![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আইভানের পোলা, নাম আইভানোভিচ। সে বাড়ির পাশের বরফ ঠেলে দূরের পাড়ার নাতাশার জানালায় গিয়ে টোকা মারে। এখন বরফ পড়ছে। বাড়ির বুড়ো বুড়িরা এখন আর রাস্তায় বাইর হইবো না। তারা ফায়ার প্লেসের সামনে থম হইয়া বইয়া থাকবো। আর ভদকায় সুরুৎ সুরুৎ কইরা চুমুক দিবো। এতে কইরা তাদের সাদা কাগজের মতো চেহারায় একটা ঠাস কইরা চড় খাওয়ার মতো লাল আভা আইসা পড়বো। কিন্তু, এই দিনে তারা কেউ ফায়ার প্লেসের সামনে থেকে নড়বো না। এমনকি ঐ বনের ধারে বরিসের সোমত্ত জোয়ান পোলারে নেকড়েয় টাইনা নিয়া গেলেও তারা বাইরে বাইর হইবো না।
এই জন্যই আইভানোভিচ আজকে বরফ ঠেলে বাইর হইছে। নাতাশার জানালায় টোকা মারার জন্য আজকেই সবচেয়ে ভালো দিন। সমস্যা কিন্তু আছে। দ্বিবিধ সমস্যা। এক নম্বর সমস্যা হইলো ঐ নেকড়ে। বরিসের পোলার অবস্থা যেমন হইছে, সেটা যে আইভানের পোলারও হইবো না, এইটা পিতা পুত্তর বা পবিত্র আত্মার নাম লইয়াও সঠিক বলা যায় না। কিন্তু, তবুও আজকের দিনটা নাতাশার জানালায় টোকা দেয়ার জন্যে পয়া। দ্বিতীয় সমস্যাটা এইখানেই আসে। জানালায়। নাতাশাদের জানালায় গরাদ মোটা। জানালা খুললে হুহু কইরা শীতের বাতাস ঢুকে। ফসকা ফসকা কুচো বরফ ঢুকে। কিন্তু নাতাশার ঠোঁট আইভানের ঠোঁটের নাগাল পায় না।
নাতাশারে তবু এক নজর দেখতে হয়। জানালার এক কবাট খুলে শরীরের রেশমী গরমে দুই হাত সেঁকে না আসলে এই যে বরফ ঠেলে যাওয়ার বিনিয়োগ, এর কিছুই উঁসুল হয় না। নাতাশার দিকে প্রাপ্তি উল্টো। সে ঘরের মধ্যে বসে ফায়ার প্লেসের ওম খাচ্ছিলো। তবে মনে মনে আইভানোভিচের ফ্রস্টবাইট খাওয়ার জন্যেও সে কান পেতে ছিলো।
কখন জানালায় টোকা পড়ে।
©somewhere in net ltd.