেস করে ফেলি আর নিশ্চিতভাবেই সেদিনের খাবার রুচি নষ্ট হয়ে যায়। সেদিন আয়েশ করে মুড়ি চিবাতে চিবাতে বলে বসলাম মুড়ির কেজি কত? মা জানালো,৪৮ টাকা,গলায় আটকে গেল,পানি খেয়ে শান্তি। চা এত পাতলা কেন? মায়ের সাফ জবাব,কিনে আন,দাম শুনে তারপর ঘন লিকার খাও। জবাব নেই,মহিলা কি কথাই না জানে রে! নিরামিষটা আরেকটু ভাল হতে পারত,এবার একেবারে বাউন্সার,তরকারির দাম জানো? একদম মুখে তালা মনে তালা,বলার আর কি-ই বা আছে,যে সংসার চালায় তার উপর কথা চলে না,তার উপর আজকাল সারাক্ষণই যদি তার মেজাজ ফাস্ট বোলারের মত হয়ে থাকে।
এতো গেল ঘরের কথা,বাইরে বের হলে নিজের মেজাজই কেমন যেন চেঙ্গিস খানের মত খুনে হয়ে যায়,ইচ্ছা করে মেরেকেটে একদম কবরের শান্তি এনে ফেলি,না থাকবে মাথা না থাকবে মাথাব্যথা। বাস ভাড়া দিতাম আগে ১০ টাকা,কি যেন এক দাম বাড়ল আর সাথে সাথে চামবাজ বাস কোম্পানি প্রতি স্টপেজে ভাড়া বাড়িয়ে দিল ৪ টাকা করে,কারো কিছু বলার নেই,২-১ জন হালকা হাতাহাতি করলেও নিরীহ শান্তিপ্রিয় বাঙ্গালির চাপে সবাই সোনামুখ করে সিটিং নামের সিটি সার্ভিসে স্ট্যান্ডিং,এমনকি দরজা ধরে সুইঙ্গিং সার্কাস দেখিয়ে যাতায়াত করে চলেছি। সরকারের নানা বাহিনীর অভিযান চলছে,তাকে কাচকলা দেখিয়ে সবকিছুর দাম
বৃদ্ধি চলছে। দুর্নীতি নিয়ে নানা নীতিবাক্য শুনছি কিন্তু দুর্জনেরা বলে দুর্নীতি বেশ আগের চেয়েও ভাল তালে চলছে। ২-১টা উদাহরণ দাবী করা যায় এখানে,সেদিন এক বন্ধু জানালো সরকারী কৃষ্ঞ বাহিনীর জনৈক সদস্য তার প্রিয়তমা সুন্দরীতমাকে সাথে নিয়ে এসে মাত্র ৯০ লক্ষ টাকার একখানা ফ্ল্যাট তাদের কোম্পনিতে বুকিং দিয়ে গেছেন,আরেকজন জানালেন দেশরক্ষা বাহিনীতে নাকি বেশ একটা কোটি টাকার ঘরের অর্থায়ন তারা করেছেন দেশসেবার খাতিরে,সদ্যই। চুক্তি হচ্ছে নানামুখী,দেশে-বিদেশে। আগে করতেন নেতারা,তারা আপাতত চুরি-চামারি করে জনগণের অর্থে বিদেশ ভ্রমণে আছেন,পাজেরো গুলো এখন নানান তারকাধারী উর্দিধারীদের বাড়িতেই পৌঁছে দেয়া হয়,যতদূর দুর্মুখ জনতার মুখে শোনা যায় আরকি।
তো,এভাবেই চলছে আরকি,এভাবেই চলবে,যে যখন যাবে,কামাবে। নিজে কাজ করেছি সরকারি প্রকল্পে,টাকার গন্ধে কিভাবে দেশের স্বার্থ বিলিয়ে দেয়া হয় কিছু দেখা হয়ে গেছে এর মাঝেই,আজকাল অবাক হই না,আমরা যেমন,আমরা তো তেমনই পাবো। আমরা সোনিয়া গান্ধীর ভারতপ্রেম দেখি রাহুল আর প্রিয়াংকার সুদর্শন চেহারা দেখে আহ্লাদে গদগদ হই,ভুট্টোর কন্যা বেনজিরের শোকে আমাদের মানবাধিকার কর্মীদের চোখে অশ্রুধারা নামে, হিলারির মঙ্গল কামনায় আমাদের ঘুম হয়না ওবামার চিন্তায় আমাদের বদহজম হয় ম্যাককেইনের মেয়ে বাংলাদেশি কিনা আর কানাডাতে কে কবে গভর্নর পুরষ্কার পেল তা নিয়ে
আমাদের আনন্দের সীমা থাকে না,কিন্তু নিজের দেশের লাউয়াছড়া নিয়ে আমাদের চিন্তা হয়না,সুন্দরবন উজাড় করে বান্দরবনের পাহাড় কেটে কি হচ্ছে আমাদের ভাবনায় আসে না,দেশের জ্বালানি সম্পদ শেষের দিকে সেটা নিয়ে আমাদের মাথাব্যথা নেই,জিপিএ ৫ এর বন্যায় দেশের শিক্ষাব্যবস্থার ১২টা বেজে যাচ্ছে তা নিয়ে আমাদের দুদণ্ড ভাবার সময় হয়না,কোন নেত্রীর কানে ব্যথা কোন পুত্রের হাড় বাঁকা তাই নিয়ে আমরা নাচি কিন্তু দেশের তরুণরা কাজের অভাবে হাহাকার করছে দু'মুঠো খেতে না পেয়ে মানুষ কথা বলারও শক্তি হারিয়ে ফেলছে সেটা নিয়ে আমরা ভাবি না,আমরা কোথায় যাচ্ছি তা নিয়ে আমরা কথা বলি না,নিজের খোঁড়া কবরে শুয়ে আমরা বেশ আছি,আপনি বাঁচলে বাপের নাম।
ছোটবেলায় অরাজকতা শব্দটার বেশ একটা সুন্দর বাগধারা ছিল--"মগের মুল্লুক"। নিশ্চিতভাবেই,একি শব্দের বাগধারা হিসেবে কিছুদিন পর মগরা বলবে--"বাঙ্গালের মুল্লুক"।
০৪ ঠা জুলাই, ২০০৮ রাত ৩:২০
ফারহান দাউদ বলেছেন: কি আর করা,বাইরে চেঁচাতে সাহস হয়না,আমিও বাঙ্গাল কিনা!
