নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার বক্ষ জুড়ে মনের বসতি \nমনটা শুধুই প্রজাপতি....

দ্বীপ ১৭৯২

জন্মঃ ১লা মার্চ ১৯৮১ ইং। গ্রাম-গয়নাকুড়ি। বগুড়া জেলার শাজাহানপুর থানা। পিতা-মৃত হাবিবুর রহমান। মাতা-আলহাজ্বআছিয়া বিবি। মুসলিম পরিবারে জন্ম। গ্রাজুয়েশন সম্পন্ন ১৯৯৯ ইং। আমার সম্পাদিত লিটেল ম্যাগ‌ কুয়াশা।

দ্বীপ ১৭৯২ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভারতীয় সিরিয়াল গ্রাস করেছে বাংলাদেশের নারী সমাজ ( পর্ব-২)

২৩ শে নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:৩১



এর অনেক মন্দ দিক সমাজে বিস্তার ঘটছে। নারীরা অনেক ইঁচরে পাকা হচ্ছে। কুটনীতি শিখে তা স্বামী,শ্বশুর শ্বাশুরির সাথে প্রয়োগ করছে। আমরা পুরুষ তাই ওদের নিকট অপোক্ত, অচালাক, অপ্রেমিক, অবুদ্ধি। এমন ভাবে কুটবুদ্ধিগুলো সমাজের সহজ সরল নারীদের মনে জেঁকে বসছে  তা থেকে তারা নিজেরাই বিপথগামী হচ্ছে। ভিন্ন সংস্কৃতিতে বিশ্বাস স্থাপন করছে আর দেশীয় শিক্ষা সংস্কৃতি,কৃষ্টি,কালচার থেকে দিন দিন দুরে সরে যাচ্ছে। স্কুল কলেজ পড়ুয়া মেয়েরাও ভারতীয় সংস্কৃতিতে ডুবছে। তাদের আদর্শের সঙ্গে নিজেদের মিলাতে চাচ্ছে । নিজেদের পোশাক আশাক,চলা ফেরা,ভাষার ব্যবহার,সব কিছুতেই ভারতের অনুসরন করছে। ফলে অনেক রক্তের বদৌলতে পাওয়া দেশীয় শিক্ষা,সংস্কৃতি নারীরা অগ্রাহ্যই শুধু করছেনা রীতিমত তা আত্নাহুতি দিতে চলেছে। যার নগদ প্রমান ঈদুল ফিতর/২০১৪ইং সময় মহিলাদের ঘৃন্য ঘটনার অবতারণ হয়েছে। আমাদের সকলের জানা কতজন "পাখি জামা"র জন্য আত্নহত্যা করেছে। অনেকেই ঈদের আনন্দে যোগ পর্যন্ত দেয়নি। এর আগের বারে ২০১৩ ইং এর ঈদুল ফিতরে " ঝিলিক" জামা মেয়েদের মাথা খেয়েছিল। সেবারেও পত্র পত্রিকায় এরকম ঘটনা পড়েছিলাম। স্ত্রী ও অল্প বয়সী মেয়েরাও বেশ অকালে পাকছে।
তবে পুরুষের সংখ্যার পার্সেন্টেজ উল্লেখযোগ্য নয়।

