![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
খুব সাধারণ মানুষ ..পড়েছি পুরকৌশল এ, কাগজে-কলমে বেকারত্ব ঘুচলেও স্বভাবে রয়ে গেছে। মাথা একটু গরম,একটু বোকাও,তবে মানুষটা মনে হয় আমি খারাপ না।
কারো যদি হঠাৎ করেই মনে হয় লেখার বিষয়বস্তুর অভাব পড়ে গেছে অথচ যেভাবেই হোক ২-১ টা হাবিজাবি লেখা নামিয়ে দিতে ইচ্ছা করছে, তখন ভাল সমাধান হলো বসুন্ধরা সিটিতে ঢুকে ৩ বা ৪ তলায় উঠে চলন্ত সিঁড়িটার আশপাশে দাঁড়িয়ে থাকা। দেখতে না চাইলেও অনেক কিছু দেখা হয়ে যাবে, কত রঙের কত চিড়িয়া যে এই দুনিয়াতে ঘুরে বেড়ায় যার মাঝে সিঁড়ির ধারে বেহুদা দাঁড়িয়ে থাকা এই কীবোর্ডচালকও একজন, বেশ মালুম হবে ঐ চোখধাঁধানো শীতাতপনিয়ন্ত্রিত চিড়িয়াখানায় ঢুকলেই। উঠছে-নামছে-ঘুরছে-খেলছে-হাসছে-কাঁদছে-চেঁচাচ্ছে বারো স্কয়্যারে না হলেও একশত চুয়াল্লিশ রকমের মানুষ নামের পক্ষী, না চাইলেও ভাবতে হবে উপরওয়ালা তাঁর রঙের প্যালেট নিয়ে ইচ্ছামত রঙ গুলে সৃষ্টির ক্যানভাসে ছিটিয়েছেন আপন খেয়ালে আর তারপরে বলেছেন "হও" আর তার সবচেয়ে উদ্ভট জগাখিচুড়িগুলো এখানে এই বিশাল কমপ্লেক্সে নেমে এসেছে।
এই রাত ১০টায়ও জায়গাটা দেখে মনে হচ্ছে বিকাল ৪টা, বা অফিস ঘণ্টাও বলা যায়। পিলপিল করে লোকজন ঢুকছে তো ঢুকছেই, মোটাসোটা খালামনি থেকে শুরু করে রঙবেরঙের প্রজাপতি আপুমনি বা ফড়িঙের মত টিঙটিঙে ছোকরা, আবার নানী-দাদীরও অভাব নেই। এই অধমের উদ্দেশ্য অবশ্য কেনাকাটা নয়, অনুরোধে ঢেঁকি গিলে আগমন, এক বন্ধুর ঈদের কেনাকাটার জন্য তাকে সঙ্গদান।
বেচারার লক্ষ্য ছিল একজোড়া স্যান্ডেল কেনা, কিন্তু জুতোর দোকানগুলোতে ঢোকার পর থেকে আমাদের গলা শুকাতে শুকাতে এখন শিরিষ কাগজের মত ঠেকছে। আগুন দাম বলে একটা শব্দ ছিল, এখন এটাকে প্রতিস্থাপন করার মত কোন শব্দের দরকার, কারণ একদম রদ্দি মার্কা পুরোনো ডিজাইনের স্যান্ডেলের দামও যখন ১৫০০ টাকার উপরে, "আগুন" শব্দটা দিয়ে মধ্যবিত্তের কাছে এই দামের ভয়াবহতা বুঝানো যাবে না। দরজার সামনের দিকে বাটার দোকানে "নিউ আ্যরাইভ্যাল" ট্যাগ লাগানো কয়েকটা স্যান্ডেল, দাম দেখে আঁতকে উঠলাম, কোনটাই ২০০০ এর নিচে না, সর্বোচ্চ ৪৯০০ পর্যন্তও আছে। গ্যালারি অ্যাপেক্সে এমনকি রদ্দি মার্কাগুলোরও দাম ২০০০ এর উপরে, লোকজন দেদার কিনছে, আমরা বেইল পাবোনা বুঝে সরে পড়লাম। "হাশ পাপিজ" নামে নতুন একটা বিদেশী ব্র্যান্ডের দোকান খুলেছে, কোন কুক্ষণে উঁকি দিয়েছিলাম জানি না, সর্বনিম্ন দাম ৪৯০০ এবং আশপাশেরগুলো ১০ থেকে ১২ হাজার দেখে তখন থেকে চোখে সর্ষেফুল দেখছি।
কাজেই স্যান্ডেল কেনার আশা বাদ দিয়ে বন্ধু এখন গেছে চোখেমুখে পানি দিতে আর আমি দাঁড়িয়ে আছি ৪ তলায় রেলিং ধরে উদাস চোখে। নিজে অবশ্য ঈদ গায়ে দিয়েই ঘুরছি, গ্রামীন থেকে কেনা ২৫০ টাকার হালকা শার্ট আর অনেক কষ্টে চক্রাবক্রা ছেঁড়াফাটা না লেডিস-না জেন্টস জিন্সের ভিড় থেকে উদ্ধার করা একটা প্লেইন ব্লু জিন্স, আশপাশের ডিজুসদের ভিড়ে বেশ খ্যাত ধরণের লাগছে সেটা অস্বীকার করছি না। তবে আপাতত চিন্তা হলো বন্ধুর বাজেটের মাঝে কি করে একটা ভদ্রস্থ শার্ট কেনা যায় সেটা। দোকানে গিয়ে দোধারী তলোয়ারের আক্রমণের মত দ্বিমুখী সমস্যায় পড়া গেছে। প্রথম সমস্যা ডিজাইন নিয়ে, লোকে যতই খ্যাত বলুক, আজকালকার জোড়াতালি দেয়া ডিজাইন কিছুতেই আমাদের পছন্দ হচ্ছে না, বিশেষ করে হাতে-কাঁধে-পিঠে তালি মারা এবং আরো জঘণ্যভাবে কাঁধের উপর রেলওয়ের টিটিদের মত ব্যাজ লাগানো শার্ট কেন পয়সা দিয়ে কিনতে হবে সেটা অনেক ভেবেও বের করতে পারিনি। ওরকম চাইলে তো বাসার পুরোনো শার্টগুলোই এদিক ওদিক কেটে নিয়ে আরেক জায়গায় লাগালেই হয়, দোকানে আসতে যাবো কেন? নতুন প্রজন্ম মনে হয় আমাদের সাথে একমত নয়, দেখি এক ডিজুস কিশোর তার মা'কে বোঝাচ্ছে, আজকাল এসবই চলে, এটাই কিনবো, হাতে একটা রঙবেরঙের জিন্স আর ব্লাউজ সাইজের শার্ট। মাতাজী মনে হয় এখনো ঠিক মানিয়ে উঠতে পারেননি, বেশ একটা বিতর্ক জমে উঠেছে।
সবাই আবার এই মাতাজির মত নন, পাশ দিয়ে হঠাৎ কিম্ভুত কিছু একটা চলে যেতে ঘাড় ঘুরাই, বেশ খানিক সময় লাগে বুঝতে এটা একটা মানুষ, আরো স্পষ্ট করে বললে, একটা মেয়ে। ড্রেসআপের বর্ণনা নিষ্প্রয়োজন, কারো কৌতুহল হলে তিশমাকে দেখে নিতে পারেন, তবে মেকআপে তিশমাও পিছনে পড়েছে, এমন কালো রঙের মেকআপ দেখে গথিক ব্যান্ডের গায়িকারাও লজ্জা পেয়ে যাবে। সাথের ভদ্রলোক সম্ভবত তার বাবা, মেয়ের কীর্তিতে ঘাড় উঁচু করে মোরগের মত চলেছেন। আশপাশে এমন নমুনা আরো কয়েকটা দেখা গেল, আর নিশ্চিতভাবেই দেশে আজকাল সাম্যাবস্থা বিরাজমান, ছেলে-মেয়ে সবাই জিন্স জিনিসটাকে হাঁটু পর্যন্ত পড়ার ব্যাপারে চুক্তিবদ্ধ, এর নিচে হলে সম্ভবত সৌন্দর্য দেখানো যায় না। যদিও যারা ইয়োগা চর্চার হাঁটু উঁচু স্কিনটাইট ট্রাউজার পরে বসুন্ধরায় চলে আসেন, তারা হলিউডের নায়িকাদের ছবিটা পাশে রেখে নিজেকে একটু মিলিয়ে দেখতে পারেন আগে। নিশ্চিতভাবেই, নিজেই নিজেকে দেখে বলে উঠবেন--"ওহ, অবসিন"।
বন্ধুর আগমনে নীতিচর্চা বা পরীচর্চায় ছেদ পড়ে, একটা শার্ট কেনার কঠিন সংগ্রামে লিপ্ত হই। লোকজনের ভিড়ে দোকান গুলোতে ঢোকাই মুশকিল, কালো টাকা কোথায় যায় সেটা দেখার জন্য শপিং কমপ্লেক্সগুলো একটা ভাল জায়গা, কে কত দাম দিয়ে জিনিস কিনছে সেটা দেখে পিছন নিলেই কালো টাকা বা ঘুষখোরদের ধরতে কষ্ট করা লাগবে না বলেই মনে হয়। এখানে অবশ্য এই অধমের একটা ব্যক্তিগত অন্ধবিশ্বাস কাজ করে, সৎপথে না হোক, অন্তত কষ্ট করে যারা টাকা কামায়, তারা কেটে ফেলেও ঈদের মার্কেটে ১৫-২০ হাজার টাকা দিয়ে একটা জামা কিনে ফেলবে না, কোনভাবেই না। ইজি কাম, ইজি গো, কাজেই ঘরে এসে ঘুষের টাকা দিয়ে গেলে অথবা সাধারণ মানুষের গলায় ফাঁস লাগিয়ে যেসব ব্যবসায়ী রক্ত চুষে নেয়, তাদের জন্যই এভাবে লক্ষ লক্ষ টাকা উড়িয়ে দেশের পণ্যের দাম আকাশে উঠিয়ে দেয়া সহজ এবং সেটাই হচ্ছে, হবে আরো। এমনকি ব্লগেও যখন দেখি ৪০০০ টাকা করে ২ সেট কি এক হিন্দি ছবির ট্রেন্ডে উঠে আসা জামা কিনে সেটা নিয়ে গর্ব করে পোস্ট দেয়া হয় আর সেটা নিয়ে সবার আদিখ্যেতা ফেটে পড়ে, তখন আসলেই নিজেকে খুব বেশি ছোট, খুব বেশি অসামাজিক মনে হয়। কে জানে, আমরাই হয়তো ভুল, আমরাই হয়তো পিছিয়ে আছি, এভাবে হাওয়ার সাথে তাল মিলাতে পারলেই না আধুনিক, কি আসে যায় বাকি কোটি মানুষ ২ বেলা খেতে পারলো কি পারলো না!
নীতিকথা বাদ দিই, কারণ আমরা এখন আছি দুর্নীতির প্রদর্শনীর আখড়াতে। কয়েকটা দোকানে ঘুরাঘুরি করে আমাদের শুকনো গলা এখন মরুভূমি, কারণ যেটাই পছন্দ হয় দাম ১৭০০-৩০০০, অথচ গত ঈদেই প্রায় একই ডিজাইনের শার্টগুলো ছিল ১০০০ এর কাছাকাছি। চামে পেলেই দাম বাড়িয়ে দেয়ার এই সংস্কৃতি আমাদের মধ্যবিত্তদের শেষমেশ ফুটপাথে নামিয়ে দেবে কিনা সেটা ভেবে শংকিত, অবশ্য
কালো টাকা আর ঘুষের অবাধ স্রোতে সেই শংকা অনেকেই হাওয়ায় উড়িয়ে দেবে জানা কথা। ১০০০ এর নিচে শার্ট নেই তা না, তবে সেগুলো মনে হয় ৩-৪ বছর আগের গুদামের মাল সোজা এনে ফেলে দিয়েছে, এরচয়ে বঙ্গমার্কেট জিন্দাবাদই ভাল। অনেক ঘুরে শেষমেশ ঠিক ১০১০ টাকায় একটা পাওয়া গেল, শুকনো মুখে বন্ধু টাকা বের করে শার্ট নিয়ে বের হলো, বেচারা সিভিল এন্ঞ্জিনিয়ার,
বেতনের ১০ ভাগের ১ ভাগ ১টা শার্টেই খতম।
বের হতে গিয়ে ঘড়িতে দেখি ১১টা, এখনো খালাম্মারা ঢুকছেন, হাতে একগাদা ব্যাগ, মনে হয় শেষবেলার খ্যাপটা দিয়ে যাচ্ছেন। ডিজুস পোলাপানের প্যান্ট খুলে আন্ডারওয়্যার দেখানো ফ্যাশন আর উদ্ভট গথিক মেকআপ আর হেয়ারকাটিং আর অশ্লীল বাংলিশের মিশ্রণে শরীর দেখানোর ভিড়ে সবকিছু কেমন যে অবাস্তব লাগে। পুরো শপিং কমপ্লেক্সটায় একমাত্র মন ভালো করা দৃশ্য হলো ছোট ছোট বাচ্চাগুলো,
পুরো দুনিয়ার সব খুশি নিয়ে রঙিন প্রজাপতির মত উড়ে বেড়াচ্ছে যেন বাবা-মায়ের হাত ধরে। এর মাঝেই ২টা বাচ্চা আমার পায়ের নিচ দিয়ে গলে যাবার চেষ্টা করেছে, হাত দিয়ে চুলগুলো এলোমেলো করে দেবার পরে চোখ পাকিয়ে তাকিয়েছে, গায়ে এসে ধাক্কা খেয়ে পড়তে পড়তে বেঁচে গেছে আরো ৩টা, তারপরেই ছুটে গিয়ে আরো কারো ঘাড়ে পড়ার তাল, দেখলেই মনটা ভাল হয়ে যায়। কী এক
বিষাক্ত শহরে কতগুলো খোলা বাতাস, কি রেখে যাচ্ছি আমরা ওদের জন্য সীসা আর আবর্জনা বাদে? জবাব পাই না, আজকাল মাথা ঘামানো ছেড়ে দিয়েছি, খুব তাড়াতাড়ি যন্ত্র হয়ে যেতে হবে।
বের হয়ে স্বস্তির শ্বাস ফেলি, ফুটপাথেও ঈদের ধুম, তবে সেখানে "সব ২০০, মাত্র ২০০, নিয়া যান ২০০।" অনেক কম, তারপরেও কিনতে পারে না অনেকে, ঘ্রাণে অর্ধভোজনের মত তাদেরও দর্শনে অর্ধক্রয়। এখানে যখন হাজারে আর লাখে কারবার চলছে, ঠিক তখনই এই লাখের ক্রেতারা কোনদিক দিয়ে সিন্ডিকেট করে আমাদেরই সর্বস্বান্ত করার ধান্দা করছে, আর এই লাখে আর
কোটির "শো-অফ" এর খাঁড়ায় পড়ে দিন দিন সারা পৃথিবীর কাছে নিজেদের অসভ্যতম জাতি হিসেবে পরিচিত করে তুলছি আমরা, যাদের কিনা ৭০% লোক দু'বেলা খেতে পায় না কিন্তু যে দেশে ঈদের মার্কেটে লাখ টাকার লেহেঙ্গা-শাড়ি আর ১০ লাখের গরু বিক্রি হয়। বিশাল ঐ শপিং কমপ্লেক্সের আলো আর জাঁকজমক খুব বেশি অবাস্তব আর অসভ্য মনে হয় তখন, যদিও নিজেকে কখনোই প্রলেতারিয়েত হিসেবে দাবী করি না। সারভাইভ্যাল অভ দ্য ফিটেস্টের যুগে চিন্তাটাকে আলগা দুঃখবিলাস বলেও চালানো যায়, রাস্তায় জমে থাকা কাদাপানি ছোট্ট একটা লাফ দিয়ে এড়িয়ে উঠে পড়ি দাঁড়িয়ে
থাকা একটা অন্ধকার বাসে, মাথা ঝাঁকিয়ে বন্ধুর অফিসের গল্পে মন দিই।
রাতে ভাল করে একটা ঘুম দিয়ে মাথা থেকে এসব জন্ঞ্জাল বের করে দিতে হবে, স্রোতের সাথে না মিশে গেলে কোনদিন যে ঘূর্ণিতে তলিয়ে যাবো, লাশটাও কেউ খুঁজে পাবে না।
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ১:০৮
ফারহান দাউদ বলেছেন: আমারে যখন একজন একবার কইসিলো মেয়ে দের জুতার দাম ৬০০০ টাকা আমি জিগাইসিলাম জুতায় কি সোনা-রূপা দিয়া কারুকাজ করা? কালকে হাশপাপিজে ঢুইকা দেখলাম কিছুই না, আমাগো নাদান চোখে তো ফুটপাথের জুতার সাথে তফাৎ দেখলাম না।
প্যান্টের এই কেসটা দেখলে আমার নিজেরই বিব্রত লাগে, এইগুলার আসলে সমস্যা কি? আপনের অভিজ্ঞতাটা জানা দরকার।
২| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ১২:৪৮
অনীয়ম বলেছেন: "রাতে ভাল করে একটা ঘুম দিয়ে মাথা থেকে এসব জন্ঞ্জাল বের করে দিতে হবে, স্রোতের সাথে না মিশে গেলে কোনদিন যে ঘূর্ণিতে তলিয়ে যাবো, লাশটাও কেউ খুঁজে পাবে না।"
হাসি ঠাট্টার মাঝে এ কি নির্মম সত্য। সমাজের ঐদিকটির কি সুন্দর উপস্থাপন। সত্যিই চমৎকার।
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ১:০৯
ফারহান দাউদ বলেছেন: তাল মিলাতে না পারায় না ঘরকা না ঘাট কা হয়ে আছি, মহা যন্ত্রণা।
৩| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ১২:৫৪
ভাঙ্গা পেন্সিল বলেছেন: বসুন্ধরার দোতলা আর তিনতলার বাম পাশের ভেতরের দোকানে আরেকটু কমে ভালো শার্ট পাইতেন। আমি ৬৫০৳ এভারেজে শার্ট কিনসি
সমস্যা হলো ইদানিংকার সব শার্ট পাঙ্ক, আমার আবার এগুলা দেইখা আরাম বোধহয় না! চোখ ট্রান্সপ্লান্টের চিন্তা ভাবনা করতে হবে।
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ১:১৩
ফারহান দাউদ বলেছেন: দূর, আগে জানলে একটা ঘুরান দেয়া যাইতো। এত দোকান, বড়গুলা দেইখা ভাবলাম এইগুলাতেই যাই।
আজকালকার শার্ট নিয়া বলার কিছু নাই, কোনটার পিছে ড্রাগনের ছবি, কোনটার পিছনে জরি দিয়া কাজ করা, কোনটা আবার বাংলা সিনেমার নায়কদের মত চুমকি মারা, সে এক কাণ্ড!
