![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি পেশায় ডেন্টিস্ট, হিজামা থেরাপিস্ট ও ইসলামের দায়ী।
ভূমিকাঃ
কে ছিলেন কামাল আতাতুর্ক? প্রশ্নটা আপাত দৃষ্টিতে অর্থহীন বা সাদা-মাটা । আধুনিক তুরস্কের স্থপতি, যিনি তুরস্কের স্বাধীনতা যুদ্ধের বীর (গাজী), মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ কারী যে ব্যাক্তিটি উসমানী খিলাফতের বিলুপ্ত সাধন করেন, যার নামে ঢাকা শহরে একটি রাস্তার নামকরণ করা হয়েছে , যাকে নিয়ে আমাদের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম কবিতায় স্ততি রচনা করেছেন “ কামাল তুনে কামাল কিয়া”। ইতিহাস ও রাজনীতি বিষয়ে সামান্যতম ধারণা আছে এমন যে কোনো ব্যাক্তি এগুলো জানেন? তাছাড়া মুস্তফা কামাল পাশার সংক্ষিপ্ত জীবনী নিয়ে আমার লিখা ব্লগ “ মুস্তফা কামাল আতাতুর্ক ও ইসলাম বিদ্বেষ” এ ব্যাপারে আলোচনা করা হয়েছে। কিন্তু কেউ যদি বলেন তুর্কী জাতির পিতা কামাল আসলে তুর্কী বংশোদ্ভুতই নন, তিনি একজন ইহুদী এবং ফ্রী-মেসন, তাহলে অনেকেই হয়ত আঁতকে উঠবেন? আসুন আমরা জানার চেষ্টা করি উপরোক্ত দাবীর কোনো সারবত্তা আছে কি না?
সালোনিকাঃ
সালোনিকা (Salonica) এজিয়ান সাগরের উত্তর তীরে অবস্থিত বর্তমান গ্রীসের একটি সমুদ্রবন্দর এবং দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর। ১০০ বছর ধরে কন্সটান্টিনিপলের পরেই এটি বাইজেন্টাইন সম্রাজ্যের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর হিসাবে পরিচিত ছিল। ১৪৩০ সালে উসমানী সুলতান ২য় মুরাদ সালোনিকা অধিকার করে নেন এবং এ কে উসমানী সম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত করেন এবং তখন থেকে প্রায় পরবর্তী ৫০০ বছর ধরে এটি সম্রাজ্যের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর এবং সমুদ্র বন্দর হিসাবে পরিচিত ছিল। শহরটি উসমানী সম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত হওয়ার পর তুর্কী মুসলমানেরা এখানে বসবাস করা শুরু করে, শহরের অধিকাংশ বাসিন্দা ছিল অর্থোডক্স খৃস্টান এবং জাতিগত ভাবে পুর্ব ইউরোপীয়।, উসমানী সম্রাজ্যের পুরো সময় জুড়ে মুসলমানেরা এখানে সংখ্যালঘু ছিল। এ শহরের জনসংখ্যার দ্বিতীয় বৃহৎ পরিবর্তন সাধিত হয় ১৪৯২ সালে স্প্যানিশ ইঙ্কুইজিশনের সময়। স্পেনের রাজা দ্বিতীয় ফার্ডিনান্ড এবং রাণী ইসাবেলা ইহুদীদের স্পেন থেকে বহিস্কার করেন। উসমানী সম্রাজ্যের তদানিন্তন সুলতান দ্বিতীয় বায়েজীদ ইহুদীদের তার সম্রাজ্যে আমন্ত্রন জানান এবং বসবাসের অধিকার প্রদান করেন। স্পেন থেকে বিতাড়িত ইহুদীদের অধিকাংশ তখন সালোনিকাতে বসবাস শুরু করেন করেন। তখন থেকেই শহরটি তিন ধর্মের মিলনস্থলে পরিণত হয়।
সালোনিকাতে তিন ধর্মের নারী
বিংশ শতাব্দীর প্রারম্ভে উসমানী সম্রাজ্যের বৃহত্তম ইহুদী বসতি ছিল সালোনিকাতে, যা দেখে ইসরাইলের দ্বিতীয় প্রধানমন্ত্রী আশ্বস্ত হন যে, উসমানী ইহুদীদের নিয়ে ইসরায়েল রাস্ট্র প্রতিষ্ঠা সম্ভব। ১৯১৩ সালে গ্রীসের কাছে সালোনিকার পতন হয়, তখন থেকে এটা গ্রীসের অন্তর্গত একটি শহর।
এই সালোনিকাতেই ১৮৮১ সালে আলি রিজা এবং জুবায়দা দম্পত্তির ঘরে শিশু মুস্তফা’র জন্ম হয়।
সাবাতি জেভিঃ
সাবাতি জেভি
সাবাতি জেভি একজন ইহুদী সেফার্ডিক রাব্বি (Sephardic rabbi, সেফার্ডিক বলতে মুলত বোঝায়, যারা স্পেন থেকে বিতাড়িত হয়ে উসমানি সম্রাজ্যে আশ্রয় নেয়) ছিলেন, এবং কাবালা যাদুবিদ ছিলেন। তার জন্ম ১৬২৬ সালের ১লা আগস্ট স্মিরনা (Smyrna), বর্তমানে তুরস্কের ইজমির এ। তাদের পুর্বপুরুষ ছিল রোমানিয়ান বশদ্ভুত যাদের বসতি ছিল গ্রীসের Patra অঞ্চলে। ১৬৪৮ সালে মাত্র বাইশ বছর বয়সে ইহুদিদের বহুল প্রতীক্ষিত মাসিহ বলে নিজেকে দাবী করেন। ইজমিরের ইহুদীরা অত্যন্ত রক্ষণশীল ছিল, তারা তাকে মাসিহ হিসাবে গ্রহন করতে অস্বীকৃতি জানান এবং ১৬৫২ সালে ইজমির থেকে বিতাড়িত করেন ।
নিজ জন্মভূমি থেকে বিতাড়িত হয়ে তিনি কন্সটান্টিনিপল গমন করেন, সেখানে তিনি কিছু অনুসারী জোগাড় করতে সমর্থ হন। সাবাতি সেখান থেকে সালোনিকাতে পাড়ি জমান এবং সম্রাজ্যের বৃহত্তম ইহুদী বসতিতে নিজের ঘাঁটি স্থাপন করেন। তিনি সারা নাম্নী এক পতিতাকে বিয়ে করেন এবং ধর্ম গ্রন্থে বর্ণিত মাসিহ সংক্রান্ত ভবিষ্যিদবাণী প্রমাণ করেন। (তাদের ধর্ম গ্রন্থে ভবিষ্যদবাণী আছে যে মাসিহ একজন অসতী রমণীর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হবেন) এতে তার অনুসারীর সংখ্যা অনেক বৃদ্ধি পায়। ১৬৬৬ সালে তিনি আবার কন্সটান্টনিপল গমণ করেন, এবং দাবী করেন রাজমুকুট তার মাথায় স্থাপিত হবে। তার এ দাবীর কারণে সুলতান তাকে গ্রেফতার করেন, তাকে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করতে বলা হয়, নতুবা রাজদ্রোহীতা এবং ধর্মদ্রোহীতার কারণে তাকে মৃত্যু দন্ড প্রদান করা হবে। তিনি প্রথমটি গ্রহণ করেন এবং ইহুদী রাব্বির পোশাক বর্জন করে মুসলমানদের পাগড়ি পরিধান করেন। সুলতান তাকে আফেন্দী উপাধি প্রদান করেন এবং ভাতার ব্যবস্থা করেন। তার সাথে সাথে তার তিনশত অনুসারী পরিবার ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত হয়। ইতিহাসে এই ধর্মান্তরিত গোষ্ঠি কে Domneh (ধর্মান্তরিত) বলা হয়। সাবাতি জেভি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করার পরও তার ইহুদী ধর্ম চর্চা অব্যাহত রাখেন। ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করার কারণ হিসাবে ইহুদীদের বলেন যে, তিনি মুসলমানদের মাঝে ইহুদী ধর্মের প্রচার করছেন। অপরদিকে সুলতানের কানে ব্যাপারটি গেলে তিনি সুলতানকে বলেন, আমি ইহুদীদের ইসলামের দাওয়াত দিচ্ছি। তার প্রচেষ্ঠার ফলে তার অনুসারীর সংখ্যা অনেক বৃদ্ধি পায়। এরা প্রকাশ্য ইসলাম ধর্ম চর্চা চালিয়ে গেলেও সিনাগগে যেত এবং গোপনে বাড়িতে ইহুদী দের আচার –প্রথা পালন করতে থাকেন। আর এ কারণেই ইতিহাসে এদের গুপ্ত ইহুদী (Crypto Jew) বলা হয়।
১৬৭৪ সালে তিনি তার অনুসারী সহ সালোনিকাতে ফিরে যান এবং ১৬৭৬ সালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। সালোনিকার জনগোষ্ঠির মধ্যে বৃহত্তম অংশ ছিল Domneh. এরা পরবর্তীতে সম্রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক পট পরিবর্তনে ভুমিকা রাখে। ১ম বিশ্ব যুদ্ধ শুরুর প্রাক্কালে সালোনিকাতে ১৫০০০ Donmeh ছিল, ১৯১৩ সালে গ্রীসে অন্তর্ভুক্তির আগে পর্যন্ত তারা সেখানেই বাস করেন।
ধর্মত্যাগী হিসাবে মুসলমান এবং ইহুদী উভয়ই তাদের ঘৃণার চোখে দেখত। সাবাতি জেভি তাদের যৌনতার দিক দিয়ে উচ্ছৃংখল হওয়ার স্বাধীনতা দিয়ে গেছেন। এদের বিয়ে-শাদী সব সময় নিজেদের মধ্যে হত।
“ বছরে একবার (Donme দের বাৎসরিক ভেড়া উৎসবের সময়) নৈশ ভোজের পর সব গুলো মোম বাতি নিভিয়ে দেয়া হতো, তার পর শুরু হতো বিকৃত যৌনাচার এবং স্ত্রী বদল—— এই আচার অনুষ্ঠিত হওয়ার দিন টি ছিল সাবাতি জেভির জন্ম দিন…… । তাদের এই মিলনের ফলে জন্ম নেয়া শিশুটিকে ঋষি তুল্য জ্ঞান করা হতো।”
আলি রিজা, জুবায়দা ও DONMEH:
তুর্কী জনগোষ্ঠী মুসলিম, ইহুদী এবং খৃস্টানদের মধ্যে এমন কোনো বহুল প্রচলিত পরিস্কার কোনো প্রমান নেই যে, যাতে করে বলা যায় মুস্তফা কামালের পিত-মাতা বা তাদের কেউ একজন Domneh সম্প্রদায় ভুক্ত ছিলেন।
কে ছিলেন তার পিতা আলি রিজা?
তার সম্মন্ধে খুব কমই জানা যায়। তিনি সালোনিকাতে একজন কাস্টমস এর কেরানী ছিলেন। চাকুরী থেকে অবসর গ্রহণের পর যিনি দুই দুই বার ব্যাবসা প্রচেষ্টায় ব্যার্থ হন এবং মদের ভেতর নিজের আশ্রয় খুজে নেন। অতিরিক্ত মদ্যপানের কারণেই তার মৃত্যু হয়। তার আদিনিবাস নিয়ে জীবনী লেখকদের মধ্যে মত-পার্থক্য রয়েছে। কেউ বলেন তিনি আনাতোলিয়ান, কী বলেন সালোনিকান কিংবা কেউ বলেন তিনি আলবেনিয়ান। তার মা জুবায়দা আলবেনিয়ান সীমান্তবর্তী অঞ্চলের মেয়ে, তিনি ইসলামের প্রতি নিবেদিত প্রান একজন ধার্মিক মহিলা ছিলেন।
কিন্তু তার জীবনী লেখকগণ তার নিজের জবানীতে পিতা-মাতার যে বর্ণনা দিয়েছেন তা নিম্নরূপঃ
“আমার বাবা ছিলেন উদার চিন্তার অধিকারী একজন মানুষ, বরং তিনি ধর্মের প্রতি একজন শত্রু ভাবাপন্ন ব্যাক্তি এবং পশ্চিমা ধ্যান-ধারণার একনিষ্ঠ সমর্থক ছিলেন। তিনি আমাকে এমন একটি প্রতিষ্ঠিত বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হিসাবে দেখতে চেয়েছিলেন যে, যেখানে শিক্ষা ব্যাবস্থা কুরান- সুন্নাহ ভিত্তিক নয় বরং তা আধুনিক বিজ্ঞানের উপর ভিত্তি করে প্রতিষ্ঠিত।
ধ্যান-ধারনার এই যুদ্ধে, একটি ছোট কৌশলে আমার বাবা জয় লাভ করেন। তিনি ভান করেন যে, আমার মায়ের উদ্দেশ্য পুরণের জন্য, আমাকে ঐতিহ্য বাহী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ‘ফাতমা মোল্লা কাদিন’ এ একটি ইসলামিক স্কুলে ভর্তি করেন……
ছয় মাস অথবা তার কম বেশী পর তিনি আমাকে সেখান থেকে চাড়িয়ে নিয়ে আসেন এবং পুরাতন ‘শেমসি আফেন্দী প্রিপারেটরে স্কুলে’ ভর্তি করেন, যেখানে ইউরোপীয় পদ্ধতিতে পাঠদান হতো। আমার মা আর আপত্তি করেননি, কেননা তার ইচ্ছা পুরন হয়েছিল। এটা শিক্ষা নয়, কিন্তু ঐতিহ্যবাহী অনুষ্ঠান, যা তাকে সন্তষ্ট করেছিল।” (FORWARD, A Jewish Newspaper published in New York, January 28, 1994)
Lord Kinross’ compendious 1964 “Ataturk” এ তাকে একজন রহস্যাবৃত ব্যক্তি বলে উল্লেখ করা হয়, সেখানে আরো উল্লেখ করেন যে, আলি রিজা কখনোই তার পারিবারিক ইতিহাস উন্মুক্ত করতে চাইতেননা।
এখানে দেখা যায় আলি রিজার আচরণ একজন Domneh’র আচরণের সাথেই সঙ্গতিশীল।
তবে কেন সালোনিকাতে মুস্তফা কামাল আতাতুর্ক এর পারিবারিক ইতিহাসের বিশদ বিবরণ কিংবা Domneh সম্প্রদায়ের সাথে সম্পর্ক গত পরিস্কার কোনো বর্ণনা পাওয়া যায় না?
