নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কোর্ট কাচারি

কুমার দেবুল দে

এডভোকেট, বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট

কুমার দেবুল দে › বিস্তারিত পোস্টঃ

ধর্ষণ: বাংলাদেশের আইন (যুগে যুগে)

০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৫২




সেইদিন ছিল মহান বুদ্বিজিবি দিবসের আগেরদিন সন্ধ্যা, ভেবেছিলাম বুদ্বিজিবিদের ত্যাগের প্রতি শ্রদ্বা জানিয়ে কিছু একটা লিখব কিন্তু টিভিতে ক্রিকেটারএর বিরুদ্বে নায়িকার ধর্ষণ মামলার খবরটি দেখে প্রসংগটা পাল্টে গেল।
আজ আমার বিষয় ধর্ষণ এবং এই বিষয়ে বাংলাদেশের আইন (যুগে যুগে)। ধর্ষণ বিষয়ে অনেক কবি সাহিত্যিক এর অনেক লেখাও আছে। তারপরও কেন জানি ধর্ষকদের ঠেকানো যাচ্ছেনা। তাই হতাশ হয়ে অনেক সাহিত্যিক আবার পরামর্শও দিয়েছেন, ধর্ষণ এর সময় বিষয়টাকে উপভোগ করার জন্য।
একসময় হয়তো ধর্ষণ বিষয়টিই ছিলনা, সেই সময় পুরুষরা অবাধে নারীদের সাথে মিলিত হত কারন সেই সময় আর যাই থাকুক মানুষ সভ্য ছিলনা, ধর্ষণ বিষয়টি সভ্যতার অবদান।
এইবার আসব আইনে: এই পর্যন্ত চারটি ধর্ষণ বিষয়ক আইনের সন্ধান পাওয়া গেছে। Penal Code, 1860 এর Section - 375/376, Cruelty to Women Ordinance, 1983 এর Section -7/8, নারী ও শিশু নির্যাতন আইন, ১৯৯৫ এর ধারা- ২(গ) ততসহ ধারা- ৬, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০ এর ধারা -৯(১) এই চারটি আইনই পুরুষ কত্রিক নারী বা শিশুকে ধর্ষণ এর আইন এবং তার শাস্তির বিধান। আজ আমার বিষয় নারী ধর্ষণ শুধু তাই নয় প্রেমিকা ধর্ষণ। ধর্ষণ বিষয়টিকে সংগায়িত করেছে ১৮৬০ সালের দন্ড বিধির ৩৭৫ ধারা। এইখানে ধর্ষণ বলতে ইচ্ছার বিরুদ্ধে/ সম্মতি ব্যতিরেকে ইত্যাদি পাঁচ ধরনের সহবাসকে ধর্ষণ বলে চিন্নিত করা হয়েছে, বিষয়টা সত্যিকার অর্থএ ধর্ষণ এর বিচার করার জন্য যথেষ্ট ছিল এবং সাথে এমন ও একটা বিষয় সং যুক্ত করা হল যে বিবাহিত বউএর বয়স যদি ১৩ বছরের কম হয় তবে তার সাথে মিলন আপনার বউ উপভোগ করলেও রাষ্ট্র আপনাকে ধর্ষণ এর শাস্তি দিবে। এই বিধানটা সম্ভবত বাল্যবিবাহ ঠেকানোর জন্য করা হয়েছিল। এই আইনটি যদিও এখনও বহাল আছে কিন্তু এই আইনে এখন আর মামলা হয়না কারন এর পরে আরো সময়োপযোগী আইন এসেছে।
