![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জন্ম সত্তরে এক আলেম পরিবারে। প্রাইমারী শেষ করার আগেই আব্বা জোর করে মাদরাসায় ঢুকিয়ে দিলেন। মাদরাসায় পড়তে মনে চাইছিল না প্রথমে। পরে মাদারাসার দর্শনই নিজের জীবনের রক্ত-মাংসে, সীরাত-সুরতে আর মন-মস্তিস্কে মিশে গেল। এ নিয়ে গর্ব করি। [email protected]
গত ১১ই মে-২০০৯ সোমবারের দৈনিক নয়াদিগন্ত পত্রিকার চতুর্থ পৃষ্ঠার পঞ্চম কলামের পাত্র-পাত্রী শিরোনামের ৩ নং বিজ্ঞাপনটি আমি বেছে নিলাম। অবশ্য পরের দিনও বিজ্ঞাপনটি এসেছিল। যোগাযোগ করার জন্য ফোন b¤^i দেয়া হল : ০১৬৭৪৮৭০৯৮৭। ফোন করলাম। বলল, আমার নাম কাওসার। অফিস উত্তর যাত্রাবাড়ী।’ আমার সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত তথ্য নিল। এরপর বলল, ম্যাডাম আসলে আপনার মত পাত্রই খুজছেন। আপনি চলে আসুন।’ আমি বললাম, আপনার ঠিকানা দেন। কিভাবে আসব? আসতে হলে আমার কি করতে হবে? সে বলল, আপনাকে প্রথম ৬৫০ টাকা দিয়ে সদস্য হতে হবে। ছবি নিয়ে আসবেন এক কপি।’ আমরা পাত্রী দেখাবো। যদি পছন্দ হয় তাহলে আপনাকে আরো ২৫০০ টাকা দিতে হবে। আপনি যাত্রাবাড়ী এসে ফোন করবেন। আমি আপনাকে অফিসে নিয়ে আসব।’
কথা শুনে আমার মনে সন্দেহ জাগল। নিজের অফিসের নাম দিতে চায় না। অফিসের ঠিকানা দিতে চায় না। কিছু দু b¤^ix আছে সন্দেহ নেই। মনে করলাম আর যোগাযোগ করব না।
দুদিন পর সে নিজেই ফোন করল। কি আপনি যে আসলেন না। কবে আসবেন? বলেন। ম্যাডাম বলেছে আপনার সাথে ফাইনাল কথা না বলে সে অন্য কারো সাথে কথা বলবে না।’ আমি কথা দিলাম শুক্রবার বিকালে আসব। কিন্তু শুক্রবারও আমার মত পরিবর্তন হল। কিভাবে যে না বলে দেই, ভাবতে থাকি। কিন্তু লোকটি শুক্রবার বিকাল হওয়ার আগেই ফোন করল। বলল, কখন আসছেন? আমি বললাম, আমাদের এখানে এখন ঝড়-বৃষ্টি, আসা সম্ভব নয়।’ সে বলল, আমি এখন আপার বাসায় আছি। সে আপনার জন্য অপেক্ষা করছে। আপনি তার সাথে একটু কথা বলবেন? আমি বললাম, সাক্ষাতে বলা যাবে, এখন নয়। সে বলল, তাহলে আগামী কাল সকাল দশটায় আসেন।’ আমি সম্মতি দিলাম। মনে মনে নিয়ত করে নিলাম, একটি জগত সম্পর্কে কিছুটা অভিজ্ঞতা যদি হয়, মন্দ কি? রথ দেখতে যেয়ে কলা বিক্রি হয়ে গেলে দোষেরই বা কী? বিবাহ না হলেও জানা যাবে এ জগত সম্পর্কে অনেক কিছু। আমি এ প্রকল্পের জন্য একটি বাজেটও ঠিক করি। কোন ভাবে সে বাজেট অতিক্রম করব না বলে প্রত্যয় নিলাম। শনিবার ১৬ ই মে যাত্রাবাড়ীর উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিলাম। বাসে বসে সে কি কল্পনা! আমার পাত্রীটি যদি একেবারে বৃদ্ধা হয়, তাহলে কি বলব? আবার বৃদ্ধা না হয়ে যদি কুৎসিত হয় তাহলে কি বলব? বাসে কোন মেয়ে দেখলে তার দিকে তাকিয়ে থাকি। ভয়ও লাগে নতুন আইনে আবার ধরা খেয়ে যাই কিনা। আর ভাবি, আমার পাত্রীটা যদি এ মেয়েটির মত হত। আবার আরেক জনের দিকে তাকাই। বলি, যদি আমার পাত্রীটি এমন না হত। আকাশ পাতাল ভাবতে ভাবতে বাস গিয়ে পৌছল যাত্রাবাড়ী। ফোন করলাম কাওসার-কে। কি মুধুর তার কথা! বলল, ওভার ব্রিজ পার হয়ে উত্তর পাশে এসে একটা রিকসা নিয়ে আপনি ধলপুর কমিউনিটি সেন্টারের গেটে আসুন। ওখান থেকে আপনাকে অফিসে নিয়ে আসব।’ মনে শংকা জাগল, আবার আমি পনবন্দি হয়ে যাবো না তো? যদি আমাকে আটক করে আত্নীয় সজনকে খবর দেয়, টাকা পয়সা দাবী করে বসে, তাহলে তো আমার মান ইজ্জতও যাবে, যাবে ছালাও। স্ত্রী হয়ত দ্বিতীয় বিবাহ করতে যাওয়ার অন্যায়টি ক্ষমা করে দিয়ে তৃপ্তি পাবে। কিন্তু অন্যরা কি বলবে? রিকসা একটা নিলাম। কিছুক্ষণ পর এসে নামলাম ধলপুর কমিউনিটি সেন্টারের গেটে। পাশেই গোলাপবাগ মাঠ। দাড়িয়ে থাকলাম এক ঘন্টার মত। যতবার ফোন করি ততবারই সে বলে পাচ মিনিটের মধ্যে আপনাকে নিয়ে আসছি। দেখলাম, কিছুক্ষণ পর একটা লোক গেটে এসে মোবাইল করছে। বুঝলাম সে আমাকেই খুজছে। কিন্তু দেখলাম, পাশে অপেক্ষমান পঞ্চাশোর্ধ দু জনের এক জনের মোবাইলে রিং হল। লোকটি তাদের বলল, চলেন।’ দুজনকে নিয়ে চলে গেল। আমার বুঝতে বাকী রইল না যে, এরা আমার অগ্রজ। সিরিয়ালে আমার আগে। তাদের নিয়ে যাওয়ার পর যখন ত্রিশ মিনিট পূর্ণ হল, তখন আমি ফোন করে বললাম, আমি আজকে আপনার সাথে দেখা করতে পারব না। সময় নেই। আরেকদিন আসব। আমি চললাম।’ সে বলল, না, না এক্ষুনি আপনাকে নিয়ে আসব। এই তো লোক যাচ্ছে।’ কিছুক্ষণ পর সেই লোকটিই আসল, মোবাইলে রিং দিল, আমার মোবাইল বেজে উঠতেই সে আমাকে সনাক্ত করল। বলল, চলেন।’ আমি চললাম। কমিউনিটি সেন্টারের দক্ষিণ পাশে ছয় তলা দালান। গেটে লেখা জয়া বিউটি পার্লার।’ উঠে গেলাম চার তলায়। সেখানে একটি রুমে বসানো হল আমাকে। তারা দু জন লোক। কাওসার হল বস, অন্যজন তার সহকারী। কিন্তু তাদের চোখে মুখে একটা ভীতু ভীতু অপরাধী ভাব লক্ষ করলাম। কোন সাইন বোর্ড নেই। কাগজপত্র নেই। আছে টেবিল চেয়ার আর সোফা। বলল, আপনি বসেন। আরো দুজন লোক আছে তাদের বিদায় করে আপনার সাথে একান্তে কথা বলব। খুশী হলাম। পনবন্দি হওয়ার আশঙ্কা কেটে গেল অনেকটা। কিছুক্ষণ পর ওই দুজনকে আমার রূমে বসিয়ে আমাকে নিয়ে গেল কাওসারের রূমে। একটা বড় টেবিল। কম্পিউটার ও আর কিছু ফাইল পত্র। দেয়ালে কুরআন ও হাদীসের বাণী লটকানো। কাওসার আমাকে বলল, আপা যে রকম পাত্র চেয়েছে আপনি ঠিক তার মনের মত। আপনাকে দেখলে এক চান্সে ইয়েস’ বলবে। আর ইয়েস বললে আপনাকে আরো ২৫০০ টাকা দিতে হবে। আমরা কাজ শুরু করে দেব। আর বিয়ের পর আপা আপনাকে পাচ লক্ষ টাকা দেবে। আপনি সেখান থেকে আমাকে একটি বড় অংক বখশীশ হিসাবে দেবেন।’
