নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

হৃদয়ে বাংলাদেশ

ঢাবিয়ান

ঢাবিয়ান › বিস্তারিত পোস্টঃ

নিষ্ক্রিয় উপদেষ্টাদের নির্বাচনের আগেই সরিয়ে দেয়া প্রয়োজন

২৫ শে জুলাই, ২০২৫ রাত ৮:০৯



হাসনাত আব্দুল্লাহর বক্তব্যের সাথে পুরোপুরি একমত পোষন করছি। ইন্টারিম সরকারের সবচেয়ে বড় ভুল হয়েছে একগাদা অপদার্থ ও নিষ্ক্রিয় উপদেষ্টা নিয়োগ দেয়া। এখন পর্যন্ত অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান ,বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়য়ের মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান ছাড়া আর কোন উপদেষ্টারই উল্লেখযোগ্য কোন অবদান চোখে পড়ে নাই। দুই ছাত্র উপদেষ্টার মাঝে আসিফ মাহমুদ ক্রীড়া মন্ত্রনালয়ে কিছু ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে সমর্থ হয়েছেন। বাদবাকি উপদেষ্টারারা বেতন ভাতা যা নিচ্ছে তা হাসনাতের মতই হারাম বলেই মনে করি যেহেতু তারা পুরোপুরি নিষ্ক্রিয় ভুমিকায় রয়েছে। উপদেষ্টা হিসাবে সবেচেয়ে বেশি ব্যার্থ হচ্ছে স্বরাস্ট্র ও আইন উপদেষ্টা । তাদের অধীনে আইন শৃংখলা বাহিনী ও বিচার বিভাগে পুরোপুরি বিগত স্বৈরাচারের ফরমেট বিদ্যমান । বিচারপতি খায়রুল হককে গ্রেফতারে যারা খুব হাততালি দিচ্ছেন, তাদের কাছে প্রশ্ন বর্তমান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ এর সাথে খায়রুল হকের কি কোন পার্থক্য পরিলক্ষিত হচ্ছে ? খায়রুল হক লীগ ক্ষমতায় থাকা কালে লীগের হয়ে কাজ করেছে। বর্তমান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদও সেই একই দলীয় লেজুরবৃত্তি করে যাচ্ছে। বিচারহীনতা সংস্কৃতির এক বিন্দু পরিবর্তন হয়নি। জাতিসংঘের মত অর্গানাইজেশন ইন্টারিম সরকারের পাশে থাকা স্বত্তেও অকর্মা উপদেষ্টাগুলো এই সরকারকে ব্যর্থ করে দিচ্ছে।



১/১১ এর পর ডক্টর ফখরুদ্দিন এর অধীনে যে তত্বাবধায়ক সরকার গঠিত হয়েছিল সেখানে বরং অনেক সাহসী উপদেষ্টা ছিল। সেই সময়ে দেশের আইন শৃংখলা পরিস্থিতি বেশ ভাল ছিল এবং বিচার বিভাগ কার্যকর ভুমিকা রাখতে সমর্থ হয়েছিল। বর্তমান অন্তবর্তী সরকার ডক্টর ইউনুসের মত আন্তর্জাতিক ব্যক্তিত্ব , জাতিসংঘের মত প্রতিষ্ঠান , বিবিসি আলাজাজিরার মত প্রভাবশালী গনমাধ্যমের সহযোগিতা পেয়েও কাংখিত সফলতা অর্জন করতে না পারার প্রধান কারন উপদেষ্টাদের নিষ্ক্রিয়তা। হাসনাত আব্দুল্লাহ সাহসের সাথে যে বক্তব্য দিয়েছে আশা করি ডক্টর ইউনুস তা ইতিবাচক হিসাবে নেবেন এবং অপদার্থ উপদেষ্টাদের নির্বাচনের আগেই সরিয়ে দেবেন। ডক্টর ইউনুস একটা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন করতে ব্যার্থ হবেন যদি তিনি উপদেষ্টামন্ডলিতে পরিবর্তন না আনেন।

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে জুলাই, ২০২৫ রাত ৯:০৯

কাঁউটাল বলেছেন: ১/১১ এর সাথে ৩৬ জুলাই তুলনা করা ঠিক না। ১/১১ বাংলাদেশকে গাড্ডায় ফেলে দিছে, ৩৬ জুলাই বাংলাদেশকে গাড্ডা থেকে উদ্ধার করেছে।