৪| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ১২:৫৫
অপরিচিত_আবির বলেছেন: শো অফের জামানায় শরীরটাই শোকেস বনে গেছে এতে কারোই কিছু করবার নেই। এটাই নাকি নিজেকে হালনাগাদ রাখা(নাকি আপডেটেড?)। যাহোক মজার ব্যাপার হলো আমরা যারা এই ডিজুস ফ্যাশনের হাড়-মাস আলাদা করে সমস্ত জায়গায় বদনাম করি তারা ঈদের মার্কেটে গেলে অন্যরকম ভাবে সচেতন থাকতে হয়। একটা শার্ট বা প্যান্ট কিনতে গেলেই বারবার চিন্তা করতে হয় - জিনিসটা বেশি ডিজুস হয়ে গেল নাতো? পোলাপান দেখলে হাসবে নাতো? সিম্পলের থেকে সিম্পল ড্রেসের ওপর আরো সিম্পল কারুকাজের পাঞ্জাবী কেনার কাজটা যে আসলে কতটা কমপ্লেক্স সেটা যারা করেছে তারাই জানে। এইবার অ্যাপেক্স থেকে একটা স্যান্ডেল কিনতে গেলাম গিয়ে দেখি যা দেখি তাই ১৬২০!! আজিব! আম্মা পাঞ্জাবী কেনার টাকা দিয়েছিলেন মাঝখান দিয়ে লোভেপড়ে ৮০০ টাকা খরচ করে জোস একখান এসি মিলানের জার্সি কিনা ফেলাইছি। এখন কি এইটা পড়েই ঈদগায়ে যামু নাকি এই নিয়া ব্যাপক টেনশনে আছি।
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ১:১৬
ফারহান দাউদ বলেছেন: অ্যাপেক্সে কম দামে কিছু নাই। ভাইভা দিমু মনে কইরা একটা জুতা কিনার ইচ্ছা ছিল, দাম দেইখা পিছায়া গেসি, বুট দিয়াই চালানি লাগবো।
পান্ঞ্জাবি বছরে ২ দিন, কাজেই সোজা দাদা পান্ঞ্জাবি কিনছি, পুরা সাদা, ৩০০ টাকা দিয়া, খিক খিক।
জার্সি কিনাটা ভাল আইডিয়া, আগে মাথায় আসলে আমিও একটা ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড কিনে ফেলতাম, পরের বার মাথায় রাখা লাগবে, বাজেটের মাঝে দেশি কাপড় কিনা তো সাধ্যের বাইরে চলে যাচ্ছে।
৫| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ১২:৫৭
শ।মসীর বলেছেন: ইজি কাম, ইজি গো - এটাই চলছে। আর দেখে দেখে আমরা বোকারা জ্বলছি
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ১:২১
ফারহান দাউদ বলেছেন: জ্বলছি কিনা বলা মুশকিল, তবে এদেরকে এখনি না থামালে জ্বলবে সবাই।
৬| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ১:০০
শ।মসীর বলেছেন: আবির ভাই চলেন তাই করি - আমার এক খান চেলসি আছে। মিলানেরটা আগে যেহেতু গায়ে দিছি তাই ঈদের দিন আর দিমুনা, ঈদের দিন পুরানটা গায়ে দেয়া ঠিক হইবনা
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ১:২৪
ফারহান দাউদ বলেছেন: হুম, তাইলে পরের ঈদে এখটা ইউনাইটেডের জার্সি কেনাই লাগে, না কিনলে নিজেই সেলাই কইরা একটা বানায়া নেয়া লাগবে।
৭| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ১:০৩
আমড়া কাঠের ঢেকি বলেছেন: প্রিয়তে নিয়ে গেলাম ফারহান ভাই, এত সুন্দর ভাবে কেউ যে মার্কেটগুলোর আসল চেহারা এনালাইসিস করতে পারে চিন্তাও করি নাই! আপনার সাথে সহমতের ওপরে সহমত, ইনকাম ট্যাক্সের লোকজনরে মার্কেটগুলায় বসানো উচিত, কালো টাকা ধরার এর থেকে ভালো উপায় আর নাই। আগে ভাবতাম ঘুষখোরের টাকা ঘুষখোর উড়ায় আমার কি, কিন্তু এটা আর সাপোর্ট করি না। মানুষের এমনে টাকা উড়ানো দেখে, বান্ধবীর হাজার তিনেক টাকায় কিনা নতুন আবজাব ডিজাইনের হাইহিল আর আজিব ডিজাইনের নতুন সব ড্রেস দেখে আমার ছোট বোনটারও কেনার ইচ্ছে হবে, বাচ্চারা তো আর দাম বোঝে না, প্রিয় জিনিস টা না পেলে ওদের মনটাই ভেণ্গে যাবে, ঈদের দিন বাকি সবাই ঈদ করবে আর সে করবে না এটা বাচ্চাদের পক্ষে মেনে নেওয়া কতটা কষ্টকর তা বিশ্বাস করা কঠিন। বসুন্ধরায় ঘুরতে গেলে অবশ্য রং বেরঙের ললনা আর রমণ দেখে মুহুর্তের জন্য ভুলতে নেই যে ২৩ টাকা বেতন দিয়া ভার্সিটিতে পড়ি।
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ১:৩০
ফারহান দাউদ বলেছেন: এক্সাকটলি, রহিক এই পয়েন্ট টা বলতে চাইছিলাম। একটা শ্রেণীর এই টাকা উড়ানো আরো অনেককে বিপথগামী করবে, কিছুদিন পরে দেখবা সবাই ভাবতেসে এইভাবেই যদি অপরাধ করে ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকা যায়, আবার ফুটানিও দেখানো যায়, তাইলে ওর বাপ ঘুষ খায় আমার বাপ বেকুবটা খায় না কেন? আর আমার বাপ না খায়া যে ভুল করসে, আমি ডাবল খায়া পুষাবো। একটা অপরাধপ্রবণ সমাজের দিকে আগাচ্ছি আমরা, আর কিছু বলার নাই।
৮| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ১:০৫
লেখাজোকা শামীম বলেছেন: রাষ্ট্র নিজে যখন শ্রেণী বৈষম্য দূর করার বদলে একটি সুবিধাভোগী শ্রেণী তৈরি করতে ব্যস্ত , তখন এটা স্বাভাবিক বাস্তবতা।
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ১:৩১
ফারহান দাউদ বলেছেন: রাষ্ট্র মানে তো এখন একদল চোর-ডাকাতের সমষ্টি যাদেরকে আমরাই আবার পাঠাচ্ছি ভোট দিয়ে, আর কি আশা করতে পারি যদি আমরাই না বদলাই?
৯| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ১:০৭
মানবী বলেছেন: আমি ব্যক্তিগত ভাবে বাংলাদেশে এধরনের বিলাস বহুল মলের বিরুদ্ধে। একটি দুটি হয়তো মেনে নেয়া যায় তবে যেভাবে কম্পিটিশন দিয়ে প্রতিদিন নতুন নতুন মল গজিয়ে উঠছে তা শংকাজনক!
আমাদের দেশের ৮৫% এর বেশি সংখ্যক মানুষ সৎ উপার্জনের মাধ্যমে অর্জিত অর্থে এসব মলে ক্রয় ক্ষমতা রাখেননা, বাহারী আর বিসলাসী জিনিসের এমন প্রলোভন তাঁদের অসৎ উপার্জনের পথে যেতে প্রলুদ্ধ করে।
আমার ধারনা সবচেয়ে ক্ষতিকর তরুন সমাজের জন্য.... "মল" বিশ্বের প্রায় সব দেশে তরুনদের প্রিয় গন্তব্য! নিজের, পরিবারের আর প্রিয়জনদের এসব মলে এনে মুগ্ধ করে কিছু উপহার দেবার লক্ষ্যে অনেকেই হয়তো ছিনতাই বা অন্য কোন অপরাধের সাথে জড়িয়ে পড়ে।
পোস্টটির জন্য ধন্যবাদ ফারহান দাউদ।
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ১:৩৪
ফারহান দাউদ বলেছেন: ঠিক জায়গায় ধরেছেন। একটা ছেলে বা মেয়ে যখন দেখবে তার বন্ধুর অসৎ বাবা তার ছেলেমেয়েকে লাখ টাকার বাজার করে দিচ্ছে যেখানে তার সাধারণ প্রয়োজনই মেটেনা, তখন সততা ব্যাপারটার দিকেই তার বিতৃষ্ণা চলে আসার সম্ভাবনা থাকে, এবং সেটাই হচ্ছে। এই দেশের ৭০-৮০ ভাগ লোক ২ বেলা খেতে পায়না অতচ আমরা যমুনা সিটি বানিয়ে বলি এশিয়ার বৃহত্তম শপিং মল, লজ্জাও করে না।
১০| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ১:০৮
আমড়া কাঠের ঢেকি বলেছেন: সব পান্জাবি জড়িওয়ালা, সাইজ যেভাবে ছোট হচ্ছে আর যেমন কারুকাজ, মাঝে মাঝে দ্বিধায় পড়ি পান্জাবী না শর্ট কামিজ! বহুত ঘুইরা প্লেইন সাদা একটা পান্জাবি কিনছি। তাও দাম শুইনা মনে হৈতাছে ইন্জিনিয়ারিং না পইড়া বসুন্ধরায় ভুংচুং একটা শোরুমের টেইলার হৈলে ভাল কামাইতে পাড়তাম!
আর শোরুমের সেলসমেন গুলার কথা আর কি কমু, মান্জা দেখলে মনে হয় সেলসম্যান তো না র্যাপ গায়। এমিনেম, স্নুপ ডগরাও মাপ চাইবো।
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ১:৪১
ফারহান দাউদ বলেছেন: আজকাল পোলাদের পাণ্ঞ্জাবি অনায়াসে মেয়েরা কামিজ হিসাবে পড়তে পারে, এত কারুকাজ থাকে, আবার মেয়েদের গুলা এতই স্বচ্ছ যে পোলারা পড়লে আমরা একটু চোখটা খুলে চলতে পারতাম। ব্যাপার না, তুমি সিভিল এন্ঞ্জিনিয়ার না, অর্থসংকট এত হইবো না, তবে পাশ কইরা এইরকম ১০ হাজারি পান্ঞ্জাবি কেনার আগে যদি কষ্ট কইরা একবারমনে করো যে এমন এখ দেশ থাইকা জিনিসটা কিনতাসো যেইখানে ৮০ ভাগ লোক এখনো খাইতে পায় না, তাইলেই আশা করা যায় এখনকার কথাগুলা সার্থক।
১১| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ১:১৫
ওয়ার হিরো বলেছেন: কি কমুরে ভাই, এই যুগে নিজেরে বড় এলিয়েন এর মত লাগে।
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ১:২০
ফারহান দাউদ বলেছেন: এলিয়েনের দলটাও একেবারে ছোট না, এই লাইগা পাত্তা দেই না ঐগুলারে।
১২| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ১:১৫
তামিম ইরফান বলেছেন: বছর দুয়েক আগে কয়েকজন বন্ধু মিলে ক্যাফে ম্যাঙ্গোর সামনে দাড়ায়া আড্ডা দিতেছিলাম.......আমাদের পাশেই ইলিংশ মিডিয়ামের কয়েকজন ডিজুস পোলাপান দাড়ায়া ছিলো।হঠাৎ চোখে পড়লো একজনের প্যান্ট কোমড়া ছাড়ায়া নীচের দিকে পড়পড় করতেছে তো আমি গিয়া প্যান্ট ধইরা টাইনা উঠায়া দিছিলাম.......সাথে সাথে ঐ জন আমারে ঝাড়ি দেওয়া শুরু করছিলো......ননস্টপ ১৫-২০ মিনিট ইংলিশে ঝাড়ি খাইছিলাম।
দূর্ভাগ্যবশত যার প্যান্ট উঠায়া দিছিলাম সে ছিলো একজন মেয়ে.....।পেছন থেকে দেখে ছেলে মনে করছিলাম।
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ১:২০
ফারহান দাউদ বলেছেন: ও--মাই---গড!!!! (ডিজুস স্টাইলে কইলাম) খায়া আসছিলাম, আপনের এই শেষ লাইন পইড়া খাওয়া হজম হয়া যাইতাসে, খিক খিক খিক। আপনে যে এখনো জীবিত আছেন এই জন্য উপরওয়ালারে ধন্যবাদ দেন।
তবে, ইংলিশে ঝাড়ি দিলে খাঁটি বাংলায় কিছু ঝাইড়া কাউন্টার দেয়া দরকার আছিলো (অবশ্য আপনের ভুলটা মারাত্মক, হেহেহে)
১৩| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ১:২২
সাহোশি৬ বলেছেন: কিছু কথা বলি- আমাকে গালি দেন অসুবিধা নাই তবে ব্যাপারগুলো একটু চিন্তা করেন -
- বাংলাদেশ তৃতীয় বিশ্বের অন্যতম দরিদ্র একটি দেশ, এ দেশের মানুষের মাথাপিছু আয়ের পরিমান ৫০০ ডলারের নীচে। অথচ ঢাকার শপিং মলগুলো আমেরিকার শপিং মলগুলোকেও হার মানায়। সত্যি বলছি বসুন্ধরা মলের মতো এত বড় মল আমেরিকাতেও খুব বেশী নাই।
-এ দেশের শতকরা ৭০ ভাগ লোক দরিদ্রসীমার নীচে বাস করে। অথচ প্রাইভেট গাড়ির ভীড়ে ঢাকা শহরে চলা দায়।
-এদেশ সম্পূর্নরূপে সেন্ট্রালাইজড একটা দেশ। দেশের প্রাইভেট চাকরির শতকরা ৮০ ভাগের উপরে ঢাকায়। মফস্বলের মানুষ কেমন আছে তার খবর কে-ই বা রাখে?
-এদেশের অর্থনীতির মূল চালিকা শক্তি হলো জনশক্তি রপ্তানী - অর্থাৎ এদেশের অর্থনীতি চলে বিদেশের রাস্তা ঝাড়ু দিয়ে আর বিদেশের ড্রেন পরিস্কার করে। রপ্তানীযোগ্য পন্যের মধ্যে প্রথমেই আসে গার্মেন্টস শিল্পের কথা। অর্থাৎ এদেশের অর্থনীতি টিকেই আছে বিদেশের দর্জিগিরি করে, ঝাড়ুদার হয়ে আর মেথর হয়ে।
-এ দেশের ধনী আর দরিদ্রের লাইফ-স্টাইলে যত তফাৎ তা উপমহাদেশ ছাড়া অন্য কোথাও পাওয়া মুশকিল।
-এদেশে প্রচুর গরীব থাকা সত্ত্বেও সোশ্যাল ওয়েল ফেয়ার ধরনের ব্যবস্থা অপ্রতুল। একজন বৃদ্ধকে, পঙ্গুকে এদেশে দেখার মতো কেউ নেই। এদেশের সরকার শুধু ধনীদের স্বার্থ রক্ষায় ব্যস্ত। খোদ আমেরিকাতেও সোশ্যাল সকিউরিটি, মেডিকেইডের মতো সোশাল ওয়েলফেয়ার আছএ, আর বাংলাদেশে - ঘেচু।
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ২:১০
ফারহান দাউদ বলেছেন: গালি দেয়ার তো কিছু নাই, সবই তো সত্যি কথা, আমাদের জাতীয় মানসিকতাই তো এমন। একটা ব্যাপার দেখেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী চড়েন গুবরে পোকার মত অ্যাম্বাসাডর গাড়িতে, আর বাংলাদেশের মন্ত্রী-এমপিগুলা হাঁকায় পাজেরো আর লেক্সাস। আমরা ভিক্ষা করে ভিক্ষার পয়সায় ফুটানি দেখাতে চাই, পরের দিন ভাত পাবো কিনা তার নাই ঠিক। লজ্জায় মাথা কাটা যায় যখন বাইরের কেউ প্রশ্নগুলি করে, কি আছে জবাব দেয়ার?
১৪| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ১:২৫
ত্রেয়া বলেছেন: এত সুন্দর লিখেছেন।সত্যিই।
ঢাকার এই চলতি হাওয়ায় যে কত মধ্যবিত্তের পিষ্ঠ হতে হচ্ছে প্রতিদিন!!সত্যিকারের চিত্রটা খুব সুন্দর তুলে ধরেছেন আপনি।
@লেখাজোকা ভাই,,ঠিক এই কথাটাই প্রায়ই আমার মনে হয়।
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ২:১৮
ফারহান দাউদ বলেছেন: তুলে ধরে যে আসলে কি হয়! কিছুই তো বদলায় না।
১৫| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ১:৩১
ওয়ার হিরো বলেছেন: হ ভাই, এর লাইগাই ত এখনো হতাশ হইয়া স্রোতে গা ভাসায়া দেই নাই। আর যেন কখনো গা ভাসাইতেও না হয়। আমীন।
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ২:২৩
ফারহান দাউদ বলেছেন: এইবারে বলি, আমীন।
১৬| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ১:৩৪
ভাঙ্গা পেন্সিল বলেছেন: কথায় আছে না ঢেকি স্বর্গে গেলেও ধান ভানে... বসুন্ধরার ঐ দোকানগুলায় ঢুইকা বঙ্গের মতো মুলামুলি কইরা শার্ট কিনসি আবার কয়েক মাস আগে ইস্টার্ণ প্লাজায় এক দোকানের হোলসেল থেইকা ৫০০ টাকায় কিনসি শু
।
তবে চুমকি আর পট্টিওয়ালা শার্ট নিয়া যা বলছেন! মাইনষের রুচি যে কেমতে এতো নীচা হয় ! আবিরের একটা কথা মনে ধরসে, সিম্পল পাঞ্জাবি পাওয়া সিম্পল না। শর্ট পাঞ্জাবি ভাল্লাগে না, লং একে তো খুঁইজা পাওয়া যায় না, পাইলেও হয় পাঙ্ক! কই যে যাই!