Cruelty to Women Ordinance, 1983 এর ৭/৮ ধারায় ধর্ষণ এর কোন শাস্তির বিধান না করলেও ধর্ষণ এর সময় ম্রিত্যু ঘটানো বা ঘটানোর চেস্টার শাস্তির বিধান করা হয়েছে কিন্তু ধর্ষণ এর কোন শাস্তির বিধান করা হয়নি কারন ধর্ষণ এর বিচার দন্ডবিধিতেই করা সম্ভব ছিল।এই আইন এখন আর কার‍্যকর নাই ১৯৯৫ সালের নারী ও শিশু আইন প্রনয়নের সাথে সাথে বাতিল হয়ে গেছে। এই আইনে ধর্ষণ এর সংগা দন্ডবিধির আদলেই রেখে দেয়া হল কিন্তু ধারা - ৬ এ প্রথম বারের মত শাস্তি হিসাবে ম্রিত্যুদন্ড এর বিধান করা হল।এই বিধানও ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির‍্যাতন দমন আইন প্রনয়নের মাধ্যমে বাতিল হয়ে গেছে। ধর্ষণ এর আসল মজাটা বেরিয়ে আসল যখন এই আইনের ধারা-৯(১) এর ব্যাখ্যা অংশ টুকুর মাধ্যমে সেই খানে একটা লাইন ঢুকান হয় আর তা হল " প্রতারণা মুলক ভাবে তাহার সম্মতি আদায় করিয়া" বিপত্তি ঘটল এই খানে আর এই লাইনটা আইনে পাইয়া প্রেমিকারা এখন প্রেমকদেরকে একে বারেই হাতের মুঠোয় পেয়ে গেছেন। এনজয় করবেন এক সং গে কিন্তু আবার ব্রেক আপ হয়ে গেলে ধর্ষণ এর মামলাও করবেন। মজার না? সাধারণত যুবক যুবতীরা কোন না কোন ভাবে মজা করার জন্যঈ প্রেম করে সুতরাং ছেলেরা সাবধান থাকবেন মজার কিন্তু সাজাও আছে। এখন আপনারা বলতে পারেন এই বিষয়ে আমার এত চিন্তা কেন? প্রথমে আমি একজন আইনজিবি, ২য়ত: আমি একজন পুরুষ, আমার একটা লিংগ আছে, আমি ণারীদের সাথে মিলিত হতে পারি এবং সন্তানও জন্ম দিতে পারি। এত আইন করার পরও যখন ধর্ষণ ঠেকান গেলনা বিশেষ করে প্রেমিকা ধর্ষণ, আমি মনে করি আইনটা আরও কঠিন করা দরকার একেবারে অস্ত্র আইনের মত, যেমন অস্ত্র আইনে অস্ত্র ব্যাবহার করা লাগেনা শাস্তি পাওয়ার জন্য, শুধু মাত্র নলেজ, কন্ট্রোল ও পজেশন থাকলেই হয়। ধর্ষণ ঠেকানোর জন্যও এখন আইন করা যেতে পারে পুরুষ মানুষের লিংগ থাকলে হবে এবং তার সাথে লিং গের উপর নলেজ, কন্ট্রোল ও পজেশন থাক্লেই এনাফ শাস্তি দেয়ার জন্য, কেননা ধর্ষণ করার মেশিন সাথে নিয়ে ঘুরবেন সু্যোগ পেলে ধর্ষণও করবেন কিন্তু শাস্তি ভোগ করবেন না তা কি করে হয়? সময় আর যাই থাকুক মানুষ সভ্য ছিলনা, ধর্ষণ বিষয়টি সভ্যতার অবদান। এইবার আসব আইনে: এঈ পর‍্যন্ত চারটি ধর্ষণ বিষয়ক আইনের সন্ধান পাওয়া গেছে। Penal Code, 1860 এর Section - 375/376, Cruelty to Women Ordinance, 1983 এর Section -7/8, নারী ও শিশু নির‍্যাতন আইন, ১৯৯৫ এর ধারা- ২(গ) ততসহ ধারা- ৬, নারী ও শিশু নির‍্যাতন দমন আইন, ২০০০ এর ধারা -৯(১) এই চারটি আইনই পুরুষ কত্রিক নারী বা শিশুকে ধর্ষণ এর আইন এবং তার শাস্তির বিধান। ধর্ষণ বিষয়টিকে সংগায়িত করেছে ১৮৬০ সালের দন্ড বিধির ৩৭৫ ধারা। এইখানে ধর্ষণ বলতে ইচ্ছার বিরুদ্ধে/ সম্মতি ব্যতিরেকে ইত্যাদি পাঁচ ধরনের সহবাসকে ধর্ষণ বলে চিন্নিত করা হয়েছে, বিষয়টা সত্যিকার