নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

█▌জীবন তো চলতেই থাকে আলো আঁধারের পথ ধরে কাঁদা মাঠ অথবা পোড়া রাস্তা পাড়ি দিয়ে কোন রোদ ঝলমল সবুজ পাহাড় কিংবা বিস্তীর্ণ মরুভূমির অঞ্চলে।আর মনের মধ্যে, স্বপ্ন গড়ার কারীগর প্রতিনিয়তই বানিয়ে চলে ভবিষ্যতের কারুকাজখচিত দামি খেলনা। যা ক্ষনিকেই গুপ্তধন হয়

ধ্রুব জ্যোতি

জীবন তো চলতেই থাকে আলো আঁধারের পথ ধরে কাঁদা মাঠ অথবা পোড়া রাস্তা পাড়ি দিয়ে কোন রোদ ঝলমল সবুজ পাহাড় কিংবা বিস্তীর্ণ মরুভূমির অঞ্চলে। আর মনের মধ্যে, স্বপ্ন গড়ার কারীগর প্রতিনিয়তই বানিয়ে চলে ভবিষ্যতের কারুকাজখচিত দামি খেলনা। যা ক্ষনিকেই গুপ্তধন হয়ে ওঠে, চলে যায় কোন প্রাচীন পথের শেষ বিন্দুতে। সেই যে খোঁজ খোঁজ পড়ে থাকে সারাটি বেলা, এ পাড়া থেকে ও পাড়া। দিন যায়! রাত যায়! তবু দেখা মেলে না তার, শুধু ক্ষনে ক্ষনে হাঁসি শোনা যায় স্বপ্নশিখার। মানব জীবনধারা নিয়ে অনেক কথাই বলে গেলাম, সবই জানা কথা, তারপরও নিজের ভাষায় সামান্য উপস্থাপন, এই আরকি। যাক সে কথা। আসলে আমি এমনই ছোট-খাটো ধরনের লেখক। মাঝে মাঝে ছোট-খাট কবিতা লেখাও চলে। তবে স্বভাব কবি বা লেখক কোনটাই নই এটুকু বলা যায়। না, প্রেমে পড়ে লেখক বা কবি কোনটাই হইনি, পুরোটাই মনের জোয়ার-ভাটা। ইচ্ছে হলেই লিখি পাঁচটা লাইন। চাহিদা বলতে শুধু এটাই, \" ইশ…! আরেকটু ভাল লিখতে পারতাম…! \" এছাড়া নিত্য প্রয়োজনিয় বস্তু, যা না হলেই নয়, তা ছাড়া আর কোন চাহিদাই নেই। তাই আমি খুবই সাদা-সিধে বলা চলে। আঁট-পাঁচটা বাঙ্গালী যেমন হয়, নম্র, ভদ্র, উদার… কি জানি, আমাকেও সেই পদে ফেলা যাবে হয়তো। নাও যেতে পারে, কারণ আমার প্রতি সব মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি তো আর এক নয়। তারপরও নিজেকে নিয়ে যা ভাবি, যতটুকু চিনি নিজেকে তাই বলে গেলাম বাকিটা অপরের নিকট, এই আরকি। নিজের প্রতি মন-গড়া কথা তো আর বলতে পারি না, ওটা অভ্যাস এর মধ্যেও পরে না। এমনকি যারা বলে তাদের অতোটা ভাল লাগে না। সম্পুর্ন-ভাবে বলতে গেলে একদমই অপছন্দ। ভালো মানুষের মেকাপে ঢাকা নর্দমার কীট-গুলো, যারা নিজেদের মানুষ বলে পরিচয় দিতে দ্বিধা-বোধ করে না, গিরগিটির মতো রং পালটায় ক্ষনে ক্ষনে, তাদের সঙ্গ তো মানুষ কামনা করে না, আমিও না। তারা চিরতরেই বর্জনীয়। তবে ভালো মানুষদের আসলেই ভালোবাসি, সে যে অবস্থাতেই থাকুক, যে কর্মই করুক, তাদের শ্রদ্ধা করি। ভাল মানুষদের কোন অহঙ্কার জাতীয় বস্তু থাকে না, তাদের সাথে ভালোই মেশা যায়। আমিও মিশি, ভালো লাগে। ভালো লাগে বন্ধু হতে… আপন করে নিতে… ভাল লাগার মধ্যে, বন্ধু-সকল মিলে আড্ডায় জমে ওঠা মুহুর্ত, হঠাৎ ছেড়া