এরপর একটা কাগজে আমার নাম ঠিকানা লিখল। দাবী মত সদস্য ফি ৬৫০ টাকা দিলাম। বলল, আরো কিছু দেন চা খেতে। আরো পঞ্চাশ টাকা দিলাম। মোট ৭০০ টাকা খসে গেল। মনে মনে বললাম, যতটুকু ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পরিকল্পনা নিয়ে এসেছি এর চেয়ে তোমরা আমাকে বেশী ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারবে না। টাকা নেয়ার পর বলল, আপনার আশে পাশে কোন কাজ আছে? থাকলে সেরে আসুন। আমি বললাম, আমার আশে পাশে কোন কাজ নেই।’ যদি কাজ না থাকে তাহলে একটু বাহির থেকে ঘুরে আসুন, আমি আপনাকে কল করে ডাকব’ বলল কাওসার। আমি বললাম, আপনি আমাকে কখন ছাড়বেন।’ সে বলল, এখন সময় পৌনে এগারটা আপনাকে সারে এগারটার মধ্যে বিদায় দেব। পাত্রীর সাথে আপনাকে দেখা করার পর আজকে আর কোন কাজ নেই।’ পাত্রীর সাথে সাক্ষাত কি তার বাসায় হবে, না আপনার এখানে’ জিজ্ঞেস করলাম। বলল, না, না, তার বাসায় সাক্ষাত হবে।
আমি বের হয়ে এদিক সেদিক ঘুরলাম। পৌনে বারোটা বেজে যায় তখনো আমার ডাক আসে না। মনে মনে ভাবলাম, হয়ত এখন বলবে আজকে পাত্রী সাক্ষাত দিতে প্রস্তত নয়।
আমি ফোন লাগালাম, কাওসার বলল, আরে আসুন, আসুন। আপনাকে খোজ করছি। আপা এখানে আসতেছে। প্রোগ্রাম ছিল তার বাসায় মিট হবে। কিন্তু তার বাসায় অনেক গেষ্ট। তাই তিনি আপনাকে দেখার জন্য এখানেই আসবেন।’ আমি অফিসে ঢুকলাম। সে একটা কল করল, আপা পাত্র এসে গেছে। আপনি কোথায়? মোবাইল রেখে আমাকে বলল, উনি রাস্তায় আছেন। এক্ষুনি এসে পড়বেন। একটু পরেই কলিং বেলের আওয়ায। আমাকে বলল, আপা এসে গেছেন। আমি বললাম, আপা কি আপনার অফিসে এই প্রথম আসলেন, না আরো এসেছেন।’ বলল, না, এই প্রথম।
আমাকে বলা হল, আপার কাছে আসেন। কথা বলেন।’ আমি কক্ষে ঢুকলাম। আমরা এখন শুধুই দুজন। আপা আমাকে সালাম দিলেন। ও মা! এ তো দেখী ইরানী হুর পরী। চেয়ে থাকলাম অনেকটা সময় তার মুখের দিকে। চোখ কি নামানো যায়! সে নীচের দিকে তাকিয়ে আছে। মাঝে মাঝে আমার দিকে তাকায়। সে কি লাজুক দৃষ্টি, যেন কোন পুরুষ জীবনে তাকে স্পর্ষ করেনি। কথা-বার্তায় কোন চাঞ্চল্য ভাব নেই। একে বারে সাদাসিধে। মুখের ভাষা ততটা আকর্ষণীয় নয়। এত সুন্দর চেহারার পাত্রী দেখার জন্য আমি মোটেই প্রস্তত ছিলাম না। কত সুন্দর তার চেহারা। এমনভাবে বোরকা পরা যে সুন্দর কপালটাওও ঢাকা পড়ে গেছে পাতলা কলো কাপড়ের আড়ালে। শুধু দেখা যায়, গাল দুটো, ঠোট, নাক ও চোখ। সুন্দর মেয়েরা কালো কাপড়ের বোরকা পড়ে চেহারাটা খোলা রাখলে দেখতে যেমন আকর্ষণীয় লাগে। চশমায় তাকে আরো সুন্দর মানিয়েছে। চেষ্টা করেও চোখ ফেরানো যায় না। যা কিছু জানার ছিল সবই ভুলে গেলাম। কি দেখতে আসছি আর কি দেখছি! বোরকাটা এত সুন্দর যে, যদি শুধু বোরকাটিকে আমার কাছে বিয়ে দেয়ার প্রস্তাব দেয়া হয়, তাহলেও আমি রাজী হয়ে যাই। আমার মুখে কোন কথা আসছিল না। সেই শুরু করল :
পাত্রী : আপনি যে বিবাহ করবেন আপনার স্ত্রী কি তা মেনে নেবে?
আমি: আমার স্ত্রীই তো আমাকে এ পথে নামিয়েছে।
পাত্রী: আপনি কি কাজ করেন?
আমি: বর্তমানে একটি আন্তর্জাতিক ইন্টারনেট সংস্থার ওয়েব মাস্টার হিসাবে কাজ করি। বাংলা, আরবী ও ইংরেজী ভাষায় কাজ করতে হয়।
পাত্রী: আপনি ঢাকা থাকেন, না দেশের বাড়ীতে?
আমি: ঢাকাতে থাকি। তিন দিনের জন্য মাসে একবার দেশের বাড়ীতে যাই ছেলে দুটো আর ওদের মা-কে দেখতে।
আমি: আচ্ছ, আপনার বয়স কত হবে?
পাত্রী: বিজ্ঞাপনে যা লেখা আছে তা-ই।
আমি: না, তা হবে না। তাতে লেখা আছে ৪৩-৪৫ অথচ আপনার বয়স অনেক কম।
পাত্রী: আচ্ছা আপনি বলেনতো আমার বয়স কত হতে পারে?
আমি: আপনার বয়স ৩০-৩৫ হবে।
পাত্রী: আমার বয়স ৩২ বছর।
আমি: তাহলে আপনি বয়স বেশী বলে বিজ্ঞাপন দিলেন কেন?
পাত্রী: বয়স কম দিলে অনেকেই আসে না। অনেক বয়স্ক লোক মনে করে এত অল্প বয়সী মেয়ে নিলে ঝামেলা।
আমি: আপনার ¯^vgxi কি হয়েছে?
পাত্রী: আমার ¯^vgx সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছে। সে সরকারী চাকুরী করত।
আমি: আপনার ভাই বোন কত জন?
পাত্রী: আমরা শুধু দু বোন।
আমি: আপনি বড়?
পাত্রী: না আমি ছোট। মা ও বাবা আমার সাথে থাকে।
আমি: আপনার সংসার চলে কিভাবে?
পাত্রী: আমিই তো সংসার চালাই। আমাদের বাসার নীচে ফ্যাক্টরী। এই তো এখন আপনাকে দেখার জন্য ফ্যাক্টরীর কাজ রেখে আসলাম।
আমি: আচ্ছা, কাওসার বলল, আপনি নাকি আমাকে পাচ লক্ষ ঠাকা দেবেন। কেন দেবেন? যৌতুক? আপনি জানেন, আমি মাদরাসায় পড়াশুনা করেছি। যারা মাদরাসায় পড়ে তারা বিবাহে যৌতুক-কে চরমভাবে ঘৃণা করে।
পাত্রী: না, মানে আমি যাকে বিয়ে করব তার যদি কোন ঋণ থাকে, তা পরিশোধ করার জন্য আমি টাকা দিতে চেয়েছি। আচ্ছা হজ করার ব্যাপারে কি আপনার আপত্তি আছে। আমি যদি আপনাকে হজ করাই?
আমি: হজ করা ভাল, তবে স্ত্রীর টাকায় হজ করব কেন?
আমি: আচ্ছার আপনার সন্তানাদি কেন হয়নি?
পাত্রী: সেটা আমি বলব কিভাবে? আল¬াহ পাকই ভাল জানেন।
কথা-বার্তায় যখন কিছুটা বিরতি হল, তখন আমাকে বলল, কাওসারকে একটু ডাকেন। আমি তাকে অন্য রূম থেকে ডেকে আনলাম। সে এসে বলল, কি আপা! আপনি তার সাথে ফ্রী হয়ে কথা বলুন। বোরকাটা খুলুন। আরো সময় ধরে বলুন। লজ্জা করেন কেন?
পাত্রী : না কথা-বার্তা আর নেই। কাজ হয়ে গেছে। আমি ভালমত তাকে চিনেছি।
কাওসার: -পাত্রীকে লক্ষ করে- ওনাকে তাহলে আপনার পছন্দ হয়েছে?
