![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নিজেকে জানার ও খুজে পাওয়ার চেষ্টায় রত আমি, জানি না কবে নাগাদ সফল হবো কিংবা আদৌ হবো কিনা।
বাদাম, অল্প টাকায় খেতে খেতে সময় পার করার সবচেয়ে ভালো উপায় । বন্ধুত্ত ঠিক রাখতেও সহায়ক এটি। সবাই বলে কিছু খাওয়াতে না পারলে বাদাম তো পারবো। সম্পর্ক রক্ষায় বাদাম যতটা না উপকারী তার চেয়ে অনেক বেশি উপকারী আপনার শরীরের জন্যে। নিজের জীবন উৎসর্গ করে রক্ষা করে আপনার জীবন। আসুন জেনে নিই আমাদের শরীরে কি ধরনের উপকার করছে এই বাদাম:
বাদামে আছে প্রচুর পরিমানে উপকারী ফ্যাট, উদ্ভিজ্জ প্রোটিন , ভিটামিন মিনারেল,ফাইওবার এবং এন্টি-অক্সিডেন্টের মতো প্রয়োজনীর খাদ্য উপাদান। পুষ্টিবিজ্ঞানীরা তাই বেশ জোরের সাথে বলছেন , নিয়মিত বাদাম খান।
বাদামের ফ্যাট হৃৎবান্ধব
একটি বাদামের শতকরা ৮০ ভাগই ফ্যাট যা পুরোটাই শরীরের জন্যে উপকারী। এওক্টি শুকনো ভাজা চীনাবাদামে সম্পৃক্ত চর্বির পরিমাণ মাত্র ২ গ্রাম ,আর উপকারী অসম্পৃক্ত চর্বির পরিমাণ ১১.৪ গ্রাম । এইচডিএল হার্ট জন্যে খুব উপকারী তা ক্ষতিকর এলডিএল এর মাত্রা কমিয়ে দেয় । তা পর্যাপ্ত পরিমানে আছে বাদামে । বাদামে এল- আরজিনিন যা ধমনীর দেয়ালকে সবল ও নমনীয় হতে সাহায্য করে । তাছাড়া রক্ত জমাট বাধতে বাঁধা দিয়ে আপনার হার্ট অ্যাটাকের ঝুকি কমায় । ১৯৯৬ সালে আমেরিকার আইওয়া-র একটি রিপোর্টে দেখা যায় যারা সপ্তাহে অন্তত চার দিন বাদাম খেয়েছেন তাদের হৃদরোগ জনিত মৃত্য ঝুকি কমেছে ৪০ ভাগ।
উচ্চ রক্তচাপ , স্ট্রোক , ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ করে
চীনাবাদামে আছে ‘রেসভেরাট্রোল’ যা একটি এন্টি-অক্সিডেন্ট। এর কাজ দেহের রক্তনালীর অপর এনজিওটেনসিনের কার্যকারিতা কমিয়ে দেয়া । এতে রক্তের স্বাভাবিক চাপ বজায় থাকে , তেমনি হঠাৎ রক্তচাপ বেড়ে গিয়ে স্ট্রোকের ঝুকিও কমায় । আরো আছে কো-এনজাইম কিউ ১০(Co-Q10)। এটিও শক্তিশালী এন্টি-অক্সিডেন্ট। হৃৎপিন্ড , মস্তিস্ক, ও পেশীর স্বাভাবিক কাজ পরিচালনায় দক্ষ এটি । তারুণ্যকে দীর্ঘায়িত করার পাশাপাশি হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ , স্তন ক্যান্সার , মাড়ির রোগ ,গুরুতর পেশী সমস্য, বন্ধ্যত্ব , পাকস্থলীর আলসার , ইত্যাদি রোগ প্রতিরোগ ও নিরাময়ে ব্যাপক প্রভাব আছে ।
বাদামে আছে আশ, ফাইটোস্টেরল
যা আপনার পরিপাক তন্ত্রের সুস্থতা, সবাভাবিক রেচন প্রক্রিয়া এবং কোলন ক্যান্সার সহ বিভিন্ন রকম ক্যান্সার ও ডায়াবেটিস প্রতিরোধে এটি গুরুত্তপূর্ন ভুমিকা পালন করে ।
ভিটামিন – মিনারেল
আছে ভিটামিন বি কমপ্লেক্স ও ভিটামিন ই যা সার্বিক সুস্থতার পাশাপাশি বিশেষত ত্বক , চুল ও পেশীকে ভালো রাখে । ফলিক এসিড আছে বলে গর্ভবতী মা এবং গর্ভস্ত শিশুর জন্যেও বাদাম উপকারী। মিনারেল পর্যাপ্ত পরিমানে উপস্থিত যা আপনার শরীরের ঘাটতি পূরন করে বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
তাই প্রত্যেহ বাদাম খান । বাদামের বিভিন্ন রেসিপি তৈরি করে ফাস্ট ফুড এর বিকল্প করে খান । যা আপনাকে উভয় দিক থেকে ভালো রাখবে । বিকালের তেলেভাজা জিনিষের প্লেট কে সরিয়ে ফেলে এক মুঠ বাদাম মুখে তুলে নিন । তারুণ্য ও সুস্থতায় ভরিয়ে তুলুন নিজেকে ও পরিবারকে । খাবার পরিমাণ দিনে অন্তত ৫০ গ্রাম ।
তথ্যসুত্র: জার্নাল অব আমেরিকান মেডিক্যাল এ্যাসোসিয়েসন।
©somewhere in net ltd.