![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি পেশায় ডেন্টিস্ট, হিজামা থেরাপিস্ট ও ইসলামের দায়ী।
আল্লাহর রসুল সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একবার চারটা দাগ কেটে ওনার সাহাবিদের জিজ্ঞেস করলেন " তোমরা কি জানো এগুলো কি?"
সাহাবিগণ উত্তর দিলেন " আল্লাহ ও তাঁর রসুল ভাল জানেন"।
রসুল সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন " সর্বশ্রেষ্ঠ চার জান্নাতি নারী হল খদিজা বিনতে খুআলিদ রদি আল্লহু আনহা, ফাতিমা বিনতে মুহাম্মাদ রদি আল্লহু আনহা, মারইয়াম বিনতে ইমরান, এবং আসিয়া বিনতে মুযাহিম (ফেরাউনের স্ত্রী) ।
হজরত খাদিজাহ রঃ হল প্রথম ব্যক্তি যিনি আল্লাহর রাসুলের প্রতি ইমান এনেছিলেন। কেন তাকে সর্বশ্রেষ্ঠ নারীদের একজন বলা হয়েছে? এটাকি তাঁর ব্যবসায়িক সাফল্যের জন্য? তাঁর জ্ঞানের জন্য? ঠিক কি কারণে তাঁকে এই উপাধি দেয়া হয়েছে তা নিয়ে আমাদের গভীর ভাবে চিন্তা করা দরকার। বিশেষ করে আমাদের বোনদের।
আমরা যদি এই চার মহীয়সী নারীর জীবন পর্যালোচনা করি তাহলে তাদের মধ্যে দুটি বিষয়ের মিল দেখি -
১। তারা অত্যন্ত মজবুত ইমানের অধিকারি ছিলেন। তাদের ইমান ছিল ইয়াকিনের পর্যায়ে। ইয়াকিন হল সেই রকম বিশ্বাস যাতে কোন ভাবেই চিড় ধরানো যায়না। যে অন্তরে ইয়াকিন আছে সে অন্তর চোখের দেখা, কানের শোনা কে উপেক্ষা করে তাঁর বিশ্বাসকে প্রাধান্য দেয়। তাদের সকলের ইমান যে ইয়াকিনের পর্যায়ে ছিল, এ ব্যাপারে কোন সন্দেহ নেই।
ফিরাউনের স্ত্রী , হজরত আসিয়াহর উদাহরণ ধরুন। একজন মহিলা পৃথিবিতে যা চাইতে পারে তার সবই তাঁর ছিল। আরামদায়ক জীবন, ধন সম্পদ, ধনী ও প্রভাবশালী স্বামী, ক্ষমতা, দাসদাসী, খাদেম। কিন্তু ইমানের স্বার্থে, আল্লাহর জন্য তিনি এর সবই পরিত্যগ করতে রাজি ছিলেন। তিনি বাস করতেন সে সময়ের সর্বোৎকৃষ্ট প্রাসাদে। কিন্তু তারপরও তিনি আল্লাহকে দোয়া করেছিলেন -৬৬ - ১১. আর ঈমানদারদের ব্যাপারে ফেরাউনের স্ত্রীর উদাহরণ পেশ করছেন। যখন সে দোয়া করলো, হে আমার রব, আমার জন্য তোমার কাছে জান্নাতে একটি ঘর বানিয়ে দাও।
আমাদের বুঝতে হবে হজরত আসিয়াহ একটি অত্যন্ত বিষাক্ত পরিবেশে ছিলেন, যা ছিল সব দিক থেকেই ইমানের পরিপন্থী। আল্লাহর শত্রুদের
সাথেই ছিল তাঁর বসবাস। কুফরি শক্তিকে উপেক্ষা করে নিজেকে আল্লাহর পথে অটুট রেখে তিনি ইমানের এক অপূর্ব দৃষ্টান্ত স্থাপন করে গিয়েছেন ।
আমরা অপর তিন জনের জীবন পর্যালোচনা করলেও একই রকম বলিয়ান ইমানের দৃষ্টান্ত দেখতে পাই।
২। তাদের মধ্যে দ্বিতীয় যে ব্যপারটি সাধারণ ছিল তা হোল তাঁরা সর্বশ্রেষ্ঠ মা অথবা স্ত্রী ছিলেন। এখন এই ব্যপারে নারীবাদীদের এবং আমাদের সেসব বোনদের যারা নারীবাদীদের দারা প্রভাবিত তাদের আপত্তি থাকতে পারে।
হজরত মরিয়ম বড় করেছিলেন হজরত ঈসা (আঃ) কে আর হজরত আসিয়াহ বড় করেছিলেন হজরত মুসা (আঃ) কে। হজরত খাদিজাহ কে আল্লাহ এত মর্যাদা দিয়েছেন তা কিন্তু এই জন্য নয় যে তিনি অনেক সফল ব্যবসায়ী ছিলেন। বরং তিনি ছিলেন আল্লাহর রসুল মুহাম্মদ (স) এর অসাধারণ এক সহধর্মিণী। আল্লাহর রাসুলের (স) যখনি প্রয়োজন, তখনি তিনি পাশে পেয়েছিলেন হজরত খাদিজাকে।