পাত্রী: আমি যা আশা করেছি তার চেয়ে বেশী পেয়েছি ওনার মধ্যে। আমি এক পায়ে রাজী। আমার কোন আপত্তি নেই।
কাওসার এবার আমাকে প্রশ্ন করল, আপনার মত কি? পাত্রী কি পছন্দ হয়েছে আপনার? আমি বললাম, আমি মতামত পরে দেবো।’ এ কথা বলে আমি উঠে গেলাম।
কাওসার আমাকে বলল, আপাকে সেলামী দিয়েছেন? আমি বললাম, না দেব না? পরে দেখা যাবে।’ সে তার সহকারীকে বলল, আপাকে যেতে বলো।’
আমাকে বলল, আপনাকে অবশ্যই ইয়েস’ অথবা নো’ বলতে হবে। যদি ইয়েস’ বলেন তবে কাজ শুরু হবে। ২৫০০ টাকা দেবেন। আর যদি নো বলেন, কোন সমস্যা নেই। আমি বললাম, কোনটাই বলব না। পাত্রীর ফোন b¤^i দেন। আলাপ করে আপনাকে জানাবো। কাওসার বলল, অবশ্যই ফোন b¤^i দেব। আপনি একদিন নয়, এক সপ্তাহ ধরে আলাপ করবেন। তারপর আমাকে জানাবেন। কিন্তু আপনি তো এখন বলতে পারেন, প্রাথমিকভাবে আমার পছন্দ হয়েছে। বাকীটা আলোচনা ¯^v‡c‡|Õ আমি বললাম, হ্যা, তা বলতে পারি।’
কাওসার: তাহলে আমরা একজন মুরুব্বী পাঠাবো মেয়ের বাড়ীতে সেখানে মিষ্টি ইত্যাদি নিতে হবে। কিছু টাকা দেন।
আমি: এখন টাকা দিতে পারব না। প্রস্তুতি নিয়ে আসি নাই।
কাওসার: দু তিন শত টাকাও কি সাথে নেই?
আমি: অবশ্য তা দেয়ার মত নয়।
কাওসার পাত্রীর ফোন b¤^i দিল। নিয়ে চলে আসলাম।
আমাকে কিছুক্ষণ অফিসের বাহিরে রাখা, পাত্রীর কাছ থেকে টাকা না নেয়া, আমার কাছ থেকে আরো টাকা দাবী করা, ঘোষিত বয়সের সাথে অমিল। বয়স বেশী লেখার কারণ বর্ণনা, পাত্রী প্রথমবার অফিসে আসল আর নিজেই চিনে ফেলল ইত্যাদি বিষয়গুলো ভাবতে থাকি। আমাকে আরো অবাক করেছে সামান্য তথ্য নিয়েই আমাকে পছন্দ করে ফেলার বিষয়টি। পাত্রী দেখার আগে আমি কয়েকবার আয়নার সামনে দাড়িয়ে ছিলাম। নিজেকে আকর্ষণীয় মনে হয়নি নিজেরই কাছে। কেন হবে? আটত্রিশ বছর ধরে এ পৃথিবীর প্রতিকুলতার সাথে লড়াই করে টিকে আছি। ঝড়-তুফান তো কম যায়নি। পাত্রীর কাছে যাওয়ার পর আমার এত রূপ আসল কোথা থেকে?
আর ভাবছি এ প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ ছিল এক হাজার টাকা। এখন সাত শত টাকায় কাজ সেরেছি। মন্দ কি! আমার পাত্রী খোজা প্রকল্পটি বাজেট ফেল করেনি।
আরো ভাবি, কত সুন্দর তাদের শিল্প। একজন মানুষ যদি ৮০% ভাগ অনাস্থা নিয়ে তাদের কাছে যায়, তারা তাদের সাথে এমন আচরণ করে যে, তাদের আস্থাই তৈরী হয়ে যায় আশি ভাগ।
আমার পূর্বের পার্টিকেও তারা এ পাত্রীটিকে দেখিয়েছে। আর এ জন্যই আমাকে কিছুক্ষণ অফিসের বাইরে রাখা।
তাদের টার্গেট ছিল আজই তারা আমার কাছ থেকে সদস্য ফি, চা খরচ, সেলামী, মুরব্বী ফি, মিষ্টি খরচ সব মিলিয়ে পাচ হাজার টাকা খসাবে।
আরো আশ্চর্য হয়েছি মানুষকে প্রতারণা করার জন্য, সামান্য স্বার্থ উদ্ধারের জন্য ধর্মের ব্যবহার দেখে। আমরা ছাড়া অন্য কোন ধর্মের লোকেরা ধর্মকে এভাবে ঘৃণ্য কাজে ব্যবহার করে বলে আমি জানি না। প্রতারণা করার জন্য কুরআন ও হাদীসের বাণী লটকানো, বোরকার ব্যবহার, হজ করানোর লোভ দেখানো, কথা-বার্তায় আল্লাহ পাক উচ্চারণ ইত্যাদি বলে সহায় খুজতে আসা অসহায় মানুষকে বিবাহের লোভ দেখিয়ে তাদের আরো সহায় সম্বলহীন করে তারা টাকা উপার্জন করে। কত ভাবে যে তারা ইসলামকে অবমাননা করতে পারে তার হিসাব কে রাখে। যে ইসলাম বলেছে হাসি কৌতুকাচ্ছলেও মিথ্যা বলা যাবে না, সেই ইসলামের নাম নিয়ে আমরা মিথ্যা বলে যাচ্ছি। যে ইসলাম বলেছে, যে প্রতারণা করে ধোকা দেয় সে মুসলিম নয়। সেই ইসলামের নামে আমরা অন্যকে ধোকা দিচ্ছি। ইসলামের অনুসারী হয়েও আমরা চারিত্রিক দিক দিয়ে অন্যের চেয়ে কত নীচে নেমে গেছি! আল্লাহ এত সত্বেও মুসলমান আর ইসলামের অস্তিত্ব যে টিকিয়ে রেখেছেন এটাতো তার বিশাল অনুগ্রহ।
পাত্রীর নম্বরে মোবাইল করলে আর রিসিভ করে না। মোবাইল বন্ধ থাকে। আপনাদের আমি পাত্রীর নম্বর দেব না। আবার কোন বিপদে পড়ে যাই। কোট কাচারীর অবস্থা ভাল না। ঘটকের নম্বর দিয়েই দিলাম। যদি কেহ অল্প টাকায় সুন্দরী পাত্রী দেখতে চান তাহলে ঐ নম্বরে যোগাযোগ করুন, পত্রিকার বিজ্ঞাপনের সুত্র উল্লেখ করে। তবে আপনি যে তার নাম জানেন তা তাকে জানতে দেবেন না।
আর কোন সাহসী ব্যক্তি যদি এ প্রতারণা বন্ধ করার ব্যবস্থা নিতে চান, তাহলে পথ খোলাই আছে। দিয়ে দিলাম পুরো ঠিকানা। অবশ্য দেখার কেউ নেই।
আরো আশ্চর্য লাগল, আমি যখন পাত্রীর নম্বর মোবাইলে সেভ করতে গেলাম তখন মোবাইল আমাকে বলল, এ নামে একটি কণ্ট্রাকট আছে আপনি কি তা বাদ দিতে চান? আমি আতকে উঠলাম। কিভাবে আমি তাকে মুছে ফেলি? মোবাইল থেকেই তাকে মুছে ফেলা যাচ্ছে না। হৃদয় থেকে কিভাবে? আমার স্ত্রীর নাম আর এই পাত্রীর নাম কাকতালীয়ভাবে এক হয়ে গেছে। পরে আমি পাত্রীর নামটি লিখে সামনে দু নম্বর লাগিয়ে দিলাম। সেভ হয়ে গেল।