২| ০৪ ঠা জুলাই, ২০০৮ রাত ৩:১৭
রাতিফ বলেছেন: আমি একটা মজার জিনিস দেখেছি আপনার বেশীর ভাগ লিখাতেই অনেক ব্যাপার একসাথে উঠে আসে, কিন্তু কোন ভাবেই ব্যাপারগুলোকে বা বিষয়গুলোকে ছন্নছাড়া মনে হয় না একদমই।
সবচেয়ে অদ্ভুত হচ্ছে আপনার লেখনী, পাঠকদের আপনার লেখার সাথে চুম্বকের মতো আটকে রাখে আপনার লেখার ভঙ্গিটা, হয়তো হাজার বার চেষ্টা করলেও এই ধরনের ভঙ্গিটা অন্যান্য অনেকের পক্ষে লেখায় আনা সম্ভব হবে না।
ভালো থাকুন....শুভেচ্ছা।
০৪ ঠা জুলাই, ২০০৮ রাত ৩:২৪
ফারহান দাউদ বলেছেন: এক জায়গাতে স্থির থাকার চেষ্টা তো করি,কিভাবে যেন ছড়িয়ে যায়,আজীবন অস্থিরতা। ভাবলাম গানখানা নিয়ে হালকা অ্যানালিসিস করি,কই থেকে যে কই গেল
একটা কথা,ব্লগে যারা ধারাবাহিক লেখা শুরু কইরা ঝুলায়া রাখে টাদের নামে অচিরেই জনতার আদালতে মামলা করা হবে
৩| ০৪ ঠা জুলাই, ২০০৮ রাত ৩:১৯
একরামুল হক শামীম বলেছেন: বস একটা লেখা হইছে।
ক্ষোভ প্রকাশের দারুন ভাষা। আমি এইভাবে লেখতে পারি না
০৪ ঠা জুলাই, ২০০৮ রাত ৩:২৪
ফারহান দাউদ বলেছেন: লেইখা কি ভাই কিসু হয়? যেই লাউ সেই কদু
৪| ০৪ ঠা জুলাই, ২০০৮ রাত ৩:৩২
নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী বলেছেন: আমি মুগ্ধ, বাকরুদ্ধ। আমার পড়া সেরা ব্লগ। যদিও দ্বিতীয় সেরাটাও আপনারই লেখা।
লেখায় রস আছে কিন্তু রস কখনও গড়িয়ে পড়েনি। সমালোচনার তীরগুলো ধারালো কিন্তু সুক্ষ। নাগরিক সমস্যাগুলো সুন্দর করে গুছিয়ে বলা হয়েছে, শুনতে অভিযোগের তালিকা মনে হয় না কিন্তু গুরুত্বও হারায়নি এতটুকু। এক কথায় চমৎকার ভাষা ও আবেগের প্রয়োগ।
পড়তে পড়তে মনে হচ্ছিল বুঝি হিমুর উপন্যাস পড়ছি। আবার মনে হলো নাহ... এটা ফারহান আকতার-এর হার্ট (দিল চাহতা হ্যায়) এবং দাউদ ইব্রাহিম-এর হার্ড (ঢিশুম ঢিশুম) এর সংমিশ্রন। বলাইবাহুল্য এ লেখা ফারহান দাউদের হাত থেকে বের না হলে আর কার হাত থেকে বের হবে?
০৪ ঠা জুলাই, ২০০৮ রাত ৩:৪৭
ফারহান দাউদ বলেছেন: সমস্যা খালি এখন নাগরিক বা গ্রামীন না,এখন সবার গায়ে পড়ে যাচ্ছে,টিপিক্যাল স্বার্থপর হিসাবে নিজের গায়ে না পড়লে আমিও গা করি না কিন্তু সব মিলে এখন সহ্যের সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছে সবকিছু,বাংলাদেশ নামে যে একটা দেশ আছে আর সেখানে যে ১৬ কোটি মানুষ আছে সেটা কি ক্ষমতায় যেসব জারজ যাচ্ছে সবাই এক মুহূর্তে ভুলে যাচ্ছে? আমরা কোথায় যাবো?
৫| ০৪ ঠা জুলাই, ২০০৮ রাত ৩:৩০
রাতিফ বলেছেন: হা হা! দাউদ ভাই কি আমারে খোঁচাইলেন, ভাই মাইন্ড খাইয়েন না.......আমি কালকেই শেষ পর্বটা দিয়া দিমু, তিন দিনে তিনটা পর্ব খুব একটা খারাপ তো মনে হয় না, আপনে কি কন?
