নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ধূসর মেঘমালা

ভালোবাসার অপার শক্তি। সেই শক্তি আর মহিমায় আলোকিত মানুষের জীবন। জয়তু ভালোবাসা।

ধূসর মেঘমালা › বিস্তারিত পোস্টঃ

স্মৃতিপটে তুমি কিংবা অস্ফুট দহন

০৭ ই মে, ২০১১ রাত ১২:১৯







দু’জন দু’রকম, তবু কোথা যেনো মিল অন্যরকম...



মিলের চেয়ে অমিলই বেশী দু’জনের। তবু বালুকাবেলায় তিল তিল ক’রে ভালোবাসার সৌধ গড়ে পরী আর আকাশ। পরী উচ্ছল, চঞ্চল, আবেগপ্রবণ, আকাশ যেনো কিছুটা নির্লিপ্ত, একটু গম্ভীর, মনের ভেতরের অনুভূতি বাইরে ছাপ ফেলে না এমন। পরী ভালোবাসে স্বজনবন্ধু পরিবেষ্টিত ব্যস্ত অনুক্ষণ আর আকাশ ভালোবাসে প্রিয় সঙ্গীর কোমল গভীর সান্নিধ্য। পরী চায় ছুটে যেতে দিগ্বিদিক, এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্ত আর আকাশ চায় নির্জনতা, প্রকৃতির ধ্যানমগ্ন আবেশ। পরী কিছুটা সন্ত্রস্ত, অনাস্থায় দুরু দুরু আর আকাশ আত্মবিশ্বাসী। পরী হিসেবী আর পরিপাটি, আকাশ কিছু এলোমেলো। তবু স্বপ্ন বোনে দু’জন, ছোট্ট তরী ভাসায় ভালোবাসার অকূল আর উত্তাল সমুদ্রে, আবেগে ভাসে, বিরহে পোড়ে, আকাঙ্খায় উন্মত্ত হয়। চাওয়া পাওয়া বেড়েই চলে। ভবিষ্যতের সকল অপূর্ণতা যেনো ঠেলে সরিয়ে রাখে দু’জন প্রাণপণ। ভুলে থাকতে চায় – সারাজীবন এমনি ক’রে বিচ্ছিন্ন দুই দ্বীপবাসী হয়েই থেকে যাবে ওরা।



আমি কার আমি কার কে কাহার কে কাহার কে জানে

সাগর ভরা এত জল সে যে কার কে জানে...




পরিচয়ের শুরু থেকেই পরীকে বলেছে আকাশ নিজের মনমত জীবনসঙ্গী খুঁজে নাও একজন। পরীর বরাবরের অনীহা তাতে। বলে – সময়মত কেউ না কেউ ঠিক এসে যাবে জীবনে, তখন দেখা যাবে। আকাশও সেই ভাবনাতেই নিশ্চিত ছিলো। হঠাৎ কাকতালীয়ভাবেই আকাশ জেনে যায় পরীর গভীর, গোপন, সত্যিকার ভালোবাসার কথা। সেই ভালোবাসা আকাশ আর পরীর অথর্ব, অপূর্ণ, ঠুঁটো ভালোবাসা নয়। পরীর ভাবনায় জীবনসঙ্গী ক’রে সারাজীবন একসাথে কাটিয়ে দেবার মত ভালোবাসা সেটা। তাতে আকাশের খুশী ই হবার কথা ছিলো, তবে তা হয়ে ওঠে না কারণ ভালোবাসাটা পূর্ণতা পায়নি। পরীর ভাবনা যখন পরিণতির আকাঙ্খায় স্থির, তখনই সরে গিয়েছে সে পরীকে ছেড়ে। পরীর কষ্টের কথা জেনে আকাশও কষ্ট পায় ভীষণ। সেইসাথে আহত হয় পরীর এই আড়াল দেখে। আকাশ ভেবেছিলো সকল মিথ্যে ভেঙ্গে ওরা দু’জনেই দূর করেছে সব আড়াল। মিথ্যে হয়ে যায় সব। অবিশ্বাস দানা বাঁধে। তবুও ভালোবাসা বুকে আগলে আঁকড়ে রাখে পরীকে। শুধু মাঝে মাঝে যখন পরী অবুঝের মত সবটুকু মনোযোগ দাবী ক’রে বসে তখনই ভীষণভাবে আকাশের মনে ভেসে ওঠে পরীর সেই ভালোবাসাকে দীর্ঘদিন ধরে লেখা ভালোবাসার চিঠি, মনে পড়ে আকাশের স্ত্রীর অনুপস্থিতিতে আকাশ যখন সারারাত পরীর সাথে ফোনে গল্প করার জন্য প্রস্তুত, পরীর তখন অসুস্থ্যতার অজুহাতে সেই ভালোবাসার কাছে পালানো আর আরও কিছু কপটতা। তবুও ভালোবাসা চলে, কাঁদে, হাসে, মুখ থুবড়ে পড়ে, আবার উঠে দাঁড়ায়। সাময়িক বিচ্ছিন্নতার পর আবেগ যেনো বাঁধভাঙ্গা জোয়ারের মত ধেয়ে ধেয়ে আসে। ভেসে যায় দু’জন পুরনো মত্ত প্রেমে।