আল্লাহর রসুলে সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নবুয়তের শুরুতে সবচেয়ে নাজুক পরিস্থিতিতে অবিচল সাহস আর প্রেরণা দিয়েছেন হজরত খাদিজা (রঃ)।
আর হজরত ফাতিমা ছিলেন আমিরুল মু'মিনিন হজরত আলির (র) সহধর্মিণী। হজরত আলি অত্যন্ত সাধারণ জীবনযাপন করতেন। ঘরের কাজ করতে হজরত ফাতিমাকে অনেক বেগ পেতে হত।
একবার তারা আল্লাহর রাসুল সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে একজন ভৃত্য প্রার্থনা করলেন। আল্লাহর রসুল (স) তাদের জবাবে বললেন আমি তোমাদের এরচেয়েও উত্তম কিছু শিখিয়ে দিচ্ছি।
তোমরা শুতে যাবার আগে
৩৩ বার সুবহান আল্লহ ,
৩৩ বার আলহামদুলিল্লাহ ও
৩৪ বার আল্লহু আকবার বলবে।
ফাতেমা রঃ কে আল্লাহর রাসুল সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অত্যন্ত ভালবাসতেন। তিনি বলেছিলেন ফাতিমা আমার একটি টুকরো। সে যাতে খুশি হয় , আমিও তাতে খুশি হই। সে যাতে কষ্ট পায়, আমিও তাতে কষ্ট পাই। ফাতেমা রঃ তখন ছিলেন আল্লাহর রাসুল সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর একমাত্র জীবিত সন্তান। আল্লাহর রাসুল সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম চাইলে ফাতেমাকে একজন কেন, দশ জন খাদেম দিতে পারতেন । কিন্তু তিনি তা না করে ফাতেমাকে উপদেশ দিলেন, ঘরের কাজ নিজের হাতে করে যেতে। একবার হযরত আলি রঃ বাইরে থেকে ক্লান্ত হয়ে ফিরে স্ত্রীর কাছে পানি খেতে চাইলেন। ফাতিমা রঃ পানি আনতে গিয়ে দেখলেন যে পানি শেষ, তাই তিনি কুপ থেকে পানি নিয়ে আসলেন। এসে দেখলেন যে আলি রঃ ঘুমিয়ে গেছেন। তিনি তাকে ডাকলেন না, বরং পানি হাতে পাশেই দাঁড়িয়ে রইলেন। এভাবে সারারাত কেটে গেল। ঘুম থেকে উঠে আলি রঃ ফাতিমাকে দেখলেন। ফাতিমা রঃ থর থর করে কাপছেন। সারা রাত নির্ঘুম, ঠান্ডা, ক্ষুধা। সাথে সাথে আলি রঃ হৃদয় থেকে দোয়া করলেন যে, আল্লহ যেন ফাতিমা রঃ কে জান্নাতবাসী করেন। এই দোয়া সাথে সাথে কবুল হয়েছিল। এবং এইসব কারণেই হজরত ফাতিমা রঃ চার সর্বশ্রেষ্ঠ নারীদের একজন। জ্ঞানের দিক থেকে হজরত আয়েশা (রঃ) ( আল্লাহর রাসুলের স্ত্রী) খাদিজা (রঃ) ও ফাতেমার (রঃ) উপরে, কিন্তু মর্যাদার দিক থেকে উনি খাদিজা (রঃ) ও ফাতেমার (রঃ) সমকক্ষ ছিলন না।
আমাদের বোনেরা, আপনারা যখন আপনাদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা করবেন তখন আপনাদের কিসের উপর বেশি প্রাধান্য দেয়া দরকার তা ঠিক করে নেন।
আমরা বলছিনা যে আপনারা জ্ঞান অর্জন করবেননা বা ইসলামের কাজ করবেন না, কিন্তু আপনাদের সবসময় মাথায় রাখা দরকার কিসে আল্লাহ সুবহানা ওয়া তাআ'লা আপনাদের সবচেয়ে বেশি মর্যাদা দিয়েছেন।
-- ইমাম আনওয়ার আল আওলাকি
৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:১৯
ডেণ্টিস্ট সাইফ বলেছেন: আল কায়েদাতে কি সমস্যা ভাইজান? আল কায়েদা আপনার কি ক্ষতি করেছে?
২| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:১০
নক্শী কাঁথার মাঠ বলেছেন: আল-কায়েদাতে কি সমস্যা সেটা কাউকে বোঝানো লাগলে সেটাই বরং সমস্যা। তা ভাইজান আপনি সিরিয়ায় না গিয়ে ব্লগে সময় নস্ট করছেন কি মনে করে? নব্য আল-কায়েদা, আইএসের ভাইয়েরা আপনার মতো লোকের জন্য অপেক্ষায় আছে সেখানে। আপনার জন্য আরো একটা আকর্ষনীয় খবর শেয়ার করছি:
যৌনদাসী ধর্ষণের নিয়ম নিয়ে ফতোয়া আইএসের!