কারণ গুলো নিম্নরূপঃ
১। মুস্তফা কামাল বিখ্যাত হয়ে উঠার আগে তার পারিবারিক ইতিহাসে বিশদ বিবরণ জানার প্রয়োজন পড়েনি। এ সমস্ত ক্ষেত্রে পরিবার কর্তৃক সংরক্ষিত ইতিহাসই পরবর্তীতে মূল সুত্র হয়ে থাকে। মুস্তফা কামাল তার পিতার মতই নিজের পারিবারিক ইতিহাস নিয়ে গোপণীয়তা অবলম্বন করতেন।
২। তার মা প্রকৃতই একজন মুসলিম পরিবারের সন্তান হওয়াতে তার Domneh সম্প্রদায়ের সাথে সম্পর্কের ব্যাপারে সন্দেহের উদ্রেক হয়নি। প্রসংগত আমরা জেনেছি Domneh সম্প্রদায়ের বিয়ে-শাদি নিজেদের মধ্যেই হয়।
৩। ১৯১৩ গ্রীসের হাতে সালোনিকার পতনের পর তুর্কি নাগরিকেরা মুলতঃ মুসলমান এবং Domneh সম্প্রদায় ইস্তানবুলে গিয়ে বাস করা শুরু করেন এবং পরবর্তীতে সেখানেই আত্মীকৃত হয়ে যায়। ফলে তাদের আর তেমন খুঁজে পাওয়া যায়না।
৪। Domneh সম্প্রদায় বাহ্যিক ভাবে মুসলমানদের মতই ছিলেন। তাদের এই বর্ণচোরা বৈশিষ্ট্যের কারণে কাউকে সন্দেহাতীত ভাবে Domneh বলা সম্ভব নয়।
এই কারণ গুলোর পাশাপাশি একটি সম্ভাবনাও রয়ে যায়, আর তাহলো তিনি প্রকৃতই এক মুসলিম পরিবারের সন্তান, যে পরিবারের কর্তা সেকুলার ধ্যান-ধারণা পোষনকারী ব্যাক্তি, যা আমাদের সমাজে আকসার দেখা যায়।
কিন্তু, ১৯৯৪ তে নিউ ইয়র্ক থেকে প্রকাশিত Forward নামক ইহুদী সংবাদপত্রের ২৮শে জানুয়ারী সংখ্যা কামাল আতাতুর্ক এর পরিচয় এর উপর হঠাৎ আলোর ঝলকানি ফেলে। সেই বছর ২৪শে জানুয়ারী ইসরাইলের প্রেসিডেন্ট এজের ওয়েজমেন কোনো ইসরায়েলি রাস্ট্র প্রধান হিসাবে সর্বপ্রথম তুরস্ক সফর করেন। জিকরন ইয়াকুব নামে একজন সাংবাদিক প্রেসিডেন্টের সেক্রেটারীকে ফোন করে জিজ্ঞাসা করেন যে, প্রেসিডেন্ট কামাল আতাতুর্কের স্মরণে কোনো অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন কিনা? সেক্রেটারী তার সফর সূচী দেখে হাঁ সুচক উত্তর দেন।
এই মোক্ষম সময় তিনি দ্বিতীয় প্রশ্ন করে বসেন, “প্রেসিডেন্ট কি জানেন যে, কামাল আতাতুর্ককে শৈশবে হিব্রু প্রার্থনা শিক্ষা দেয়া হয়েছিল এবং তিনি ইহুদী বংশদ্ভুত। তিনি সাথে সাথে বিস্মিত না হয়ে বলেন অবশ্যই। ফোন রেখে দেয়ার পর তিনি বুঝতে পারেন যে তিনি ভুল করে ফেলেছেন, এবং আতাতুর্কের গোপনীয় তথ্য ফাঁস করে দিয়েছেন। তাই পরবর্তীতে তিনি জনাব ইয়াকুবের কাছে আবার টেলিফোন করেন এবং জানতে চান, তিনি এই গোপন তথ্যের ব্যাপারে কতটুকু জানেন। সেক্রেটারী সেই তথ্যেরই সত্যায়ন করেন যা কামালের জীবদ্দশায় মানুষের মুখে মুখে ছিল, যা তিনি সব সময়ই অস্বীকার করে এসেছেন, তার জীবনী লেখকেরাও কখনো এই ব্যাপারটাকে গুরুত্বের সাথে গ্রহণ করেননি।
সাংবাদিক সাহেব যা জানেন তার সংক্ষিপ্ত রূপ ফ্যাক্স করে পাঠান।
জিকরন ইয়াকুবের ব্যাপারটি নজরে আসে যখন তিনি ইতামার বেন আভির আত্ম জীবনী পড়ছিলেন, যিনি এলিজার বেন আভির সন্তান। এলিজার বেন আভি সেই ব্যাক্তি যিনি উনবিংশ শতাব্দীতে হিব্রু ভাষায় কথনকে পুনরূদ্ধার ও প্রচলন করেন। বেন আভি একজন সাংবাদিক ছিলেন। তিনি লিখেনঃ
১৯১১ সালের শরৎ কালীন এক সন্ধ্যায় তিনি জেরুসালেমের কামেনিটজ হোটেলে প্রবেশ করেন, হোটেলের মালিক তাকে বলেন,
“তুমি কি ঐ তুর্কী অফিসারকে দেখেছ, যে ঐ কোণায় এক বোতল আরক (এক প্রকার মদ) নিয়ে বসে আছে?”
“হাঁ”
“তিনি তুর্কী সেনাবাহিনীর একজন অন্যতম প্রভাবশালী অফিসার।”
“ তার নাম কি?”
“ মুস্তফা কামাল”
“ আমি তার সাথে কথা বলতে চাই” তিনি তাকে বলেন, “কেননা যে মুহুর্তে আমি তাকে দেখি তার তীক্ষ্ণ সবুজ চোখের দৃষ্টি দেখে আঁতকে উঠি।”
বেন আভি মুস্তফা কামালের সাথে দুইটি সাক্ষাতের বিবরণ দেন, যিনি তখনো আতাতুর্ক নাম ধারণ করেননি। দুইবারই কথোপকথন ফ্রেঞ্চ ভাষায় হয়েছিলো, যার অধিকাংশই ছিল আরকের নেশায় আচ্ছন্ন অবস্থায় উসমানী রাজনীতি নিয়ে। প্রথমেই কামাল আস্থার সাথে বলেনঃ
“আমি সাবাতি জেভির একজন বংশধর- কিন্তু প্রকৃত পক্ষে আমি এখন আর ইহুদী নই, কিন্তু আমি তোমাদের এই নবীর (সাবাতি জেভি) একজন গুণমুগ্ধ ভক্ত। এই দেশের সকল ইহুদী তার সাথে যোগ দিলে ভালো করত।”
১০ দিন পর তাদের দ্বিতীয় সাক্ষাতে তিনি বলেন, “ আমার বাড়িতে ভেনিসে মুদ্রিত একটি হিব্রু বাইবেল আছে। এটা আসলে অনেক পুরনো, আমার মনে আছে আমার বাবা আমাকে এটা শিক্ষা দেয়ার জন্য একজন কারাইতে শিক্ষক নিয়োগ দিয়েছিলেন, যিনি এটা আমাকে পড়তে শেখান। আমার এখনো এটা থেকে কিছু শব্দ মনে আছে—–”
বেন আভি বলতে থাকেনঃ
সে কিছুক্ষণ চুপ থাকেন, তার চোখ শুন্যে কিছু খুঁজছিল। তার পর সে বলেনঃ
“শেমা ইস্রায়েল, আদোনাই এলোহেনু, এদোনাই এহাদ!” শোনো ও ইসরায়েল, প্রভু আমাদের উপাস্য, আমাদের উপাস্য এক”)
“এটা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রার্থনা ক্যাপ্টেইন”
“এবং এটা আমারও গোপণ প্রার্থণা” গ্লাস গুলো পূর্ণ করতে করতে সে উত্তর দেয়।
যদিও বেন আভি’র এটা জানার কোনো উপায় ছিলনা, কোনো সন্দেহ নেই আতাতুর্ক আক্ষরিক অর্থেই গোপণ প্রার্থণা বুঝিয়েছেন। Donmeh দের গুপ্ত প্রার্থণা গুলোর খবর ১৯৩৫ সালে সর্ব প্রথম বিদগ্ধ মহল জানেন, যখন জেরুজালেম ন্যাশনাল লাইব্রেরী থেকে একটি বই তাদের হাতে পৌঁছে, যা ছিলো তাদের বিশ্বাসের স্বীকারোক্তিঃ
“একমাত্র সাবাতি জেভিই সত্য মাসিহ। শোনো ও ইসরায়েল, প্রভু আমাদের উপাস্য, আমাদের উপাস্য এক”
এটা সন্দেহাতিত ভাবে এই বই থেকেই আতাতুর্ক এই প্রার্থণা কে মনে রেখেছেন, বাইবেল থেকে নয়। যেটা পরিণত বয়সে তার গুপ্ত বিশ্বাসের একটি স্বীকারোক্তি, যা তিনি করেছিলেন একজন তরুন ইহুদী সাংবাদিকের কাছে মাতাল অবস্থায়। এ ঘটনার প্রায় এক দশক পরে, প্রথম বিশ্ব যুদ্ধে উসমানী সম্রাজ্যের লজ্জাজনক পরাজয়ের পর যখন তিনি জাতির নেতৃত্ব গ্রহন করেন, আগ্রাসী গ্রিকদের পরাজিত করেন। অতঃপর মসজিদ সমূহের বিকৃতি ঘটান। তখন তার Donmeh পরিচয় গোপণ করার জন্য যথাযথ কারন বিদ্যমান ছিলো।
উপরোক্ত আলোচনা থেকে সন্দেহাতীত ভাবেই বলা যায়, মুস্তফা কামাল আতাতুর্ক একজন গুপ্ত ইহুদী ছিলেন এবং ভন্ড মাসিহ সাবাতি জেভির বংশধর।
ফ্রী-মেসন্স, ইলুমিনাটি, NEW WORLD ORDER:
ফ্রী-মেসন্স একটি গুপ্ত সমাজের নাম, যারা কাবালা যাদু বিদ্যার মাধ্যমে শয়তানের উপাসনা করে থাকে। এই গুপ্ত সমাজের সদস্যরা একে অপরের সাথে সাংকেতিক ভাষায় তাদের যোগাযোগ সম্পন্ন করে। যারা যে স্থানটিতে পুজা-অর্চনার জন্য মিলিত হয়, সে ই স্থান টিকে লজ বলে। তাদের সভ্যদের মর্যাদার স্তর বিন্যাস সমাজের কর্ম-কান্ডে তাদের অংশ গ্রহণ এবং অবদানের ভিত্তিতে বিভিন্ন ডিগ্রীতে নিরূপিত হয়। যেমন কোনো কোনো সদস্যকে বলা হয় ৩২ ডিগ্রী ফ্রি-মেসন ১৩ ডিগ্রী ফ্র-মেসন ইত্যাদী । বিভিন্ন জ্যামিতিক আকৃতি, ইন্সট্রুমেন্ট, পিরামিড, পেন্টাগ্রাম তাদের সমাজের প্রতীক হিসেবে ব্যাবহৃত হয়। সবচেয়ে বিখ্যাত প্রতীক হচ্ছে, শয়তানের তথাকথিত ‘সর্ব দর্শী এক চোখ’।
ফ্রী-মেসন্সরা হলো পৃথিবীর সব চেয়ে প্রভাবশালী গোষ্ঠী। মূলতঃ রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামরিক ভাবে পুরো বিশ্বকে নিয়ন্ত্রণ করে। এরা তাদের সামাজিক সংস্থা গুলোর দ্বারা তথাকথিত জনকল্যাণ মূলক কাজের মাধ্যমে অজ্ঞ জনগোষ্ঠীর মধ্যে একটি মহৎ ভাব বজায় রাখে।
এদের উৎপত্তির সাথে ক্রুসেডের যুদ্ধের ইতিহাস জড়িত। ক্রুসেড ফেরত কিছু যোদ্ধাদের দ্বারা ত্রয়োদশ শতাব্দীতে সর্বপ্রথম ফ্রান্সে এদের কার্যক্রম শুরু হয়। পরবর্তীতে স্কটল্যান্ড হয়ে ইংল্যান্ডে এরা ঘাঁটি গাড়ে এবং ইহুদীদের সাথে সম্পর্ক স্থাপিত হয়। সেখান থেকে তারা আমেরিকাতে বিস্তার লাভ করে।
(ফ্রী-মেসন্সদের উৎপত্তি ও কার্যকলাপ নিয়ে পৃথক একটি সিরিজে আলোচনা করা হবে ইন শা আল্লাহ)
১৭৭৬ সালে ১লা মে এডাম উইশপ্ট নামে একজন ফ্রী-মেসন্স এর হাতে ইংল্যান্ডে ইলুমিনাটি অর্ডারের সূচনা হয়। ইলুমিনাটি শব্দের অর্থ আলোক প্রাপ্ত। ইলুমিনাটি নামকরণের ক্ষেত্রে গ্রীক পুরাণের প্রমিথিউসের কাহিনীকে রূপক অর্থে গ্রহণ করা হয়েছেঃ
প্রমিথিউস স্বর্গের দেবতা জুপিটারের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে সুর্য থেকে আগুন চুরি করে মানুষের কাছে পৌঁছে দিয়েছিল আর তাই জুপিটার তাকে পর্বত চুড়ায় শৃংখলিত করে রেখেছে।
তেমনি ভাবে তাদের বিশ্বাস মতে শয়তান মানুষের কাছে আলো পৌঁছে দেয়ার জন্য ঈশ্বর কর্তৃক শাস্তি প্রাপ্ত হয়।শয়তান হলো Light Bearer, যার অর্থ লুসিফার, তাই তারা শয়তানের উপাসনা করে।
ইলুমিনাটি বা ফ্রীমেসন্স দের বার্তা পৌছানোর জন্য সবচাইতে পরিচিত মাধ্যমটি আমেরিকান ১ ডলারের নোট। যেখানে একটি অসমাপ্ত পিরামিডের উপর একটি একচোখের ছবি, পিছনে উদীয়মান সুর্য। নীচের দিকে অর্ধ বৃত্তাকারে ল্যাটিন ভাষায় লিখিত আছে “ NOVUS ORDO SECLORUM” ইংরেজীতে যার অর্থ হলো ‘NEW ORDER OF THE AGE’ যা ‘NEW WORLD ORDER’ এরই অন্য একটি রূপ।
ফ্রীমেসন্স রা ছাগল মাথার শয়তানের পুজা করে যাকে তারা Baphomet বলে। তারা তাদের একচোখ বিশিষ্ট নেতা বা ঈশ্বরের আগমণের জন্য অপেক্ষমান, যিনি তাদের নতুন একক বিশ্বব্যাবস্থায় (New World Order) পুরো বিশ্বের নেতৃত্ব দেবেন। কিন্তু তাদের এই নতুন বিশ্ব-ব্যাবস্থা গঠণে সবচেয়ে বড় বাধা ইসলাম। আর এই বাধা অপসারণে এ যাবত কালের সবচেয়ে বড় অর্জন হলো ১৯২৪ সালে খেলাফতের বিলুপ্ত সাধন। আজও তাদের বাধা অপসারণের কাজ অদম্য গতিতে এগিয়ে চলেছে। বলা হয়ে থাকে বর্তমানে পৃথিবীতে এমন কোনো দেশের সরকার নেই যারা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে ইলুমিনাটিদের উদ্দেশ্য সাধনে কাজ করে যাচ্ছে। তারা তাদের এক চোখ বিশিষ্ট ঈশ্বরের আগমণের পথ প্রশস্থ করণে ব্যাস্ত, তারাই তার পুরোগামী। আর এই পুরোগামীদের মধ্যে একজন হলেন ফ্রীমেসন্সদের গ্রান্ড ওরিয়েন্ট অটোমান / ইটালিয়ান লজের তৎকালীন সদস্য মোস্তফা কামাল আতাতুর্ক।
উল্লেখ্য, ইসলামী বিশ্বাস মতে শেষ জামানায় কিয়ামতের পুর্বে একজন এক চোখ বিশিষ্ট ব্যাক্তির আবির্ভাব হবে যিনি নিজেকে ঈশ্বর দাবি করবেন, তার নাম দাজ্জাল।
মুস্তফা কামাল যে, ফ্রী-মেসন্স দের একজন নামজাদা সদস্য ফ্রিমেসন্সদের নিম্নোক্ত ওয়েব সাইট গুলো ভিজিট করলে জানা যাবেঃ
http://www.internetloge.de/arst/masons1.htm
Atatürk, Mustafa Kemal – Vater der modernen Türkei
http://www.angelfire.com/ga/fdl746/famous.html
Ataturk, Mustapha Kemal – President of Turkey
http://www.editions-maconniques.eu/
– ATATURK, Mustapha Kemal (1881‑1938) Chef des “Jeunes Turcs” et père de la Turquie moderne dont il fut le Président de 1923 jusqu’à sa mort. Il était membre d’une loge italienne, Macedonia Resortae Veritas.
