নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

হৃদয়ে বাংলাদেশ

ঢাবিয়ান

ঢাবিয়ান › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাগছাস ও ছাত্রদলের পরাজয়ের নেপত্থ্যে

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ১০:১৪

মির্জা আব্বাস বলেছেন ডাকসুতে শিবিরের জয়ের পেছনে আছে ছাত্রলীগের ভোট =p~ ছাত্রদলের ক্লাউন আবিদের ফ্রি বিনোদন প্রদানে বিএনপির মনে হয় পেট ভরে নাই। তাই শীর্ষ নেতারাও নেমে পড়েছে বিনোদন প্রদানে। অথচ ঢাবির জগন্নাথ হলে সাদিক কাইয়ম পেয়েছে ১০ টি ভোট যেখানে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রদলের সমর্থিত ভিপি প্রার্থী মো. আবিদুল ইসলাম খান পেয়েছেন ১২৭৬ ভোট। । জগন্নাথ হলে আবিদের ভুমিধস বিজয় কি ইঙ্গিত করে ? আক্কেলমান্দ কে লিয়ে ইশারাই কাফি!

ডাকসু ভোটের পুর্নাঙ্গ রায়ে সাদিক কায়েম ১৪ হাজার ৪২ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আবিদ পেয়েছেন পাঁচ হাজার ৬৫৮ ভোট, স্বতন্ত্র প্রার্থী উমামা ফাতেমা পেয়েছেন দুই হাজার ৫৪৯টি। ছাত্রদলের ভিপি, এজিএস প্রার্থীরা ক্যম্পাসে তুলনামুলকভাবে নতুন মুখ। কেউই তাদের চেনে না। বিগত ১৭ বছরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কেবল ছাত্রলীগের রাজনীতি সক্রিয় ছিল। ছাত্র শিবির ছিল গুপ্ত অবস্থায়। নাহয়ে উপায় ছিল না। সেই সময়ে ছাত্র শিবির সন্দেহে পেটানো , মেরে ফেলা , জেলে পাঠানোর অলিখিত লাইসেন্স ছিল ছাত্রলীগের । কিন্তু তারপরেও গুপ্ত অবস্থায় শিবিরের রাজনীতি পুর্ন মাত্রায় সক্রিয় ছিল। কিন্তু ছাত্রদল নামে প্রকাশ্য , গুপ্ত কোন দলেরই অস্তিত্ব ছিল না। আবিদ , মায়েদ , হামিমকে ডাকসু নির্বাচনের আগে কেউই চিনতো না। স্রেফ বিএনপির ছাত্রসংগঠন হওয়ায় এরা ডাকসুতে দ্বীতিয় স্থান অর্জন করতে পেরেছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের বীপরিতে প্রথম প্রকাশ্য রাজণীতি করার সাহস দেখিয়েছিল নুরুল হক নুর। ছাত্র অধিকার পরিষদ গঠন করে তারাই প্রথম ছাত্রদের অধিকার রক্ষায় বিভিন্ন কর্মসুচী দেয়া শুরু করে। সেই দলেই ছিল জুলাই বিপ্লবের প্রথম সারীর কান্ডারী নাহিদ, আসিফ , আখতার। হায়েনা ছাত্রলীগের প্রবল মার ধোরের শিকার হয়েও নুর ডাকসুতে ভিপি নির্বাচিত হয়েছিল । পরবর্তীতে বিভিন্ন বিষয়ে বনিবনা না হওয়ায় আসিফ, নাহিদ, আখতার ছাত্র অধিকার পরিষদ থেকে বের হয়ে আসে এবং ছাত্রশক্তি নামে নতুন এক ছাত্র সংগঠনের জন্ম দেয়। এই ছাত্রশক্তিই পরবর্তীতে বিভিন্ন ইস্যূ্তে কর্মসুচী দেয়া শুরু করে। ছাত্রশক্তির সব সদস্যই বিভিন্ন সময়ে ছাত্রলীগের নির্যাতন, নীপিড়ন, জেল জুলুমের শিকার হয়েছে। নাহিদ , আসিফরা একদিনে তৈরী হয়নি। তাদের লড়াই এর পথ অনেক দীর্ঘ। কোটা সংস্কার আন্দোলনকে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে রুপান্তর করেছে ছাত্র শক্তি এবং এর নেতৃত্বেও ছিল নাহিদ, আসিফ , আখতার। পরবর্তীতে একদা ছাত্রলীগ করা হাসনাত ও সারজিসও বৈষম্যবিরোধি আন্দোলনের প্ল্যটফর্মে যোগদান করে এবং জুলাই গন অভ্যূত্থানে সম্মুখ সারীর যোদ্ধা হিসাবে আবির্ভুত হয়ে অসম সাহসিকতা দেখায়।