আমি রাতে আমার স্ত্রীকে ফোন করলাম। সালাম বিনিময়ের পর বললাম, কি সালমা, কেমন আছো তুমি? আমার স্ত্রীতো অবাক। একটু পরেই স্ববাক হয়ে বলল, তোমার কী হয়েছে, এমন ভাবে কথাতো সেই ছোটকালে বলেছো, আর বিগত ৭/৮ বছরে তো একবারও এমন করে বলোনি। আমি ফোন করলে তুমি কোন কিছু না বলেই জিজ্ঞেস করো কোন জরুরী খবর আছে? এর উত্তরে আমি যখন জিজ্ঞেস করি, তুমি কেমন আছো? তখনই তুমি লাইনটা কেটে দাও। পরে আর ফোন করতে সাহস পাই না। দিনগুলোতো এভাবেই যাচ্ছে। আজকে তুমি অনেক দিনের পুরোনো ভাষায় জিজ্ঞেস করলে। কি যে ভাল লাগল! আসলে কিছু একটা ঘটেছে। নইলে তুমি এমনভাবে জিজ্ঞেস করতে না। বল, কি করেছো। আমি বললাম, তোমার বয়সী সালমা নামের মেয়েরা আমাকে কি পেয়েছে? তারা আমার পিছু কেন ছাড়ছে না? এখন আমার তাদের পরিচয়ে লিখতে হয় সালমা-১ সালমা-২ । মোবাইল সেটগুলোও বিরক্তি প্রকাশ করে। কারণ ওরাও নতুন কিছু চায়। এরপর পুরো ঘটনাটি তাকে শুনালাম। শুনে বলল, মেয়েটি যখন তোমার পছন্দ হয়েছে তখন কিভাবে আনা যায় সে চিন্তা একটু করতে পারো? আমি বললাম, ‘কিভাবে পারব বলো। আমার দৃঢ় বিশ্বাস মেয়েটির স্বামী টামী সবই আছে। হয়ত ঘটকটি তারই স্বামী, হয়ত নীচের বিউটি পার্লারে কাজও করে। এভাবে পাত্র দেখে সেলামী পায়। একটা অংশ সে নেয়। এভাবে চলে জীবন জীবনের সাথে প্রতারণা করে ব্যবসা। সে কিভাবে তোমার স্বামীকে বিয়ে করবে?’ এরপর বলল, ‘পাত্রীর খোজ করতে থাকো। কোন ভাল পাত্রীর খোজ পেলে আমাকে খবর দিও। আমি তোমার সাথে পাত্রী দেখতে যাবো। তুমি সহজ সরল মানুষ। আজকালকার মেয়েরা বড় চালু। তোমাকে কি বুঝ-টুজ দিয়ে বিয়ে করে পরে তোমাকে নিয়ে উধাও হয়ে যাবে। আমেরিকা বা লন্ডনে নিয়ে যেয়ে তোমাকে দিয়ে হোটেলের হাড়ি-পাতিল ধোয়ার কাজ করাবে।’
আমি হেসে বললাম, ‘তাতে তোমার সমস্যা কি? কত লোক লাখ লাখ টাকা খরচ করে এ কাজের জন্য বিদেশে যায়। আর কোন মেয়ে যদি আমাকে ফ্রী নিয়ে চাকুরী দেয় তাতে তো আমার ভালই। আমি কি তোমার নামে টাকা পাঠাবো না? সে বলল, না তুমি ঐ কাজ কিভাবে করবে? তুমি তো এক গ্লাস পানি জগ থেকে ঢেলে খেতে পারো না। পানি না খেয়ে থাকবে তবু ঢেলে খাবে না। না তুমি আমাকে না নিয়ে আর কোন পাত্রী দেখতে যাবে না।
তারপর বলল, ‘একটা কাজ করেছি কিন্তু তোমাকে বলা হয়নি। আগে কথা দাও রাগ করবে না।’ বললাম, ‘আগে তুমি বলো কি করেছো তারপর দেখা যাবে।’ বলল, ‘আমাদের বাসার পাশের স্কুলের এক ম্যাডামকে ঠিক করেছি। ম্যাডাম হিন্দু মানুষ। তার কাছে দিনে দু ঘন্টা করে পড়ব। আব্বা শুনে বলেছে, খরচ যা লাগবে আমি দেব। জামাইর কাছ থেকে কোন খরচ নিবি না। আমি প্রথমে বাংলাটা ভালো করে শিখব, তারপর ইংরেজী। বাচ্চারা তো এখন বড় হয়ে গেছে ওদের আগের মত সময় দিতে হয় না। আর তুমিতো কাছেই থাকতে চাওনা, তিন দিনের ছুটি নিয়ে আসলে একদিন থেকেই চলে যাও। জিজ্ঞেস করলে বল, ভাল লাগে না। তাই সময়ের অভাব হবে না।
আমি বললাম, ‘আগে ইংরেজীটার প্রতি জোর দিতে পারো না? কারণ বাচ্চাদের কম্পিউটার শেখাবে তুমি।’ সে বলল, না আগে বাংলা শেখব। তোমার কি মনে আছে বিয়ের তিন চার মাস পর একদিন তুমি আমার শরীর, চেহারা ও ভালবাসা নিয়ে একটি কবিতা লিখেছিলে বাংলায়। আমার কাছে দিয়ে বলেছিলে, তোমার জন্য এই কবিতা লিখেছি, তুমি একটু পড়ো। আমি সে দিন ভাল করে পড়তে পারি নাই। দেখলাম, তুমি রাগে, দু:খে লাল হয়ে যাচ্ছো। আমার হাত থেকে কবিতাটা নিয়ে ছিড়ে ফেলেছো। আর পুরো একদিন আমার সাথে তুমি কোন কথা বলোনি। আমি ভুলি নাই সে কথা। বাংলায় তুমি নাকি কত কিছু লেখো। মানুষে বলে। তারা পড়েও। কিন্তু আমি পড়তে পারি না। পড়লে বুঝি না।
বাংলা শেখা হলে, ইংরেজী শেখব। আর আমার ভাই মাসুম কম্পিউটার ট্রেনিং নিচ্ছে। তার ট্রেনিং শেষ হলে আমি তার কাছ থেকেই কম্পিউটার শিখে নেব বাসার কম্পিউটার দিয়ে। তোমাকে কষ্ট করতে হবে না আমাকে শেখানোর জন্য। তোমারতো অনেক দাম!
তবে পাত্রী দেখতে থাকো কিন্তু। আমি শিক্ষিত হলেও তোমার শিক্ষিতা বউয়ের অভাবতো পুরণ হবে না। তুমি বলবে, আমি তো মুর্খ বউ হিসাবেই তোমাকে পেয়েছি। তোমাকে বিয়ে না করানো পর্যন্ত আমি মনে শান্তি পাবো না। আমি চাই তোমাকে একটা বিয়ে করাবোই। তারপর তুমি দেখবে শিক্ষিতা বউ কাহাকে বলে, উহা কত প্রকার, কি কি ও খেতে কত মজা? আরেকটি বিয়ে না করা পর্যন্ত তুমি আমাকে চেনবে না। আমি তা ভাল করে বুঝে নিয়েছি। কথাগুলো বলে কেদেই ফেলল আমার নিবন্ধিত পাত্রীটি।
আমি বললাম, শান্ত হও। তোমার একটা দোষ হলো আমি যদি কখনো তোমার কোন কিছুকে অপছন্দ করি বা বিরক্তি প্রকাশ করি তখন তুমি তা সাপোর্ট করে যাও। নিজের দুর্বলতাকে স্বীকার করে নাও। আমার কাছে নত হয়ে যাও। এটা ঠিক নয়। তুমি নিজেকে সাপোর্ট করবে। নিজের প্রতি বিশ্বাস রাখবে। আমাকে ধৈর্য ধারণ করতে বলবে। আশ্বস্ত করবে। শান্তনা দেবে। তুমি কেন বলতে পারো না, আমার মধ্যে দুর্বলতা বা ত্রুটি আছে ঠিকই কিন্তু তার চেয়ে ইতিবাচক দিক আছে অনেক বেশী?
তুমি সেদিন আমাকে বলেছো ‘আমি তোমার জীবনটাকে নষ্ট করে দিলাম।’ আমি ভাবলাম, সত্যিইতো! কেন বললে তুমি এ ধরনের নেতিবাচক কথা? তুমি তো বলতে পারতে আমার ভাল সময়টা তোমার জন্য ব্যয় করেছি। আদর-যত্ন আর ভালভাসা, কি দেয়নি আমি তোমাকে? যে দিনগুলো কেটেছে আমাদের তা কি একে বারেই গেছে? কিছু কি বাকী নেই? এত চোখের জল কখনো কি হতে পারে না শুভ্র সমুজ্জল? দেখা যাক বা না যাক, রাতের সব তারাই তো আছে দিনের আলোর গভীরে।
তার সাথে কথা বলার পরের দিন দুপুরে সেই সালমা-২ আমাকে ফোন করল। সাদাসিধে তার ভাষা -‘কই কাল যে গেলেন, আর তো খোজ খবর নিলেন না। ফোনও করলেন না।’ আমি বললাম, ‘কয়েকবার ফোন করার চেষ্টা করেছি। একবার রিং হয়েছিল। পরে আর রিং হয়নি। বলল, ‘মেহমান নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম। বলুন এখন আপনি কি করবেন?’ আমি বললাম, ‘এখন অফিসে কাজ করছি। কথা বলতে পারবো না।’ সন্ধ্যার আগে আমার পক্ষে কথা বলা সম্ভব নয়। বলল, ‘সন্ধার পর তাহলে কথা বলব।’
আমি তাকে কিভাবে বলি ‘মিস সালমা-২! আপনি একজন প্রতারক। আমার কাছে এক নম্বর খাটি সালমা আছে। আপনার দরকার নেই আমার জীবনে।’ ভয় লাগে যদি সে সত্যিই আমার মত একজন স্বামী খুজে থাকে? তাহলে কথাটা তার স্বার্থে কত বড় অন্যায় হয়ে যাবে! যদি অন্যায় হয়েই যায় তবে আল্লাহ কি ক্ষমা করবেন আমাকে?