অর্থএ ধর্ষণ এর বিচার করার জন্য যথেষ্ট ছিল এবং সাথে এমন ও একটা বিষয় সং যুক্ত করা হল যে বিবাহিত বউএর বয়স যদি ১৩ বছরের কম হয় তবে তার সাথে মিলন আপনার বউ উপভোগ করলেও রাষ্ট্র আপনাকে ধর্ষণ এর শাস্তি দিবে। এই বিধানটা সম্ভবত বাল্যবিবাহ ঠেকানোর জন্য করা হয়েছিল। এই আইনটি যদিও এখনও বহাল আছে কিন্তু এই আইনে এখন আর মামলা হয়না কারন এর পরে আরো সময়োপযোগী আইন এসেছে।
Cruelty to Women Ordinance, 1983 এর ৭/৮ ধারায় ধর্ষণ এর কোন শাস্তির বিধান না করলেও ধর্ষণ এর সময় মৃত্যু ঘটানো বা ঘটানোর চেস্টার শাস্তির বিধান করা হয়েছে কিন্তু ধর্ষণ এর কোন শাস্তির বিধান করা হয়নি কারন ধর্ষণ এর বিচার দন্ডবিধিতেই করা সম্ভব ছিল।এই আইন এখন আর কারয্যকর নাই, ১৯৯৫ সালের নারী ও শিশু ( বিশেষ বিধান) আইন প্রনয়নের সাথে সাথে বাতিল হয়ে গেছে। এই আইনে ধর্ষণ এর সংগা দন্ডবিধির আদলেই রেখে দেয়া হল কিন্তু ধারা - ৬ এ প্রথম বারের মত শাস্তি হিসাবে মৃত্যুদন্ড এর বিধান করা হল।
এই বিধানও ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন প্রনয়নের মাধ্যমে বাতিল হয়ে গেছে। ধর্ষণ এর আসল মজাটা বেরিয়ে আসল যখন এই আইনের ধারা-৯(১) এর ব্যাখ্যা অংশ টুকুর মাধ্যমে সেই খানে একটা লাইন ঢুকান হয় আর তা হল " প্রতারণা মুলক ভাবে তাহার সম্মতি আদায় করিয়া" আর বিপত্তিটি ঘটল এই খানে আর এই লাইনটা আইনে পাইয়া প্রেমিকারা এখন প্রে্মিকদেরকে একে বারেই হাতের মুঠোয় পেয়ে গেছেন। এনজয় করবেন এক সং গে কিন্তু আবার ব্রেক আপ হয়ে গেলে ধর্ষণ এর মামলাও করবেন। মজার না? সাধারণত যুবক যুবতীরা কোন না কোন ভাবে মজা করার জন্যই প্রেম করে সুতরাং ছেলেরা সাবধান থাকবেন মজার কিন্তু সাজাও আছে।
এখন আপনারা বলতে পারেন এই বিষয়ে আমার এত চিন্তা কেন? প্রথমে আমি একজন আইনজিবি, ২য়ত: আমি একজন পুরুষ, আমার একটা লিংগ আছে, আমি ণারীদের সাথে মিলিত হতে পারি এবং সন্তানও জন্ম দিতে পারি। এত আইন করার পরও যখন ধর্ষণ ঠেকানো গেলনা বিশেষ করে প্রেমিকা ধর্ষণ, আমি মনে করি আইনটা আরও কঠিন করা দরকার একেবারে অস্ত্র আইনের মত, যেমন অস্ত্র আইনে অস্ত্র ব্যাবহার করা লাগেনা শাস্তি পাওয়ার জন্য, শুধু মাত্র নলেজ, কন্ট্রোল ও পজেশন থাকলেই হয়। ধর্ষণ ঠেকানোর জন্যও এখন আইন করা যেতে পারে পুরুষ মানুষের লিংগ থাকলে হবে এবং তার সাথে লিংগের উপর নলেজ, কন্ট্রোল ও পজেশন থাক্লেই এনাফ শাস্তি দেয়ার জন্য, কেননা ধর্ষণ করার মেশিন সাথে নিয়ে ঘুরবেন সু্যোগ পেলে ধর্ষণও করবেন কিন্তু শাস্তি ভোগ করবেন না তা কি করে হয়?
