নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

হৃদয়ে বাংলাদেশ

ঢাবিয়ান

ঢাবিয়ান › বিস্তারিত পোস্টঃ

পর্যটন শিল্পের সম্প্রসারন এবং আমাদের বাস্তবতা

০৭ ই এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১২:৪৪

প্রযুক্তিগত উন্নতির কারনে বিশ্বব্যপী শ্রমবাজার সংকুচিত হয়ে আসছে। যন্ত্রই এখন প্রচুর জায়গায় মানুষের স্থান দখল করে নেয়াতে দেশে বিদেশে বাড়ছে বেকারত্ব । নতুন শ্রমবাজার তৈরীতে বিশ্বব্যাপী বিগত কয়েক বছরে বিপুল জনপ্রিয়তা লাভ করেছে পর্যটন শিল্প। এই খাত থেকেই এখন সবচেয়ে বেশি টাকা উপার্যন করছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ। মুসলিম দেশগুলো আগে পিছিয়ে থাকলেও এখন পর্যটন শিল্পে দারুন এগিয়ে গেছে বেশ কিছু দেশ যার মাঝে উল্ল্যখযোগ্য হচ্ছে মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়া। সারা বছরব্যপী বিদেশী টুরিস্ট দিয়ে ঠাসা থাকে দেশগুলো। প্রাকৃ্তিক সৌন্দর্যের দিক দিয়ে আমাদের দেশও কোন অংশেই পিছিয়ে নেই। ইউরোপিয়ান টুরিস্টদের কাছে দারুন জনপ্রিয় মালয়েশিয়া বা ইন্দোনেশিয়ার বিখ্যাত টুরিস্ট স্পট পেনাং, লাংকাউই, জেন্টিং , কিংবা বালি গেলে মনে হবে যে আমাদের দেশের কক্সবাজার , সিলেট,সুন্দরবন এসব জায়গাগুলোর চাইতে আরো অনেক বেশি সুন্দর। এ্সব জায়গা ছাড়াও আমাদের দেশের অন্যান্য জেলাতেও রয়েছে বহু দর্শনীয় স্থান।

কয়েকবছর আগে পারিবারিক ট্যূরে সিলেটের শ্রীমঙ্গলে বেড়াতে গিয়ে পর্যটন কর্পোরেশনের একটি হোটেলে উঠেছিলাম। পাহাড় ও বন জঙ্গলের মধ্যে নির্মিত হোটেলটি এক কথায় অপুর্ব । ডিসেম্বর মাস সাধারনত টুরিস্ট সিজন, কিন্ত অবাক হয়ে দেখেছিলাম যে, হোটেলটি বলতে গেলে খালি। এত বড় হোটেলে আমরা ছাড়াও আর দুই তিনটি পরিবার কেবল ছিল সেখানে। ভাবছিলাম যে, এই জায়গাটি যদি মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুরে হত তাহলে টূরিস্ট দিয়ে ভরা থাকতো জায়গাটা।

একটা টুরিস্ট জোনে প্রচুর মানুষের কর্ম সংস্থান সম্ভব। ঢাকাকে বিকেন্দ্রীকরন করার যে কথা বারবার বলা হয়, তা এই পর্যটন শিল্পকে সম্প্রসারন করার মাধ্যমেই করা সম্ভব। তবে আমাদের দেশে পর্যটন শিল্প সম্প্রসারনে সবচেয়ে বড় বাধা হচ্ছে আমাদের দেশের আইন শৃংখলা পরিস্থিতি। অনালাইনে How safe is Bangladesh to travel লিখে সার্চ দিলে দেখা যায় বাংলাদেশ high risk এলার্ট দেয়া একটি দেশ। কারন হিসেবে চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, খুন খারাপি, ড্রাগ ইত্যাদি ভয়ঙ্কর অপরাধের বিবরন পাওয়া আয়। এছাড়া নরবরে সিস্টেমের এয়ারপোর্ট আর ট্রাফিক জ্যামতো আছে।

সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ান নাগরিক ও ট্রাভেল ব্লগার লিউক ডেম্যান্ট ফেসবুকে একটি ট্রাভেল ভিডিও আপলোড করেন। সেখানে দেখা যায়, কারওয়ান বাজার থেকে একজন বয়স্ক লোক তার সাথে বিরক্তিকর আচরণ করছে। লিউক ডেম্যান্ট এর ফেসবুকে প্রায় ৩.২ মিলিয়ন ফলোয়ার। এই ভিডিওটি ফেসবুকে আপলোড করলে সেটা নেট দুনিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। আর এরপরেই আমাদের নেট দুনিয়ার টার্গেট হয়ে পড়েন লিউক। তার চরিত্র হননে নেমে পড়েন হাজারো বাঙ্গালী। এমন নেতিবাচক ভিডিও আপ্লোড করাটা তার একেবারেই ঠিক হয়নি , তিনি আসলে ধান্দাবাজ ও খারাপ প্রকৃতির মানুষ ইত্যাদি ইত্যাদি!!!

এসব পোস্ট পড়ে কিছুটা দ্বিধায় পড়ে যেতে হয় এই কারনে যে, তাহলে কি অপ্রীতিকর ঘটনার খবর প্রকাশ করাটা অন্যায়? একজন মানুষ সে দেশি বা বিদেশী হোক , সে যদি অপ্রীতিকর কোন ঘটনার সম্মুখীন হন, তাহলে সেতো তার চারপাশের মানুষকে সচেতন করতে চাইতেই পারে। তার ভিডিও কন্টেন্ট ঠিক করে দেয়ার আমরা কে ? একজন বাংলাদেশী হিসেবে আমাদের বরং কালু মিয়ার এহেন আচরনের জন্য লজ্জিত হওয়া উচিত এবং এ ধরনের কর্মকান্ড কিভাবে কমানো যায় সে বিষয়ে লেখালেখি করা উচিত। দেশের ভাবমুর্তি উদ্ধারে আমাদের দেশ যেন high risk এলার্ট থেকে safe zone এ আসতে পারে সে বিষয়ে কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়া উচিত। বিদেশী ট্যভেল ব্লগারদের আমাদের বস্তি , ট্রাফিক জ্যাম বা অপরাধ্মুলক ভিডিও আপ্লোডের সমালোচনা করে আর যাই হোক দেশের ভাবমুর্তি উন্নয়নে কোন ভুমিকাই রাখা সম্ভবপর হবে না।

মন্তব্য ২৩ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (২৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১:২৫

নতুন বলেছেন: পর্যটন শিল্পের প্রধান যেই জিনিসটা দরকার সেটা হলো বিনয়, আতিথিপারয়নতা, নিরাপত্তা, ঐতিয্য,

আমাদের দেশের জনগন এখনো এই জিনিসগুলি পুরুপুরি আয়াত্ত করতে পেরেছে কি?

বিদেশীরা আমাদের দেশে কি জন্য আসবে সেটা ঠিক করতে হবে প্রথমে।

তারপরে তাদের নিরাপ্ত্তা, যাতায়াতের ব্যবস্থা, এবং সর্বপরি জনগনের সর্বচ্চো সহোযোগিতা দরকার।

০৭ ই এপ্রিল, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:০১

ঢাবিয়ান বলেছেন: আমাদের শুধু অনুপম প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর প্রচুর জায়গা আছে , কিন্ত সেগুলো উপভোগ করার কোন পরিবেশই নাই।

২| ০৭ ই এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১:৩১

রানার ব্লগ বলেছেন: আমার মনে হয় বাংলাদেশের কোন সরকার পর্যটন শিল্প কে সিরিয়াসলি নেয় নাই। তারা নামকা ওয়াস্তে টুকটাক তাদের দায়ীত্ব সেরে নিজেদের আখের গুছাতে ব্যাস্ত। অথচ বিশ্বের তাবড় তাবড় দেশ স্রেফ এই পর্যটন শিল্পের আয়ের মাধ্যমেই দেশের উন্নয়ন ঘটিয়েছে।

