![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রচণ্ড মাথা ব্যাথা করছে, গত ৫/৬ দিনের টানা মিটিং-দৌড়াদৌড়ি-ইভেন্টের জন্যে ঘুম হয়নি!
দুপুরে বাসায় ফেরার পর থেকে প্রায় অচেতন হয়ে পড়ে ছিলাম বিছানায়!
এখনো খুব একটা সুস্থ বোধ করছি না!
তবু কীবোর্ড হাতে লিখতে বসলাম, না লিখে পারছিলাম না!!!
ত্রিশজন ভাইবোনের ৭১ ঘণ্টার সেই পরিবারটিকে অনেক মনে পড়ছে, আমার যতদূর মনে হয়, পৃথিবীতে এটাই প্রথম কোন অনশন হয়েছে, যেখানে অনশনকারীদের আগে স্বেচ্ছাসেবকদের স্যালাইন নিতে হয়েছে, বিভিন্ন সেবা নিতে হয়েছে, ইভেন্টে আমরা ৭ জন অনশনকারীর নাম উল্লেখ করেছি, কিন্তু সত্যি কথা হল, আসলে ওখানে উপস্থিত সকলেই আমরা না খেয়ে ছিলাম, খুব প্রয়োজনে একটু আধটু পানি মুখে দিয়েছি, না আমরা অনশন করিনি, কিন্তু খেতেও পারিনি!
আমাদের দেখতে আসা অনেকেই বিশ্বাস করেনি এই একদল ছেলেমেয়ে না খেয়ে আছে, কারন লোক দেখানো ভান আমরা করিনি, আমরা হেসেছি, অনেক প্রানবন্ত সে হাসি, শুকিয়ে আমচুর হয়ে গেছে চেহারা, তবু চোখ থেকে জ্বলজ্বলে দৃষ্টি মুছে যায়নি, আমরা ভেঙ্গে পড়িনি, কারো ফিরে না তাকানোয় হতাশ ও হইনি! আমাদের সমস্ত সময়ের সাক্ষী আছে আমাদের দুই পাশে অবস্থান করা দুটি দোকানের কিছু মানুষ... যারা আমাদের কষ্ট হবে বলে নিজেরাও আমাদের সামনে কিছু মুখে দেয়নি!
আমাদের সাথে আমাদের সাহস দিতে অনন্ত ভাইয়া সবসময় সাথে থাকার চেষ্টা করেছে, আমাদের একতা, সাহস, অফুরন্ত উচ্ছলতা আর ভালোবাসায় মুগ্ধ হয়ে ভবিষ্যতেও পাশে থাকার শপথ নিয়েছেন...
সকালে অনশন ভঙ্গ করার পর সকলে মিলে গিয়েছিলাম স্টারকাবাবে, সেখানে আমাদের ৩০জন অভুক্ত খাদ্যরসিকের ভোজনের দৃশ্যটা ছিল দেখার মতো!
যা পৃথিবীর যেকোনো পাষাণের চোখেও জল এনে দিতে পারে, বাজি রেখে বলতে পারি...
©somewhere in net ltd.