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ২:২৬
ফারহান দাউদ বলেছেন: তোমার ঠিকানা টা দরকার, পরের বার কিছু কিনতে গেলে হায়ার কইরা নিয়া যাওয়া লাগবো।
এইটা নিয়া হইসে এক মজা। আম্মা ঐদিন বাসায় ঢুইকা কয়, মানুষজন এত খ্যাত ক্যান? আমি কইলাম, কি হইলো? মা কয়, পাশের বাসার মহিলা তার ২ পোলার জন্য ২টা শার্ট কিনছে, একেকটা ২১০০ কইরা, কিন্তু শার্টগুলা বাংলা সিনেমার ইলিয়াস কান্ঞ্চনের বেদের মেয়ে জোছনার মত চকমকা চুমকি লাগানি টাইপ, ঝিলমিল করে। মা'রে আর কইলাম না এইগুলাই আজকাল হালফ্যাশান, এই বয়সে এতটা কালচারাল শক হজম হইবো না তাঁর।
১৭| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ১:৩৮
রন্টি চৌধুরী বলেছেন: বসুন্ধরায় গেলে আমারও একই ধরনের অনুভুতি হয়।
কি করবেন, আমরা পুরান জগতের মানুষ হয়া গেছি। নয়া জমানায় অচল
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ২:২৭
ফারহান দাউদ বলেছেন: প্রথম আলোর নকশা মার্কা পাতাগুলা আমাদের জোর করেই পুরান জমানার মানুষ বানানির চেষ্টা করতেসে কিনা এইটাও ভাবি মাঝে মাঝে, এইসব চিড়িয়া আমি তো আমার আশপাশে দেখি না, খালি শপিং কমপ্লেক্স আর নকশার পাতা ছাড়া।
১৮| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ১:৩৮
জাতি জানতে চায় বলেছেন: কিছু কওনের নাই ২/৩ দিন আগে কোন এক চ্যানেলে ঈদ শপিং নিয়া মার্কেট আর ফুটপাথ গুলাতে বিভিন্ন বিত্তের মানুষের চিন্তা-ভাবনা আর বাজেটের একটা ক্লিপ দেখছিলাম!! সত্যি বলতে এত দূর্নীতির পরও অবাক না হয়ে পারলাম না!!!! একাধিক নিম্ন বা নিম্ন-মধ্য বিত্তের ফ্যামিলির ঈদ বাজেট ১০-১৫ হাজার টাকা!!!! আর এমন ভাবে বলছে যেন এতে অনেক কম হয়ে গেছে আরও হলে ভাল হত!!!! সেখানে মধ্যবিত্ত বা তা উপরের দিকে কি অবস্থা হতে পারে সেটা আপনে ভাল বুঝতে পারবেন। আমার তো মনে হইছিল রাজনীতিবিদদের থেকে আমরা আম পাবলিকরা কম দূর্নীতিবাজ নই, বরং সুযোগ পেলে তাদেরকেও ছাড়িয়ে যেতাম!!!!!!
আবারও বেশি কয়া ফালাইলাম!!! অহনও জিন্স, গ্যাভাডিনের উপরেই আছি!!!
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ২:৩০
ফারহান দাউদ বলেছেন: কথা কিন্তু ঐটাই, আমরা আম পাবলিকও এখহন শো অফের ইঁদুর দৌড় শুরু করে দিসি, দুর্নীতিকে স্বাভাবিক ভেবে জায়েজ করার চেষ্টা করে যাচ্ছি। একটা অপরাধপ্রবণ সমাজের যাত্রা শুরু হয়ে গেছে, কোথায় গিয়ে থামে জানি না, সর্বনাশা এখটা চেইন রিঅ্যাকশান, এরচেয়ে নিউক্লিয়ার বোমার ক্ষতি কম। ঐটা মারে উপর দিয়ে, একবারে শেষ, এইটা মারে একদম ভিতর থেকে।
১৯| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ১:৪৪
মানবী বলেছেন: ব্লগে একটি ভালো ব্যাপার লক্ষনীয়, সচেতন মানুষের সংখ্যা নিতান্তই কম নয়..
সকলে মিলে কি কিছু একটা করা যায়?
সরকার এসব নিয়ে ভাববেনা। মন্ত্রী আমলারা একটি যেমন তেমন উৎকোচ গ্রহন করেই অনুমোদন দিয়ে দেয়... সাধারন মানুষ যদি নিজেদের সচেতনতাটা ছড়িয়ে দিতে পারে তাহলে হয়তো কিছু সম্ভব।
সবচেয়ে বড় কথা, এসব মলের অধিকাংশ পণ্য বিদেশী, স্বদেশী পণ্য হলে হয়তো ব্যাপারটা এমন ভয়াবহ হতোনা।
ভালো থাকুন ভাইয়া।
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ২:৪৭
ফারহান দাউদ বলেছেন: সমস্যাটা কোথায় জানেন আপা, নিচে রন্টি ভাই বা আপনার ঠিক উপরেই মন্তব্যটায় যা বলা হয়েছে, আমরা যারা সাধারণ মানুষ তারাও এরমাঝেই এই নষ্ট সময়ে গা ভাসিয়েছি। যেভাবে হোক, চুরি করে, অন্যের গলায় পা দিয়ে, নিজের স্ট্যাটাস আর সম্পদ বাড়ানো চাই।
২০| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ১:৪৫
রন্টি চৌধুরী বলেছেন: তামীমরে তামীম, কি যে করছে...
দেশে শপিং আসলে একটু অদ্ভুত হয়ে গেছে এখন। আজকাল ছেলেপুলেরা ড্রাগন আর জুড়ি ওয়ালা শার্ট এ রুচি কিভাবে পায় কে জানে। তবে অন্যদের পছন্দের তো দাম থাকা দরকার। ভাগ্য ভাল যে দেশীয় কিছু ফ্যাশন হাউজে রুচি সম্মত বেশ ভাল ভাল শার্ট পাওয়া যায়। আমি এইকার গিয়ে দেখলাম বেশ ভালই পাওয়া যাচ্ছে। তবে বসুন্ধরায় স্বাভাবিক তেমন কিছুই পাওয়া যায় না। সামান্য কিছু পাওয়া যায় ব্র্যান্ডশপ গুলোতে, দেশী ব্র্যান্ড। তবে ভাল নরমাল ডিজাইনের গুলো একদিনেই শেষ হয়ে যায়।
বসুন্ধরাতে আসলে ছেলেদের শপিং করার জন্যে গিয়ে কোন কামে আসে না।
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ২:৫৫
ফারহান দাউদ বলেছেন: হেহে, রন্টি ভাই, পোলারা যেমন কিনে, আপনার শেষ লাইনটা কিন্তু নিজেই শুধরায়া দিবেন এরপরে। আমরা পুরানা লোক হয়া গেছি, রুবাবারে ফ্যাশন কনসাল্ট্যান্ট হিসাবে নিয়োগ দেন।
২১| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ১:৪৭
রন্টি চৌধুরী বলেছেন: বাংলাদেশের মানুষের টাকা , এই কথাটা আর খাটে না আসলে। মধ্যবিত্ত বা নিম্নমধ্যবিত্তের হাতেও এত টাকা আছে যে অণেকে কল্পনা করতে পারবেন না।
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ২:৫৬
ফারহান দাউদ বলেছেন: কথা সত্যি। অফিসগুলার কেরানীরাও ঘুষ খায়া বাড়ি তুলে ঢাকায়, টাকা তাদেরই নাই যারা আমাদের মত বেকুব।
২২| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ১:৪৯
সাঁঝবাতি'র রুপকথা বলেছেন: কি আর বলব ...?গুলশান এ ইফতার এর প্যাকেজ ২০০০ টাকা শুনেও কেউ কেউ বলে 'দামটা রিজনেবল আছে '...শুনে শুধু হা করে তাকিয়ে থাকি ...
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ২:৫৮
ফারহান দাউদ বলেছেন: হেহে, ঐ রিপোর্টিংটা আমিও দেখসিলাম। একজন আরেক ধাপ বেশি, সে ৪৩০০ টাকার প্যাকেজরেও বলছিলো--"ভালোই"।
২৩| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ১:৫২
হাসান মাহবুব বলেছেন: বসুন্ধরায় আগে মাঝে মাঝে যাইতাম ডিভিডি কেনার জন্যে। পোষাকের দোকানে ভুলেও ঢু মারিনাই কখনও। আজিজ সুপারে ১৫০ টাকায় ভালো টিশার্ট পাওয়া যায়। ঐগুলা ভালা পাই।
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ৩:০২
ফারহান দাউদ বলেছেন: পোলাপানের সাথে মাঝে মাঝে হুদাই গেসি, কিছু কেনার ইচ্ছা হয় নাই। ২ বার বন্ধুদের পাল্লায় পইড়া (সেই ঈদেই) ফুডকোর্টে খাইসিলাম, এমন বাজে খাবারের এমন দাম যে ঐ ইচ্ছাও হয় নাই। নেহাৎই ডিভিডি কিনা লাগলে আইডিবি যাই নাইলে ইস্টার্ন।
২৪| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ২:০৮
শিবলী বলেছেন: তামিম ভাইয়ের কমেন্ট পড়ে হাসছি-ই...
আমি তো বহুদিন হয় বাটা- এপেক্স বাদ দিয়েছি।শার্ট গ্রামীন থেকে কিনি, পড়েও আরাম, দাম দেখেও শান্তি। স্টুডেন্ট লাইফে ভাল ছিলাম। আজিজের ১৫০টাকার, নৈলে নিউমার্কেটের ১০০টাকার টি শার্ট দিয়ে সুন্দর চলে যেত।
নিজের টাকায় কেনাকাটার মুরোদ এখনো হয় নাই। জীবনেও কোন ঈদে জামা কাপড়ের জন্য চাই নাই কিছু। আম্মাই জোড় করে পান্জাবী কেনালো। যদিও নামাজ ছাড়া পরা হবে না । শুধু শুধু লস।
এখন মনে হয় ডিজুস হইলে-ও তো ভাল হইত।ডিজুস মাইয়া পটিয়ে তার বাপের কালো টাকা হ্যাক করতাম
সিভিল ইন্জিনিয়ার হয়ে তো তাও জব পাচ্ছেন, বেতন কম হলেও। আর ই ই ই পড়ে তো জব-ই পাই না। বিডিজবস লিনক থেকে ভাইবা দিতে যাই,ভাইবাতেই বলে কম্পানিতে পরিচিত কেউ আছে নাকি ।
১টা জব পেয়েছি যদিও ,ঈদের পর জয়েন। কিন্তু জবটা ইইই বেসড না বলে কম্পুটার বেসড বললে ঠিক হয়
। ফিউচারে যে কি আছে...
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ৩:০৮
ফারহান দাউদ বলেছেন: জুতা-স্যান্ডেলে আগ্রহ খুবই কম, একটা শেষ হইলে আরেকটা কিনি, বাপে কিনে দেয় পলওয়েল থেকে, জিনিস ভাল কিন্তু ব্যাপক মারামারি করে কিনালাগে, এইজন্যই বাপ।
টিশার্টে বঙ্গ। পান্ঞ্জাবী লস প্রোজেক্ট, কাজেই অপটিমাইজ করি কমদামী কিনে, এমনিতেই জিনিসটা আমার সুবিধার লাগে না, ম্যানেজ করতে পারি না। শার্ট চলে বেশিরভাগ মামা-খালার উপর দিয়া, মাঝে মাঝে দেশী ব্র্যান্ড থেকে কিনি খুব দরকার পড়লে, ঐটুকুই ছ্যাঁচা, দাম এরাও কম নেয় না।
২৫| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ২:৩৫
তামিম ইরফান বলেছেন: ইফতারের প্যাকেজ ২০০০টাকা!!!!!!........ঐ ইফতার কি হীরা,পান্না,চুনি দিয়া বানায়????
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ২:৪৫
ফারহান দাউদ বলেছেন: হেহেহে, তামীম ভাই, সাঁঝবাতির রূপকথা ২০০০ টাকার টা কইলো, আমি যে সাক্ষাৎকারটা দেখসি ঐখানে ৪৩০০ টাকার প্যাকেজরে রিজনেবল কইসিলো। এইবারে ডু দ্য ম্যাথ।
২৬| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ৩:৩৯
অহরিত বলেছেন: বসুন্ধরা সিটি মাঝে মাঝে যাই দহি ফুচকা খেতে।কখনো সাহস করি নাই জামা কাপড়ের দোকানে যাওয়ার,আপনি যে আপনার বন্ধুরে নিয়ে যেতে পারছেন এর জন্যই আপনাকে সাবাশ বড়ভাই!
রঙচঙ্গা টী-শার্ট আর জিন্সের প্যান্ট পরে "Hey buddy``Wazzup! "
বলে ডিজুসগিরি করার থেকে ২৫০ টাকার সুতি শার্ট পরে বুক ফুলিয়ে চলার মাঝে আমি অনেক স্বাচ্ছন্দ্য পাই।অন্তত তখন এটা মনে থাকে যে আমার গায়ের জামা সৎ পথে নিজের টাকায় কেনা।এর থেকে বড় পরিতৃপ্তি আর কি আছে বলেন?আর ডিজুস দেখে রাগ করি কিনা জানতে চাইলে বলবো,যেই দেশের সরকার আর তার চামচারা এসি রুমে বসে বিদ্যুৎ বাঁচানোর পরিকল্পনা করে,সরকারপ্রধান রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবনে আরাম করতে থাকতে যায়,কোটি টাকা দিয়ে ইফতার পার্টি করে এই গরীব অভুক্তদের দেশে সেই দেশে এইসব কিচ্ছু না।এইসব দেখেন কেন ভাই?চোখ বন্ধ করে থাকেন।
এখন একটাই প্রার্থনা,আমার পরবর্তী প্রজন্ম যেন গায়ে ঠিকমত কাপড় দেয়ার মানসিকতা অথবা সভ্যতা পায়।
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ৩:৫৫
ফারহান দাউদ বলেছেন: বসুন্ধরা সিটির খাওয়ার মান তো আমার ঢাকা শহরের মাঝে সবচেয়ে জঘন্য লাগসে।
এইটা কথা ঠিক, দেখি ক্যান, বেশি দেখলে তো মাথায় শর্ট সার্কিট হয়া যাবে কিছুদইন পরে। চিন্তা নাই, প্র্যাকটিস চলছে, কিছুদিনের মাঝেই সাইজ হয়ে আসবো আশা করা যায়।
২৭| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ৩:৫৫
ভেবে ভেবে বলি বলেছেন: আসলে কথাগুলো খুব সত্যি। শুধু বসুন্ধরার বিদেশী কাপড়গুলো নয়, আমাদের দেশীয় ঐতিহ্যের বিশিষ্ট ধারক ও বাহক (!) আড়ং এর অবস্থাও বিশেষ সুবিধার নয়। তারা সবকিছুরই এত অস্বাভাবিক দাম রাখে, অথচ আজ জানতে পারলাম যারা আড়ং এর শ্রমিক, তারা মজুরী হিসেবে এর খুব সামান্য অংশই পায়। যেমন যে নকশীকাঁথার দাম তারা ধরে ৮০০০ টাকা, সেখানে কাঁথাটা যে ছেলেটি/মেয়েটি এত কষ্ট করে তৈরী করলো, সে সাকুল্যে পায় হয়তো ১০০০ টাকা! আর সেই জিনিসই আমরা এত পাগলের মত ভীড় করে কিনি (নিজের চোখে না দেখলে বোঝা সম্ভব না আড়ং এ মানুষের কি অবিশ্বাস্য ভীড়)!!