তোমার জন্যে যত্ন করে সাজাই বুকের মধ্যে অনেক গুলো ফাগুন

রুদ্ধ করি মনের এক কোনে ভালোবাসার ছাই চাপা আগুন

তোমায় দেবো কামরাঙা কবিতা

আমার যত গাঢ় বিষন্নতা

এসব আমি যত্নে তুলে রাখি দেবো তোমায় আবার দেখা হলে…




চাকুরির সুবাদে আকাশ রা এবার ঢাকায়। থাকবে প্রায় বছরখানেক। বাসাটাও পরীর বাসার কাছেই। পাঁচ মিনিটের পথ। কোনোপ্রকারে জিনিসগুলো বাসায় তুলে দিয়ে একগাদা জিনিসের মাঝে জবুথবু বউটাকে আসছি বলে সন্ধ্যায় বেরোয় আকাশ। দাঁড়ায় পরীর জানালা বরাবর অদূর রাস্তায়। কথা হয়। পরীকে জানালায় দাঁড়াতে বলে। পরী অবাক, আনন্দিতও। তারপর থেকে সময় অসময় নেই। সুযোগ পেলেই দেখা। এলাকাটায় দু’জনেরই অনেক চেনা জানা মানুষের বিচরণ। তবু কি এক আকর্ষনে বারবার ছুটে যায়। সুযোগ পেলেই সন্ধ্যায় পরীকে অফিস থেকে আনতে নাহয় শনিবার পরীকে অফিসে দিয়ে আসে আকাশ। মাঝে মাঝে রিকশায় এ গলি সে গলি ঘুরে বাড়ি ফেরা। একসাথে ঈদ শপিং, প্রিয় রেস্তোরাগুলোতে ঢুঁ, একটু বেশী সময় পেলে শহরের বাইরে ঘুরে আসা আর পছন্দের মুভি দেখতে ঢুকে পড়া ছিলো যেনো বাড়তি পাওয়া। অদেখার কালে তোলা নতুন ছবি, নতুন সংগ্রহ করা গান আর মুভি তোলা থাকে দেখা হলে দেবে বলে। আকাশের অফিসের ব্যস্ততা, আত্মীয় পরিজন, সব মিলিয়ে ক’দিন অদর্শন হলেই পরীর অনুযোগ। আকাশ বলে – জোর ক’রোনা পরী। আমার উপর বিশ্বাস রাখো, তোমার সাথে দেখা করার শেষ চেষ্টাটুকুও ক’রে যাবো আমি। তাতেও অবিশ্বাস পরীর। অভিমান আর আবারো নিরবতায় কেটে যায় অমূল্য কয়েকটা দিন। মান ভাঙ্গে আবার দেখা করার প্রস্তাবে। পুনরাবৃত্তি ঘটে তার বারবার।