০৪ ঠা জুলাই, ২০০৮ রাত ৩:৪৪
ফারহান দাউদ বলেছেন: না খারাপ না,তবে কিনা,১ বেলায় মানে এক বসায় ৩ পর্ব আরো ভাল,হেহেহে
৬| ০৪ ঠা জুলাই, ২০০৮ রাত ৩:৩০
এস্কিমো বলেছেন: কানাডাতে কে কবে গভর্নর পুরষ্কার পেল তা নিয়ে
আমাদের আনন্দের সীমা থাকে না -
মনে হয় আপনি "অর্ডার অব কানাডা"র কথা বলছেন। গভর্নর পুরষ্কার বলতে এখানে কোন পুরষ্কার নেই।
ধন্যবাদ।
০৪ ঠা জুলাই, ২০০৮ রাত ৩:৪৩
ফারহান দাউদ বলেছেন: হুম,ইউরো নিয়া লেখার পর থাইকা দেশপ্রেমিক হয়া গেসি,আপনারই অবদান বড়ভাই,বিদেশ নিয়া লেখা যাইব না,জানাইসিলেন। যাই হোক,ভুলটা ধরায়া দেয়ার জন্য ধন্যবাদ,ভবিষ্যতে আর হইব না।
৭| ০৪ ঠা জুলাই, ২০০৮ রাত ৩:৪৪
রাতিফ বলেছেন: আবার জিগায়, আপনে কি নটরডেমে পড়তেন নাকি, তাই তো মনে হইতাছে? ব্যাচ কোনটা?
আমিও পড়তাম--ব্যাচ ২০০২
০৪ ঠা জুলাই, ২০০৮ রাত ৩:৪৯
ফারহান দাউদ বলেছেন: একই ব্যাচ দেখি,আরেকটা নটরডেমিয়ান পাওয়া গেল। আমার গ্রুপ সেভেন,ইনানের সাথে বসতাম,তোমার কোনটা? (নটরডেমের ব্যাচমেটরে আর আপনি বলার মানে হয়না)
৮| ০৪ ঠা জুলাই, ২০০৮ রাত ৩:৫০
আশরাফ মাসরুর বলেছেন: হা হা ! ভাল লেখেছেন !
০৪ ঠা জুলাই, ২০০৮ ভোর ৪:০১
ফারহান দাউদ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। খুবই বিরক্ত আছি নিজের উপরই,রাগ ঝাড়ার একটা চেষ্টা।
৯| ০৪ ঠা জুলাই, ২০০৮ রাত ৩:৫১
রাতিফ বলেছেন: ব্যাচ ২০০২ মানে পাশ করছি কিন্তু ২০০৪ এ বুইঝেন কইলাম, পরে আবার গো্ড়ায় গলদ হইয়া যাইবো, আপনে কবে করছেন পাশ?
০৪ ঠা জুলাই, ২০০৮ ভোর ৪:০২
ফারহান দাউদ বলেছেন: হেহে,আমি তো তাইলে বুড়া,আমি ২০০২ এ পাশ কইরা গেসি
১০| ০৪ ঠা জুলাই, ২০০৮ রাত ৩:৫৫
পাগল কবি বলেছেন: হুট করেই লেখাটায় চোখ পড়া। এবং বলা যায় আপনার চমৎকার লেখনীর টানেই গড়গড় করে শেষ পর্যন্ত লেখতে বাধ্য হলাম।
অসাধারণ উপস্থাপনা।
০৪ ঠা জুলাই, ২০০৮ ভোর ৪:০৩
ফারহান দাউদ বলেছেন: বিক্ষিপ্ত কথাবার্তাগুলো পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
১১| ০৪ ঠা জুলাই, ২০০৮ ভোর ৪:০২
মহাকাল বলেছেন:
+
০৪ ঠা জুলাই, ২০০৮ ভোর ৪:০৯
ফারহান দাউদ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।
১২| ০৪ ঠা জুলাই, ২০০৮ ভোর ৪:০৩
আরিফ জেবতিক বলেছেন: ৬ নাম্বার ৫ দিলাম ।
লেখা খুবই উপাদেয় হয়েছে , কিন্তু রস আস্বাদন করতে পারছি না , ভয় হচ্ছে , তাতে না আবার আর কিছুর দাম বেড়ে যায় ।
০৪ ঠা জুলাই, ২০০৮ ভোর ৪:০৮
ফারহান দাউদ বলেছেন: আরিফ ভাই,দাম বাড়তে বাড়তে আমরা তো সব মগডালের আগায় বইসা আসি,আরো কিসুর দাম বাড়ার কি বাকি আছে?
১৩| ০৪ ঠা জুলাই, ২০০৮ ভোর ৪:০৩
আরিফ জেবতিক বলেছেন: ও ,এইটাকে তো এখন ৫ বলে না , + বলে ।
০৪ ঠা জুলাই, ২০০৮ ভোর ৪:১০
ফারহান দাউদ বলেছেন: ৫ আর +,সবই আশীর্বাদ আপনাদের আপনার কন্যা কেমন আছে?
১৪| ০৪ ঠা জুলাই, ২০০৮ ভোর ৪:০৪
রাতিফ বলেছেন: হে হে! এর লেইগাই কইছিলাম, আমি গ্রুপ ২ এ আছিলাম, যাউকগা বড় ভাই তো পাওয়া গেলো, একই গোয়ালের গরু মোরা হে হে!
০৪ ঠা জুলাই, ২০০৮ ভোর ৪:১১
ফারহান দাউদ বলেছেন: গরুই বটে,সবাই মিল্লা কোরবানি দিয়া ফালাইল
১৫| ০৪ ঠা জুলাই, ২০০৮ ভোর ৪:২৮
তানজু রাহমান বলেছেন: হুমম...ভাব প্রকাশতো ভালোই!
০৪ ঠা জুলাই, ২০০৮ ভোর ৪:৩৭
ফারহান দাউদ বলেছেন: তা লোডশেডিংয়ের গরমে ভাবে একটু আছি বটে!
১৬| ০৪ ঠা জুলাই, ২০০৮ ভোর ৪:৪১
সোনার বাংলা বলেছেন:
অনেক ভালো লিখেছেন।
০৪ ঠা জুলাই, ২০০৮ ভোর ৪:৫১
ফারহান দাউদ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।
১৭| ০৪ ঠা জুলাই, ২০০৮ ভোর ৫:০৫
উত্তরাধিকার বলেছেন:
প্রিয় ফারহান ভাই,
যেমনটি ভেবে আপনার বাড়ী আসি...