০৭ ই এপ্রিল, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:০৪

ঢাবিয়ান বলেছেন: দেশের মানুষ কিভাবে বেচেঁ আছে, তা জানার দরকার সরকারের নাই বলেই নতুন শ্রমবাজার তৈরীর কোন আগ্রহই নাই।

৩| ০৭ ই এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১:৪৮

নূর আলম হিরণ বলেছেন: পর্যটন শিল্পকে উন্নত করতে হলে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন করতে হবে। এটাই ফার্স্ট পায়রটি। এটা করা গেলে পর্যটন শিল্প থেকে জাতীয় উৎপাদনে প্রচুর পরিমাণ অর্থ যোগ হবে।

০৭ ই এপ্রিল, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:০৬

ঢাবিয়ান বলেছেন: আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নই প্রথম শর্ত। High risk এলার্টের মুল কারনই হচ্ছে আমাদের দেশে কোন প্রকার ল এন্ড অর্ডার না থাকা।

৪| ০৭ ই এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ২:১৮

অপু তানভীর বলেছেন: কিন্তু অনেকে দেখা যাচ্ছে সেই কালু মিয়ার সাফাই গাইছে । আরেক দল আবার এও বলছে দেশে এতো বড় বড় অপরাধ করছে কালু মিয়ার পেছনে আমরা কেন পড়ছি । কী আজিব এদের মনভাব !

একজন মানুষ অন্যায় করেছে সেটা না বলে অন্যদের অন্যায় দিয়ে সেটাকে সাফাই গাওয়া চলছে ।


আর আমাদের দেশে পর্যটন শিল্প গড়ে ওঠার সম্ভবনা কম । বিশেষ করে বাইরের দেশের মানুষ এই দেশে একবার যে আসবে সে হয়তো আর দ্বিতীয়বার আসবে না। অন্যান্য দেশে যেখানে অতিথিদের সাথে চমৎকার ব্যবহার করা হয় আমাদের দেশের মানুষেরা কিভাবে পর্যটকদের টাকা মেরে খাবে সেই চিন্তাই ব্যস্ত থাকে ।
আমাদের দেশীদের জন্য অবশ্য উপায় নেই বলে আমরা যাই ঘুরে ফিরে এখই জায়গায় !

০৭ ই এপ্রিল, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:১৫

ঢাবিয়ান বলেছেন: আমাদের দেশে বিগত কয়েক বছরে অন্যায়ের পক্ষালম্বন করার একটা মারাত্মক প্রবনতা তৈরী হয়েছে। যারা অন্যায়ের প্রতিবাদ করছে , তারা বরং বুলিং এর শিকার হচ্ছে। সভ্য কোন দেশে আপনি এ ধরনের আচরন দেখতে পাবেন না।

ঠিকই বলেছেন যে, বাইরের দেশের মানুষ এই দেশে একবার যে আসবে সে হয়তো আর দ্বিতীয়বার আসবে না।

৫| ০৭ ই এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ২:৪৩

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: বহির্বেশ্বের লোকজনের বাংলাদেশের প্রতি খুব নেগেটিভ ধারণা আছে, যে কারণে আমাদের দাশের পর্যটন শিল্প আলোর মুখ দেখছে না।

০৭ ই এপ্রিল, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:২১

ঢাবিয়ান বলেছেন: নেগেটিভ কারনগুলো দূর করার কোন পদক্ষেপতো নেয়া হচ্ছে না। স্বল্প কিছু ট্র্যভেল ব্লগার যাওবা আসে, তারা আমাদের দেশের বস্তি, দরিদ্র মানুষ , ট্রাফিক জ্যম এর ভিডিও করে অনলাইনে ছাড়ছে । কিন্ত তাদের দোষ দিয়ে কি কোন ফায়দা আছে ? ্মিথ্যা কোন কিছুতো আর তারা অনলাইনে দিচ্ছে না।