You drown in tears

My heart is crying

No one seems to notice

Our soul is dying




New Year সমাগত। প্রচন্ড ব্যস্ততায় পরীর সাথে দেখা করার সুযোগ হয়না। অভিমানে রুদ্ধ পরী। New Year এর রাতে সামান্য কথা। তারপরই New Year উদযাপন দেখাবার জন্য বউ বাচ্চাকে নিয়ে বের হয় আকাশ। ফেরে গভীর রাতে। পরীকে বলে রেখেছিলো ১ তারিখ সকালে ওকে অফিসে দিয়ে আসবে। পরী রাগতঃ স্বরে নিষেধ ক’রে দিয়েছিলো। আকাশ বলেছিলো সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করলে জানিও। সকাল ৭টায় মোবাইল চেক করে কোন message না পেয়ে কষ্ট হয় আকাশের। ভাবে... পরীটা যে কেনো এত অবুঝ! ৮ টায় পরীর message – বের হচ্ছি, ৮.১০ এর মধ্যে এসো। এবার বিরক্ত হয় আকাশ। বিছানা ছেড়ে তৈরী হতেও তো সময় লাগে কিছু। তাড়াহুড়ো করে বের হয়, তবে বিরক্তিটা লেগে থাকে আচরণে। পথে যেতে যেতে কিছু কথা। নিজের বিরক্তিটা প্রকাশই করে ফেলে আকাশ। ট্র্যাফিক সিগন্যাল এ গাড়ী থামতেই নেমে যাওয়ায় উদ্যত হয় পরী। জোর করে আটকে রাখে আকাশ। নিরব কান্নায় চোখ মুখ ভেসে যায় পরীর। দু’জন গিয়ে বসে প্রিয় পার্কের বেঞ্চিতে। নীরব। খানিক পর হু হু কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে পরী। আকাশ দিশেহারা। পরীর এমন কান্না কখনো দেখেনি ও। নিজেকে খুব অসহায় মনে হয়। কষ্টে বুকটা গুঁড়িয়ে যায়। চুপচাপ পরীর হাতটা ধরে বসে থাকে। পরীর অফিসের সময় হতে কাছাকাছি নামিয়ে দিয়ে ফেরে একা একা, বিচলিত, বিষন্ন, ভাঙ্গা মন নিয়ে।



Lost in the world of make-believe,

In shattered truths and tainted dreams,

Where smiles are faked to hide the lies

And things are said to break all ties.




সম্পর্কটা যেনো ভেঙ্গেই চলেছে। হাজার চেষ্টায়ও প্রবল ঝড়ে ক্ষয় থামে না বালির প্রাসাদের। ভালোবাসা যেনো বিরক্তি আর বিতৃষ্ণায় রূপ নিতে থাকে। আকাশের অবহেলা আর পুরনো বিষয়গুলো টেনে আনা বিষন্ন করে তোলে পরীকে। খুঁজে ফেরে নতুন নতুন বন্ধু। অন্তর্জালে সারাক্ষণ ব্যস্ত রাখে নিজেকে। সেখানেই যেনো লুকিয়ে আছে আকাশের ভালোবাসার চেয়েও বেশী কিছু, রয়েছে সুখের সন্ধান। আকাশ বলেছিলো – তোমার বন্ধুদের জন্য দিনরাতের সারাক্ষণই তো রয়েছে তোমার। আমি কতক্ষণ ই বা সুযোগ পাই নেটে বসার? আমার সাথে যতোক্ষণ থাকো, শুধু আমার হয়েই থেকো। পরীর বিতৃষ্ণা এই অনুসঙ্গে। আকাশকে অপেক্ষায় রেখে সঙ্গ দেয় নতুন সঙ্গীদের। মন খুলে নিজের সেই হারিয়ে যাওয়া ভালোবাসার গল্প শোনায় তাদের। সে গল্পে কোন ঠাঁই নেই আকাশের। শুধু যতোক্ষণ পাশে থাকে ততোক্ষণই যেনো পরীর জগতে আকাশের উপস্থিতি। এসব বিষন্ন করে দেয় আকাশকে। অনেক আগে ছেড়ে আসা নেশা আর সিগারেটে ডুব দেয় নতুন করে। পরীকে একসময় বলেছিলো আকাশ – ভালোবাসা হচ্ছে দু’জনের মাঝে স্বচ্ছ কাঁচের একটা দেয়াল। প্রতিবার বিশ্বাসভঙ্গ আর আশার মৃত্যু সেই দেয়ালে গভীর আমোচনীয় একটা করে ছাপ ফেলে যায়। সেই ছাপগুলো জমে জমে একসময় পুরো দেয়ালটাই কালিমাময় হয়ে ওঠে। ওপাশে ভালোবাসার মানুষটাকে আর দৃষ্টিগোচর হয় না তখন। সেটাই ভালোবাসার মৃত্যু।