তরুন তুর্কী আন্দোলনঃ
তরুন তুর্কী আন্দোলন ছিল ১৯০৮ সালে খলিফা দ্বিতীয় আব্দুল হামিদের বিরূদ্ধে আন্দোলন। খলিফা ১৮৭৬ সালে রাজতন্ত্র চালু করেন এবং সংবিধান স্থগিত করেন। এই আন্দোলনে কতগুলো আন্ডার গ্রাউন্ড রাজনৈতিক দল অংশ গ্রহণ করে, এরা হলো ‘Committee of Union of Progress’, ‘Freedom and Accord Party’ এবং ‘Ottoman Socialist Party’
এদের উদ্দেশ্য ছিল, সংবিধানের পুনরূদ্ধার এবং বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ও খলিফা আব্দুল হামিদ কে ক্ষমতা থেকে উৎখাত করা।
তরুন তুর্কী আন্দোলনের সূতিকাগার ছিলো সালোনিকা। তখন সালোনিকার জন সংখ্যা ছিলো ১৪০০০০ যার মধ্যে ৮০০০০ ছিলো স্প্যানিশ ইহুদী আর ২০,০০০ ছিলো Domneh সম্প্রদায় নামক গুপ্ত ইহুদী।
এই ইহুদী এবং গুপ্ত ইহুদীরাই আন্দোলনের মূল চালিকাশক্তি হিসাবে কাজ করে, যাদের অনেকেই ছিলেন ফ্রীমেসন্স। মুস্তফা কামাল আতাতুর্কের নেতৃত্বাধীন ভাতান আন্দোলন( কট্টোর জাতীয়তাবাদী এবং সেকুলার সংগঠন) এই আন্দোলনের সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করে। মুস্তফা কামাল আতাতুর্ক সহ সেনাবাহিনীর অনেক তরুন অফিসার বিদ্রোহ করে। যদিও দেনা কমাতে সুলতান দ্বিতীয় আব্দুল হামিদ যথেষ্ট কৃতিত্ব ও সফলতার পরিচয় দেন, তবুও তরুন তুর্কীরা তাকে বিদায় নিতে বাধ্য করে।
আব্দুল হামিদকে উৎখাতের সিদ্ধান্ত জানানোর জন্য মন্ত্রীপরিষদ প্রধান তৌফিক পাশাকে ডেকে দায়িত্ব নিতে বলা হয়, তিনি তা করতে অসম্মতি জ্ঞাপন করেন। পরে তারা চার জনের একটি দলকে পাঠান যাদের মধ্যে ছিলেনঃ আরেফ হিকমত, আরাম আফেন্দী ( আর্মেনিয়ান), আসাদ তোবাতানি এবং ইমানুয়েল ক্রা’শ (ইহুদী)। যখন তারা তার অফিসে প্রবেশ করেন, তিনি তখন শান্তভাবে দাঁড়িতে ছিলেন। আরেফ হিকমত তার বিরূদ্ধে যখন রায় পড়ে শোনান এবং আসাদ তোবাতানি এগিয়ে আসেন এবং বলেন, “ জাতি আপনাকে আপনার পদ থেকে অপসারন করেছে”
তিনি তখন রাগান্বিত হন এবং বলেন, জাতি আমাকে আমার পদ থেকে অপসারন করেছে, ঠিক আছে, তবে তোমরা কেন ইহুদীকে খলিফার কক্ষে নিয়ে এসেছ? তিনি ইমানুয়েল ক্রা’শ এর দিকে অঙ্গুলি নির্দেশ করেন।
আব্দুল হামিদ স্পষ্টতঃ তাকে উৎখাতের প্রকৃত কারণ অনুধাবন করেছিলেন।
এই আন্দোলনের উদ্দেশ্য বহু দলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হলেও এর প্রকৃত কারণ এবং পটভুমি ছিল ভিন্ন।
অষ্টাদশ শতাব্দীর শেষের দিকে উসমানী শাসক বৃন্দ একটি মারাত্মক পাপকাজে লিপ্ত হয়। ইসলামের ও মুসলমানদের অভিভাবক হয়েও খলিফা ইহুদী ব্যাংকারদের কাছে থেকে সুদে অর্থ ধার করেন। যে কাজটি করতে কুরান ওই সুন্নাহয় সুস্পষট ও কঠোর নিষেধাজ্ঞা আছে। আর এর দরুন উসমানী সম্রাজ্যে সুদী ব্যাঙ্কিং প্রথার প্রচলণ ঘটে। কিন্তু উসমানী সুলতানরা এই দেনা শোধে ব্যার্থ হন। এই ব্যাংকাররা সুলতান আব্দুল হামিদের কাছে প্রস্তাব রাখেন, এই দেনার বিনিময়ে প্যালেস্টাইন ইহুদীদের নিকট লিখে দিতে। সুলতান ২য় আব্দুল হামিদ তা রীতিমত প্রত্যাখ্যান করেন।
ইহুদী রাব্বি হাইম নাহুম হলো সেই ব্যাক্তি, যিনি খলিফা আব্দুল হামিদ দ্বারা প্রত্যাখ্যাত হন, কারন সে প্যালেস্টাইন চেয়েছিলো। যারা আব্দুল হামিদকে ক্ষমতাচ্যুত করে, তিনি ছিলেন তাদের মধ্যে একজন। তার পরিবার ছিলো তৎকালিন বৃহত্তম অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠানের উপদেষ্টা এবং তুরস্কে ইহুদীদের অধিকার রক্ষাকারী।
পরবর্তীতে এই ইহুদী রাব্বি হাইম নাহুম-ই সেই ব্যাক্তি যিনি লর্ড কার্জনকে বলেন, তুরস্কের স্বাধীনতাকে স্বীকার করে নিন এবং আমি আপনার কাছে প্রতিজ্ঞা করছি, তারা এমন এক শর্তে রাজী হবে, যাতে করে তারা ইসলাম এবং যা ইসলামকে প্রতিনিধিত্ব (খিলাফত) করে তাকে পদদলিত করবে।
হাইম নাহুম ঘনিষ্ঠ ভাবে মুস্তফা কামাল এবং অন্য একজন মহিলার সাথে কাজ করেন, যিনি ব্রিটিশ সিক্রেট এজেন্সীর সদস্য ছিলেন। যিনি ইসমেত ইনোনুর ( তুরস্কের প্রধান মন্ত্রী, পরবর্তীতে প্রেসিডেন্ট) খুবই ঘনিষ্ঠ হন। তাদের ঘনিষ্ঠতা এমন পর্যায়ে পৌঁছে যে, কুটনৈতিক মহল পর্যন্ত উদবিগ্ন হয়ে উঠে।
তরুন তুর্কী আন্দোলনের সফলতা সেনাবিহিনীতে মুস্তফা কামালকে পাদ-প্রদীপের আলোয় নিয়ে আসে, এবং সেনাবাহিনীর একজন প্রভাব শালী সদস্যে পরিণত হন এবং রাজনীতিতে প্রকাশ্য ভুমিকা রাখার সুযোগ পান। যা পরবর্তীতে তাকে সাফল্যের চুড়ায় নিয়ে যায়।
তরুন তুর্কী আন্দোলনের পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন যে, পরিপুর্ণ ভাবে ফ্রী-মেসন্স দ্বারা সংঘটিত হয়েছিলো তার প্রমাণ নিম্ন লিখিত পত্র থেকে জানা যায়ঃ
পত্রটি কন্সটান্টিনিপল এ নিযুক্ত তৎকালীন ব্রিটিশ রাস্ট্রদূত স্যার জেরাল্ড লোথার কর্তৃক প্রখ্যাত ব্রিটিশ ইতিহাস বেত্তা স্যার চার্লস হারডিং এর প্রতি প্রেরিত।
প্রাচ্য কিভাবে হারল
গোপণীয়
স্যার জেরাল্ড লোথার কর্তৃক স্যার চার্লস হারডিং এর প্রতি প্রেরিত।
(ব্যাক্তিগত ও গোপণীয়)
কন্সটান্টিনিপল
২৯শে মে, ১৯১০
প্রিয় চার্লস,
২৩ শে এপ্রিলে প্রাপ্ত গোরস্ট এর টেলেগ্রাম (স্যার এল্ডন গোরস্ট, কায়রোতে নিযুক্ত প্রধান ব্রিটিশ এজেন্ট) যা মোঃ ফরিদেকে কায়রোতে কন্সটান্টিনিপল ফ্রি-মেসন্স দের প্রতিনিধি হিসাবে নিযুক্তির গুজবের ব্যাপারে লিখিত, এটা ঘনিষ্ঠ ভাবে ‘Committee of Union of Progress’ এর সাথে সম্পর্কিত। তাই আমাকে তরুন তুর্কীর মাধ্যমে পরিচালিত মহাদেশীয় ফ্রী-মেসনরি সম্পর্কে তোমার কাছে একটি কষ্টকর লম্বা চিঠি লিখতে উদ্বুদ্ধ করেছে। তাই ব্যাক্তিগত ও গোপনীয় ভাবে বলি, তুরস্কে এই নতুন ফ্রি-মেসনরি যা ইংল্যান্ড কিংবা আমেরিকার মত নয়, এর বিরাট অংশ রাজনৈতিক ও গোপণীয়তায় আচ্ছাদিত, একান্ত কঠোর গোপণীয়তার সাথেই কোনো তথ্য পেতে হয়। যখন কেউ বিশ্বাসঘাতকতা করে, তখন মাফিয়াদের হাতে এই তথ্যের গোপণীয়তা হুমকির সম্মুখীন হয়। কিছুদিন আগে একজন স্থানীয় মেসন কৌশল সংক্রান্ত গোপণ সংকেত প্রকাশ করলে তাকে এই বলে কোর্ট মার্শালে পাঠানোর হুমকি দেয়া হয়, যা আমাদের অবরোধের কারণে গঠিত।
যেহেতু তুমি জান, প্যারিসে তরুন তুর্কী আন্দোলন অনেকাংশে পৃথক ছিল, তার কারণ সালোনিকাতে কর্ম কৌশলের ব্যাপারে একটা বড় অংশই অজ্ঞ ছিলো। সালোনিকার জন সংখ্যা প্রায় ১৪০০০০, তার মধ্যে ৮০০০০ স্প্যানিশ ইহুদী, ২০০০০ হাজার সাবাতি জেভি সম্প্রদায়ের গুপ্ত ইহুদী যারা প্রকাশ্য মুসলমান হওয়ার ভান করে। আগের গ্রুপের অনেকেই অতীতে ইটালিয়ান নাগরিকত্ব গ্রহন করেছে, তারা ফ্রীমেসন্স এবং ইটালিয়ান লজের সদস্য। রোমের ইহুদী মেয়র নাথান একজন উচ্চ মর্যাদা সম্পন্ন ফ্রী-মেসন্স। ইহুদীদের প্রিমিয়ার লুজ্জাতি এবং সোন্নিও এবং অন্যান্য ইহুদী সিনেটরকে দেখে বোঝা যাচ্ছে তারাও মেসন্সদের সদস্য পদ গ্রহণ করেছে।
তারা দাবী করে যে, তারা প্রাচিন স্কটিশ লজের অর্চনা পদ্ধতি অনুসরণ করে।
সালোনিকা ( কামাল আতাতুর্ক এই সালোনিকা থেকেই এসেছেন) আন্দোলনের অনুপ্রেরণা মুলতঃ ইহুদীদের দ্বারাই এসছে, যেখানে স্বাধীনতা সাম্য, ভ্রাতৃত্ব ইত্যাদি শব্দ গুলো, তরুন তুর্কীদের উদ্দেশ্য, ইত্যাদী ইটালিয়ান লজ থেকেই এসেছে। ১৯০৮ সালে বিপ্লবের পর যখন কন্সটান্টিনিপল এ তাদের কমিটি স্থাপিত হয়, তখন জানা যায়, এদের নেতৃস্থানীয় অনেকেই ফ্রিমেসন্স। এটা লক্ষণীয় যে, সকল বর্ণের দেশী-বিদেশী ইহুদীরা নতুন পরিস্থিতির উদ্যমী সমর্থক, যে পর্যন্ত একজন তুর্কী বলেছে, এই আন্দোলন মূলতঃ ইহুদীদের আন্দোলন, তুর্কীদের নয়———–। (Satanic voices Ancient and Modern-by David Musa Pidcock)
ব্রিটিশ এজেন্ট মুস্তফা কামাল পাশাঃ
মুস্তফা কামালের বীরত্বের কথা আমরা আগেই জেনেছি, তিনি প্রথম বিশ্বযুদ্ধে ও পরবর্তীতে ব্রিটিশ আগ্রাসনের বিরূদ্ধে ও তুরস্কের স্বাধীনতা যুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়ে যুদ্ধে জয় লাভ করেন এবং জাতীয় বীরে পরিণত হন। কিন্তু কি কারণে সেদিন ব্রিটিশ নেতৃত্বাধীন মিত্র শক্তি তুরস্কের সাথে সন্ধি করতে বাধ্য হয়েছিলো, যারা ১ম বিশ্ব যুদ্ধে অক্ষ শক্তিকে পর্যদুস্ত করেছিল, কিন্তু তুরস্কের কাছে এসে হোঁচট খেলো, এটা কি মুস্তফা কামালের বীরত্ব না অন্য কিছু?
এর কারণ ছিল মূলত দুটি, প্রথমতঃ ইতিহাস থেকে মিত্র শক্তি জানত যে, মুসলমানদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেলে তারা কেমন ভয়ংকর হয়ে উঠতে পারে। তখন হয়ত কিছুদিনের জন্য তুরস্ক অধিকার করে রাখতে পারবে, কিন্তু একটি স্বাধীনতাকামি জনগোষ্ঠীর সাথে জনযুদ্ধের সম্মুখীন হতে হবে। সারা পৃথিবীর মুসলমান তাদের সাথে এসে মিলিত হবে। তারা এই ঝুঁকি নিতে চায়নি।
দ্বিতীয়তঃ তাদের মুখ্য উদ্দেশ্য ছিলো খিলাফত তথা উসমানী সম্রাজ্যের পতন। দ্বিতীয় উদ্দেশ্য যদি যুদ্ধ ব্যাতিত অন্য কোনো উপায়ে সাধিত হয়, তাহলে যুদ্ধের আবশ্যকতা থাকে না।
ব্রিটিশ সরকার মূলতঃ মস্তফা কামালের সাথে খিলাফত ধ্বংস করার শর্তে পিছু হটেছিলো।
এর প্রমাণ পুর্বে উল্লেখিত লর্ড কার্জনের প্রতি ইহুদী রাব্বি হাইম নাহুম এর উক্তিতে।
১৯১৫ সালে গেলিপলুর ( বর্তমানে GELIBOLU) যুদ্ধে মিত্র শক্তির বিরূদ্ধে ডার্ডানেলস প্রণালী রক্ষা করার জন্য তৎকালীন কর্ণেল মুস্তফা কামাল রণ কৌশল সাজাচ্ছিলেন, তখন ব্রিটিশ বাহিনী রহস্যজনক কারণে তার সাথে চুক্তিতে আবদ্ধ হন এবং পিছু হটেন ( এই ঘটনা মুস্তফা কামালের রণ নৈপুণ্যের মাইল ফলক হয়ে আছে, যদিও প্রকৃত সত্য উদ্ঘাটনের চেষ্টা খুব কমই হয়েছে)। আর সেদিন থেকে মুস্তফা কামাল পরিণত হন ব্রিটিশদের ভবিষ্যত পরিকল্পণা বাস্তবায়নে দাবার বোর্ডে সবচেয়ে ক্ষমতাধর ঘুঁটি এবং একজন পাপেট।
গেলিপলুর যুদ্ধের পর মুস্তফা কামাল পাশা (জেনারেল) উপাধি লাভ করেন। এবং খেলার দ্বিতীয় পর্ব শুরু হয় ১৯১৯ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধে। মুস্তফা কামালকে নিয়ে তুর্কীদের পরিকল্পণা ছিলো নিম্নরূপঃ
তিনি ইস্তানবুল ত্যাগ করেন বান্দিরমা ( আংকারায় আতাতুর্ক যাদুঘরে এই সুন্দর নৌকার একটি মডেল সংরক্ষণ করা হয়েছে) নামে একটি ছোট নৌকায়। সেখান থেকে তিনি কৃষ্ণ সাগর উপকুলে একটি ছোট শহর স্যামসান এ অবতরণ করেন। ১৯শে মে ১৯১৯ সালে ( পরবর্তীতে এ দিনটি তুরস্কের যুব দিবসের মর্যাদা লাভ করে) স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরু হয়। তিনি তুরস্কের মানুষের কাছে স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষা তুলে ধরেন। ব্রিটিশরা এই ভাবে “দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া নিপীড়িত জনগোষ্ঠী যারা যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত” তাদের একজন যোগ্য নেতার ব্যাবস্থা করেন।—- এই নেতা আর কেউ নন তাদেরই পুতুল মুস্তফা কামাল পাশা।
আর তাই ব্রিটিশ রাজা যুদ্ধ পরবর্তীতে মুস্তফা কামাল আতাতুর্ক কে ব্রিটিশদের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ সম্মাননা প্রদান করতে উৎসাহিত হন।
তুরস্কের প্রথম ( মুস্তফা কামাল) ও দ্বিতীয় প্রেসিডেন্টের ( ইসমেত ইনোনু) মধ্যে কথোপকথনের মাধ্যমে বিষয়টি আরো উন্মোচিত হয়।
মুস্তফা কামালঃ ইসমেত তুমি মনযোগ দিয়ে আগ্রহ সহকারে কি পড়ছ? এটা কি সেই সম্মাননা যা দিয়ে ব্রিটিশ রাজা আমাকে সম্মানীত করবেন?