আপনি বরাবর তার থেকে অনেক বেশী ভাললাগা দিয়ে বিদায় করেন।
আপনি বড্ড অতিথিবৎসল একজন মানুষ।
সব খাদ্যই বড়ই উপাদেয় আপনার বাড়ীতে।
ধন্যবাদ দিয়ে শেষ করতে পারব না।
তাই নিরন্তর সাধুবাদ জানাই।
০৪ ঠা জুলাই, ২০০৮ ভোর ৫:৩৪
ফারহান দাউদ বলেছেন: এমন গুণী অতিথি পেলে ভাল লাগেই,আপ্যায়নে যে কি ত্রুটি থাকলো সেটা ভেবেই মাঝে মাঝে শুধু বিব্রত হই আরকি
১৮| ০৪ ঠা জুলাই, ২০০৮ ভোর ৫:১৪
তাত্ত্বিক বলেছেন:
আমার মনের কথা গুলোই যেন এখানে এসে পেলাম।
জানেন, এরকম কিছুই লিখতে চাই।
কিন্তু পারছি না !
অথচ আপনি কত সহজে কত কিছু বলে গেলেন।
সালাম আপনাকে।
০৪ ঠা জুলাই, ২০০৮ ভোর ৫:৩৬
ফারহান দাউদ বলেছেন: বাচাল মানুষ তাই কথা বেশি বলি,অন্য কোথঅ শোনে না,এখানে তাও এই অত্যাচার হজম করার জন্য আপনারা আছেন
অনেক ধন্যবাদ পড়ার জন্য।
১৯| ০৪ ঠা জুলাই, ২০০৮ ভোর ৫:৩৯
রন্টি চৌধুরী বলেছেন: হুমম...দেশের পরিস্থিতি ভালই তো। মন্দ কি।
০৪ ঠা জুলাই, ২০০৮ ভোর ৫:৫৪
ফারহান দাউদ বলেছেন: সেইটাই,গায়ে লাগে না।
২০| ০৪ ঠা জুলাই, ২০০৮ ভোর ৫:৫৫
রন্টি চৌধুরী বলেছেন: গায়ে লাগে না! এই কথা বলার অপরাধে তোমার কি শাস্তি হওয়া উচিত?
০৪ ঠা জুলাই, ২০০৮ দুপুর ২:৪৯
ফারহান দাউদ বলেছেন: যে অবস্থায় আসি এর চেয়ে বড় শাস্তি আর কি হবে?
২১| ০৪ ঠা জুলাই, ২০০৮ ভোর ৫:৫৭
বিহঙ্গ বলেছেন: ফারহান ভাই, পরে পড়বো।
কেমন আছেন।অনেকদিন খবর নেই। অসীম সময়ে সসীম হয়ে ,অপরিসীম কষ্টে আছি।
০৪ ঠা জুলাই, ২০০৮ দুপুর ২:৫০
ফারহান দাউদ বলেছেন: কষ্টে সবাই আছি,আপাতত বেকার হয়ে কিছু আরামেও আছি।
২২| ০৪ ঠা জুলাই, ২০০৮ ভোর ৬:১৪
বিবর্ণ বলেছেন: দারুন।
০৪ ঠা জুলাই, ২০০৮ দুপুর ২:৫১
ফারহান দাউদ বলেছেন: ধন্যবাদ।
২৩| ০৪ ঠা জুলাই, ২০০৮ দুপুর ১:২৩
নিশীথ রাতের বাদলধারা বলেছেন:
ক্ষোভের শৈল্পিক প্রকাশ!
০৪ ঠা জুলাই, ২০০৮ দুপুর ২:৫৩
ফারহান দাউদ বলেছেন: পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
২৪| ০৪ ঠা জুলাই, ২০০৮ দুপুর ১:৩২
আকাশচুরি বলেছেন: +
০৪ ঠা জুলাই, ২০০৮ দুপুর ২:৫৪
ফারহান দাউদ বলেছেন: ধন্যবাদ।
২৫| ০৪ ঠা জুলাই, ২০০৮ দুপুর ২:০৮
কুয়াশা বলেছেন: ছোটবেলায় অরাজকতা শব্দটার বেশ একটা সুন্দর বাগধারা ছিল--"মগের মুল্লুক"। নিশ্চিতভাবেই,একি শব্দের বাগধারা হিসেবে কিছুদিন পর মগরা বলবে--"বাঙ্গালের মুল্লুক"।
ফাটাফাটি। অতিব সুন্দরাং
০৪ ঠা জুলাই, ২০০৮ দুপুর ২:৫৫
ফারহান দাউদ বলেছেন: নিশ্চিতভাবেই,বলবে। যা খুশি তাই তো করা যায় এখানে।
২৬| ০৪ ঠা জুলাই, ২০০৮ বিকাল ৪:১৯
মুনিয়া বলেছেন: হুমম। বাঙালের মুল্লুক বলে কথা। উপযু্ক্ত ফর মেরুদণ্ডহীন বাঙালি।
০৪ ঠা জুলাই, ২০০৮ বিকাল ৪:৪৩
ফারহান দাউদ বলেছেন: ঐ পিঠের লম্বা হাড্ডিটা মনে হয় আমাদের অনেক আগেই খোয়া গেছে।
২৭| ০৪ ঠা জুলাই, ২০০৮ বিকাল ৪:৪৫
মেহরাব শাহরিয়ার বলেছেন: সহনশীলতা দেখে আমিও অবাক হই , হাতের মুঠো চেপে ধরি , তারপর আর কিছুই করি না ।
লেখাটা যদি সবাইকে পড়ানো যেতো , নিশ্চিতভাবে গভীর নাড়া খেতো
০৪ ঠা জুলাই, ২০০৮ রাত ৯:৫৩
ফারহান দাউদ বলেছেন: নাড়া খেয়ে আবার ভুলে যেত,যেমন আমিও লিখেই ভুলে গেছি।
২৮| ০৪ ঠা জুলাই, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:৫৩
মাহবুব সুমন বলেছেন: দেশে যখন ছিলাম তখন প্রবাসীদের দিকে আঙুল তুলে বলতাম " সুখে থাকা, নিরাপদে থাকা, বড় বড় কথা বলা মানুষ"। বিদেশে এসে আমি নিজেই তাদের দলভুক্ত হয়ে গিয়েছি। দেশের খবর পড়ি, শুনি, ভুলেও যাই সময় হলে ক্ষোভ জিনিসটা প্রকাশ করতেও হিসেব নিকেশ করি।
লেখাটা অনেক ভালো লাগলো। ২য় বারের মতো পড়লাম।
০৪ ঠা জুলাই, ২০০৮ রাত ৯:৫৫
ফারহান দাউদ বলেছেন: সবাই আমরা পালাতে চাই,আপনার কথা কি বলি,আমরা দেশে থেকেও কি গায়ে লাগাচ্ছি? সবাই-ই আমরা বাঙ্গালি না?