আসা যাওয়া দু দিকেই খোলা রবে দ্বার -

যাবার সময় হলে যেয়ো সহজেই,

আবার আসিতে হয় এসো।

সংশয় যদি রয় তাহে ক্ষতি নেই,

তবু ভালোবাস যদি বেসো।।




ঢাকার পাট চুকিয়ে আকাশরা ফেরে পুরনো ঠিকানায়। মেইল এ পরী লেখে – ধানসিঁড়িতে শুরু, ধানসিঁড়িতেই বোধহয় আমাদের শেষ। আর হয়তো তোমার সাথে আমার দেখা হবে না। কেনো পরী কথাটা বলেছিলো তা আজো জানে না আকাশ। তবে চোখে ভাসে শেষ দেখা হবার দিনটার স্মৃতি। ক’দিন আগে পরীর বারংবার তাগিদে কলেজ জীবনে লেখা ডায়েরীগুলো ওকে পড়তে দিয়েছিলো আকাশ। ধানসিঁড়িতে বসে চায়ের কাপে চুমুক দিতে দিতে ডায়েরীগুলো ফেরত দিয়েছিলো পরী। পাতার ভাঁজে ভাঁজে ছোট ছোট চিরকুটে সেই পাতা পড়ার অনুভূতি আর মন্তব্য। রিকশায় ফিরতে ফিরতে পাতা ওল্টাচ্ছিল আর চিরকুটগুলো পড়ে পড়ে হাওয়ায় ভাসিয়ে দিচ্ছিলো দু’জন মিলে। আকাশের মনে হচ্ছিলো অনন্তকাল ধরে কেনো চলেনা এমন একটা ঘটনা? শেষ চিরকুটটা পাপড়ির মত হাওয়ায় ভেসে যেতে কেমন শূন্য দৃষ্টি আর মন নিয়ে নিশ্চল বসে থাকে চলন্ত রিকশায় দু’জন মানুষ। কালই ঢাকা ছেড়ে চলে যাচ্ছে আকাশ, একেবারে...। পুরনো ঠিকানায় ফিরে আবারো ব্যস্ত হয়ে পড়ে আকাশ। কথা হয় আগের তুলনায় অনেক কম। অভিমান বাড়ে পরীর। বাড়ে অভিযোগ। বিরক্ত হয় আকাশ। কন্ঠে ঝরে পড়ে তার রেশ। ধৈর্য হারায় পরী। দু’জনেই বিষোদ্গার করে। সাগরে ওঠে ঝড়। ক্ষয়ে যাওয়া প্রাসাদটা ভাংতে থাকে, ভাংতেই থাকে। ঢেউগুলো আছড়ে পড়ে ধ্বংসস্তুপে। ভাসিয়ে নিয়ে যায় আবর্জনা। নিশ্চিহ্ন হয়ে যায় তিল তিল করে গড়া ভালোবাসার প্রাসাদ। আকাশ ভাবে – কত ত্যাগ, ধৈর্য, আবেগে গড়া এই ভালোবাসা, ভাঙ্গে এত দ্রুত? এত সহজে?



স্মৃতির সিঁড়ি বেয়ে ফিরে ফিরে আসি

করুণার চোখ ছুঁয়ে প্রাণহীন ভালোবাসাবাসি




ব্যস্ততার মাঝেই ডুবে আছে আকাশ। কিন্তু স্মৃতিগুলো বড্ড তাড়া করে ফেরে। পুরনো জায়গা, কত পুরনো স্মৃতি। এখান থেকেই হয়েছিলো পরীর সাথে পরিচয়, প্রণয়। প্রথম কথা হওয়ার সেই জায়গাটা, অফিসের নির্জন কোন, এয়ারপোর্ট রোডের সেই বাঁকটা, সেই লেক, ছাদ, নাম না জানা সেই আকাশ ছোঁয়া গাছগুলো, নির্জন সরু পিচঢালা পথটা – পুংখানুপুংখ বর্ননা পরীর জানা। আসেনি কখনো এখানে, আকাশের চোখে আর বর্ননায় সব দেখা ওর, সব জানা। ভুতের মত ঘুরে বেড়ায় আকাশ জায়গাগুলোতে। মনের আয়নায় ভাসতে থাকে পুরনো দৃশ্যপট। কাজে অকাজে ছুটে যায় বারবার আর ভাবে পরীর কথা। ভাবে – হয়তো মুক্তি মিললো দু’জনের পরষ্পর থেকে। পরীর মুক্তি আকাশের অবহেলা, প্রত্যাশা আর কিছু নিষেধের বেড়াজাল থেকে আর আকশের মুক্তি পরীর অকারণ অভিযোগ, অনুযোগ, দলিত প্রত্যাশা আর নতুন নতুন কষ্ট পাওয়া থেকে। আসলেই কি মুক্তি? ভাবে আকাশ। তবে কেন এত কষ্ট আর যন্ত্রনা? কেন স্মৃতির এত তাড়না? কেন বারবার ফিরে যাওয়া পুরনো স্মৃতির আস্তাকুঁড়ে আর হাতড়ে বেড়ানো সেই পুরনো পরীকে?