১৮ ই মে, ২০০৯ দুপুর ১২:১৬
ডিজিটালভূত বলেছেন: পড়লেন কি জানি না। গতকাল ছিল প্রথম পর্ব। আজ শেষ করে দিলাম। বড় হয়েছে বলে আমিও বিব্রত।
২| ১৮ ই মে, ২০০৯ দুপুর ১২:২৪
রাজীব বলেছেন: ঢাকা শহরে এমন অনেক ব্যবসা হচ্ছে। এমন ঘটনা আরো শুনেছি।
১৮ ই মে, ২০০৯ দুপুর ১:৫৩
ডিজিটালভূত বলেছেন: আসেল সৎভাবে এ সেক্টরে ভাল আয় করা যায়। তবুও কেন যে তারা প্রতারণার আশ্রয় নেয় বুঝে উঠতে পারছি না।
৩| ১৮ ই মে, ২০০৯ দুপুর ১২:২৫
মিলটন বলেছেন: হুম পড়লাম। অনেক কিছুই শিখলাম। এদের শাস্তি দেয়া উচিত।
যত যাই বলেন, আমাদের ভাবীই সবচেয়ে ভালো। উনিই আপনার জন্য সৌভাগ্য বয়ে নিয়ে এসেছে আর সেটা বজায় রাখবে। আপনাদের জন্য শুভকামনা রইলো।
১৮ ই মে, ২০০৯ দুপুর ১২:৩২
ডিজিটালভূত বলেছেন: আপনার জন্য শুভ কামনা। ধন্যবাদ পড়ার জন্য।
৪| ১৮ ই মে, ২০০৯ দুপুর ১২:২৬
লেখাজোকা শামীম বলেছেন: প্রতারণার সম্ভাবনা ১০০ ভাগ।
আপনার মুর্খ স্ত্রী আপনার ও তার নিজের জীবনটা নষ্ট করার জন্য এই পাগলামি করছে। আপনি বুঝতে পারছেন না। আরেকটা বিয়ে করার পর বুঝবেন। আর সবেচেয়ে বেশি বুঝবে আপনার সন্তানরা। তারা যখন দাঙ্গা, হাঙ্গামা, মামলা মোকদ্দমা ইত্যাদি করবে সম্পত্তি নিয়ে তখন আপনাকে অভিশাপ দিবে।
আচ্ছা বলেন, ইসলামে কয় বিয়ে করা জায়েজ। একটু বিস্তারিত বলবেন।
১৮ ই মে, ২০০৯ দুপুর ১২:৩৫
ডিজিটালভূত বলেছেন: জায়েয হলেই করতে হবে এমন কোন কথা নেই। ইসলাম হল উদারতার ধর্ম। সে পুরুষকে প্রয়োজন স্বাপেক্ষে একাধিক বিয়ের অনুমতি দিলেও বিবাহ একটি করতে বলেছে।
৫| ১৮ ই মে, ২০০৯ দুপুর ১২:২৭
বেকার বলেছেন: যাক জেনে খুশি হলাম এখনো বিয়ে করেন নাই।
তবে ভুল পথে যে পা বাড়িয়েছেন সেটা আপনার বুঝতে হয়তো আরো সময় লাগবে। ভাবীর প্রতি যত্নশীল হন।
জীবন একটাই, ভোগে সব সুখ নয় ত্যাগেই সুখ।
১৮ ই মে, ২০০৯ দুপুর ১২:৩৭
ডিজিটালভূত বলেছেন: সুন্দর বলেছেন। আপনার ভাবীর কাছে আপনার কথাটা পৌছে দেব।
৬| ১৮ ই মে, ২০০৯ দুপুর ১২:২৯
লুথা বলেছেন: আমি কালকে আপনার পার্ট-১ পডেই লিখেছিলাম যে প্রথম বউ ছেডে ২য় বিয়ে করলে পস্তাবেন...এবং আজকে আপনার লিখা পডে ভালো লাগলো... যে বউ পেয়েছেন, এমন বউ আজকাল কেও পায় না... সবচেয়ে বড কথা হচ্ছে বউ আপনার কথা শুনে... আপনি যতই শিক্ষিত মেয়ে বিয়ে করবেন, সেই মেয়ে ততই আপনার সাথে তর্কা-তর্কি করবে (অন্তত আপনার ১ম বউ এর মতো এত আনুগত হবে না) এবং আপনার লিখা পডে যা মনে হলো আমার কাছে, সেটা হচ্ছে এমন বউ আপনি নিজেও পছন্দ করবেন না...
আপনার একমাত্র বউ-বাচ্চা নিয়ে সুখী থাকুন... আপনাকে দেখে আপনার সন্তানরা শিখবে... তাই বলছি ভালো থাকুন-নিজেই বউ কেও ভালো রাখুন...
ওহহহ !! বলতে ভুলে গেছি... আপনার লিখা অসাধারণ হয়েছে...
১৮ ই মে, ২০০৯ দুপুর ১২:৩৮
ডিজিটালভূত বলেছেন: ধন্যবাদ, সুন্দর কথা বলার জন্য। কাজে লাগবে কথাগুলো।
৭| ১৮ ই মে, ২০০৯ দুপুর ১২:৩৪
লুথা বলেছেন: আরো একটা কথা বলি ভাই, আমি খুব বেশি ইসলাম নিয়ে পডাশুনা করি নাই, কিন্তু আমার দাদা-দাদি আমাকে বহু বিবাহ / ২-৩ টা বিয়ে করা প্রসংগে যা বলতো সেটা হচ্ছে, আপনি যদি আপনার সব বউকে সমান হক দিতে পারেন, সমান ভাবে খুশি রাখতে পারেন, সমান আচরন করতে পারেন ঃঃ শুধুমাত্র তখনই আপনি বহু/২-৩ বিয়ে করতে পারবেন... ইচ্ছা মতো-শুধু মনের খায়েশ পূরণ করার জন্য ইসলামে বহু বিবাহের কথা লিখা নাই, যদিও মানুষ নিজেই ইসলামকে এইসব কাজ-কর্ম করে করে ধর্মের অপমান করছে...
১৮ ই মে, ২০০৯ দুপুর ১২:৩৯
ডিজিটালভূত বলেছেন: একশ ভাগ সহমত
৮| ১৮ ই মে, ২০০৯ দুপুর ১২:৪৭
ওপেল বলেছেন: এটাতো ঢাকা শহরে নতুন কিছু না,সব জায়গাতেই চোর বাটপার ভরা।
আপনার ভাগ্য ভাল যে আপনি কোন উটকো ঝামেলায় পড়েন নি?