কি লাভ? ফলাফল তো সেই একই।
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ ভোর ৪:০১
ফারহান দাউদ বলেছেন: আড়ংটা এক ধরণের দেশী ভড়ং। ব্যাপারটা অনেকটা, সাপও মরলো লাঠিও ভাঙলো না, দেখ আমরা দেশী জিনিস খাই। যদিও উদ্দেশ্য সেই একই, দেখ আমরা আড়ং ছাড়া কোথাও থেকে কিনি না। এই দেখানো মানসিকতা খুব বেশি খারাপ দিকে নিচ্ছে আমাদের, হয়তো নষ্টদের মাঝে আর আমরা বুঝিও না কোনটা নষ্ট। মজুরি নিয়ে বলার আর কি আছে, লংকায় গেলে তো সবাই রাবণ, আড়ংয়ের কাপড়ের কোয়ালিটিও আমার ভাল মনে হয়নি। এর মালিক কোন এক সাবেক উপদেষ্টা ছিলেন না?(নিশ্চিত নই) যার নামে আবার নিজের প্রতিষ্ঠানে অবৈধ টেন্ডার নেয়ার অভিযোগ উঠেছিল।
২৮| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ ভোর ৪:১৩
হাজ্জাজ-বিন-ইউসুফ বলেছেন: বসুন্ধরার এপেক্স থেকে একবারই একটা স্যান্ডেল কিনসিলাম, বাসায় আইসা দেখি ভালো লাগতেসেনা , তাই আবার নিয়া গেসিলাম চেঞ্জ করার জন্য । রীতিমতন ঈদের আগের পিক টাইমে দোকানদাররে স্যান্ডেল চেঞ্জ করায়া দিতে বাধ্য করসিলাম । শালার চেহারাটা হইসিলো দেখার মতন ।
তয় সেন্ডেল কিনার জন্য ঢাকার সবচাইতে ভালো জায়গা হইলো ধানমন্ডি-১৫ র একটা চিপা গলির কিছু সংখ্যক দোকান । ৩০০ টাকায় ওইখানে যে কোয়ালিটির সেন্ডেল পাওয়া যায় অইটা ১৫০০-২০০০ টাকা দিয়া বসুন্ধরার কোন দোকানে পাওয়া যাবে কি না সন্দেহ ।
আর টি-শার্টের জন্য ফেভারিট হইল আরেকটা চিপা, তয় এইটা ধানমন্ডিতে না, ঢাকা কলেজের সামনে ।
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ ভোর ৬:১৫
ফারহান দাউদ বলেছেন: ঐসব চিপা গলিতে জিনিস কিনতে হইলে দামাদামিতে সেইরকম এক্সপার্ট হওয়া লাগে। সেইদিনও নীলক্ষেতে যে বই আমারে ১৬০ টাকায় গছাইসে ঐটার দাম নাকি ১২০ টাকা, আমারে দিয়া হবে না, আরো ঘাঘু লোকজন লাগবে। পরের বার ঐরকম ওস্তাদ নিয়া যাওয়া লাগবে, নাইলে এই জীবনে টায়ারের স্যান্ডেল(জীবনেও ছিঁড়ে না) ছাড়া গতি নাই।
২৯| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ ভোর ৪:৪৩
অ্যামাটার বলেছেন: কিসু কমু না, আমি আজিজের পাবলিক। সাশ্রয়ী সাথে দেশি ফ্লেভার।
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ ভোর ৬:১৬
ফারহান দাউদ বলেছেন: হুম, এমনিতে বঙ্গ জিন্দাবাদ।
৩০| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ ভোর ৫:০২
একরামুল হক শামীম বলেছেন: বসুন্ধরা সিটিতে মাঝমইধ্যে ঘুরতে যাই। কাপড় কেনার জন্য আজিজ ভালো
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ ভোর ৬:১৭
ফারহান দাউদ বলেছেন: রোজার দিনে বসুন্ধরা সিটিতে ঘুরবার যান, খুব খারাপ।
৩১| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ ভোর ৫:০৬
হ্যামেলিন এর বাঁশিওয়ালা বলেছেন: lekhata pore kadchi...kanna thamate parchi na...koyekdin aage besh kichu jama kinechi...khub kosto hosse..keno je ogulo kinlam!! kotha dissi egulo chire na jawa porjonto ar kichu kinbo na.....shotti bolchi...
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ ভোর ৬:১৮
ফারহান দাউদ বলেছেন: আইডিয়া খারাপ না। তবে এইরকম দাম হইলে ছিঁড়ার পরে পুড়ায়া ছাই বানায়া দাঁত মেজে দাম উশুল করা লাগবে।
৩২| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ ভোর ৫:২৪
কঁাকন বলেছেন: লেখক বলেছেন: আমারে যখন একজন একবার কইসিলো মেয়ে দের জুতার দাম ৬০০০ টাকা আমি জিগাইসিলাম জুতায় কি সোনা-রূপা দিয়া কারুকাজ করা ---- সোনার ভরী মনেহয় ২৪০০০+ ; সোনা-রূপাদিয়া কাজ করা জুতা ৬০০০ এ পাওয়া যাইব না। আমার নিজের অবশ্য ৬০০০ টাকা দামের জুতা দেখতে মন্চাইতেসে।
আর বসুন্ধরায় আরেকটু ঘোরাঘুরি কর্লে মনেহয় আরো কমদামে কিনতে পারতেন কালকে বাসায় ফোন করছিলাম ছোটভাই নাকি ঐখান থিকা সার্ট আনচে ৭০০ টাকায় ঐশার্ট আবার আমাদের ঐখানকার দোকানে ১৫০০ টাকা করে ঝুলতে দেখসে আমার মা তবে সে আবার সেই রকম দামাদামি করে দোকানদার যদি কয় ১৮০০ টাকা সে কয় ৫০০ টাকায় দিবেন........
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ ভোর ৬:২০
ফারহান দাউদ বলেছেন: বসুন্ধরায় হাশ পাপিজে গেলেই দেখবেন, আমার ৭৯০০ পর্যন্ত দেইখা বদহজম হয়ে গেসে, আর আগাই নাই। তবে দেখতে সেইরকম কিছু না, এইজন্যই ভাবতেসিলাম কি দিয়া বানায়।
বুঝছি, শালার বড় দোকানে ঢুইকা মাথা বেশি ঝিম ধরসিলো। তবে দরদাম করতে হইলেও তো ঝামেলা, ঐরকম ৪ ভাগের এক ভাগ দাম কইতে কলিজা লাগে। ঐসব দোকানে আবার ভিড় কম, বেশি দামে জামা না কিনলে কিন্তু ভাব নাই বড়লোকগো মাঝে, বুইঝা।
৩৩| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ ভোর ৫:৩৪
রুবেল শাহ বলেছেন: তামিম ইরফান বলেছেন: রঙবেরঙের প্রজাপতি দেখতে ভালোই লাগে.......
@ আমারও ভাল লাগে ........ কি যে ভাল লাগে কইয়া শেষ করন যাইবো না
পাছার নীচে প্যান্ট পইড়া হাটতে থাকা পোলাপান দেখলে খুব ইচ্ছা করে কোমড়ের উপর প্যান্টটা উঠায়া দিয়া রশি দিয়া বাইন্ধা দেই।
@ আমার মুন চায় হেগো প্যান্টটা খুইলা নিয়া বলি ভাইজান এইডা হইল হালনাগাদের ফ্যশন ........ বুঝাইতে হাইচ্ছি ।
=== এখন পর্যন্ত ৫০০ টাকার উপরে কোন জামা কিনছি বলে মনে পড়ে । আমার ভরসা ফুটপাত ও আজিজ..............
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ ভোর ৬:২২
ফারহান দাউদ বলেছেন: একটা প্রজাপতি ধইরা পিঁড়িতে বইসা পড়েন (যদিও এই প্রজাপতিগুলা ম্যানেজ করা মনে হয় একটু কষ্ট)।
ঐ প্যান্ট ঢিলা ফ্যাশনটার কোন মানে আজ পর্যন্ত পাইলাম না, এতই দেখাইতে চাইলে আর কষ্ট কইরা পড়িস ক্যান?
৩৪| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ ভোর ৬:১৭
আশরাফ মাহমুদ বলেছেন: কালকে বলেছি, আজ পেয়েছি লেখা। তবে রস আগের মতো মিষ্টি হয় নি।
খাইছে, এত দাম হলে দেশে কীভাবে বাঁচব!
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ ভোর ৬:২৪
ফারহান দাউদ বলেছেন: মেজাজই তেতো আছে, মিষ্টি আর কিভাবে দেই?
বেঁচে তো আছি, এইগুলি তো জামাকাপড়, খাওয়াদাওয়াই বন্ধ করে দেবার অবস্থা দামের ঠেলায়, এই দেশ ক্যামনে চলে সেইটা চিন্তা করতে গেলে মাথার নাটবল্টু খুলে যাবে, চিন্তা করা বাদ দিয়েছি অনেকদিন হলো।
৩৫| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ ভোর ৬:২৮
কঁাকন বলেছেন: তা ঠিক ওর সাথে এরজন্য আমার মা কেনাকাটা করতে যায় না তার নাকি ভয় করে কখন কোন দোকানদার কি কইয়া দেয়
আগে খালি গয়না আছিলো প্রেস্টিজিয়াস গুড এখন জামাকাপড় ও প্রেস্টিজিয়াস গুড হয়ে গেছে
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ ভোর ৬:৩৪
ফারহান দাউদ বলেছেন: এমনিতে মহিলারা দামদর ভাল করে
হ, জামাকাপড়ের ব্র্যান্ডও ভাবের জিনিস। আমার এক দোস্তরে দেখসিলাম ঘুমানির পায়জামা কিনছে কোন এক ব্র্যান্ডের, ৯০০ টাকা দাম।
৩৬| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ ভোর ৬:৪৩
নুশেরা বলেছেন: এখন তো প্রশ্নই নেই, দেশে থাকতেও ঝলমলে বড় শপিং মলে পারতপক্ষে যেতাম না। বিশেষ করে ঈদের মৌসুমে তো না-ই। ফিরে আসার সময় চোখ জ্বালা করতো, বহুদিন জ্বলতো মন। আপনার যেমন তিশমা কিছিমের চিজ চোখে পড়ে, আমার পড়ে পৃথিবীর সবটুকু গ্লানি মুখে মেখে সন্তানের হাত ধরে খালি হাতে দোকান থেকে বেরিয়ে আসা বাবামা... ...
কয়েকদিন আগে এক বাসায় বাংলাদেশের টিভি চ্যানেল দেখছিলাম। সব চ্যানেলের খবরেই কোন না কোন জায়গার ইফতারি-আইটেমের সচিত্র ধারাবর্ণনা। ঐতিহ্যবাহী বা আধুনিক জায়গা, নামী রেস্টুরেন্ট, চারপাঁচতারা হোটেল। চার অংকের প্যাকেজের কুৎসিত বর্ণনা। সুবেশী লোকজনদের ভাব দেখে মনে হলোনা উপবাসে ছিলো। বেশ পার্টি পার্টি আমেজ। হায় রমজান, হায় সংযম!
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৫:৪০
ফারহান দাউদ বলেছেন: রোজার মাস এলে, বা কোন উৎসবের উপলক্ষ এলেই আমরা মনে হয় সারা দুনিয়াকে দেখিয়ে দিতে চাই আমরা কত বড় অসভ্য একটা জাতি। বেঁচে থাকার জন্য না, ভালভাবেই বেঁচে থাকার জন্য এই শো-অফ কি জরুরী? আমি রোজা রাখি না রাখি, আমি ধর্ম মানি না মানি, কিন্তু পাশের মানুষটার জন্য সহানুভূতিবশত হলেও অন্তত এই অসভ্যতাটা একটু কম করলেও হয়, তা না করে রমজান এলেই কেন মনে করিয়ে দেয়া যে তোমার নেই, আমার আছে? বিচিত্র এই দেশ, এখন আর সেলুকাসকে ডেকে দেখানো লাগে না।
৩৭| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ ভোর ৬:৪৭
নুশেরা বলেছেন: বাংলাদেশে এখন হাশ পাপিজেরও শোরুম আছে! কে জানে হয়তো এলভি গুচি ডায়ানা ফেরারিরও আছে। ধনী দেশে দুতিনশ ডলারের জুতা কিন্তু তেমন বড় ব্যাপার না, ন্যূনতম মজুরিতে যে দিনে আটদশঘন্টা কাজ করে সেও একদেড়দিনের বেতন দিয়ে এমন জুতা কিনতে পারে। কিন্তু বাংলাদেশে কারা এই দামের জুতা কেনে চিন্তার বিষয়।
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ দুপুর ২:৩১
ফারহান দাউদ বলেছেন: ফেরারির টা নেই, বাকিগুলো গুলশান মার্কেটে গেলেই পাবেন। কেনার লোকের অভাব নেই, আমাদের আগের ভাড়া বাসায় যে মিটার রিডার আসতো সে ব্র্যান্ডের সুগন্ধী ব্যবহার করতো, তার নাকি ঢাকায় ২টা বাড়ি আছে। কালোবাজারি, সিন্ডিকেট করে মানুষের গলাকাটা ব্যবসায়ী, অফিসের কেরানী, পিয়ন, রাজনৈতিক ক্যাডার আর দলীয় কর্মী, পুলিশ, সরকারী এন্ঞ্জিনিয়ার, কেনার লোকের অভাব কি?
৩৮| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ ভোর ৬:৫৬
ছন্নছাড়ার পেন্সিল বলেছেন: ঢাকায় যেভাবে এই মলগুলোর পেছনে টাকা ঢালা হয়, যেভাবে ব্যাঙের ছাতার মত এগুলো গড়ে তোলা হয়, সেই টাকা নিয়ে একটা ফ্যাক্টরি খুব সহজেই দেয়া যায়। কিন্তু জমির মালিক+দালানের মালিক সেটা করেন না ব্যবসায় ঝুঁকিটুকু নিতে চান না বলে। নগদ লেনদেন বা হাতে-হাতে-লাভের আশায় এই অনুৎপাদনশীল মলগুলো তৈরি করা হয়েছে।
ফিনিশড গুডের কেনাবেচা করে আমাদের কোনো লাভ নাই। যা ঘটছে তা নির্জলা ভোগ, সেইটা আমাদের মত গরীব দেশের জন্য খুবই আশংকাজনক!
===
তবে এটাও ঠিক বসুন্ধরা সিটি ঠিক আমাদের মধ্যবিত্তের শপিংয়ের জায়গা না। ওখানে গিয়ে খামাখা মেজাজ খারাপ করেছো। আমি মনে করি সমাজে শ্রেণীব্যবধান থাকবেই, এটাকে এড়ানোর এখন পর্যন্ত কোন ফলপ্রসূ সমাধান বেরোয় নাই। এক এক শ্রেণীর কনজিউম করার ক্ষমতাও আলাদা।
আমি এখনও ঢাকা কলেজের উল্টোদিকের মার্কেট (ওটা কি হকার্স? নাম জানি না) থেকেই প্যান্ট কিনি। টি-শার্ট পরা কমে গেছে তাই কেনাও কমে গেছে। শার্টের জন্যে এলিফেন্ট রোড অনেক সাশ্রয়ী, মোটামুটি শোভন চেহারার কাজ চালানোর মত শার্ট ওখানে ভালোই পাওয়া যায়। জুতাও বাটার মোড়েই আছে।
===
বসুন্ধরা সিটি আমি না চাইলেও তৈরি হবে। আরো অনেক হোমরা-চোমরার দল না চাইলেও তৈরি হবেই। এটার ডিমান্ড আমাদের সমাজের একটা শ্রেণী তৈরি করছে বলেই না সাপ্লাই হচ্ছে (একইভাবে আমি যেখান থেকে কিনি, সেটাও এভাবেই তৈরি)। তাই আমি ততটা নেতিবাচকভাবে দেখি না এগুলো। আরো কমদামী জামাকাপড়ের দোকানও আছে, সেগুলোরও দরকার আছেই। তবে হতাশা কেবল এটুকুই যে এত বিপুল পরিমাণ অর্থ আর লোকবল দিয়ে অনেক প্রোডাক্টিভ একটা কিছু অনায়াসেই করা যেত যদি নির্মাতারা চাইতেন!
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ দুপুর ২:২৭
ফারহান দাউদ বলেছেন: সত্যি বলতে কি, বসুন্ধরাতে কেনাকাটার জন্য যাই নাই, আমার দৌড় পাড়ার মার্কেট, বড়জোর মৌচাক বা নিউমার্কেট, আর এমনিতেও ঈদে নিজের জন্য কিছু কিনি না, কেউ দিলে দিল, বরং আজকাল পরিবারে বড় হয়ে গেছি, পোলাপানরে দেই।
আমার আপত্তিটা শ্রেণীবৈষম্য নিয়ে না, কারো সামর্থ্য থাকলে সে কিনবেই, আপত্তিটা হলো এই যে চরম ভোগবাদী একটা মানসিকতা গড়ে উঠছে আমাদের মাঝে সেটা নিয়ে। বোঝাতে পারলাম না মনে হয়, ভোগবাদী মানসিকতাও নয়, বরং যেনতেনভাবে আমাকে দেখাতেই হবে, শো অফ করতেই হবে, আমাকে পেতেই হবে ছলে-বলে-কৌশলে, এই মানসিকতাটা একটা জাতিকে কোথায় নিয়ে যাবে সেটা ভেবেই শংকিত। আমি এমন ছেলেও দেখেছি যে হাড়ভাঙা খেটে ৪-৫ টা টিউশনি করে স্রেফ ব্র্যান্ডের স্ট্যান্ডার্ড রাখার জন্য, এমন ছেলেও দেখেছি বাবার কাছ থেকে মেডিক্যালের বই কেনার টাকা এনে তা দিয়ে দামী মোবাইল কিনে বাকি মাস ধার করে চলে। এরা তো তাও ভাল, বেশিরভাগই উপায়টা না দেখে ২ নম্বুরি রাস্তা ধরে, এবং বাবা-মা'দের এই মানসিকতা পরের প্রজন্মেও চলে যাচ্ছে, তারা ভাবছে যে কোন ভাবে এই "হাই-স্ট্যান্ডার্ড" এ ওঠাই বড় কথা, এখানে নীতি বা ন্যায়ের কোন দরকার নেই। বসুন্ধরায় যারা টাকা ওড়াচ্ছে, আমি নিশ্চিত তাদের শতকরা ১০ ভাগের রোজগারও বৈধ না, যে কষ্ট করে টাকা কামায় তার যত টাকাই থাক চোখ বন্ধ করে ১ লাখ বা ২ লাখ টাকার শপিং করবে না প্রতি ঈদে, অথচ এখন বুক ফুলিয়ে এই কালো টাকা দেখানোটাই আমাদের কাছে ক্রেডিট হয়ে যাচ্ছে। তুমি বা আমি হয়তো ফুটপাথের কাপড় নিয়ে ভার্সিটিতে ক্লাস নেয়া বা অফিস করাটাকে কোন ব্যাপারই মনে করছি না, কিন্তু একটা জেনারেশন গড়ে উঠছে যারা যে কোন উপায়ে দামী মোবাইল বা ব্র্যান্ডের শার্ট ছাড়া ভার্সিটিতে ক্লাস করাটাই অপমানজনক মনে করে। এই অবৈধ টাকার স্রোতটা থামানোর জন্যই এই ট্রেন্ডটা বন্ধ করা জরুরী, আর কিছু না।
৩৯| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ সকাল ৭:৩৪
বাবুনি সুপ্তি বলেছেন: আমিতো এখন পর্যন্ত বসুন্ধরা তে কিছু কেনার সাহস পাইনি। এত দাম থাকে!!! gift এর জন্য বা মোবাইল চার্জার এই সব টুকটাক কিনেছি। কাপড় দাম করারও সাহস হয়না। সত্যি আমিও অবাক হই ভাবি , বাংলাদেশ কি সত্যি গরিব দেশ? এত টাকা মানুষ পায় কোথায় তাহলে !!!
[না বুঝে পাকনামি করে কিছু বলে থাকলে প্লিজ ক্ষমা প্রার্থী]
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৫:৪৪
ফারহান দাউদ বলেছেন: মতামতের জন্যই তো লেখা, পাকনামির কি আছে?