সেইদিন ছিল মহান বুদ্বিজিবি দিবসের আগেরদিন সন্ধ্যা, ভেবেছিলাম বুদ্বিজিবিদের ত্যাগের প্রতি শ্রদ্বা জানিয়ে কিছু একটা লিখব কিন্তু টিভিতে ক্রিকেটারএর বিরুদ্বে নায়িকার ধর্ষণ মামলার খবরটি দেখে প্রসংগটা পাল্টে গেল।
আজ আমার বিষয় ধর্ষণ এবং এই বিষয়ে বাংলাদেশের আইন (যুগে যুগে)। ধর্ষণ বিষয়ে অনেক কবি সাহিত্যিক এর অনেক লেখাও আছে। তারপরও কেন জানি ধর্ষকদের ঠেকানো যাচ্ছেনা। তাই হতাশ হয়ে অনেক সাহিত্যিক আবার পরামর্শও দিয়েছেন, ধর্ষণ এর সময় বিষয়টাকে উপভোগ করার জন্য।
একসময় হয়তো ধর্ষণ বিষয়টিই ছিলনা, সেই সময় পুরুষরা অবাধে নারীদের সাথে মিলিত হত কারন সেই সময় আর যাই থাকুক মানুষ সভ্য ছিলনা, ধর্ষণ বিষয়টি সভ্যতার অবদান।
এইবার আসব আইনে: এই পর্যন্ত চারটি ধর্ষণ বিষয়ক আইনের সন্ধান পাওয়া গেছে। Penal Code, 1860 এর Section - 375/376, Cruelty to Women Ordinance, 1983 এর Section -7/8, নারী ও শিশু নির্যাতন আইন, ১৯৯৫ এর ধারা- ২(গ) ততসহ ধারা- ৬, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০ এর ধারা -৯(১) এই চারটি আইনই পুরুষ কত্রিক নারী বা শিশুকে ধর্ষণ এর আইন এবং তার শাস্তির বিধান। আজ আমার বিষয় নারী ধর্ষণ শুধু তাই নয় প্রেমিকা ধর্ষণ। ধর্ষণ বিষয়টিকে সংগায়িত করেছে ১৮৬০ সালের দন্ড বিধির ৩৭৫ ধারা। এইখানে ধর্ষণ বলতে ইচ্ছার বিরুদ্ধে/ সম্মতি ব্যতিরেকে ইত্যাদি পাঁচ ধরনের সহবাসকে ধর্ষণ বলে চিন্নিত করা হয়েছে, বিষয়টা সত্যিকার অর্থএ ধর্ষণ এর বিচার করার জন্য যথেষ্ট ছিল এবং সাথে এমন ও একটা বিষয় সং যুক্ত করা হল যে বিবাহিত বউএর বয়স যদি ১৩ বছরের কম হয় তবে তার সাথে মিলন আপনার বউ উপভোগ করলেও রাষ্ট্র আপনাকে ধর্ষণ এর শাস্তি দিবে। এই বিধানটা সম্ভবত বাল্যবিবাহ ঠেকানোর জন্য করা হয়েছিল। এই আইনটি যদিও এখনও বহাল আছে কিন্তু এই আইনে এখন আর মামলা হয়না কারন এর পরে আরো সময়োপযোগী আইন এসেছে।
Cruelty to Women Ordinance, 1983 এর ৭/৮ ধারায় ধর্ষণ এর কোন শাস্তির বিধান না করলেও ধর্ষণ এর সময় ম্রিত্যু ঘটানো বা ঘটানোর চেস্টার শাস্তির বিধান করা হয়েছে কিন্তু ধর্ষণ এর কোন শাস্তির বিধান করা হয়নি কারন ধর্ষণ এর বিচার দন্ডবিধিতেই করা সম্ভব ছিল।এই আইন এখন আর কার‍্যকর নাই ১৯৯৫ সালের নারী ও শিশু আইন প্রনয়নের সাথে সাথে বাতিল হয়ে গেছে। এই আইনে ধর্ষণ এর সংগা দন্ডবিধির আদলেই রেখে দেয়া হল কিন্তু ধারা - ৬ এ প্রথম বারের মত শাস্তি হিসাবে ম্রিত্যুদন্ড এর বিধান করা হল।