বন্দি নারীদের ‘যৌনদাসী’ হিসেবে ব্যবহারের নিয়ম বর্ণনা করে তাদের ‘মালিকদের’ জন্য ফতোয়া জারি করেছে ইসলামিক স্টেট (আইএস)।
এ সম্পর্কে জঙ্গি গাষ্ঠীটির দাবি, যৌনদাসীদের সঙ্গে তাদের মালিকদের আচরণের নিয়ম লঙ্ঘন কমাতেই তারা ফতোয়া দিয়েছে।
আইনে পরিণত হওয়া এ ফতোয়ার মাধ্যমে ইরাক ও সিরিয়ায় আইএস নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলে নারীদের যৌনদাসী হিসেবে ব্যবহারের বর্ষপুরোনো প্রথাকেই সমর্থনের চেষ্টা করেছে গোষ্ঠীটি।
গত মে মাসে সিরিয়ায় মার্কিন বাহিনীর বিশেষ অভিযানে জব্দ হওয়া আইএস এর বহু নথিপত্রের মধ্যেই পাওয়া গেছে এ ফতোয়ার নথিপত্র। এসব নথির কিছু অংশ পর্যালোচনা করেছে রয়টার্স, যা আগে কখনো প্রকাশ পায়নি।
জারি করা ফতোয়ার মধ্যে একই যৌনদাসীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে জড়াতে বাবা ও ছেলের প্রতি নিষেধাজ্ঞা রয়েছে এবং কোনো মা ও তার মেয়েকে একই ‘মালিক’ যৌনদাসী হিসেবে ব্যবহার করতে পারবে না বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
একইভাবে কোনো নারী বন্দির দুইজন ‘মালিক’ থাকলে, 'যৌথ অংশীদারিত্বের অংশ' হিসেবে ওই নারীকে দুইজনই যৌনদাসী হিসাবে ব্যবহার করতে পারবে না বলেও ফতোয়ায় উল্লেখ করা হয়েছে।
১২ বছরের কন্যা শিশু থেকে শুরু করে বিভিন্ন বয়সের হাজার হাজার নারীকে অপহরণ ও ধর্ষণের জন্য আইএস এর বিরুদ্ধে বরাবরই অভিযোগ করে এসেছে জাতিসংঘ ও মানবাধিকার সংস্থাগুলো।
বিশেষ করে উত্তর ইরাকের সংখ্যালঘু ইয়াজিদি সম্প্রদায়ের নারীদেরকে ধর্ষণ করাসহ এটি তাদের অধিকার এবং তা ‘ধর্মসম্মত’ বলেও দাবি করে জঙ্গিরা। এই নারীদের অনেককেই হয় জঙ্গিদের কাছে বিক্রি করা হয়, না হয় উপহার হিসাবে দেওয়া হয়।
নারীদের যৌনদাসী হিসেবে ব্যবহার বন্ধ করা তো নয়ই বরং এ ব্যাপারে রীতিমতো গর্ব করে জঙ্গিরা। যৌনদাসত্বের ব্যবস্থাপনার জন্য ‘ওয়ার স্পয়েলস’ বা (যুদ্ধ জঞ্জাল) নামে একটি আলাদা বিভাগও খুলেছে তারা। এ বিভাগের কথা সোমবারই জানিয়েছে গোষ্ঠীটি।
গত এপ্রিলে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ) আইএস এর হাত থেকে পালিয়ে বাঁচা ২০ নারীর সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে জানিয়েছিল, কিভাবে পুরুষ, বালক ও বৃদ্ধ নারীদের কাছ থেকে অল্পবয়সী মেয়ে ও তরুণীদের বয়সভেদে আলাদা করে নেয় জঙ্গিরা।
এরপর তাদেরকে ‘সংগঠিত ও পদ্ধতিগতভাবে’ ইরাক ও সিরিয়ার বিভিন্ন জায়গায় পাঠানো হয়। তারপর হয় তাদের বিক্রি করে দেওয়া হয়, নয়ত উপহার হিসেবে তুলে দেওয়া হয় জঙ্গিদের হাতে, যেখানে তারা অবিরাম ধর্ষণ ও যৌন সহিংসতার শিকার হয়।
চলতি বছর ২৯ জানুয়ারি জারি করা এক ফতোয়ায় আইএস এর ‘গবেষণা ও ফতোয়া বিষয়ক পরিষদ’ ৬৪ নম্বর ফতোয়ায় প্রথমবারের মতো আইএস জঙ্গি ও তাদের নারী বন্দিদের মধ্যে যৌন সংসর্গের নিয়ম বেঁধে দিয়েছে, যা ২০১৪ সালে গোষ্ঠীটির প্রকাশিত দাসীদের সঙ্গে আচরণ বিধিমালা বিষয়ক বইয়ের তুলনায় আরও বেশি বর্ণনামূলক।
©somewhere in net ltd.
১|
৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৮
নক্শী কাঁথার মাঠ বলেছেন: -- ইমাম আনওয়ার আল আওলাকি
এই কুত্তার বাচ্চাতো আল-কায়েদার নেতা ছিলো। বিস্তারিত পাবেন এখানে: https://en.wikipedia.org/wiki/Anwar_al-Awlaki