ডাকসু ইলেকশনে ভুমিধস বিজয়ের অধিকারী হবার কথা ক্যম্পাসে ছাত্রদের অধিকার নিয়ে দীর্ঘদিন লড়াই করা বাগছাস এর বৈষম্যবিরোধি প্যা্নেলের। অথচ এই প্যানেলের ভিপি প্রার্থী জুলাই গনঅভ্যূত্থানের ঐতিহাসিক ৯ দফার ঘোষক আব্দুল কাদের পেয়েছে মোটে ৬৬৮টি ভোট!!! এটা কি অবিশ্বাষ্য নয় ? এই অবিশ্বাষ্য ফলাফলের কারন হচ্ছে আব্দুল কাদের নিজের বিপক্ষে প্রচারনা চালিয়েছে। ডাকসু ইলেকশনের প্রচারনার সময়ে ইচ্ছেকৃতভাবে কাদের নিজেকে বিতর্কিত করেছে।সারাজীবন লীগের নির্যাতনের শিকার হয়ে উলটো ছাত্রলীগের প্রসংসা , শিবিরকে ট্যাগ দেয়া সহ বিতর্কিত কর্মকান্ডের মাধ্যমে সে মুলত শিবিরের পক্ষ হয়ে কাজ করেছে । তার সেচ্ছাচারিতার ফলাফল ভোগ করতে হয়েছে এই প্যানে্লের অন্যান্য প্রার্থীদের। এনসিপির উচিত হয়নি এক্স শিবির কাদেরকে বাগছাসে নেয়া। কাদের এর বদলে যদি উমামা ফাতেমা , রিফাত রশিদ বা , আব্দুল হান্নান মাসুদকে বাগছাসের প্যা্নেলে ভিপি প্রার্থী হিসাবে দাড় করানো হত তাহলে ডাকসু ইলেকশনের ফলাফল আজ অন্যরকম হত।

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ১০:১৯

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: এনসিপি নেতারা চায়না থেকে আসার পর চুপচাপ কেনো ? কিছু হয়েছে নাকি ?

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ১০:২৫

ঢাবিয়ান বলেছেন: চুপচাপ কোথায় ? সবাইকেতো সরবই দেখা যাচ্ছে। ফেসবুকে, টকশোতে দেখা যাচ্ছে এনসিপি নেতাদের।

২| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ১০:২৭

ভুয়া মফিজ বলেছেন: বিএনপিকে ডুবাইলো মির্যা আব্বাসের মতো আরো কিছু আবাল বুইড়া খাটাশ আর কিছু অন্ধভক্ত। এদের নিয়া কিছু বলা মানে সময়ের অপচয়, তারপরেও মাঝে মাঝে বলতে হয়..........হাজার হইলেও দলটা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের গড়া দল।

বাগছাস নিয়া কিছু কইতে চাই না, তবে ছাত্রদলের পরাজয়ের নেপথ্য কারন হইলো তাদের আবালতা, তাদের মাদার দলের বুইড়া খাটাশদের অতি চালাকী আর নিজেদেরকে ''কি হনুরে'' ভাবা!!! :)