টাকা অনেক আছে, তবে ডিস্ট্রিবিউশানটা খুব বেশি আনইভেন, একদিকে খুব বেশি, আরেকদিকে নেই বললেই চলে। পৃথিবীর যে কোন দুর্নীতিগ্রস্থ দেশে এটা সত্যি, এমনকি যে আফ্রিকান দেশগুলোতে দুর্ভিক্ষে মানুষ মরে লাখ লাখ সেখানেও কিছু পিশাচ মার্সিডিজ চালায়, ভয় হয় আমরা কোনদিন না ওদের রাস্তায় উঠে যাই।
৪০| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ সকাল ৭:৩৪
দূরন্ত বলেছেন: বসুন্ধরাতে দেখার জন্য অনেকবার গেছি। কিন্তু এখনো কিছু কিনা হয় নাই। আফসুস .........
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৫:৪৫
ফারহান দাউদ বলেছেন: আসেন সবাই মিল্যা একদিন চান্দা তুইলা কিছু কিনি।
৪১| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ সকাল ৭:৩৬
তামিম ইরফান বলেছেন: যমুনা ফিউচার পার্ক নামে আরেকটা হইতেছে।
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৫:৪৮
ফারহান দাউদ বলেছেন: হয়া গেসে। ঐটা চালু হইলে যানজটে পুরা প্রগতি সরণী অচল হয়া যাবে।
৪২| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ সকাল ৮:০৯
এখন ও বৃষ্টি ভালবাসি বলেছেন: এইবার ঈদে কিছুই কিনতে পারলাম না ,টিউশন ফি দিয়া পকেট খালি ।
দেশ এর অবস্থা দেখলে মনে হয় টাকার মান কমে গেছে ।
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৫:৫০
ফারহান দাউদ বলেছেন: সেইটাও একটা কারণ, তবে কালো আর কাণনচা টাকা বেশি, সেইটা বড় কারণ। এইখানে দাম বাড়ে না, বাড়ানো হয়।
৪৩| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ সকাল ৯:৩০
রোবোট বলেছেন: ৪৩০০ টাকায় ইফতার। ৬১ মার্কিন ডলার। ইফতার বানায় কি প্যারিসে?
বছর তিনেক আগে আমরা চারজন এ্যাডাল্ট আর ২ গ্যাদা মিলে এক জায়গায় বেড়াতে গিয়ে গলাকাটা এক রেস্টুরেন্টে লান্চ করলাম। ১১০ ডলার বিল দিলাম দুইজনে ভাগাভাগি করে। বাংলায় মুন্ডুপাত করলাম।
২ বছর আগে ঢাকা থেকে বাটার কালো জু্তো কিনেছিলাম ১০০০ টাকা দিয়ে, আর বিয়ের কালো জুতো চালাচ্ছি। ভালো মানের ব্রাউন জুতোর (সেমি ফরমাল) দাম একটু কম এখানে তাও ৫০ ডলারের কম (৩০০০ টাকা)। ৪০ ডলারের কমে (২৪০০ টাকা) ভালো মানের কেডস (স্নিকার্স) পাওয়া যায়। ১৫-২০ ডলারে (৯০০-১৪০০ টাকা) ভালো স্যান্ডেল পাওয়া যায়।
জিনিষপত্রের যা দাম দেখলাম মনে হয় এ্যামেরিকার মল থেকে কিনে দেশে আসার সময় নিয়ে আসি। তোমাদের কাছে বেচে আমার দুটো পয়সা লাভ হয়, বাংলাদেশের লোকের কিছু টাকা বাঁচে।
কারা কেনে এসব? কষ্টের টাকায় (চাকরি/ব্যবসা যাই হোক)? নাকি ২ নম্বরীর টাকা (ঘুষ, বিষাক্ত ঔষুধ বেচা টাকা, চান্দাবাজির টাকা)?
নুশেরা একটা কঠিন সত্য বলেছে। "... আমার পড়ে পৃথিবীর সবটুকু গ্লানি মুখে মেখে সন্তানের হাত ধরে খালি হাতে দোকান থেকে বেরিয়ে আসা বাবামা... ..."
এরকম ধরনের বিষয় নিয়ে ১টা পোস্ট দিতে চেয়েছিলাম। তোমার পোস্ট, নুশেরা ও অন্য সবার কমেন্ট পড়ার পর দেয়ার কারণ দেখছি না।
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৫:৫৫
ফারহান দাউদ বলেছেন: ইফতার প্যারিসে বানায় না, বানায় দোকানের পিছনের অস্বাস্থ্যকর রান্নাঘরে, আমরা সেইটাই ৬১ ডলারে কিনে খেয়ে বগল বাজায়া ভাবি যাক দ্যাশ তো আম্রিকা হয়া গেল।
১০০০ টাকার জুতা বাটায় এখন স্বপ্নে পাওয়া যায়, ঐখানে স্যান্ডেলের সর্বনিম্ন দাম ১২০০ টাকা, জুতার দিকে যাই নাই। কেডস দেখলাম নাখাস্তা টাইপ গুলি ১৬৫০ করে, ২ দিন সাইটে গেলে ছিঁড়ে যাবে গ্যারান্টিড। ভালগুলি ৬০০০ থেকে ১২ হাজার। তবে দেদার বিক্রি হচ্ছে, লোকজনের ভিড়ে ঢুকা যায় না, এবং অবশ্যই, কষ্ট করে রোজগার করা লোকজন কিনছে না, দেশে এখন কালোবাজারি, সিন্ডিকেট ব্যবসায়ী, দালাল, রাজনৈতিক ক্যাডার, টেন্ডারবাজ এবং অতি অবশ্যই চারআনা পর্যন্ত ঘুষ খাওয়া লোকের অভাব নেই, এটাকেই সবাই বৈধ উপায় ধরে নিয়েছে।
যদি আম্রিকা থেকে জিনিস আমদানী করেন তো আমাদের বেকার সমাজকে এজেন্ট হিসেবে নিয়োগ দিয়েন।
৪৪| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ সকাল ৯:৩০
রোবোট বলেছেন: ও লুলাবি বান্দরের ঘটনায় পুরা হাহাপগে।
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৫:৫৭
ফারহান দাউদ বলেছেন: জানের রিস্ক নিসিলো যাই কন।
৪৫| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ সকাল ৯:৩১
লুথা বলেছেন:
আমি এইবার কিছুই কিনি নাই... ইচ্ছা চইলা গেছে...বসুন্ধরা সিটিতে ঢুকার ইচ্ছাও নাই
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:০০
ফারহান দাউদ বলেছেন: চেহারা দেখতে চাইলে যাইতে পারেন।
৪৬| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ সকাল ১০:০৯
ডট কম ০০৯ বলেছেন: আমি বসুন্ধরাতে যাই ছবি দেখতে
ঈদ মার্কেট করার মত উচ্চবিত্ত এখনো হই নাই।
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:০৩
ফারহান দাউদ বলেছেন: কমপ্লেক্সের জাঁকজমকের তুলনায় ম্যুভি থিয়েটারটাও আহামরি লাগে নাই, এই পয়সায় আরেকটু ভাল স্ক্রিন থাকা দরকার
৪৭| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ সকাল ১১:৫৩
ঘাসফুল বলেছেন: স্যালুট আপনাকে...
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:০৪
ফারহান দাউদ বলেছেন: পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
৪৮| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ দুপুর ২:৫০
নকীবুল বারী বলেছেন: সিভিল ইন্জিনিয়ারদের বেতন ফাস কইরা দেয়ার জন্য মাইনাস।
এইটা স্বাভাবিক যখন এক পোলা দেখবো তার বাপে তারে ঈদের বাজেট ১০০০-১৫০০-এর বেশি দিতে পারে না, কিন্তু তারই ফেরেন্ড,বাপ তিতাসে চাকরী করার দরুন ঈদে নয়া দামী মুবাইল, ঝলমলা পান্ঝাবী আর রঙচঙা গার্লেফরেন্ড যোগার কইরা ফেলায়, তখন ওই পোলার মনে হইবো ওয়ার্কিং ম্যান ইজ সাকস্।
সামাজিক ভাবেও দেখা যায় সবখানে, কাচাঁবাজারে, সেলূনে, পার্টিতে, সামাজিক অনুষ্ঠানে, ঈদের মার্কেটে দুর্নীতিবাজরাই বেশি সমাদৃত হয়। কারণ মাথা মালিশ কইরা দিলে ঘুষখোরে দেয় ১০০ টাকা বখশিস আর একজন সাধারণ কর্মকর্তা হয়তো দেবে ১০ টাকা। সো বেইল বেশি ঘুষখোরের।
বাইরের দেশে ক্রীসমাস উপলক্ষে সেল ও নানা রকম অফার দেয়া হয় যেন সবাই তার সাধ্যের মধ্যে কিনতে পারে। আর আমাদের দেশে হয় উল্টা,ঈদের সময়ই যেন, বিষেশ করে রমযানে মজুতদাররা সাধারন মানুষের রক্ত চুষে খেতে চায়।
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:১০
ফারহান দাউদ বলেছেন: কেডা জানি কইসিলো এমনকি বর্বর সৌদিতেও রোজার দিনে ৮ রিয়ালের জিনিস ৫ রিয়ালে দেয়, আর আমাগো সুশীল বাংলাদেশে রোজার দিনে ৪০ টাকার চিনি ৬৫ টাকায় কিনা লাগে, ২০ টাকার বেগুন হয় ১০০ টাকা, আর আমরা শালার "সোনার বাংলাদেশ, মা মাতৃভূমি" কয়া বান্দর নাচ নাচি। সবার আগে তো আমাগোর পিছনেই বেত মারা দরকার। কাচাবাজারের ব্যবসা কি সরকার করে নাকি আমাগো মত আমপাবলিক করে?
আর আমার বেতন নিয়া আমার কোন হার্ড ফিলিংস নাই, রোদে খাড়ায়া ১০ হাজার টাকা পাওয়ার জন্য দেশের সিস্টেমরে দোষ দিতে পারি কিন্তু ঘুষখোর না বইলা নিজের মাথা উঁচু রাখার শিক্ষা আমার মা-বাপ আমারে দিসে।
৪৯| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ দুপুর ২:৫১
নকীবুল বারী বলেছেন: অফটপিক: আমাদের বুয়েটের ব্লগারদের ইফতার পার্টির নিয়া লিখিত ব্লগের লিংক চাই................
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:১৪
ফারহান দাউদ বলেছেন: Click This Link
এইখানে একটা আছে।
৫০| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৩:০৩
তাজুল ইসলাম মুন্না বলেছেন: ভাই, কি কমু কন। নাভির উপরে প্যান্ট পরতাম। সেইজন্য গত ঈদে কোন প্যান্ট পাইনাই আমি। পুরা বসুন্ধরা সিটি খুজছি। মিরপুরেও গেছি। দোকানদাররা কয়, "নাভির উপরে এম্নে কইরা প্যান্ট পড়তে চাইলে তা খুইজা পাইবেন না।" বেশি লম্বা হওনের এই শাস্তি। গতবার ঈদ করা লাগছে তার আগেরবারের প্যান্ট দিয়া। আর মিরপুর দিয়া যে দুইটা কিন্না আনছিলাম গত ঈদে তা পড়ছি এই একমাস আগে। নিজেরে বুঝ দিছি এই কইয়া, "সবাই এইটাই পড়ে। কেউ কিছু কইবো না।।।। "
এইবার বেশি শব্দ করিনাই। ক্যাটস আই'য়ের এলিফেন্ট রোডের শোরুমে গিয়া ২৯সাইজের দুইটা প্যান্ট কিন্না আনছি। হেইগুলি একটু জায়গামতো আসে। সমস্যা হয়না তেমন একটা। আমাদের মতো মধ্যবিত্তদের হাতের মধ্যে এখনো ক্যাটস্ আই আছে। দাম অন্যান্যদের তুলনায় একটু কম। তয় এই ঈদে তারাও দাম বাড়াইছে। শার্ট দেখলাম ৮৭০টাকা থিকা ১০২০টাকার মইদ্যে। কতগুলা শার্ট আর পাঞ্জাবীর মাঝখানে পড়ে এমন ড্রেস দেখলাম ১৪৫০টাকা কইরা। আর জিন্সের প্যান্ট ১২৫০টাকা কইরা।
আর যারা কিনতে আহে তাগোর কথা আর কি কমু। মাইয়াগোরে দেইখা আমারই লজ্জা লাগে। কিন্তু হেগোর ভিতরে কোন ফিলিংস নাই।
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:১৯
ফারহান দাউদ বলেছেন: ক্যাটস আই আর মনসুন রেইন গতবারের তুলনায় ১৫%-২০% দাম বাড়াইসে, হিসাব করলাম।
জিন্সের লাইগা আমার ভরসা বঙ্গ নাইলে নিউমার্কেট, তারপরেও প্লেইন আর নাভির উপরে জিন্স পাওয়া কঠিন হয়া গেসে। সবাই না কইলেও বাসা থাইকা বাইর কইরা দিবো আমারে, বন্ধুবান্ধবের টিটকারি তো আছেই, আমার বন্ধুবান্ধবও আমার মতই খ্যাত, হেহে।
যারা দেখাইতে আসে তারা তো দেখলেই তো খুশি, বুঝতে হবে।
৫১| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৩:১৩
তাজুল ইসলাম মুন্না বলেছেন: বসুন্ধরা সিটিতে যতোবার গেছি তার মধ্যে কেনাকাটার জন্য গেছি দুইতালার ক্যাটস্ আই আর ডায়না।
মজা করতে ঈদের দিন রাত্রে যাই সাততালায় টোগি ওয়ার্ল্ডে।
আর কোন দোকানে কোনদিন ঢুকিনাই। একদিন এক দোকানে ঢুইকা দেখি একখান পাঞ্জাবী ৫০০০টাকা! আরেকদোকানে একটা শাড়ি সো করতাছিল। দাম কতো অনুমানও করবার পারবেন না ভাই। ৮০০০০টাকা!!!!!!!!!!!!! কালো রঙের একটা শাড়ি। উপরে একটু সোনালী রংয়ের কাজ করা। আর কিছুই পাইলাম না শাড়িটার মইদ্যে।।।
আমরা পাঞ্জাবী কিনতে বেশি হইলে ৮০০টাকা খরচ করি। একনাম্বারে গ্রামীন পাঞ্জাবীর কিছু শাখা আছে। ঐখান থিকাই কিনি।
জুতার জন্য বাটা'ই ভাল। তয় এইবার জুতা কিনি নাই। দুইমাস আগে কিনছি ৯৯০টাকা দিয়া। বাটা। অন্য কোন দোকানে ঢুকতেও ডর লাগে...........
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:২৩
ফারহান দাউদ বলেছেন: পান্ঞ্জাবী নিয়া এক কাহিনী আছে। এক কাজিনের বিয়া, তার সাথে গেছি বসুন্ধরা। একটা দেইখা পছন্দ হইলো, দামের ট্যাগ দেইখা কয় এই পান্ঞ্জাবী এত সস্তা, মাত্র ৮৯০.০। আমি কইলাম, সম্ভব না, দাম জিগাও। দোকানদার ভাল কইরা দেখায়া দিলো, ঐটা ৮৯০০।
ঐ কালো রঙের শাড়িটা আমিও দেখসিলাম, ভাবসি বড়জোর ৪-৫ হাজার। ঐ জিনিসের দাম ৮০ হাজার? কিন্তু ঐরকম ম্যালা বেচা হয়, দেশে কালোবাজারি বাড়তাসে, সন্দেহ নাই।
৫২| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৪:১৮
পারভেজ বলেছেন: হুম
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:২৯
ফারহান দাউদ বলেছেন: ভাইয়া কি বাকরুদ্ধ হয়ে গেলেন?
৫৩| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৪:৫৭
ছন্নছাড়ার পেন্সিল বলেছেন: তোমার কথাগুলোর মতো করে আমি একটা সময়ে ভাবতাম। এখন ভাবি না।
তার কারণ আমি মনে করি, কষ্ট করে টাকা উপার্জনের মূল উদ্দেশ্য যদি কারো কাছে "শো-অফ" হয়, তাহলে টিঁকে থাকার দৌড়ে সে অনেক আগেই ঝরে যাবে। এবং এই ঝরে যাওয়া, হারিয়ে যাওয়া নিয়ে আমার কোনো আক্ষেপ নাই, পৃথিবীটাই "ফিটেস্ট"দের জায়গা। যার মাঝে এখনও শো-অফের মূল্যহীনতা ধরা পড়ে নাই, তার জন্যে সহমর্মিতার অবকাশও কম।
প্রত্যেকের নিজস্ব বাস্তবতা আছে। সেটার বাইরে কে কীভাবে আছে তা চিন্তা করার দরকার কী?