ইসমেত ইনোনুঃ এই সম্মাননাটা আসলে কি?
মুস্তফা কামালঃ তুমি কি আমেরিকান এবং সারা বিশ্বের খবরের কাগজ পড়নি যে, ইংরেজদের রাজা আমাকে সর্বোচ্চ সম্মাননা দেবেন।
ইসমেত ইনোনু ঠান্ডা ভাবে জিজ্ঞাসা করেনঃ ঠিক আছে, কিন্তু কি কারণে তারা আপনাকে এই সম্মাননা দেবে?
মুস্তফা কামালঃ ইসমেত, সবার চেয়ে তোমার বেশী জানার কথা যে, ইংরেজরা আমাকে অনেক বেশী ভালোবাসে আর এর প্রমাণ লয়েড জর্জকে ( তুরস্কের স্বাধীনতার বিরোধীতাকারী প্রধান মন্ত্রী) সরিয়ে দেয়ার মাধ্যমে।
লুসানে চুক্তি ( তুরস্কের স্বাধীনতা দানকারী চুক্তি, যা ১৯২৩ সালের ২৪ শে জুলাই সুইজারল্যান্ডের লুসানে শহরে স্বাক্ষরিত হয়) শুধু একটি শান্তি চুক্তিই নয়, এটা ছিলো পাশ্চাত্য, বিশেষ করে ব্রিটেনের স্বার্থ রক্ষাকারী চুক্তি। এর প্রাথমিক লক্ষ ছিলো উম্মাহ এবং ইসলাম কে ধ্বংস করা। ব্রিটিশ পার্লামেন্টে লর্ড কার্জনের বিবৃতিটি এখানে প্রণিধান যোগ্য, “ তুরস্ক শেষ হয়ে গেছে, এখন থেকে এই জাতি আর মেরুদন্ড সোজা করে দাঁড়াতে পারবেনা, কারণ আমরা এর নৈতিক শক্তিকে ধ্বংস করে দিয়েছি”।
আর তাই, ১৯৮৩ সালের ১১ই নভেম্বর মুস্তফা কামালের উপর একটি নিবন্ধে ডেইলী টেলিগ্রাফ পত্রিকা লিখেঃ মুস্তফা কামালের মৃত্যু আমাদের দেশের জন্য অনেক বড় ব্যাপার ছিল। সে একমাত্র একনায়ক যিনি স্বভাবগত ভাবেই ইংরেজদের সত্যিকার সহযোগী ছিলেন।
এটা ছিলো একটি ত্রিভুজ, যা খিলাফাকে ধ্বংস করেছিল, আর এই ত্রিভুজের তিন বাহু হলো ব্রিটিশ, ইহুদী এবং মুস্তফা কামাল, যিনি নিজে একজন ইহুদী এবং ব্রিটিশ এজেন্ট (এরা সবাই ফ্রী-মেসন্স)। এরা খিলাফা ধংসের অন্তর্গত উদ্দেশ্য কে লুকিয়ে চতুরতার সাথে পরিকল্পণা প্রণয়ন করে, যাতে করে প্রথমে খিলাফা ও পরে ইসলামকে ধ্বংস করা যায়। এই মোনাফেকরা খিলাফা রক্ষার স্লোগান দিয়ে মানুষকে যুদ্ধের জন্য সংগঠিত করে যেমন, এস আমরা খিলাফা কে ও কুরানের শাসনকে রক্ষা করি। ক্ষমতা লাভের আগ পর্যন্ত তারা খলিফা কে অনুপুরক হিসাবে সামনে রাখে। তার পর মুষ্টিমেয় কিছু ইহুদী, মুস্তফা কামাল এবং ব্রিটিশরা তাদের সাথে বিশ্বাস ঘাতকতা করে। তারা ইসলাম ও খিলাফার ইতিহাসকে অন্ধকারে নিক্ষেপ করে।
উপসংহারঃ
উপরোক্ত আলাচনা থেকে আমরা জেনেছি, কামাল আতাতুর্ক বংশ পরম্পরায় একজন গুপ্ত ইহুদী, যারা মূলত স্পেন থেকে বিতাড়িত ইহুদীদের বংশধর। কামাল আতাতুর্কের মা একজন আলবেনীয় বংশোদ্ভুত। জাতিসত্ত্বায় তিনি কোনো ভাবে তুর্কী নন। তথাপিও তিনি নিজেকে তুর্কি জাতির পিতা হিসাবে নিজেকে দাবী করেছেন।
তিনি ডোমনে সম্প্রদায় ভুক্ত সাবাতি জেভির বংশধর, একজন ফ্রী-মেসন, একজন ব্রিটিশ এজেন্ট যিনি খিলাফা ধ্বংস করেছেন। নাসিরুদ্দীন আলবানীর ভাষায় তিনি ইসলাম ত্যাগকারী একজন মুরতাদ।
.
রেফারেন্সঃ
১। The City of Salonica: A true cross road by Victoria M. Lord
২। Weakipedia
৩।Exposed-ATATURK WAS A CRYPTO-JEWISH CABAL OPERATIVE & FREEMASON!
৪। FORWARD, A Jewish Newspaper published in New York, January 28, 1994
৫। How the world is controlled intellectually- A research by Siraj Wahaj
৬। “En Route to Global Occupation” by Gary H. Kah,
৭। Satanic voices Ancient and Modern-by David Musa Pidcock
৮। The Biggest Crises in the History of the “Secular” Republic
The Source of it & The Solution to it
কালেক্টেড
২| ০২ রা জুলাই, ২০১৭ ভোর ৫:১৬
জগতারন বলেছেন:
কাউয়ার জাত বলেছেন: সময় করে পড়ার ইচ্ছা রইল। আপাতত ধন্যবাদ দিয়ে গেলাম।
আমিও তাই বলি।
৩| ০২ রা জুলাই, ২০১৭ সকাল ৭:০১
সামিউল ইসলাম বাবু বলেছেন: তথ্যবহুল।
ঈদের শুভেচ্ছা
৪| ০২ রা জুলাই, ২০১৭ সকাল ১০:৫২
নতুন নকিব বলেছেন:
কামাল আতাতুর্ক বংশ পরম্পরায় একজন গুপ্ত ইহুদী, যারা মূলত স্পেন থেকে বিতাড়িত ইহুদীদের বংশধর। কামাল আতাতুর্কের মা একজন আলবেনীয় বংশোদ্ভুত। জাতিসত্ত্বায় তিনি কোনো ভাবে তুর্কী নন। তথাপিও তিনি নিজেকে তুর্কি জাতির পিতা হিসাবে নিজেকে দাবী করেছেন।
তিনি ডোমনে সম্প্রদায় ভুক্ত সাবাতি জেভির বংশধর, একজন ফ্রী-মেসন, একজন ব্রিটিশ এজেন্ট যিনি খিলাফা ধ্বংস করেছেন। নাসিরুদ্দীন আলবানীর ভাষায় তিনি ইসলাম ত্যাগকারী একজন মুরতাদ।
-অনেক অনেক ধন্যবাদ। জাজাকুমুল্লাহ।
পুরো পোস্ট না পড়লেও উপসংহার থেকে মূল বিষয়টা পেয়ে গেছি। এই ব্যক্তিটিকে নিয়ে অনেকেরই সঠিক জ্ঞান নেই। না তুর্কীদের, না আমাদের দেশের লোকদের। আমি তুর্কীদের সাথে কথা বলে দেখেছি। ওদের ভেতরেও দেখেছি, কামাল আতাতুর্ক বলতে বেশিরভাগ অজ্ঞান। তার কুকীর্তিগুলো ঢাকা পরে আছে ওদের সমাজেও। তথাকথিত আধুনিকতার দাবিদার, ইসলামী জ্ঞানে দরিদ্র, পাশ্চাত্য ধাঁচে বেড়ে ওঠা বর্তমান প্রজন্মের নামকাওয়াস্তে মুসলিমদের অনেকেরই অজানা ইতিহাসের প্রকৃত সত্যগুলো।
ইসলামী তাহযীব তামাদ্দুন, শিক্ষা দীক্ষা, কৃষ্টি কালচার, সভ্যতা সংস্কৃতি ইত্যাদির কবর রচনায় কামাল আতাতুর্ক যেসব পদক্ষেপ গ্রহন করেছেন, ফেরাউনের প্রেতাত্মা, মিশরের কুখ্যাত শাসক জামাল নাসের ব্যতিত আর কারও সাথে তার তুলনা করা চলে না।
সাইফ ভাই,
আপনার কি ডেন্টাল ক্লিনিক রয়েছে? ঢাকা অথবা এর আশপাশে হলে আপনার কোন হেল্প নিতে পারতাম হয়তো। ঠিকানা বলা যাবে কি?
ভাল থাকুন।
৫| ০২ রা জুলাই, ২০১৭ সকাল ১১:০৫
চাঁদগাজী বলেছেন:
কামাল পাশা একজন উঁচু র্যাং'এর অটোম্যান জেনারেল; অটোম্যানরা মোল্লাদের থেকে জেনারেল বানাতেন না, সৈনিক থেকে জেনারেল হতেন। অটোম্যনদের পরাজয়ের পর, পুরো সাম্রজ্য বৃটিশের হয়ে যাওয়ার কথা; কামাল তুরস্কের বিশাল এলাকা দখলে রাখতে সমর্থ হন, ও ইহাকে রিপাবলিক হিসেবে আধুনিক রাস্ট্রে পরিণত করার জন্য অটোম্যনা পার্লামেন্টের লোকদের সমর্থ নিয়ে বৃটিশদের কাছে রিপাবলিকের স্বীকৃতি আদায় করেন।
তিনি একটা দেশ প্রতিস্ঠা করেছেন, আপনি সামুতে লেখেন; ২ জনের মাঝে এই সামান্য পার্থক্। এর বাইরে যেই ইতিহাস লিখেছেন, সেখানে আরেকটি কথা বলা হয়নি, কামাল উঁচু র্যাংকের জেনারেল; আর এসব ইতিহাস লেখকেরা ছিল অটোম্যানদের মাদ্রাসার ছাত্র, যারা জ্বীন-ভুত তাড়াতে জানতেন।
৬| ০২ রা জুলাই, ২০১৭ সকাল ১১:৩৭
নাঈমুর রহমান আকাশ বলেছেন: ফ্রী-মেসন্সরা হলো পৃথিবীর সব চেয়ে প্রভাবশালী গোষ্ঠী। মূলতঃ রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামরিক ভাবে পুরো বিশ্বকে নিয়ন্ত্রণ করে। এরা তাদের সামাজিক সংস্থা গুলোর দ্বারা তথাকথিত জনকল্যাণ মূলক কাজের মাধ্যমে অজ্ঞ জনগোষ্ঠীর মধ্যে একটি মহৎ ভাব বজায় রাখে।
আপনার ম্যাসনিক আচার সম্বন্ধে জ্ঞান ড্যান ব্রাউনের উপন্যাস থেকে প্রাপ্ত। এতটা অজ্ঞতা নিয়ে মানুষকে অন্ধকারে ফেলতে চাচ্ছেন কেন?
ব্রিটিশ এজেন্ট মুস্তফা কামাল পাশাঃ
মুস্তফা কামালের বীরত্বের কথা আমরা আগেই জেনেছি, তিনি প্রথম বিশ্বযুদ্ধে ও পরবর্তীতে ব্রিটিশ আগ্রাসনের বিরূদ্ধে ও তুরস্কের স্বাধীনতা যুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়ে যুদ্ধে জয় লাভ করেন এবং জাতীয় বীরে পরিণত হন। কিন্তু কি কারণে সেদিন ব্রিটিশ নেতৃত্বাধীন মিত্র শক্তি তুরস্কের সাথে সন্ধি করতে বাধ্য হয়েছিলো, যারা ১ম বিশ্ব যুদ্ধে অক্ষ শক্তিকে পর্যদুস্ত করেছিল, কিন্তু তুরস্কের কাছে এসে হোঁচট খেলো, এটা কি মুস্তফা কামালের বীরত্ব না অন্য কিছু?