৬| ০৭ ই এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৩:৪৯

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আর আমাদের নীচ মানসিকতার কারণে বাংলাদেশের পর্যটনশিল্প বেশিদূর এগোতে পারবে বলে মনে হয় না।

০৭ ই এপ্রিল, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:২৩

ঢাবিয়ান বলেছেন: একমত। অথচ এই সেক্টরে প্রচুর মানুষের কর্মসংস্থান সম্ভব।

৭| ০৭ ই এপ্রিল, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:১৪

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: পশ্চিমের লোকদের জন্য বাংলাদেশ একটা আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্র হতে পারে। হুমায়ূন আহমেদ তার একটা বইয়ে লিখেছিলেন যে তার পরিচিত একজন সাদা চামড়ার লোক বাংলাদেশে এসে নদীতে পাল তোলা নৌকার প্রচুর ছবি তুলেছিল। এই অঞ্চলের কিছু কিছু দৃশ্য অন্য অঞ্চলে নাই। এই কারণে ঐ অঞ্চলের মানুষ এই অঞ্চলের প্রতি আকর্ষিত হতে পারে।

তবে দেশের মানুষের দেশের ভিতরে পর্যটনের সামর্থ্য এবং আগ্রহ আগের চেয়ে অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে যেটা ২৫ বছর আগে ছিল না।

০৭ ই এপ্রিল, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:২৯

ঢাবিয়ান বলেছেন: আমাদের নদী, গ্রাম ইত্যাদি যদি বিদেশিদের এনে দেখানো হয়, তারা এরপর আর মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়ায় যেতে চাইবে না। আমাদের দেশের মানুষের পর্যটনের আগ্রহ বেড়েছে কিন্ত সেগুলো কিছু সীমাবদ্ধ জায়গায়। এক কক্সবাজার ছাড়া বেশিরভাগ জায়গায় , হোটেল রিসোর্ট খালি পড়ে থাকে। ট্যূর কোম্পানিগুলোর কাছ থেকেই জানতে পারবেন। অনেকেই পর্যটক আছে ভেবে এই ব্যবসায় নেমে বিড়াট লস খেয়েছে।

৮| ০৮ ই এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১২:৩৫

বিটপি বলেছেন: আমাদের দেশে ভ্লগারেরা আসে কিসের টানে? এদেশে এমন আছেটা কি?

০৯ ই এপ্রিল, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:২৮

ঢাবিয়ান বলেছেন: তারা আসে বস্তুি, ট্রাফিক জ্যাম , দারিদ্র ভিডিও করে বিশ্বকে দেখাতে। সভ্য দেশের সভ্য মানুষের কাছে অজানা এসব বিষয়। তাই ভিডিও আপ্লোড করার সাথে সাথে ভাইরাল হয়ে যায়।

৯| ০৮ ই এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৩:৪১

রাজীব নুর বলেছেন: সহজ সরল সত্য কথা হলো- বাংলাদেশের কোথাও বেড়াতে যাওয়া যেন অন্যায়, পাপ। কোথাও গ্যে শান্তি পাওয়া যায় না। সব জাগায় ধান্ধাবাজ মানুষ। অসৎ মানুষ। নোংরা মানুষ।

০৯ ই এপ্রিল, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৩০

ঢাবিয়ান বলেছেন: ল এন্ড অর্ডার না থাকলে এমনই হয়।

১০| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১২:৪০

জুন বলেছেন: পরিবেশ এবং আইন শৃংখলা পরিস্থিতির উন্নতি না হলে বিদেশি পর্যটক টানা মুশকিল। তাছাড়াও অনেক কিছু আছে যা বিদেশি পর্যটকদের পছন্দ তালিকায় আছে।

১০ ই এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১:৪৫

ঢাবিয়ান বলেছেন: বাংলাদেশে যে ধরনের পরিবেশ বা পরিস্থিতি তাতে বিদেশী পর্যটকদের টেনে আনার কথাতো ভাবাই যায় না।

১১| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১:২৯

নতুন বলেছেন: বিটপি বলেছেন: আমাদের দেশে ভ্লগারেরা আসে কিসের টানে? এদেশে এমন আছেটা কি?