এই ধরনের প্রজেক্ট এ টাকা বাজেট করাটাও বুদ্বিমানের মত কাজ হয় নি।
যাই হোক, সুন্দর হোক আপনার সাম্নের অনাগত দিনগুলো।
১৮ ই মে, ২০০৯ দুপুর ১২:৫৪
ডিজিটালভূত বলেছেন: আমি এক সময় আসলে ভয় পেয়ে গেছিলাম। যখন বলল, ইয়েস অথবা নো বলতে হবে। আমি নো বললে মনে হয় খবর ছিল।
আপনার জন্যও সুন্দরের কামনা।
৯| ১৮ ই মে, ২০০৯ দুপুর ১২:৪৯
কিংশুক০০৭ বলেছেন:
কাজে লাগবে অভিজ্ঞতাটা ।
১৮ ই মে, ২০০৯ দুপুর ১২:৫৫
ডিজিটালভূত বলেছেন: কাজে লাগুক। মনে হয় এখনো বিয়ে করেননি।
১০| ১৮ ই মে, ২০০৯ দুপুর ১:০০
আকাশ_পাগলা বলেছেন: প্রথম পর্ব পড়ে খারাপ লাগছিল, দ্বিতীয় পর্বে ভাল লাগাটা ফিরে আসল।
আপনার আর ভাবীর জন্য শুভকামনা রইল।
১৮ ই মে, ২০০৯ দুপুর ১:৫৫
ডিজিটালভূত বলেছেন: আপনার জন্য শুভ কামনা।
১১| ১৮ ই মে, ২০০৯ দুপুর ১:০৪
তৃষ্ণার্ত বলেছেন: সুন্দর লেখা, অসাধারন অভিজ্ঞতা।
"দেখা যাক বা না যাক, রাতের সব তারাই তো আছে দিনের আলোর গভীরে।" - কথাটা মারাত্নকভাবে স্পর্শ করলো।
২য় বিয়ের চিন্তা বাদ দেন। যাকে পেয়েছেন তাকে নিয়ে সুখের সংসার করেন। আমার মনে হয়, পুরো ব্যাপারটা যতটা হাল্কাভাবে লিখেছেন ততোট হাল্কা যে নয়, সেটা আপনি নিজেও জানেন।
১৮ ই মে, ২০০৯ দুপুর ১:৫৭
ডিজিটালভূত বলেছেন: পুরো ব্যাপারটা যতটা হাল্কাভাবে লিখেছেন ততোট হাল্কা যে নয়, সেটা আপনি নিজেও জানেন।
কথাটি আপনার যথার্থ অনুভবের প্রকাশ। ভাল থাকুন।
১২| ১৮ ই মে, ২০০৯ দুপুর ১:০৬
মাতব্বর বলেছেন: গল্প মজারু হয়েছে
১৮ ই মে, ২০০৯ দুপুর ১:৫৮
ডিজিটালভূত বলেছেন: শুনতে ভাল লাগে সে জন্য গল্প বলে অভিহিত করেত পারেন। কিন্তু যা লেখলাম তার এক ইঞ্চিও অসত্য বা অবাস্তব নয়।
১৩| ১৮ ই মে, ২০০৯ দুপুর ১:১৩
আহমেদ রাকিব বলেছেন: শুভকামনা রইল।
১৮ ই মে, ২০০৯ দুপুর ২:০০
ডিজিটালভূত বলেছেন: আপনার জন্যও শুভ কামনা
১৪| ১৮ ই মে, ২০০৯ দুপুর ১:২০
ঘুমন্ত পথিক বলেছেন:
১ম পর্ব পড়ে চুপচাপ ছিলাম। এটি গল্প না কাহিনী তা বুঝিনি, তবে কিছুটা রাগ হচ্ছিল স্বামীটার উপর । ২য় পর্বের অপেক্ষায় ছিলাম। আর, ২য় পর্বে এসে শেষ পরিণতি দেখে আমি একেবারে মুগ্ধ হয়ে গেলাম।
ভাল লিখেছেন। অনেক কিছুই শিক্ষণীয় আছে এখানে (লেখা + মন্তব্য + জবাব সব মিলে)।
দুটোতেই প্লাসাইলাম।
১৮ ই মে, ২০০৯ দুপুর ২:০১
ডিজিটালভূত বলেছেন: আপনার কথায় যথেষ্ঠ অনুপ্রেরণা পেলাম। ভাল থাকুন।
১৫| ১৮ ই মে, ২০০৯ দুপুর ১:২০
ত্রিদীব বলেছেন: প্রথম পর্বে আপনাকে চাপাবাজ বলে গাল দিয়েছিলাম। সেটা ফিরিয়ে নিলাম না। কারন আপনার কথায় দুদিন দুরকম লাগলো।
তারপরেও আপনার সাহসের জন্য ধন্যবাদ।
তবে কাজটা ঠিক হলো বলে মনে হয়না।
তবে এই ধরনের প্রতারনা বন্ধ করা উচিৎ।
ধন্যবাদ লেখার মাধ্যমে সচেতন করার জন্য।
১৮ ই মে, ২০০৯ দুপুর ২:০৫
ডিজিটালভূত বলেছেন: আমার লেখার মুল লক্ষ্য এটাই - এ ধরনের প্রতারণা বন্ধ করার ব্যবস্থা নেয়া উচিত। আমি এ সম্পর্কে ছোট খাট একটি গবেষণা করার ইচ্ছা করেছি। তাতে এদের প্রতারণা বন্ধ করে এ পেশাটিকে জনকল্যাণমুলক করার শুপারিশ থাকবে।
১৬| ১৮ ই মে, ২০০৯ দুপুর ১:৩৮
বাগসবানি বলেছেন: একটা শিক্ষিত মুর্খের চেয়ে অশিক্ষিত অথবা মুর্খও অনেক ভাল । সেটা আশা করি ঢাকা শহরে থেকে বুঝতে পারেন । যদিও ব্যাপার টা একান্তই আপনার ফ্যামিলির, তবুও বলতে চাই, কারও মাঝে যদি সদিচ্ছা জাগে তাকে প্রেরণা দেয়া উচিত। আর কারও চেতনা যদি না থাকে এবং আপনি যদি তাকে স্পৃহা দিতে না পারেন তবে ব্যর্থতা আপনার, তার নয় । আপনারই উচিত তাকে সঠিক পথ দেখানো কারণ আপনি তার থেকে বেশি শিক্ষিত । কিন্তু আপনি আসলে কি করছেন ? তিনি তো আপনার অর্ধাঙ্গীনি ।
১৮ ই মে, ২০০৯ দুপুর ২:১২
ডিজিটালভূত বলেছেন: আসলে শিক্ষিত শিক্ষিতই। তাদের বিকল্প কিছু নেই। একটি শিক্ষিতা মেয়ে আপনার বাদী হতে রাজী হবে না ঠিক, কিন্তু পথ চলতে আপনাকে আলো দেবে। আপনার সব কাজগুলো বিনা প্রশ্নে মেনে নেবে না, তাও ঠিক, কিন্তু আপনাকে সাজাতে পারবে, সহযোগিতা করতে পারবে।
আসল কথা হল, নদীর এপার কয় ছাড়িয়া নিশ্বাস - ওপারেতে সর্বসুখ আমার বিশ্বাস। আমার মামা উচ্চ শিক্ষিত মেয়ে বিবাহ করেছেন। শুনেছি তিনি অন্যকে বলেছেন, জীবনে কখোনো ভুলেও শিক্ষিতা মেয়ে বিয়ে করবে না।
১৭| ১৮ ই মে, ২০০৯ দুপুর ২:১৮
..:: লিখন আহমেদ ::.. বলেছেন: লেখা পড়লাম। আগেরটা পড়ি নাই। আপনাকে কিছু কথা ও প্রশ্ন করবো।
প্রথম প্রশ্নঃ আপনার স্ত্রী যদি শিক্ষিত না হয় তাহলে উনাকে বিয়ে করেছেন কেন?
২য় প্রশ্নঃ আপনার স্ত্রী শিক্ষিত না বলেই আপনাকে ২য় বিয়ে করার অনুমতি দিয়েছে, অন্য কেউ হলে আপনাকে জেলের ভাত খাইয়ে ছাড়তো না??
৩য় প্রশ্নঃ আপনার স্ত্রী'র আপনাকে অনেক পছন্দ করেন তাই আপনাকে ২য় বিয়ের কথা বলতে বলতে কেদে ফেলেছে, তাতেও কি স্ত্রীর কথা বুঝেন নাই?
ভাই আপনাদের মত মানুষদেরকে অমন পতারকের পাল্লায় পড়া উচিত। আপনি হয়তো বার বার উনাকে শিক্ষা নিয়ে কথা শুনান তাই আপনাকে ২য় বিয়ে দেয়ার ব্যাপারে উনি এতো চাইছেন। আপনাকে পছন্দ করেন বলেই উনি নিজে গিয়ে বউ খুজতে চাচ্ছেন। আপনাকে পছন্দ করেই বলে আপনাকে পতারকের ক্ষপ্পরে পড়ার হাত থেকে বাচাতে চাইছে।
সব শেষ, আপনাকে ১০০০০০০০০০০০ মাইনাছ। আপনার মতো সকল ধোকা বাজদের মাইনাছ, যাদের জন্য সত্য ভালোবাসার দাম থাকে না। মাফ করবেন।
১৮ ই মে, ২০০৯ দুপুর ২:৩৬
ডিজিটালভূত বলেছেন: প্রথম পর্বটা পড়ে নেন। এটার চেয়ে ছোট। তাহলে প্রথম প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন।
শিক্ষিত হলে তো দ্বিতীয় বিবাহের চিন্তা আসত না। জেলের ভাত তো তার পরে।
যথেষ্ট পছন্দ করেন, এতে আমার বিন্দুমাত্র সন্দেহ নেই।
আসলে ভালবাসার দাম কেউ দিতে জানে না।
১৮ ই মে, ২০০৯ দুপুর ২:৫৩
ডিজিটালভূত বলেছেন: আমার স্ত্রী কম শিক্ষিত। সে আমাকে ভালবাসতে জানে। আমিও তাকে ভালবাসতে জানি, জানি তার চরিত্রটাকে উপস্থাপন করতে। চরিত্রটা উপস্থাপন করতে পারলাম বলেই তো আপনারা সকলে আমার স্ত্রীর প্রতি মায়া-মমতা, শ্রদ্ধা ভালোবাসা প্রকাশ করলেন। কথা হল যাকে নিয়ে এত কথা হচ্ছে তার কি এ সম্পর্কে কোন খবর আছে? আপনারা কেহ কি পারবেন তাকে এ খবরটা দিতে?