২৯| ০৪ ঠা জুলাই, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:৫৪
অক্ষর বলেছেন: +
০৪ ঠা জুলাই, ২০০৮ রাত ৯:৫৬
ফারহান দাউদ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।
৩০| ০৪ ঠা জুলাই, ২০০৮ রাত ৮:০৫
অজানা অচেনা বলেছেন: লেখাটা যদি আমি লিখতে পারতাম, ডেফিনিটলি আগে কোনও পত্রিকায় পাঠাতাম। তারপর হয়তো ব্লগে এসে লিংক দিতাম।
+++
০৪ ঠা জুলাই, ২০০৮ রাত ৯:৫৭
ফারহান দাউদ বলেছেন: পত্রিকা ভাই অনেক বড় মানুষের জায়গা,তার উপরে আবার মামাদের বুদ্ধি নাকি হাঁটুতে,সবারই তো বাঁচতে হবে!
৩১| ০৪ ঠা জুলাই, ২০০৮ রাত ১০:০৪
চিটি (হামিদা রহমান) বলেছেন: অসাধারণ!! প্রতিটি শব্দে বুলেটের ঝাঁজ আছে।
এভাবে কেউ ভাবে না, অন্যের সুখে হাসি, অন্যের দুঃখে কাঁদি।
নিজের পায়ে কুড়াল মেরে...............।
ভালো থাকুন।
০৪ ঠা জুলাই, ২০০৮ রাত ১০:২৪
ফারহান দাউদ বলেছেন: ভালোই আছি,কোন কিছুই গায়ে লাগে না।
৩২| ০৪ ঠা জুলাই, ২০০৮ রাত ১০:৫৮
হরিসূধন বলেছেন:
ফারহান ভাই কেমন আছেন?
আপনি কিভাবে যে এত ভালো লিখেন! আমার ধারা কোন দিন ও মনে হয়
এমন লেখা সম্ভব হবে না
০৫ ই জুলাই, ২০০৮ রাত ১২:১৭
ফারহান দাউদ বলেছেন: আছি ভাই কোন রকম,আর ১০ জনের চেয়ে আলাদা কিছু না।
৩৩| ০৫ ই জুলাই, ২০০৮ রাত ৩:২৯
শফিউল আলম ইমন বলেছেন: হায় হায় আমি এতো দেরীতে আসলাম
দেশে আসলে এসব বরণ করে নিতে হবে।
০৫ ই জুলাই, ২০০৮ ভোর ৫:০৪
ফারহান দাউদ বলেছেন: তা হবে,যস্মিন দেশে যদাচার।
৩৪| ০৫ ই জুলাই, ২০০৮ ভোর ৪:০১
আশরাফ মাহমুদ বলেছেন: আপনার লেখার ঢঙটায় আলাদা। প্রিয়তে....
০৫ ই জুলাই, ২০০৮ ভোর ৫:০৪
ফারহান দাউদ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা।
৩৫| ০৬ ই জুলাই, ২০০৮ রাত ৩:২৯
সুলতানা শিরীন সাজি বলেছেন: ভালো লাগলো..........বেশী ভালো লাগছে বললে আবার মূল্যবৃদ্ধি ঘটবে নাকি?
অসম্ভব শক্তিশালী লেখা..............।
দেশে না শুধু আমাদের এখানেও সব কিছুর দাম বেড়েছে..........।
চালের দাম তো ৪০ ডলারের টা এক লাফে ৬০ এর উপরে।
এছাড়া অন্যান্য জিনিসের ও।
.................
সংগীতের জন্য পেলাস।
অনেক দিন পর গানটা শুনলাম।
ভালো থাকা হোক।
শুভেচ্ছা।
০৬ ই জুলাই, ২০০৮ বিকাল ৫:০১
ফারহান দাউদ বলেছেন: সরকার বাহাদুরের ধারণা আমরা ভাল আছি,আজকেও বললো শায়েস্তা খানের আমলের সাথে তুলনা না করতে(বেকুবগুলির রসিকতা শুনলে আরো গা জ্বলে,ফাজলামির সীমা থাকা উচিত)
৩৬| ০৬ ই জুলাই, ২০০৮ সকাল ৭:১৩
দ্রগবা বলেছেন: যথার্থ কথা। মঘের মুল্লুকই বটেক।
০৬ ই জুলাই, ২০০৮ বিকাল ৫:০২
ফারহান দাউদ বলেছেন: মগের মুল্লুক এরচেয়ে ভাল ছিল মনে হয়।
৩৭| ০৬ ই জুলাই, ২০০৮ বিকাল ৪:৫৬
কোলাহল বলেছেন: ৫০ তম আগেই পার হয়ে গেছে। সরাসরি ৫২তম পোস্টের শুভেচ্ছা।
লেখা পড়তে পড়তে পুরো বিদ্রোহী হয়ে গেলাম।
কারার ঐ লৌহ কপাট
ভেঙে ফেল কররে লোপাট......