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:৩৩
ফারহান দাউদ বলেছেন: "কষ্ট করে টাকা উপার্জনের মূল উদ্দেশ্য যদি কারো কাছে "শো-অফ" হয়"-- আন্দালীব, পয়েন্ট কিন্তু ঐ "কষ্ট করে" কথাটাই। যে কষ্ট করে রোজগার করবে সে ঐ শো-অফ টা কম করবে, কিন্তু যেখানে লোকজন দেখছে বিনা কষ্টে অন্যের কষ্টের রোজগারের গলায় পা দিয়ে সে ফুটানি দেখাতে পারবে, তখন ঐ পথটা বেছে নেয়ার সম্ভাবনাই বেশি এবং তাই হচ্ছে। সিন্ডিকেট করে যখন কোটিপতি হওয়া যায় তখন কোন ব্যাটা সোজা পথে ব্যবসা করবে? খাদ্য দপ্তরের স্টোরকিপারের চাকরির জন্য ১০ লাখ টাকা, সিটি কর্পোরেশনের এন্ঞ্জিনিয়ারের জন্য ১৫ লাখ টাকা ঘুষ দিয়ে কেন যায়? সোজা উত্তর, দুর্নীতিটা এখন ট্রেন্ড হয়ে যাচ্ছে, সবাই দুর্নীতিবাজকে আদর্শ মানা শুরু করেছে। যে বাস্তবতা এখন অন্যের, আমি যেদিন ঠেক খাবো সেটা আমারো হবে, এইখানেই বাধ্য হই চিন্তা করতে।
৫৪| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:০৩
ধূসর মানচিত্র বলেছেন: আমি কিনেছি মোটামুটি মানের একখান শার্ট ৮০০ দিয়ে, প্রায় পাচ ছয় দিন আগে। ভিড় এড়ানোর জন্য আমি গিয়েছিলাম একটু সকালের দিকে, তাতেই আমার নাভিশ্বাস উঠেছে।
ফারহান ভাই, যতদিন আমরা নিজেদের শো করার প্রবণতা তথা এক্সটোর্ভাট ন্যাচার থেকে বাহির না হয়ে আসব ততদিন আমাদের একদিকে বসুন্ধরা-যমুনা মত মার্কেট গড়ে উঠবে আর অন্যদিকে এই দেশের অনেক ছোট ছেলে-মেয়ে অর্থাভাবে প্রাথমিক শিক্ষা পর্যন্ত কমপ্লিট করতে পারবে না।
ভাল থাকুন, লেখা অনেক ভাল হয়েছে।
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:৩৫
ফারহান দাউদ বলেছেন: প্রশ্নটা এইখানেই, আমরা বদলে যাচ্ছি, তবে কার্যকর দিকে না, ব্যর্থতার দিকে। এইখানে বাপের ঘুষের টাকায় পোলাপান মাসে ২৫ হাজার টাকা দিয়ে ইংলিশ মিডিয়ামে পড়ে যেখানে পড়ানো হয় লন্ডনের আবহাওয়া আর আমেরিকার সিভিল ওয়্যারের ইতিহাস, কিন্তু এইখানেই বেশিরভাগ শিশু প্রাইমারি পার হবার আগেই স্কুল ছেড়ে দিয়ে শিশুশ্রমিকের কাজ নেয়।
৫৫| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:১৮
ইচ্ছে বলেছেন: লেখাটা পরে খুব ভাল লাগলো, আমরা নিজেরা নিজেদের কি অবস্থায় উন্নিত বা অবনিত করছি তা এভাবে চোখে আন্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়া উচিৎ.....
++++++++++++
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:৩৬
ফারহান দাউদ বলেছেন: আমরা কি আসলেই কিছু শিখছি?
৫৬| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:২০
মাহবুব সুমন বলেছেন: কে কত বেতন পায় সেটা আনুমানিক হলেও জানা আছে। এক মাসে কত খরচ হয় সেটাও আন্দাজ আছে। কিন্তু প্রচন্ড প্রচন্ড অবাক হই খরচের বহর দেখে। বুঝতে পারি না এরা এতো টাকা পায় কি ভাবে !
অথচ দেশের ৯০% মানুষ কিন্তু সেই রকম কস্ট করে দিন চালায় ! এরা অবশ্য চোখে পরে কম।
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:৪০
ফারহান দাউদ বলেছেন: বস, বাজি ধরতে পারি, আপনি বিদেশ থেকে যে খরচ করতে পারবেন, সিটি কর্পোরেশন বা শিক্ষা বোর্ডের কেরানি তারচেয়েঅনেক বেশি খরচ করতে পারবে (আমাদের পাশের বাসায় এক পিস আছে, ২১০০ টাকা করে ২ ছেলের জন্য শার্ট কিনছে, বউয়ের জন্য ১০ হাজারের ২-৩ টা শাড়ি, তবে নামাজ পড়ে ৫ ওয়াক্ত জামাতে)। আগে দুর্নীতিবাজরা রয়েসয়ে খরচ করতো, এই জন্য চোখে পড়তো কম, এখন কিন্তু অবস্থা উল্টা। এখন চক্ষুলজ্জা চলে গেছে, কারণ আমরা দুর্নীতিকে প্রায় সামাজিক স্বীকৃতি দিয়ে ফেলেছি, যে বেশি পয়সা খরচ করবে সমাজে সে-ই সম্মানিত, এমন ধারণা আমাদের মাঝে এখন একেবারে শেকড় গেড়ে ফেলেছে।
৫৭| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:৩৭
নির্বাসন বলেছেন: এক ই রকম অনুভূতি হয়েছে ওখানে গিয়ে...
দেখেই গেছি কেবল...জুতা বাজাটে কুলায় নি...
এখানে শপিং করতে আসা সবাই যদি ঠিক মত যাকাত দিতো ঢাকার না খেয়ে থাকা লোক তিন ভাগের এক ভাগ কমে যেত।
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:৪২
ফারহান দাউদ বলেছেন: হেহে, যাকাত তো অনেক বড় ব্যাপার, দেবে মাঝে মাঝে, লোক ডেকে নিম্নমানের শাড়ি-লুঙ্গি বিলিয়ে নাম কামাবে আর ভিড়ের চাপে মারা পড়বে কিছু লোক, পত্রিকাগুলোর পোয়া বারো। এখন অবস্থা এমন যে বাবা ঘুষ খা, কিন্তু কাজটা করে দে, আর একটু কম ঘুষ খা, রেট ঠিক করে দিই।
৫৮| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:৫২
শ্রাবনসন্ধ্যা বলেছেন: মূল লেখাটা পড়ে মন্তব্য করতে এলাম, কমেন্টগুলো পরে দেখবো।
একটা বিষয়ে দ্বিমত আছে.......সেটা বলি: এত বেশি দাম দিয়ে যারা হরদম কেনাকাটা করছে তারা সবাই ঘুষখোর বা জোচ্চর না, কেউ কেউ কষ্টের কামাই দিয়েও কেনে। আমি এমন একজনকে চিনি, যিনি একটি এনজিও তে কাজ করেন, মোটা টাকা আয় করেন। তার কাজই হল চড়া দামে একাধিক পোশাক এবং আনুষাঙ্গিক দ্রব্যাদি কেনা, দামী রেস্টুরেন্ট এ হরদম খাওয়া.........এ ধরনের মানুষ রা একধরনের মানষিক সমস্যায় ভোগেন, সে সমস্যাথেকে মুক্তির জন্য তারা পণ্যের দিকে ঝুকে পড়েন। ভাবেন দামী শাড়ী বা দামী চালচলন ই তাঁকে শান্তি দেবে..........বলা বাহুল্য তিনি শান্তির ছিঁটেফোটাও পান না.......কারণ পোশাকটা কদিন পরেই পুরোনো হয়ে যায়......তিনি আবার শপিং এ ছোটেন।
এই বসুন্ধরা য় কেনাকাটা করতে আমার কোনকালেও সাহসে কুলায় নাই, তুমি তো তবু বন্ধুকে নিয়ে গেছ.......তুমি আমার চেয়ে আগে আছ।
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ৯:১০
ফারহান দাউদ বলেছেন: সবার কথা বলছি না, বলছি ৮০% ই এমন। আপনার ঐ এনজিও ওয়ালা বা ওয়ালী হলেন সংখ্যালঘু। অন্তত ২০% তো পয়সাওয়ালা আছেনই, তাদেরও তো খরচ করার জায়গা লাগবে।
আমি কিনতে যাই নাই, মজা দেখতে গেছি, শুরুতেই ডিসক্লেইমার দেয়া আছে, হাবিজাবি লেখার অভাব পড়লে ঐখানে একবেলা দাঁড়িয়ে থাকলেই চলে।
৫৯| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:০৩
কালপুরুষ বলেছেন: চমৎকার লিখেছেন। ভাল পর্যবেক্ষণ।
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ৯:১২
ফারহান দাউদ বলেছেন: পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ কালপুরুষদা।
৬০| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:২৪
অলস ছেলে বলেছেন:
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ৯:১২
ফারহান দাউদ বলেছেন:
৬১| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ৯:৫০
বড় বিলাই বলেছেন: বাচ্চাদের চুল এলোমেলো করে দিতে যা ভালো লাগে। সবকিছুর পর এই একটা পর্যবেক্ষণে মন ভালো হয়ে গেল।
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ১০:০৮
ফারহান দাউদ বলেছেন: জীবন্ত পুতুল একেকটা, দেখতে দারুণ মজা লাগে।
৬২| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ১০:০০
আমড়া কাঠের ঢেকি বলেছেন: অফটপিক: দুইতিনদিন আগে "মানসিক বিনোদনের" জন্য বসুন্ধরায় গেছিলাম। শুক্রবার। মানুষের ভীড় দেখার মত! কিলবিল কৈরা চারদিকে মানুষ আর মানুষ!
সিম্পসনস এর সিজন কিনতে গেছিলাম, ৯ সেটের ডিভিডি, শালারা সিন্গেল বেচবো না। সবগুলা নাকি অরিজিনাল মালয়েসিয়ান ডিভিডি। পরে এক দোকানে কয় কপি কৈরা দিতে পারবো। আমি কইলাম আপাতত প্রথম ডিভিডিটা কপি কৈরা দিতে। ১২ টাকা দিয়া যে লো-ক্লাস ব্ল্যাঙ্ক ডিভিডি গুলা পাওয়া যায়, ঐগুলায় রাইট করবো, নিবো ৭০ টাকা! আমি যতই কই এরা একচুলও দাম কমাইবো না। কি আর করা, কইলাম দেন রাইট কৈরা।
চারবার ট্রাই করার পরেও রাইট করতে পারেনাই অবশ্য, মালয়েসিয়ান ডিস্ক থেকেই ডেটা রিড করতে পারেনা! অরিজিনাল ডিস্ক নাকি ঐগুলা! চিন্তা করেন বাটপারগুলা লোকাল জিনিস গছায় দিতে নিছিলো মালয়েসিয়ান বইলা! এর মাঝে আবার ফ্রেন্ড ইজ্জত মাইরা দিছে বইলা - কম্পু ইন্জিনিয়ার হৈছস দেখ কি সমস্যা - আমি কি ডিভিডি রাইট করার লাইগা কম্পু পড়তাছি?
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ১০:১১
ফারহান দাউদ বলেছেন: আমাদের ব্যবসায়ীদের এই মানসিকতা নিয়া অভিযোগ আমার সবসময়ের। লাভ কর, লাভেরজন্যই তো ব্যবসা, কিন্তু তারপরেও, যেখানে দরকার নাই সেইখানেও পাবলিকরে খানিকটা ঠক দিতে না পারলে মনে হয় তাদের মনে শান্তি হয় না। এমনকি বাজারে জিলাপী কিনতে গেলেও নিচ থাইকা ঠাণ্ডা জিলাপিটা দিবে, ফল বা সবজি কিনতে গেলে আগে চাইবে পচাটা গছাইতে, এমনকি ভাংতি ফেরত দিতে গেলেও চেষ্টা করবে ভাল নোটটা রেখে ছেঁড়াফাটা নোট দিতে। মানসিকতাই যেখানে পচে গেছে সেখানে আর নীতি আশা করবো ক্যামনে?
৬৩| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ১০:৫২
আশিক মাহমুদ বলেছেন: ভাল বলছস।
শার্টের কথা আর কইস না, গত কয়েক বছর ধইরা শার্ট-গেঞ্জী কিছুই কিনতে পারি না। হয় হাতে-কাঁধে তাপ্পি, নাইলে পিঠে ড্রাগন, নাইলে কলারে বিচিত্র কারুকাজ আর নাইলে হাতায় নকশী কাঁথার কারুকাজ। ভাল বুদ্ধি দেই, কাপড় কিনা ভাল জায়গা থেকে শার্ট বানা, খরচ ৩ ভাগের এক ভাগ, পইরা শান্তি পাবি। আমি গত ২ বছর ধরে তাই করছি, আসার আগেও বানায় আনছি কয়েকটা।
১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ১:১৮
ফারহান দাউদ বলেছেন: হুম, এইটা একটা বেশ ভাল আইডিয়া। ২ বছর আগেও এক পাড়ার দোস্ত বুদ্ধিটা দিসিলো, পরে আর আইলসামি কইরা বানানি হয় নাই। এখন এই রাস্তাই ধরা লাগবো। তোর পড়াশোনা কেমন চলে?
৬৪| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ১২:১৯
লড়াকু বলেছেন: আমরা একটা অশুভ চক্রে আটকে গেছি। এ থেকে বের হবার কোন উপায় নেই।
১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ১:১৯
ফারহান দাউদ বলেছেন: হ্যাঁ, আমরা সবাই মিলে এই চক্রটা বানিয়েছি।
৬৫| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ১:২৬
বোহেমিয়ান কথকতা বলেছেন: আমি জুতা কিনি ঈদের পর!!!!
যেই দাম!!!!
১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ২:৪৭
ফারহান দাউদ বলেছেন: ঐটাই করা লাগবে। তবে দরদাম করতে জানলে মনে হয় এলিফ্যান্ট রোড ভাল।
৬৬| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ১:৫৬
ঈশান৭২৮৫ বলেছেন: ভাই, ভালা করছেন দশটার সময় গেছেন। ইফতারের আগে গেলে রোজা থাকত না। কিছু কিছু ডিজুস পোলাপাইনের ফাউল ফ্যাশন দেখে অবাক হই, তারা যেই জিনিস পরিধান করে সেইটা ফ্যাশন হয় কিভাবে। কুরুচিপূর্ণ কাপড়চোপড় পইড়া যদি স্মার্ট হতে হয় তাহলে আমার ক্ষেত থাকাই ভালো। আর ভাই তিশমার কথা কইলেন খালি , মিলা কম কি? বান্দরনীটা চুলের যেই রঙ দিছে, ওয়াক।
১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ৩:০৪
ফারহান দাউদ বলেছেন: আমি জানতাম নাইট ড্রেস জিনিসটা মেয়েরা নিজের বাসাতেই পড়ে, বসুন্ধরায় গিয়া ভুল ভাঙসে।
৬৭| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ সকাল ১০:৪২
আবদুর রাজ্জাক শিপন বলেছেন:
"এখানে অবশ্য এই অধমের একটা ব্যক্তিগত অন্ধবিশ্বাস কাজ করে, সৎপথে না হোক, অন্তত কষ্ট করে যারা টাকা কামায়, তারা কেটে ফেলেও ঈদের মার্কেটে ১৫-২০ হাজার টাকা দিয়ে একটা জামা কিনে ফেলবে না, কোনভাবেই না।"
এই মতটা পুরোপুরি আমারও !
আমাদের ঈদ শফিং হাজার দুইতেই চলে যেতো (বলা ভালো বেশী হতো) ছোট ভাইদের হাজার দশেক হলে মোটামুটি হয় !
অন্যকে দেখে নিজেও সং সাজার প্রতিযোগীতাটা বন্ধ না হলে , আসলেই এ জাতির কপালে আরো বিরাট দূর্গতি আছে ।
১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ সকাল ১১:৫৭
ফারহান দাউদ বলেছেন: দুর্গতির বাকি নেই শিপন ভাই, এখনই দেখবেন সম্পদ আসলে একদিকে চলে যাচ্ছে, ভারসাম্য নষ্ট হয়ে গেছে খুব খারাপভাবে। বারবারই আমাকে আফ্রিকার দেশগুলোর কথা মনে পড়িয়ে দেয়, একদিকে দুর্ভিক্ষ, অপরদিকে শাসক আর চোরাকারবারীদের বিলাস।
৬৮| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ দুপুর ২:০৬
জনৈক আরাফাত বলেছেন: লেখাটা আগেই পড়ছিলাম। ভালো লিখছো। কমেন্টগুলো পড়ার সময় পাইনি। আমি নিজে ভাই ভাব নেয়ার মাঝে নাই। শার্টের দরকার পড়লে নিউমার্কেটের দো'তলায় যাই। আড়াইশো দিয়ে মনো-কালারড শার্ট কিনি। মনো কালারড শার্টের বড় সুবিধা হইলো ব্রান্ড আর নন-ব্রান্ড সব এক!
আগাম ঈদ মোবারক!
১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:০২
ফারহান দাউদ বলেছেন: ভার্সিটিতে থাকতে সুবিধা ছিল, কিছু দরকার হইলে কাউরে চানাচুর খাওয়ানির ওয়াদা কইরা নিউমার্কেট ধইরা নিয়া যাইতে পারতাম, এখহন ওস্তাদদের ধরা মুশকিল।
আপনারেও ঈদ মোবারক।
৬৯| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ৮:৩৮
শওকত হোসেন মাসুম বলেছেন: হুমম। বসুন্ধরা আমার অফিসের উল্টা দিকে। ফারহানের চোখ দিয়া দেখতে যাইতে হইবো।
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ২:৪০
ফারহান দাউদ বলেছেন: মাসুম ভাই, আপনি তো ডেডম্যান ওয়্যাকিং, চোখ তো শপিং ব্যাগের বোঝার আড়ালে পইড়া থাকে।
৭০| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ৩:৩৮
আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: আপ্নের সাম্প্রতিক পোস্টগুলাতে মন্তব্য করতে গেলে স্ক্রল করতে করতে হাত ব্যথা হয়া যায়!
আপ্নেরাও তাইলে আইজকালকার পোলাপাইন নিয়া মাহাযন্ত্রণাদগ্ধ!! তাইলে আমাদের অবস্থাটা বুইঝা দ্যাখেন!
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ ভোর ৫:৪২
ফারহান দাউদ বলেছেন: আপনি তো এভারগ্রীন হিরো।
৭১| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ ভোর ৪:৫২
সোহায়লা রিদওয়ান বলেছেন: ১। সিক্সে পড়ে একটা কাযিনের ফেইসবুক (!) স্ট্যাটাসঃ Ebar Eid e amar matro koita dress hoise! age kotto gulo jama hoto shetar tulonai ebar kisui hoinai! Asholei ekta kotha ase na je " age ki shundor din kataitam" oi gaan ta ekhon dekhi amar jonnoi beshi projojjo!
জিজ্ঞেশ করে জানা গিয়েছিল যে মাত্র ছটা এখন পর্যন্ত তাই ওর অনেক দুঃখ! ওকে মোটেই দোষ দেয়া যাবেনা! এভাবে ভবতে ওকে আমরাই শিখিয়েছি!
