![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দৈনিক মানবজমিনে গতকাল একটা খবরে দেখলাম নীলফামারীর সৈয়দপুর শহরে "এক কেজি ইলিশ কিনতে বিক্রি করতে হচ্ছে ৫ মণ ধান” । এটি এই ইঙ্গিত করে যে, ইলিশ মাছের দাম এতটাই বেড়েছে যে একটা ছোট ইলিশও কেনা একজন সাধারণ চাষির জন্য দুঃস্বপ্ন !
https://mzamin.com/news.php?news=180807#google_vignette
বাংলাদেশে ইলিশ মাছ শুধু একটি খাদ্যদ্রব্য নয়, বরং জাতীয় গর্ব, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের প্রতীক। কিন্তু দুঃখজনক বাস্তবতা হলো—এখন এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে যে একজন দরিদ্র কৃষককে একটি ইলিশ মাছ কিনতে গেলে প্রায় পাঁচ মণ ধান বিক্রি করতে হয়। এটি কেবল খাদ্যের বিষয় নয়, বরং গ্রামীণ অর্থনীতি ও সামাজিক বৈষম্যের প্রতিচ্ছবি।
অর্থনীতির দৃষ্টিতে বিষয়টি চাহিদা ও জোগানের নিয়ম দিয়ে ব্যাখ্যা করা যায়। ইলিশের সরবরাহ সীমিত, অথচ এর চাহিদা সর্বস্তরে ব্যাপক। ধনীরা ক্রয়ক্ষমতার কারণে বেশি দামে কিনতে সক্ষম, ফলে বাজারে দাম বেড়ে যায়। অন্যদিকে ধান বা অন্যান্য কৃষিপণ্যের দাম তুলনামূলকভাবে খুব কম, যা উৎপাদন খরচও অনেক সময় তুলতে পারে না। ফলে একদিকে কৃষক তার ফসল বিক্রি করে যথাযথ আয় করতে পারে না, অন্যদিকে একই কৃষককে বাজারে গিয়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বা মাছ কিনতে হলে অস্বাভাবিক উচ্চমূল্য দিতে হয়।
এই বৈষম্য অর্থনীতিতে “আয় বৈষম্য” বা income inequality-এর একটি ক্লাসিক উদাহরণ। গ্রামীণ উৎপাদকরা খাদ্যের মূল উৎস হলেও ভোগে তারা সবচেয়ে বঞ্চিত। এর ফলে দরিদ্র পরিবারগুলো বছরের পর বছর ইলিশের মতো ঐতিহ্যবাহী মাছের স্বাদ থেকে বঞ্চিত হয়।
এখানে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো opportunity cost বা সুযোগমূল্য। একজন কৃষক তার পরিশ্রমের ফসল বিক্রি করে যে সামান্য টাকা পান, সেই টাকায় যদি তিনি পরিবার চালানোর নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যও কিনতে হিমশিম খান, তবে ইলিশ কেনা তার জন্য বিলাসিতা ছাড়া আর কিছুই নয়। ফলে ইলিশ দরিদ্র মানুষের কাছে “অপ্রাপ্য ভোগ্যপণ্য” হয়ে দাঁড়ায়।
দীর্ঘমেয়াদে এ ধরনের অর্থনৈতিক বৈষম্য সমাজে হতাশা, ভোগান্তি এবং শ্রেণিগত ব্যবধান বাড়ায়। দরিদ্র মানুষ কেবল উৎপাদক হয়েই থেকে যায়, আর ভোগ ও আনন্দ ভোগ করে মূলত মধ্যবিত্ত ও ধনীরা।
অতএব, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক নীতিতে কৃষিপণ্যের সঠিক মূল্য নির্ধারণ, কৃষকদের ন্যায্য দাম নিশ্চিতকরণ এবং বাজার ব্যবস্থাপনায় সুষমতা আনা অত্যন্ত জরুরি। অন্যথায় “জাতীয় মাছ” ইলিশ কেবল একটি শ্রেণির ভোগ্যপণ্য হয়ে থাকবে, সাধারণ মানুষের নয়।
২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:০৮
ঢাকার লোক বলেছেন: উৎপাদন এবং আহরণ বাড়ানোর চেষ্টা এবং সেই সাথে বাজারের সিন্ডিকেটের কারসাজিতে যাতে দাম না বাড়ে নিশ্চিত করা দরকার। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য !
২| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:৫৫
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: পড়লাম.।
২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:০৯
ঢাকার লোক বলেছেন: পড়ার জন্য ধন্যবাদ !
৩| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৩১
জেনারেশন একাত্তর বলেছেন:
জাতীর কি পরিমাণ মানুষ কৃষিতে নিয়োজিত? তাদের জন্য আপনি কোন কিছু করতে চান, যেটা তাদের জীবনকে বদলাতে পারে?
২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৫৪
ঢাকার লোক বলেছেন: বাংলাদেশে প্রায় ৪০-৪৫% মানুষ/কর্মক্ষম জনসংখ্যা কৃষি-চাষাবাদে যুক্ত, এবং প্রায় ৫০% পরিবারেরই কৃষি-ভিত্তিক আয়ের কোনোভাবে যোগাযোগ রয়েছে ।
সামনের ইলেক্শনে আমাকে একটা MP / মন্ত্রী বানান, দেখি কিছু করতে পারি কিনা! নভেম্বরে ব্রুকলিন আসার একটা প্ল্যান আছে, তখন দেখি আপনার থেকে এ ব্যাপারে পরামর্শ নিতে পারি কিনা !
৪| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:২২
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: ছোটবেলায় ইলিশ দিয়ে ভাত খেলে সারাদিনে হাত থেকে গন্ধ যেতো না,এখন ইলিশ না তেলাপিয়া খাচ্ছি কিছু বুঝিনা।
২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৪৪
ঢাকার লোক বলেছেন: ঢাকার লোক বলেছেন: এ বয়স বাড়ার একটা সুবিধা ! আমারও একই অবস্থা, বয়সে আমি হয়তো আপনার চেয়ে বড়ই হবো, অনেক কিছুইএখন আর বুঝি না বলে বেশ আছি !
৫| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১১
রাজীব নুর বলেছেন: হায় কপাল!!
©somewhere in net ltd.
১|
২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:৫১
বিজন রয় বলেছেন: ইলিশ মাছ কিভাবে সবার কাছে পৌঁছানো যায় অচিরেই সেই ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।