… but remember there will always be a me and you



গভীর রাতে হঠাৎ হঠাৎ ঘুম ভেঙ্গে যায়। ঘুমন্ত বউটার মুখটার দিকে চেয়ে থাকে আকাশ আবছা আলোতে। মনে মনে বলে – আমাকে ক্ষমা করে দিস সোনা বউ। পারিনি আমি তোর ভালোবাসার প্রতিদান দিতে। একবুক ভালোবাসার অনেকখানি তোলা থাকে পরীর জন্য। ছটফট করে। লীন হবার অবকাশ পায়না বলে আস্তে আস্তে থিতু হয়, জড় হয়, পাথর হয়ে যায়। মনের গভীর থেকে আরো গভীরে তলিয়ে যেতে থাকে। সবচেয়ে গভীর, গোপন, সুরক্ষিত জায়গাটা দখল করে নেয়। মিলে মিশে যায় প্রতিটা নিঃশ্বাস প্রশ্বাসে। আকাশ জানে ওর শেষ নিঃশ্বাসেও মিশে থাকবে পরী।

...............................................................



প্রিয় পাঠক, ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি গল্পটা একটু বড় হয়ে গেলো বলে। অবশ্য দীর্ঘদিনের বিরতি ই হয়তো এজন্য দায়ী। আকাশ পরীকে নিয়ে আপাতত এটাই হয়তো শেষ গল্প, যদিও একেবারে শেষ কথা বলে কিছু নেই। এই ব্লগের গল্পগুলো শুধুমাত্র আকাশ পরীকে নিয়ে এবং তাই থাকবে সবসময়। ভবিষ্যতের কোন আপডেট জানতে চাইলে এই ব্লগে নাম টা রেখে যাবেন। ধূসর মেঘমালা ঘুরে আসবে আপনার ব্লগের বাড়ি, কথা দিচ্ছি। তাতেই নাহয় বুঝে নেবেন। ভালো থাকবেন সবাই।



The Introduction

All about Pori & Akash

মন্তব্য ১৭ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৭) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই মে, ২০১১ রাত ১২:৩২

ওয়েসিস বলেছেন: ভাল লাগল । অনেক ভাল ভাল উপমার ব্যাবহার আছে । চালিয়ে যান ।

২| ০৭ ই মে, ২০১১ রাত ১২:৫৬

প্রীটি সোনিয়া বলেছেন: ভালবাসা ভাল না... কষ্টের... আপনার ক্ষেত্রেও তাই হলো..... :(

৩| ০৮ ই মে, ২০১১ সকাল ১০:২৬

শায়েরী বলেছেন: Hmmm

৪| ০৮ ই মে, ২০১১ সকাল ১০:৩৩

রাজকুমারী বলেছেন: এ গল্প কার কে জানে........ তবু বুক ভরা হাহাকার মন ছুয়ে গেল।

৫| ০৮ ই মে, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৪১

শাওন বলেছেন: :০ আপনি :০ :০ :০

এতদিন কই ছিলেন ?? গল্প পরে পড়তেছি । আগে কমেন্ট করে নেই । এতদিন কই ছিলেন তাই বলেন ।

৬| ১৩ ই মে, ২০১১ দুপুর ১২:২৭

একাকী আমি বলেছেন: shorboda shathe chilam.

thakbo .

bhalo thakben apnara.

