নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি ক্যাপিটেল পালিসমেন্টের বিরুদ্ধে ।মানবতা মানুষের পরিচয় ।।জনগণের বাণীই ঈশ্বরের বাণী । প্রকৃতির সবচে বড় ভুল মানুষ সৃষ্টি । পৃথিবীতে যত অধিকারের আন্দোলন হয়েছে তাতে কিন্তু মানুষকে মানুষ বানাবার আন্দোলন ক্কখোনও হয়নি ৷• বিজ্ঞানে ঈশ্বর নেই । কিন্তু সৃষ্টি আছে •O lf there is no god , create one , সাহিত্য পত্রিকা ※ http://nkkh10.blogspot.com
একটা পরিণত পদক্ষেপ।
নরেন্দ্র মোদীর সরকারের বিরুদ্ধে বার বার উঠেছে ঢক্কানিনাদের অভিযোগ। তাঁর সরকার যে কোনও কাজ নিয়ে প্রচারের বাড়াবাড়ি যতটা করে, কাজের কাজ ততটা চোখে পড়ে না। যে কোনও সরকারি পদক্ষেপ নিয়ে বাগাড়ম্বরের আয়োজনে কোনও খামতি থাকে না। কিন্তু রূপায়ণের মার্কশিট তৈরি করতে বসলে এই সরকার ক’টি বিষয়ে পাস মার্ক পাবে, তা নিয়ে বিস্তর সন্দেহ থেকে যায়।
বিদেশনীতির ক্ষেত্রে সাম্প্রতিক কিছু পদক্ষেপে পরিণতমনস্কতার ছাপ দেখা যাচ্ছে। এ ক্ষেত্রে নরেন্দ্র মোদী যে একটু অন্য পথে হাঁটতে চাইছেন, তা গোড়া থেকেই প্রতীয়মান। খুব অল্প দিনেই প্রধানমন্ত্রী অনেকগুলি দেশে কূটনৈতিক সফর সেরে ফেলেছেন। তা নিয়ে দেশের ভিতরে-বাইরে নানা প্রশ্ন উঠেছে। তাঁর পথ ঠিক না ভুল— তা নিয়ে নানা বিতর্ক হয়েছে। কিন্তু আজ সে বিতর্কে যাব না। কারণ, ভারত-পাক সম্পর্কে আলোচনার দরজাটা খুলে রাখার জন্য মোদীর সরকার গত কয়েকদিনে যে তৎপরতা দেখাল, তাকে প্রচারাকাঙ্খা বলে মনে হচ্ছে না।
ভারত আর পাকিস্তানের সরকার যে কোনও শীর্ষস্তরীয় বৈঠকের আগেই ঢাকঢোল পিটিয়ে প্রত্যাশার পারদ শিখরে চড়াতে অভ্যস্ত। কিন্তু বার বারই পর্বত মূষিক প্রসব করে। এ বার পরিস্থিতি বেশ খানিকটা বিপরীত। নিয়ন্ত্রণ রেখায় অশান্তি দৈনন্দিন। তা-ও প্যারিসে জলবায়ু সম্মেলনের ফাঁকে পাক প্রধানমন্ত্রীকে দেখে সৌজন্য বিনিময় করেছেন মোদী। অল্পক্ষণের জন্য হলেও, একান্তে কথা বলেছেন মোদী-শরিফ। নওয়াজ শরিফের সঙ্গে কী কথা হল, তা নিয়ে দেশে ফিরে প্রচারে মাতেননি মোদী। তার পরই ব্যাঙ্ককে হঠাৎ আলোচনায় ভারত আর পাকিস্তানের নিরাপত্তা উপদেষ্টারা। আগে-পরে তা নিয়েও কোনও প্রচারের বাড়াবাড়ি ছিল না। শেষমেষ সুষমা স্বরাজের পাকিস্তান সফরও একই ঢঙে। যে ভঙ্গিতে আলোচনার দরজা খোলা হল, তা একদমই অন্য রকম। এই সিদ্ধান্ত বাস্তবের মাটিতে পা রেখে গৃহীত বলেই মনে হচ্ছে।