গলায় তপু, তাহসান কিংবা কফি হাউজের গান ধরা, অথবা কিছু জোকস শুনে লুটোপুটি খাওয়া কোন বন্ধুর কোলে, এই ওর নিত্য নতুন মজার ঘটনা, মাঝে মাঝে কিছু দুখের মুহুর্ত। সবার জন্য এক কাপ চা… আবার কোথাও সফর পার্টি হয়ে বিলিন হয়ে যাওয়া কোন নতুন ঠিকানায়... ___ভালো লাগে রোদ ঝল-মল তপ্ত দুপুরে একটু শিতল হাওয়া, হঠাৎ ঝুম বৃষ্টি এলে জানালার পাশে হাত বাড়িয়ে ছুয়ে নেই একটু আদর। মাঝে মধ্যে বৃষ্টির জল গায়ে মাখি, আপন হই। কাক-ভেজা হয়ে একা হাটি রাস্তায়… খুজে-ফিরি রংধনু… মেঘে মেঘে গর্জনের আওয়াজ, বিজলী ছুটে যায় আঁকা-বাঁকা, ঝাউয়ের (ঝাউ গাছ) সারি দুলে যায়, যেন কোন প্রলয় নেমে আসছে পৃথিবীতে… ঝড়-বৃষ্টিতে আম কুডোনোর দিন গুলো এখনো চোখে হারাই। ভালোবাসি শিলা বৃষ্টির দিনটাকেও.… ভালোবাসি শিউলী ফুলের উঠোন, এক গোছা রজনী-গন্ধা, অথবা মধ্য রাতে হাস্নাহেনার ঘ্রাণ… জোৎস্না রাতে জোনাকিও মুগ্ধ করে… আরো ভালোবাসি মা, এবং পরিবার… ___ভালো লাগার ডায়ারীতে আর অনেক কিছুই অন্তর্ভুক্ত, যেমন: গান শোনা, মাঝে মাঝে একটু-আধটু গাওয়া… ঘুড়ি উৎসব, শীতের পুলি পিঠে, খেজুর-রস, নবান্ন… পহেলা বৈশাখ… বসন্তের কোকিল… আরো বিস্তর.… এক-এক ঋতু, এক-এক ভালো লাগা, মন্দ লাগা… এই আরকি… এ তো গেলো শুধু ভাল লাগা আর ভালোবাসার কথা, মন্দের বিষয়ে কি আদো আসা উচীৎ? সঠিক কি হবে তা জানি না। যেহেতু আলোর পিঠেই আঁধার তাই মন্দের বিষয়্টা না বললে কেমন জানি ফাঁকা ফাঁকা লাগছে, তাই… ___মন্দের মধ্যে মিথ্যে প্রচার ভালো লাগে না। যেই মিথ্যায় অপরের ক্ষতি-সাধন হয় সেই মিথ্যের ধরা-ছোয়ার বাইরে থাকাই শ্রেয়। তবে অপরের পক্ষে উপকার স্বরূপ মিথ্যে বলতে দিধা হলেও বলতে হয়, তাতে কিছুই করার থাকে না, কারণ বন্ধু-বান্ধবের জন্য মাঝে মাঝে স্বার্থ ত্যাগ করা প্রয়োজন। ___বিশ্বাস ঘাতকতা, কোন মানুষ তার প্রতি নিজের বিশ্বাস জাতিয় মনোভাব টিকিয়ে রাখতে পারবে তা তো মুখ দেখে বোঝা যায় না। বিশ্বাস করা যায় নিজের বিশ্বস্ত মানুষদের, যাদের থেকে গুরুত্ব-পূর্ণ বিষয়ে বিশ্বাস ভাঙ্গার প্রবনতা থাকে না। তারপরও মানুষ বড়োই বীচিত্র, এটা তো সবারই জানা কথা… স্বার্থের টানে কে কখন পেটে ছুড়ি ধরে তার নিশ্চয়তা নেই, তাই বিশ্বাস ঘাতকতা একেবারে পছন্দের বাইরে। ___ছল-চাতুরী, \" জীবন একটা রঙ্গ-মঞ্চ, আর আমরা সবাই অভিনেতা \" এই ঊক্তিটা সম্ভবত টিভিতে কোন যাত্রা-পালায় শুনেছিলাম, যাই হোক, আমরা জীবনের মঞ্চে অভিনেতা এটা একভাবে বলাই যায়। অভিনয় করা চলে, তবে নিজের সাথে এবং অপরের সাথে ছল-চাতুরী করা একেবারেই কর্তব্য নয়। এতে নিজেরও যেমন ক্ষতি অপরের তার চেয়েও অধিক। ___নেকামি, পেটে এক, মুখে আরেক অর্থাৎ কিছু লোক সোজা কথা কইতে পছন্দ করেন না, তারা ভাববাদী মানুষ, তবে আমি মোটেই ও শ্রেনীতে এখনো উত্তির্ণ হইনি, সোজা-সাপ্টা কথাতে চলছে ভালোই, বলতে গেলে ঘুরিয়ে বলার ধৈর্য মানে না। তাই এসব নেকামি এবং নেকা লোকের ধার না ঘেষাই মঙ্গোল… ___মন্দ লাগার মধ্যে আরো অনেক কিছুই আছে… যেমন: আমার কোন কাজে মায়ের মন খারাপ হলে… প্রয়োজনের সময় ঘরে কারেন্ট না থাকা…, বড় ভাইয়ের বকা… মেঝ বোনের রাগ… ফোনে এমবি না থাকলে… সর্দি হলে… দিনরাত টানা সারাক্ষন বৃষ্টি হলে… গ্রীষ্মে অতিরিক্ত গরম… শীতে অতিরিক্ত শীত… বাংলাদেশের রাজনৈতিক ব্যাবস্থা… এডুকেসন সিস্টেম… যেখানে সেখানে দূর্নীতি… খুন-রাহজানি, হরতাল… অমানবীকতা… ইত্যাদি… ইত্যাদি… মন্দ লাগার তালিকায় আছে আরো বিস্তর নাম, যা বলে শেষ হবেনা হয়তো… ভাল-মন্দের বিষয় তো অনেক হলো… এই কথা থাক, আর না। ___আমি দেখতে পরিপূর্ণ বাঙ্গালী… গায়ের রং শ্যাম-বর্ণ… যত-দুর মনে হয় উচ্চতা ৫.৭ এর একটু বেশি হবে… চোখের মনি হালকা বাদামি … চুল কালো… তবে চুলের একই অবস্থা সব সময় থাকে না… এছাড়া দুটো হাত, দুটো পা… একটা মাথা… দুটো কান, একটা নাক, দুটো চোখ, দুটো ঠোঁট, ৩২টা দাঁত… সবই ঠিক-ঠাক… ___প্রিয় রং নীল, আকাশি… ভুতের গল্প, সাইকো গল্প, রম্য রচনা, উপন্যাস আর কবিতা পড়তে ভালই লাগে… প্রিয় কবি দুজন রবীন্দ্রনাথ এবং জীবনানন্দ… প্রিয় লেখক সুকুমার রায়… হুমায়ুন আহমেদ… জাফর ইকবাল… প্রিয় কাজ ডিসাইনিং… প্রিয় গায়ক/গান/ব্যান্ড সোল্স, এল-আর-বি, ওয়ারফেজ, আর্টসেল, শিরোনামহীন… সুমন... অঞ্জন...মান্না দে, শ্রেয়া, পার্থ, তাহসান, অরিজিত…. মাঝে মাঝে রবীন্দ্র-সঙ্গীত (বৃষ্টির দিনে)… পুরোন দিনের কিছু এন্টিক গান… আর সময়ের সাথে তাল মিলিয়েই গানের স্বাদ তো সকলেরই পরিবর্তন লাভ করেই, তাই আমারও নির্দিষ্ট কোন পছন্দের গান নেই… আর এই গানের প্রতি ছোট-কাল থেকেই বিশেষ এক প্রকার আসক্তি কাজ করতো, মিউজিকাল ইন্সটোমেটের মধ্যে তবলা, গিটার, দোতারা, ড্রামস বিশেষ পছন্দের… ইদানিং মেটাল-সংও ভালো লাগছে… নিত্যনতুন ব্যান্ড পাওয়ারসার্জ… নেমেসিস… অর্থহীনও ঠিক মন্দ লাগে না… এছাড়া বিদেশী সিংগার জন ডেনভার… ব্রিয়ান… টেইলর সুইফট… ক্যাতি পেড়ি… ব্যান্ড এর মধ্যে মেটালিকা… পাওয়ারওল্ফ… ও ভালোই লাগে… ___ প্রচুর পরিমানে হলিউড মুভি দেখা হয়, যেমন: হ্যারি পটার… চিলড্রেন অফ হেভেন… লর্ড অফ দা রিংস… ফাস্ট এন্ড ফিউরিয়াস… এভাঙ্গার্স… কেপ্টেন আমেরিকা… আইরন মেন… হেল বয়… চিলড্রেন অফ নার্ণিয়া… দা লিটল রাস্কেল… এছাড়া আরো অনেক প্রিয় মুভি আছে। ভালো লাগার কিছু বাংলাদেশি আর্টফিল্মও আছে, যেমন: মাটির ময়্না… গেরিলা… আমার বন্ধু রাসেদ… দিপু