৭| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১১:১০

কল্পপরী বলেছেন:
তুমিময় স্বপ্ন নিয়ে বেচে থাকা ,
তোমার স্মৃতির মাঝে জীবন খুঁজে পাওয়া

৮| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ সকাল ১১:২৪

কল্পপরী বলেছেন: বুকের ভেতরের এই ছোট্ট হৃদয়টির প্রতিটি স্পন্দনে এখনো তোমার নামটি গাথা রয়েছে...

হয়তো চিরকালই রয়ে যাবে,,রয়ে যাবে তোমার মধুর স্মৃতি গুলি...

একদিন হয়তো মরচে ধরবে আমাদের ঐ ভালবাসার অনুভূতি গুলোতে,,ধুলো জমবে কালের আবর্তনে...
ভেবোনা আমি ভুলবো তোমায়,,চিরকালই থাকবে তুমি মনের এই ক্যানভাসের সদ্য আঁকা এক জীবন্ত ছবি হয়ে....

মনের আকাশে আজ আমার মেঘ জমেছে,,ঠিক সেই দিনটির মতো...যেদিন ছিড়েছিলো দুটি হৃদয়ের সকল বাধন...
ভাবছো আমি অভিমান করেছি??নাহ,,করিনি আমি অভিমান..
হয়তো দুটি হৃদয়কে এক সুতোয় বাধার অক্ষমতাটা আমারই ছিলো,,অক্ষমতা ছিল ভালবাসার আবেশে তোমাকে জড়িয়ে রাখার.....

৯| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ বিকাল ৪:১২

কল্পপরী বলেছেন: জীবনে কিছু কিছু সময় আসে যখন সবকিছুকেই অসহ্য লাগে।বিরক্তিকর মনে হয় চারপাশের সব মানুষকে...এমনকি নিজেকেও।সময়গুলো বড্ড স্থির মনে হয়।সময়ের ব্যবধানে বাস্তবতার আঘাতে সবকিছুই একদিন বদলে যায়।কাছের মানুষ বহুদূরে হারিয়ে যায়।প্রতিদিন ঘুমাতে যেতাম যে কণ্ঠ শুনে বহুদিন আর তার সাথে কথা হয়না...রোজ সকালে যার কাছ থেকে শুভসকাল না শুনলে দিনটা বৃথা মনে হত...অল্পতেই কেঁদে ফেলা এই আমি একটুও কাঁদিনি আজ।হাসিমুখে কাটিয়ে দিয়েছি দুঃসহ সময়গুলোকে।যে শূন্যতাটুকু চারধার থেকে এসে চেপে ধরেছিল তাকে কত সহজেই ছুটিয়ে দিয়েছি।সূর্যাস্তে মলিন হয়নি চোখের তারা।জোনাকির আলোর খোঁজে উজ্জ্বল হয়েছে।শুকনো ঝরা পাতাতে আজ দেখে যাই কচি সবুজপাতাদের আসার আশ্বাস।কীভাবে পারি জান? তুমিই যে শিখিয়েছিলে! ... ভালোবাসি আজো ...হয়তো বা আগের চেয়ে আরো বেশি ... আরো গভীরভাবে ...

১০| ১১ ই এপ্রিল, ২০১২ বিকাল ৩:১৪

কল্পপরী বলেছেন: দুঃখগুলো সুখের কারূকাজে ভরিয়ে রাখি প্রতিদিন প্রতিরাতে ...এভাবেই সত্যকে ঢাকি ... তবু ফিরে পাবার আশায় ...গভীর ভালোবাসায় মন জানালা খুলে দেই ... মনে হয় তারপরে ... তুমি নেই পাশে ...

১১| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১২ রাত ১:২১

কল্পপরী বলেছেন: হূমম ...দুঃখ বিষাদ ভুলে আনন্দময় জীবন...হয়তোবা... জীবন ... হাহ...
শুভ নববর্ষ ...

১২| ০৭ ই মে, ২০১২ রাত ১২:০৬

কল্পপরী বলেছেন: আশাকরি ভালো আছো ... আনন্দময় হোক জীবন ...