০৬ ই জুলাই, ২০০৮ বিকাল ৫:০৪
ফারহান দাউদ বলেছেন: ঐ লেখা পর্যন্তই রে ভাই,আর কিছু না। পত্রিকায় দেখলাম ইলিয়াস আলী এমপি'র ৬ খান বাড়ি আর পোরশে আর প্রাডো গাড়ি,এইদিকে আমরা খাইতে পাই না,এরপরেও আমরা কি ভালই না আছি!
৩৮| ০৬ ই জুলাই, ২০০৮ বিকাল ৫:০৩
আন্দালীব বলেছেন: """একি শব্দের বাগধারা হিসেবে কিছুদিন পর মগরা বলবে--"বাঙ্গালের মুল্লুক"। """
আপনার শ্লেষাত্মক উচ্চারনের জিহ্বাটি খুব লকলকে, হিসহিসে চাবুকের মতো যেন রাষ্ট্রকাঠামোর উপরে, বহতা সময়ের উপরে পৌনপুনিক এসে পড়ছে।
আপনার সাবলীল গদ্যের নিবিষ্ট পাঠক বনে যাচ্ছি।
আর এইখানে ক্যোট করা লাইনগুলোয় ঝিকিয়ে উঠছে স্যাটায়ারের ভঙ্গীতে লুকানো ছোরা।
এইসব কথা মনে আসছে...
০৬ ই জুলাই, ২০০৮ রাত ১১:৫০
ফারহান দাউদ বলেছেন: অক্ষমের জন্য মুখই শেষ ভরসা,কারো কারো জন্য কীবোর্ড। সমস্যা হল,লিখে কিছু হয়না,যেভাবে চলছে সেভাবেই চলে সব
৩৯| ০৬ ই জুলাই, ২০০৮ রাত ১১:৫২
মুকুল বলেছেন: ব্লগের মুল্লুক না কৈলেই হৈলো!
০৭ ই জুলাই, ২০০৮ রাত ২:১৩
ফারহান দাউদ বলেছেন: মাইরকাট আমরাও কিসু কম করি না,তবে এইখানে মন খুইলা শাসকগোষ্ঠীর চামড়া তুলা যায়,এতটা বাঙ্গালের মুল্লুক হয় নাই
৪০| ০৮ ই জুলাই, ২০০৮ সকাল ৯:৪৭
সীমান্ত আহমেদ বলেছেন: ভাই মাফ চাইতাছি ,আগে এই লেখা পড়ি নাই বইল্যা।ভালো লিখছ।
প্রিয় পোস্টে রাখলাম।
তবে একটা কথা কী,আমার এই সবে আর দুঃখ লাগে না।হাসি পায়।কষ্টের হাসি।আমি যেখানে থাকি সেখানে কারেন্ট যায় না।মাঝে মাঝে আসে।আর বাস রিক্সার ভাড়া-ওতো জিনিসের দাম বাড়লে বাড়ে কিন্তু জিনিসের দাম কমলে কমে না।বড়ই বিচিত্র।আর আগে দ্রব্যমূল্যের আকাশ ছোয়া দাম নিয়ে আগে যেসব বুদ্ধিজীবি কলমের পর কলমের কালি শেষ করে ফেলেছিলেন তারা আজ সরকারের পক্ষ নিয়ে কৈফিয়ত দিয়ে যাচ্ছেন অবিরত।
আর শিক্ষা?আমরা আমাদের পরবর্তী প্রজন্মকে উচ্চ নম্বর ধারী বানাচ্ছি।শিক্ষা কিংবা মানবিক মূল্যবোধের কোন বালাই নেই।
যাক কথা বললেই কথা বাড়ে।লেখাটা ভালো হয়েছে।আমাদের প্রধান উপদেষ্টাকে লেখাটা পড়ানো দরকার।সেই সাথে সেই সকল সুবিধাভোগীদের যারা সাধারণ মানুষদের নিদারুন কষ্টে রেখেছে।
০৯ ই জুলাই, ২০০৮ রাত ৩:৩৩
ফারহান দাউদ বলেছেন: আর শিক্ষা?আমরা আমাদের পরবর্তী প্রজন্মকে উচ্চ নম্বর ধারী বানাচ্ছি।শিক্ষা কিংবা মানবিক মূল্যবোধের কোন বালাই নেই।
একটা আসল ডিজাস্টার দেখতে যাচ্ছি আমরা,যদি এই পড়াশোনার সিস্টেম কন্টিনিউ করে।
উপদেষ্টাদের পড়ায়া লাভ নাই,রামায়নে আছে রাবন চান্স পাইলেই দূতরে খায়া ফালাইত,লেখা আর সংবাদপত্র হইল দূত,আমাদের রাবনরা লংকাতে গিয়াই তাদের খায়া ফালায়।
৪১| ০৮ ই জুলাই, ২০০৮ দুপুর ১:৪৮
ইফতেখার ইনান বলেছেন: এই ব্লগে পড়া অন্যতম সেরা লেখা... সরাসরি প্রিয়-তে...
এই ক্ষোভটা অনেকের ভিতর আছে.. কিন্তু এই দুর্দান্ত প্রকাশক্ষমতাটা নাই...
মানুষ যতোক্ষন আলাদা একা ইনডিভিজুয়াল হয়ে থাকে ততোক্ষন সে ভীত, দুর্বল... কিন্তু একসাথে জ্বলে উঠলে মানুষ এমন অনেক কিছু করতে পারে যা একা করা অসম্ভব... তবে জ্বলে উঠার জন্য একটা প্লাটফর্ম দরকার হয়.. আর তার বারুদ যোগান হয় একটু একটু করে...
এরকম একটা বারুদঠাসা লেখার জন্য তোকে অভিনন্দন।
০৯ ই জুলাই, ২০০৮ রাত ৩:৩৪
ফারহান দাউদ বলেছেন: ঠিক কইরা ক তো বাপ,আসলেই কি লেইখা কিসু হয়? কিসু তো হইলো না,কিসু তো হবে না।
৪২| ০৯ ই জুলাই, ২০০৮ রাত ১২:২৬
রাতিফ বলেছেন: দাউদ ভাই, আপনের ঘটনাটা কি মিয়া? এক লেখা লেইখ্যা এতোদিন জিরাইলে তো হইবো না..........ব্লগ আদালতে কিন্তু মামলা কইরা দিমু।
তাড়াতাড়ি লেখা ছাড়েন আবার।
০৯ ই জুলাই, ২০০৮ রাত ৩:৩৫
ফারহান দাউদ বলেছেন: ঘটনা হইল লেখা মাথায় আসে না,লেখক তো না,ছুটা কাজের লোক
৪৩| ০৯ ই জুলাই, ২০০৮ রাত ৩:০১
মাহবুবা আখতার বলেছেন:
দেরিতে পড়ে দেরিতে কমেন্ট। আপনি এত অসাধারণ লেখেন যে আমার হিংসা হয়... (সত্যি কথাটা বলেই ফেললাম...)
লেখা প্রসঙ্গে অলরেডি অনেক জ্বালাময়ী কমেন্ট চলে এসেছে, আমি আর কি বলব। উৎকৃষ্ট সাহিত্যকর্ম, তবে লাভ নাই। আমরা এরকমই, আমরা বদলাবো না।
০৯ ই জুলাই, ২০০৮ রাত ৩:৩৬
ফারহান দাউদ বলেছেন: শেষ ২টা লাইন কোট করার মত--"উৎকৃষ্ট সাহিত্যকর্ম, তবে লাভ নাই। আমরা এরকমই, আমরা বদলাবো না।"
এইটাই সার কথা। বড় হতাশ লাগে।
৪৪| ০৯ ই জুলাই, ২০০৮ রাত ৩:৩০
মোসতাকিম রাহী বলেছেন: চমৎকার,ফারহান। সম্মোহনী বয়ান। একটানেই শেষ করলাম।
প্রায় সবসময় যে-অনুভূতিটা হয় আপনার লেখা পড়ে, সেটাই হলো আবারও: মন খারাপ!
নিজেদের অসহায়ত্বের কথা চিন্তা করে নিজেদের ওপরই ক্ষেপে ওঠা!
০৯ ই জুলাই, ২০০৮ রাত ৩:৩৭
ফারহান দাউদ বলেছেন: হাত-পা যখন অন্যে বেঁধে রাখে সেই বাঁধন থেকে বের হওয়া যায়,আমরা নিজেরাই নিজেদের হাত-পা বেঁধে দিয়েছি,যাবো কোথায়?
৪৫| ০৯ ই জুলাই, ২০০৮ রাত ৩:৪৩
মোসতাকিম রাহী বলেছেন: সেটাই।
০৯ ই জুলাই, ২০০৮ রাত ৩:৪৯
ফারহান দাউদ বলেছেন: অনেকদিনই আপনার দেখা নেই,আছেন কেমন? লেখা কই?
৪৬| ০৯ ই জুলাই, ২০০৮ ভোর ৪:৪৭
বেঁচে আছি বলেছেন: আমার নিক দেখেই বুঝতে পারছেন।
১০ ই জুলাই, ২০০৮ ভোর ৪:৫০
ফারহান দাউদ বলেছেন: বুঝতে পারছি বেঁচে আছেন,আমরা যেমন আছি পোকামাকড়ের মত।
৪৭| ০৯ ই জুলাই, ২০০৮ সকাল ৮:১৭
ফারজানা মাহবুবা বলেছেন:
এত চিন্তা...
এত ক্ষোভ...
আপনাকে কখনো দেখিনি, কিন্তু আপনার সব লেখা পড়লে মনে হয় খুব বিরক্ত হয়ে আপনি সারাক্ষন একটা ভ্রু কুঁচকে রাখেন, আসলেই কি তাই নাকি?
১০ ই জুলাই, ২০০৮ ভোর ৪:৫২
ফারহান দাউদ বলেছেন: এতক্ষণ কুঁচকে ছিল ভ্রু,আপনার কথা শুনে হাসতে হাসতে সোজা হয়ে গেছে
৪৮| ০৯ ই জুলাই, ২০০৮ দুপুর ১:৩৯
ইফতেখার ইনান বলেছেন: জানি না কিসু হয় কি না.. তবে এইরকম লেখা পড়লে আশাবাদী হইতে মন চায়... ভাবতে ভাল লাগে- নাহ, লেইখা কিছু হইতে পারে...
১০ ই জুলাই, ২০০৮ ভোর ৪:৫২
ফারহান দাউদ বলেছেন: আশার উপরই বাঁইচা আসি,নাইলে আমিও কেমনে আশা করি যে আমি বাঁইচা থাকবো?
৪৯| ০৯ ই জুলাই, ২০০৮ রাত ৯:০৩
বেঁচে আছি বলেছেন:
১০ ই জুলাই, ২০০৮ ভোর ৪:৫১
ফারহান দাউদ বলেছেন:
৫০| ০৯ ই জুলাই, ২০০৮ রাত ৯:৩৮
প্রণব আচার্য্য বলেছেন: লেখাটা তার যোগ্য সম্মান পাচ্ছে....