এই বিধানও ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির‍্যাতন দমন আইন প্রনয়নের মাধ্যমে বাতিল হয়ে গেছে। ধর্ষণ এর আসল মজাটা বেরিয়ে আসল যখন এই আইনের ধারা-৯(১) এর ব্যাখ্যা অংশ টুকুর মাধ্যমে সেই খানে একটা লাইন ঢুকান হয় আর তা হল " প্রতারণা মুলক ভাবে তাহার সম্মতি আদায় করিয়া" বিপত্তি ঘটল এই খানে আর এই লাইনটা আইনে পাইয়া প্রেমিকারা এখন প্রেমকদেরকে একে বারেই হাতের মুঠোয় পেয়ে গেছেন। এনজয় করবেন এক সং গে কিন্তু আবার ব্রেক আপ হয়ে গেলে ধর্ষণ এর মামলাও করবেন। মজার না? সাধারণত যুবক যুবতীরা কোন না কোন ভাবে মজা করার জন্যঈ প্রেম করে সুতরাং ছেলেরা সাবধান থাকবেন মজার কিন্তু সাজাও আছে। এখন আপনারা বলতে পারেন এই বিষয়ে আমার এত চিন্তা কেন? প্রথমে আমি একজন আইনজিবি, ২য়ত: আমি একজন পুরুষ, আমার একটা লিংগ আছে, আমি ণারীদের সাথে মিলিত হতে পারি এবং সন্তানও জন্ম দিতে পারি। এত আইন করার পরও যখন ধর্ষণ ঠেকান গেলনা বিশেষ করে প্রেমিকা ধর্ষণ, আমি মনে করি আইনটা আরও কঠিন করা দরকার একেবারে অস্ত্র আইনের মত, যেমন অস্ত্র আইনে অস্ত্র ব্যাবহার করা লাগেনা শাস্তি পাওয়ার জন্য, শুধু মাত্র নলেজ, কন্ট্রোল ও পজেশন থাকলেই হয়। ধর্ষণ ঠেকানোর জন্যও এখন আইন করা যেতে পারে পুরুষ মানুষের লিংগ থাকলে হবে এবং তার সাথে লিং গের উপর নলেজ, কন্ট্রোল ও পজেশন থাক্লেই এনাফ শাস্তি দেয়ার জন্য, কেননা ধর্ষণ করার মেশিন সাথে নিয়ে ঘুরবেন সু্যোগ পেলে ধর্ষণও করবেন কিন্তু শাস্তি ভোগ করবেন না তা কি করে হয়? সময় আর যাই থাকুক মানুষ সভ্য ছিলনা, ধর্ষণ বিষয়টি সভ্যতার অবদান। এইবার আসব আইনে: এঈ পর‍্যন্ত চারটি ধর্ষণ বিষয়ক আইনের সন্ধান পাওয়া গেছে। Penal Code, 1860 এর Section - 375/376, Cruelty to Women Ordinance, 1983 এর Section -7/8, নারী ও শিশু নির‍্যাতন আইন, ১৯৯৫ এর ধারা- ২(গ) ততসহ ধারা- ৬, নারী ও শিশু নির‍্যাতন দমন আইন, ২০০০ এর ধারা -৯(১) এই চারটি আইনই পুরুষ কত্রিক নারী বা শিশুকে ধর্ষণ এর আইন এবং তার শাস্তির বিধান। ধর্ষণ বিষয়টিকে সংগায়িত করেছে ১৮৬০ সালের দন্ড বিধির ৩৭৫ ধারা। এইখানে ধর্ষণ বলতে ইচ্ছার বিরুদ্ধে/ সম্মতি ব্যতিরেকে ইত্যাদি পাঁচ ধরনের সহবাসকে ধর্ষণ বলে চিন্নিত করা হয়েছে, বিষয়টা সত্যিকার অর্থএ ধর্ষণ এর বিচার করার জন্য যথেষ্ট ছিল এবং সাথে এমন ও একটা বিষয় সং যুক্ত করা হল যে বিবাহিত বউএর বয়স যদি ১৩ বছরের কম হয় তবে তার সাথে মিলন আপনার বউ উপভোগ করলেও রাষ্ট্র আপনাকে ধর্ষণ এর শাস্তি দিবে। এই বিধানটা সম্ভবত বাল্যবিবাহ ঠেকানোর জন্য করা হয়েছিল। এই আইনটি যদিও এখনও বহাল আছে কিন্তু এই আইনে এখন আর মামলা হয়না কারন এর পরে আরো সময়োপযোগী আইন এসেছে।