নাম্বার টু… ভারতিয় আর্টফিল্মও ভালো লাগে, যেমন: গুপি গায়েন বাঘা বায়েন ( ১, ২, ৩) … অটোগ্রাফ… ২২শে শ্রাবন… চলো পালটাই… হেমলক সোসাইটি… আরো অনেক অনেক। এবার খেলাধুলো নিয়ে কিছু কথা হয়ে যাক… ___খেলা-ধুলোর মধ্যে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ও ফুটবল তো সবারই পছন্দের। প্রিয় দল (ক্রিকেটে) আমাদের টাইগার তো আছেই, আর এটা তো বলার অপেক্ষা রাখে না। আর বেস্ট তো সাকিব আছেই, তবে মর্তুজা কে ভালো লাগে সাকিব থেকে একটুউউউ… বেশি। এরপর টিম হিসেবে অস্ট্রেলিয়া। আর ফুটবলের মধ্যে আর্জেটিনা এবং জার্মানী… শীত কালে বেডমিন্টন.… এছাড়া অন্যান্ন খেলা-ধুলোর মধ্যে হেন্ড-বল… ভলিবল… দাবা… কেরাম… হা ডু ডু… সাইকেল রেইস… এইগুলোই মোটামুটি জানা… উম… ছোট বেলার স্মৃতিতে কিছু খেলা ছিলো, যেমন: দাঁড়িয়া-বান্ধা… গোল্লাছুট… বরফ-পানি… আর লুকো-চুরি খেলেছি, তখন অনেক ছোট, আরো যেন কি কি…! মার্ভেল আর ডাঙ্গগুলি খেলি নি কখনো.… তবে ছোট বেলায় যা খেলেছি, এসব খেলা খুব মজার ছিলো, ঃভ তবে এখন আর ওসব খেলায় ইচ্ছে নেই, তাও… বন্ধুরা মিলে মাঝে মধ্যে ছোট বেলায় ফিরে যাওয়ার ক্ষুদ্র প্রয়াশে খেলা হয়ে যায় দু আধখান, যেমন: সাত-চাড়া… হা ডু ডু… আর ক্রিকেট তো প্রতিদিনের। বাস… এটুকুই। আর তেমন বিশেষ কিছু লেখার মনোভাব নেই। এইটুকুই অনেক। কিন্তু এই শেষ নয়… আরো কিছু ছিলো… যা অত্যন্ত ব্যক্তিগত ওসব আপাততঃ থাক… সব কথা সবাইকে তো আর বলা যায় না… বলা চলে মানুষ বিবেচনা স্বাপেক্ষে। আগে তো বন্ধু হয়ে নেই, বলার সময় তো আর চলে যাচ্ছে না… এই ছাত্র জীবন চলবে আর কয়েকটি বছর, তাই কথা বলার, আনন্দ করার প্রচুর সময়… আর হ্যাঁ, নিজের আবাউট লিখবেন। হুম, শুধু যদি না লিখে থাকেন… আর যদি লিখে থাকেন তাহলে অবশ্যই পড়ব। আরে, নিজের জন্য নিজে কিছু বলার ফেবুর এবাউটই তো আসোল জায়্গা! তাছাড়া আর বলবেন কোথায়? আর শুনবেই বা কে? আবাউট পড়ে মানুষকে কিছুটা হলেও জানা যায়, তার রুচি বোধ সম্পর্কে পরিচিত হওয়া যায়। সেই রুচি বোধ বলে দেয় মানুষটা কেমন হতে পারে। তাই এবাউট এ সঠিক তথ্য দিন, এটা শুধু-মাত্র অনুরোধ। ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন, নিজে হাঁসবেন, অপরকে হাঁসাবেন। _____| স | মা | প্ত |_____

সকল পোস্টঃ

ঘুস খাবেন তো এতো পেঁচাল কিসের?

২৩ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:৪৭

২ মাস আগের কথা। বাসা থেকে আমার দুটি ফোন চুরি হয়ে যায়। চুরি হয় সকালে, ভাবলাম থানায় জিডি করব। বায়মেট্রিক সিম তাই, নিরাপত্তার বিষয় আছে। ৬ টায় বাসা থেকে বের...

মন্তব্য০ টি রেটিং+০

full version

©somewhere in net ltd.