আসলে ভারত-পাকিস্তানের সম্পর্কের স্তম্ভগুলো খুব স্পর্শকাতর জমিতে গাঁথা। বিপুল উষ্ণতায় সেই স্তম্ভকে আলিঙ্গন করা সম্ভব নয়। আবার তাকে ছেড়ে দূরে চলে যাওয়াও অসম্ভব। যোগসূত্র টিকিয়ে রেখে জমিটাকে শক্ত করা জরুরি। কথা বন্ধ রেখে সমস্যা মিটবে না। আলোচনার দরজা খোলা রাখতেই হবে। কিন্তু ভারসাম্যটাও খুব জরুরি। আমরা এর আগেও সম্পর্কের উষ্ণতা দেখিয়ে পাকিস্তানের জন্য সব দরজা-জানলা খুলেছি। তার ঠিক পরেই কার্গিল যুদ্ধ আমাদের বুঝিয়ে দিয়েছে, পদক্ষেপ ভুল হয়েছিল। ওয়াঘা সীমান্তে হুঙ্কার ছাড়তে ছাড়তে দু’দেশের সশস্ত্র বাহিনী যে ভাবে রোজ বন্ধ করে সীমান্তের ফটক, ঠিক সেই হুঙ্কারের ভঙ্গি ধরে রেখে আমরা অনেক বার পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনার সব দরজা বন্ধও করে দিয়েছি। তাতেও সন্ত্রাস থামেনি।
এই দুই পথের কোনওটাই আসলে ঠিক পথ নয়। সেই বোধ সম্ভবত জেগেছে। তাই আলোচনা শুরুর আগেই তা নিয়ে আকাশচুম্বী প্রত্যাশা জাগানো হয়নি। নীরবে দরজাটা খুলে দিয়েছে সরকার। সদর্থক পদক্ষেপের সবে শুরু। এখনই মাতামাতি করার মতো কিছু ঘটেনি। সরকারের বার্তাটা অনেকটা এই রকমই।
স্বাগত।
এটাই প্রত্যাশিত। দু’দেশের রাষ্ট্রনায়কদেরই বুঝতে হবে, পৃথিবীটা দ্রুত বদলে যাচ্ছে। মানচিত্রের বিভাজন রেখাগুলো এই ডিজিটাল বিশ্বে ধীরে ধীরে ধূসর হচ্ছে। নতুন বিশ্বে মানুষ পরস্পরের আরও কাছে আসতে চায়। আলিঙ্গনাবদ্ধ হয়ে বাঁচতে চায়। এই নবীন বিশ্বের কথা মাথায় রেখেই আলোচনায় বসতে হবে। বৈরিতার ইতিহাস, স্নায়ুযুদ্ধের পরম্পরা এক পাশে সরিয়ে রেখে খোলা মনে কথা বলতে হবে।
আশা করি এই পথেই নতুন সকাল আসবে। ভারতের পশ্চিম দিগন্তে সূর্য সব সময় অস্তরাগ গাইবে না। ভৈরবী-ও শোনা যাবে।
সূত্র-- আনন্দবাজার
১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:৫৯
দেবজ্যোতিকাজল বলেছেন: মোদীর সুনাম না থাকার কারণ মৌলবাদী চিন্তা ভাবনা ।। মৌলবাদী লোককে কেউ পছন্দ করে না ।
২| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:২২
গন্ধ গণতন্ত্র বলেছেন: দুই শত্রুর একজাগায় ফুসফাস করে কী বলছে?
©somewhere in net ltd.
১| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ ভোর ৬:৪৪
চাঁদগাজী বলেছেন:
মোদীর সুনাম থাকবে না। এ বছর বিরাট কিছু পদক্ষেপ নেয়ার কথা ছিল, মনে হয় পিছিয়ে গেছে।