১৮| ১৮ ই মে, ২০০৯ দুপুর ২:২০
..:: লিখন আহমেদ ::.. বলেছেন: লেখক বলেছেন: আমার লেখার মুল লক্ষ্য এটাই - এ ধরনের প্রতারণা বন্ধ করার ব্যবস্থা নেয়া উচিত। আমি এ সম্পর্কে ছোট খাট একটি গবেষণা করার ইচ্ছা করেছি। তাতে এদের প্রতারণা বন্ধ করে এ পেশাটিকে জনকল্যাণমুলক করার শুপারিশ থাকবে
=>>আপনি ২য় বিয়ে করতে যাচ্ছেন কেনো? আপনিও তো বাচ্চা থাকার সত্তেও পতারনা করলেন আপনার স্ত্রীর সাথে।
১৮ ই মে, ২০০৯ দুপুর ২:৩৮
ডিজিটালভূত বলেছেন: মনে হয় আপনি প্রথম পর্ব পড়েন নাই। আমার স্ত্রীর সাথে আমি প্রতারণা করলাম কবে। আমি তার কাছে কিছু গোপন রাখি না। মনের সব চাওয়া-পাওয়া ও না পাওয়ার কথা তাকেই বলি।
ধন্যবাদ
১৯| ১৮ ই মে, ২০০৯ দুপুর ২:৩৯
কলুর বলদ বলেছেন: হুম পড়লাম দ্বিতী্য় পর্ব। একটু বড়। প্রথম পর্ব পড়ে এইরকম কিছুই আশা করছিলাম দ্বিতীয় পর্বে। ভাল থাকুন...
১৮ ই মে, ২০০৯ দুপুর ২:৪৩
ডিজিটালভূত বলেছেন: আল্লাহ আপনার আশা পুরাইছে। অনেক ধন্যবাদ।
২০| ১৮ ই মে, ২০০৯ দুপুর ২:৫৫
অমাবশ্যার চাঁদ বলেছেন: আপনার লিখা অসাধারণ হয়েছ।
১৮ ই মে, ২০০৯ বিকাল ৩:৫৪
ডিজিটালভূত বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ
২১| ১৮ ই মে, ২০০৯ বিকাল ৩:৩৩
পারভেজ বলেছেন: সালমা - ১ ই বেষ্ট।
আমি একজন সালমা ১ খুজতাছি....
১৮ ই মে, ২০০৯ বিকাল ৩:৫৭
ডিজিটালভূত বলেছেন: শহরের কোলাহল ছেড়ে একটু গ্রামের দিকে পা বাড়ান। সালমা-১ পেয়ে যাবেন। কিন্তু আমার মত ত্যাগ করতে পারবেন? সকলে সালমার ভালবাসা-কে ভালবাসে আমার ত্যাগ কারো চোখে পড়ে না।
২২| ১৮ ই মে, ২০০৯ বিকাল ৩:৩৯
ইসানুর বলেছেন: বেকার বলেছেন: যাক জেনে খুশি হলাম এখনো বিয়ে করেন নাই।
তবে ভুল পথে যে পা বাড়িয়েছেন সেটা আপনার বুঝতে হয়তো আরো সময় লাগবে। ভাবীর প্রতি যত্নশীল হন।
জীবন একটাই, ভোগে সব সুখ নয় ত্যাগেই সুখ
অমাবশ্যার চাঁদ বলেছেন: আপনার লিখা অসাধারণ হয়েছ।
আপনার মাথা থেকে ডিজিটাল ভূত নামুক এই কামনা করি।
১৮ ই মে, ২০০৯ বিকাল ৪:১৫
ডিজিটালভূত বলেছেন: আমার এ পোষ্ট পড়ে সকলে সালমার-১ এর পক্ষ অবলম্বন করলেন। তার ভালবাসা-কে ভালবাসলেন। তার প্রতি মায়া-মমতা ঝাড়লেন কিন্তু আমি তাকে আপন করে নিয়ে যে ত্যাগের প্রমাণ দিলাম তা কারো চোখে পড়ল না। দু একজনের কথা ভিন্ন। আপনারা যারা আজ আমাকে উপদেশ দিচ্ছেন। সমালোচনা করছেন। আমি বিপথে যাচ্ছিলাম বলে মন্তব্য করলেন তারা কি পারবেন, মেঘনার চরে যেয়ে একজন কৃষকের মেয়েকে বিয়ে করে সারাটি জীবন সাথে রাখতে? তার সকল দায়-দায়িত্ব নিতে? তাকে নিয়ে পরিতৃপ্ত থাকতে?
হা ভোগেই সুখ নয়, সুখ আছে ত্যাগেও। কিন্তু সবাই প্রথমটিতেই সুখ খুজে। আরো ব্যথা পাই অনেকে এটাকে কাহিনী বলেই মানতে নারাজ। তারা বলেন, গল্প। আসলে যে ব্যাথাগুলো প্রকাশ করারও জায়গা নেই। সেটা কিভাবে বুঝাই?
ধন্যবাদ আপনাকেও মফিজ ভাই
২৩| ১৮ ই মে, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:৪৮
নিলাচল বলেছেন: ভোগেই সুখ নয়, সুখ আছে ত্যাগেও। কিন্তু সবাই প্রথমটিতেই সুখ খুজে। --- আপনার তো দুই ছেলে। তাহলে এরা কি ভালবাসার চিহ্ন নাকি ভোগের? পড়াশুনা জানে না বলেই কি তার কোন দাম থাকবেনা, আপনাকে অন্ধ বলব তার ভালবাসাকে এভাবে overlook করার জন্য। এই মন্তব্যের জন্য আমি দু:খিত। সে কতটুকু ভালবাসলে এখন এসে পড়াশুনা শিখছে।
১৯ শে মে, ২০০৯ সকাল ৯:৩৩
ডিজিটালভূত বলেছেন: আমার প্রতি তার ভালবাসার ব্যাপারে আমার কোন প্রশ্ন নেই। বুঝেন তো এ জন্য বন্দি হয়ে আছি এখনো আর থাকবোই।
আপনার মন্তব্যর জন্য অনেক ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন।
২৪| ১৮ ই মে, ২০০৯ রাত ১০:২৫
ঈশান৭২৮৫ বলেছেন: পড়লাম। ভালো লাগল। ভাই আপনার সমস্যা বুঝতে পারলাম। কোন উপদেশ না কোন সমালোচনা না করে আমার একটা প্রিয় উক্তি আপনার জন্য উৎসর্গ করছিঃ
"we waste time in search of prefect lover instead of creating perfect love."
আশা করি বুঝেছেন। ভালো থাকবেন।
১৯ শে মে, ২০০৯ সকাল ৯:৩৫
ডিজিটালভূত বলেছেন: আমার কাছেও উক্তিটি প্রিয়। ধন্যবাদ
২৫| ১৮ ই মে, ২০০৯ রাত ১০:৪৮
আমড়া কাঠের ঢেকি বলেছেন: মাথায় কিছু ঢুকতেছে না
১৯ শে মে, ২০০৯ সকাল ৯:৩৬
ডিজিটালভূত বলেছেন: কেন ভাই। আরেকবার পড়ুন। পড়ার জন্য ধন্যবাদ
২৬| ১৮ ই মে, ২০০৯ রাত ১১:০৭
ইসানুর বলেছেন: পিলাস দিলাম।
১৯ শে মে, ২০০৯ সকাল ৯:৩৭
ডিজিটালভূত বলেছেন: পিলাস দেবেন না কেন। মনের দু:খ বেদনা, ব্যর্থতা, পরাজয়ের কাহিনী বললে কেন মাইনাস দেবেন? ধন্যবাদ পড়ার জন্য আবার পিলাস দেয়ার জন্য।
২৭| ১৯ শে মে, ২০০৯ রাত ২:০৩
লুথা বলেছেন: আমার খুব ক্লোজ এক বন্ধুর ঘটনা বলি...তার এক প্রেমিকা ছিলো... যা বলত তাই শুনতো, আপনার ১ম বউ এর মতো সে আমার বন্ধুর কথা মতো চলতো... হজম হয় নাই এতো ভালো মেয়ে...আমার বন্ধু চাইছে এমন মেয়ে যে তাকে সমালোচনা করবে, তাকে আরো বেশি করে বুঝবে, উপদেশ দিবে... ভাইরে অই মাইয়ার জন্য ১ম টার সাথে ব্রেক করলো সে, তারপর ২য় টার সাথে কিছুদিন খুব সুখী ছিলো, কিন্তু ১ বছর পরে বুঝতে পারছে সে কি হারাইছে... অই ঘটনার ৭ বছর হয়ে গেছে প্রায়... এখনও সে অই মেয়ের জন্য কান্দে...