+
১০ ই জুলাই, ২০০৮ ভোর ৪:৫৩
ফারহান দাউদ বলেছেন: প্রণবদা,আপনাদের আগমনে আমিও সম্মানিত বোধ করছি।
৫১| ১০ ই জুলাই, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:৩০
সিহাব চৌধুরী বলেছেন:
ভাবতেই ভালো লাগে, আমার ভবিষ্যৎ বাচ্চা কাচ্চাকে বলতে পারবো, এই বড় লেখক পিচ্চিকালে আমার বন্ধু ছিল ।
এই রকম লেখা কিন্তু তারই ঈঙ্গিত দিচ্ছে ।
১২ ই জুলাই, ২০০৮ সকাল ৯:৪০
ফারহান দাউদ বলেছেন: এই কথা আমিও বলতে পারি তোমার নিজের লেখা কই?
৫২| ১১ ই জুলাই, ২০০৮ সকাল ৭:৪৮
মুনিয়া বলেছেন: নতুন পোস্ট কই?
১২ ই জুলাই, ২০০৮ সকাল ৯:৪২
ফারহান দাউদ বলেছেন: নিজের উপরই বিরক্ত আছি,কোথাও মন টিকছে না,প্রথম জব টা ছাড়ার ১০ দিন পরে আরেকটা জব নিয়ে সেটাও ৪ দিনের মাথায় ছেড়ে দিয়েছি,আজকাল কোথাও একটানা বসতেও ইচ্ছা করে না,আর লেখা!
৫৩| ১২ ই জুলাই, ২০০৮ সকাল ১০:০৬
মুনিয়া বলেছেন: হায় হায়!
এ তো খুবই খারাপ লক্ষণ... সমাধান অবশ্য দিতে পারি- কিন্তু ফী লাগবে। হাহাহা
মন বসতে না চাইলে শুইয়ে দেন- ওটার একটু রেস্ট দরকার। সবারই তো টায়ার্ড লাগে মাঝে মাঝে...
১২ ই জুলাই, ২০০৮ বিকাল ৪:০৭
ফারহান দাউদ বলেছেন: ফী দেয়া যাবে,সমাধান দেন
৫৪| ১২ ই জুলাই, ২০০৮ রাত ৯:৫১
মুক্ত মানব বলেছেন: নাগা মরিচের ঝাঁজযুক্ত ভালো লেখা।
১২ ই জুলাই, ২০০৮ রাত ১১:০০
ফারহান দাউদ বলেছেন: নাগা মরিচ কেমন ঝাল?
অনেকদিন পর আপনাকে দেখলাম,কেমন আছেন?
৫৫| ১২ ই জুলাই, ২০০৮ রাত ১১:০৮
সারওয়ার জামান চন্দন বলেছেন: বড় একটা কমেন্ট লেখার পর .. বাটনে ক্লিক করলাম ... লগড্ আউট আর লিখতে পারুম না... এখানেও সমস্যা..
লেখা জটিল হইসে... তবে রেটিং দিতে গেলে কয় আগেই দিসি!!!
বিশ্বাস করেন আমি কিন্তু মাইনাস দিই নাই....
১২ ই জুলাই, ২০০৮ রাত ১১:১৬
ফারহান দাউদ বলেছেন: সামহোয়্যারের পুরান বাগ,ব্যাপার না।
পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
৫৬| ১৩ ই জুলাই, ২০০৮ রাত ১:০৭
রাতিফ বলেছেন: দাউদ ভাই ঘটনা কি? এই লেখা দিয়াই কি বছরের বাকীটা কাটাইয়া দিতে চান?
১৩ ই জুলাই, ২০০৮ রাত ১:৩৮
ফারহান দাউদ বলেছেন: লেখা আসে না,কি আর করা আর লেখা কথাটা কওয়াও ঠিক না,যা লেখি ঐগুলা প্যাচাল,পাবলিকের ম্যালা ধৈর্য্য তাই হজম কইরা যায়
৫৭| ১৩ ই জুলাই, ২০০৮ রাত ২:২৫
রিফাত হাসান বলেছেন: ভাল লেখেন, লেখে কিছু হোক বা না হোক।
১৩ ই জুলাই, ২০০৮ ভোর ৫:৩১
ফারহান দাউদ বলেছেন: সেজন্যই লিখি,কিছু হোক বা না হোক,চেষ্টা থাকুক।
৫৮| ১৮ ই জুলাই, ২০০৮ বিকাল ৪:০১
মানুষ বলেছেন: ভাল লাগা জানালাম
১৮ ই জুলাই, ২০০৮ রাত ১১:২৫
ফারহান দাউদ বলেছেন: কৃতজ্ঞতা জানালাম।
৫৯| ৩১ শে জুলাই, ২০০৮ ভোর ৪:১৪
শিবলী বলেছেন: ছোটবেলায় অরাজকতা শব্দটার বেশ একটা সুন্দর বাগধারা ছিল--"মগের মুল্লুক"। নিশ্চিতভাবেই,একি শব্দের বাগধারা হিসেবে কিছুদিন পর মগরা বলবে--"বাঙ্গালের মুল্লুক"---
উফ উফ উফ উফ।
জোশ!!!!
৩১ শে জুলাই, ২০০৮ ভোর ৪:২২
ফারহান দাউদ বলেছেন: বলবে নিশ্চিতভাবেই,নিশ্চিন্ত থাকতে পারেন।
৬০| ১১ ই আগস্ট, ২০০৮ রাত ৩:২৭
নিহন বলেছেন: জাক্কাচ একটা লেখা হইছে ।
প্রিয়তে আছে ।
১১ ই আগস্ট, ২০০৮ রাত ৩:৩৪
ফারহান দাউদ বলেছেন: কৃতজ্ঞতা।
©somewhere in net ltd.
১|
০৪ ঠা জুলাই, ২০০৮ রাত ৩:১২
আমি বাঙ্গালি বলেছেন: অসাধারণ। ক্ষোভ উগলে বমি করার জন্য আপাতত ব্লগই উপযুক্ত জায়গা।