১৩| ০৩ রা জুন, ২০১২ বিকাল ৩:৫১

কল্পপরী বলেছেন: কিছু কিছু নম্বর থেকে আর আসবে না কোন ফোন...কিছু কিছু এস এম এস পড়ে আর হাসবে না এ মন , কোন কোন ঠিকানায় লিখবো না আর কোন চিঠি , কোন কোন গলিতে করবে না আর মন হাঁঠাহাঁঠি , খুঁজ়বো না আমি ,খুজবে না মন ,খুজবে না এই চারপাশ , কখনো রঙ্গীন কখনো ধুসর , কখনো নিরাকাশ ,জেনেছি আমি , জ়েনেছে এই মন, জ়েনেছে চারপাশ ,যাবে না ফেরানো তবু ফেরানোর ইচ্ছের আশ্বাস , অনেক আড্ডায় অনেক হাসিতে হয় না খোঁজা সেই মুখ, হারানোর বেদনা পিছু ফেরে ,সম সাময়িক সুখ , অনেক একায় অনেক ভীরে তোকেই খুঁজি ফিরি , একটু দাঁড়া ,আসছি আমি ,না হয় হচ্ছে একটু দেরী ...

১৪| ০২ রা জুলাই, ২০১২ দুপুর ১২:৪১

কল্পপরী বলেছেন: রাত বাজে দুটো। মাথার উপর সাঁই সাঁই করে ফুল স্পিডে ফ্যানটা ঘুরছে। চারপাশে সবাই ঘুমিয়ে আছে, আর গত কয়েকটা মাসের নিয়মিত অভ্যাসে আমি জেগে… প্রথম প্রথম এই রাত্রি জাগরণ আমার খুব বিরক্তিকর আর যন্ত্রনার মনে হতো, আমি চেঁচিয়ে চেঁচিয়ে কাঁদতাম। কান্নার শব্দগুলো আমার ছোট্ট রুমটার দেয়ালে দেয়ালে বাড়ি খেয়ে প্রতিধ্বনিত হতো। প্রতিধ্বনির শব্দগুলো কিছুতেই কান্নার শব্দের মতো শোনাতো না, বরং ওই শব্দগুলো আমার কানে বাতাসের সরসর ধ্বনির মতো লাগতো… যেন অনেকগুলো হাহাকার আর দীর্ঘনিশ্বাস একসাথে মিলে হল্লা জমিয়েছে রাত দুপুরে আমার একান্ত জগতে। রাতগুলো ভয়ানক লাগতো, দিন পেরিয়ে সন্ধ্যা হলেই আমি অজানা ভয়ে ঘাবড়ে যেতাম… ভয়ঙ্কর রাতগুলো কিছুতেই পিছু ছাড়তো না…ধীরে ধীরে রাতের অন্ধকার আমার সয়ে গেছে। এখন আর নির্ঘুম রাতগুলোকে ভয় পাই না। বরং অপেক্ষা করি প্রিয় সময়টুকুর জন্য। নীরবতা আজকাল আর অনাকাঙ্খিত নয়। সারাদিনের কোলাহল শেষে ওইটুকু নীরবতা না হলে এখন নিশ্বাস বন্ধ হয়ে আসে। দিনের আলোতেই বরং কুঁকড়ে যাই।
এককালে আমার প্রিয় সময় ছিলো ভোরের প্রথম আলো ফুটে ওঠার সময়টা। চারিদিকে ঝুপ করে সূর্যের মায়া আলো নেমে আসে। নরম তুলতুলে আলো… পবিত্র আলো… গায়ে মিষ্টি বাতাসের কাঁপন তোলা আলো। এখনও আমি সেই আলো দেখি। ওই আলো গায়ে মেখে ঘুমুতে যাই। কিন্তু ইদানিং সেই আলোটুকুই আমার সবচেয়ে অপছন্দের। দিনের শুরু মানেই তো রাতের শেষ, আবার সেই কোলাহলে টইটুম্বুর পৃথিবী… আমার পছন্দ অনেক বদলে গেছে। কিছুই যে আর আগের মতো নেই…