২। এক ফ্রেন্ডের বাসায় ইফতারের দাওয়াত। মাগরিবের আযানের যেই মুহুর্তে দোয়া পড়ে মানুষ খেজুর হাতে , তখনো আলাপ চলছে কোন মার্কেটে কোন জিনিশটা পছন্দ হবার পরো কেনা হয়নাই কিংবা ড্রেসের সাথে ম্যাচ করে অর্নামেন্টস কিনতে না পারা "দুঃখী মানুষের করুণ কাহিনী"!
৩। রেমিট্যান্স নাইন বিলিয়ন! প্রায় পুরোটাই যাবে ঈদ শপিং এ! কোন ইনভেস্টমেন্ট হবেনা! উলটো ইনফ্ল্যাশন বারবে!
এই আমাদের দেশ !!
৪। ইদানিং ঢং, পিতজা হাট , কে এফ সি , বসুন্ধরা লেভেল এইট কিংবা স্টার এর ইফতার ফেস্টিভ্যাল !!! ২০ টাকার ইফতারে পেট ভরে যায় সেখানে নিম্নে একশ থেকে উর্ধে হাজার , আর বেইলি রোডের গলা কাটা ইফতার সামগ্রীর দোকানে টিভি ক্যামেরার সামনে বিক্রেতা কিংবা মালিকদের হাস্যোজ্জল ভাষ্যঃ "দাম এবার খুব ই রিসোনেবল রেখেছি আমরা ক্রেতাদের কথা মাথায় রেখে। সব শ্রেনীর মানুষ তাই আসছে আমাদের দোকানে" ! সাধারণ ক্রেতা মানে কিরে ভাই, আর অসাধারণ ক্রেতা ?
একটা ঈদে একটা পোষাকেই হয়। ঈদ-উল-ফিতর উৎসব ! কিন্তু সেটা যে তাক্বওয়া অর্জনের উৎসব , কয়জন সেটা বোঝে?!
হাজার হাজার টাকা অপচয় করে , খাবার দাবারের পেছনে অনর্থক ব্যয় করে একমাসের অর্জিত যা সামান্য , তাও বুঝি হারায়!
বিশাল কমেন্টের জন্য আন্তরিক ভাবে দুঃখিত ফারহান ভাইয়া।
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ ভোর ৬:১৫
ফারহান দাউদ বলেছেন: প্রথম কথা, যে আমাকে যাই ভাবুক, ক্লাস সিক্সের পোলাপানরে যে বাপ-মা ফেসবুক ব্যবহার করতে দেয় ঐ বাপ-মা'রে ধরে ঠেঙানোর পক্ষপাতী আমি, এবং আমি নিশ্চিত তার কাজকর্ম মনিটর করা হয় না। আজকাল বেশিরভাগ বাপ-মা ১০ বছরের বাচ্চার হাতে নেট দিয়ে ভাবে বিশাল স্মার্ট বানায়া ফেললাম, কিন্তু পোলাপান নেটে কি করে তার খবর নাই। ঐদিন দেখি এক ক্লাস এইটের পোলা তার বন্ধুকে স্ট্যাটাসে ধুমায়া গালি দিসে আর তার ক্লাস ফাইভ পড়ুয়া বোন সেটা ব্যাপক "লাইক" করেছে।
এরপরে জামার ব্যাপার, তাকে এই ধারণা দেয়া হয়েছে বেশি জামা মানে বেশি স্ট্যাটাস, দোষ তো বাচ্চার না, বাসায় যা শেখাবে তাই তো শিখবে।
২ নম্বর পয়েন্টে, ঐগুলার জন্য একটাই কথা, দূরে গিয়া মর।
৩ নম্বর পয়েন্ট টা এরমাঝেই ছন্নছাড়ার পেন্সিল ধরেছে, বিলিয়ন বিলিয়ন টাকা, অথচ কোন প্রোডাক্টিভ ইন্ডাস্ট্রি বানাচ্ছে না কেউ, পুরোটাই ভোগে চলে যাচ্ছে। ৩য় বিশ্বের যে কোন দেশ এই বিপুল রেমিট্যান্স কাজে লাগিয়ে অনেক দূর যেতে পারতো, ইনডিয়া বা চায়না কিন্তু এভাবেই উঠে যাচ্ছে, কিন্তু আমাদের বোঝায় কে, আমরা আছি ফুটানি নিয়ে।
শেষ পয়েন্টে, আমরা পচে যাচ্ছি। ভাবছি চুরি ডাকাতি করে হলেও অন্যকে টেক্কা দিতে হবে। কষ্ট করে রোজগারের ইচ্ছা নেই, উসকে দেয়া হচ্ছে যেনতেনভাবে উপরে ওঠাকে, ল্যাং মেরে, অন্যকে পায়ের নিচে মাড়িয়ে। শংকিত, আর কিছু বলার নেই।
৭২| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ ভোর ৬:২১
|জনারন্যে নিসংঙগ পথিক| বলেছেন:
গতবছর রোজার মাসে মেজাজ খারাপ করে একটা পোষ্ট দিয়েছিলাম , আপনার সহ অনেকের সে আলোচনাটা মনে আছে? খারাপ লাগে ওই পরিস্থতি ধ্রুবতর হচ্ছে, কোনো পরিবর্তন নাই ।
যাক গিয়া, একটা সুসংবাদ দেই। বুধবার আম্মা আর আমি মিলে রেকর্ড করলাম, তিন ঘন্টায় শুক্রাবাদ টু আসাদগেট ঘুরে ঈদের কেনাকাটা শ্যাষ। দাদা-দাদু, আম্মা-আব্বু, ভাইরা, গ্রামের কিছু অস্বচ্ছল আত্মীয়স্বজন, নানা-নানু -- সবার জন্য।
নিজের জন্য কিচ্ছু কিনার খুঁজে পাইতেছি না , পাঞ্জাবী একটা দিয়ে সাড়ে পাঁচটা ঈদ পার দিলাম, এই দুইটা ও দেয়া যাবে।
চিন্তা করতেছি একজোড়া মোজা কিনবো, সাজেশান দ্যান - বাটা না এপেক্স না ফার্মগেট লেইন ?
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ ভোর ৬:৪৩
ফারহান দাউদ বলেছেন: দিন দিন আমাদের দেশে দুর্নীতি বাড়ছে আর আমরাও যে সেইটাই চাই তা কিন্তু বারবার একই লোকদের ক্ষমতায় এনে প্রমাণ করে দিচ্ছি।
আপনারটা সুসংবাদ হইলে আমারটা মহাসংবাদ, আমি এইবার কেনাকাটাই করি নাই, হেহেহে। আম্মা আর আব্বা একদিন বের হয়ে আণ্ডাবাচ্চাদের জন্য কি কি জানি কিনলো।
মোজা কিনার জন্য বাটায় যাইবার পারেন, ঐ জিনিসটার দাম এখনো মনে হয় এরা কমই রাখে।
৭৩| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ সকাল ৭:১৮
মুনশিয়ানা বলেছেন: ... বিলিয়ন বিলিয়ন টাকা, অথচ কোন প্রোডাক্টিভ ইন্ডাস্ট্রি বানাচ্ছে না কেউ...
বিদেশী বিনিয়োগের কথা বাদ দিলেও সামগ্রিক ভাবে দেশে বিনিয়োগের হাল-হকিকত খুবই ভয়াবহ। ব্যাংকে পড়ে আছে অলশ অর্থ, বিনিয়োগের জায়গা নাই, তার উপর আছে গ্যাসের সংকট...
আর বিলাস ব্যাসনে উড়ছে টাকা যার সিংহ ভাগ বিদেশ থেকে আমদানী করা পণ্য...
কোথায় যাচ্ছি আমরা...?
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ দুপুর ১:২৬
ফারহান দাউদ বলেছেন: জায়গা নেই, সুযোগও নেই। প্রবাসীদের অনেকেই চেষ্টা করেন, কিন্তু লাল ফিতা, ঘুষ আর সন্ত্রাসের কবলে পড়ে শেষমেশ নিরাপদ রাস্তাটাই ধরেন, জমিবাড়ি নাহয় কেনাকাটা। সুযোগটা করে দিতে আমাদের উপরমহলই তো উৎসাহী না।
৭৪| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ দুপুর ১:৪৯
|জনারন্যে নিসংঙগ পথিক| বলেছেন: মুনশিয়ানা বলেছেন: ... বিলিয়ন বিলিয়ন টাকা, অথচ কোন প্রোডাক্টিভ ইন্ডাস্ট্রি বানাচ্ছে না কেউ...
বিদেশী বিনিয়োগের কথা বাদ দিলেও সামগ্রিক ভাবে দেশে বিনিয়োগের হাল-হকিকত খুবই ভয়াবহ। ব্যাংকে পড়ে আছে অলশ অর্থ, বিনিয়োগের জায়গা নাই, তার উপর আছে গ্যাসের সংকট...
>>>
একখান চরম কথা। উদ্যোগ এই দেশে বিষবৎ পরিতাজ্য। কারণ বাস্তবতা ভয়াবহ। নিজেদের ক্ষুদ্র সঞ্চয় এক করে অধম কিছু বান্দা রপ্তানীমুখী একটা শিল্পের উদ্যোগ নিছিলাম, চল্লিশের বেশী পাব্লিক , কোটির কাছে প্রজেক্ট। এখন হাঁস্ফাস করতেছি আর আক্ষরিক অর্থেই সঞ্চয় খুইয়ে সর্বশান্তের মত অবস্থা। ফারহান ভাইয়ের উত্তরটাই আমাদের বাস্তবতা।
এই চল্লিশজন পাব্লিক সহজে আর কখনো বিনিয়োগে যাবে?
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ দুপুর ১:৫৪
ফারহান দাউদ বলেছেন: আপনারা দেশে থাইকা সব সিস্টেম জাইনাও হাঁসফাঁস করেন, তাইলে যে বেচারারা অনেক বছর বিদেশে থাইকা জননী জন্মভূমি স্বর্গাদপি গরীয়সী ভাইবা দেশে বিনিয়োগ করতে আইসা এই ছ্যাঁচাটা খায়, তাদের অবস্থা একবার ভাবেন! যতই দেশ দেশ বইলা চিল্লাই, বাস্তবতা হইলো আসলেই আমরা জাত হিসাবে বেশি সুবিধার না আর সুবিধার হওয়ার ইচ্ছাও আমাদের আছে বইলা মনে হয় না।
৭৫| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ৯:০৬
ইষ্টিকুটুম বলেছেন: অত্যন্ত সময়োপযোগী লেখা। খুব ভালো লিখেছেন। আপনার লেখনীও ভালো। খুব ভালো।
আমিও ঈদের শপিং করতে গিয়ে এইরকম একটি লেখা পোস্ট করেছিলাম এই মাসেই।
বেশি টাকা দিয়ে শপিং করার মানসিকতা নেই। বাজেট যদি বাড়িয়ে দেয়া হয়, তাহলে মনে ধান্দা আসে ঐ অতিরিক্ত টাকাটা দিয়ে অন্য কি কেনা যাবে? যেটা দরকারি অথবা, বাসার কোন জিনিস লাগবে কিনা সেটাই ভাবি।
১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ১২:১৭
ফারহান দাউদ বলেছেন: মধ্যবিত্তের সাংসারিক চিন্তাভাবনা, বাড়তি টাকা এলেই সেটা আর কোন কাজে লাগানো যায় কিনা। সেটাই বলতে চাইছিলাম, যে এই টাকাগুলো যারা ওড়ায় তাদের রোজগারটা কোন পথে, আর এগুলো আমাদের কোনদিকে উৎসাহিত করছে?
৭৬| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ৯:২৬
মে ঘ দূ ত বলেছেন: ভয়াবহ একটা দিক খুব সুন্দর ভাবে তুলে ধরেছেন। এখন দেখছি অপ্সরা'র মত নিজেকেই পোষাক বানিয়ে আত্মীয় স্বজনকে উপহার দিতে হবে । মন্তব্য গুলোতেও অনেক কথা উঠে এসেছে। আপনার পোষ্টগুলো একেকটা সংকলিত করে রাখবার মতোন।
...
"প্যান্টের কেস"-টা নিয়ে একজন একবার তার মতামত জানিয়েছিল। সেটি কতটুকু বিশ্বাসযোগ্য সেটি অবশ্য বিবেচনাযোগ্য-
উনি বলছিলেন, এই ফ্যাশেনটা প্রথম শুরু হয় আফ্রিকান আমেরিকানদের মাঝে। অনুপাতিক হারে এদের এদের মাঝে জেল কাটার অনুপাতটা অনেক বেশি। দেখা যায় কোনো না কোনো আফ্রিকান আমেরিকানের আত্মীয় স্বজনদের কেও না কেও অন্তত একবার করে হলেও জেল কেটেছে। তো জেল-এ তাদের ইয়া ঢোলা ঢোলা কয়েদী পোষাক পড়তে দিত যেটি কোমড়ে কোনভাবেই আটকাত না। সেই ঢোলা ঢোলা প্যান্ট কোমড় থেকে পড়ে যাওয়া ঠেকাতে তারা বেশ কয়েকটা হাফপ্যান্ট পড়ে তার উপর ঐ কয়েদী পোষাকটা চাপাতো। এবং এটিতেই তারা এতোটা অভ্যস্ত হয়ে যায় যে, জেল থেকে ছাড়া পেয়েও তারা ওমন ভাবে কোমড়ের নীচে প্যান্ট পড়তে থাকে।
১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ১২:২৬
ফারহান দাউদ বলেছেন: গল্পটা শুনে ব্যাপক মজা পাইলাম। কিন্তু আমাদের ডিজুস জেনারেশনের ছেলেমেয়েদের কোন জেলে ভরসিলো? এরা কেন কোমড়ের নিচে প্যান্ট আর নাভির উপর শার্ট পড়ে?
৭৭| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ১১:৩৮
চরিত্রহীণ বলেছেন: bcs viva r full schedule kothay ase re vai??
btw , market er kotha koia luv nai. eigula hobei.. ami nije obak hoye jai dhaka sohorer manusher bole takar ovab??!! :O
১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ১২:২৮
ফারহান দাউদ বলেছেন: নেটে আর পিএসসি'র সাইটে আমিও খুঁজছি, পাই নাই। ঈদের পরেও কোথাও না পেলে পিএসসিতে গিয়েই খোঁজ নিবো।
সৎপথে টাকার অভাব, কালো টাকার অভাব নাই।
৭৮| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ১১:৪২
হাল্ক বলেছেন: friends এর season 10 এ chandler এর একটা বিখ্যাত ডায়ালোগ আছে- তার হাসি শুনলে আমার বিচি নিজের শরীরের ভিতরে ঢুকে যায়...
হাল ফ্যাশানের মেয়েদের দেখলে আমারো এই রকম হয়।
১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ১২:৩১
ফারহান দাউদ বলেছেন: খুব খারাপ কথা, তোর বউ পাইতে তো খবর আছে।
৭৯| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ১১:৫১
নীল-দর্পণ বলেছেন: বসুন্ধরায় আমাদের মত মধ্যবিত্তদের শপিংয়ে না গেলেই বা কি হয়(!) মার্কেটের কি অভাব নাকি। ওখানে ঘুরতে যাওয়ার ও সাহস করতে পারিনা
দামের বিচারে আমার মনে হয় গ্রামীন ই বেস্ট......
১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ১২:৪৯
ফারহান দাউদ বলেছেন: ঘুরতেই গেছিলাম, দাম দেখে আর ভিড় দেখে ভির্মি খাইসি, এত বড়লোক যদি দেশে থাকে তাইলে বাংলাদেশ তো আসলেই উন্নয়নের জোয়ারে ভাইসা গেছে।
৮০| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ১:০৩
আরিফুল হোসেন তুহিন বলেছেন: মার্কেটে যাই না আমি, বমি আসে। আম্মারে প্রতিবার গুতাই কাপড়চোপরের টাকাটা আমারে দিয়া দিতে। আম্মা অবশ্য দেয় না, তার পছন্দ কিছু একটা কিনা দেয়,সেটাই পড়ি।
এই প্রসঙ্গে একটা কথা মনে পড়ল, সম্ভবত সিহাব ভাইয়ের কথা,
"দম বন্ধ লাগে পৃথিবীর সব বানোয়াট সুগন্ধে"
সিহাব ভাইয়ের সাথে বহুদিন বাৎচিত নাই, ভাইয়ের খবর কি কে জানে, শুনছিলাম বিদেশ যাইতেছে, স্কলারশীপ পাইছে।
১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ ভোর ৫:৩০
ফারহান দাউদ বলেছেন: জামাকাপড়ের বেলায় আমারো একই নীতি, নিজে যাই না, আশপাশ থাইকা আম্মা মাঝে মাঝে কিনে, ঐটাতেই আমার চলে।
সিহাব আলবার্টায় আছে। গেল মাসখানেক হইলো।
৮১| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ সকাল ৯:৫৮
আই আনাম বলেছেন: বস আপনার অভিজ্ঞতা দেখি আমার সাথে হুবুহু মিলে যায়। আমি ঈদ শপিং বিরোধীদের দলনেতা টাইপের মানুষ। বাসার আলমারি ভর্তি কাপড় থাকতে ডজনখানেক শপিং ব্যাগ নিয়ে বাসায় ঢোকা এবং তার জন্য ঈদের দোহাই দেওয়া ামার বড়ই অসহ্য লাগে। আমিও গতকাল বসুন্ধরা সিটিতে গিয়েছিলাম তবে শপিং করতে নয় আপনার মত বন্ধুর কোম্পানিওয়ালা হিসেবে। অভিজ্ঞতা পুরা আপনার মত। আর এই শপিংয়ে আসা লোকজন পুরা রাস্তা জাম বানিয়ে দিয়েছে। মেজাজ গরম হয়ে গেল দেখে।
২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ১:৩৮
ফারহান দাউদ বলেছেন: আমার একটু বাড়াবাড়ি, আমি শপিংয়েরই বিরোধী, খামোকা দোকানপাটে ঘুরাঘুরি করাটাই আমার ভাল লাগে না। পয়সা থাকলে লোকজন কিনবে সেটা নিয়ে আমার সমস্যা নেই, তবে কালো টাকায় ফুটানি দেখলে মাঝে মাঝে মেজাজ খারাপ হয় এই আরকি।
৮২| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:৩৫
নিশীথ রাতের বাদলধারা বলেছেন:
বেশ কেনাকাটা শপিং এর গল্প তচ্ছে, পুরো মেয়েদের মত।..হা হা! আমি কখনও এসব জায়গায় যাই না, যে যা কিনে দেয়, তাই পরি। তাই এত গল্পও জানি না।
২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ১:৪০
ফারহান দাউদ বলেছেন: নিজের কেনাকাটা নিয়ে গল্প করি নাই, অন্যেরটা নিয়ে করলাম। আমারে যা কিনে দেয়, উদ্ভট না হলে সেটাই পরি, কিন্তু গল্প করতে সমস্যা নেই।
৮৩| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৪:২৪
নীরজন বলেছেন: আমি ভাই কিছু কিনলাম না..................ঈদের এইসব ভালো লাগে না..........
