|
|
| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ঘটনা-১ : সদ্যভূমিষ্ঠশিশুর পিতামাতার প্রতি আগ্রহী শ্রোতার প্রথম প্রশ্ন 'ছেলে নাকি মেয়ে ?'
এরপরের প্রশ্নটা অবধারিতভাবেই 'দেখতে কেমন হইছে ?'
ঘটনা-২ : নবম-দশম শ্রেণীর একটি মেয়ে অনার্স পড়ুয়া এক ছাত্রের কাছে প্রাইভেট পড়ে ।মেয়েটির বান্ধবী বা ছেলেটির বন্ধুদের প্রথম
প্রশ্নই হবে 'ছেলেটি বা মেয়েটি দেখতে কেমন ?'
ঘটনা-৩ : একটি ছেলে একটি মেয়ের বা একটি মেয়ে একটি ছেলের প্রেমে পড়ল । বিষয়টি জানতে পারলে মেয়েটির বান্ধবী বা ছেলেটির বন্ধুদের প্রথম প্রশ্ন 'দেখতে কেমনরে ?'
ঘটনা-৪ : পাশের বাড়ীতে নতুন বউ এসেছে । প্রতিবেশীদের প্রথম প্রশ্ন 'বউ দেখতে কেমন ?'
____________________________________________________________
এই 'দেখতে কেমন' প্রশ্নটি অনেক সময়ই সঠিক উত্তরে টিক দেয়ার মত ।
অর্থাত 'সুন্দর নাকি অসুন্দর' ।স্পষ্ট করে বলতে গেলে 'ফর্সা নাকি কালো' । সুন্দর বা ফর্সা হলে উত্তরদাতা তৃপ্তি করে বলে 'মাসাআল্লাহ !'
বা একটু ভাব নিয়ে বলে 'দেখতে খারাপ না ।ভালোই ।' তেমন সুন্দর বা ফর্সা না হলে এই তৃপ্তি বা ভাব কোনটাই থাকেনা ।
কালো হলে তাকে শ্যামলা ;শ্যামলা হলে উজ্জ্বল শ্যামলা ;উজ্জ্বল শ্যামলা হলে তাকে ফর্সা বলে মেকি তৃপ্তি পাওয়ার চেষ্টা করে ।অনেক সময় উত্তরটিকে ঘুরিয়ে বলে 'ধুর! চেহারা দিয়ে কি হবে ?' বা 'বর্ণ যাই হোক চেহারার কাটিং ভালো বা ফিগার ভালো ।'
তাতেও বুঝাই যায় মনের কোণে লুকিয়ে থাকা অতৃপ্তি বা হীনমণ্যতা ।
না ।আমি বলছিনা যে এটা অন্যায় ।এটাই মানবমনের এক সহজাত প্রবৃত্তি ।
একজন মা ও তার 'দেখতে ভালোনা' ছেলেকে খুব ভালোবাসলেও কখনোই গর্ব করে বলেনা 'আমার ছেলেটি দেখতে মাসাআল্লাহ খুব সুন্দর' ।
আল্লাহতাআলাও তাঁর প্রিয় বন্ধু রাসূল (সঃ) কে খুবই আকর্ষণীয়, খুবই সুন্দর চেহারা দিয়েই পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন ।
আমাদের মস্তিষ্কও একই গঠনের কালো ও ফর্সার মধ্যে ফর্সাকেই সুন্দর বলে গ্রহণ করে ।
তাহলে কেন বা কিভাবে আমরা তা অস্বীকার করবো ।কেন আমরা নিজেদের 'আজন্ম বর্ণবাদী' পরিচয়কে অস্বীকার করে 'মানুষ সৌন্দর্যের পূজারী' বলে আত্মতৃপ্তি লাভ করি ?
কেন এই ভন্ডামী ?