আপনাদের মতো লোকদের কাছে যেকোনও আধুনিক মানসিকতার মানূষ হয় ইহুদী এজেন্ট বা ব্রিটিশ এজেন্ট।
এর কারণ ছিল মূলত দুটি, প্রথমতঃ ইতিহাস থেকে মিত্র শক্তি জানত যে, মুসলমানদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেলে তারা কেমন ভয়ংকর হয়ে উঠতে পারে।
মোঙ্গলীয় তাতার জাতি যখন মুসলমানদের আলেকজান্দ্রিয়া ধ্বংস করে, তখন "ভয়ংকরী" দেখা গিয়েছিল। আল্লাহর কুদরত যে মোগলরা ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছিল। নইলে প্রাচ্যীয় মুসলমানদের নিজেদের রক্ষা করার ক্ষমতা ছিলো না।
উপরোক্ত আলাচনা থেকে আমরা জেনেছি, কামাল আতাতুর্ক বংশ পরম্পরায় একজন গুপ্ত ইহুদী, যারা মূলত স্পেন থেকে বিতাড়িত ইহুদীদের বংশধর। কামাল আতাতুর্কের মা একজন আলবেনীয় বংশোদ্ভুত। জাতিসত্ত্বায় তিনি কোনো ভাবে তুর্কী নন। তথাপিও তিনি নিজেকে তুর্কি জাতির পিতা হিসাবে নিজেকে দাবী করেছেন।
আপনার ইতিহাস জ্ঞান হাস্যকর।
মুস্তফা কামাল আতাতুর্ক পাশা, এর মধ্যে শুধু মুস্তফা নামটা মানুষটার নিজের। তিনি অধ্যয়নকালে অভাবনীয় ভালো ফলাফলের জন্য কামাল উপাধি পান। পাশা মানে শাসক, তুর্কি ভাষায় সব শাসককেই পাশা বলা হয়। আর আতাতুর্ক মানে তুর্কের পিতা। এটা আমাদের বঙ্গবন্ধু খেতাবের মতোই, তিনি পেয়েছেন, চেয়ে নেননি।
আপনার লেখাটা conspiracy theorist দের মানসিক বিকৃতির একটা উদাহরণ। হাস্যকর কিছু আলোচনা, যুক্তি. ইতিহাসের মারাত্মক রকম বিকৃতি।
ইহুদীদের প্রকৃত ইতিহাস, জায়নবাদ, খ্রীস্টানদের ইতিহাস, মুসলমানদের ইতিহাস, সবকিছুর উপেক্ষা করা কিছু রূপকথার গল্প।
আর আপনার ইলুমিনেটির জ্ঞান আরও কম। সুতরাং বলার কিছুই নেই।
সত্যিকার জ্ঞান আহরণ করুন ভাই, নিজের অন্ধকার অন্যদের মাঝে ছড়ানোর চেষ্টা করবেন না।
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ২:৪০
ডেণ্টিস্ট সাইফ বলেছেন: যার যার বুঝ, তার তার তরমুজ।
৭| ০২ রা জুলাই, ২০১৭ দুপুর ১২:০৬
কানিজ রিনা বলেছেন: মাঈমুর রহমানের সাথে একমত।
৮| ০২ রা জুলাই, ২০১৭ দুপুর ১২:১৮
নাঈমুর রহমান আকাশ বলেছেন: পুরো পোস্ট না পড়লেও উপসংহার থেকে মূল বিষয়টা পেয়ে গেছি। এই ব্যক্তিটিকে নিয়ে অনেকেরই সঠিক জ্ঞান নেই। না তুর্কীদের, না আমাদের দেশের লোকদের। আমি তুর্কীদের সাথে কথা বলে দেখেছি। ওদের ভেতরেও দেখেছি, কামাল আতাতুর্ক বলতে বেশিরভাগ অজ্ঞান। তার কুকীর্তিগুলো ঢাকা পরে আছে ওদের সমাজেও। তথাকথিত আধুনিকতার দাবিদার, ইসলামী জ্ঞানে দরিদ্র, পাশ্চাত্য ধাঁচে বেড়ে ওঠা বর্তমান প্রজন্মের নামকাওয়াস্তে মুসলিমদের অনেকেরই অজানা ইতিহাসের প্রকৃত সত্যগুলো।
মাছের মায়ের পুত্রশোক হলেও চলত। আপনি তুর্কীও নন, ওদের ভাষাও বোঝেন না। আপনি আতাতুর্ক বলতে কি বুঝবেন? বাঙালিদের মধ্যে তো কতক বেঈমান বঙ্গবন্ধুকেও সম্মান দেয়না। তুর্কীরা তা্ও ভালো আছে।
তিনি ডোমনে সম্প্রদায় ভুক্ত সাবাতি জেভির বংশধর, একজন ফ্রী-মেসন, একজন ব্রিটিশ এজেন্ট যিনি খিলাফা ধ্বংস করেছেন। নাসিরুদ্দীন আলবানীর ভাষায় তিনি ইসলাম ত্যাগকারী একজন মুরতাদ।
বাপের টাকা থাকলে আপনিও ম্যাসন হতে পারেন। যাদের পড়াশোনার জ্ঞান নেই, তাদের অন্ধকারের জ্ঞান বেশী।
গোপণীয়
স্যার জেরাল্ড লোথার কর্তৃক স্যার চার্লস হারডিং এর প্রতি প্রেরিত।
(ব্যাক্তিগত ও গোপণীয়)
কন্সটান্টিনিপল
২৯শে মে, ১৯১০
প্রিয় চার্লস,
২৩ শে এপ্রিলে প্রাপ্ত গোরস্ট এর টেলেগ্রাম (স্যার এল্ডন গোরস্ট, কায়রোতে নিযুক্ত প্রধান ব্রিটিশ এজেন্ট) যা মোঃ ফরিদেকে কায়রোতে কন্সটান্টিনিপল ফ্রি-মেসন্স দের প্রতিনিধি হিসাবে নিযুক্তির গুজবের ব্যাপারে লিখিত, এটা ঘনিষ্ঠ ভাবে ‘Committee of Union of Progress’ এর সাথে সম্পর্কিত। তাই আমাকে তরুন তুর্কীর মাধ্যমে পরিচালিত মহাদেশীয় ফ্রী-মেসনরি সম্পর্কে তোমার কাছে একটি কষ্টকর লম্বা চিঠি লিখতে উদ্বুদ্ধ করেছে। তাই ব্যাক্তিগত ও গোপনীয় ভাবে বলি, তুরস্কে এই নতুন ফ্রি-মেসনরি যা ইংল্যান্ড কিংবা আমেরিকার মত নয়, এর বিরাট অংশ রাজনৈতিক ও গোপণীয়তায় আচ্ছাদিত, একান্ত কঠোর গোপণীয়তার সাথেই কোনো তথ্য পেতে হয়। যখন কেউ বিশ্বাসঘাতকতা করে, তখন মাফিয়াদের হাতে এই তথ্যের গোপণীয়তা হুমকির সম্মুখীন হয়। কিছুদিন আগে একজন স্থানীয় মেসন কৌশল সংক্রান্ত গোপণ সংকেত প্রকাশ করলে তাকে এই বলে কোর্ট মার্শালে পাঠানোর হুমকি দেয়া হয়, যা আমাদের অবরোধের কারণে গঠিত।
যেহেতু তুমি জান, প্যারিসে তরুন তুর্কী আন্দোলন অনেকাংশে পৃথক ছিল, তার কারণ সালোনিকাতে কর্ম কৌশলের ব্যাপারে একটা বড় অংশই অজ্ঞ ছিলো। সালোনিকার জন সংখ্যা প্রায় ১৪০০০০, তার মধ্যে ৮০০০০ স্প্যানিশ ইহুদী, ২০০০০ হাজার সাবাতি জেভি সম্প্রদায়ের গুপ্ত ইহুদী যারা প্রকাশ্য মুসলমান হওয়ার ভান করে। আগের গ্রুপের অনেকেই অতীতে ইটালিয়ান নাগরিকত্ব গ্রহন করেছে, তারা ফ্রীমেসন্স এবং ইটালিয়ান লজের সদস্য। রোমের ইহুদী মেয়র নাথান একজন উচ্চ মর্যাদা সম্পন্ন ফ্রী-মেসন্স। ইহুদীদের প্রিমিয়ার লুজ্জাতি এবং সোন্নিও এবং অন্যান্য ইহুদী সিনেটরকে দেখে বোঝা যাচ্ছে তারাও মেসন্সদের সদস্য পদ গ্রহণ করেছে।
তারা দাবী করে যে, তারা প্রাচিন স্কটিশ লজের অর্চনা পদ্ধতি অনুসরণ করে।
সালোনিকা ( কামাল আতাতুর্ক এই সালোনিকা থেকেই এসেছেন) আন্দোলনের অনুপ্রেরণা মুলতঃ ইহুদীদের দ্বারাই এসছে, যেখানে স্বাধীনতা সাম্য, ভ্রাতৃত্ব ইত্যাদি শব্দ গুলো, তরুন তুর্কীদের উদ্দেশ্য, ইত্যাদী ইটালিয়ান লজ থেকেই এসেছে। ১৯০৮ সালে বিপ্লবের পর যখন কন্সটান্টিনিপল এ তাদের কমিটি স্থাপিত হয়, তখন জানা যায়, এদের নেতৃস্থানীয় অনেকেই ফ্রিমেসন্স। এটা লক্ষণীয় যে, সকল বর্ণের দেশী-বিদেশী ইহুদীরা নতুন পরিস্থিতির উদ্যমী সমর্থক, যে পর্যন্ত একজন তুর্কী বলেছে, এই আন্দোলন মূলতঃ ইহুদীদের আন্দোলন, তুর্কীদের নয়———–। (Satanic voices Ancient and Modern-by David Musa Pidcock)
আপনার সেনাবাহিনী সম্পর্কিত জ্ঞান এতা কম যে গোপনীয় শব্দের অর্থ বোঝেননা। এই চিঠি যদি লেখা হয়ে থাকে তবে তা প্রাপ্তির সাথে সাথে পুড়িয়ে ফেলা হবে। আপনার ভৌতিক দলের পড়ার জন্য রাখা হবে না।
আমরা সবাই হয়তো একটা জিনিস জানিনা। আতাতুর্ক প্রথম মুসলমান যিনি কুরআনের তুর্কি ভাষায় অনুবাদ করেন। নির্ভুল এক অনুবাদ। তিনি অসামান্য এক পন্ডিত ছিলেন। আপনার লেখায় যেসব মৌলবীর নাম এসেছে, তাদের কারও নাম ইতিহাসে ওঠে না। কিন্তু মোস্তফা কামাল আজও ইতিহাসে অম্লান
৯| ০২ রা জুলাই, ২০১৭ দুপুর ২:১১
সেলিনা জাহান প্রিয়া বলেছেন: সকল মুসলিম অন্য ধর্ম থেকে এসেছে এমন কি আমাদের রাসুল পর্যন্ত ইব্রহিমের ধর্ম থেকে এসেছে । এমন কি আপনার পুরব পুরস । মানুষ তার কর্মের জন্য ইতিহাস হয় ।। হিটলার কে দেখুন কত ইহুদি মেরেছে । আল্লাহ সর্ব শক্তি মান সে জা ভাল মনে ক্রছে তাই হচ্ছে । আমরা শুধু খেলার পুতুল ।।
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ২:৩৮
ডেণ্টিস্ট সাইফ বলেছেন: ধর্ম সম্পর্কে আপনার জ্ঞান এইটুকুই?
১০| ০২ রা জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৩:১৭
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: যা কিছু জানার দরকার ছিলো জানলাম। আমি কোনো তর্কের মাঝে যেতে চাই না।
১১| ০৩ রা জুলাই, ২০১৭ সকাল ১০:৪৩
নতুন নকিব বলেছেন:
নাঈমুর রহমান আকাশ বলেছেন: মাছের মায়ের পুত্রশোক হলেও চলত। আপনি তুর্কীও নন, ওদের ভাষাও বোঝেন না। আপনি আতাতুর্ক বলতে কি বুঝবেন? বাঙালিদের মধ্যে তো কতক বেঈমান বঙ্গবন্ধুকেও সম্মান দেয়না। তুর্কীরা তা্ও ভালো আছে।
@নাঈমুর রহমান আকাশ বলেছেন,
আমাকে বলছেন, আমি তুর্কী নই। বেশ, ঠিকই বলেছেন। ধন্যবাদ দিতেই হয়। কিন্তু, আমি তো কোথাও বলি নি যে, আমি তুর্কী। মুস্তাফা কামালকে নিয়ে কথা বলতে হলে বুঝি তুর্কী হওয়া লাগে! এই দর্শন তো জানা ছিল না ভাই! যাক, নতুন করে জেনে নিলাম! আর শুনুন, আমি না হয় বাংলাদেশী হয়ে কামাল পাশার অপকীর্তি নিয়ে কথা বলে অন্যায় করে ফেলেছি, তাহলে আপনি তার পক্ষে ওকালতি করতে এলেন যে! আপনি নিজেকেও কি তুর্কী পরিচয় দিয়ে থাকেন? কবে থেকে? কিভাবে? কোন সূত্রে? না কি তথাকথিত আধুনিকতার দাবিদার নামকাওয়াস্তে মুসলিম (কাজে-কর্মে ইহুদি খৃস্টান আর অন্য জাতির পুরোপুরি অনুসরনকারী, ইবাদত বন্দেগীতে জিরো) পাশাদের কাতারের কেউ ভাবেন নিজেকে? কেবল তা যদি ভেবে থাকেন, তাহলে তুর্কী না হয়েও, পাশাদের অপকর্মের মুখোশ উম্মোচিত হতে দেখলে আপনাদের অনভিপ্রেত ওকালতি শুরু হতেই পারে! এবং আমরা মনে করি, এতে আমাদের দু:খ পাওয়ার কিছু নেই! আপনাদের জন্য এই ওকালতি মানানসই অনুধাবন করেই সত্য তুলে ধরার এই প্রয়াস! সুতরাং, এই মধুর উপদ্রব আমরা সয়েই যাব! কোন সমস্যা নেই। আলহামদুলিল্লাহ।
আকাশ,
আপনি কি তুরস্কের সত্যিকার ইতিহাস পড়েছেন কখনও? পড়বেন কোত্থেকে, পাওয়া গেলে তো!
কামাল পাশার অপকীর্তি, তার ইসলাম ধর্মের প্রতি অন্তহীন বৈরিতা, নির্বিচারে মসজিদ-মাদরাসা বন্ধকরন এবং ধ্বংসকরন, কুরআন শরীফ পাঠ বন্ধকরন এবং এমনকি তা গৃহে রাখাকে নিরুতসাহিত করে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহন, হাজার হাজার আলেমে দ্বীনকে হত্যা, গুম ইত্যাদির মাধ্যমে পাইকারী নিধনযজ্ঞে মেতে ওঠা- কে না জানে! তার মাধ্যমে তুরস্কের হাজার বছরের ইসলামী শিক্ষা-সংস্কৃতি-তাহযীব-তামাদ্দুন ধ্বংসের ইতিহাস পড়লে শরীরের লোম শিউরে ওঠে! এক কথায়, সমৃদ্ধ তুরস্কের মাটিতে লেবাসে-পোষাকে, শিক্ষা-দীক্ষায়, চলনে-বলনে ইসলাম ধর্মের কোন নাম-নিশানা যেন অবশিষ্ট না থাকে তার সকল বন্দোবস্ত পাকাপোক্ত করেন তিনি। তার দু:শাসনের ছোবল থেকে বাঁচতে, দ্বীন ঈমান বাঁচাতে, এমনকি প্রান রক্ষার্থে অনেক দ্বীনদার তুর্কী নাগরিক দেশ ছেড়ে অন্য দেশে, এমনকি বিধর্মীদের দেশে অাশ্রয় নিতে বাধ্য হন। তার আমলে কারাগারগুলোতে দ্বীনদার, ঈমানদার, নামাজী, কুরআন তিলাওয়াতকারী, দাঁড়ি টুপিওয়ালাদের জমজমাট মিলনমেলা লেগে থাকতো। হেন অত্যাচার নির্যাতন নেই, যার প্রয়োগ সত্যিকারের মুসলিম নাগরিকদের প্রতি করা হয় নি।
তবে, আলহামদুলিল্লাহ! নামকাওয়াস্তে মুসলিম, যাদের নামাজ কালাম কোন কিছুরই ধার ধারতে হয় না, তারা বহাল তবিয়তে কালাতিপাত করে গেছেন! পাশার নৈকট্য টৈকট্যও লাভ করেছেন কতক! তাতো করবেনই! করারই কথা! আহ, কতই না ভাগ্যবান তারা! নামকাওয়াস্তে নমস্তি! বর্তমান যুগে বুঝি এই জাতীয় লোক পৃথিবীতে নেই! আহা কত মহান তারা! দ্বীন নেই ধর্ম নেই, নামকাওয়াস্তে মুসলমান! ছি: ছি: এমন নামধারীও মুসলিম হতে পারে! আল্লাহ পাক সকলকে হেদায়েত দান করুন।
এককথায় বলতে গেলে, আধুনিক তুরস্কের জনক বলে পরিচিত, কামাল পাশা গোটা বিস্তীর্ন তুর্কী ভূখন্ডকে একটি বৃহত কারাগারে পরিনত করেছিলেন। জুলূম, অত্যাচার, অবিচার আর মানবাধিকার লঙ্ঘনের এমন ঘোর কৃষ্ণ অমা রাত তুরস্কের আকাশ আগে কল্পনা করে নি! আর গোয়েবলসের এমন নজিরবিহীন তান্ডব তুরস্কের মাটি ইতিপূর্বে কখনও প্রত্যক্ষ করে নি!
