![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ইদানিং পত্রিকার পাতা খুল্লেই চোখে পরে বাংলাদেশি শরণার্থী দের সম্পর্কে নিতিবাচক লেখা। বিশ্ব গণমাধ্যমে ও একই ধরণের বরঞ্চ আরও নিতিবাচক খবর প্রচারিত হচ্ছে। যা দেখে মনে হয় বাংলাদেশে কিছুই নেই। যেন ১৯৭১ আবার ফিরে এসেছে, প্রান ভয়ে বাঙ্গালিরা দেশ থেকে পলায়ন করছে। একটা জিনিস আমি বুজতে পারিনা কি এমন আছে ইউরোপে যে, পঙ্গপালের মত সবাইকে ছুটতে হবে জীবন বাজি রেখে!!??
আমি যে কয়জন বাঙালি শরণার্থীর সাথে ইউরোপ এ দেখা করেছি বা রাস্তায় দেখা হয়েছে, তাদের মধ্যে একজন ও পাইনি যারা সত্যিকারেই শরণার্থী। সবারই মোটামটি ভাল জীবন ছিল দেশে কিংবা মধ্যপ্রাচের কোন দেশে, কমপক্ষে একটা চাকরি ছিল। আতি লোভে, ইউরোপবাসী কিছু মানুষের চাপাবাজি বিশ্বাস করে জিবনের মায়া ত্যাগ করে তারা ইউরোপ এর দিকে গমন করে। জামানিতে অনেক বাঙালি রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা করে। কিন্তু এদের মধ্যে কিছু সংখ্যক শরণার্থী কপালের গুণে আশ্রয় লাভ করে। বাকিদের খালি হাতে দেশে ফিরতে হয়।
আমি আজকে লিখতে বসলাম ইউরোপ এর বাস্তবতা তুলে ধরতে। ইউরোপ হল একটা পচা আমের মত, যার বাহিরটা খুবই সুন্ধর এবং ভিতরটা পচা।
এখানে বাংলাদেশি উচ্চতর ডিগ্রি ধাড়িরা হোটেলে থালাবাসন মেজে জীবন ধারন করে (সবাই না কিন্তু বেশির ভাগই)। এবং মাস শেষে ১০০০ খানেক ইউরো ইঙ্কাম করে (জামানিতে) । ইউরোপ এর অন্যান্য দেশে আরও কম ইঙ্কাম। কিন্তু গলাবাজি করে যেন সাদা কলারের চাকরি করে। কারিকারি ইউরো ইঙ্কাম করে। এখনকার দিনে ইউরোপ এর অবস্তা অনেকটা সোনালি দিন শেষে নিভু নিভু প্রদীপ এর মত।
এমন অনেককেই দেখছি যারা ১০-১৫ বছর ধরে কাগজ এর জন্য অপেক্ষায় আছে। দেশে যেতে পারছেনা। একবার চিন্তা করে দেখুন, কি আছে জিবনে? টাকাই কি সব? সবাইকি টাকা ইঙ্কাম করতে পারছে?
যে টাকা খরচ করে ইউরোপ যাবেন, সে টাকা দিয়ে দেশে বসে হাস মুরগি পালন করুন, তাও জীবনের একটা নিশ্চয়তা থাকবে। পরিবারের সাথে থাকতে পারবেন। বেশি লোভে পরে জীবন এর বিসর্জন দিতে হবেনা।
নোট: বানান ভুলের জন্য ক্ষমাপ্রাথি।
২| ০৯ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৫:১৬
রাজীব নুর বলেছেন: এই জন্যই আমি বিদেশে যেতে চাই না।
©somewhere in net ltd.
১|
২৪ শে মে, ২০১৮ রাত ১২:৪২
কাইকর বলেছেন: সুন্দর পোস্ট। সময় পেলে আমার ব্লগে গিয়ে ঘুরে আসবেন