এদেশের জনসংখ্যা ১৮ কোটি কিন্তু ফেসবুক ব্যবহারীর সংখ্যা ৩৬ কোটি.... এদেশের বড় একটা আকাইম্যা জনগন এই সব ভ্লগারের ভিডিও দেখে আর ট্রল করে, কিন্তু তাদের ভিউ বাড়াতে আয় বেশি হয় তাই তারা এদেশে আসে।

১২| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১:৩২

নতুন বলেছেন: আমাদের দেশের একটা পরিকল্পনা দরকার।

আগে ঠিক করতে হবে

* আমাদের কি কি আছে?
* আমারা কি দেখাতে পর্যটকদের দেশে ডাকবো।
* আমাদের এখানে পর্যটকদের কি কি সুবিধা দেবো
* আমাদের যোগাযোগ ব্যবস্থা ঠিক করতে হবে
* পর্যটকের জন্য নিরাপত্তা দিতে হবে
* বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে হলে, আমাদের বেশ কিছু নিয়ম পাল্টাতে হবে
*

১৬ ই এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ১১:৫১

ঢাবিয়ান বলেছেন: পর্যটক আকর্ষন করার অনেক কিছুই আমাদের দেশে আছে যা অন্য্ অনেক দেশেই নাই। সবচেয়ে গুরুত্বপুর্ন যে বিষয়টা পোস্টে উল্লেখ করেছি ্তা হচ্ছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা। হাই রিস্ক এলার্ট দেয়া একটি দেশে যত কিছুই দেখার থাকুক না কেন , বিদেশি কোন পর্যটক সে দেশে কখনই আসবে না।

১৩| ১৫ ই এপ্রিল, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪৮

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: দেশের পর্যটন বিকাশের জন্য দরকার ছিল সবার আগে প্রতিটি পর্যটন ডেসটিনেশনের সাথে বিভাগীয় শহরগুলোর যাতায়াত ব্যবস্থা উন্নতর করা। অথচ প্রতিটি স্পটের (হাতে গোনা দুয়েকটি ব্যতীত) প্রান্তিক কয়েক কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে কি যে কষ্টে করতে হয় তা পর্যটক মাত্রই জানেন। তাই অবকাঠামোগত উন্নয়ন প্রথমে প্রয়োজন। এর সাথে নিরাপত্তা। এই দুটোর পরেই চলে আসে ব্যাবস্থাপনা, সরকারী ব্যাবস্থাপনায় ট্যুর প্যাকেজ খুবই সীমিত, বলা যায় নগণ্য, এর সংখ্যা বৃদ্ধি করা উচিত। সরকারী তেমন কোন পর্যটন প্য্যাকেজের কথা খুব একটা শোনা যায় না; আর গেলেও তা যেন হাতে গোনা দু’চারটি গন্তব্যে আঁটকে আছে। তাই সবার আগে উচিত সুপরিকল্পিত একটি ভ্রমণ পরিকল্পনা এবং প্যাকেজ তৈরি। সেই প্যাকেজের আওতায় দেশ-বিদেশের পর্যটকের জন্য বিভিন্ন মুল্যে ভ্রমণের ব্যবস্থা করা।

এই বিষয়ে ০৮ বছর আগে লিখেছিলাম, আগ্রহ থাকলে পড়ে দেখতে পারেন:
শুভ পর্যটন বর্ষ ২০১৬। - কিছু বাস্তবতা এবং ভাবনা-প্রস্তাবনা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.