Cruelty to Women Ordinance, 1983 এর ৭/৮ ধারায় ধর্ষণ এর কোন শাস্তির বিধান না করলেও ধর্ষণ এর সময় মৃত্যু ঘটানো বা ঘটানোর চেস্টার শাস্তির বিধান করা হয়েছে কিন্তু ধর্ষণ এর কোন শাস্তির বিধান করা হয়নি কারন ধর্ষণ এর বিচার দন্ডবিধিতেই করা সম্ভব ছিল।এই আইন এখন আর কারয্যকর নাই, ১৯৯৫ সালের নারী ও শিশু ( বিশেষ বিধান) আইন প্রনয়নের সাথে সাথে বাতিল হয়ে গেছে। এই আইনে ধর্ষণ এর সংগা দন্ডবিধির আদলেই রেখে দেয়া হল কিন্তু ধারা - ৬ এ প্রথম বারের মত শাস্তি হিসাবে মৃত্যুদন্ড এর বিধান করা হল।
এই বিধানও ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন প্রনয়নের মাধ্যমে বাতিল হয়ে গেছে। ধর্ষণ এর আসল মজাটা বেরিয়ে আসল যখন এই আইনের ধারা-৯(১) এর ব্যাখ্যা অংশ টুকুর মাধ্যমে সেই খানে একটা লাইন ঢুকান হয় আর তা হল " প্রতারণা মুলক ভাবে তাহার সম্মতি আদায় করিয়া" আর বিপত্তিটি ঘটল এই খানে আর এই লাইনটা আইনে পাইয়া প্রেমিকারা এখন প্রে্মিকদেরকে একে বারেই হাতের মুঠোয় পেয়ে গেছেন। এনজয় করবেন এক সং গে কিন্তু আবার ব্রেক আপ হয়ে গেলে ধর্ষণ এর মামলাও করবেন। মজার না? সাধারণত যুবক যুবতীরা কোন না কোন ভাবে মজা করার জন্যই প্রেম করে সুতরাং ছেলেরা সাবধান থাকবেন মজার কিন্তু সাজাও আছে।
এখন আপনারা বলতে পারেন এই বিষয়ে আমার এত চিন্তা কেন? প্রথমে আমি একজন আইনজিবি, ২য়ত: আমি একজন পুরুষ, আমার একটা লিংগ আছে, আমি ণারীদের সাথে মিলিত হতে পারি এবং সন্তানও জন্ম দিতে পারি। এত আইন করার পরও যখন ধর্ষণ ঠেকানো গেলনা বিশেষ করে প্রেমিকা ধর্ষণ, আমি মনে করি আইনটা আরও কঠিন করা দরকার একেবারে অস্ত্র আইনের মত, যেমন অস্ত্র আইনে অস্ত্র ব্যাবহার করা লাগেনা শাস্তি পাওয়ার জন্য, শুধু মাত্র নলেজ, কন্ট্রোল ও পজেশন থাকলেই হয়। ধর্ষণ ঠেকানোর জন্যও এখন আইন করা যেতে পারে পুরুষ মানুষের লিংগ থাকলে হবে এবং তার সাথে লিংগের উপর নলেজ, কন্ট্রোল ও পজেশন থাক্লেই এনাফ শাস্তি দেয়ার জন্য, কেননা ধর্ষণ করার মেশিন সাথে নিয়ে ঘুরবেন সু্যোগ পেলে ধর্ষণও করবেন কিন্তু শাস্তি ভোগ করবেন না তা কি করে হয়?

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.