আমার কলিগ (একই বেতনে চাকরি করি) এই পূজায় ৬৭০০ টাকা দিয়া মাছাককালি কিনসে!!!!!!!
কোটিপতির মাইয়া তো.............বাপ কো অপারেটিভ অফিসার না জানি কি ছিল...........রি%E
২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ১:৪৩
ফারহান দাউদ বলেছেন: একটা হুজুগ পাইলেই হয়, বাঙ্গালি ঝাঁপ দিয়া পড়বে, এইটা আর নতুন কি? মেজাজ খারাপ লাগে যে তাও হুজুগটা দেশী হইতো, কোথাকার কোন হিন্দি ফিল্মে কে কি পরে নাচ দিসে আর সবাই বান্দরের মত ঐটা নিয়া লাফানো শুরু করলো। ৮০০০ টাকা দিয়ে ঐটা কিনে ব্লগে আবার একজন দেখলাম বিশাল পোস্টও দিলো, সবাই ব্যাপক আহ্লাদও করলো। দুঃখে আর কিছু বলি নাই, এই তো আমাদের অবস্থা, আবার ব্লগে রাজা-উজির মারি।
৮৪| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৪:৩০
নীরজন বলেছেন: পরেরটুকু...........
রিটায়ার করসেন..........তবু কোটিপতি..........
আমার বাপেও সরকারি চাকরি করতো...........এখন অবসরে...........পড়ার খরচ চালাইতে চাকরি করি......... চট্টগ্রামের মতো হাই ফাই শহরে থাইকা মাসের খরচই চলে না.......সেখানে আবার ঈদের জামা..........হুহহহহ.........
২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ১:৫৬
ফারহান দাউদ বলেছেন: চট্টগ্রাম শুনছি বেশ খরচের শহর। চাকরি করা তো ভাল, আমি তো ভ্যাগাবন্ড, কাজকর্ম করতে ইচ্ছা করে না, বাপ রিটায়ার করসে এখনো বাপের হোটেলে খাই। তবে এককালে টিউশনি করতাম, কিন্তু সেইটা পিসি আর নেটের পিছনে যাইতো।
৮৫| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ সকাল ৭:৩০
শফিউল আলম ইমন বলেছেন: বিলাসবহুল এসব শপিং সেন্টারের বিপক্ষে। নিজে কিনতে পারবো না বলেই না, কারণটা হচ্ছে এসব শপিং কমপ্লেক্স এর কোন প্রোডাক্টিভিটি নাই। পৃথিবীর সবচে বড়ো একশো শপিং সেন্টার বাংলাদেশে থাকলেও দেশের ইকোনমিতে ১% পসিটিভ প্রভাব পড়বে বলে মনে হয় না, তাছাড়া এটার ইলেক্ট্রিসি অপচয় তো আছেই। তার চেয়ে একটা ছোট আকারের অন্যকোন প্রোডাক্টিভ ব্যবসা হইলে দেশের ইকোনমিতে বিন্দুমাত্র হলেও প্রভাব পড়বে।
অনেকে হয়তো বলবে শপিং সেন্টারের কারণে অনেকের চাকুরী হইছে কিংবা কর্মচারীরা খেয়ে পরে বেঁচে আছে।
ইংল্যান্ড কিংবা উন্নত বিশ্বে কমুনিজম' ইকোনমি বলে কথা আছে। ইংল্যান্ডের কথাই বলি। এখানের ইকোনমি কিন্তু টিকে থাকে এ দেশের মানুষ খরচ করে বলে। ইনকাম করে আবার সেটা খরচ করে ফেলে, সেটা মদ খেয়ে হোক, স্টেডিয়ামে গিয়ে খেলা দেখে হোক, কিংবা শপিং সেন্টারে গিয়ে শপিং করে হোক।
কিন্তু লজিক্যালি চিন্তা করলে বাংলাদেশের শপিং সেন্টারের সাথে এখানের অনেক অমিল আছে। বাংলাদেশে একশ্রেণির শোষকরা শপিং সেন্টার বানাই, অন্য শোষকরা কিনে। সো এটাতে বাংলাদেশে সাধারণ মানুষের কোন লাভ নাই। আলটিমেটলি বড়োলোকের পকেটের টাকা বড়োলোকের পকেটে যায়। এইটা ইংল্যান্ডে পুরোপুরি ভিন্ন।
ধুর অনেক কথা বলে ফেললাম।
ঈদের শুভেচ্ছা। ঈদ কেমন কাটছে?
২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ ভোর ৬:৫৯
ফারহান দাউদ বলেছেন: ছন্নছাড়া বা সোহাইলা যেটা বলছে আপনি পুরাপুরি ব্যাখ্যা করে দিলেন। পুরাপুরিই একমত, যারা বানায় তারাও বোঝে না ব্যাপারটা আমার এমনো মনে হয় না, বা যারা বানাতে উৎসাহিত করে তারাও কিন্তু বোঝে। তারপরেও চালিয়ে যাবে, কারণ সবাই আজকেরটা ভাবে, আমি তো বড়লোক হই, অন্য সব জাহান্নামে যাক, দেশ দিয়া কি হবে? তারপরে নিজের আখের গুছানি হইলে বড় বড় লেকচার দেয়, দেশ গেল অর্থনীতি গেল, ভাবে না যে নিজে কি কইরা আসছে। যাকগা, ঈদ গেল আরকি একরকম, আপনেরেও ঈদ মুবারক।
৮৬| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ১২:৩২
আবু সালেহ বলেছেন: "প্রথম সমস্যা ডিজাইন নিয়ে, লোকে যতই খ্যাত বলুক, আজকালকার জোড়াতালি দেয়া ডিজাইন কিছুতেই আমাদের পছন্দ হচ্ছে না, বিশেষ করে হাতে-কাঁধে-পিঠে তালি মারা এবং আরো জঘণ্যভাবে কাঁধের উপর রেলওয়ের টিটিদের মত ব্যাজ লাগানো শার্ট কেন পয়সা দিয়ে কিনতে হবে সেটা অনেক ভেবেও বের করতে পারিনি। ওরকম চাইলে তো বাসার পুরোনো শার্টগুলোই এদিক ওদিক কেটে নিয়ে আরেক জায়গায় লাগালেই হয়, দোকানে আসতে যাবো কেন?'
এই সমস্যা ভাই আমারও.....শালার তালিওয়ালা ছেড়া ফাটা স্টাইলের শার্টের যন্ত্রনায় অস্থির...
২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ সকাল ৭:০০
ফারহান দাউদ বলেছেন: আমরা শার্ট কিনতে গেলে ভেজালে পড়ি, হালফ্যাশানের কিছুই তো পরতে পারি না।
৮৭| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ ভোর ৪:০১
বাবুনি সুপ্তি বলেছেন: ভাইয়া নতুন কিছু লেখেননা কেন? ঈদ মোবারক।
২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ সকাল ৭:০২
ফারহান দাউদ বলেছেন: কোন কারণ ছাড়াই মেজাজ খারাপ, এইটা মনে হয় পার্মানেন্ট হয়ে গেছে, আর চিন্তাভাবনা করতেও ইচ্ছা করে না। কি কি নিয়ে জানি লেখার কথা ছিল, ভুলে গেছি।
৮৮| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৫:২৬
মেহবুবা বলেছেন: রাতে ভাল করে একটা ঘুম দিয়ে মাথা থেকে এসব জন্ঞ্জাল বের করে দিতে হবে-----এটা অনুশীলন করি ; কার্য্যকরী ।
২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ৯:৫৪
ফারহান দাউদ বলেছেন: ঘুম মানে অর্ধেক মৃত্যু।
৮৯| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ২:৩৪
সুলতানা শিরীন সাজি বলেছেন:
সত্যি কথাগুলো এমন করে লিখতে তুমিই পারো।
মাঝে মাঝে দেশে ফিরে যাবার কথা যে ভাবি না তা না।
কিন্ত খরচের হিসাব করলে মনে হয় কখনোই আর ফেরা হবেনা।
শুধু হাসপাতাল এর ডাক্তারের খরচের কথা চিন্তা করলেই মাথা নষ্ট।
শপিং আর বিলাসিতার কথা না হয় বাকিই থাকলো।
ভালো থেকো ফারহান।
যুদ্ধ করেই বাঁচতে হবে আমাদের।
শুভেচ্ছা।
২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ২:৫৯
ফারহান দাউদ বলেছেন: অহেতুক এত যুদ্ধ আর ভাল লাগে না, কি হয় এত কিছু করে? ভাল থাকবেন।
৯০| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৪:১২
সুবিদ্ বলেছেন: কালো টাকা কোথায় যায় সেটা দেখার জন্য শপিং কমপ্লেক্সগুলো একটা ভাল জায়গা.......
দারুণ.......
২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৪:১৭
ফারহান দাউদ বলেছেন: ট্যাক্সের লোকজন খামোকাই হিসাব দেখে, এইসব জায়গায় গিয়ে পিছন নিলেই ধরা যায় কার কত ২ নম্বুরি পয়সা।
৯১| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ১:৪৮
তারার হাসি বলেছেন:
হালকা ভাবে গল্পের ছলে বিষয়টি তুলে এনেছেন...
যাদের ভাবার কথা তারা কিন্তু ভাবে না, লক্ষ টাকার শপিং শেষে কাজের লোকদের জন্য কাপড় কেনার সময় কেনা হয় জাকাতের ফান্ড থেকে...
নিলজ্জ সব!
২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ২:৩৪
ফারহান দাউদ বলেছেন: হ্যাঁ, ঘোষণা দিয়ে আবার ঐ জাকাত বিতরণ করা হয়, সেটা নিতে গিয়ে পায়ের চাপা পড়ে মারা যায় আরো কয়েকজন, পত্রিকাওয়ালাদের পোয়াবারো।
৯২| ০১ লা অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১:১৪
সহেলী বলেছেন: বিষয়টা দেখে অভ্যস্ত হয়ে গেছি , পড়তে গিয়ে হোচট খাই ।
লেখাটা ভাবালো , কিছুক্ষন পর আবার সয়ে যাবে ।
০১ লা অক্টোবর, ২০০৯ রাত ২:০৩
ফারহান দাউদ বলেছেন: ঐটাই সমস্যা। যখন লিখেছি আমার কাছেও যেমন লেগেছে, এখনি আর তেমন লাগছে না, সয়ে গেছে।
৯৩| ০১ লা অক্টোবর, ২০০৯ রাত ৯:২৩
রোবোট বলেছেন: এ্যামেরিকায় যখন প্রথম আসি তখন সবকিছুকে ৫৬ (১ ডলার= ৫৬ টাকা ছিলো) দিয়ে গুণ দিতাম, দেশের চেয়ে বেশী দামী না কম দামী। দেশে গেলে মনে হয় সব কিছুকে ৭০ দিয়ে ভাগ দিয়ে দেবো, কোথায় দাম বেশী। সমস্যা হৈলো এদেশে ডলারে যা সামান্য বেতন পাই, বাংলাদেশে ফিরে গেলে কোনদিন তার ইকুইভ্যালেন্ট টাকায় বেতন পাবো না।
০১ লা অক্টোবর, ২০০৯ রাত ৯:৩৬
ফারহান দাউদ বলেছেন: দাম বাংলাদেশে বেশি, সন্দেহ নাই। তবে কেনার লোক ম্যালা, কাজেই যারা বেচে তাদের কিছু যায়-আসে না, কালো টাকার প্রবাহ ভয়ংকর জিনিস। মাঝ দিয়ে সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে সবকিছু। যেমন বাড়ি-জমি কেনা মধ্যবিত্তদের জন্য এখন অসম্ভব, রিয়েল এস্টেটে কালোটাকার বিনিয়োগ যখনই মাল সাহেব বৈধ করলেন তারপর দাম এমন জায়গায় গেছে (যদিও কেনার লোকের অভাব নেই, দেশে আসলেই চোর-ছ্যাঁচোররা এখন বুক ফুলিয়ে ঘোরে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায়) যে আজকাল মধ্যবিত্তরা স্বপ্নেও নিজের বাড়ি দেখে না।
৯৪| ৩১ শে অক্টোবর, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:২৮
শুভ রহমান বলেছেন: ব্যাপক লিখসেন ভাই। এখনো বসুন্ধরাতে যাই নাই। মার্কেটিং ভাল্লাগে না। মাঝে মাঝে শোয়িং দের ভিড়ে নিজেরে অস্বাভাবিক লাগে।
৩১ শে অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১০:১২
ফারহান দাউদ বলেছেন: বন্ধুদের কেনাকাটার জন্য মাঝে মাঝে গেছি, এমনিতে নিজের কিছু কিনতে হইলে আমারে দড়ি দিয়ে বেঁধেও নেয়া যায় না।
৯৫| ০৮ ই নভেম্বর, ২০০৯ ভোর ৪:২৬
নষ্ট গিটার বলেছেন: আপনার লেখার অনুরুপ যদি টেলিভিশন মিডিয়া তে রিপোর্ট হত যাতে করে সকল স্তরের মানুষ জানতে পারে বুঝতে পারে।
আমাদের দেশের মানুষ সব খারাপ না, কয়েকজনের দোষে আজ দেশের এই অবস্থা । সবার জানা দরকার ব্যবসা আর ডিজুসের আড়ালে দেশ কেমন করে শেষ হয়ে যাচ্ছে।
০৯ ই নভেম্বর, ২০০৯ দুপুর ২:০২
ফারহান দাউদ বলেছেন: মিডিয়া কালচারটাই তো "শো-অফ", এখানে সত্যি কথা বললে তো রঙ কমে যাবে।
৯৬| ০৮ ই নভেম্বর, ২০০৯ ভোর ৪:৫৯
মামদোভুত বলেছেন: এইনি দ্যাশের অবস্থা?? এরচে তো ইউরোপ আম্রিকার মানুষের আচার আচরন কোটিগুনে ব্যালেন্সড। আমি আর দেশে যাইতাম না।
অনুকরনের প্রতিযোগিতায় স্বকীয়তা হারায়া আইজকা আমরা নৈতিক দিক থেইকা ফকিন্নি জাতিতে পরিনত হৈসি। আমগো কোটিপতির দেদারসে টেকা খরচের মইধ্যেও যে ফকিন্নিপনা আছে সেইটা কোনো পশ্চিমা মধ্যবিত্তের মিতব্যয়িতার মইধ্যেও নাই। অথচ দিনরাইত আমগো দেশের মানুষ চলনে বলনে এগোই অনুকরন অনুরনন করতে মশগুল। এই সবি ভুল। প্রত্যেকটা জাতিরই উচিৎ নিজের স্বকিয়তা বজায় রাখা। অবশ্য অন্য জাতির কাছ থেইকা কিছু শিখতেও হৈব। কিন্তু সেইটা হৈতে হৈব ভালো কোনো কিছু।
যাউগ্গা বাড়তি পেচাল পাইরা লাভ নাইক্কা।
০৯ ই নভেম্বর, ২০০৯ দুপুর ২:০৩
ফারহান দাউদ বলেছেন: টাকা দিয়া অর্থনৈতিক ফকিন্নিপনা যায় কিন্তু মানসিক ফকিন্নিপনা কাটানো শত বছরের অভ্যাস লাগে, কিন্তু এতগুলা বিলাইয়ের গলায় ঘণ্টা বাঁধবে কোন কুতুব?
৯৭| ০৮ ই নভেম্বর, ২০০৯ ভোর ৫:৩৫
শুন্য মানব বলেছেন: কোটির "শো-অফ" এর খাঁড়ায় পড়ে দিন দিন সারা পৃথিবীর কাছে নিজেদের অসভ্যতম জাতি হিসেবে পরিচিত করে তুলছি আমরা, যাদের কিনা ৭০% লোক দু'বেলা খেতে পায় না কিন্তু যে দেশে ঈদের মার্কেটে লাখ টাকার লেহেঙ্গা-শাড়ি আর ১০ লাখের গরু বিক্রি হয়
০৯ ই নভেম্বর, ২০০৯ দুপুর ২:০৪
ফারহান দাউদ বলেছেন: কি আর বলবো? যারা এমন করে তারা তো আমাদের মাঝেই থাকে, নিজেরাই নিজেদের ঠিক করতে না পারলে কি অন্যকে দোষ দেয়া যায়?
৯৮| ১৩ ই নভেম্বর, ২০০৯ সকাল ১১:১৫
অসমাপ্ত কবিতা বলেছেন: খুব মজা পেলাম। ভাই আপনার লেখার হাত তো অসাধারণ , হিউমার ও আছে যথেষ্ট। প্রিয়তে নিলাম , followed by পিলাচ।
১৪ ই নভেম্বর, ২০০৯ দুপুর ২:৫৩
ফারহান দাউদ বলেছেন: কৃতজ্ঞতা।
©somewhere in net ltd.
১|
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ১২:৪৮
তামিম ইরফান বলেছেন: রঙবেরঙের প্রজাপতি দেখতে ভালোই লাগে.......
একজনরে দেখছিলাম ৬০০০টাকা দিয়া তিনফুট হিলওয়ালা জুতা কিনতে..........
পাছার নীচে প্যান্ট পইড়া হাটতে থাকা পোলাপান দেখলে খুব ইচ্ছা করে কোমড়ের উপর প্যান্টটা উঠায়া দিয়া রশি দিয়া বাইন্ধা দেই (এটা নিয়া একবার বিব্রতকর অবস্থায় পড়ছিলাম)