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সকাল ৭:৪৯

ঢাবিয়ান বলেছেন: ৯০ গনআন্দোলনকারী এবং পরবর্তী ডাকসু ইলেকশনের একজন ভোটার হিসাবে আপনার কাছ থেকে একটা বিশ্লেষনমুলক পোস্ট আশা করছি। আপনাদের আমলের সেই ডাকসুতে আমান, নীরু, খোকনরা ছিল স্বৈরাচারী এরশাদ হটানোর কান্ডারি। আর বর্তমান বিএনপি হচ্ছে জুলাই গনআন্দোলনে অংশগ্রহন করতে অস্বীকৃতি জানানো একটা দল। ছাত্রদলের অচেনা প্রার্থীদের কথাবার্তা ও বডি ল্যঙ্গুয়েজে ছাত্রলীগের ছাপ সুস্পষ্ট। ভিসি এবং মহিলা শিক্ষিকার সাথে ছাত্রদলের নেতারা যে ধরনের ব্যবহার করেছে তা আমরা কেবলই নিকট অতীতে ছাত্রলীগকে করতে দেখেছি। তারপরেও ডাকসু ইলেকশনে ছাত্রদল কিভাবে এত ভোট পেয়ে দ্বীতিয় স্থান পেল , সেইটা বিস্ময়কর। খুব সম্ভবত একটা অংশ ঢাবিয়ান টাকা পয়সা , দামী গিফট ও কাচ্চির কাছে নতি স্বীকার করেছে। আজকে ভাইরাল হয়েছে বিএনপি নেতাদের জাকসু নির্বাচনের আগেই ব্যলট বাক্স চুরির ভিডিও। এই গুন্ডা, চোর চাট্টাদের নিয়ে একখান পোস্ট চাই।

৩| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ১০:৩৭

এম এ কাশেম বলেছেন: ঠিক বলেছেন।এই বুড়ো খাটাশরা শহীদ জিয়ার দলকে পচািয়া ছাড়লো।

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সকাল ৭:৫১

ঢাবিয়ান বলেছেন: শহীদ জিয়াতো দুরের কথা , খালেদা জিয়ার বিএনপিও এখন আর নাই। এখন যেটা আছে সেইটা হল হাওয়া ভবনের ডাকাত তারেক রহমানের অনুসারী আওয়ামিলীগের বি টীম।

৪| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:৪২

কলিমুদ্দি দফাদার বলেছেন: ঢাবিয়ান কথা ঘুরালে চলবে না? :-P আমি জানতে চাই,
উমামা সচিবালয়ে ধন্যা দিয়ে ও কিভাবে সতন্ত্র বেশি‌ ভোট পায়? =p~
আপনার দলীয় প্রার্থী সতন্ত্র শামীম, উমামা থেকে ও কম ভোট পায় কিভাবে?
"গো" হারের পর রিফাত রশিদ,‌ বন্দর বন্ধুর উদাহরণ টানলে চলবে?
জাতীয় নির্বাচনের এক্সকিউজটা এখন ই রেডি করেন? =p~

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সকাল ৮:০২

ঢাবিয়ান বলেছেন: উমামা স্বতন্ত্র পদে দাড়িয়েও এত বিপুল ভোট পেয়েছে। কারন ঢাবিয়ানরা খুব ভালভাবেই জানে উমামা কে। কি তার অবদান জুলাই বিপ্লবে। স্বতন্ত্র প্যানে্লে না দাঁড়িয়ে সে যদি বাগছাস প্যানেল থেকে দাড়াতো , তাহলে তার জয়ী হবার সম্ভাবনা অনেক বেশি ছিল। আবদুল কাদের এর গাদ্দারির কারনে হেরেছে বাগছাস। জাতীয় নির্বাচনে এনসিপির জেতার দরকার নাই। আমাদের জাতীয় মাফিয়া রাজনীতির ময়দানে কঠোর সমোলোচক হিসাবে একটা প্রেসার গ্রুপ থাকা দরকার যারা জনগনের পক্ষ নিয়ে কথা বলে যাবে নিরন্তর। এনসিপির নেতারা সেই কাজটাই করে যাচ্ছে। টকশো গুলোতে আশা করি এনসিপি নেতাদের বক্তব্য শোনেন।