২৫ শে জুলাই, ২০২৫ রাত ৯:১৩

ঢাবিয়ান বলেছেন: ১/১১ সরকার দেশকে গাড্ডায় ফেলে দিয়েছিল কথাটা সঠিক নয়। বলতে পারেন শেষ পর্যন্ত সফলতা ধরে রাখতে পারেনি আভ্যন্তরীন ও বহিঃশক্তির ষঢ়যন্ত্রের ফলে।

২৫ শে জুলাই, ২০২৫ রাত ৯:২১

ঢাবিয়ান বলেছেন: ১/১১ সরকারে স্বরাস্ট্র ডক্টর ফখরুদ্দিনের অধীনে এবং আইন ও বিচারবিভাগ ব্যরিষ্টার মইনুল হোসেনের অধীনে ছিল। প্রথম দেড় বছর উনারা খুবই ভাল কাজ দেখিয়েছিলেন। শেষের ছয় মাস উনারা নানাবিধ ষঢ়যন্ত্রের কাছে পরাস্ত হয়েছিলেন।

২| ২৫ শে জুলাই, ২০২৫ রাত ১০:৩২

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: হোম এডভাইজার কে না সরানোর দাবি তুলে হেলথ এডভাইজার কেনো সরিয়ে দেয়ার কলরব উঠানো হলো তা বুঝি না । আবার এডুকেশন এডভাইজার কেন সরানো লাগবে সেটাও বুঝি না।

হেলথ এডভাইজার কে সরানো যাবে বলে মনে করি না ।

২৭ শে জুলাই, ২০২৫ দুপুর ১:৫৩

ঢাবিয়ান বলেছেন: আমার পোস্টেই উল্লেখ করেছি যে, বেশিরভাগ উপদেষ্টাই অপদার্থ এবং নিষ্ক্রিয়। এদের কারনেই ডক্টর ইউনুস সরকারের কাছে মানুষের যে প্রত্যাশা ছিল, তা একবিন্দু পুরন হয়নি।

৩| ২৬ শে জুলাই, ২০২৫ সকাল ৭:৫৬

কামাল১৮ বলেছেন: একটি সুষ্ঠু নির্বাচনই পারে এই সমস্যা থেকে বেরিয়ে আসতে।

২৭ শে জুলাই, ২০২৫ দুপুর ১:৩৬

ঢাবিয়ান বলেছেন: জানি না ডক্টর ইউনুসের কি প্ল্যান । তবে বর্তমান প্রসাষন ও ইসির পক্ষে সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন করা সম্ভব নয়।

৪| ২৬ শে জুলাই, ২০২৫ দুপুর ১২:৫০

মেঘনা বলেছেন: আগস্ট পরবর্তী বাংলাদেশর সবচেয়ে বড় বেইমান মোল্লা হাসনাত আবদুল্লাহ। তিনি কোরআনের আয়াত দিয়া ভাষণ শুরু করেন, ইনি ছাত্র নেতার নামে জামাতের প্রোপাগান্ডা সার্ভ করেন।

২৭ শে জুলাই, ২০২৫ দুপুর ১:৩৭

ঢাবিয়ান বলেছেন: এইসব ট্যাগিং এখন অর্থহীন ট্যাগিং।

৫| ২৬ শে জুলাই, ২০২৫ দুপুর ১:০০

কাঁউটাল বলেছেন: ১/১১ সেনাপ্রধান মইনুদ্দিনের কারণে হয়েছিল। হারামজাদা ইন্দিয়ানদের কাছে বাংলাদেশ বিক্রয় করে দিয়েছিল। বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় মিরজাফর মইনুদ্দিন হারামজাদা,

২৭ শে জুলাই, ২০২৫ দুপুর ১:৪০

ঢাবিয়ান বলেছেন: আমি মুলত ডক্টর ফখরুদ্দিন ও তার উপদেষ্টাদের কার্যক্রম সম্পর্কে পোস্টে উল্লেখ করেছি। সেনাবাহীনি সম্পর্কে নয়। মইনুদ্দিন সম্পর্কে যা বলেছেন তাতে আমিও পুরোপুরি একমত।

৬| ২৬ শে জুলাই, ২০২৫ দুপুর ১:৫৮

রাজীব নুর বলেছেন: এই পোষ্টে আমি কোনো মন্তব্য করিব না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.