কামাল পাশা! হায়রে কামাল পাশা!! এই কামাল পাশা সেই জালিম অত্যাচারী পোড়া কপাল ব্যক্তিটির নাম, যিনি তুরস্কের মাটি থেকে মহান আল্লাহর নামের উচ্চকিত আওয়াজকে চির দিনের জন্য মিটিয়ে দিতে চেয়েছিলেন! আযানের মহিমাময় শব্দগুলোও তিনি সহ্য করেন নি! এশিয়া ইউরোপ আর আফ্রিকা মহাদেশের মিলনস্থলে গর্ব আর গৌরবের মিনার মহান তুরস্ক সাম্রাজ্যের আকাশ বাতাস মুখরিত করে দিত যে আজান, তিনি তা বন্ধ করে দেন! একদা ইথারে ভেসে ভেসে যে আজানের মধুর সুরলহরী ছড়িয়ে পরতো তুরস্কের গোটা প্রান্তরে প্রান্তরে, তিনি তা স্তব্দ করে দেন। ইতিহাস সাক্ষী, পাশা নেই। তার অপকীর্তি রয়ে গেছে। কিন্তু, আবার আজান ফিরে এসেছে তুরস্কের মাটিতে। পাশাদের পাশা খেলার অবসান হয়েছে। আবার তুরস্কে ফিরে এসেছে ঐশি বানী আল কুরআন। কুরআনের তা'লীম চলছে। হিফজ চলছে। তৈরি হচ্ছে কুরআনের হাজারো লাখো খাদেম। আলহামদুলিল্লাহ।
মহান আল্লাহর অমোঘ বানী মনে পরছে। তিনি বলেন- ''তারা (কাফের মুশরিকগন) চায়, তাদের মুখের ফুঁতকারে আল্লাহর আলো (দ্বীন ইসলাম) কে নিভিয়ে দিতে। বস্তুত: আল্লাহ পাক তাঁর আলোকে প্রজ্জ্বলিত করবেনই, তাতে কাফের মুশরিকগন যতই অসন্তুষ্ট হোক।'' -সূরাহ আসসফ।
আকাশ,
আজ মুসলিম জাতি বিশ্বজুড়ে পদদলিত, লাঞ্চিত, বঞ্চিত, অপমানিত অপদস্ত। এর কারন কি? এর কারন, আমাদের দ্বীন ধর্ম থেকে দূরে সরে থাকা। কুরআন ছেড়ে আমরা গান বাদ্য ধরেছি। টিভিতে সময় দেই কুরআন পড়ি না। কুরআনের আদর্শ বিচ্যূত একটি জাতি কিভাবে অন্য জাতির মাথার তাজ হয়ে থাকতে পারে?
আমাদের ভুলে গেলে চলবে না, কুরআনের আদর্শ গ্রহন করায় যে জাতি একদা পৃথিবীতে উন্নতির শীর্ষে আরোহন করেছিল, সে জাতি আজ কুরআনের আদর্শ বিচ্যূত হওয়ার কারনে আবার বিশ্ব সভার সম্মানের আসন হতে ছিটকে পরেছে। আর এটা হওয়াই কি স্বাভাবিক নয়?
সুতরাং আমরা যদি আবার কুরআনের দিকে, সুন্নতে নববী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের দিকে নিজেদের ফিরিয়ে আনতে পারি, আমাদের বিজয় অবশ্যম্ভাবী, অবধারিত ইনশাআল্লাহ। যদি আমরা সত্যিকারের মুসলিম হতে পারি, অপ্রতিরোধ্য আমাদের ঠেকানোর শক্তি কার? বদরের বিজয়দাতা সেই প্রভূ মহিয়ান আমাদের আজও আবার বিজিত করবেন, যদি আমরা তার প্রতি পূর্ন অানুগত্য পোষনের শপথ নিতে পারি।
আল্লাহ পাক আমাদের হেফাজত করুন।
১২| ০৩ রা জুলাই, ২০১৭ দুপুর ১:৫৪
নাঈমুর রহমান আকাশ বলেছেন: নকিব সাহেবের জন্য আমার জবাবটা সোজা।
আপনি এতো কষ্ট করে না লিখলেও পারতেন। আমি হাস্যকর যুক্তি আর অযথা কান্নাকাটি পড়ি না। আপনার জ্ঞান সীমিত, বেশীরভাগই ভুল । মুসলমানের যে কিসে প্রকৃত উন্নতি হবে তা আপনার বোধে আসবে না। তুরস্কে যে নামকাওয়াস্তে খিলাফত ছিলো তা সৌদি রাজবংশের চেয়ে কোনও অংশে ভালো কিছু ছিলো না। সেটার বিলোপ করায় তুরস্কের জনগণ হাঁপ ছেড়ে বেঁচেছিল।
তবে ধর্মব্যবসায়ী মৌলবী আর আমাদের ভারতীয় উপমহাদেশের অর্ধশিক্ষিত মানুষ জিনিসটাতে একটা ব্যবসায়িক ইস্যু বানিয়ে ফেলেছে। সারাবিশ্বে কোথাও তুরস্কের পরিবর্তন নিয়ে লাফালাফি হয়নি, অথচ ভারতে হওয়া ইসলামের খিলাফত আন্দোলনে হিন্দুরাও লাফালাফি করেছিল। আল্লাহ মানুষের হেদায়াত দিন।
আপনার ব্লগ আমি দেখেছি। বাজারী ধর্মপ্রচারণা নিয়ে লেখা আর হাস্যকর কিছু কবিতা নিয়ে আপনার সবগুলো পোস্ট। পড়ার রুচি ঠিক হয়না। পথেঘাটে আপনার মতো কবির সংখ্যা বেড়ে গেছে আজকাল।
চালিয়ে যান। আপনাদের চেষ্টা মানুষকে অন্ধকারে টানা, আমাদের চেষ্টা আলোয় আনা। মানুষের বিবেক জাগ্রত হয় আল্লাহর রহমতে। এতো যে মতবাদ, যেটা আল্লাহর কাছে সঠিক শেষ পর্যন্ত সেটাই টিকবে। বাকিগুলো সময়ের সাথে বিলুপ্ত হয়ে যাবে যেভাবে কুরআনে বর্ণিত আছে।
১৩| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৪:৫৩
নতুন নকিব বলেছেন:
যা ভেবেছিলাম, আমার ধারনা সম্পূর্নই ভুল!
হায় হায়!! আসলে আমিইতো একটা গর্দভ!!! এতক্ষন যার সাথে কথা বলতে গিয়ে এত কথা কথা বলেছি, একটিবার ঘুনাক্ষরেও লক্ষ্য করার চেষ্টা করি নি যে, এই চিজটি ভন্ড নবী মুসাইলামাতুল কাজ্জাবের ভাবশিষ্য কাদিয়ানী জারজের পা চাটা ইতর। আল্লাহ হেফাজত করুন। এই দুরাচারদের সাথে কথা বলাতো দূর কি বাত, মিথ্যা নবুয়্যত দাবিদারের চ্যালা চামচা এইসব চামচিকা তেলাপোকাদের মুখ দেখাও আমাদের পছন্দের বাইরে!!!!
এই মূর্খ, অজ্ঞ, ইতর, ভন্ড দলের সদস্যগন যারা সমস্ত মুসলিম বিশ্ব কর্তৃক স্পষ্টভাবে 'কাফের' ঘোষিত। এই বাতিল এবং পরিত্যক্ত জঙ্গলদের সাথে আমরা তো কখনও কথা বলেছি বলেও মনে পড়ে না। আমাদের কথা বার্তা পরিষ্কার, কোন জাতির মানুষই পৃথিবীতে ঘৃনার পাত্র হতে পারে না। হওয়া উচিত নয়। মানুষ হিসেবে প্রত্যেকেই আল্লাহর সৃষ্টি মাখলূক। সে যে জাতের যে বর্নেরই হোক না কেন। কিন্তু, একমাত্র মুনাফিকগন ব্যতিক্রম। মুনাফিকগুলো পরকালে কোথায় থাকবে তা কুরআন পরিষ্কার করেছে। জাহান্নামের সর্বনিম্ন স্তরে তাদের আবাস। আর বর্তমান পৃথিবীর চিহ্নিত, স্বীকৃত, ঘৃনিত একমাত্র কেবলমাত্র, শুধুমাত্র মুনাফিক সম্প্রদায় হচ্ছে, ভন্ড নবী কাদিয়ানীর বাচ্চা কাচ্চাগন। খাতামুন্নাবীয়্যীনের পরে ভন্ড নবী দাবিদারের বর্নচোরা, কপট উম্মত যারা নিজেদের 'আহমদি', 'আহমদিয়্যাহ', 'আহমদিয়্যাহ মুসলিম জামাত', 'আহমদিয়্যাহ সম্প্রদায়' ইত্যাদি নানান নামে পরিচয় দিয়ে ইসলাম ধর্মের ভেতরে ফিতনা ফাসাদের বীজ বপনের স্বপ্ন দেখে আসছে, জগতের সর্বনিকৃষ্ট এই জীবগুলোকে মানুষ মনে করতেও পাপ বোধ হয়।
হ্যায় নাকি ব্লগ দেখেছে! হাতি ঘোড়া গেল তল, ছাগলে কয় কত জল!!!!!
গোলাম আহমদ কাদিয়ানী পাপিষ্টর মুখ দেখা যেমন আমাদের কাছে চরম ঘৃনার কাজ, তেমনি তার মিথ্যাবাদি হারামখোর উম্মতদের প্রতিও একই হুকুম।
গোলাম আহমদ কাদিয়ানী! নাম শুনলেই বেআদব লোকটার অঢেল বিড়ি আর হুকোর অগ্নিতে পুড়ে কৃষ্ণ বরন ধারন করা চ্যাপ্টা থলথলে মোটা ঠোট চোখের সামনে ভেসে ওঠে!!!! ছি: ছি:!!!!! রুচিরও বাইরে!!!!!!!!!!! হায়রে ভন্ড!!!! পায়খানায় পরে মরে গিয়েও বেঁচে গেছ একরকম!!!!!
আল্লাহ পাক এই দুরাচারদের শুভবুদ্ধি দান করুন। ইসলাম ত্যাগকারী এই মুরতাদদের আবার ইসলামে ফিরে আসার তাওফীক দান করুন। জাহান্নামের পথ ছেড়ে আবার তাদের জান্নাতের রাস্তায় ফিরে আসার বুঝ দান করুন।
১৪| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫৫
টারজান০০০০৭ বলেছেন: কামালের আগের ইতিহাস জানিনা। ভালো জেনারেল ছিলেন অনস্বীকার্য ! কিন্তু উনার পরবর্তী ইতিহাস দেখিয়া বোঝা যায় , উনি পাঁঠাদের গ্রান্ডফাদার ছিলেন !
ব্লগের কিছু পাঁঠা , কুয়োর ব্যাঙের মতন হঠাৎ সাগরে আসিয়া চোখে ধাঁধা দেখে ! ভাবে মুই কি হনুরে ! পেয়াদা কৈছে চাচী , আমি কি আর আছি !
বিচি হারাইয়া অবশেষে তাহারা দৃষ্টি ফিরিয়া পায় !
১৫| ০৫ ই জুলাই, ২০১৭ সকাল ৯:০৭
নতুন নকিব বলেছেন:
সে কি লাফালাফি!!!
অন্যরকম স্টাইল!!!
কাদিয়ানী যোদ্ধা!!!
দু'তিনটে!!!
ঢাকঢোল পিটিয়ে সামু মাতিয়ে দিয়েছিল!!! ঠিক যেন কাদিয়ানী ভন্ডদের ফ্রি প্রচারনার মুক্ত মাঠ!!! কখনও বাবাদের ছবি দেয় তো কখনও আবার ওয়েব এড্রেস!!! ভন্ড নবীর অখাদ্য বস্তা পচা রুচিহীন বই পত্রের ডাউনলোড এড্রেস তো কখনও আবার ওদের বৃটিশ আব্বাদের কাছে আশ্রিত বর্তমান এবং বিগত মুনাফিক নেতাদের গুনকীর্তন করে!!! একেবারে অস্থির অবস্থা!!! মানে, মনে হচ্ছিল যেন, কাদিয়ানীময় সামু!!! উড়ে উড়ে ফ্রি এডভারটাইজিং চালাতে ব্লগারদের পেজে গিয়ে মন্তব্য ছুঁড়ে দিয়ে আসতো। সে এক অসহ্য অবস্থা!!! অবশেষে সামুর ব্লগারগনের সতর্কতায় রক্ষে!!! উপর্যুপরি গনধোলাইতে সামু ছেড়ে ভেগেছে হতভাগাগুলো!!! অাবার দেখছি একই আপদ!! অব্যহত গলাধাক্কা খেয়েও এই হতচ্ছাড়াদের লজ্জা হয় না। লজ্জা হবে কোত্থেকে? থাকলে তো!!
আহ, কি মজা! কমবখতরা সামুতে আসে ওদের কাদিয়ানী আব্বাদের নতুন ধর্ম ফেরি করতে!!! বলি, তোমাদের গু খেয়ে মরা আব্বাকে অনুসরনে তোমরাও গু খেয়ে ভাগাড়ে মরগে! ঐ পচা জিনিষে থুথু ফেলার অবসর এদিককার লোকদের নেই!!!!
১৬| ০৫ ই জুলাই, ২০১৭ সকাল ১০:২৮
কাউয়ার জাত বলেছেন: মি. নাঈমুর আকাশের মন্তব্য দেখে ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম!
লেখায় মাঝেমধ্যে আল্লা-বিল্লা করতেছে, আবার কামালকে ডিফেন্ড করতেছে!
এদিকে নতুন নকিবের ধর্মীয় পোস্টগুলোকে বাজারি ধর্মপ্রচারণা বলে ব্যক্তি আক্রমণ। না জানি উনি কতবড় পণ্ডিতরে! বাপরে বাপ!
ধন্যবাদ নতুন নকিব। আপনি ধরিয়ে না দিলে এই গ্রেট খাটাশের গর্তে উকি দেয়া হত না। উকি দিয়ে হতাশই হলাম। এদেখি ব্রিটিশ নিযুক্ত কেরানী নবীর নিউ ক্যানভাসার! এটা কি নতুন নিকে পুরান মাল নাকি নয়া বৈরাগী?