ওইসব সিরিজে খুব কমন একটা চরিত্র থাকে।  যা প্রত্যেক সিরিয়ালে মিল পাওয়া যায়। আর তা হলো পরিবারে কেউ একজন কুটনৈতিক চরিত্রে থাকবে। যার মুল অভিনয় শুধু একজনের সঙ্গে অন্য জনের লাগানো,  গীবত করা,গোপন তথ্য অন্যজনকে বলে শত্রুতা পাকিয়ে দেয়া। ওইসব চরিত্র দেখে দেখে বর্তমান সমাজে মহিলারা স্বাধিনতার নামে মুলতঃ স্বেচ্ছাচারিতা করছে এবং ভারতীয় চরিত্র এদেশে পাকা পোক্ত করছে । আবার সঙ্গিত বাংলায়  নায়িকারা যেভাবে  অর্ধালুঙ্গ শরীরে নৃত্য প্রদর্শন করে থাকে তাতে অবশিষ্ট তেমন কিছুই থাকেনা। এই চ্যানেলটা অল্প বয়সী মেয়েদের মাথা খেয়েছে। তাদের অনেক প্রিয় টিভি এটা। বেশ ফুর্তিতে পড়াশোনা বাদ রেখে অর্ধালুঙ্গ শরীর দেখে মাতিয়ে থাকে। ভেতরে ভেতরে নায়ক জিৎ ও দেব কে স্বপ্ন দেখে।

সবচে পরিতাপের কথা হলো বাংলাদেশে দুই ঈদে পরিচালক প্রযোজকরা যে শ্রম আর মেধা মিশিয়ে বিভিন্ন অনুষ্ঠানমালা তৈরি করেন সেগুলোও মেয়েরা দেখে না। তাদের নাকি মন কাড়ে না। আর দিনে যে সংবাদ গুলো পরিবেশিত হয় সেগুলোতো দেখেইনা। একেবারেই সংবাদন ও টকশো এবং বাংলাদেশীয় টিভি বিমুখ এক সমাজ । তারাই এদেশের সহজ সরল নারী সমাজ। তবে তারা আর সহজ সরল নেই।
ঘরে পুরুষ মানুষ ঢুকলে তার পর টিভি পরিবর্তন হয়। তাও আবার কিছুক্ষন ঝগড়া করার পর। তার মানে টিভি গুলো সারাদিন মহিলাদের দখলে থাকে।  এতে তাদের রুচিবোধ ক্রমাগত ভিন্নমুখী হচ্ছে ।

কিছু দিন আগে ভারতীয় কয়েকটি টিভি বন্ধ করার সরকারি উদ্যোগের কথা শুনেছিলাম। কিন্ত কালে ভদ্রে তা হালে পানি পায়নি। আবার পুনরায় হাইকোর্ট থেকে স্টার জলসা,জিবাংলা এবং স্টার প্লাস এই তিনটি টিভির সম্প্রচার কেন বন্ধ করা হবেনা মর্মে যে রুল জারি করেছিল তারও  খবর জনগনের আড়ালেই রয়ে গেছে।

এবিষয়ে সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। অভিভাবকদেরও ঘুম ভাঙতে হবে ভাঙ্গাতে হবে। সচেতন হতে হবে আরো। এক্ষুনি যদি নিয়ন্ত্রন করা না যায়া তো আমাদেরই অমঙ্গল হবে। সরকারের দায়িত্ব নিতে হবে এর একটা কিছু করার। সামাজিক দায়বদ্ধতা ও সচেতনতা মূলক কার্যক্রম হাতে নেয়া প্রয়োজন। নচেৎ আমাদের কচি মেয়েরা বিপথগামী হবে,মহিলারা কুবুদ্ধি শিখে নিজেদের ধ্বংশ ডেকে আনবে এবং বাংলাদেশের টিভিগুলো অদুর ভবিষ্যতে অকেজো হয়ে পড়বে।
------------------------------------

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:০১

ইমতিয়াজ ১৩ বলেছেন: বন্ধু ব্লগে লেখাটা পড়েছি। এই সমস্যা থেকে উত্তরনের কোন উপায় আমাদের জানা নেই একমাত্র সংশ্লিষ্ট চ্যানেলগুলো বন্ধ করা ছাড়া।

২| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:০৫

অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: এই বিষয় নিয়ে লেখালেখি ক্যাচাল তো কম হলো না । সমাধান হয়েছে কি !!!! বা আদৌ সমাধান হবে কি !!!

৩| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:২৮

 বলেছেন: :|| :|| :|

৪| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:৩৬

দ্বীপ ১৭৯২ বলেছেন: সকলকে ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.