৫| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:০০

রাজীব নুর বলেছেন: অপেক্ষা করুন। আরো অনেক কিছু দেখবেন।

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৩৫

ঢাবিয়ান বলেছেন: আপনিও দেখতে থাকুন।

৬| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:০৫

মেঘনা বলেছেন: ঢাবির ৬০% ছাত্রী পরিপূর্ণ হিজাবী। ছাত্রদের মধ্যেও কম বেশি একই শতকরা পরিমাণে তৌহিদি মানসিকতা। ফলে নির্বাচন ফেয়ার হলে ইসলামী দলই জয়ী হবে এটাই স্বাভাবিক। বর্তমান প্রজন্মের কাছে জামাত-শিবির মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষ শক্তি না বরং নিপীড়িত ইসলামী দল।

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৪৩

ঢাবিয়ান বলেছেন: আপনার কথা যদি মেনেও নেই তাহলে প্রশ্ন জাগে কেন এত বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থীরা তৌহিদি মানুসিকতার দিকে ঝুকলো ? আজ থেকে ২৫/২৬ বছর আগের ঢাবিতে হিজাবী , দাড়ি টূপির আধিক্য দেখি নাই। আসলে মানুষের পিঠ যখন দেয়ালে ঠেকে যায় তখন মানুষ শেষ আস্রয় ধর্মের মাঝেই খোজে। বাংলাদেশের ক্ষেত্রেও সেটাই হয়েছে।

৭| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:৩৬

রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্টে আবার এলাম। কে কি মন্তব্য করেছেন, সেটা জানতে।

৮| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:২১

ভুয়া মফিজ বলেছেন: ৯০ গনআন্দোলনকারী এবং পরবর্তী ডাকসু ইলেকশনের একজন ভোটার হিসাবে আপনার কাছ থেকে একটা বিশ্লেষনমুলক পোস্ট আশা করছি। ডাকসু ইলেকশনের ভোটার তো আমার অতীত, তবে আমি এখনও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেটের আজীবনের ভোটার। খুব যত্নে রাখা আমার আইডি কার্ড আপনেরে দেখাই। দেশে না থাকায় কাজে লাগাইতে পারি না, তবে আমার প্রাণপ্রিয় প্রতিষ্ঠানের সাথে আমার সার্বক্ষণিক মানসিক এবং ইমোশনাল যোগাযোগ এইটার মাধ্যমেই হয়।

বিএনপিরে নিয়া তো বহুত লিখলাম। আর লিখতে মন চায় না। এইটা এখন শহীদ জিয়ার দল না; একদল নির্লজ্জ, বেইমান, স্বার্থপর আর ধান্ধাবাজদের দল। এই দল যদি ক্ষমতায় আসে তাহলে দেশ আরেকবার ধর্ষনের শিকার হবে। কাজেই এইটা ঠেকানোর উপায় হইলো, এই ধর্ষকদের সামাজিক এবং রাজনৈতিকভবে বয়কট করা। আপনে লেখা চালায়া যান; আমি সময়-সুযোগ আর মন চাইলে লেখুম নে। তবে আপনের পোষ্টে অনেক বর্ণচোরার আগমন দেখি, এদেরকে বাড়তে দিয়েন না। ঝাটার বাড়ি এদের জন্য রেডি রাখবেন সবসময়। মনে রাইখেন, এরা ভালো কথার মানুষ না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.