বুঝতে পারছিনা মি. আকাশ আপনাকে কি দিয়ে ওয়েলকাম জানাব।
ধানাইপানাই করে আরেকটু আলোচিত হোন। উপযুক্ত সময়ে উপযুক্ত থেরাপি পেয়ে যাবেন। So, don't be worried
১৭| ০৫ ই জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৩:০২
নতুন নকিব বলেছেন:
অশেষ মোবারকবাদ প্রিয় কাউয়ার জাত,
আপনার বুদ্ধিদীপ্ত মন্তব্যগুলো দেখি আর মাঝে মাঝে ভাবনার সাগরে তলিয়ে যাই। অভিভূত আপ্লুত হই। যেখানে যেমনটি প্রয়োজন সেখানে তেমন করে উপযুক্ত, মানানসই, যথাযথ এবং সর্বোপরি ধারালো যুক্তিপূর্ন কথামালা উপস্থাপন করা আপনাকেই মানায়।
কথা বার্তায় যা দেখি, এই ভদ্রলোক(!) সম্ভবত: পুরনো এক্সপার্ট। বৃটিশ নিযুক্ত কেরানী নবীর ফেতনাবাজ উম্মত!!! এই মিথ্যাবাদীদের দাবি অনুসারে, ঈসা মসীহ আলাইহিস সালাম, মাহদী আলাইহিস সালামসহ কত কত মহান ব্যক্তি যে এই দুর্গন্ধযুক্ত ফাসাদ সৃষ্টিকারীদের ভেতরে ঘুরে বেড়াচ্ছেন তার ইয়ত্তা নেই!!!! এক কথায় এই মিথ্যাচারীদের মিথ্যার কোন সীমা পরিসীমা নেই। একমাত্র আল্লাহ পাক যদি হেদায়েত দান করেন।
বিষ্ঠা মূত্রে নিমজ্জিত হয়ে নির্মমভাবে নিহত কেরানী নবীর উম্মাদ উম্মতের উম্মত্বতা প্রশমনে আপনার আগমন শুভ হোক। আমাদের সকল প্রচেষ্টা কবুল করুন মালিক মহিয়ান। অবারিত কল্যানের বারিধারা বর্ষন করুন আপনার প্রতি। আমীন।
১৮| ০৫ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ৮:০০
নাঈমুর রহমান আকাশ বলেছেন: একটা লোকের গল্প বলি। তিনি একদিন তাওয়াফ নামের এক শহরে সহসা এসে বলা শুরু করলেন তিনি আল্লাহর মনোনীত এক নবী। সবাইতে তিনি তাঁকে গ্রহণ করতে বললেন। শহরের লোকেরা তাঁকে পাথর ছুঁড়ে রক্তাক্ত করে তাড়িয়ে দিল।
এক দাস তাঁর কথায় ঈমান এনেছিল। দাসের মালিক দাসকে বেদম প্রহার করেছেন। শেষে তাড়িয়ে দিয়েছিলেন।
তাঁর নিজের পরিবারের লোকেরাও যে তাঁকে খুব একটা গ্রহণ করেছিলো তা নয়। মাত্র গুটিকয়েক আত্মীয় তোঁর কথায় ঈমান আনলো। বাদবাকি লোকেরা তাঁর ওপরে এতো ক্ষিপ্ত ছিলো যে একদিন রাতের অন্ধকারে তাঁকে হত্যার চেষ্টা করা হলো। তিনি শহর থেকে পালিয়ে চলে গেলেন।
নাম জানেন এই মানুষটার? হযরত মুহাম্মদ (সা) ।
আপনি যাকে গালিগালাজ আর মিথ্যা অপবাদ দিচ্ছেন, তিনি মহানবী মুহাম্মদ (সা) এর প্রতিশ্রুত মসীহ। আল্লাহর মনোনীত বান্দা। আপনার কাছে আপনার জঘন্য নোংরা অপবাদের কোনও প্রমাণ নেই। আপনার সব মিথ্যার জবাব আমার ব্লগে দিয়ে দিয়েছি আমি। আরও আসছে। কিন্তু আপনি সব ভদ্রতার সীমা অতিক্রম করেছেন। আপনি যদি আল্লাহর গজবে ভয় পান তবে আপনার সাবধান হওয়া উচিৎ। অবশ্য আপনার মোল্লারা আপনার আল্লাহর ওপরে ভয়ের সব কারণ সরিয়ে দিয়েছেন।
দেখতে থাকুন আল্লাহ কাকে জয়ী করেন। সত্য অবশ্যই জিতবে।
১৯| ০৬ ই জুলাই, ২০১৭ দুপুর ২:৩৭
নতুন নকিব বলেছেন:
'একজন আহমদী মুসলিম' নামের ছদ্মবেশি এক ভদ্দরনোক ক'দিন লাফালাফি করেছিলেন সামুতে। অনেকের পোস্টের মত আমার পোস্টেও তিনি এবং তার সহযোগী আরেকজন 'ইহসান আকসার মাহমুদ' নিকধারী দু'জন কাদিয়ানী পঁচা মালের ফ্রি এড বিলিয়েছিলেন কিছু দিন পূর্বে। অত:পর উধাও হয়ে গেছেন দু'জনই। 'নাঈমুর রহমান আকাশ'নামের এই ব্যক্তি ভিন্ন নিক নিয়ে উদয় হলেও তাদেরই ক্লোন হবেন হয়তো। এই পোস্টে এই ব্যক্তির সর্বশেষ ১৮ নং কমেন্টটির জবাব আমার 'ফিলিস্তিন! হায়রে ফিলিস্তিন!!' পোস্টে 'একজন আহমদী মুসলিম' এর ২৮ নং মন্তব্যের জবাবে দিয়ে দেয়া সঙ্গত মনে করে সেখানে দিয়েছি। পোস্ট লিঙ্কটি নিচে যুক্ত করে দিলাম-
ফিলিস্তিন! হায়রে ফিলিস্তিন!!
২০| ০৬ ই জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৩:৪৬
নাঈমুর রহমান আকাশ বলেছেন:
* আল্লা’র আইন ও মোল্লা’র আইন ! [ (পর্ব) – দুই]
-------------------------------------------------------+-+-------
প্রশ্ন: ইসলাম কি ধর্ম নিরপেক্ষ ?
উত্তর: ইসলামেই ধর্ম নিরপেক্ষতা বিদ্যমান।
ধর্মনিরপেক্ষতা অর্থ ধর্মহীনতা নয়। এর অর্থ বিশ্বাসের দিক দিয়ে সকল ধর্ম সমভাবে এক বা সমান নয়। ধর্মনিরপেক্ষতার অর্থ হলো সকল ধর্মের লোকের প্রতি সমান আচরণ। ধর্মের কারণে কারও প্রতি অবিচার না করা, অসাম্য, বিভেদ সৃষ্টি না করা।
আল্লাহ ধর্মের কারণে কারও প্রতি তাঁর করুণা বর্ষণে কার্পণ্য করেন না। যদিও তাঁর কাছে ধর্ম একটিই। তবু তিনি শুধু তাঁর মনোনীত ধর্মের অনুসারীদের উপরই কৃপা করেন না। যারা তাঁকে মান্য করে তাদেরকে যেমন তিনি পালন করেন, তেমনি যারা তাঁকে মানে না, বিশ্বাস করে না, তাদেরকেও তিনি পালন করেন আলো, বাতাস, নদী, পানি ফুল, ফল, স্ত্রী-সন্তান, জীবিকা ইত্যাদি সমভাবে প্রদান করেন।
তিনি আস্তিক, নাস্তিকসহ সকল ধর্মের লোকদের পালনকর্তা এবং ক্রমোন্নতিদাতা রব। শুধু মানুষই নয়, জগতে যারা বাস করে তারা সবাই তাঁর পরিবারের সদস্য। তিনি এই পরিবারের একমাত্র কর্তা। আল খালকু আয়ালুল্লাহ। অর্থ– সৃষ্ট সব কিছুই তাঁর পরিবার।
পবিত্র কোরআনে অন্যত্র বলেছেন, জগতের সব কিছুই সকল মানুষের জন্য সৃষ্ট। শুধু মুসলমানের জন্য সৃষ্ট বলা হয়নি, বলা হয়েছে সকল মানুষের জন্য। বিশ্বপ্রকৃতির সব কিছুই সকল ধর্ম ও বর্ণের মানুষ সমভাবে ভোগ করছে। এ ব্যাপারে মুসলমান অমুসলমানে কোনো পার্থক্য করা হয়নি। আর এটাই তো হল ধর্মনিরপেক্ষতা।
সকল মানুষ একই সম্প্রদায়ভূক্ত– আল কোরআন। সূর্য আলো ও উত্তাপ দেয় সকলের জন্য। ধর্মের বা বিশ্বাসের কারণে এখানে কোনো পক্ষপাতিত্ব হয় না। চন্দ্র কিরণ দেয় সকল মত ও পথ নির্বিশেষে, সবাইকে। এতে কোনো তারতম্য হয় না। বাতাস থেকে আস্তিক-নাস্তিক সবাই শ্বাস গ্রহণ করে থাকে। পানীয় জল সকল প্রকার ধার্মিক ও অধার্মিকের পিপাসা নিবারণ করে। উৎপন্ন ফসল সকলের খাদ্য। এমনকি যত উপকারী বস্তু আছে তা ভেদাভেদশূন্যভাবে সকল মানুষের জন্য ব্যবহৃত হয়।
আর যত ক্ষতিকর জিনিস তা সকলেরই ক্ষতি সাধন করে। ঔষধের ক্রিয়া ধর্মবর্ণগোত্রনির্বিশেষে মানুষের মধ্যে কোনো পার্থক্য করে না। আর এরই নাম ধর্মনিরপেক্ষতা।
মায়া-মমতা-স্নেহ-ভালবাসা-দুঃখ-কস্ট-আবেগ-অনুভূতি সবারই এক। ধর্ম-বর্ণভেদে কোন পার্থক্য নেই। এখানেও ধর্মনিরপেক্ষতা।
ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র বলতে বুঝায় রাষ্ট্রের সকল নাগরিকের জন্য সমান ব্যবহার। চুরি, ডাকাতি, খুন, রাহাজানি করলে মুসলমান হোক বা অমুসলমান হোক সবারই একই প্রকার শাস্তি হবে। সকল ধর্মের লোককে একই হারে খাজনা দিতে হবে। সকল ধর্মের লোকই রাষ্ট্রের বিভিন্ন কাজে যোগ্যতানুযায়ী চাকুরী পাবে। মুসলমান হিসেবে বিশেষ কোনো সুবিধা ভোগ করবে না।
ধর্মানুযায়ী কর্মের বিচার স্বয়ং আল্লাহ করবেন। ধর্মের বিচার মানুষ করবে না। রাষ্ট্র করবে জাগতিক কাজের বিচার। রাষ্ট্র কখনও কোনো ধর্মের ইজারাদার হতে পারবে না। মসজিদ, মন্দির, গীর্জা ইত্যাদি থাকবে নিজ নিজ ধর্মসম্প্রদায়ের হাতে। তারা এই সব উপাসনালয়ের তত্বাবধান করবে। সরকার এর উপর হস্তক্ষেপ করবে না।
কোনো বিশেষ ধর্মাবলম্বীকে কোনো প্রকার বিশেষ সুযোগ-সুবিধা প্রদান করা হবে না। সকল ধর্ম ও ধর্মাবলম্বীর সঙ্গে সমান ন্যায়বিচার ও ব্যবহার করবে।
আল্লাহর দান বৃষ্টির মতো। বৃষ্টি যখন নামে তখন সবার জন্যই রহমত হয়। আল্লাহর সৃষ্ট আগুন মুসলমানের আমিষ এবং হিন্দুর নিরামিষ রাঁধতে তারতম্য করে না। আগুনে হাত দিলে মোল্লা, পুরোহিত বা পাদ্রীর হাত সমভাবে পুড়ে যাবে। এই হল ধর্মনিরপেক্ষতা।
এই নিরপেক্ষতা আল্লার বিধান। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন অর্থাৎ সকল জগতের স্রষ্টা ও পালনকর্তা। তিনি শুধু রাব্বুল মুসলেমীন নন। অতএব, কোনো বিশেষ ধর্ম কোনো রাষ্ট্রের ধর্ম হতে পারে না। বিশেষ করে আন্তর্জাতিক ধর্মের বেলায় তো রাষ্ট্রধর্ম হওয়ার প্রশ্নই উঠে না।
রাষ্ট্রধর্ম ব্যবস্থাটি ধর্মনিরপেক্ষতার উল্টো। আল্লার সৃষ্ট প্রকৃতি বা বিধান এহেন মতবাদ সমর্থন করে না। মহানবী (সা মদিনার সনদে সকল ধর্মের লোকের সমঅধিকার স্বীকার করেছেন। মুসলমান, ইহুদি এবং পৌত্তলিকদেরকে এক উম্মত বলেছেন। এ থেকে আমাদের শিক্ষা গ্রহণ করা উচিত।
ইসলাম প্রকৃতিসম্মত ধর্ম, অর্থাৎ দ্বীনে ফিতরাত। অতএব, আমাদেরকে প্রকৃতি থেকে শিক্ষা গ্রহণ করেতে হবে। সংকীর্ণতা ইসলামে নেই। আমাদেরকে আল্লাহর গুণে গুণান্বিত হতে হবে। আল্লাহ সালাম, তাই আমরা হব শান্তি প্রিয়। আল্লাহ মুমেন, এজন্য আমাদেরকে বিশ্বাসী হতে হবে। আল্লাহ রহিম, তাই আমাদেরকে রহম দীল হতে হবে। জাতিধর্মনির্বিশেষে সকলকে সমভাবে কর্মভেদে দান করতে হবে। এই রুপে আল্লার যত গুণ আছে সেই সব গুণের বিকাশ ঘটাতে হবে আমাদের জীবনে।
আমাদের আকাশের ন্যায় উদার এবং বাতাসের ন্যায় সর্বজনীন হতে হবে। সকল সংকীর্ণতার উর্ধ্বে উঠতে হবে। জাতিধর্মবর্ণগোত্রনির্বিশেষে সকলের প্রতি সমান আচরণ করতে হবে। আল্লাহ যেমন– আস্তিক, নাস্তিক, ধার্মিক, অধার্মিক সবাইকে সমভাবে লালন পালন করেন, তেমনি আমাদেরকেও পক্ষপাতশূণ্য হয়ে সকল মত ও পথের লোকের সঙ্গে সমান ব্যবহার করতে হবে। আর এই হল সত্যিকারের ধর্মনিরপেক্ষতা, অর্থাৎ ধর্মের কারণে পক্ষপাতিত্ব না করে সবার প্রতি পক্ষপাতহীন সমান আচরণ করা।
এই বিশ্বপ্রকৃতির মধ্যে আল্লারই সিফাতের বিকাশ ঘটছে। পবিত্র কোরআন বলে, তুমি যেদিকেই তাকাবে আল্লার মুখমণ্ডল (গুণাবলীর বিকাশ) দেখতে পাবে। আল্লাকে চর্মচক্ষে দেখা যায় না। আল্লাহকে দেখতে হবে তাঁর কর্মের মধ্যে। বিশ্বপ্রকৃতির মধ্যে, তাঁর সৃষ্টির মধ্যে তাঁকে দর্শন করা যায়।
আর এ জন্যই জগতকে বলা হয় আলম। আলম ‘ইলম’ শব্দ থেকে উৎপন্ন। জগতকে আলম এজন্যই বলা হয় যে, আলমকে দেখলে আলীম খোদাকে জানা যায়। হাদিসে বলা হয়েছে, যে নিজেকে চিনতে পেরেছে সে আল্লাহকেও চিনতে পেরেছে। যে কোনো সৃষ্টিকে লক্ষ্য করলে আমরা আল্লাহর গুণাবলীর বিকাশ দেখতে পাই। দেখতে পাই, তিনি দানের বেলায় সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ।
প্রতিশ্রুত মসীহ ও ইমাম মাহদী (আ কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত আহমদীয়া মুসলিম জামা’ত-এর একই বিশ্বাস।
২১| ০৬ ই জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৩:৪৮
নাঈমুর রহমান আকাশ বলেছেন: আপনার সব আজগুবী ও নোংরা কথার আমি গা করিনা। সময়মতো আপনারা ধ্বংস হবেন।
২২| ০৬ ই জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৫:৩৪
কাউয়ার জাত বলেছেন: মি. আকাশের কথাবার্তায় মনে হচ্ছে দু'চার দিনের মধ্যেই কাদিয়ানীরা বিশ্বজয় করবে আর আমরা ধ্বংস হয়ে যাব।
২৩| ০৬ ই জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৫:৩৭
নতুন নকিব বলেছেন:
'গা' থাকলে তো করার প্রশ্ন আসতে পারে!
লজ্জা শরম থাকলে তো!
সব কিছু ধুয়ে খেয়ে ফেললে আর কোন কিছুতেই বাধার কথা না!
চোরা না শোনে ধর্মের কাহিনী!!!
বেহায়াদের জাত নেই!!! বেশরম কাদিয়ানী রাবিশদের লজ্জা শরম হায়া সঙ্কোচ দ্বিধা সংশয় বিশ্বাস ঈমান কিছুই নেই!!!! ঈমান বিক্রি করে এগুলো দুনিয়া ক্রয়ে ব্যস্ত!!!!!!!! ইসলাম ছেড়ে কাদিয়ানী কুফুরি মতবাদে লিপ্ত!!!!!!!! আল্লাহকে রেখে বৃটিশ বন্দনায় মগ্ন!!!!!!!!!!
বলি, ধ্বংস তো প্রথমে হয়েছেন আপনাদের গুরু, বৃটিশ মনোনীত নবী!!!!!!!!!!!!!!!!!!! পায়খানায় পরে গু খেয়ে যে তিনি ধ্বংস হয়েছেন তা কি দেখেন নি??????????????? লজ্জা শরমের সাথে চোখের জ্যোতিও হারিয়েছেন???????? হায়রে ভন্ড নবীর অন্ধ উম্মত!!!!!!!!!!!!!!