৫ টি 
+৩/-০২| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:০৮
মহাজাগতিক পাগল বলেছেন: কিছু সত্যি চেপে গেলে যদি শান্তি বা স্থিতি বজায় থাকে তবে সমস্যা কই ? এজন্যই মাঝে মাঝে ভন্ডামি করতে হয় ।
৩| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:০২
ধ্রুব মহাকাল বলেছেন: সেই মা নিশ্চয়ই গর্ব করে তার প্রতিবেশীকেও বলতে পারেনা "আমার ছেলেটা খুবই সুন্দর দেখতে !"তথাকথিত বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলন কিন্তু আমেরিকা আর আফ্রিকা থেকেই শুরু হইছে ।এবং তা কোন শ্বেতাঙ্গ শুরু করেনাই ।তবে হ্যাঁ একেবারেই যে ব্যতিক্রম নেই তা বলছিনা @সাহিত্যিক প্রোটিন ভাই ।
৪| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:০৩
ধ্রুব মহাকাল বলেছেন: এটা অবশ্য একটা যুক্তি হতে পারে ।@মহাজাগতিক দা
৫| ০৪ ঠা জুন, ২০১৭ রাত ৯:২৬
মৃণ্ময়ী মৃত্তিকা বলেছেন: বর্ণ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা আর বর্ণবাদী হওয়া কখনই এক নয়!
হ্যাঁ ফর্সা ব্যক্তিকে মানুষের ভালো লাগে, কিন্তু তাই বলে কালো বা শ্যামলা মানুষকে অপছন্দ করা বিকৃত মস্তিষ্কের কাজ!
যেসব মানুষের কথা বলা হয়েছে তারা সংখ্যা লঘু !
মায়ের ছেলে মানে ছেলে ! কালো ফর্সা যা হোক!
সন্তান কালো বা ফর্সা হলে মায়ের কাছে সমান! ফর্সা ছেলেকে যদি একটা শার্ট কিনে দেয় কালো ছেলেকেও তো একটা কিনে দিবে! একই পরিমাণ টাকার! কালো বলে তো তাকে বঞ্চিত করবে না!
তাহলে বর্ণবাদ কি করে হল?!!
আর যে মা এই বৈষম্য করে তাকে মা বলা যায় না! আর এর সংখ্যা খুবই কম!
চায়ের দোকানদার কালো বা ফর্সা তা কিন্তু কেউ দেখে না! চা ভালো হলেই হলো! বর্ণে কিন্তু কোনো প্রভেদ করে নি!
কিন্তু গুটি কয়েক লোক গায়ের রং বিচার করে চা খেতে পারে! তারা ব্যতিক্রম!
(exception is not example!)
মানুষ সৌন্দর্যের পূজারি কিন্তু অসুন্দরকে পৃথিবী থেকে বিলুপ্ত করে দেয় নি!
ধর্মেও কোথাও বর্ণবাদ দেখানো হয় নি!
সৃষ্টিকর্তা কি তার সৃষ্টিকে অপছন্দ করে ! অবশ্যই না!
কালো ফর্সা তো সৃষ্টিকর্তারই সৃষ্টি!
বর্ণবাদ জন্মগত নয়। অহংকার আর ক্ষমতা মানুষকে বর্ণবাদী করে তোলে!
©somewhere in net ltd.
১|
২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:৪০
সাহিিতযক েপ্রািটন বলেছেন: কালো মানেই যে অসুন্দর তা না! জিনিস তা আপেক্ষিক। যে সন্তান কালো বলে প্রতিবেশীর কাছে খারাপ সেই ছেলেই তার মায়ের কাছে অনেক সুন্দর। তাছাড়া, বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে এই কালো সাদার প্রভেদটা বেশি দেখা হয়, যেখানে বেশির ভাগ কালো (আফ্রিকা) কিংবা বেশির ভাগ সাদা (আমেরিকা) সেখানে এই সমস্যা কম (তবে ভিন্নতাও আছে)।