এইসব দেখেই আমি আপনাকে উপরে এবং কালকের লিখায় কিছু কমেন্ট করছিলাম...
১৯ শে মে, ২০০৯ সকাল ৯:৩৯
ডিজিটালভূত বলেছেন: আপনার অভিজ্ঞতা আমার কাজে লাগতে পারে। আমার বউ এ কথাই আমাকে মাঝে মাঝে বলে। বিবাহ করো, একটা না হয় পাচ টা। কিন্তু কাদতে হবে আমারই জন্য।
২৮| ২১ শে মে, ২০০৯ সকাল ১০:১৫
তারিক হাসান তারিক হাসান বলেছেন:
রাগ করেন আর মন খারপ করেন।
আমাকে বলতেই হবে।
মেধাবী আর মানুষ এক বস্তু নয়।
আপনি মেধাবী হতে পারেন, কিন্তু আপনার স্ত্রী মানুষ।
আপনি আপনার স্ত্রীর কাছে হেরে গেছেন। লেখা পড়ে মনে হয় আপনার স্ত্রী অনেক বুদ্ধমান।
আপনি আপনার স্ত্রী'র সাথে অন্যায় করেছেন। তার বিচার হওয়া উচিৎ। তার শাস্তি আপনি অবশ্যই পাবেন। তার জন্য মানুষিক ভাবে প্রস্তুত থাকুন।
আমি একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ি। আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েক জন সুন্দর মেয়ে + মেধাবী ছাত্রী আমার সাথে ( প্রেম অথবা ভালবাসা যাই বলেন ) করতে চেয়েছিল।
কিন্তু সাহস পায়নি। কারণ তারা আপনার স্ত্রীর মত ছিল না।
আমি এখনো বিয়ে করিনি। দু'আ করবেন। আপনার স্ত্রীর মত ভাল একটা বউ আমার কপালে জুটে।
আমার মনে আপনি আর একটা বিয়ে করেন। তাহলে শুধু মাত্র আপনার স্ত্রীর গুরুত্ব বুঝতে পারবেন।
মেয়েটার সাথে খুব অন্যায় করেছেন। অবিচার করেছেন।
আপনি আর আপনার পরিবার মিলে মেয়েটাকে সুখী হতে দেয়নি।
মেয়েটার যথাযথ অধিকার থেকে বঞ্চিত করেছেন। আপনি একটা কাপুরুষ। ভাই, আপনারে অনেক বকাবকি করতে ইচ্ছা করছে।
এই যে ডট. ডট -------------------------- দিলাম এ গুলোর ভিতর আপনার বকাগুলো লুকিয়ে আছে।
দুর মিয়া .. .. ..
২১ শে মে, ২০০৯ সকাল ১১:০৫
ডিজিটালভূত বলেছেন: আপনার বকাবকিগুলো ভাল লাগল। এখন যে আর কেহ বকাবকি করে না।
২৯| ২১ শে মে, ২০০৯ সকাল ১১:২৪
নাজনীন১ বলেছেন: মূল ভুলটা করেছেন আপনাদের পরিবারের মুরুব্বীরা -- সে ভুলের মাশুল দিচ্ছেন আপনি , আপনার স্ত্রী দুজনেই।
যদিও আপনার ব্যক্তিগত ব্যাপার। তবুও জানতে ইচ্ছা করছে, আপনি তো আপনার সমমনা স্ত্রী খুঁজছেন, আপনার স্ত্রীও অনুমতি দিয়েছেন, সাহায্য করছেন.........
আপনি কি আপনার স্ত্রীকে তাকে সমঝদার করবে এমন কাউকে খুঁজে নিতে বলেছেন? বা পরিবারের পক্ষ থেকে এমন ব্যবস্থা কি করা হচ্ছে -- যেহেতু আপনি তাকে পছন্দ করছেন না তাই তাকে মুক্ত করে নতুনভাবে কারো সাথে বিয়ে দেয়া যে তাকে শ্রদ্ধা করবে, বুঝবে, ভালোবাসবে...... বাচ্চাদেরও ভালবাসবে...
জানি মেয়েদের ব্যাপারে আমাদের সমাজ এভাবে ভাবে না, তবুও জানতে ইচ্ছা করলো।
২১ শে মে, ২০০৯ দুপুর ২:০২
ডিজিটালভূত বলেছেন: তাকে বলেছি বহুবার। বলেছি আমরা তো অনেক দূর হেটেছি এখন যার যার ঘরে গেলে হয় না। বা অন্য কোন সহযাত্রী? সে বলল, যা চাও সব উজার করে দেব তবুও তোমাকে ছাড়া নয়। মরতে চাই এ বুকে মাথা রেখে। অন্য কিছু না। আমি তোমার কোন বাধা হবো না।
৩০| ২১ শে মে, ২০০৯ দুপুর ২:০২
বিবেক হীন বলেছেন: আপনি নিজেকে অনেক বেশি কোয়ালিফাইড ভাবেন। ভাল লিখেন, সন্দেহ নাই, কিন্তু নিজের বউ এর সাথে যে আচরণ করেছেন, তার জন্য আল্লাহ যেন আপনাকে ক্ষমা করেন।
২১ শে মে, ২০০৯ দুপুর ২:০৩
ডিজিটালভূত বলেছেন: আমীন! ছুম্মা আমীন!! ধন্যবাদ আপনােক
৩১| ৩১ শে মে, ২০০৯ রাত ১১:৩৫
বোকা ছেলে বলেছেন: গল্পের কাহিনী নিয়ে অনেকেই অনেক কিছু বলে ফেলেছে, আমার কিছু বলার নাই।
আপনার লেখনি নিয়ে যা বলতে চাই, তা হল আপনার লেখার সরলতা আমার ভাল লেগেছে। আপনি খুব সহজ-সরলভাবে ঘটনাগুলো তুলে ধরেছেন। আমি আপনার ফ্যান হয়ে গিয়েছি।
০১ লা জুন, ২০০৯ সকাল ৯:০৬
ডিজিটালভূত বলেছেন: আপনার মন্তব্যটা খুবই আন্তরিকতার প্রকাশ। আপনার জন্য কল্যাণ কামনা করি।
৩২| ২৫ শে আগস্ট, ২০০৯ সকাল ১১:৪৬
পুরাতন বলেছেন: লেখাটা অসাধারণ হইছে ..............
২৬ শে আগস্ট, ২০০৯ বিকাল ৫:৩৯
ডিজিটালভূত বলেছেন: পড়ার জন্য ধন্যবাদ। সুন্দর মন্তব্যের জন্যবাদ।
৩৩| ২৫ শে আগস্ট, ২০০৯ দুপুর ১২:৫৮
ম্যাক্স পেইন বলেছেন: ভাল লাগে আপনার লেখা
ভালো লাগলো আপনার বিচার
২৬ শে আগস্ট, ২০০৯ বিকাল ৫:৪১
ডিজিটালভূত বলেছেন: অনেক উৎসাহ পেলাম আপনার মন্তব্যে। ধন্যবাদ অনেক।
৩৪| ১৩ ই জুলাই, ২০১০ রাত ৯:৪২
মাহমুদ রহমান বলেছেন: পাক্কা দেড় ঘন্টা সময় নষ্ট করলাম আপনার ব্লগ পড়ে। অনেকগুলি পোস্ট পড়েছি...
পড়তে পড়তে ভাবীর ফ্যান হয়ে গেছি। উনাকে আমার সালাম পৌঁছে দেবেন।
১৩ ই জুলাই, ২০১০ রাত ১০:৫৬
ডিজিটালভূত বলেছেন: কষ্ট করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
হ্যা, এখনই সালাম পৌছে দিলাম।
©somewhere in net ltd.
১|
১৮ ই মে, ২০০৯ দুপুর ১২:০৭
অপরাজিতা ০০৭ বলেছেন: এতবড় লেখা (অবশ্য অভিজ্ঞতা ও)!!!!!!!!!!