প্রিয় সম্পর্কগুলো বদলে গেছে, প্রিয় চেনা মুখগুলো আজ বহু দূরে… প্রিয় হাতগুলো আর জড়িয়ে ধরে না ভালোবেসে, আজকাল আর ভাত বেড়ে নিরন্তর ডাকাডাকিতে মাতে না কেউ। একই ঘরে থেকেও আমি সবার কাছ থেকে যোজন যোজন দূরের কেউ। সবার মাঝে থেকেও যে হারিয়ে যাওয়া যায়, তা আমি আমার প্রিয় মানুষগুলোকে দেখে শিখেছি। দরজার ওপাশে কত হাসি, কত গান অথচ এখানে আমি কেবল আমার আমিকে নিয়ে বাঁচি।আজকাল আমি বোঝা হয়ে আছি সবার কাছে। এমন বোঝা, যা হঠাৎ কোন পথের মোড়ে হারিয়ে গেলে সবাই বাঁচে। আমাকে ঝেড়ে ফেলার অনেক চেষ্টা চালানো হচ্ছে, কিন্তু আমি নির্লজ্জ্বের মতো চেপে বসে আছি সবার কাঁধে। আমার প্রতি করা তুচ্ছতাচ্ছিল্যের মন্তব্যগুলো শুনে আজকাল আর মরে যেতে ইচ্ছে করে না। বরং অপরিচিত কোন বাতাস ছুঁয়ে গেছে ভেবে ভুলে যাই সব। নিজেকে বন্দী করে রাখি এই চার দেয়ালের কুঠুরীতে… মাঝে মাঝে খুব ইচ্ছে হয় আগের মতো পাখি হয়ে বাঁচি… রিকশায় করে ঘুরি ঘন্টার পর ঘন্টা… বন্ধুরাও আজকাল আর মনে করে না আমাকে। আমি বোধহয় বাতিলের খাতায় পড়ে গেছি সবার কাছেই।
আমারও কেউ ছিলো… যাকে ভেবে আমার দিনরাত্রি কেটে যেতো… যাকে আমি আমার মিষ্টার পারফেক্ট ভাবতাম… এমন কেউ যাকে ভালোবেসে হাজার বর্ণিল স্বপ্ন বুনেছি। বোকা ছিলাম… কখনো ভাবিনি, মিষ্টার পারফেক্ট কেবল মিস পারফেক্টদের জন্যেই পৃথিবীতে আসে। নিজেকে সেই নিঁখুত মানুষদের দলে ফেলার দুঃসাহস আমার কখোনোই ছিলো না… আর এখনতো সেটা কেবল স্বপ্নেই সম্ভব…ভুল বললাম… স্বপ্নেও সম্ভব নয়… কারণ আমি স্বপ্ন দেখতে ভুলে গেছি। লাল নীল রুপালী স্বপ্নেরা আজকাল আর আমার কাছে ধরা দেয় না… আমার রাতগুলো নির্ঘুম আর দিনগুলো ধূসর ঘোলাটে…ধীরে ধীরে আমার কষ্ট অনুভূতিগুলোতে মরচে পড়েছে। আমার উচ্ছলতাগুলো রাতের আঁধারে চাঁপা পড়ে গেছে। আমি ভয় পেতে পেতে অন্ধকারকে আপন ভাবতে শিখে গেছি। আমার বর্তমান জীবনে একমাত্র সত্য হচ্ছে, আমি এখনো বেঁচে আছি।একজন অসফল, ক্লান্ত, বৃষ্টিবঞ্চিত মানুষ হয়ে… বেঁচে আছি…


১৫| ০৫ ই জুলাই, ২০১২ রাত ১০:২৭

কল্পপরী বলেছেন: বিশেষ দিনগুলো বড্ড বেশী শূন্য লাগে ... জানি কোথায় তুমি ... তবু মন মানে না ... মনে হয় হয়তোবা ভুল জানি ... যাক... আরো বেশী দূরে ঠেলে দেওয়া... ভালোই হয়তো ...

১৬| ২১ শে জুলাই, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:২১

কল্পপরী বলেছেন: সবে ইফতার করে রুমে আসলাম, সাথে সাথে একরাশ শন্যতা , আগের বছর গুলোতে ইফতার করেই প্রতিক্ষা কখন ফোন আসবে তোমার । বদলে গিয়েছে দিন । বদলে গিয়েছি আমরা ... শুধু অনুভূতিগুলো ব্ দলাতে পারিনি ... মরে থাকা মোবাইলটা ছুড়ে ফেলে দিতে ইচ্ছে করে ...।

১৭| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১২ রাত ৯:৩৪

কল্পপরী বলেছেন: সেই চেনা সুর , নিরবে কাঁদায় , আমার আঙ্গিনায় একা বসে রই .।.।.।।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.