নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

হৃদয়ে বাংলাদেশ

ঢাবিয়ান

ঢাবিয়ান › বিস্তারিত পোস্টঃ

বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী সংসদ প্যানেল পরিচিতি

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:৩৩

ভিপি প্রার্থী আব্দুল কাদের ঃ দরিদ্র পরিবারে জন্মগ্রহন করা মেধাবী ছাত্র আব্দুল কাদের ছোটবেলা থেকে বিভিন্ন বাধা পেরিয়ে ভর্তি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষাজীবনের পুরোটাই কাদেরের কেটেছে ছাত্রলীগের হাতে নির্যাতিত হয়ে। ২০২২ সালে আবরার ফাহাদের শাহাদাতবার্ষিকীর কর্মসূচিতে ছাত্রলীগের হামলায় আহত হয়ে ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসারত অবস্থায় গ্রেফতার হয়ে জেলে গিয়েছিলেন। জেলে থাকায় অংশগ্রহণ করতে পারেননি ডিপার্টমেন্টের সেমিস্টার ফাইনাল পরিক্ষাতেও।এটা সেই কাদের, যে কিনা জেল থেকে বের হয়েই পুনরায় ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের নির্যাতন, গণরুম, গেস্টরুমের বিরুদ্ধে রাজুতে এসে দাঁড়িয়েছিল বারবার। ২০২৪ এর জুলাই মাসে বৈষম্যবিরোধী আন্দলনে কাদের ছিল সম্মুখ সারিতে লড়াই করা এক অকুতোভয় সৈনিক।



১৮ই জুলাই রাজপথ ভেসে যায় বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের রক্তে। রাতে বন্ধ করে দেয়া হয় ব্রডব্যন্ড ইন্টারনেট। বন্ধ হয়ে যায় আন্দোলনের সময়ন্বকদের মধ্যকার যোগাযোগ। ১৯ জুলাই রাতে গুম থেকে ফেরত আসা নাহিদ ইসলামকে পুনরায় হাসপাতাল থেকে চিকিৎসারত অবস্থায় আটক করা হয়। '' রক্তের সাথে কোন সমঝোতা নয়, এই রক্তের সাথে বেইমানির চেয়ে আমার মৃত্যূই শ্রেয় '' ঘোষনা দিয়ে ২০ জুলাই গুম হয় আসিফ। একই সাথে নিখোজ হয় আবু বারেক মজুমদার ও রিফাত রশিদ। দেশজুড়ে জারী করা হয় কারফিউ। মন্ত্রীদের সাথে বৈঠক করার জন্য তুলে নেয়া হয় সমন্বয়ক হাসনাত ও সারজিস আলমকে। তাদেরকে বাধ্য করা হয় ৮ দফা দাবী দিতে। সকল গনমাধ্যমে প্রচারিত হয় ৮ দফার কথা। সাদামাটা কিছু দাবী দাওয়ার এই ৮ দফাতে ছিল না অধিকার আদায়ে রাজপথে নেমে রক্ত ঝড়ানো মুগদ্ধ , ফাইয়াজ, শান্ত, আবু সাইদ, ইয়ামিনদের নিশৃংষ হত্যাকান্ডের বিচারের কথা। ছিল না দাবী আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন জারী রাখার কথা। সবাই আশা ছেড়ে দিয়েছিল যে, আন্দোলন হয়ত দমন করে ফেলতে সফল হয়ে গেছে আওয়ামিলীগ। এই অবস্থায় আশার ফানুশ উড়িয়ে দৃষ্যপটে আবির্ভুত হয় আব্দুল কাদের। ৮ দফাকে প্রত্যাখ্যান করে ৯ দফার ঘোষনা দেয় ফেসবুকে। অনলাইন এক্টিভিস্টরা মুহুর্তের মাঝে ভাইরাল করে সেই পোস্ট। ৯ দফায় ছিল স্বৈরাচার পতনের প্রাথমিক ডাক যা পুর্নতা পেয়ে ৩ জুলাই পরিনত হয় ১ দফায়।




জিএস প্রার্থী আবু বারেক মজুমদার
: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সম্মুখসারির অন্যতম সমন্বয়ক ছিলেন বারেক। স্বল্পভাষী এই তরুনকে দেখলে বোঝার উপায় নাই যে , সে কতখানি নীর্ভিক ও দুঃসাহসী এক তরুন। উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বারেক ও আসিফ প্রসঙ্গে বলেছে, এই দুইজন আন্দোলন চলাকালীন সময়ে মনে হয় ঘুমানো বন্ধ করে দিয়েছিল। ২৪ ঘন্টায় যে কোন সময় ডাকলেই তাদের পাওয়া যেত।



( ৩) এজিএস প্রার্থী আশরেফা খাতুনঃ জুলাই আন্দোলনের একের পর এক গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তের সঙ্গী এবং অন্যতম সমন্বয়ক ছিল আশরেফা। দরিদ্র ঘরে জন্ম নেয়া আশরেফা সম্পুর্ন নিজের প্রচেষ্টায় তীব্র প্রতিকুল পরিবেশ পেরিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পান। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী । ‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের আগেও আশরেফা ভারতীয় আধিপত্যবাদ বিরোধী আন্দোলন, আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ড, বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিনের দুর্নীতি, সাত কলেজ ইস্যুতে সবসময় ছিলেন সামনের সারিতে। জুলাই মাসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মেয়েদের জন্য ‘নারী সমন্বয়’ নামে পাঁচটি হলের একটি মেসেঞ্জার গ্রুপ খোলা হয়। এখানেই হতো পরিকল্পনা, কাকে কোথা থেকে বের হতে হবে, কখন হলের সামনে জড়ো হবে।’ আশরেফা ও তার সহযোদ্ধারা বুঝে গিয়েছিলেন এটা আর কোনো দলীয় আন্দোলন নয়, এটা হচ্ছে গণমানুষের দীর্ঘদিনের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ।

বৈষম্যবিরোধি আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়া এই সমন্বয়কেরাই জুলাই গনঅভ্যূ্ত্থানে সামনের সারিতে দাঁড়িয়ে নেতৃত্ব দিয়ে দেশকে স্বৈরাচার মুক্ত করেছে। আগামীকাল অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ঐতিহাসিক ডাকসু নির্বাচন। শুভকামনা রইল বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী সংসদ প্যানেল এর সকল সদস্যদের জন্য।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৪৩

জেনারেশন একাত্তর বলেছেন:



গত জুলাই আন্দোলনে এরা নিজ হাতে ছাত্র খুন করেছে; এরা পাকিস্তানে ট্রেনিংপ্রাপ্ত সন্ত্রাসী; এরা সুযোগ পেলে দেশে গৃহযুদ্ধ করে দেশ দখলে নামবে।

২| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ১০:৫৯

জেনারেশন একাত্তর বলেছেন:



এগুলো হামাসের মতোই জল্লাদ, এরা জোশ-ই-মোহাম্মদের লোকজন।

৩| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ভোর ৫:০৭

জেনারেশন একাত্তর বলেছেন:



আপনার লেখায় লোকজন কমেন্ট করতে চাচ্ছেন না। কারণ বুঝতেছেন?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.