২৪| ০৬ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ৯:০৩
নাঈমুর রহমান আকাশ বলেছেন: পায়খানায় পরে গু খেয়ে যে তিনি ধ্বংস হয়েছেন তা কি দেখেন নি???????????????
মসজিদে আসবেন। ডেথ সার্টিফিকেটের কপি দেখিয়ে দেবো। এইরকম মিথ্যাকথা বলতেন আপনাদের সাইদী-নিজামীরা । আজ কোথায় উনারা? আপনার জঙ্গি হুজুরেরা সবাই কই?
কাউয়ার জাত বলেছেন: মি. আকাশের কথাবার্তায় মনে হচ্ছে দু'চার দিনের মধ্যেই কাদিয়ানীরা বিশ্বজয় করবে আর আমরা ধ্বংস হয়ে যাব।
এটা আপনি জানেন না, তবে আমার কোনও সন্দেহ নেই। ইতোমধ্যে মধ্যপ্রাচ্যে কি হচ্ছে দেখছেন তো?
২৫| ০৬ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ৯:০৫
নাঈমুর রহমান আকাশ বলেছেন: এতো নোংরা কেন আপনাদের ভাষা? মেথর-চামারারও এতা নোংরা ভাষায় কথা বলেনা। ছিঃ
আর আমি এক গাধা, আপনাদের সাথে বিতর্ক করছি। চললাম। দোয়া করি আল্লাহ আপনাদের মতো মিথ্যুকদের বিচার করুন।
২৬| ০৭ ই জুলাই, ২০১৭ সকাল ৯:১৮
নতুন নকিব বলেছেন:
আপনি আর আপনার গু খোর কাদিয়ানী জাতের জন্য ইতোপূর্বেও এরকম থেরাপী দিতে হয়েছিল!!!!!!!!!!!!!!! লাম্পট্য প্রদর্শন করতে এসেছিল সামুতে!!!!!!!!!!!!!!!!! নতুন ধর্ম প্রচারক সেজেছিল!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!
আপনি গাধা নন, আসল গাধা ছিল ঐ যে ঐটা!!!!!!!!!!! ভন্ড গুরুটা!!!!!!!! আপনি হলে বড়জোর তার বাচ্চা হতে পারেন!!!!!!!!!!! বেহুদা বাপের লকব নিজে দখল করতে চান কেনরে বাবা???????????? বাপরে ঠকানোর চেষ্টায় বিবেক বাধা দেয় না????
ভাষার কি দেখেছেন মশাই????????????? নোংরা কি আমরা না মিথ্যাবাদি ভন্ড নবীর উম্মত দাবিদাররা??????????? হয় মিথ্যাবাদিরা অবনতমস্তকে তওবা করে সত্যের পথে ফিরে আসবে, নয়তো করজোড়ে মিনতি করে স্বীকার করে নিবে যে তারা মিথ্যার সাগরে হাবুডুবু খাচ্ছে!!!!!!!!!!!!!!!!!!!! মিথ্যার বিনাশ সাধন আর সত্যের জয়গান পূর্নতা পাওয়া পর্যন্ত আমাদের মুখ-হাত-কলম চলবে। চলতেই থাকবে। চলতেই থাকবে ইনশাআল্লাহ।
বাজারী ধর্মপ্রচারণা নিয়ে লেখা আর হাস্যকর কিছু কবিতার কথা মনে আছে তো???????????????
হাজার কাদিয়ানী কাফেরও যদি সমবেত হয়, ওদের মোকাবেলায়, ওদের মিথ্যাবাদিতা প্রমানের জন্য অনলি আমি একাই যথেষ্ট ইনশাঅাল্লাহ।
নোট: কাদিয়ানীর সংখ্যা পৃথিবীতে হয়তো মোটমাট হাজার কয়েক হতে পারে। আফ্রিকার কিছু দরিদ্র দেশের কালো মানুষদের বৃটিশ আব্বাদের মাধ্যমে খাবার দাবার দিয়ে জোর করে ধর্মান্তরিত করে দলে ভিরিয়েছে ইদানিং। তার পূর্ব পর্যনত এ সংখ্যা সম্ভবত: হাজারের নিচেই ছিল।
আল্লাহ পাক আমাদের ঈমান আমল হেফাজত করুন।
২৭| ০৯ ই জুলাই, ২০১৭ দুপুর ১:০৪
নাঈমুর রহমান আকাশ বলেছেন: নোট: কাদিয়ানীর সংখ্যা পৃথিবীতে হয়তো মোটমাট হাজার কয়েক হতে পারে।
এক আমেরিকাতেই আছে বিশ-হাজার। আর ওখানে সবচেয়ে কম। পাকিস্তানে চল্লিশ লক্ষ, এটাই সর্বোচ্চ। বাংলাদেশে লাখ দশেক আছে। আর এগুলো সবাই জানে। আপনি উইকিপিডিয়ায় গেলে জানবেন। শিক্ষিত হোন।
আমার ব্লগে দেওয়া আছে আপনার উত্তর। সবগুলো যাচিয়ে নিন।
মিথ্যাবাদীদের সাথে বিতর্কে যেতে চাচ্ছি না।
http://www.somewhereinblog.net/blog/naimur2017/30200187আহমদীয়া মুসলিম জামাতের ওপরে আনা বিভিন্ন অভিযোগসমূহ ও তার খন্ডন
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ২:৪৩
ডেণ্টিস্ট সাইফ বলেছেন: আপনি কাদিয়ানী সেটা বলে দিলেই তো হয়, এই সেই কাদিয়ানী যে পায়খানায় পড়ে মরেছিল। কাদিয়ানী বলুন, আহমেদিয়া বলুন, মুসলিম বলছেন কোন থিওরীতে?
২৮| ১০ ই জুলাই, ২০১৭ সকাল ১০:৪১
নতুন নকিব বলেছেন:
ভোদাইরে বলে লাভ নেই!!!!!!!! বুঝিয়েও ফায়দা নেই!!!!!!!!!! তবু বলি, গর্ব করতেই পার, বাবাজি!!!!! জাহান্নাম পূর্ন করতে তোমাদের সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পাওয়ার প্রয়োজন থাকলেও থাকতে পারে!!!!!!!!!!!!!!! হা হা হা হা!!!!!!!!!!!!!
বলি,
আহমদীয়া কাফের জামাত, মিথ্যাবাদী কাযযাবের বাচ্চাদের জারজ পয়দায়েশ!!!!!!!!!!!! হারামীর জন্মের হারামী!!!!!!!!!!!!!!!! নষ্ট মাথায় সত্য ঢুকছে না!!!!!!!!!!!! এত কথার পরেও ওদের আব্বাদের দল ভুলতে পারছে না!!!!!!! বলে কি, পাকিস্তানে চল্লিশ লক্ষ!!!!!!!!!!!!!!!!! তোমার মরা জাহান্নামী কাদিয়ানী আব্বায় স্বপ্ন দেখাইছে?????????? মিথ্যুক বদমাশের বাচ্চা!!!!!!!!! মুনাফিক শয়তানের চ্যালা!!!!!!!!!! চামচিকা, তেলাপোকা, গুবড়ে পোকা যদি কোটি কোটিও হয়, এগুলো পোকা মাকড়ই!!!!!! কাদিয়ানী ফাদিয়ানীর সংখ্যা গুনে লাভ নেই, ওই পোকা মাকড়দের মত এগুলো একটা হলেও যা, একশো কোটি হলেও তা, ওরা নিসন্দেহে ধর্মচ্যুত, মুনাফিক এবং সর্বোপরি সমস্ত পৃথিবীর মুসলিম উম্মাহ কর্তৃক কাফের ঘোষিত!!!!!! কাফেরদের সাথে তর্ক করাও ঘৃনার!!!!!!!!!
আল্লাহ যদি এই ধর্মত্যাগী বিভ্রান্ত হতভাগাদের হেদায়েত দেন!
২৯| ১০ ই জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪৪
নাঈমুর রহমান আকাশ বলেছেন: চালিয়ে যান। আপনার নিজের পরিচয় পরিষ্কার হচ্ছে।
৩০| ১১ ই জুলাই, ২০১৭ সকাল ১০:০৭
নতুন নকিব বলেছেন:
আমাদের পরিচয় আগেই প্রকাশিত। আমরা মুসলিম। সারা পৃথিবীর সমস্ত ধর্মের লোক ইসলাম ধর্মের অনুসারী মুসলিম জাতিকে জানে। বিশ্ববাসী যেটা জানে না, তা হচ্ছে, কাদিয়ানী কাফেরদের নতুন নবী আর নানান নামে, এই প্রতারক লোকটির নতুন কাদিয়ানী অসভ্যতার আলিবুলি। বস্তাপচা নোংড়া কুফরি মতবাদ।
আমাদের পরিচয় নতুন করে কি দিবরে বাবা? বিশ্বব্যাপী দেড়শো কোটির বেশি মুসলিম ছড়িয়ে। আমরা তাদের অংশ। তাদের ভাই। ইসলামের মহান জাতিগত ভ্রাতৃত্বের অলঙ্ঘনীয় বন্ধন আমাদের ভূখন্ডগত দূরত্ব, কালো ধলোর প্রভেদ আর ভাষা বৈচিত্রের ভিন্নতাকে খাটো করে গোটা ভূ-ভাগকে বৃহত্তর মিল্লাতে মুসলিমায় পরিনত করে একই সূতোয় গেঁথে দিয়েছে। কবির ভাষায় বলতে হয়- বিশ্ব জোড়া মুসলিম আমি সারাটি জাহানে বেধেছি ঘর। এইতো আমাদের পরিচয়। আমাদের পরিচয় নতুন করে দেয়ার কিছু নেই।
নতুন করে প্রকাশ পাচ্ছে, কাদিয়ানী কাফের নাদানদের বেহায়া চরিত্র।
বলি, অল্পতে ক্ষান্ত দেয়াতেই মঙ্গল। সামুকে ফ্রি কাদিয়ানী এডভারটাইজমেন্ট প্লেস মনে করা বোধ হয় ঠিক হবে না। আবারও বলি, বাবা, সমঝে চললে ভাল হয়, কারন, ঝড় যদি একবার শুরু হয়, তল্পি তল্পা নিয়ে পালাবার সময় হয়তো নাও থাকতে পারে!!!!!!!!!!! প্যান্ট ট্যান্ট পরার টাইম নাও থাকতে পারে!!!!!!!!!!
৩১| ১১ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ৮:২১
নাঈমুর রহমান আকাশ বলেছেন: আমাদের পরিচয় আগেই প্রকাশিত। আমরা মুসলিম। সারা পৃথিবীর সমস্ত ধর্মের লোক ইসলাম ধর্মের অনুসারী মুসলিম জাতিকে জানে। বিশ্ববাসী যেটা জানে না, তা হচ্ছে, কাদিয়ানী কাফেরদের নতুন নবী আর নানান নামে, এই প্রতারক লোকটির নতুন কাদিয়ানী অসভ্যতার আলিবুলি। বস্তাপচা নোংড়া কুফরি মতবাদ।
আপনি হয়তো Islamophobia শব্দটি শোনেন নি। যুগের ঈমামকে না মানার পরিণতি বরণ করে নিতে তৈরী হোন।
৩২| ১৩ ই জুলাই, ২০১৭ সকাল ৯:২৭
নতুন নকিব বলেছেন:
সামহোয়্যার ইন ব্লগ এর সম্মানিত এডমিন প্যানেলের প্রতি বিনীত আবেদন রাখতে চাই, দয়া করে এই উদ্ভট সমস্যার কবল থেকে সামুকে মুক্ত রাখার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিন। কাদিয়ানী বিষ মুক্ত সামু চাই। এদের অযাচিত অত্যাচার থেকে সামু এবং এখানকার ব্লগারদের পরিত্রান আশা করছি। এদের ধারনা, তাদের ভ্রান্ত মতের গুটি কয়েক ব্যক্তি ব্যতিত বাংলাদেশ এমনকি পৃথিবীর বাকি সকলেই কাফের। লন্ডনের প্রভূদের সেলামীতে আজও এই গোষ্ঠীর পেট চলে। লন্ডনেই এদের গোড়া ঘাট। ষড়যন্ত্রের কেন্দ্র কলা।
ততকালীন বৃটিশ জবরদখলকারী প্রশাসকদের আজ্ঞাবাহী, এই উপমহাদেশের মাটি ও মানুষের সাথে গাদ্দারী করা লোকটির তোষামোদিতে অতিশয় আহলাদিত হয়ে যাকে একদা বৃটিশ সরকার নবুয়ত, নিরাপত্তা, জায়গীর, জমিদারী দানে ধন্য করেছিল, সেই ব্যক্তির পোষ্যরা যখন আমাদের ধর্ম নিয়ে প্রশ্ন তোলার সাহস পায়, তখন নিজেদের বড় অসহায় লাগে।
আমরা ইতোপূর্বেও এই দুরাচারদের উতপাত মাঝে মধ্যে সামুতে লক্ষ্য করেছি। ইদানিং এই ধারাবাহিকতার অংশ হিসেবে নাঈমুর রহমান আকাশ নিকধারী ব্যক্তিটি সামুর ওপরে ভর করে লন্ডনী প্রভূদের মিশন বাস্তবায়নের স্বপ্ন দেখছে হয়তো! গত কিছু দিন যাবত তার অস্বাভাবিক আচরনে ব্লগবাসী রীতিমত অতিষ্ঠ। তিনি কাদিয়ানী মিথ্যা নবুয়ত দাবিদার বিভ্রান্ত বৃটিশ চরের ফালতু ধর্ম প্রচারে এই উম্মুক্ত প্লাটফর্মটি ব্যবহার করে তাবলিগে নেমেছেন। এর বিনিময়ে হয়তো তিনি এবং তার সাঙ্গপাঙ্গগনের রুটি রুজির বন্দোবস্ত হয়ে যায়। সঙ্গোপনে।
ইতোমধ্যেই আমরা লক্ষ্য করেছি, তিনি তার ব্লগ এবং কমেন্টে মিথ্যেবাদি কাদিয়ানী নবী দাবিদার ব্যক্তিটিকে মেনে না নেয়ার করুন পরিনতির প্রতি হুমকি এবং ভয় ভীতি প্রদর্শন করে চলেছেন ব্লগারদের। আরও লক্ষনীয়, তিনি সামু ব্লগের সম্মানিত এডমিন প্যানেলকেও দায়ী করে ক্ষোভ ঝেড়েছেন, কেন তাকে প্রথম পৃষ্ঠায় লেখার সুযোগ দেয়া হয় না। তার ভাষায় 'তিনি আহমদিয়া বলে সামু তার প্রতি এই আচরন করছে'। ভেবে পাচ্ছি না, সামুতে দু'দিন বয়সের এই ব্যক্তিকে কে বোঝাতে যাবে যে, সামুরও কিছু রুলস রেগুলেশন থাকতে পারে?
সামুতে ধর্ম বর্ন নির্বিশেষে সকলের সহাবস্থানের লক্ষ্যে, হৃদ্যতাপূর্ন সুন্দর পরিবেশ বজায় রাখার স্বার্থে, সর্বোপরি সম্মানিত ব্লগারদের অস্বস্তি দূরিকরনে অবিলম্বে এই মিথ্যেবাদী নবীর মিথ্যে তাবলীগ, ফিতনাবাজি এবং তোষামোদীর মূলোতপাটনে যথোপযুক্ত পদক্ষেপ একান্তভাবে প্রত্যাশা করছি।
©somewhere in net ltd.
১|
০২ রা জুলাই, ২০১৭ রাত ৩:৪৯
কাউয়ার জাত বলেছেন: সময় করে পড়ার ইচ্ছা রইল। আপাতত ধন্যবাদ দিয়ে গেলাম।